ধূসর গোধূলির বড় ভাই শ্রদ্ধেয় গম্ভীর গোধূলি সেদিন ফোন করেছিলেন এক দূরদেশ থেকে। অভিযোগ, ধূসর দিনকেদিন বেয়াড়া হয়ে যাচ্ছে। আমরা যারা তার নিকটতম গার্জিয়ান ও গুরুজন, তারা যেন তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আবার লাইনে আনি। মিষ্টি কথায় কাজ না হলে পোঁদে লাথি মারার অনুরোধ জানালেন। গোধূলি বংশের মুখে নাকি ধূসর কালিমা লেপন করে চলছে প্রতি পলে পলে। এর একটা আশু বিহিত করা জরুরি।
মুসিবতেই পড়লাম। হাজার হোক গোধূলি বন্ধু মানুষ, হোক অর্বাচীন, তাকে কি কথা না শুনলেই পোঁদে লাথি মারা উচিত? কিন্তু গম্ভীরদা কোন সুযোগ দিলেন না প্রতিবাদের, আমাদের গার্জেনগিরির ওপর গভীর প্রত্যয় ব্যক্ত করে ফোন রেখে দিলেন।
চৌধুরীকে এরপর জানালাম, জানালাম বলাইকেও। কী করা যায় গোধূলির জন্যে। বলাই রমজানে রোজা রেখে কিছুটা কাহিল, তিনি দুটার বেশি লাথি মারতে পারবেন না জানালেন। চৌধুরীর প্যান্টে নাজুক জায়গায় সেলাইগুলি আরো নাজুক, লাথি মারতে গেলে ছিঁড়ে যেতে পারে। কিসমতকে গালি দিতে দিতে ফোন্দিলাম ধূসরকে। কেন আমাকেই বার বার এগিয়ে যেতে হবে গোধূলিকে প্যাঁদানোর জন্যে?
আসল কথা জানলে গোধূলি পিছলে যেতে পারে জেনেই প্রস্তাব দিলাম, বন শহরে আমাদের প্রিয় বড়ভাই লিটন ভায়ের ওখান থেকে একটা চক্কর মেরে আসার। রমজান উপলক্ষে বলাই আর যাচ্ছেন না, আমি চৌধুরী গোধূলিই শেষমেশ গেলাম বনে।
যাত্রা করলাম ভোরবেলা। এদিক থেকে আমি আর চৌধুরী, আর ওদিক থেকে গোধূলি। জার্মানিতে মোটামুটি শস্তায় রেলযাত্রা সম্ভব সপ্তাহান্তে, আগেই বলেছি, সেই সপ্তাহান্তের টিকেট আবার শহরের ট্রামেবাসেও খাটে। তাই ওরকম একটা টিকেট কেটে চড়ে বসেছি আমরা। গিসেনে নেমে ট্রেন বদলাতে হয় একবার, তারপর কোয়ল্নে আরেকবার। খুব বেশি অপেক্ষার হ্যাপাও তাই নেই। বেশ আরামসেই সীট দখল করে ঝিমাতে ঝিমাতে একসময় বনে এসে পৌঁছুলাম আমরা।
গোধূলি আরো আগেই এসে পৌঁছে গেছে বনে, স্টেশনে নেমেই দেখি সে গোমড়ামুখে দাঁড়িয়ে, চোরের মতো হাবভাব। বুঝলাম, গম্ভীর ভাইয়ের উদ্বেগের পেছনে যথাযথ কারণ আছে। চৌধুরীকে বললাম, আগে মিষ্টি কথা শুরু করবো, নাকি কড়াটা দিয়েই শুরু করবো? চৌধুরী বললেন, কথাবার্তাই উত্তম। কিছু মিষ্টি কথা আর হালকা চড়চাপড়ে কাজ হয়ে গেলে আর মাইর না-ও দেয়া লাগতে পারে।
তিনজনে স্টেশন থেকে বার হয়ে হাল্টেষ্টেলেতে যাবার পথে যার দেখা পেলাম, তাকে দেখতে পাবো এমনটা আশা করিনি। তিনি এক মহাজন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ও ব্লগিঙের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক, যাঁর পরিচয় জানলে লোকে মূত্রত্যাগেরও অবসর পায় না, এমনই কাবিল তিনি। হাতে একটি ঝুড়ি নিয়ে অলস স্মার্ট ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে, গেঞ্জিতে লেখা, হাবিব'স।
মহাজনের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা নিয়ে গুজুর গুজুর আলাপ করছিলাম, আলাপ শেষে দেখি সিনেমার মতোই বাস চলে যাবার পর তিনিও অদৃশ্য। কী আর করা, এমন মহারথীর সাথে আলাপ না হওয়ার বেদনাকে বুকে পুষেই বাসে চড়ে চললাম লিটন ভায়ের বাসায়।
লিটন ভাই বেশ খাতিরযত্ন করলেন আমাদের। খিচুড়ি খেয়ে তিনজনে বেরোলাম শহরে এক চক্কর হাঁটতে, লিটন ভাই কী একটা কাজে বেরিয়ে গেলেন। ব্যস্ত মানুষ, একটা না একটা কাজ লেগেই আছে তাঁর।
রাইন নদীর পার ধরে হাঁটতে হাঁটতে গোধূলিকে কিছু সবক দিলাম। আচারব্যবহার, ন্যায়নীতি, ধর্মাধর্ম প্রভৃতি নিয়ে কয়েক পশলা লেকচারের পর মনে হলো, এ যাত্রা আর লাথি না মারলেও চলবে। সে তার অনেক ভুল বুঝতে পেরেছে। প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে এক দফা কফিও খাওয়ালো ব্যাটা।
কফিপানের পর জানা গেলো, রাইনাউতে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক মেলা বসেছে, বিভিন্ন দেশের লোক সেখানে স্টল খুলে বসেছে। পুরো পার্কটাই অপূর্ব সুন্দর ও ছিমছাম, হাঁটা বা সাইকেল চালানোর জন্যে আদর্শ, হাঁটতে হাঁটতেই মেলায় গিয়ে হাজির হলাম আমরা। মেক্সিকোর স্টলে মায়া আর আজটেক নাচ দেখে অন্যদিকে পা বাড়াতেই দেখি পোলিশ স্টল থেকে এক হৃষ্টপুষ্ট যুবতী হাতছানি দিয়ে গোধূলিকে ডাকছে। গোধূলি সবিনয়ে হাত নেড়ে জানালো, সে পোলিশ নয়, বাংলাদেশের যুবক, পোল্যান্ডের তরুণীরা যেন তার গুলাবি গায়ের রং দেখে বিভ্রান্তা না হয়। ওদিকে কিনিয়ার স্টলের বাইরে কয়েকজন আফ্রিকান শ্বেতাঙ্গ কাঠের ড্রাম বাজাচ্ছিলো মন দিয়ে, আমরা কাছাকাছি যেতেই একজন ড্রাম বাড়িয়ে ধরলো আমার দিকে, দেশোয়ালি ভাই ভেবে। আমিও কম বিনয়ী নই, জানালাম, আমার পূর্বপুরুষ আফ্রিকা ত্যাগ করেছেন বহুবছর হলো, সেই লক্ষাধিক বছর আগের গ্রেট মাইগ্রেশনের সময়, তাই ড্রাম বাজানোর অভ্যাস প্রায় বিস্মৃত হয়েছি।
মিশরের কুক্ষিনৃত্যের স্টল দেখে গোধূলিকে আর আটকে রাখা গেলো না। যত বলি চল বাড়ি ফিরি ক্ষুধা লাগসে, সে ততই তেড়েফুঁড়ে যায় ওদিকে। কী আর করা, ভুঁড়ি কাঁপানো মিশরী নাচ আর বলিভিয়ার কিছু বিদঘুটে নাচ দেখে আমরা আবার উল্টোদিকে হাঁটা শুরু করলাম। বেশিরভাগ স্টলেই শুধু খাবারদাবারের ব্যবস্থা। বাংলাদেশের কোন স্টল চোখে পড়েনি, ভারত আর শ্রীলঙ্কার স্টলে ভাজাভুজি বিক্রি চলছে সমানে। ফিলিপাইন্সের স্টলে অনেক ফিলিপিনো মহিলা ব্রাজিলীয় গানের সুরে নেচে চলছেন, কিরগিজিস্তানের স্টলটা একটা কিরগিজ তাঁবু, বুলগেরিয়ার স্টলের সামনে কিছু বুলগেরিয় ওয়াইনের বোতল আর গ্লাস রাখা, এমনকি একুয়াডর আর বেনিনের স্টল পর্যন্ত চোখে পড়লো, কিন্তু বাংলাদেশের স্টল নেই। গোধূলি প্রস্তাব দিলো, তিনজন মিলে একটা টাওয়েল নিয়ে বসে পড়ি। এর আগে ফ্রাঙ্কফুর্টে গোধূলির সঙ্গীতপ্রতিভার সাথে পরিচয় হয়েছে, তাই টেনেহিঁচড়ে তাকে বার করে নিয়ে এলাম মেলা এলাকা থেকে।
এরপরের ঘটনা সামান্যই। বনের পথে চলতে গিয়ে পথ হারিয়ে একটা তুর্কি দোকান থেকে খানিক মাংস আর আলদি থেকে টুকিটাকি কেনাকাটা করে আবার লিটন ভায়ের ডেরায় হামলা করলাম আমরা। চৌধুরীর তেহারি খেয়ে লিটন ভাই বাকরুদ্ধ। আমি বাকরুদ্ধ লিটন ভাইয়ের ভোনগেমাইনশাফটের জনৈকা চৈনিকা তরুণীকে দেখে। ধূসর বাকরুদ্ধ আমরা মোটে একটি ভোদকার বোতল সঙ্গে নিয়ে এসেছি বলে। আর চৌধুরী কথা বলার ফুরসৎ পাচ্ছিলেন না তেহারি খাওয়ার ব্যস্ততায়।
খাওয়াদাওয়ার আগে ও পরে তিনজনের উদ্যোগের মস্কোভস্কায়ার ক্ষুদে বোতলটা শেষ হবার পর আমাদের মনে কিছুটা ফূর্তির উর্দ্রেক হলো। গোধূলি জড়ানো গলায় ভূপেন হাজারিকার গানের প্যারোডি ধরলো, "পকেট যেন মেরো না আমার, পোঁদ মেরে দাও বরং পোঁদ মেরে দাও, হো মালিক, সারাজীবন কাঁদালে যখন ...।" বহুকষ্টে তাকে শান্ত করে লিটন ভায়ের ঘরে গিয়ে এদিকে সেদিকে ভূমিশয্যায় আশ্রয় নিলাম আমরা। পরদিন আবার বনে এক চক্কর মেরে কোয়ল্ন হয়ে ঘরের ছেলেদের ঘরে ফিরতে হবে।
ঘুমানোর আগে সচল খুলে দেখি কার্ল মার্ক্স আলুথালু বেশে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন হাপুশ নয়নে, তাঁর লুঙ্গির একদিক ধরে আছেন অভিজিৎদা আর সুবিনয়, অন্যদিক চেপে আছেন ফারুক ওয়াসিফ আর জনৈক অতিথি মুনশি। মার্ক্সের জন্যে গভীর উদ্বেগ আর সমবেদনা নিয়ে ঘুমাতে গেলাম সবাই। দুনিয়াটা দিনকেদিন বড় কঠিন হয়ে যাচ্ছে, মুখ খুললেই বিপদ।
মেক্সিকোর সেই নাচের অনুষ্ঠানের মোবাইলধৃত ভিডিওটা আছে। থ্রিজিপি থেকে অন্য কোন চলেবল ফরম্যাটে নেবার কায়দাটা শিখতে পাল্লেই সচলদের জন্যে তুলে দেবো।
মন্তব্য
আপনার লেখার এক্সিলেন্সির তারিফ করতেই হয়।
চমৎকার দেখালেন ! ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদীপমদা, হুদাহুদি লজ্জা দিয়েন না। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
দারুণ লাগলো!!!
কেমন তাড়াতাড়ি শেষিয়ে গেলো!
ধন্যবাদ ল্যাজ ভাই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ওয়াহ-ওয়াহ! কি দুর্দান্ত লেখা। আপনার লেখার হাতটিকে এবং আপনাদের আনন্দময় জীবনকে ঈর্ষা করি।
ভাল কথা, ধূসর গোধূলীর অপরাধটি কি ছিল? কি কি তরিকায় সে তার পরিবারের মুখে কালিমা লেপন করেছিল?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
সেটা বো্ধহয় বলা বারণ, নাহলে এবার হিমুভায়ের বড়ভাই ধূগোকে ফোন দিতে পারেন।
লেখা বরাবরের মতো ভালো হয়েছে।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
- অলরেডি এসেমেস আইসা পড়ছে। কিন্তু আমি তো হিমুর মতো ইয়ে নই যে এইসব নিয়ে লিখে দোস্তের সঙ্গে তাফালিং করবো! হিমুকে সাইজ করা হবে, গোপনে গোপনে। সহায়ক সেই একজনই, হের চৌধুরী।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমাদের জীবন আনন্দময় নয়, নানা কষ্টবিষাদ ও আনুষঙ্গিক প্যানপ্যানানিতে পূর্ণ। কিন্তু আমরা সেইসব ধামাচাপা দিয়ে আনন্দগুলোকেই মনে রাখতে চাই।
ধূসরের অপরাধ ফাঁস করা হবে কি না, তা পরবর্তীতে ধূসরের আচরণ দেখে ঠিক করা হবে। আপাতত গোপন থাকুক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
- আসল ঘটনার তো কিছুই আসে নাই এই লেখায়। সত্যি ঘটনার জন্য চোখ রাখুন সচলায়তনের পাতায়। আসিতেছে শীঘ্রই...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শীঘ্রই আসুক। হিমুর লেখায় ব্যাপক কারচুপির আভাস পাচ্ছি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- খালি কারচুপি? আমি তো দীঘি চুরির আভাস পাচ্ছি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জাঝা
ধূগো ভাই আসুক, উনার মুখ থেকেই সবিস্তারে ঘটণা শুনতে চাই। আপনি দুর্জন, আপনাকে বিশ্বাস করা শক্ত।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
- এই যে দেখ ব্যাটা হাবশী। মানী লোকের কদর এখনো আছে, তুই খালি মানী লোকের মানের বারোটা বাজানোর ধান্দা করোস!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই রকম লেখাগুলার জন্যইতো, জাস্ট এইরকম লেখাগুলোর জন্যই।
হ ভাই, এইরকম লেখাগুলির জন্যই লোকজন বেহুদা পিছে লাগে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
- দোস্ত, এখনো সময় আছে দ্রোহী মেম্বরের কাছ থাইকা লোহার জাইঙ্গার মডেলিঙের চুক্তিটা রাহাজানী কইরা ফেরত লৈয়া আয়। নাইলে পরে পস্তাবি কৈলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এসব লেখা পড়লে মনে হয় ফেলে দেয়া গুপ্তকেশের মায়া ত্যাগ করে জার্মান দেশে পাড়ি জমাই। ডান্কে চৌধুরীর ল্যাটকা আর মস্কোভস্কায়ার ক্ষুদে বোতলটা দিয়েই বাকি জীবনটা বেশ কেটে যাবে।
অক্টোবর ফেস্ট না হোক, ডান্কে চৌধুরীর খিচুড়ির স্বাদ নিজের মুখে পেতেই একবার ঐদিকে যাওয়া লাগবে।
আইসা পড়। তুই আসলে পেঁয়াজ ছিলন থিকা রিটায়ার করুম। যেইখানেই যাই পাবলিক আমারে পিঁয়াজ ছুলতে দেয়। শাবানার মতো কানতেই আছি কানতেই আছি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সোহাগের বাসায় পেঁয়াজ ছোলাবিহীন একটা দাওয়াত মিস করলা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
নিষ্পাপ ধুগো ভাইরে সুযোগ পাইলেই সবাই পঁচায়, ঘটনা কি?
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
যেমন এইখানে ধুগোরে নিষ্পাপ বইলা আরেকবার পঁচানো হইলো।
পরদিন আবার বনে এক চক্কর মেরে কোয়ল্ন হয়ে ঘরের ছেলেদের ঘরে ফিরতে হবে।
কোয়লন কোনটা? কোলন নাকি ???
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হ্যা।
জার্মান উচ্চারণ ক্যোলন্ , লেখা হয় KöLN.
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
অফটপিক- আড্ডাঘর চালু হবে কবে? আড্ডাঘরে ক্লিক করে নীচের মেসেজ পেলুম
সমস্যা : 'chat.js.tpl.php' খুঁজে পাওয়া যায় নি , দয়া করে আপনার থীমের path '/home/sachalay/public_html/modules/phpfreechat/phpfreechat/themes' পরখ করে দেখুন আপনার 'default' থীমগুলি সঠিক কি না
= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
দেরি হবে, বস, দেরি হবে ... তিষ্ঠান ক্ষণকাল।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হাহাহাহা "শ্রদ্ধেয় গম্ভীর গোধূলি" শুরুতেইতো হাসতে হাসতে পরে গেলাম। বেশ মজা করলেন বোঝাই যাচ্ছে, অনেক মজা লাগল পড়ে।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হাহাহাহা হাসতে হাসতে আবার উঠে পড়ুন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধুগো চুলাতে কী যেন একটা সিদ্ধ করতেছে। জিজ্ঞাসায় কিছু বলে নাই, শুধু জানা গেছে শত্রু নাকি সমূ্লে বিনাশ হবে। তাবিজ-কবজ, মার-পিট যাই হোক, হিমুর নিরাপত্তা নিয়া চিন্তিত।
- সিদ্ধ করতে গিয়া দেখি চুলায় আগুন নাই। শায়তান হিমুটা আমার লাইটার লৈয়া গেছেগা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কাসেলে আইসা গুইণা দেখি মাথায় একটা চুল কম। বুঝলাম, ধূসরের কাম, তাবিজ বানানোর জন্য রাইখা দিসে এক ফাঁকে। তবে লাভ নাই। তাবিজে কাম দিলে এতদিনে মাথার সব চুলই শত্রুপক্ষের হাতে থাকতো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ভাগ্যিস চুলটা মাথার!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
দারুণ!
সত্যি বলতে কি আপনার মূল লেখার চাইতে ও এই কমেন্টটা বেশী মজার। যতবার পড়ি ততবার হাসি।
যারা পড়ে নি তাদের ও এই কমেন্ট টা শুনিয়েছি।
আপনার আর ধূগোর দুজনের কমেন্টের চমৎকার যুগলবন্দী হতে পারে।
এক কাজ করলে হয় ,আপনাদের দুজনের কমেন্ট সংকলন করে ফেলুন না।
বন থেকে আবার হেগে আসোনি তো ?
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বলসিলাম গোধূলিকে, চল হেগে যাই, সে রাজি হয় নাই, ওর নাকি কোলনে কী একটা সমস্যা হইসে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
- হেগে যাবি ক্যান এতো খরচা কইরা হালা কিপটুশ। তার চাইত হাগেন হৈয়াই তো গেলি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কড়া লেখা। সেইরম মজা পেলাম।
আপনার 'সুপারম্যান' কই.. আজকে কিন্তু ৯ সেপ্টেম্বর।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ভারি দেইখা একটা ক্যালেন্ডার বসাও মিয়া। পাতা এতো জলদি উল্টাইলে হইবো ?
হাঁটুপানির জলদস্যু
মিডিয়া কোডার বইলা একটা কাবিল সফটওয়্যার আছে। সেটা দিয়া নাকি যা ইচ্ছা তাই করা যায়। খালি জানতে হয় কেমনে করতে হয়। টেরাই দিয়া দেখতে পারো।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
দারুন মজা পাইলাম।
আমিও কইলাম সুপারম্যানের অপেক্ষায় আছি।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
সুপারম্যানরে লটকায়া বনবাসের নিন্দা জানাই।
আমার প্রিয় ধুগোরে এইভাবে পচানোর কোন মানে নাই। ঘটনা এই পর্যায়ে না থামলে কঠিন প্রতিশোধ নেয়া হবে।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
- হত্তালের ডাক দিমু বাউল?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূগোর সাথে আঁতাত করাটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হয়নি
আখেরে পাস্তাতে হবে
- কেনো হে গুরুজী? ধুগোর আপনার সঙ্গে চারদলীয় গোপন আঁতাত আছে বলে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দিলেন তো বারোটা বাজিয়ে
আপনার বিরুদ্ধে কথা বললাম যাতে ওরা আমাকে আপনার শত্রুপক্ষ মনে করে ভেতরের কথাগুলো বলে
(আপনার মঙ্গলার্থে)
কিন্তু এইটা কী করলেন?
- ভেম হৈয়া গেছেগা গুরুজী।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহারে !
এমনি কি জ্ঞানী লোকে কয়
ভাবিয়া কইও কথা, কইয়া ভাবিও না...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
জেবনে কোন মজা পাইলাম না। আপ্নেরাই সব নিয়া নিলেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ফাইল কনভার্শন এর জন্যঃ
http://media-convert.com/convert/
হাসতে হাসতে গড়াইলাম, হাসতে হাসতেই উঠলাম!
ধুগোদা'র পোস্ট চাই। এতক্ষণ তো "ন হন্যতে" পড়লাম, এইবার "লা নুই বেঙ্গলী" চাই!
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
-
লা নুই বেঙ্গলী আইতাছে। ঐখানে কোনো হাবশীর চোখ রাঙানী সইবো না, মানবো না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখাটা চরম মজাদার হয়েছে।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
ধুগো ভাইকে নিয়া যতো লেখা হইছে একটা সংকলন ইজিলি করা যায়। লেখা জম্পেসের জম্পেস হইছে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
- হ। প্রচ্ছদ হবে এরকমঃ একজন সাদাসিধা লুক লুঙ্গির কোণা হাঁটুর উপরে তুইলা বেঁকা হইয়া দৌড়াইতাছে, আর তার পিছে বিভিন্ন সাইজের ও বর্ণের জনগণ তদরূপ বংশদন্ড নিয়া ধাবমান। কাউরেই চেনা যায় না কারণ পড়ন্ত সূর্য্যের উল্টাদিক থাইকা ক্যামেরা ক্লিক মারছে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন