ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্পর্কে আমার জ্ঞান শূন্যের কোঠায়, কিন্তু আগ্রহ অনেক। তাই পিলু রাগ নিয়ে কোন কেশচ্ছেদী বিশ্লেষণে যাওয়ার স্পর্ধা দেখাবো না। যা বলবো তা অন্ধকারে আঁকা ছবির মতো হবে। নিষাদ ষড়জ কোমল ধৈবতের গন্ডগোলে পা বাড়াচ্ছি না। পিলুর আরোহ অবরোহের লৈখিক বিশ্লেষণ আমার কাছে অ্যাসিটালডিহাইডের বিক্রিয়ার মতোই দুর্বোধ্য মনে হয়।
হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশিতে পিলুর চমৎকার কিছু আলাপ শুনেছিলাম। বিশুদ্ধ পিলু নয়, তার সাথে অন্য রাগের ছোঁয়া আছে। আমি যেহেতু রাগমূর্খ, তাই রাগনিষ্ঠ এক বন্ধুকে গিয়ে পাকড়াও করলাম। আমার সরল প্রশ্ন ছিলো, কিভাবে বুঝবো কোনটা রাগ পিলু? সে আমাকে পারলে ঘাড় ধরে বাড়ি থেকে বার করে দেয়। আমার মতো একজন দামড়া পিলু চেনে না, এই ফ্যাক্টটাই সে হজম করতে পারছিলো না। অনেক খ্যাঁচাখেঁচির পর যা বুঝলাম, স্বরবিন্যাসের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম মারপ্যাঁচ না শিখে এই হোঁদলের সাথে আলাপ করতে যাওয়া বৃথা। যা শিখলাম, তা হচ্ছে পিলুর জাতগোত্র, এটি কাফি ঠাটের রাগ (দেখলাম শুনলাম কিছুই বুঝলাম না)। স্বরগ্রামের সাতটি স্বরই এতে ব্যবহৃত হয় (খুব ভালো কথা)। আরোহ অবরোহের গতিপ্রকৃতি সব মাথার উপর দিয়ে যাওয়ায় মেজাজ গরম করে ঠিক করলাম, পিলুর ওপর লেকচার না শুনে বরং পিলুই শুনি।
পিলু কিছুটা বিষন্ন রাগ, এর মধ্যে একটা একাকীত্বের হাহাকার আছে। মনে আমার পাই নে লো খেই, কে যেন নেই কী যেন নেই গোছের একটা অন্তর্গত দীর্ঘশ্বাস ছড়ানো থাকে। শেষ বিকেলের পড়ন্ত আলোয় কোন পুকুর পাড়ে একা বসে থাকার অনুভূতিটা জেগে ওঠে বার বার পিলু শুনলে।
কাসেলে শীত আবারও তার করাঙ্ক রাখছে প্রতিদিন। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখছি, সব পাতা হারিয়ে গাছগুলো দাঁড়িয়ে আছে চুপচাপ, পেছনে মলিন ইস্পাতরঙা আকাশ। ধূমায়িত চায়ের কাপ ঠান্ডা হয়ে আসে আমার ভেতরটার মতো, ল্যাপটপে বড়ে গুলাম আলি মিনতি করে চলেন প্রিয়ার কাছে, কথা বলো, অভিমান করে থেকো না, সাইয়াঁ বোলো, তনক মোসে রাহিয়ো না যায়।
Piloo_Bade Ghulam ... |
মন্তব্য
বাহ! দারুন লাগল
পিলু রাগটা আমি শুনিনি, খুব ভাল লাগল, আসলেই একটু বিরহ মাখা বিকালের চা নিয়ে শোনা টাইপ। কাফি করেছি, তবে আমার কাছে প্রিয় ভৈরব আর ভৈরবী, ভোরবেলা চায়ের সাথে এদুটো শোনার মজাই আলাদা। ইমন ও দারুন লাগে। অনেকদিন পর হারমনিয়ামটা নিয়ে খুব বসতে ইচ্ছা করতেসে।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
রেকর্ড করতে পারলে পডকাস্টিং কইরেন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমার প্রিয় রাগ - রাগ ইমন।
জানি এখনই আপনি আমার উপর খেইপা গ্যালেন
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
উঠতি বয়সের ছোকরারা এই রাগ খুব পছন্দ করে। আমার মতো একটু পাক ধরা ছোকরারা আবার রাগ ইমন ভালো পায় না। তারা পিলু, খামাজ, পাহাড়ি, মারু বেহাগ, ভৈরোঁ, মালকোষ ইত্যাদি বেশরিয়তি রাগ শোনে ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধূ গো আসুক, রাগের পছন্দের ব্যাপারে ফয়সালা হবে
ভালো কথা, আপনি যদি রাগারাগি বেশি পছন্দ করেন, তবে মেসেঞ্জারে আমারে একটু টোকা দিয়ে দেখতে পারেন। পছন্দের কিছু পাইলেও পাইতে পারেন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
রাগ প্রভালুটি
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমরাও একটা বলতাম, 'খামচাইয়া খ্যাম্টা তাল, বেড়াভাঙ্গা রাগিনী'।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
- ধুগো রাগ ইমনের ব্যাপারে কিছুই জানে না (হিমু জানলেও জানতে পারে)। ধুগো পিলু সম্বন্ধেও খুবেকটা জানেনা এক্সেপট... একটা মেয়ের নাম ছাড়া! তার বড় বোনের নাম ছিলো 'ইতি', আমার সঙ্গে ফাইভে পড়তো। দুই বোনকে ক্ষেপাতাম, "কখনো চিঠি লিখতে হলে কী লিখবে, 'ইতি- পিলু'!"
ঠুমরি শুনতাম একসময়, এখন কোনো কিছুতেই 'জুইত' পাইনা। আর রাগ-ইমন তো অবশ্যই না। কেমন একটা কঠিন অসুখের কথা মনে ভেসে ওঠে এই রাগের নামটা শুনলেই!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বড়ে গুলাম আলীর তুলনা নেই। আপনি কি কুদরত রঙ্গী বিরঙ্গী পড়েছেন?
না, পড়া হয়নি। সুযোগ পেলে পড়ে দেখবো। ইলেকট্রনিক সংস্করণ সুলভ কি?
বড়ে গুলাম আলির আসলেই তুলনা হয় না। কী অনায়াস সব কারুকাজ! তাঁর কণ্ঠটি অর্বুদে এক। মুনাওয়ার আলি খানের গান কিন্তু তেমন একটা ভালো লাগেনি। পিতার রসসিক্ত কণ্ঠটি তিনি উত্তরাধিকারে ব্যর্থ হয়েছেন।
ওস্তাদজি নাকি দেশভাগ নিয়ে দুঃখ করে বলেছিলেন, যদি প্রতিটি পরিবারে একটি করে শিশুকে সঙ্গীত শেখানো হতো, ভারতবর্ষ বিভক্ত হতো না। কথাটা একেবারে মর্মে অনুভব করতে পারি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
খেয়ালে সীমিত আর ধ্রুপদে আদৌ পদচারণা না থাকলেও ঠুমরি আর দাদরায় বড়ে গুলাম আলী খাঁর মাপের শিল্পী কখনো আসেনি, আর কখনো আসবেও না। তাঁর কণ্ঠের বেদনার্ত রোমাণ্টিকতা যেন কাপড় চেপার মত করে মনটাকে মোচড়ায়।
উদ্ধৃতি:
যদি প্রতিটি পরিবারে একটি করে শিশুকে সঙ্গীত শেখানো হতো, ভারতবর্ষ বিভক্ত হতো না।
অসাধারণ!
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
এইখানে (একটু নীচে স্ক্রোল করতে হবে) দেখছি উনার বইগুলো আছে। মোটামুটি সস্তাই।আর ইন্ডিয়ান ক্ল্যাসিকাল নিয়ে শীলা ধারের Raga'n Josh-ও বেশ মুচমুচে মজাদার লেখা। গুগল বুকস-এ পাওয়া যাচ্ছে।
আমি পড়েছি। অত্যন্ত সুলিখিত একটা বই। যদিও কুমার মুখোপাধ্যায়ের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে পুরো বিষয়টা দেখা, তারপরও কুমার গন্ধর্ব ও কেশরবাঈ কেরকারের মূল্যায়নটা একদেশদর্শী আর পক্ষপাতদুষ্ট বলে আমার মনে হয়েছে।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
আমি মনে করেছিলাম আপনি রাগারাগি ধরতে পারেন। জিজ্ঞাসা করতে চাইছিলাম রাঘবের গানটা কোন রাগের। রাগারাগি না বোঝার জন্য চাপাবাজির বহু চান্স মিস করতেছি
অনিকেত দা কই গেল?
আমি আসলে অনুরাগপন্থী। দেখেন না, আমার ব্লগিঙের শিরোনামেই আছে, সুন্দরী বালিকাদের যত্ন করে কামড়াই। গুসসা নয়, এশক-ই আমার অভিলক্ষ্য ।
রাঘব সাহেবের রাগ শনাক্ত করার মতো রাগপটু এখনও হতে পারিনি। নিকট ভবিষ্যতে হবো সেই লক্ষণও দেখছি না। আনিস ভাইয়ের শরণাপন্ন হতে পারেন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত নিয়ে একসময় কিছুটা ঘাঁটাঘাঁটি করেছিলাম। ঘাঁটাঘাঁটি মানে ওটাই ছিল আমার সেই সময়ের ধ্যান ও জ্ঞান, লক্ষ্য ও মোক্ষ। সপ্তাহে তিনদিন বিকেলের একতা এক্সপ্রেসে চড়ে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতাম। রাত এগারোটা পর্যন্ত তাজমহল রেস্টুরেন্টে বসে শামসুল ফয়েজ বাচ্চু, নাজমুল করিম সিদ্দিকী, মোশাররফ মীর, নীহার সরকার, সেলিম মাহমুদ, আহসান ইকবাল, তপন রশীদ নামের বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে ঢুকতাম কবরখানা রোডে চিরকুমার বদরু ভাইয়ের ডেরায়। আসল নাম বদরুল হুদা, কিন্তু এই নামেই সবাই তাঁকে চেনে। দারুণ প্রতিভাবান এই মানুষটি সারাজীবন লুকিয়েই রাখলেন নিজেকে।
বদরু ভাই ছিলেন বিপিন দাসের ছাত্র এবং বিপিন দাসের পুত্র সমীর দাসের প্রথম গুরু। আর অসম্ভব প্রতিভাবান বিপিন দাস ছিলেন গৌরীপুর রাজসভায় বিলায়েত্ খাঁর বাবা এনায়েত খাঁর সহশিল্পী, যদিও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা তাঁর অকালপ্রয়াণের কারণ হয়।
বদরু ভাই তাঁর বাড়ির একটি অংশে একটি দরিদ্র পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। সেই পরিবার তাঁর রান্না করে দিত। ঘর-দুয়ার পরিষ্কার আর জামা-কাপড় ধোয়র কাজ নিজেই করতেন।
তো তাঁর আস্তানায় গিয়ে ঢাকা-দিয়ে-রাখা একজনের খাবার দুজনে মিলে শেষ করতাম। তারপর চলত সারারাত ধরে তালিম। ভোরবেলা আবার ফিরতি একতা এক্সপ্রেসে চড়ে ঢাকায় ফিরে আসা, ভার্সিটির ক্লাস করা, ইত্যাদি।
সামান্য এই স্মৃতিচারণের সুযোগ করে দিল এই চমত্কার পোস্টটি। ধন্যবাদ হিমু।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
আনিস ভাই, মেইলখানা চেক করতে হয় আপনাকে।
আপনার স্মৃতিচারণ আমার বদখদ পোস্টে মন্তব্য হিসেবেই না থেকে আরেকটু স্বাস্থ্যবান হয়ে পোস্ট হিসেবে ফুটে উঠলে কেমন হয়? আরো পড়তে চাই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
মুনাব্বর আলী খানের ব্যাপারে একমত। বইটির ইলেকট্রনিক সংস্করণ চোখে পড়েনি। আপনি সেভাবে চাইলে প্রাচীন পদ্ধতিতে পাঠানো যেতে পারে।
আনিস ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে আনন্দ পেলাম, কারণ, এই বান্দা আবার বদরু ভাইয়ের দানের প্রসাদের ছিঁটেফোঁটা আনিস ভাইয়ের কাছে শুনেছে যৌবনকালে। অনেক অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
আমি তাহলে খোঁজ নিয়ে দেখবো বইটির ব্যাপারে। আনিস ভাইকে পডকাস্টিং ধরাতে হবে মনে হচ্ছে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
পডকাস্টিং কী? :-/
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
কে রে ভাই আপনি?
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
আজকাল ব্লগে বেশী আসা হয়না, তাই অনেক লেখাই পড়া হয়না। আপনার লেখাটি পড়ে বড় ভাল লাগলো। আমি দুর্ভাগা মানুষ, ঈশ্বর আমাকে সংগীতরসের আস্বাদনের যোগ্য কানজোড়া দিতে ভুলে গিয়েছিলেন। বড়ে গোলাম আলী খান সাহেবের একটি গানই বারবার শুনি। "আয়ে না বালাম, ক্যাঁ করু সাজনী"। এটি বোধহয় ঠুমরী গোত্রের গান, কি রাগ তা বলতে পারবো না। কেন জানিনে খান সাহেবের আর কোন গান শুনতে ইচ্ছে হয়না।
আপনার লেখাটি পড়ে ভাবছি আরো কিছু গান শোনা উচিত খাঁ সাহেবের গাওয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
রাগ বিষয়ক কিছু জানতে চাইলে আমি বই পুস্তক থেকে হুবহু কপি করে দিতে পারবো। দিলে শুনতেও পারবো। কিন্তু এর বেশি এলেমও নাই তালিমও নাই।
তবে শিরোনাম পড়ে ভাবছিলাম আপনে বুঝি পিলু মমতাজের কথা বলতেছেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আহ! নস্টালজিক করে দিলেন আমাকে। ভ্রষ্ট জনতা আজ মমতাজ বললে মমতাজকে চেনে, ভুলে যায় পিলু মমতাজকে, ঠিক যেভাবে একটা সময় এরশাদ বললে আমার ভাগ্নি লেজেহোমোকে ফেলে এরশাদ শিকদারের ছবি দেখাতো আঙুল তুলে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের "কুদরত রঙ্গিবিরঙ্গি' আনন্দ পাবলিশার্সের বই৷ ইলেকট্রনিক ভার্সান নেই৷ কারো ব্যক্তিগ ত্সংগ্রহের বই স্ক্যান করে এস্নিপ্সে তুলতে পারেন, তবে পাবলিক ফোল্ডারে রাখলে ওরা কপিরাইট আইনের জন্য ডিলিট করে দিতে পারে৷
বড়ে গোলাম আলি খান নমস্য৷ কিন্তু আমার আরেকজন প্রিয় গায়ক হলেন আব্দুল করিম খান৷ পিলু নয়, কিন্তু অন্য কিছু রাগের সংগ্রহ http://www.esnips.com/playlist/65bc608c-4c43-43ff-9a97-04dbd495a312এখানে
সবাই শুনেছেন নিশ্চয়, তবু দিলাম৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
রাগ অনুরাগ বুঝি না; গান ভাল্লাগছে....
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
উদ্ধুতি: "কুমার গন্ধর্ব ও কেশরবাঈ কেরকারের মূল্যায়নটা একদেশদর্শী আর পক্ষপাতদুষ্ট বলে আমার মনে হয়েছে।"
আনিস ভাই, তা হতে পারে কিন্তু সেটাতো একান্তই কুমারপ্রসাদের দৃষ্টিভঙ্গী। পুরো বইটিই তো তাই কাজেই আমি তাতে দোষের কিছু দেখিনা।
তবে আব্দুল করিম খাঁন সাহেবের মৃত্যুদৃশ্যটির কথ যা লিখেছেন, ভাবুন তো!
ঊদ্ধৃতি: "কে রে ভাই আপনি?"
এটি কী আমার উদ্দেশে?
তাহলে বলবো: হে হে হে
নিবন্ধন করে না থাকলে নিবন্ধন করে নিতে পারেন সচলে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
এটা যে কুমারপ্রসাদের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি সেটা আমিও উল্লেখ করেছি। তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই; থাকার কোনো কারণ নেই। 'একদেশদর্শী আর পক্ষপাতদুষ্ট' আমার ভুল শব্দচয়নের ফল; আসলে কুমার গন্ধর্ব আর কেশরবাঈয়ের মূল্যায়নটা প্রায় গালাগালির পর্যায়ে নিয়ে গেছেন কুমারপ্রসাদ। আপত্তি সেখানেই। এতে ক্ষতি অবশ্য কুমার গন্ধর্ব বা কেশরবাঈয়ের হয়নি, বরং দুর্দান্ত একটি বইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এই দুই মহান শিল্পীর মহিমা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।
ভাই, আর কত রহস্য করবেন? হিমুর পরামর্শটা কিন্তু আমার মনে ধরেছে। মেনে নিন।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
কী হইল আপনাদের?
সবাই মিলে বলছেন, আপনাদের "রাগ" ভালো লাগে... কয়দিন পর কইবেন যে, আমাদের "ক্ষোভ"ও ভাল্লাগে... "হতাশা" আরো বেশি ভাল্লাগে...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
দৃশা আপার সৌজন্যে আরেকখান তুলে দিলাম। কাজী সাহেবের গান, সাদিয়া আফরিন মল্লিকের কণ্ঠে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
পিলু হিসেবে হয়ত শুনি নাই, তবে মনে হয় শোনা হইছে ।
পিলু শুইনাই আমার মাথায় প্রথম লাইন যেইটা আইছে তা হইল "এ পিলু পিলু ক্যা হ্যায়, এ পিলু পিলু"
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
- "কেশচ্ছেদী"??
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গানটা দারুণ!
লেখা আর মন্তব্যগুলো পড়ে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিষয়ে নিজের জ্ঞানের দীনতায় বড়োই কুণ্ঠিত হচ্ছি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আনিস ভাই, আপনার কথা ঠিক। আপনি তা উল্লেখ করেছেন। হয়তো হতে পারে ভুল শব্দচয়ন। তবে আমার মনে হয়, কুমার সাহেব তাঁর বইয়ে শিল্পীর পেছনে যে মানুষটি বাস করেন তাঁকেই দেখাতে চেয়েছেন আমাদের। এসব মহান শিল্পীরা যে আবার ধুলোমাটির কাছের মানুষও ছিলেন তাদের ব্যক্তিগত জীবনে হয়তো তাই তিনি দেখিয়েছেন।
শিল্পীদের নিয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে, আরো লেখা হবে। অনেক বই লেখা হবে অপ্রত্যক্ষ সূত্রের বরাতে। কিন্তু কুমার সাহেব নিজে এসব মহারথীদের কারো কারো শিষ্য ছিলেন আর এত কাছ থেকে এঁদের অনেককে দেখেছেন যে তাঁর লেখাকে আমি অভিযুক্ত করেতে চাইনা, দ্বিমত তাঁর সাথে থাকতেই পারে।
কুমার গন্ধর্ব সম্পর্কে আর কি বলবো? তাঁর গাওয়া যেসব গান আমরা শুনেছি তা তো সে সময় মায়ালোকশ্রুতই মনে হত। কুমার সাহেব যে তাঁর সম্পর্কে অতটা মুগ্ধ নন, তা তাঁর বিচারে। আমার মত গন্ডমূর্খের সেখানে কিছু বলার স্পর্ধা থাকা উচিত নয়।
মনে করুন রবিশঙ্করের কথা। অনেকের কাছেই তিনি সিতারের শেষ কথা। আপনার, আমার কাছে নয়।
শেষ পর্যন্ত আমার মনে হয়, কুমার সাহেব আমাদের দেখিয়েছেন যে, এই মানুষগুলো অনেকেই খুবই দীন-দরিদ্র পরিবেশে থেকে গেছেন আজীবন, স্মর্তব্য, খলিফা বদল খাঁ। অনেকরই ব্যক্তিজীবন, সংসারজীবন প্রাত্যহিকতার বিচারে অসফল। কিন্তু যখন সেই মানুষটি তাঁর লোকসামান্য প্রতিভার কিছু আমাদের প্রসাদ দিয়েছেন তখন আর তাঁরা সেসব ধুলোমাটির মানুষ থাকেননি। হয়ে উঠেছেন অসামান্য, একেকজন রাজাধিরাজ। তাঁদের সালাম। আপনাকেও।
সালাম আপনাকে, মাল্যবান।
আপনি আর আমি কিন্তু একই ভাষায় কথা বলছি। কুমার সাহেব কাউকে ধুলোমাটির মানুষ হিসেবে দেখিয়েছেন আবার কারুর জন্য নির্মাণ করেছেন অভ্রভেদী সিংহাসন (আবদুল করিম খাঁ, ফৈয়াজ খাঁ স্মর্তব্য), এই বিষয়টিই আমাকে আহত করেছে। তাঁর বিচারের মানদণ্ডও খুব পরিষ্কার নয়। কাউকে তিনি বিচার করেছেনে তত্ত্ব দিয়ে, আবার কাউকে আবেগ দিয়ে। চরিত্রগত দিক দিয়ে বইটি যদি পুরোপুরি আত্মজৈবনিক হত, আমার তাতে বলার কিছু ছিল না।
অন্য প্রসঙ্গ: আমি মনে হয় গাধা হয়ে যাচ্ছি। সেতার বিষয়ে আমার পছন্দ-অপছন্দের এতটা খোঁজ রাখেন আপনি, অথচ আপনাকে চিনতে পারছি না... নাহ্, নিজেকে আর ক্ষমা করা যাচ্ছে না।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
গানের রাগ-মাত্রা বুঝি না।
কিন্তু লাগছে মারাত্মক। জাঝা
এই রাগ আগে শুনিনাই, এমনিতেই সংগীতের বিষয়ে আমি একেবারেই অজ্ঞ। পিলু রাগ দেখি ভালই লাগে।
--------------------------------------------------------
বহুদিন ধরি বহু সাইট ঘুরে বহু ব্যয় করি বহু লিংক ঢুঁড়ে ... শেষমেশ পেলাম এই বিশেষ পরিবেশনটি। হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশিতে মিশ্র পিলু। সাথে আছেন সম্ভবত রাকেশ চৌরাসিয়া। তবলায় যিনি আছেন তাঁর নাম জানি না।
.
.
.
.
.
.
বড়ে গুলাম আলির "কাটে না বিরহা কি রাত"।
নতুন মন্তব্য করুন