১.
ভালো যাচ্ছে না দিনগুলি। আগামী পরশু একটা বড়সড় পরীক্ষা আছে। কয়েকটা জায়গা থেকে ঝাড়ি খাওয়ার আশঙ্কা বুকে নিয়ে হেলেদুলে পড়ে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ বন্ধের কারণে ঘুমের চক্র কিছুটা কেৎরে গিয়ে আবার আমাকে নিশাচর বানিয়ে ছেড়েছে। প্রায় ভোর পর্যন্ত জেগে থেকে দুপুরের দিকে উঠি, ওঠার পর বিশ্বজগৎ বিরস লাগে। এলাচ দিয়ে চা বানিয়ে খাই, মাঝে মাঝে বিস্কুট দিয়ে। সেইসব বিস্কুট, যেগুলি এক সেকেন্ডের চেয়ে এক মাইক্রোসেকেন্ড বেশি পরিমাণ সময় চায়ে চুবিয়ে রাখলে মনের দুঃখে গলে জল হয়ে যায়। সেটাকে তৎক্ষণাৎ আরেকটা বিস্কুট দিয়ে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে সেটার পরিণতিও আগেরটার মতোই হয়। এই রাহু সেই শৈশব থেকে পিছে লেগে আছে আমার। বিস্কুটনির্মাতাদের কাছে আকুল আবেদন, আপনাদের বিস্কুটগুলি আরেকটু শক্ত করে বানান। চায়ে চুবাইয়া চুবাইয়া খাইতে দ্যান এই গরীবকে। পিলিজ।
২.
বিস্কুট শক্ত করার প্রসঙ্গেই আরেক কিচ্ছা মনে পড়লো। সেদিন আমার বিভিন্ন তড়িৎডাক ঠিকানায় জমে থাকা স্প্যামবার্তাগুলি খুঁটিয়ে দেখছিলাম। পৃথিবীতে বহু লোককে মনে হলো আমার পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য (এবং প্রস্থ) নিয়ে চিন্তিত। তারা অসংখ্য স্প্যাম মেইলে তাদের সেই উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মেইলের শিরোনামে তাদের বক্তব্যগুলো কয়েকটা ক্যাটেগরিতে পড়ে, অনেকটা এমন,
স্ত্রীদের ও বান্ধবীদের প্রতি এতদিন ধরে চর্চিত আমার এই অবহেলা ও অনীহার কারণে লজ্জাই লাগলো একটু। আমি কেমন আছি, কী খেয়ে কী পরে কী করে বেঁচে আছি, এই জিজ্ঞাসা নিয়ে সারা জীবনে মনে হয় সব মিলিয়ে অঙ্গুলিমেয়সংখ্যক মেইল পেয়েছি, আর অজানা অচেনা সব ঠিকানা থেকে এমন আহ্বান ভেসে আসছে, কেমন কেমন যেন লাগে। যদিও "নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাসা" টাইপ একটা ফুটানগিরির আভাস রয়েছে এই প্রস্তাবে, তারপরও স্প্যাম মেইল ট্র্যাশে পাঠাই। সবকিছুর সাথে মাস্তানি ভালো নয়।
৩.
আমার নতুন পড়শী তাজিকিস্তানের ছেলে, নাম বাহুদুর। আসলেই বাহাদুর ছেলে, ফ্ল্যাটে আসার কয়েকদিনের মাথায় সে তার ঘরের দরজা লাথি মেরে ভেঙে ফেলেছে। বিষ্যুদবার রাতে বাসায় ফিরে দেখি তার দরজা ফ্রেম থেকে খোলা, সে লাপাত্তা। উঁকিঝুঁকি মেরে দেখলাম খুনখারাবা হলো কি না, তারপর থতমত খেয়ে নিজের ঘরে ফিরে গেলাম। আজ সে এসে জানালো, সেদিন সে ঘরে ঢুকতে গিয়ে চাবি দিয়ে অনেক চেষ্টা করেছে, তালা খুলতে পারেনি। রাত হয়ে গেছে দেখে সে বাধ্য হয়ে অনেক কষ্টে দরজা ভেঙে ঢুকে নিজের জিনিসপত্র আর টাকাপয়সা নিয়ে চলে গেছে বোখুম। আগামীকাল কর্তৃপক্ষকে জানাবে ঘটনা কী।
বাহাদুর মারবুর্গে ছিলো, তার দেশোয়ালি বন্ধুবান্ধবরাও থাকে নর্ডরাইন ভেস্টফালেনের দিকে। ওদিককার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তুলনামূলকভাবে বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে, কাসেলে এসে তার কিছুই ভাল্লাগছে না। আমি মনে মনে ভাবলাম, সর্বনাশ, কাসেলের লোকজনের কপালে দুঃখই আছে তাহলে।
৪.
মূলত গরু আর ভেড়ার মাংসই খাই আমরা এখানে। মুরগি কদাচিৎ। আমি বরাহমাংস মাঝে মাঝে খাই, যখন রান্নার ইচ্ছা কম থাকে, তখন স্টেক ভেজে খেয়ে ফেলি চটপট। জিনিসটার স্বাদ খুব একটা সুবিধার না, কোনমতে চলে আর কি। বছরে দুয়েকদিন সুপারমার্কেটে হরিণের মাংস মেলে। খরগোশের মাংস ভুনা খাবার ইচ্ছে অনেকদিনের, কিন্তু শেষমেশ আর কেনা হয় না।
এরইমাঝে কয়েকদিন আগে বলাই জানালেন, খাসির মাংস খাওয়া হবে। পরিচিত আরেক ভদ্রলোকের সহকর্মী একটা কসাইখানা থেকে ছাগল কাটিয়ে আনতে পারবে, আমরা শুধু তার কাছ থেকে জবাই করা ছাগলটা নিয়ে এলেই হবে।
আমি আর হের চৌধুরী শহর থেকে একটু বাইরে সেই লোকের কর্মস্থল থেকে প্যাকেট করা ছাগল নিয়ে এলাম। আস্ত ছাগল ঘরে কাটার মতো যন্ত্রপাতি কারোই নেই, তাই সেটাকে ঘাড়ে করে নিয়ে যেতে হলো আমাদের তুর্কি দোকানে। তুর্কি মাংসবিক্রেতার সাথে গত কয়েক মাসে হৃদ্যতা হয়ে গেছে মাংস কেনার সুবাদে, সে কোন চার্জ না রেখেই নিপুণভাবে ত্রিভুজটাকে কেটেকুটে সাইজ করে দিলো। মাংস কাটাও একটা শিল্প হতে পারে, না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল। দুই মিনিটের মধ্যে একটা আস্তছাগল কেটেকুটে ছোট একটা পোঁটলায় ভরে নিয়ে এলাম। সেদিন বলাই ও হের মুনশির সৌজন্যে প্রায় বছরখানেক পর আবার কাচ্চি বিরিয়ানি খেলাম।
৫.
খই ভাজার ফাঁকে ফাঁকে সেদিন ইউটিউবে দেখলাম মাইকেল মুরের বাউলিং ফর কলাম্বাইন আর সিকো। লোকটাকে ফারেনহাইট ৯/১১ দেখার পর পরই খুব পছন্দ করি, তার মাত্রা আরো দুই পর্দা চড়ে গেলো এই দু'টো দেখে। অনবদ্য।
মন্তব্য
দারুণ!
২ পড়ার পরে হাসতে হাসতে খবর হয়ে গেল।
বিস্কিট কোম্পানির প্রতি এই আকুল আবেদনটা বোধ করি ইউনিভার্সাল!
- এইসব স্প্যাম মেইল আর পড়িস না দোস্ত- দুষ্ট লোকে সন্দেহ করবে!
কাচ্চির কথা শুনিয়ে দিলে সত্যি সত্যিই দাগা দিলি। আমার কিছু না-ভালো-লাগা রোগ হইছে। মন খালি উড়ু উড়ু করে। কৃষ্ণবনে যাবো ভাবতেছি। একটা লম্বা ছুটি ডিউ হয়ে আছে অনেক দিন থেকে। এযাত্রায় হয়ে যাবার চান্স আছে। এতেও উড়ু উড়ু ভাব না গেলে 'নেক্সট স্টপ' কাসেল। আবারো কষ্ট করে কাচ্চি পুজা করিস তখন। দেখি কেমন ত্রিভুজ খাস তোরা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পরীক্ষা ভালো হোক, সেই প্রত্যাশা করি। কিন্তু দোকানে ছাগল নিয়ে গিয়ে ত্রিভুজ কেটে আনলেন মানে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যাক ! লম্বীকরণের প্রস্তাব তাহলে শুধু আমি একাই পাই না !
ত্রিভুজ কেটে আনা আর আস্তছাগলের কথা পড়ে মজা পেয়েছি।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আগে আসতো টাকাপয়সার স্প্যাম। যাবতীয় লটো জেতার সুসংবাদ। কোনটাতেই দশ বারো মিলিয়ন ডলার/পাউন্ড/ইউরোর কম না। খালি কষ্ট করে একটা ফোন করে আমার ব্যাঙ্ক ডিটেইলস জানিয়ে দিলেই জীবনটা লাইফ হয়ে যাবে আর কি ...। এখন শুরু করসে প্রাইভি ধরে টানাটানি। সংক্ষেপে জেনেরিক টার্মে বলা যেতে পারে, এরা আমাদের ধনে বাড়াতে চায় ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হা হা
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নাইজেরিয়ার ধনকুবের মইরা গেসে, তার টাকা বিদেশি ব্যাংকে সরানো দরকার - সেই গল্প একসময় ম্যালাদিন চলছে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
দিনকয় আগে আমি কী মনে করে সুলেখায় একটা ঠিকানা বরাদ্দ নেই। পরদিনই দেখি দুইখান মেইল, দুটোরই প্রায় এক বার্তা, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার অপেক্ষা করছে, আমি খালি আগ্রহ দেখালেই হয়। কয়েকদিন এই জ্বালা সয়ে একদিন রিপ্লাই দিলাম এই বলে যে, বেটি তোমার ন্যুড ছবি পাঠাও, যদি মনে লাগে তাইলে তোমার ডলার নিতে আমি রাজি। পরদিনই ছবি ও ফুলসহ তার মেইল, কিন্তু বেদনাকর এই যে, আঠারো বছরের কৃষ্ণাঙ্গী ছবি দিয়েছে টাইট জিন্স পরা, ন্যুড নয়।
এই অপরাধে আমি তার মেইলের আর কোনো জবাব দেই নি, তবে ফুলটা সুন্দর হওয়ায় ডেস্টটপে ব্যাকগ্রাউন্ড করে নিয়েছি।
এরপরে আর ওমুখো হই নি।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
- ট্রেইলার দেখে আর পুরা সিনেমা দেখার উৎসাহ পান নাই?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইসসসসস - আমার মতো চা-বিস্কুট ভুক্তভোগী = সহদুঃখী আরও আছে জেনে বড়ই শান্তি পেলাম!!
আর, ইয়ে, মানে - সারাক্ষণ না আমাকেও ঐসব স্প্যাম পাঠানো হয় , এ ব্যাপারে আমিও সহদুঃখী :
নানান ঝামেলার মাঝেও হোহো করে হাসতেছি।
এই মুহূর্তে যেইগুলান স্প্যাম দেখছি তার নমুনা-
মোসো ফার্মেসি নামের এক বোতল বলতেসে, বস্তু ২০% বড় করার ওষুধ নাকি সে আবিষ্কার করসে। তারপরের মেইল, ২০ বছর বয়েসের জিসেল নামের একজন নাকি আমার জন্যে বিশেষ ভঙ্গিতে অপেক্ষা করছেন। আরও আপত্তিকর ভাষা ছিলো, সেন্সর করলাম।
আমার আবার জাপানি, রাশিয়ান স্প্যাম আসে।
ডেসপারেট গৃহবধূরা নাকি ক্লাব খুলসে। তারা বিয়ে করে ফেলেছে কিন্তু প্রেম করতে পারে নাই। তাই ..প্রেম করার জন্যে আমাকে খুঁজতেসে। আরো আছে, স্বামী বিজনেস ট্যুরে সারাবছর বাইরে থাকে, প্রেম করতে চায়।
কই যে যাই। এইসব আহ্বান কেমনে উপেক্ষা করি, বলেন?
এইগুলান স্প্যাম এর ডেটা দিয়াই সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান এর গবেষণাক্ষেত্রে দুই একটা পেপার বানায়া ফেলা যাবে।
-
সবচেয়ে মজা লাগে, স্প্যাম ফিল্টারকে ফাঁকি দেবার জন্যে যেভাবে মেইলগুলো লেখা হয়। অর্ধেক ইমেজ অর্ধেক টেক্সট, I এর জায়গা 1 (এক), O এর জায়গায় 0(শূন্য) । নানান টেকনিক।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
স্যার, আপনার এই কাহিনি?
আলাদা পোস্টে ধরতে হবে আপ্নারে।
বিস্কুট নির্মাতা কোম্পানীগুলো আপনার আহ্বানে সারা দেয়ার আগে দেশ থেইকা কয়েক বস্তা টুস (টোষ্ট) বিস্কুট পাঠাইলে কেমুন হয়!!! বিশ্বাস করেন এই বিস্কুটরে আধা মিনিট চায়ের মইধ্যে ভিজাইয়া রাখলেও গলবো না
কল্পনা আক্তার
................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
স্প্যামের যন্ত্রণা একটা মেইল আইডি একদম ছেড়ে দিতে হয়েছে। আমাদের ভার্সিটির সার্ভার থেকে দেয়া মেইল আইডিতে দিনে গড়ে ৫০-৬০টি করে স্প্যাম আসে। যথারীতি ভাইটাল অঙ্গটির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ আর বিকাশ নিয়ে সুচিন্তিত পরামর্শ। আইইউটি মেইলে তাই ঢোকাই হয় না। ১০-১৫ দিন পর ঢুকে একবারে ৩০০-৪০০ মেইল ডিলিট করতে হয়। ইয়াহু কিছু যন্ত্রণা করলেও গুগ্ল নিয়ে বেশ শান্তিতে আছি।
বাহুদুর সাহেবের বাহাদুরি আর আপনার বিশ্কুট বেদনায় খুব মজা পেলাম।
বোলিং ফর কলাম্বাইনটা থাকা সত্ত্বেও দেখতে পারছি না। ডিভিডিতে রাইট করা ছিল, এখন সে ডিভিডি চলছে না। মাইকেল মুরের কিছুই দেখা হয়নি। ডকুমেন্টারি গুরুর এই তিনটাই দেখতে হবে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
কোন বিস্কুট? বাবুল বিস্কুটের কারখানা মনে হয় কুনোখানে নাইক্যা!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
কি আশ্চর্য! ইয়াহু!, হটমেইল (২ টা), জিমেইল, কোনটাতেই আজ পর্যন্ত একটাও ওইরকম স্প্যামবার্তা পাইলাম না!
আমি খালি পাই, "ইউ.এস.এ আমারে ডাকতেসে, আমি রাজি হইলেই খালি হয়", "বার্কিনো ফাসো'তে কোন ব্যাটা মরসে, ব্যাংকের লোক আমার সাহায্য চায় সেই টাকা প্রসেসিং-এর জন্য", "ইউ.কে-তে লটারী জিতসি!", এইসব হাবিজাবি।
মাঝখানে অবশ্য স্প্যানিশ শেখার খায়েশে লাইভমকা'য় রেজিস্টার করসিলাম, এখন সেখান থেকেও মাঝে মাঝে আমার "প্রোগ্রেস রিপোর্ট" আসে (যদিও আমি প্রথমদিনের পর আর দ্বিতীয়বার ওই সাইটে যাইনি, কারণ আরেক মেম্বার আমার কাছে, মেইলে তার স্বামী মারা যাওয়ার কাহিনী শুনিয়ে, 'সাহায্য' চেয়ে বসল!)
_______________
বোকা মানুষ
আপনি মনে হয় লস্ট কেইস ... চিকিৎসার অযোগ্য, তাই
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
হ, আপনারে কইছে! বেশি বুঝেন!!
যাই হোক, তুমি মনে হয় পাইসো এই টাইপের মেইল শোন, এইসব দুষ্টু সাইটে না ঘুইরা রিসার্চ করো, আর কিছু ব্লগ লেখো। তাইলে দুনিয়া আর আখিরাতে বহুত ফায়দা হবে
_______________
বোকা মানুষ
সুস্থ সবল মানুষজন এসব পেয়েই থাকে, না পাওয়াটাই সন্দেহজনক
দুষ্টু সাইট জিনিসটা কি?
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
কেন, তুমি কি বলতে চাও কারো (যতই সুস্থ-সবল হোক না কেন) জ্বর না হলেও তার পিছে পিছে প্যারাসিটামল, কাশি না হলেও তুসকা নিয়ে দৌঁড়ানো; কিংবা জ্বীনে না ধরলেও ঝাঁটাপেটা করাটা খুবই স্বাভাবিক?
তুমি যে কথা বললা, আসলে কিন্তু সেটাই সন্দেহজনক, পুরা ১৮০ ডিগ্রী উল্টা কথা বলসো তুমি!
দুষ্টু সাইট কি, সেইটা যদি না বোঝ, তাইলে আর বুইঝা কাম নাই
_______________
বোকা মানুষ
আপনার কাছে কী ধরনের স্প্যাম মেইল আসবে, তার নিয়ন্তা অনেকটা আপনি নিজেই। আপনি মেইল উনডো থেকে সোজা search the web পথে যে ধরনের সাইট ভিজিট করবেন, আপনার কাছে সে ধরনের স্প্যাম বেশি আসবে। সুতরাং আমরা এ ধারণা করতেই পারি শালীঅন্তঃপ্রাণ কাঁথাব্যবসায়ী হিমু ভাইছাহেব মাঝেমধ্যে এপাড়া ওপাড়া টোটো করে বেড়ান, নইলে স্প্যাম তার বিস্কুটের খবর নিতে এত তৎপর হবে কেন?
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
উঁহু মুজিব ভাই, আপনার মেইল অ্যাড্রেস তো পেতে হবে ওদের। ঐটা ওয়েব থেকে বট দিয়ে সংগ্রহ করে, যে কারণে আমরা কোথাও মেইল ঠিকানা সরাসরি না লিখে "অ্যাট" "ডট" এসব দিয়ে লিখি।
তবে আমি বিভিন্ন ন্যাংটা সাইটের অনুরাগী দর্শক ছিলাম, এ কথা অনস্বীকার্য। ইদানীং টাইম পাই না, অনেক কাজ ...।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমি যখন সাইনডইন অবস্থায় আমার মেইলের ভিতর দিয়ে কোনো সাইটে ঢুকব, তখন কি আমি আমার অ্যাড্রেসটাসহ ওখানে ঢুকছি না? এমন কোনো প্রযুক্তি কি আসলেই নেই যে, এ ধরনের ভিজিটরদের অ্যাড্রেসটা পিক করবে?
ওয়েবের ব্যাকরণ আমি একদম বুঝি না, সম্ভবত আমি ভিজিটেড সাইটের স্প্যাম বেশি পাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকব, তাই ওকথা বলা।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
নাহ ! ব্যাপারটা এমন না। ধরা যাক আপনি ইয়াহু আর হটমেইল ব্যবহার করেন। আপনি এই মেইল একাউন্ট দিয়ে যেসব সাইটে ঢুকেন, সেগুলি সিকিউরড সাইট। এতে সমস্যা হবে না। আসলে সমস্যা হয় অন্য জায়গায়। প্রচুর ফোরাম আছে যারা তাদের রেজিস্টার্ড ইউজারদের ইমেইল ঠিকানার ডাটাবেজ বিক্রি করে দেয় স্প্যামারদের কাছে। আপনি যদি একটু খোঁজ রাখেন তাহলেই দেখতে পাবেন যে, এরকম মেইলিং লিস্ট কেনার ( এবং মাস মেইলার কেনার ) প্রচুর জায়গা রয়েছে।
অতএব, সাধু সাবধান
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
চরমস্
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
সচল মেইলই সবচেয়ে ভালো। কোনও স্প্যাম নেই।
"সিকো" দেখা হয়নি। বাকি দুটোর কথা আর কী বলবো!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
একবার পরিচিত একজনের কাছে সিকো এর ডিভিডি টা দেখে ছিনতাই করছিলাম। প্রিন্ট খারাপ ছিল। কিন্তু জিনিসটা সত্যিই দারুন।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
নরম বিস্কুট কিনেন ক্যান ভাইয়া ? শক্ত দেইখা টোস্ট বিস্কুট খাইবেন, আধা ঘন্টা চায়ে ডুবায়ে রাখলেও নিমজ্জিত হবার সম্ভাবনা এক্কেরে নাইকা।
স্প্যাম মেইলের রঙ্গ পড়ে সত্যি মজা পেলাম। আমি 'বরাহমাংস' মানে জানিনা, একটু কেউ জানাবেন দয়া করে ?
--------------------------------------------------------
০১.
অনেকদিন পর আবারও হিমুর লেখায় মন্তব্য করছি। যথারীতি হিমুময় লেখা!
০২.
আমি একবার একটা ইমেইল পেয়েছিলাম বুক উন্নত করার জন্য। সহপাঠী জর্জকে বললাম, "জর্জ আমার ওদুটো একটু টিপে দেখ তো আরও বড় করার দরকার আছে কিনা? স্বল্প খরচে বুক বড় করার একটা অফার পেয়েছি।" আমার কথা শুনে জর্জের দাঁত কপাটি লাগার দশা!
০৩.
ইশ্!!! কতদিন ত্রিভুজ খাই না। বউ ত্রিভুজের গন্ধ পছন্দ করে না তাই আমার কপালেও ত্রিভুজের মাংস জোটে না।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
হামাগুড়ি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
নতুন মন্তব্য করুন