গত কয়েকদিনের বিভিন্ন আলোচনা পড়ে একটা বিষয়ে কৌতূহলী হয়ে পড়েছি। কিছু প্রশ্ন জেগেছে মনে। সচলদের কাছে উত্তর কামনা করি।
- আমাদের দেশে অনেক বড় অপরাধ করেও অপরাধী আইনের মারপ্যাঁচে কিংবা তার প্রয়োগের মারপ্যাঁচে ছাড়া পেয়ে যায়। শুধু ছাড়াই পায় না, আইন প্রণেতা হিসেবেও অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। এমন উদাহরণ সামনে রেখে কি "ছোটস্কেলের" অপরাধের বিচার বা শাস্তি গ্রহণযোগ্য?
- কোন গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত কোন পক্ষের বিরুদ্ধে করা অপরাধকে কি আমরা ছাড় দেয়ার পক্ষে? অর্থাৎ. একজন খুনীর পকেট মারা কি ন্যায়সম্মত বলে মনে করি আমরা?
- তুচ্ছ অপরাধ ক্ষমা করার পরিণতি ইতিবাচক হতে পারে বলে কি আমরা মনে করি?
- অভিযুক্ত না হলেও নানা সম্ভাব্য অপরাধ আমরা নিজেরা জীবনে করেছি। আমাদের কি অন্যের অপরাধ নিয়ে কথা বলার মতো পরিসর আছে?
- অপরাধ কি ধরা পড়লে বা অভিযুক্ত হলেই অপরাধ, নাকি যে কোন সময়েই তা অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য? ধূ ধূ মরুভূমির মাঝখানে একটা ট্র্যাফিক ক্রসিঙে লালবাতি জ্বলছে, আশেপাশে কোন গাড়ি নেই, পার হওয়া উচিত কি উচিত নয়?
মন্তব্য
ডাইকোটোমাস পদ্ধতিতে উত্তর চাওয়া হয়েছে বোধহয়। এক্ষেত্রে আদর্শ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বজনীন উত্তর পাওয়া যাবে অবশ্যই।
কিন্তু পরিস্থিতি এবং প্রেক্ষাপট বিচারে কিংবা কোনো ধরনের আদর্শবাদকে সামনে রেখে এবং উত্তরদান প্রক্রিয়া ডাইকোটোমাস না হয়ে কন্টিনিউয়াস পদ্ধতিতে হলে আলোচনা-প্রতিআলোচনার সুযোগ থাকে। সেক্ষেত্রে এসব প্রশ্নের মীমাংসা করতে হয় সেই নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটকে ধরেই।
না হলে আলোচনা কোথায় গিয়ে যে দাড়াবে সেটা কেউ বলতে পারে না।
তবে প্রশ্নগুলো নিজেই নিজেকে করা উচিত।
(পদ্ধতিগুলোর কোনো বাংলা নাম আমার জানা নেই)
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতমদা, প্রশ্নগুলো আমি নিজেকে করিনি বলে কেন ভাবছেন?
আপনার উত্তরগুলো পেলাম না। ডাইকোটোমাস আর কন্টিনিউয়াস আলোচনার সম্ভাব্য সুফল-কুফল সম্পর্কে আপনার মত জানলাম শুধু।
মুশকিল হচ্ছে, ডাইকোটোমি আর কন্টিনিউয়িটির পরম প্রয়োগ নিয়েও কি আমরা একমত? জীবনে বেশির ভাগ সময়েই আমরা ডাইকোটোমাস প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করি মানুষের কাছ থেকে। অবনী, বাড়ি আছো, এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরে আসলে কন্টিনিউয়াস উত্তর বা আলোচনা কতটুকু কাজে দেয়?
হাঁটুপানির জলদস্যু
একটু বোধহয় ভুল বুঝলেন। আমি বলতে চেয়েছি- প্রশ্নটা আসলে আমাদের সবারই নিজেকে নিজে জিজ্ঞাসা করা উচিত। আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলি নি। আমি নিজেও আছি এর মধ্যে।
যাই হোক, আমি আসলে বলতে চেয়েছি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পরিস্থিতি অনুযায়ী দিলেই ভালো হয়। না হলে জটিলতার উদ্ভব হতে পারে।
আর অবনীর উদাহরণটা কি এই পরিপ্রেক্ষিতে খাটে? এক্ষেত্রে উত্তর কন্টিনিউয়াস হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়- তুমি কি এখনো বউ পিটাও? তাহলে উত্তর ডাইকোটোমাস হলে ঝামেলায় পড়ে যাব।
তবে আপনার প্রশ্নের উত্তরে সচলদের মতামত জানার জন্য আমিও আগ্রহভরে অপেক্ষা করছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপনার সাজেশন শিরোধার্য। আমরা প্রত্যেকেই তাহলে একটি করে পরিস্থিতির আলোকে আমাদের উত্তর দিতে পারি। এতে করে খাটনি বাড়বে, বাড়ির ভাত কিছুটা বেশি খেতে হবে, কিন্তু ইন্টারেস্টিং একটা আলোচনাও আমরা পাবো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
এ বিষয়ে একমত পোষণ করে বলতে চাই: আইন একক এবং অখণ্ড; যদিও তা আদর্শের সমার্থক নয়। আর সেই পুরনো কিন্তু অতি জরুরি কথন:
আইন সবার জন্য সমান হওয়াই বাঞ্ছনীয়।...এমন কী আইন রক্ষকও আইনের উর্দ্ধে নন--এমনটাই কাম্য।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
কিন্তু আমার প্রশ্নগুলোর কী হবে? তারা কি বিপ্লব রহমানের জবাব না পেয়েই মৃত্যুবরণ করবে?
হাঁটুপানির জলদস্যু
শ্রদ্ধেয়,
কিছু মনে করবেন না। অনেকটা অপ্রাসঙ্গিকভাবেই বাইবেলের কথা মনে পড়লো:
প্রভূ, উহারা ধূলি উড়াইয়া কহিতেছে, আমরা কিছুই দেখিতেছি না।।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
সুপ্রিয়,
আবারও মাঠে মারা পড়লো আমার প্রশ্নগুলি। মাঝখান দিয়ে বাইবেলের ধূলো পড়লো চোখে ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
অপরাধ,অপরাধী,শাস্তি-এসবের পাশাপাশি শাস্তিটা কে দিচ্ছেন, শাস্তি দেয়ারমতো যথেষ্ট নৈতিক অধিকার তার অবশিষ্ট আছে কিনা সেটা ও বোধ করি বিবেচ্য ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধরা যাক, একটি নৈতিক অধিকারসম্পন্ন ব্যক্তিও আর অবশিষ্ট নেই পৃথিবীতে। তাহলে কি অপরাধ পারপেচুয়েট করতে দেয়া হবে?
মোরশেদ ভাই, প্রশ্নগুলোর উত্তর পেলাম না। পয়েন্ট ধরে আগালে কেমন হয়?
হাঁটুপানির জলদস্যু
একটি নৈতিক অধিকার সম্পন্ন ব্যক্তি ও যখন থাকবেনা পৃথিবীতে তখন আর ন্যায়, অন্যায়ের বোধ দিয়ে কি হবে?
কে পারপেচুয়েট করতে দেবে আর কে শাস্তি দেবে?
পরিবার থেকে সমাজ হয়ে রাষ্ট্র পর্যন্ত-সকল ক্ষেত্রেই কাউকে না কাউকে আমরা শাস্তিদাতা হিসেবে মেনে নেই, এমনকি অপরাধী ও মেনে নেয়- এই মেনে নেয়াটা কিন্তু ঐ প্রতীতি থেকে যে শাস্তিদাতা নিজে অপরাধ মুক্ত ।
সে কারনেই রাষ্ট্রপ্রধানকে গালি দেয়া যাবে, আদালতকে নয় কারন নাগরিক হিসেবে আমি আমি স্বীকারোক্তি দিয়েছি যে আমার নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান চোর হতে পারে, কিন্তু আদালত কভি নেহি, কভি নেহি বলেই তাকে বিনা প্রশ্নে শাস্তিদাতা হিসেবে আমরা মেনে নিয়েছে ।
কিন্তু কেউ যদি এই ভ্যালুজটা লুজ করে তাহলে ছোট বড় যে কোন অপরাধে শাস্তি দেয়ার নৈতিক অধিকার কি সে হারায়না? যুক্তি কি বলে? হ্যাঁ, তার অধীনে আইনপ্রয়োগ কারী সংস্থা আছে তাই নৈতিক অধিকার হারালে ও সে শাস্তি ঘোষনা করতে পারে , শাস্তি বলবৎ ও করতে পারে ।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র, তার বিচার ব্যবস্থা, বিচারবহির্ভুত হত্যা থেকে শুরু করে শাহী মির্জার হ্যাকিং এই সব বিষয়ে আমার চিন্তাভাবনার সারাংশ এটাই ।
কারো মনে আছে কিনা- ইয়াজুদ্দিন রাষ্ট্রপতি আর মওদুদ আইনমন্ত্রী থাকা কালে এক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা করা হয়েছিল যে সুইডেন পালিয়ে গিয়ে ঐখানের সরকারী দলের পান্ডা হয়েছিল । শাহী মির্জার ক্ষেত্রে ঐ ক্ষমা পাওয়ার সম্ভাবনা কম কারন সে স্টেকহোল্ডার কিংবা প্রেসারগ্রুপের সাথে জড়িত নয় ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কিন্তু আমার পোস্টের প্রশ্নগুলির কী হবে বস?
হাঁটুপানির জলদস্যু
সব প্রশ্নের কি আর উত্তর মিলে নাকি মিললে ও কোন ফল দেয়?
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হ্যাঁ।
না।
পরিস্থিতি ডিপেন্ডেন্ট। ক্ষমার ফর্মূলা তখনই আসে, যখন ভবিষ্যতে ওই কাজের জন্য নতুন ঝামেলা আসবে না এটা নিশ্চিত হওয়া যায়। আর ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের ক্ষমা ব্যক্তির ওপর; কিন্তু সমষ্টির স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষমা করার অধিকার কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির থাকা উচিত না। রাষ্ট্রপতিকর্তৃক খুনীকে ক্ষমা করার আইন এই ক্যাটেগরীতে পড়ে।
তাইলে আর অপরাধ নিয়া আলাপ হতো না। সবারই কমবেশি দোষ আছে। অপরাধ নিয়া আলাপের বিষয়বস্তু 'অপরাধ' হওয়া উচিত, আলাপকারীর চরিত্র গৌণ বিষয়।
অপরাধ সবসময়ই অপরাধ। ধরা না পড়লে শাস্তি পায় না, এই হলো ঘটনা। ট্রাফিক লাইটের ঘটনায় উচিত-অনুচিতের প্রশ্ন বা অপরাধের উদাহরণ এক এক জনের কাছে এক এক রকম। আমার কাছে 'অন্যকে বাঁশ না দেয়া হলে বা তার সম্ভাবনা না থাকলে কোনো কাজই অপরাধ নয়।'
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
১) যে কোন অপরাধ শাস্তিযোগ্য, ছোট বড় যা ই হোক না কেনো। তবে শাস্তিদাতাকে অপরাধমুক্ত হতে হবে। আর অপরাধের সঠিক সংজ্ঞা নিয়েও ভাবাও সঠিক শাস্তির এক জরুরী অংশ।
২) খুনীর পকেট মারা ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করি না। তবে খুনীর হাতে পকেটমারের বিচারের ভার তুলে দিতে চাইনা।
৩) তুচ্ছ অপরাধ ক্ষমা করার পরিনাম সবসময়ে না হলেও অনেক সময়ে ইতিবাচক হতে পারে। আমরা কোন যান্ত্রিক হাতে অপরাধীর বিচার করি না। তাই অনেক সময় বিবেচনার পথে ভাবি। তাছাড়া অপরাধটি প্রথম, দ্বিতীয় না তৃতীয়..., সেটাও ভাবার অবকাশ রয়েছে। না হলে অপরাধীর নিজেকে শোধন করার সুযোগ রইলো কোথায়?
৪) পরিসর না থাকলেও আমরা বলি। কারণ একটাই, "আমরা কেউ ত্রুটিহীন মানুষ নই।
৫) পার হওয়া উচিত নয়। তবে আমরা চিরকালই পার হয়ে আসছি, আর সামনেও হবো। কারণ একটাই, "আমরা কেউ ত্রুটিহীন মানুষ নই।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
একদম শেষ পয়েন্টটা নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম কয়েক মাস আগে
http://www.sachalayatan.com/shubinoymustofi/12753
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
বস, প্রশ্নগুলির উত্তর দেন না একটু কষ্ট করে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
প্রথম চারটির সবকটির উত্তর হ্যা।
সবার শেষেরটির উত্তর 'উচিত'।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
১) হ্যা, শাস্তিযোগ্য, কিন্তু ছোটস্কেলে। তবে অবশ্যই 'বিশেষ পরিস্থিতি' বা 'আপেক্ষিকতা' ণির্ণয়ের একটা স্পেস রাখা উচিত। (জানি এই 'আপেক্ষিকতা'র ফাঁদ থেকে বের হওয়া সম্ভব কিনা সেটা বিচার করার জন্যই হয়তো এই প্রশ্ন, তবুও ......)
২) না, অভিযুক্তকেই বিচার করা উচিত, যার বিরুদ্ধে অপরাধ হলো তার কৃতকর্মের বিচার হতে হলে অন্যক্ষেত্রে হোক - এখানেই, একইসাথে নয়।
৩) 'তুচ্ছ'তার সংজ্ঞার ওপর তা নির্ভর করবে। (আবার সেই আপেক্ষিকতায় আটকা পড়লাম!) একজনের বাগানের ফুলগাছ উপড়ে ফেলা আর একজনের প্রেমপত্র চুরি করা - দুটোই আপাততুচ্ছ হলেও এক স্তরের অপরাধ নয়। (বিঃ দ্রঃ বাংলাদেশে মেইল ফ্রড কোন শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয় বলে জানি, জানাটা ভুলও হতে পারে।)
৪) হ্যা, পরিসর আছে। তাতে করে একসময় নিজের অপরাধ নিয়েও সচেতন এবং লজ্জিত হবার সুযোগ বাড়ে। (ছাড়তে থাকার একটা রিস্ক আছে, কোথায় গিয়ে থামবে কেউ জানে না। আবার আক্ষরিকভাবে অতি কড়াকড়িই যে করতে হবে তাও না, ঐ যে আবার পরিস্থিতি আসছে ......)
৫) যেহেতু ন্যায়জ্ঞান বা আইন সবসময়ই সমাজ বা পরিস্থিতি নির্ভর, অতএব সেটা অপরাধ হবে না, কিন্তু অনুচিত হবে। যদি সেই ট্রাফিক ভায়োলেটর কোনদিনও আর জনসমাজে ফিরে না যায়, তাহলে সে যা ইচ্ছা করুক। কিন্তু, যদি তার ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে - তাহলে তার এখনকার এই আইন না মানাতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়াটা অন্যদের বিপদের কারণ হয়ে উঠবে (তখন সেটা অপরাধ হবে) - আর এখন তাই এটা অনুচিত।
হায়রে! আপেক্ষিকতা থেকে আর বেরুতেই পারছি না!! অপরাধ, অনৈতিক আর অনুচিত নিয়ে মনে হয় আমার দার্শনিক কারো কাছে ক্লাস নিতে হবে এবার!
প্রশ্নগুলোর উত্তর খুব তাৎক্ষণিকভাবে দেয়া, তারপরও ইচ্ছা করেই দিলাম, একধরনের forced exercise এর মত অন্যদের মন্তব্য পড়ে যুক্তিসঙ্গত মনে হলে, আমার অবস্থান অবশ্যই বদলাতে পারে!
হিমু প্রশ্নগুলারে ১, ২ এভাবে নম্বর করে দেন। গৌতম-এর কথায় যুক্তি আছে। শুধু হ্যাঁ বা না বোধক উত্তর দিলে সবাই তো আইডিয়াল উত্তর দিবে। কিন্তু তার পরেও অনেক সময় কথা থাকে। যাই হোক, আমার উত্তরও আইডিয়ালিস্টিক:
১. হ্যাঁ
২. না
৩. না (ক্ষেত্রবিশেষে এই উত্তর হ্যঁ হতে পারে)
৪. হ্যাঁ
৫. না
প্রশ্নগুলোর উত্তর পরিস্থিতি অনুযায়ী দিলেই ভালো হয়। না হলে জটিলতার উদ্ভব হতে পারে।
স্বমত পোষন করছি, এই কারণেই বোধহয় ব্রিটেনের আইন লিখিত নয়। সেখানে একই (আপাত দৃষ্টিতে) অপরাধের বিচার আলাদা আলাদা হতে পারে।
তাই আমারো মনে হয় প্রশ্নগুলোর উত্তর পরিস্থিতি অনুযায়ীই হওয়া উচিত।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
(১) অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। এবং সকল ধরণের অপরাধের বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়।
(২) মোটেও নয়। অপরাধ সবসময়ই অপরাধ, হোক তা ছোট বা বড়। তাই খুন করা যেমন অপরাধ, পকেট মারাও তেমনি অপরাধ। আর কোন অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়াটা নৈতিকতার বিরোধী।
(৩) এটা অপরাধের ধরণের উপর নির্ভর করবে। তাই উত্তরটা পরিস্থিতি সাপেক্ষে 'হ্যাঁ' বা 'না' যে কোনটাই হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত মত হল, বেশিরভাগ সময়ই তুচ্ছ অপরাধ ক্ষমা করার পরিণতি ইতিবাচক না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ অপরাধ করেও পার পেয়ে গেলে অপরাধীর ভেতর অনুশোচনা জন্ম নেয় না। বরং ভবিষ্যতে একই ঘটনার বা আরো মারাত্মক কিছু ঘটানোর প্রবণতাটা বাড়ে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষমা অপরাধীর ভেতর গ্লানির জন্ম দেয় এবং এটা পরবর্তীতে তাকে অন্য কোন অপরাধ করার সময় ভাবিয়ে তোলে ও বিরত রাখে।
(৪) অবশ্যই আছে। নিজে নামাজ পড়ে না জন্য অন্যকে পড়তে বলতে পারবে না অথবা নিজে সিগারেট খায় জন্য অন্যকে খেতে মানা করতে পারবে না, এমনটা আমার মনে হয় না। কিছু কিছু বিষয় সার্বজনীনভাবে শাশ্বত। তবে বেশিরভাগ সময় যেটা হয়, আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি হল, কারো ভেতর কোন দোষ থাকলে, নিজের ভেতরে থাকা সেই একই একই দোষের কথা তার কাছ থেকে শুনতে আমরা প্রস্তুত নই। আমরা শুনতে চাই এমন কারো কাছ থেকে যে সেই একই দোষে দুষ্ট নয়। একটা উদাহরণ দেই, অনেক আগে (ভার্সিটি জীবন শেষ করেছি তখন) এক বন্ধুর খালি বাসায় আমরা কয়েকজন রাতে ছিলাম। উদ্দেশ্য আড্ডাবাজি। অনেক রাতে, এক পর্যায়ে আমার এক বন্ধু পর্ণ দেখতে বসল। আমি দেখিনি। আমি আরেক বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম। এক সময় ফজরের আজান দিল। ওই বন্ধু পর্ণ দেখায় সাময়িক বিরতি দিয়ে উঠল, অযু করতে গেল, কারণ নামাজ পড়বে। আমার ভীষণ মেজাজ খারাপ হল এবং আমি ওকে সরাসরি বললাম, এই নামাজের মানে কি! শুধুই কি লোক দেখানো বা অভ্যাসবশত পড়া? তাহলে তো না পড়লেই চলে! তখন তার উত্তর ছিল, যেহেতু আমি নিজে নামাজ পড়ি না, তাই ওকে নামাজ নিয়ে কিছু বলা আমার সাজে না। এবং আমার বলাটা নাকি ভুল। আমি পরে ওকে বলেছিলাম, আমি নামাজ পড়ি না জন্য নামাজ পড়া নিয়ে আমার কিছু বলাটা হয়ত ও মেনে নিতে পারেনি কিন্তু তা কিন্তু এটা বোঝায় না যে আমার বলাটা ঠিক ছিল না।
তাই বলছিলাম, এটা আসলে নির্ভর করে আমরা কোন বিষয়টা কিভাবে গ্রহণ করি বা অন্যদের কাছ থেকে কিভাবে তা শুনতে পছন্দ করি। বোঝাতে পারলাম কি?
(৫) আগেও বলেছি, অপরাধ সবসময়ই অপরাধ। আপনার দেওয়া পরিস্থিতি অনুযায়ী, পার হওয়া উচিত নয় কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই যে কেউই পার হবে। আমি নিজেও হয়ত হব। তাই এটাও মনে হয় আমার, যেটা অন্য কারো ক্ষতি করে না, সেটা করায় হয়ত তেমন দোষের কিছু নেই (হোক না তা অন্য কোন পরিস্থিতিতে অপরাধ)।
শেষকথা: কি ব্যাপার, বয়স, ওজন, সচলায়তনে আসার হার, এসব বাদ দিয় হঠাৎ এখন এইসব নিয়ে জরিপ চালাচ্ছেন নাকি? ব্যাপারটা কি!
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
শেষকথার উত্তর: শশশশশ, কানে কানে বলি, কাউকে বলবা না। এটা স্মোক স্ক্রিন। উপরে দ্যাখো বিপ্লব ভাই ধরে ফেলসেন, বাইবেল থেকে কোট ভি করসেন। আইনকানুন নিয়ে কিছু শক্তশক্ত কথা বলে নেই, দুইদিন পর দেখবা ওজন আর সুন্দরী খালাতো বোনের সংখ্যা নিয়ে জরিপ নেমে গেছে ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হেহেহে, হিমু ভাইয়ের জারিজুরি সব ফাঁস হয়া গ্যাছে!
সুন্দরী খালাতো বোনের জরিপ চালাবেন! এটা জেনে হের ধুগো এখন নিশ্চয়ই গরররররর করতেসে আর ধুলা উড়াইতেসে
______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
শুধু বয়স, ওজনের জপির চালিয়ে বিয়ার পাত্রী খুঁজলেই তো সমস্যার শেষ না, সমস্যা তখন শুরু। এরপর আসে রুটিরুজির প্রশ্ন। হিমু বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসায় পলিটিক্সে নামবে। তাই কোন কোন আকাম করলে পাবলিক কিভাবে নিবে যাচাই করে দেখছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সব গোপন পিলান দেখি ফাঁস হয়ে যাচ্ছে :(।
যাই হোক, দেখি আমার প্রশ্নগুলির আর কী উত্তর পাই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
- হিমু আজনীতিতে নামবে?
আমি তো ভাবতাছিলাম ছিনেমায় নামতাছে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পিলান বি এ ফাঁস হয়ে গেলো!
উত্তরগুলি দে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমার শুধু কান্টের কথা মনে পড়তাসে...
আমি কিন্তু জর্মন দার্শনিকের কথা কইতেসি... অন্য কিসু নারে ভাই...
আলোচনা শুভ হোক।
আমার তো মুনে হয় তুমি অন্য কিছুই বুঝাইসো।
মুনতাসিরের বাচ্চা, বেয়াড়াপনা করিস নে!
কান্ট কী কর্ছিলো?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
চোখে পড়ে নাই দাদা আগে... সরি...
আমার আসলে দুই নাম্বার ক্রিটিক আর গ্রাউন্ডওয়ার্ক এর কথা মনে পড়তেসিলো। আলোচনাটাতো শেষতঃ নৈতিকতায় গিয়া ঠেকে। কান্টের যে ক্যাটাগরিক্যাল ইম্পারেটিভের বয়ান আসে, যেইখানে সাব্জেক্টিভ ইন্টেনশনরেই জোর দেয়া হইসে সবচেয়ে বেশি, সেইটা মনে পড়তেসিলো। প্রথম সূত্র খাটাইলে মির্জা মুক্তি পায়।
এইসব আবঝাব আর কি...
বেশ। এবার উত্তরগুলি পাবো কি? কান্টের হাইকোর্টে না পাঠাইলে হয় না?
হাঁটুপানির জলদস্যু
হাহাহা... হাইকোর্টে পাঠামু না... তবে, অসংখ্য উত্তর তো পাইসেন, আপনার কাম হয়া যাওয়ার কথা...
প্রজেক্ট 'ক্রাইম, জাস্টিস এন্ড পানিশমেন্ট' শুভ হোক।
আরেকটু হইলে দস্তয়েভস্কি হয়া যাইতেন রে ভাই...
আর কত সরিষার তেল মেখে নামবি রে দাদা? খালি পিছলাস কেন রে দাদা? উত্তরগুলি দে না রে দাদা? খালি বড় বড় লোকের নাম বলে ভয়ে দ্যাখাস কেন রে দাদা?
হাঁটুপানির জলদস্যু
হেহেহে... কি যে কননা হিমু ভাই (তেলতেলে হাসি)
মন খুইলা আপনার প্রজেক্ট্রে হাত তালি দিলাম... তাও এইসব কন?
আপনারে ভয় দেখামু আমি? মাথা গেসেনি...?
উত্তর দিতে যদি হয়ই আমি সুমন ভাইয়ের লগে আসি। আর আপনার নিজের উত্তরটা কই? ঐটা দিয়া ফেলান... আমরা বেবাকে শুনি আপনার বয়ান... কন কন...
আমি তো নাদান ও দরিদ্র ... উত্তর না পেয়েই উত্তরের সন্ধানে ধন্দাই।
আবারও পিছলে গেলি রে দাদা।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হাহাহা... কইলাম তো বস আমি সুমন ভাইয়ের লগে আসি... আর তাছাড়া আমার বিশদ বয়ান ভাল লাগিবার মতো নহে... সে যাক... আপনি নাদান ও দরিদ্র শব্দগুলার ইজ্জত মেরে দিলেন দেখে খারাপ লাগতসে... এতটার দরকার ছিল না রে দাদা... দরকার ছিল না...
তয়, উত্তর পাইসেন্নি? অনুসন্ধান সফল?
বুঝতেসিনা
হাঁটুপানির জলদস্যু
আহা... মন খারাপ কইরেননা... পাবেন পাবেন... সবুরে মেওয়া ফলে ...
এত জ্ঞানী গুণী মাইনশে নজরানা দিয়া যাইতেসেন, নিশ্চয়ই একটা বিহিত হইবো... মন খারাপ কইরেন্না (স্বান্তনামূলক চেহারা)
আমার উত্তরগুলা একটু উগ্রবাদী হইতে পারে, তবে
১. হ্যাঁ
২. না
৩. পারিবারিক বা ব্যক্তিলেভেলে হলে হ্যাঁ; সামষ্টিক বা রাষ্ট্রীয় লেভেলে না। মূল কথা হচ্ছে তুচ্ছ অপরাধীকে ক্ষমা করে দেয়ার পর তুচ্ছ অপরাধী ক্ষমাকারীর মাঝে যোগাযোগ থাকবে কি থাকবেনা, তার ওপর।
৪. আছে
৫. উচিত হবেনা
প্রশ্নগুলো সম্ভবতঃ শাহী মির্জাকে নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে এসেছে; তাই এটুক বলতে পারি শিবিরের সাইট হ্যাক করে ছেলেটা ভালো করেছে (২ নং এর সাথে যদিও কনট্রাডিক্ট করে, তাও )
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
৩ নম্বরটা বাদে সব কয়টার জবাবে কমু পুরা ব্যাপারটাই ধরা পড়া না পড়ার।
৩ নম্বরের জবাবে কমু অপরাধের গুরুত্ব বিচার হবে কবে কোথায় কোন চিপায় কার বিরুদ্ধে এবং সেই বিষয়টা সম্পর্কে গণচৈতন্যের অবস্থান-অনুশীলন এই ব্যাপারগুলা বিচার্য। এই প্রশ্নটারে ইয়েসনো ভোটের আওতায় ফেলা যায় না।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আসলে দুটো জিনিষ এখানে গুলিয়ে যাচ্ছে। নৈতিকতা ও আইন।
নৈতিকতার ভিত্তিতেই (ভ্যল্যুজ) প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে মানুষ মানুষের বিচার করে এসেছে। প্রাচ্যে এখনও এর রেশ বিদ্যমান। যেখানে অপরাধের মাত্রা দেখে নয়, অপরাধীর নৈতিকতার ক্ষলনের পরিমাপ দেখেই অপরাধীর বিচার করা হতো।
অপর দিকে আধুনিক পশ্চিমা বিচারব্যবস্থা হচ্ছে আইন এবং প্রমাণ সাপেক্ষ। আপনি যতই খারাপ কাজ করেন, সে সম্পর্কিত কোন আইন না থাকলে আপনার কোন বিচারই হবে না, শাস্তি তো দুরের কথা। আবার আইন থাকলেও অপরাধের কোন প্রমাণ না থাকলে শাস্তি হবে না।
আর আমাদের প্রথম সমস্যা হচ্ছে আমরা মনে মনে নৈতিকতাবাদী আর কোট কাচারীতে পশ্চিমা। আর দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে বিচারে ইনফ্লুয়েন্স।
এখন বোধ হয় উত্তরগুলো খূঁজে পাওয়া সহজ হবে।
আইনে যা আছে তাই মানতে হবে। তবে আইনের আগে মানুষ, "ছোটস্কেলের" অপরাধের শাস্তি যেন একটি জীবন নষ্ট না করে ও সংশোধনমূলক হয় তা দেখতে হবে।
কখনই না
অনেক সময়ই ইতিবাচক হতে পারে বিশেষ করে প্রথম তুচ্ছ অপরাধ
অবশ্যই আছে, এতে অন্তত অপরাধের বোধটা বাড়ে
এটা প্রথমেই যা বলেছি, আইন ও নৈতিকতার প্রশ্ন
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
দুর্বল প্রতিবাদকে আমরা বলি বিদ্রোহ
আর সবল মানুষের বিদ্রোহকে বলি বিপ্লব
বিদ্রোহকে বিবেচনা করি অন্যায় বলে
আর বিল্পবের জন্য রাখি সম্মানীত আসন...
০২
আইন কখনও শাশ্বত নয়। আইন সব সময়ই আপেক্ষিক
মানুষ হত্যা করাও বেআইনি নয় সব সময়
পৃথিবীর সব দেশেই মুক্তিযোদ্ধারা বীর হিসেবে সম্মানীত
কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই মানুষ হত্যাকারী
কিন্তু তাদের মানুষ হত্যাকে অন্যায় হিসেবে দেখে না কেউ
আমরাও না
তাহলে?
০৩
হিমু বেশি হতাশ না বেশি ক্ষেপে গেছে বুঝতে পারছি না
না হলে শিরোনাম থেকে শুরু করে আগাগোড়া একটা দস্তয়ভস্কি সংকট আজকের যুগে নিয়ে আসাটা কেন জরুরি হয়ে পড়লো?
নেপোলিয়ান দেশ জয়ে যাবার সময় যদি কোনো মানুষ মারা যেত তাহলে কি তিনি সেটা নিয়ে চিন্তিত হতেন?
যদি না হতেন তাহলে একটা থুত্থুরে বুড়িকে হত্যা করার জন্য রাসকোলনিকভের কি চিন্তা করা উচিত?
দস্তয়ভস্কি যুগের এই আইন চেতনা এবং সংকট নিয়ে হয়তো কালোত্তীর্ণ ক্রামইম এন্ড পানিশমেন্ট হয়ে যেতে পারে
কিন্তু আজকের আইন এবং মূল্যবোধ কি সেই যুগে আছে?
নাকি থাকা উচিত?
০৪
আইন সব সময়ই শাসক কিংবা সবলের পক্ষ থেকে শাসিত কিংবা দুর্বলের উপর চাপিয়ে দেয়া বাধ্যতামূলক নিয়মের নাম
আমাদের দেশে আজকেও মেয়েদের দোরারা মারা হয়
সেটাও কিন্তু আইনের নামে
পাকিস্তানে মুখতার মাইকে গণধর্ষণ করা হয়
সেটাও আইনের নামে
আমাদের ক্রাস ফায়ারও আইনের নামে হয়.
বিজ্ঞানীদের পুড়িয়ে মারা হয় সেটাও হয় আইনের নামে...
আইনগুলো যখন যার পক্ষে যায় কিংবা উপকারে লাগে সে তখন তা সমর্থন করে আর যখন তার বিপক্ষে যায় তখন তার বিরোধীতা কিংবা বিদ্রোহ কিংবা বিপ্লব করে
কিন্তু পৃথিবীতে কি এমন কোনো বিপ্লব ছিল যেখানে কোনো অন্যায় কিছু করা হয়নি?
এমন কি কোনো বিদ্রোহ ছিল যেখানে ন্যায়সংগত কিছুই ছিল না?
০৫
আইন দুই ধরনের হয়
এক. অস্তিত্ব রক্ষাকারী
আর দুই. নাগরিক সুবিধাদানকারী
মানুষ হত্যা জুলুম এসব সংক্রান্ত আইন অস্তিত্ব রক্ষাকারী
যার উপকার সবারই পাবার সুযোগ থাকে
আর ট্রাফিক সিগন্যালের মতো যেসব আইন নিয়ে হিমু চিন্তিত সেগুলো মূলত নাগরিক সুবিধা সংক্রান্ত
এইসব আইন কি আদৌ আইন?
এইসব আইন না মানা কি আদৌ কোনো অন্যায়?
এগুলো অন্যায় কারণ যারা গাড়ি দৌড়ে আরাম আয়েস করেন তাদের অসুবিধা তৈরি করে
তাই
০৬
অনেককেই কান্নাকাটি করতে দেখি যে আইনের ফাক গলে রাঘব বোয়ালরা বের হয়ে যায় কিন্তু মার খায় চুনোপুটিরা
তারা একটা জিনিস জানেন না যে আইন তৈরি করাই হয় রাঘব বোয়ালদের সুবিধার জন্য
জর্জ বুশকে কোন আইনে বিচারে তুলবেন?
অথচ ইসরাইল বলেই দিয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্টকে তারা বিচারে তুলতে চায় অপহরণ করে
তারা পলাতক আইখম্যানকে তুলেছে বিচারে
কিন্তু স্ট্যালিনকে কি বিচারে তোলার কথা ভাবতে পেরেছিল?
০৭
আইন কোনোদিনও সবার জন্য নয়
আইন কোনোদিনও সুবিচারের জন্য নয়
যে আইনের কাছে গিয়ে আইনের সুবিধা নেয়ার ক্ষমতা রাখে তার জন্যই আইন
আইন নিজে থেকে কাউকে নির্দোষ প্রমাণ করে না
অভিযুক্তকে নিজেকেই প্রমাণ করতে হয় নির্দোষ
০৮
যে শাহী মির্জাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আইন আর বেআইন বিতর্ক
নিজের পুলিশের ছেলে বলে থানায় সে আরামে ছিল
সে বের হয়ে আসবে দুর্গবাড়িতে তার নিকতাত্মীয়রা রয়েছে বলে
অন্যায় কিংবা অপরাধ প্রমাণের অভাব নাকি তার কাজ কোনো অপরাধই না সেটা আমার কোনো বিবেচনার বিষয় না
তার একটা কথাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ
কথাটা সে লিখেছিল ড়্যাবের সাইটে
এবং এই কথাটার জন্যই আমি মনে করি সে যা কিছু করেছে তার মথ্যে কোথাও কোনো অপরাধ নেই
সে দুর্বল না হলে তার এই কথাটাকে আমরা বলতাম আন্দোলন
আর এখন হয়তো বলবো বোকামি কিংবা অন্যায়
০৯
আইনকে পৃথিবীর কোনো মানুষই সম্মান করে না
মানে বাধ্য হয়ে
সুতরাং কোনো কিছু করে টিকে যেতে পারলে তা আর অন্যায় থাকে না....
(বিপ্লব)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
দেখলেন, সহজ প্রশ্নের সরল উত্তর দেয়া কতো কঠিন ?
হাঁটুপানির জলদস্যু
যখন পৃথিবীতে কোনো অপরাধী থাকবে না বা, ছোট বড় যেকোন অপরাধির সংখ্যা খুব ই কম হবে, সে সময় যে কোন অপরাধের ই বিচার হবে এবং শুদ্ধ মানুষ বিচার দবী করে বিচার পাবে।
এবার , পৃথিবীতে অধিকাংশ ই যদি অপরাধী হয় এবং এর পর ও বিচার বলে কিছু থাকে, যা আংশিক অপরাধ মুক্ত তা হলে একমাত্র অপরাধের মাত্রা ভেদে ই ক্রমানুসারে বিচার হওয়া উচিৎ। কোন খুনির হাতে চোরের বিচার কাম্য না, বা সে করতে ও পারে না । নিরপরাধ মানুষ বা অপরাধ আড়াল করতে পারা মানুষ বিচার চাইতে পারে। তবে প্রথমে বেশী অপরাধীর বিচার চাইবে। এটা ও নৈতিকতার আওতায় পরে। এক জন খুনি কে বেকশুর খালাস দিচ্ছে, তাতে যদি আমার কোন প্রতিক্রিয়া না থাকে, আমি পকেট মারের বিচার চেয়ে কিছু বলার অধিকার রাখি না।
শ্যাজা, সব প্রশ্নের উত্তর পেলাম না কিন্তু। একটু অনুগ্রহ করেন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
পাপ পূন্যের কথা আমি কারে বা শুধাই
এক দেশে যা পাপ গন্য, অন্য দেশে পূন্য তাই !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বেশ বেশ। এবার উত্তরগুলি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
অনেকের উত্তরের মতই আমার মতামত:
ন্যায় আর অন্যায়ের বিষয়গুলি আপেক্ষিক। নৈতীকতাটাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপেক্ষিক। এছাড়া আপনার প্রশ্নে ব্যবহৃত ছোট/তুচ্ছ বিশেষনগুলোও আপেক্ষিক। সুতরাং ..... বিভিন্ন উত্তর হবে .... একেক জনের দৃষ্টিকোন থেকে একেক উত্তর হবে। লীলেন ভাইয়ের কথাগুলো আমার সবচেয়ে যুৎসই লেগেছে।
৫ নং প্রশ্নের শেষাংশের উত্তর (ধূ ধূ মরুভূমি ....) : মেরামত বিভাগে খবর দেয়া উচিত। কারণ ওখানে লালবাতি জ্বলার কথা না ....
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
একেকজনের উত্তর তো একেক রকম। আপনার উত্তরগুলো জানতে চেয়েছিলাম।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ঠিক আছে, আগের অংশের সাথে যেহেতু দ্বিমত প্রকাশ করেন নি .....
আমাদের দেশে অনেক বড় অপরাধ করেও অপরাধী আইনের মারপ্যাঁচে কিংবা তার প্রয়োগের মারপ্যাঁচে ছাড়া পেয়ে যায়। শুধু ছাড়াই পায় না, আইন প্রণেতা হিসেবেও অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। এমন উদাহরণ সামনে রেখে কি "ছোটস্কেলের" অপরাধের বিচার বা শাস্তি গ্রহণযোগ্য?
শাস্তিযোগ্য। কারণ আইন যখন হয়ে গেছে (সেটা যত অযৌক্তিকই হউক না কেন...) সেটা মানা উচিত - কারণ তা না হলে আইন করার দরকার কী?!
ছোটস্কেল ব্যাপারটা আরেকজনের কাছে অন্যরকম।
শাহী মির্জা ড়্যাব/শিবীরের সাইট হ্যাক না করে যদি সচলায়তন হ্যাক করতো তবে কারো কারো আগের নমনীয় মতামত পরিবর্তন হয়ে যেত বলে মনে করি।
কোন গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত কোন পক্ষের বিরুদ্ধে করা অপরাধকে কি আমরা ছাড় দেয়ার পক্ষে? অর্থাৎ. একজন খুনীর পকেট মারা কি ন্যায়সম্মত বলে মনে করি আমরা?
গুরুতর বা হাল্কা সেটাকে পাশ কাটিয়েই বলি, প্রচলিত আইনের দৃষ্টিতে অন্যায় হলে সেটাকে প্রচলিত আইনে অন্যায় বলাই ভাল। ছাড় দেয়া যাবে কি না সেটা নির্ধারণ করবে অপরাধ অনুযায়ী আইনের শাস্তি দেয়ার বিধান। আমি আপনি ছাড় দেয়া বা না দেয়ার পক্ষে মতামত দেয়ার কে?
তুচ্ছ অপরাধ ক্ষমা করার পরিণতি ইতিবাচক হতে পারে বলে কি আমরা মনে করি?
সামগ্রীক ভাবে আমরা কি মনে করি সেটা জানি না।
আমি মনে করি যে এটার ফলাফল দুইদিকেই যেতে পারে। মানুষের শুভবোধের উপর আস্থা রেখে ইতিবাচক ফলাফল আশা করা যায়। কিন্তু যেখানে শুভবোধের উপর আস্থা রাখা যায় না (অতীত রেকর্ড অন্যদিকে ঝোকের কথা বলে) সেখানে ....
অভিযুক্ত না হলেও নানা সম্ভাব্য অপরাধ আমরা নিজেরা জীবনে করেছি। আমাদের কি অন্যের অপরাধ নিয়ে কথা বলার মতো পরিসর আছে?
মাননীয় বিচারককে জিজ্ঞেস করলে উনি হয়তো বিব্রত বোধ করবেন।
অপরাধের কনসেপ্টটাই যেহেতু আপেক্ষিক ... কাজেই আমার অপরাধটা করে আমি যদি অপরাধবোধে না ভুগি (কোথায় বিবেক?!) তাহলে অন্যেরটা নিয়ে কথা বললে সমস্যা কোথায়!
অপরাধ কি ধরা পড়লে বা অভিযুক্ত হলেই অপরাধ, নাকি যে কোন সময়েই তা অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য? ধূ ধূ মরুভূমির মাঝখানে একটা ট্র্যাফিক ক্রসিঙে লালবাতি জ্বলছে, আশেপাশে কোন গাড়ি নেই, পার হওয়া উচিত কি উচিত নয়?
ধরা পড়লেই অপরাধ। হে.. হে... আগের উত্তরের সাথে এটা বিরোধিতা করে .... হিপোক্রেসি আর কি!
সম্পুরক প্রশ্ন হিসেবে যদি জিজ্ঞেস করেন এমন একটা পরিস্থিতি যেখানে আমি একটা অপরাধ করে ধরা পড়বো না .... সেখানে কী করবো? .... উত্তর হলো - ধরা পড়বো না সেটা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে, কিন্তু নিজের ভেতরের খোঁচানীটা তো আর ঠেকানো যাবে না ... তাই .... সেফসাইডে থাকবো।
রেড লাইট উপেক্ষা করার কয়েকটি আইনগত পথ আছে (এলাকাভেদে এই আইন আলাদা)। সেইরকম ক্যাটাগরিতে না পড়লে লাল বাতিতে থামতে হবে। থামা উচিত।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
উত্তর দেয়ার চেষ্টা করলাম। প্রশ্নগুলো সার্বিকভাবে খুব জটিল। সরাসরি উত্তর দেয়া কষ্টকর। তারপরও এই মুহূর্তে যা মনে হল তা-ই লিখলাম:
১। বড় অপরাধের বিচার হয় না বলে ছোট অপরাধের বিচার হবে না, আমি তা মনে করি না। কারণ, ছোট অপরাধেরও বিচার না হলে তো আইন বলতেই আর কিছু থাকবে না। তবে অপরাধের স্কেল যেমন, বিচারের স্কেলটাও তেমন হওয়া বাঞ্ছনীয়।
২। না, কোন গুরুতর অপরাধীর বিরুদ্ধে অপরাধ করাটাকে আমরা ন্যাসঙ্গত মনে করি না। কারণ, সেক্ষেত্রে অপরাধের দুষ্টচক্র তৈরী হওয়ার আশংকা আছে।
৩। হ্যা, তুচ্ছ অপরাধ ক্ষমা করার পরিণতি ইতিবাচক হতে পারে বলে মনে করি। তবে সেক্ষেত্রে যাকে ক্ষমা করা হয়েছে সে পরবর্তীতে ক্ষমার সুযোগ নিচ্ছে কি-না এবং এই ক্ষমার দ্বারা সমাজ কিভাবে প্রভাবিত হয়েছে তা বিবেচনায় রাখতে হবে।
৪। নিজের অপরাধ স্বীকার করে এমন লোকের সংখ্যা খুব কম। ছোটখাট অপরাধ স্বীকার করলেও বড় অপরাধ প্রায় কেউই স্বীকার করতে চায় না। এখন অন্যেরটাও না বললে তো অপরাধ চাপাই থাকবে। অর্থাৎ, বিবেকের দিক দিয়ে এটা ভুল হলেও বাহ্য আইনের দৃষ্টিতে ভুল নয়। এটা বোধহয় বিবেকের সাথে আমাদের নীতিবিদ্যার দূরত্বকেই নির্দেশ করে।
৫। অপরাধ সব সময়ই অপরাধ। তবে আপনিই তো উল্লেখ করেছেন, এর স্কেল আছে। কোনটা ছোট আবার কোনটা বড়।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
শিক্ষানবিসের ১, ২ নং মতের সাথে আমি একমত।
৩ নং মতের সাথে আমি যোগ করতে চাই- অপরাধ ক্ষমা করার ফল ইতিবাচক বা নেতিবাচক দুটোই হতে পারে।
এটা ব্যক্তির মানসিকতার উপর ও নির্ভর করতে পারে। কেউ খুব অপরাধপ্রবণ হলে ক্ষমার সুযোগ কে নেতিবাচক ভাবে নিতেই পারে। আবার অপরাধপ্রবনতা কম হলে ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করতে পারে।
তাই এক্ষেত্রে বিচারের সময় তার আগের অপরাধের ইতিহাস আছে কিনা যাচাই করা দরকার।
৪ নং ক্ষেত্রে আমার মনে হয় একজন অপরাধ করলেও ক্ষেত্র বিশেষে অন্যের অপরাধের কথা তো বলতে পারে। যদি তার অপরাধ অন্যের অপরাধের তুলনায় লঘু হয়।
৫ নং এর
আপনার কৌতূহলে আমিও কৌতূহলী বৈ কি !
এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার জানা নেই। কারণ অপরাধ, বিচার, শাস্তি, এই তিনটি বিষয়ই আমার কাছে স্পষ্ট নয়।
আমরা কাকে অপরাধ বলবো ? শব্দটা এতো বেশি আপেক্ষিক যে, কোনটা অপরাধ কোনটা অপরাধ না, কেন অপরাধ কেন অপরাধ না, কীভাবে অপরাধ কীভাবে অপরাধ না, কার চোখে অপরাধ কার চোখে অপরাধ না, কোন দৃষ্টিতে অপরাধ কোন দৃষ্টিতে অপরাধ না, কখন অপরাধ কখন অপরাধ না, কোথায় অপরাধ কোথায় অপরাধ না, কার কারণে অপরাধ কার কারণে অপরাধ না, কী হলে অপরাধ হতো কী হলে অপরাধ হতো না, ইত্যাদি বিষয়গুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কী করে অপরাধ নির্ধারণ হবে ?
ঠিক একই ভাবে বিচার ও শান্তি বিষয়ক যে মৌলিক প্রশ্নগুলো সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়ে গেছে তার কোনো বিহিত না হলে কী করে এগুলোতে নিজস্ব সিদ্ধান্ত আরোপ করবো ? তার চে' কে কী বলে আপনার মতো দেখতে থাকি আর বাদ্য বাজাই, সাথে গান-
'আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে....'
তবে আপনার উত্তরগুলো কী হবে তাও কিন্তু জানতে আমি কৌতুহলী।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণ-দা, দুষ্টামি ছাড়েন। কিছু উত্তর দ্যান।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হিমু, আপনি যে প্রশ্নগুলো করেছেন সব গুলোর প্রেক্ষিতই কিন্তু বাংলাদেশে। আর যেখানে পুরো বাংলাদেশ আর বাংলাদেশীই প্রশ্নবিদ্ধ সে ক্ষেত্রে এ সামান্য কটি প্রশ্নের উত্তর আরো হাজারো প্রশ্নের ভিড়ে হারিয়ে গেছে। তাই জবাব নিষ্প্রয়োজন। এইগুলা বাদ। আরো প্রশ্ন থাকলে করেন।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আপনার কাছে উত্তর না থাকলে সেটা জানাতে পারেন। দয়া করে প্রশ্নগুলি উড়িয়ে দিয়েন না। এত জোরে ফুঁ দিলে চোখে বালু ঢুকতে পারে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আপনার প্রশ্নগুলো যে কতো জনের মনে কে জানে??
ভাইরে, উত্তর দ্যান না। সবাই দেখি খালি অন্য অন্য কথা বলে এসে ।
আমি চান্স পাইসি অ্যাদ্দিন পর। দৈনিক এক মেট্রিক টন ত্যানা প্যাঁচামু এখন থেকে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
-
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হিমু, আপনার প্রশ্ন উড়িয়ে দেওয়াটা অসম্ভব। বলতে পারেন ইট বিছিয়ে লাইনে জায়গা রাখলাম।
এখন উত্তরগুলো দিচ্ছি- যা আমার একান্তই ব্যক্তিগত ভাবনা-চিন্তা প্রসূত।
১. আমাদের দেশ জগতের একাদশাশ্চার্যের একটি দেশ। এখানে ”হাতে হেঁটে চলে মানুষ পায়ে লিখে পড়ে”। যারা এই দেশের মালিক, দেশটিকে যারা চালান, তাদের মর্জিই মূল কথা। এখানে নিয়ম-নীতি থাকলেও কিছু কিছু পিরিতের ব্যাপার-স্যাপার থাকে। যে ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-কানুনের বালাই থাকে না। নিয়ম ওরা বানিয়ে নিয়েছেন নিজেদের স্বার্থেই। কাজেই তার প্রয়োগ বা অ-প্রয়োগও তাদের প্রয়োজনেই। সুতরাং হিমুর ছোট স্কেলের অপরাধের বিচার বা শাস্তির গুরুত্বও নির্ভর করছে আইন প্রয়োগকারী এবং তার রক্ষণাবেক্ষণকারীদের মর্জির উপরই।
২. আমরা অনেক কিছুই মনে না করলেও দেশের কর্ণধারগণ তা নিয়ে ভাবেন বলে মনে হয় না। খুনীর পকেট মারা ন্যায়সঙ্গত কিনা বা খুনীটিকেই আমরা সমর্থন বা ঘৃণা করছি কি না তাও গুরুত্ব পাবে বলে মনে হয় না। আগে দেখতে হবে দেশের উচ্চ পর্যায়ের কারো সঙ্গে খুনীটির দহরম-মহরম আছে কি না। যদি সে তাহাদের নেক নজরের কেউ হয় তাহলে আমাদের সাধারণ জনগণের মনে করার কোনো অধিকার আছে কি না সেটাই মূখ্য প্রশ্ন।
৩. অপরাধ অপরাধই। তা তুচ্ছ হোক আর মারাত্মকই হোক। অপরাধের শাস্তিই হওয়া উচিত বলে মনে করি।
৪. যতক্ষণ আমরা আমাদের অপরাধে অভিযুক্ত না হচ্ছি ততক্ষণ রাষ্ট্র বা ব্যক্তি আমাদের অপরাধী বলতে পারছে না। সে ক্ষেত্রে যদি আমরা বিবেকের দংশন অনুভব না করি তাহলে তা কোনো অপরাধ বলে গণ্য হবে না। কাজেই যেহেতু আমরা যারা অপরাধী বলে প্রমাণিত বা দন্ডিত হইনি তারা নিঃসন্দেহে অন্যের অপরাধ বিষয়ে বা তা সনাক্ত করার ব্যাপারে যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
৫. আইনের প্রতি যাঁর শ্রদ্ধা থাকবে এবং বিশ্বাস থাকবে সে সুযোগ পেলেও গাড়ি নিয়ে ”লালবাতি” পার হয়ে যাবে না।
পুনশ্চ: চোখ বুঁজে যত জোরেই ফুঁ দেওয়া হোক না কেন, ভয়ের কোনো সম্ভাব না দেখি না।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
নতুন মন্তব্য করুন