শিরোনাম শুনলে বিরাট প্রবন্ধের মুখচ্ছবি কল্পনায় আসতে পারে, কিন্তু শুরুতেই সে কল্পনায় কাঠি দিলাম।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিগত নির্বাচনগুলোতে ক্যাম্পেইনের প্রকৃতি বা তীব্রতা সম্পর্কে জানার সুযোগ আমার কম ছিলো। কারণ হিসেবে প্রথমে ছিলো যথাযথ আগ্রহের অভাব, আর মিডিয়ার দুর্লভত্ব। দেশে সিএনএন দেখার সুযোগ ছিলো, এর বাইরে কিছু নয়। ফলে খুব জরুরি কিছু ইভেন্ট ছাড়া আর কিছুই দেখার উপায় ছিলো না।
ব্লগের কল্যাণে (হাফিংটনপোস্টের নামই করবো সবার শুরুতে) ওবামা বনাম ম্যাকেইন প্রচারাভিযানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে খানিকটা আঁচ পাওয়ার সুযোগ এসেছে। প্রার্থীদের মধ্যে কে কী নিয়ে লড়ছেন, প্রতিপক্ষের কোন রন্ধ্রটিতে আঙুল ঢোকাচ্ছেন, সে সম্পর্কে অর্ধস্বচ্ছ একটা ধারণা তৈরি হয়েছে।
তবে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গাঢ় পেনিট্রেশনের কারণে এই প্রচারাভিযানে টেলিভিশন যে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে, সেটা পরিষ্কার। ফক্স, সিবিএস, কমেডি সেন্ট্রাল, এইচবিওসহ আরো কয়েকটি চ্যানেল প্রায় দুই বছর ধরে চলতে থাকা এই নির্বাচন ক্যাম্পেইনকে প্রভাবিত করে চলছে।
রাজনৈতিক মেরুমুখিতা অনুযায়ী বিভিন্ন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক তাদের অনুষ্ঠানগুলিতে রাজনৈতিক প্রচারযন্ত্র খুলে ধরছে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই আমার। তারেক রহমান বা ফালুর লুটপাটের টাকায় গড়া দু'টি টেলিভিশন চ্যানেলের আমি মুগ্ধ দর্শক ছিলাম (আহ, সেই সংবাদপাঠিকারা!), অনেক সন্ধ্যায় তারেকমুখী বা ফালুমুখী সংবাদ জুলজুলদৃষ্টিতে চেয়ে দেখেছি (ওরেরে, সেই সংবাদপাঠিকারা!)। তবে মার্কিন টেলিভিশনের শক্তি এর মাত্রায়।
স্যাটারডে নাইট লাইভ [এসএনএল] যেমন বহু বছর ধরে জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান, সারাহ প্যালিন উপরাষ্ট্রপতি পদে ম্যাকেইনের মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই অভিনেত্রী টিনা ফে তার ইমপারসোনেশন শুরু করেছেন। দূর থেকে টিনার সাথে সারাহ প্যালিনের পার্থক্য করা একটু মুশকিলই। প্যালিনের কথায় মধ্য-পশ্চিমের টান টিনা ফে চমৎকার অনুকরণ করতে পারেন, সেইসাথে প্যালিনের শারীরভঙ্গিও তিনি রপ্ত করে ফেলেছেন। ফলে প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা বা বিতর্কের পরপরই শনিবার রাতে এসএনএলে টিনা ফে এসে প্যালিনকে নির্মমভাবে পঁচান। একটি পর্বে তিনি কেটি কুরিকের সাথে সারাহ প্যালিনের সাক্ষাৎকারে ব্যবহৃত অসংলগ্ন সংলাপ প্রায় হুবহু ডেলিভার করে লোক হাসিয়েছেন। বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে সারাহ প্যালিনের অজ্ঞতা থেকে শুরু করে তার ব্যবহৃত অসংবৃত বুলিগুলো (যেমন হকি-মম, জো সিক্সপ্যাক ...), সবই সেই ইমপারসোনেশনে মেশানো হয়।
কেবল প্যালিনকেই পঁচানো হয় না, ওবামা, ম্যাকেইন, ক্লিনটন, হিলারি, বুশ (উইল ফ্যারেল বুশকে পঁচানোর জন্যে আসেন, এক কথায় অনবদ্য), সবাইকেই কমবেশি ধোলাই করা হয় এসএনএলে।
তো সেই এসএনএলে এই ভাঁড়ামিরই একটি অংশ হিসেবে সম্প্রতি খোদ সারাহ প্যালিন (গত হপ্তায়) এবং জন ও সিন্ডি ম্যাকেইন (এ হপ্তায়) এসেছিলেন। মিডিয়ার প্রভাব কতটা সুদূরগ্রাসী হলে কোন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী একটি লোক-হাসানো অনুষ্ঠানে অন্যের লেখা বুলি আউড়ে অভিনয় করতে রাজি না হয়ে পারে না, সেটিই আমার বিস্ময়ের কারণ।
মন্তব্য
- কানেকশন খুব ঝামেলা করতেছে। দেখতে পারতেছিনা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার মনে হয় লোকজন এ ধরনের ব্যঙ্গরসাত্মক অনুষ্ঠানে মজা পায় এবং হাল্কাভাবে নেয়। এজন্যই এই অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা। আর রাজনীতিবিদেরা গেছে পাবলিকেরে এই কথা বুঝাইতে যে তারা এতে মোটেও মনক্ষুন্ন না। বরং তারাও মজাটা বুঝতে পারছে।
তবে টিনা ফে সত্যিই অনবদ্য বিশেষ করে স্যারাহ প্যালিনের ক্ষেত্রে। প্যালিনের ক্ষত শুকাতে সময় লাগবে। প্যালিন যদি টিনা ফে কে একলাএকলি পায় তাহলে যে কী করবে!! তাকে শেষ পচানোটা পচিয়েছে শেষ দিন যখন সে এনএসএলে গেল।
আপনার মত টিনা ফের ব্যাপারে আমিও মুগ্ধ। কারণ সে প্যালিনকে প্রায় হুবহু অনুকরণ করতে পারছে। ব্যাঙ্গরস সহ।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
না, প্যালিনের সাথে ফে-র নাকি খাতির হয়ে গেছে। এইটা নিয়ে টিনা ফে আবার সাক্ষাৎকার দিয়েছে একটা। সারাহ প্যালিন নাকি টিনার বাচ্চাকে বেবিসিট করার জন্য তার মেয়ে ব্রিস্টলকে এগিয়ে দিতে চেয়েছিলো। এটা নিয়ে টিনা খুব মুগ্ধ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
This was the reaction published by politichill after Tina Fey impersonation of Sarah Palin at SNL.
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
দেখা তো দূরের কথা আমি তো কোনো লিঙ্কই পাইলাম না... খালি সাদা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই জন ম্যাকেইনকে দেখে ভাল লাগলো অনেক দিন পর। পুরনো ম্যাকেইনকে দেখলাম এক ঝলক। এই লোক নির্বাচন করলে জিততো ঠিকই। কিন্তু ম্যাকেইন তো নিজের আত্মা বেঁচে দিয়েছেন ডানপন্থীদের কাছে।
আর স্যারাহ পেলিনের নির্বুদ্ধিতার আরেকটি নিদর্শনঃ
কানাডার একটি রেডিও-র দু'জন মিলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সেজে তাকে ফোন করেছিলেন। আধো আধো ফ্রেঞ্চ উচ্চারণে অনেক রকম আজে-বাজে কথা বললেও পেলিন কিছুই বুঝেননি।
তাঁকে বলা হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট সারকোজির বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি জনি হলিডে (ফ্রেঞ্চ গায়ক!) এর সাথে মিলে ম্যাকেইন-পেলিনের ক্যাম্পেইন দেখছেন।
তাঁকে বলা হয়েছিল 'হাস্লার' (প্লেবয় ম্যাগাজিনের মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী) থেকে বের করা "নেইলিন্ পেইলিন্" নামক পর্ণোগ্রাফিক মুভির কথা। বলা হয়েছিল যে সেটি নাকি পেলিনের জীবন নিয়ে করা!
বলা হয়েছিল যে সারকোজির বৌ নাকি পেলিন-কে নিয়ে গান লিখেছেন। জিজ্ঞেস করা হয়েছে জো-দ্য-প্লামার তাঁর স্বামী কিনা।
পেলিন কিছুই বুঝেননি এগুলো নিয়ে বলার সময়।
কলের শেষে বলা হয়েছে, "ইফ ওয়ান ভয়েস ক্যান চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড ফর ওবামা, ওয়ান ভায়াগ্রা ক্যান চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড ফর ম্যাকেইন!"
(যাদের ইউটিউব ভিডিও দেখতে সমস্যা হতে পারে, তাদের কথা ভেবে অনুলিপি জাতীয় কিছু একটা দিয়ে দিলাম।)
রফিক আজাদের কবিতায় ছিল- 'সাদা জুঁই তুমি সাদা ভাত হও'।
এখানে আমরা বলছি,সাদা খালি জায়গা তুমি লিংক হও।
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
সিবিসি লিঙ্কগুলোতে স্টারবাক্সের বার্তাটি ভাল লেগেছে। আমাদের দেশের ভোটের মতই ফ্রি গরম পানীয়। পার্থক্য যে এখানে আপনাকে বলতে হবে না আপনি কোন দলের ভোটার...তা কোন সমস্যা না... রিপাবলিকানেরা তো এম্নিতেই স্টারবাক্সে ঢুকবে না।
অনেকে ভিডিও দেখতে পাচ্ছেন না বলে দুঃখিত। আমার মনে হয় রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে কোন রকম স্যাবোটাজ করা হয়েছে। তবে বেশিক্ষণ আটকাতে পারবে না। আর মাত্র একদিন বাকি।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
টিনা সোনা এখন আর এসএনএলে নাই । ২০০৬-এ নিজের শো 30-Rock করার জন্য এসএনএল ছেড়ে দিসে। এখন সারাহ পেলিনের সাথে মিল দেখে এসএনএল তারে দুই মাসের জন্য রিকোয়েস্ট করে আনসে। সে অলরেডি পাব্লিকরে কইসে 'নভেম্বর ৫ তারিখের পর আমাকে যেন আর সারাহ পেলিন হইতে না হয়, আপনারা সে ব্যবস্থা করেন, আমার সারাহ পেলিন করার মত টাইম নাই'।
এসএনএলে পলিটিক্যাল ফিগাররা প্রায়ই আসে। কিছুদিন আগেই আল গোরকে পুরো শো হোস্ট করতে দেখছি। সাধারণত কোন বিখ্যাত ব্যক্তি এসএনএলের হোস্ট হয়। এসএনএলের কাস্ট মেম্বাররা তাকে সাপোর্ট দেয়। এসএনএলের হোস্ট হওয়া মানে তাই অনেকের ক্যারিয়ারে একটা মাইলস্টোনে পৌঁছানোর মত। জন ম্যাককেইন এসএনএলে আসছে- এটাতে তাই আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। তার প্রচারণার স্বার্থেই সে এটা করসে।
লিংকগুলোর জন্য ঝাজা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
নাখান্দা বাঙাল আমি কিছুই বুঝিলাম না। এইখানে কি বুঝিবার কিছু ছিল ? থাকিলে দুঃখের কথা ! না থাকিলে বহুৎ খোশ !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নতুন মন্তব্য করুন