বাংলা ব্লগোস্ফিয়ার বাড়ছে প্রতিদিন। বেশ কয়েকটি কমিউনিটি ব্লগ এবং লেখক সমাবেশে লিখছেন-পড়ছেন অনেকে, বিচ্ছিন্ন ব্লগের সংখ্যাও অনেক। কেবল সচলায়তনেই আমরা দেখেছি, বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ থেকে নিয়মিত লেখক-পাঠকেরা আসছেন, অন্যান্য কমিউনিটি ব্লগের ক্ষেত্রেও একই রকম সাড়া আশা করা যায়। আমার এই পোস্টে আমি শুধু সচলায়তনকেই উদাহরণ ধরে এগোবো, যেহেতু অন্য ব্লগ-পাটাতনগুলির সাম্প্রতিক তথ্য সম্পর্কে আমার ধারণা দুর্বল। যেহেতু সচলায়তন কোন ব্লগিং-সার্ভিস নয়, অর্থাৎ একজন আগ্রহী ব্লগার সরাসরি এখানে অ্যাকাউন্ট খুলে যোগদান করতে পারেন না, তাই স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য ব্লগ-পাটাতনে লেখকপাঠকের সাড়া কিছুটা বেশি মিলবে। আর পাঠক শব্দটি ভিজিটরের প্রতিশব্দ ধরে নিয়ে এগোবো, কারণ লেখকও এই গণ-এর মধ্যে পড়েন।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বাংলা ব্লগোস্ফিয়ার কতটুকু বিস্তৃত?
আমরা এই বিস্তৃতি পরিমাপের জন্যে কী ধরনের মাপ (মেট্রিক) ব্যবহার করবো, সেটিই বোধহয় আগে নির্ধারণ করা জরুরি। আমি অ্যাবসলিউট ইউনিক ভিজিট সংখ্যা দিয়ে ব্লগের রিডারশিপ মাপার পক্ষপাতী (সচলে এই মেট্রিকটিই আপনারা পোস্টের নিচে দেখতে পান), যদিও তাতে পুনরাবৃত্তির ফাঁক থেকে যাবার সম্ভাবনা আছে। উদাহরণ দিই, ধরা যাক, কোন এক পাঠক অফিসে লাঞ্চের ফাঁকে একবার সচলে আসেন, আবার হয়তো বাড়ি ফিরে আরেকবার ঢোকেন। ফলে একজন পাঠকের জন্যে দু'টি পরম অনন্য প্রবেশ গণিত হচ্ছে। এ ধরনের ভিজিট প্রবণতা অনেকেরই রয়েছে, ফলে আমাদের মাঠে নামতে হবে দু'টি সীমানা নির্ধারণ করে। নৈরাশ্যবাদী মেট্রিকের ক্ষেত্রে আমরা ধরে নেবো, সচলের প্রতিটি পাঠকই দৈনিক দু'টি ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করে সচলে আসেন, ফলে অ্যাবসলিউট ইউনিক ভিজিট কাউন্টটিকে দুই দিয়ে ভাগ করা হবে। আশাবাদী মেট্রিকে আমরা সচলের পাঠকদের একটি ভগ্নাংশকে এই দ্বিচারী (ভুল বুঝবেন না ) পাঠকশ্রেণীতে ফেলবো (ধরা যাক সেটি কুড়ি শতাংশ), এবং অ্যাবসলিউট ইউনিক ভিজিটকে দুই এর চেয়ে ছোট কোন সংখ্যা (এক্ষেত্রে ১.২) দিয়ে ভাগ করবো।
একজন পাঠক কি রোজ ব্লগ পাঠ করেন? কিংবা প্রতিদিন কি তিনি একই পাটাতনের ব্লগ পড়েন? এত সময় কি সবার হাতে থাকে? থাকে না। তাই বিস্তৃতির পাশাপাশি পাঠক ফ্রিকোয়েন্সিও ব্লগের একটি মেট্রিক হওয়া উচিত। দিনে একবার এসে কোন ব্লগ পড়াকে যদি আমরা একক হিসেবে ধরি [এই এককের নাম দেয়া যেতে পারে ব্লগহার্ৎস, BHz], সেক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির পাঠক শ্রেণীকে আলাদা করতে পারবো। ১০ BHz থেকে শুরু করে ১০ মিলিব্লগহার্ৎসের [mBHz] পাঠকও দেখতে পাবো আমরা ব্লগোস্ফিয়ারে। ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম বিশ্লেষণ করা গেলে আমরা সহজেই ব্লগোস্ফিয়ারে পাঠকের হালচাল বুঝতে পারবো, যেখানে এক্স অক্ষ [অ্যাবসিসা] লগারিদমিক স্কেলে পাঠ-ফ্রিকোয়েন্সি এবং ওয়াই অক্ষ [অর্ডিনেট] বরাবর সেই পাঠকের সংখ্যা নির্দেশিত হবে। আমি এখনো সেরকম কোন কাঁচা তথ্য নিয়ে বসতে পারিনি, কখনো বসলে এরকম একটি তথ্যচিত্র বার করার চেষ্টা করবো সচলকে স্যাম্পল পপুলেশন ধরে। তবে আমার অনুমান, ১ BHz এর পাঠকের সংখ্যা খুব বেশি নয়, এগিয়ে থাকবেন ০.৩৩ বা ০.২৫ BHz এর পাঠকেরা, যারা তিন বা চারদিন পর পর পড়তে আসেন। এই অনুমান ভ্রান্ত প্রমাণিত হলে অবশ্য আমি খুশিই হবো।
আরেকটি মেট্রিক বেশ কাজের, একজন পাঠক ঠিক কতটা সময় ব্লগে ব্যয় করেন। এই পাঠকাল নির্ণয় করা একটু মুশকিল, কারণ সাধারণত অনেকেই একটি ব্রাউজারে ব্লগ খুলে রেখে পড়েন, অনেকে আবার যখন পড়ার ইচ্ছে হয়, তখন খুলে পড়েন। তারপরও বলতে হয়, পাঠকালের যথেষ্ঠ গুরুত্ব আছে ব্লগের "বিস্তৃতি" পরিমাপের জন্যে। একজন পাঠকের বিনিদ্র আয়ুর (স্বাভাবিকভাবে ১৬ ঘন্টা) কত শতাংশ একটি ব্লগে কাটছে, তা মোটেও হেলাফেলার জিনিস নয়। যদি কেউ রোজ আধঘন্টা সচলায়তন পড়েন, তাহলে তাঁর বিনিদ্র জীবনের তিন শতাংশেরও বেশি সময় তিনি কাটাচ্ছেন এখানে। তিনি যদি একবছর ধরে সচল অনুসরণ করেন, তাহলে প্রায় এগারোদিন শুধু সচল পড়েই কাটিয়েছেন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে কমিউনিটি ব্লগে আরেকটি মেট্রিক ব্যবহার করি, নতুন কতজন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব হলো, সেটি। নিজের কাছেই প্রশ্ন করে দেখি আসুন, লিখতে গিয়ে ক'জন নতুন বন্ধু পেলাম আমরা।
মন্তব্য
এই প্রক্রিয়াটার কোনো ধরনের প্রয়োগ করে দ্যাখালে আমার মতো ব্লগ-অক্ষরগোমাংসের সুবিধা হতো।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
কোন প্রক্রিয়া?
হাঁটুপানির জলদস্যু
এই রোগের নাম গ্রাফোলাইটিস, অনেকে প্লটোলাইসিস বলে থাকেন। অতি সত্বর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
একদম ঠিক ধরেছেন দাদা ...
হাঁটুপানির জলদস্যু
পড়লাম।
লেখাডা এট্টু কঠিন হয়ে গেছে হিমুদা।
বাঙ্গালী বিজ্ঞানীরা ক্যান যে এট্টু সোজা কইরা লেখেনা !!!
আমার মতন বলদের এর মর্মোদ্ধার করতে জান বেরিয়ে গেছে একদম। হেঃ হেঃ হেঃ।
এবার নিজের কথায় আসি, আমি সচলে প্রতিদিন আসি।
এবং আসলে তো যেতে ইচ্ছে করেইনা সাধারণত।
যাই হোক, যত ক্যাচালেই থাকি প্রতিদিন আসি এখানে।
সচলের প্রেমে পরে গেছি আরকি।
বন্ধুত্ব খুব বেশি মানুষের সাথে হয়নি এখনো। খুবই হাতে গোনা কয়েকজন। তবে অনেকেরই লেখা পড়তে পড়তে তাদেরকে কাছের মানুষ বলে মনে করা শুরু করেছি। মজার কথা হল বেশিরভাগের সাথেই আমার ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় নেই। কিন্তু লেখার পড়বার সময় বরাবরই মনেহয় যেন কত দিনের চেনা !!!
--------------------------------------------------------
আপনি যদি কোনভাবে বাঙালি বিজ্ঞানীদের দলে আমাকে ফেলেন তাহলে সঙ্গত কারণে প্রতিবাদ জানাই, বিজ্ঞানী হওয়ার যোগ্যতা আমার নাই। অন্যান্য যাঁরা বিজ্ঞানী আছেন তাঁরা আপনার ফিডব্যাক থেকে উপকৃত হবেন আশা করি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
- আল্লাহ তুমি আমার দোস্তরে এই জটিল গ্রাফোলাইটিস, প্লটোলাইসিস, জরিপোলাইটিস সিনড্রোম রোগ সমূহ থেকে সুস্থ কইরা দেও।
আমিন ।
দোস্ত ডরাইস না, দোয়া কইরা দিছি ভালো হৈয়া যাইবি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহারে ছেলেটা বড়ই ভালা আছিল। হঠাৎ করে মনোরোগে আক্রান্ত হইয়া গেল নাকি।
ডাক্তারের কাছে গেছিলাম। ডাক্তার বলছে ভয়ের কিছু নাই। এই রোগের একটামাত্র ওষুধ আছে তা হইল সুন্দরী রমণীদের প্রেম লাভ।
গোধূলি দাদা বাঁচান ছেলেটারে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- আমি ক্যামনে বাঁচামু, আমি কি সুন্দরী মেয়ের আড়ৎ খুলছি নাকি?
তবে জিনিষটা জোশ। গত সপ্তাহান্তে রাইনের পাড়ে ধোঁয়া উঠা জুড়িয়ে যাওয়া কফির গেলাসে চুমুক দিতে দিতে এই ব্যাপারটা নিয়ে কথা হচ্ছিলো আমাদের তিনজনের। হিমু তখন যেভাবে বলছিলো, যদি সেভাবেই সূচারুভাবে জিনিষগুলো তুলে আনতে পারে এখানে তাহলে বোধকরি জিনিষটা বেশ ইন্টারেস্টিংই হবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যদি কেউ রোজ আধঘন্টা সচলায়তন পড়েন, তাহলে তাঁর বিনিদ্র জীবনের তিন শতাংশেরও বেশি সময় তিনি কাটাচ্ছেন এখানে। তিনি যদি একবছর ধরে সচল অনুসরণ করেন, তাহলে প্রায় এগারোদিন শুধু সচল পড়েই কাটিয়েছেন।.................................... আমার মনে
হয় এটা আরো বেশী হবে ।
নিবিড়
আবারও জরিপ! ইয়াল্লা, এর শেষ কোথায়!
বন্ধু বলা যায় কি না জানি না, তবে এমন বেশ অনেকজনকেই এখানে পেয়েছি যা অন্যথায় সম্ভব ছিল না
আর আমারই বোঝার অক্ষমতা কি না জানি না, পোস্টটা কিছুটা অসম্পূর্ণ মনে হল। হয়ত কিছু সুনির্দিষ্ট উপাত্ত আশা করছিলাম।
____________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
হিমুর উদ্দেশ্য মোটেই ভালো না
পাঠক পাঠক বলে বাতাস টাতাস দিয়ে পরে দেখি আমাদেরকেই পুরা একটা অংক বানিয়ে ফেলেছে
আমি নিজে একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি। একটা লেখাতে যতবার প্রবেশ করি ততবারই তা কাউন্ট হয়ে যায়। এমন কি একবার লগ-ইন করার পর এক লেখাতে দুই-তিন বার ঢুকলেও তা কাউন্ট হয়ে যায়। এতে একটা লেখা আসলে কয় বার সত্যি সত্যি পড়া হল (একক সংখ্যক পাঠক কর্তৃক) তা জানার কোন উপায় নেই। তবে গোটা ওয়েবসাইটটির ক্ষেত্রে বিষয়টি কি হয় তা বলতে পারবনা।
আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে লগ-ইন করি তাদের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া, আইএসপি ডাউন হয়ে যাওয়া, নানা কারনে ডিসকানেক্ট হয়ে যাওয়া ডাল-ভাত ব্যাপার। সুতরাং আমি প্রকৃতপক্ষে একবার পড়তে গেলেও ঘটনাক্রমে তা দুই-তিন বার হিসেবে কাউন্ট হয়ে যাচ্ছে।
সচলের মত ব্লগগুলোর অনেক সুবিধা ও ব্যাপ্তি থাকলেও বাস্তবে বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গের খুব কম সংখ্যক মানুষের কাছেই এগুলো পৌঁছুতে পারছে। প্রযুক্তি হিসাবে আইটির বিস্তৃতি ও প্রসার অন্যসব প্রযুক্তির প্রসারের হারের সাথে তুলনীয় নয়। এর বিস্তার ও প্রসার এক্সপোনেনশিয়াল হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি বিশেষ (পার্টিকুলার) প্রযুক্তির ব্যষ্টিক অভিঘাত সমষ্টির উপর পরার আগেই তা টেকনিক্যালি অবসোলিট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে কমিউনিটি ব্লগিং প্লাটফর্ম প্রতি নিয়ত নিজেকে পরিবর্তন করে করে নিজের উপযোগিতা ধরে না রাখলে এর কোন সামষ্টিক প্রভাব থাকবে না। সেক্ষেত্রে এধরনের গবেষণা প্রচেষ্টা কোন কার্যকর ফল দেবে না। আমরা জানি কমিউনিটি ব্লগিং প্লাটফর্মগুলো প্রতিনিয়ত এই উদ্দ্যেশ্যেই নিজেদের পরিবর্তন করে যাচ্ছে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি এ'ধরনের পরিমাপের প্রয়োজন নেই। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মতামতকে যখন একটি কমিউনিটি ব্লগিং প্লাটফর্ম সত্যি সত্যি প্রভাবিত করতে পারবে তখন তা এমনিতেই বোঝা যাবে। তার জন্য কোন পরিমাপকের প্রয়োজন নেই।
নানা কায়দার পরিমাপ পদ্ধতিতে যে ফলাফল পাওয়া যায় তার স্থায়ীত্ব দীর্ঘ না হলে বা তা সবার কাছে সহজবোধ্য না হলে তাতে আত্নশ্লাঘারও কিছু নেই।
আমি নিজে সচলায়তনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার ব্যাপারে কনফিডেন্ট। আমার এও বিশ্বাস সচলের অধিকাংশ পাঠক আমার মতই কনফিডেন্ট।
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিপুলসংখ্যক মানুষের ওপর ব্লগের "সামষ্টিক প্রভাব" পড়তে আরো অনেক সময় লাগবে।
মাপজোকের সহজবোধ্যতা নিয়ে আপনার সাথে একমত। কিন্তু মাপজোকগুলি নেহায়েত আত্মশ্লাঘার কারণেই করা হয়, এ ধরনের বক্তব্যের সাথেও একমত নই। আত্মশ্লাঘার প্রসঙ্গ আসে তুলনায়। মাপজোক দিয়ে অমুকের চেয়ে আমি বড় বললে শ্লাঘার অভিযোগ করা যায়। আমার লেখায় সে ধরনের প্রচেষ্টা চোখে পড়লে জানাবেন। বরং কিছু কিছু মেট্রিক সময়ের বিপরীতে রেখে তুলনা করলে নিজের গতি বা স্ফীতির ব্যাপারটা অনুমান করা যায়, এবং তদনুসারে কিছু রিসোর্সগত ব্যবস্থা নেয়া যায়।
হাঁটুপানির জলদস্যু
প্রিয় হিমু, আমার বক্তব্য ভুল বুঝবেন না। নিজের গতিশীলতা বা প্রসারের হার নির্নয় করা অবশ্যই জরুরী বিষয়। তবে এধরনের ফলাফলের মিসইন্টারপ্রেটেশনের সম্ভাবনা ব্যাপক। দুর্বল পাঠকের কাছে ভালো ফলাফলের ক্ষেত্রে অহেতুক আত্মম্ভরিতা বা খারাপ ফলাফলের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় হতাশার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। যেহেতু কাজটি আপনি নিজে করার উদ্যোগ নিয়েছেন তাই আপনাকে একটু সতর্ক করতে চাইছি। আপনারা যারা সচলায়তনকে সচল রাখছেন তারা এধরনের কাজের ফলাফল অধিকাংশ নিজেদের মাঝে সীমাবদ্ধ রেখে শুধু দরকারীটুকু আমাদের জানাতে পারেন। কার্যকর গবেষণা পদ্ধতির জন্য সাহায্য চাইতেই পারেন। সেক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে যারা জানেন তারা অবশ্যই এগিয়ে আসবেন।
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনার সাথে সর্বাংশে একমত।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আপনার লাইটিস বিষয়ক থটগুলো পড়ে মনে হলো আরো কিছুকাল আমাকে ভাবনার মধ্যেই থাকতে হবে।
কেননা, আমি দিনে একাধিকবার সচলে ঢুকি। যদি তা অফিস অফডে হয় তাহলে পাঁচ ছ'বার তো নিশ্চিৎ। আবার রাতের বেলায় গড়ে তিনবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়া এবং ডায়ালআপের গরুরগাড়িতে চড়ে আটদশবার রাস্তাহারিয়ে ফেলা অর্থাৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াগুলো কি ভিন্ন ভিন্ন কাউণ্টে আসে ? সেটাও বিবেচ্য বিষয়। এইসব ধারণা আর জটিল অংকের হিসাব মেলাতে মেলাতে শেষ পর্যন্ত অংক যদি অংকের জায়গায় থাকে তাহলে তো খুবই ভালো কথা। না হলে শেয়ালের কুমির ছানা প্রদর্শন হয়ে যায় কিনা তাও ভাবনার বিষয় হতে পারে।
তবে এসব ভাবাভাবিতে আমি নাই। বুঝি কেবল বুকমার্কের সচলে ক্লিক করলেই প্রিয় পাতাটা ঝট করে সামনে চলে আসে কিনা।
ওটা ঠিক থাকলেই ওকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নির্ভর করে একেকবার পথ হারিয়ে একেক আইপির ওপর সওয়ার হচ্ছেন কি না। হলে এক কুমিরের ছানা একাধিকবার কাজীর কিতাবে ঢোকার সম্ভাবনা থেকে যায়।
হাঁটুপানির জলদস্যু
উদ্ধৃতি
লিখতে গিয়ে ক'জন নতুন বন্ধু পেলাম আমরা।
এটি একটি কঠিন এবং জটিল জিজ্ঞাসা। বন্ধুত্ব তো ভিন্ন জিনিস। তবে হিমু বন্ধু পাওয়ার ব্যাপারটি কিভাবে দেখছেন সেটাও একটা প্রশ্ন। ব্লগে মন্তব্যকারীকেই যদি বন্ধু হিসেবে ধরা হয় তাহলে তা খুবই অন্যায় করা হবে। যেমন, আমি অনেকের লেখাই পছন্দ করি এবং পড়ি। কিন্তু মন্তব্য কী করবো তা নিয়ে ভাবতে গেলেই গুবলেট হয়ে যায় সব। সে ক্ষেত্রে যে ব্লগারের ব্লগে মন্তব্য করছি না সে আমার বন্ধু নয়? কিংবা যিনি আমার পোস্টে মন্তব্য করছেন না তিনি আমার বিরোধী পক্ষ? আর যদি হিমু মনে করেন যে ব্যক্তিগত যোগাযোগ মাধ্যম যেমন, ইমেইল, ফোন ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে বন্ধুত্ব বলেন, তাহলে সেটা একটা কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। বলতে গেলে কারো সঙ্গেই আমার ইমেইলে বা ফোনে যোগাযোগ নেই। বিচ্ছিন্ন দু একটি যোগাযোগের ব্যাপার এক্ষেত্রে ধর্তব্য নয় বলেই মনে করি।
তাহলে এখন প্রশ্ন দাঁড়াচ্ছে যে, হিমু কোন দৃষ্টিকোণ থেকে বন্ধুত্বটাকে দেখতে চাচ্ছেন? ব্যাপারটি আমার কাছে পরিষ্কার নয়।
আর আমার দৃষ্টিকোণ থেকে সচলায়তনে যাঁরাই সংযুক্ত আছেন বা সংযুক্ত হচ্ছেন এমনকি কেউ কেউ আমার মতই প্রক্রিয়াধীন আছেন সবাইকেই বন্ধু বলে মনে করি। আর সে কারণেই মাঝে মাঝে বেফাঁস কিছু বলে ফেলতে পারি। যা প্রায়শ: মডারেটরদের ক্ষমতার ফাঁক গ'লে বোরোতে গিয়ে হাপিস হয়ে যায়।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বন্ধুত্ব মাপার তো প্রয়োজন নেই জুলিয়ান ভাই । যে যার মতো করেই বন্ধুত্বকে দেখতে পারি। আপনি যেমন ভালো বোঝেন, তেমনটাই সই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমার জান্তে মঞ্চায় হোতাপাড়া থাইকা কয়জন ব্লগায়?
২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
হুমায়ুন আম্মেদ ও শাওন ম্যাডাম।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
কোন হোতাপাড়ার কথা কও?
হাঁটুপানির জলদস্যু
নতুন মন্তব্য করুন