তৃতীয়বারের মতো মুখ ধুয়ে এসে লিখতে বসছি। প্রায় একযুগ পর এতো কাঁদলাম।
মুহম্মদ জুবায়েরের সাথে আমার কখনও ফোনেও আলাপ হয়নি। বরাবরই তিনি হয় ব্লগ নয়তো মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করা মানুষ, কতগুলো অক্ষর দিয়েই কেবল তাঁর সাথে যোগাযোগ। কিন্তু গত এক বছরে এই অক্ষরগুলি ছিলো নিত্যদিনের। এমন আহামরি কোন কথোপকথন নয়, সামান্য সম্ভাষণ, বেশিরভাগ সময়েই আমার পক্ষ থেকে কোন কিছু নিয়ে জিজ্ঞাসা, কিংবা তাঁর পক্ষ থেকে কোন ত্রুটি প্রসঙ্গে পরামর্শ। এর বাইরে তো কিছু নয়। কিছু কিছু ব্যাপারে খুব উদ্ধত তর্কও করেছি তাঁর সাথে কয়েক সপ্তাহ ধরে, পরম তৃপ্ত বোধ করেছিলাম তাঁর মতো একজনকে আপাতদৃষ্টিতে পরাজিত করতে পেরে।
জুবায়ের ভাই আমাদের সবাইকে হারিয়ে দিয়ে গেলেন নিজে হারিয়ে গিয়ে। এই কেবল অক্ষর দিয়ে পরিচয় হওয়া মানুষটার মৃত্যুতে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে বসে এখনও হু হু করে কাঁদছি। বহু বহু বছর আগে নিজের পিতার মৃত্যুর কয়েকদিন পর দরজা বন্ধ করে কেঁদেছিলাম অনেক।
জুবায়ের ভাইয়ের সাথে হপ্তা কয়েক আগেও আলাপ করেছি, সচলে তাঁকে কয়েকদিন না দেখলে মেসেঞ্জারে গিয়ে হামলা করেছি একটা লেখা পড়তে দেবার বা পড়ে দেখবার জন্যে। সেই জুবায়ের ভাই কয়েকটা সপ্তাহের ব্যবধানে আজ আমার স্মৃতিচারণ আর কান্নার উপলক্ষ্য হয়ে গেলেন।
মানুষের জীবনের অর্থটা কী আসলে? কী পাই আমরা এতকিছুর পর?
খুব ক্ষুদ্র আর অসহায় লাগে। এক একটা ফুৎকারে নিভে যাওয়ার জন্যে আমরা জ্বলে চলছি শুধু, আমাদের জীবনের কোন অর্থ নেই, আমার প্রত্যেকে এক একটা রসিকতা শুধু।
বিদায়, মুহম্মদ জুবায়ের। আপনি শুধু স্মরণের ওপর দখল নিতে চান, বেশ, অনিঃশেষ দখল দিলাম আপনাকে।
মন্তব্য
ভীষণ খারাপ লাগছে। অবর্ণনীয়। জুবায়ের ভাইয়ের জন্য গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। এ ছাড়া আর কিই বা করার আছে! মাঝে মাঝে নিজেকে এত ক্ষুদ্র, এত অক্ষম মনে হয়!
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
কিচ্ছু বলার নেই। ঘুম থেকে উঠে সচলায়তন খুলে ব্যানারটা দেখেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। এত অসহায় আমরা......
যেখানেই যান জুবায়ের ভাই, ভালো থাকুন......
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
'তীরের নিকটে এসে ডুবে গেল তরী
এই ক্ষত বয়ে বেড়াবে অনন্ত জল
আমার মনের
একটা নতুন রেখা সমতলে জেগেছিল বলে
কোনোভাবে এইবারও বেঁচে যাওয়া হলো
সঞ্চয়ের মতো মনে হয় যতসব নুড়ি
আসলে সঞ্চয় নয়
পাহারা বসিয়ে রেখে তার চারপাশে
শুধু শুধু বেঁচে থাকা
করে যাব হয়ত উদযাপন
সময় সইছে বলে এত কিছু
সময়েরও ফুরালে সময় একদিন
নুড়িপাথরের প্রেম ভেঙে যাবে
বালির জগতে গিয়ে জমা হবে
জীবনের সকল রসদ'
জুবায়ের ভাইয়ের সময়ের সময় ফুরিয়েছে। আমাদেরও ফুরাবে...
...............................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
যেটা বলতে চেয়েও বলা হয়নি.... হিমু ভাই, জানি আপনি খুবই কষ্টের মাঝে আছেন, তবুও বলব, ভেঙ্গে পড়বেন না। এই মুহুর্তটা আমাদের সবার জন্যই অত্যন্ত বেদনার। আসুন না, আপনার কষ্টগুলো আমরাও কিছুটা ভাগাভাগি করে নেই!
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
সচলায়তনের সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্খী ছিলেন তিনি। কতবার মন খারাপ করে জুবায়ের ভাইকে ফোন করেছি পরামর্শের জন্য! এ ব্লগে, সে ব্লগে কাদা ছোড়াছুড়ি হলে আমাকে স্থির থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। কদিন আগে সচলায়তন যখন বন্ধ করে দিলো তখন জুবায়ের ভাই ফোন করেছে সবার আগে। আমি রাস্তায় আছি শুনে নিজে থেকে ব্লু-হোস্টের সার্ভারে ফোন করেছেন, অরূপকে ফোন করেছেন।
আজ মনে হচ্ছে মাথার উপর থেকে একটা ছায়া সরে গেল। কিন্তু আমরা তাকে ভুলবনা কিছুতেই। কিছুতেই ভুলবনা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বলবার কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
আমরা অসহায়।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
.........
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
হিমু আমারও মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে আছে, কিছুই ভালো লাগছেনা। আমার লেখায় জুবায়ের ভাইয়ের শেষ মন্তব্যে আমার উপর বেশ অসন্তুষ্টই হয়েছিলেন এরশাদের ছবি দেখে.. ওনার উপর শ্রদ্ধা রেখেই মন্তব্য করেছি বলে মনে হয়েছে। তবু মানুষটাকে মনে হয় কষ্ট দিয়েফেলেছি.... সচলের আগে ওনার লেখা পড়তাম এনওয়াই বাংলাতে। জালাল ভাই চুপকথা পড়তে দিলেন,যুগান্তরে লেখা পড়লাম। তারপর সচলে...অনেক কাছে বেশ কাছে চলে এসেছিলেন , ছায়ার মতো। মনটা বেশ বড় হয়ে গিয়েছিলো , আহা জুবায়ের ভাইয়ের মতো লোকদের সাথে এক প্লাটফরর্মে লিখছি ! এমনি করে তিনি ডুব দেবেন ....কোন ভাবেই যে মানতে পারছিনা।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
জুবায়ের ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরুপ তার কোন একটি লেখাকে আমরা সচলের প্রথম পাতায় স্থান দিতে পারি না?
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
...
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
জুবায়ের ভাইয়ের সাথে আমার তেমন পরিচয় ছিল না।তার লেখা পড়তাম মাঝে মধ্যে। একবার জুবায়ের ভাই তার মেয়ে আইরিশ জুবায়েরের টেক্সাস অস্টিনে চান্স পাবার কথা জানিয়ে একটা ব্লগ লিখেছিলেন। আমি মন্তব্যে লিখেছিলাম, 'আপনার মেয়ে ভার্সিটিতে পড়ে বিশ্বাসই হচ্ছে না। আমি তো ভেবেছিলাম আপনি হিমু ভাই কিংবা মুর্শেদ ভাইদের সমবয়সীই হবেন।' জুবায়ের ভাই সেই মন্তব্যের উত্তরে বলেছিলেন, ‘এতোদিন ঝাঁকের সাথে মিশে ভালোই ছিলাম।এখন তো ধরা পড়ে গেলাম’। আজ এই কথাগুলো সন্ধ্যা থেকে বার বার মনে পড়ছে। পৃথিবীর নিয়ম আসলেই বড্ড কঠিন। আর সেই নিয়মের কাছে আমরা বড্ড অসহায়। শুধু বোবার মতো দাঁড়িয়ে মৃত্যুর সাথে জুবায়ের ভাইয়ের লুকোচুরি খেলা দেখেছি দিনের পর দিন। কিচ্ছু করার ছিল না। ' বিদায়……জুবায়ের ভাই…' এছাড়া কিইবা বলার আছে আজ…
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
জুবায়ের ভাই কোথায় আছেন জানিনা। যেখানেই থাকুন - ভালো থাকুন, শান্তিতে থাকুন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আমিও তার বয়সটা জানতাম না অনেকদিন। তাকে কখনও জুবায়ের ভাইও বলিনি আমি। মুহাম্মদ জুবায়ের হিসেবেই সম্বোধন করতাম। ভাবতাম একসময় দূরত্বটা ঘুচে যাবে।
আর হলো কই?
মানুষের জীবন আসলেই অর্থহীন হিমু। দুই সন্তান আর দুটি বই-ই শুধু স্মৃতি হয়ে পৃথিবীতে থাকবে। সচলের দুই শতাধিক লেখা। এইতো...
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
::.......................................................................::
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
ঠিকই বলেছেন হিমু। আমরা প্রত্যেকে এক একটা রসিকতাই শুধু।
সচলে ঢুকেই এমন একটা দুঃসংবাদ পাবো, তা তো কখনো ভাবি নি ! আমি জানি না এর আগে সচলে আর কোন সচল সদস্যের এমন বিয়োগ সংবাদ এসেছিলো কিনা। তবে আমার জন্য এটাই প্রথম।
জোবায়ের ভাইয়ের কোন পোস্টে, যেখানে তিনি বয়স নিয়ে বলেছিলেন যে তিনিই সম্ভবত সচলের সবচে' প্রবীন বয়সী। তাঁর কোন পোস্টে আমারও বোধ করি শেষ মন্তব্য ছিলো, আমি প্রতিবাদ জানালাম, কেননা আপনি কোন জন্ম সনদ দাখিল করেন নি।
তিনি কি খুব বেশি অভিমানী ছিলেন ? তখন তো কোন জবাব দেন নি ! আর আজ এভাবে মৃত্যুর সনদ দেখিয়ে জবাব দিয়ে গেলেন !
আমি এখন কার কাছে ক্ষমা চাইবো ???
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক দিন অনেকবার ভেবেছি আমি তাঁর কাছে আরেক টি মেইল করবো-আমার অবস্থান আরেকটু বুঝিয়ে লিখবো, তিনি হয়তো বুঝবেন । আবার ফিরে আসবেন 'সাতরং' এ ! আমার তরফ থেকে আরেকবার চেষ্টা করা উচিত ছিল ! করা হয়নি। তিনি সাতরং এর জন্মলগ্নে লিখতেন সাতরং এ। পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এম এম আর জালাল। তার 'চুপকথা',জলপড়ে পাতা নড়ে লেখাগুলো এখনও 'সাতরং' এ জ্বলজ্বল করছে ! আমার ভিতর ও কি সামান্য অভিমান ছিল,কি জানি ! যার কারণে অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমি তাঁকে আর লিখিনি ! ভেবে রেখেছিলাম, এবার তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে আমি একটা বড় মেইল করে কিছু কথা লিখবো,আবার অনুরোধ করবো সাতরং এ লিখতে-হায় ! তা আর হলোনা !
কত কথা বলার থাকে, কত সামান্য কারণে আমরা একে অন্যের থেকে দূরে চলে যাই ! মনটা সত্যি ভীষণ খারাপ আজ ! এসবের কোন মানে নেই ! কোন মানে নেই আসলে...।
নন্দিনী
ইন্টারনেটে লেখালিখির কারণে এক অদ্ভুত অবস্থা তৈরি হয়েছে। যে মানুষগুলোকে কখনো দেখিনি, পরিচয় পর্যন্ত নেই - তাদেরই খুব আপন মনে হয়। সচলায়তনে এসে জুবায়ের ভাইয়ের মৃত্যুসংবাদ শুনে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া লিখেছিলাম এখানে। এখন আপনার মন্তব্য পড়ার পর মনে হলো - আমার অনুভূতিটাও অনেকটা আপনার মতই। কোন মানে হয় না এসবের।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
লিখতে শুরুর আগে পড়তাম শুধু। প্রথম যে লেখাটা পড়ে বুকের মধ্যে কেমন করেছিলো সেটা হলো ওঁর লেখা মেয়ের দূরে পড়তে যাবার খবর আসার লেখাটা। ওঁর লেখা পড়েই প্রথম আমি নিজে নিজের বাবার কোমল হৃদয় বুঝতে পারি,নইলে আমাদের সংস্কৃতিতে তো বাবাকে শক্ত দেখাই নিয়ম।
আমায় উনি কি যে দিয়ে গেলেন, জানতে পারলেন না।
দুঃখ রইলো, আফসোস রইলো,চেনা হলো না,দেখা হলো না।
শ্রদ্ধেয় মহম্মদ জুবায়ের, যেখানেই থাকুন,শান্তিতে আর ভালোবাসায় ভরে থাকুন।
তাঁর লেখা পড়ি সবসময়েই। উপন্যাস "চুপকথা" পড়েছিলাম একটি ক্লিনিকের ওয়েটিংরুমে বসে। আমার চোখে জল দেখে আশপাশের লোকেরা ভেবেছিল যে আমি বোধহয় শরীরের যন্ত্রনায় কষ্ট পাচ্ছি। সে কথাটি মন্তব্যের আকারে জানি্য়েছিলামও তাকে। তিনি মজা পেয়েছিলেন।
তার লেখা এবং অন্যান্য তথ্য থেকে মনে হয়েছে যে আমি বয়সে তার কাছাকাছিই হবো হয়তো। জানি তিনি টেক্সাসে থাকতেন। মনেমনে প্ল্যান করেছিলাম যে যদি কোনদিন ওখানে যাই, তাহলে নিশ্চয়ই তার সাথে দেখা করবো। আমাদের অনেক কিছুই আলাপ করার জিনিস আছে।
গতমাসের শেষ দিকের কথা। আমরা ক্যালিফোর্নিয়াতে বেড়াতে যাবো। বাক্স-পেঁটরা বাঁধাবাঁধি করছি। এমন সময়ে তিনি সচলায়তনে তার শেষ পোস্ট টি দিলেন। বিষয়বস্তু, তার মেয়ে কলেজে পড়তে চলে যাচ্ছে। বড় বিষন্ন পোস্ট, বড় চোখে জল আনা পোস্ট। সবাই তাকে সান্ত্বনা দিয়ে মন্তব্য করছে।
আমার ভিতরে কেমন যেন করে উঠলো। আমি জানি কেমন এই অনুভূতিটি। গেল বছরে আমারও হয়েছিল এমনতরো অভিজ্ঞতা। সেই ব্যস্ততার মাঝেও দ্রুত একটি লেখা পোস্ট করলাম সচলে। লেখাটির শিরোনামে মুহম্মদ জুবায়ের এর নামোল্লেখ করা ছিল। লেখাটি পড়ে তিনি একটি মন্তব্যও করেছিলেন।
সেইই বোধহয় তাঁর শেষ মন্তব্য, তারপরই তো চলে গেলেন হাসপাতালে। আমরা প্রতীক্ষায় রইলুম, প্রতীক্ষায় রইলুম।
বড় কষ্ট হচ্ছে। ভীষণ আপনার মানুষ ভাবতাম তাকে। ভাইয়ের মতো, বন্ধুর মতো, শিক্ষকের মতো। অথচ তার সাথে কোনদিন দেখা হয়নি, কথা হয়নি। ক্ষ্ট হচ্ছে আপনার মেয়েটির জন্যে, কষ্ট হচ্ছে আপনার স্ত্রীর জন্যে, আপনার ছেলেটির জন্যে।
মুহ্ম্মদ জুবায়ের- এ আপনি কি করলেন? আপনার বুকে ছিল ভালবাসার অথই সাগর। এতখানি ভালবাসা ধারণ করতে পারার মতো মানুষ কি আর আমরা কোথাও পাবো?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
-------------------------------------
সমুহ শোকেরা এলো ঝাঁক বেঁধে;
বিদায় জুবায়ের ভাই...
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
জুবায়ের ভাই এটা কী করলেন?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
Throught the whole blog no brief biography, works and contributions of Mr. Jubaer were found, but enormous mourning had been burdened only. Let him live long and long in his creations, exposed, explored.
অতিথি হিসেব আপনার কথা সত্য হলেও, সচলায়তনের পুরো ব্লগ জুড়েই আসলে তিনি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। এই কারনে আলাদা করে কিছু বলা হয়নি।
মুহম্মদ জুবায়ের এর লেখার লিংক
- সচলায়তন ব্লগ
- বাঁধ ভাঙার আওয়াজ ব্লগ
- ব্লগস্পট
- এনওয়াইবাংলা কলাম
- পিডিএফ-এ উপন্যাস "পৌরুষ"
এনওয়াইবাংলা থেকে মুহম্মদ জুবায়ের এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
জন্ম ২২ মে ১৯৫৪। বেড়ে ওঠা বগুড়া শহরে। তিন ভাই, দুই বোনের মধ্যে সবার বড়। পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে। সত্তর দশকের প্রথমার্ধে লেখালেখি শুরু হলেও ১৯৮৪-৮৫ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত দীর্ঘ স্বেচ্ছা-অবসর বা শীতঘুমে মগ্ন। গল্প-উপন্যাস এবং সংবাদপত্রের কলাম ও ব্যক্তিগত রচনাসহ বিবিধ গদ্যের রচয়িতা, কিছু অনুবাদকর্মও আছে। প্রকাশিত গ্রন্থ দু’ট – উপন্যাস “অসম্পূর্ণ” (১৯৮৬) ও কিশোর উপন্যাস “আমাদের অমল” (২০০৩)। পরবাসজীবন ১৯৮৬-র মাঝামাঝি থেকে। বসবাস করেছেন আমেরিকার টেক্সাস রাজ্যের ডালাস শহরে। মুহম্মদ জুবায়ের এক কন্যা (বয়স ২০) এবং এক পুত্র (বয়স ১০) সন্তানের জনক।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নতুন মন্তব্য করুন