গত বারোই নভেম্বর, বুধবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছয়টি শহরে প্রায় ১.২ মিলিয়ন কপি নকল ১৪ পাতার "নিউ ইয়র্ক টাইমস" বিতরণ করা হয়েছে। জুলাই ৪, ২০০৯ (জুলাই ৪ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস) তারিখ ছাপা এই পত্রিকা জুড়ে রয়েছে লিবারেল রাজনীতির অনুসারীদের কাম্য রাজনৈতিক পরিবর্তনের নকল খবর। প্রথম পাতায় বিশাল ছবি আর ক্যাপশনসহ রয়েছে ইরাক যুদ্ধ অবসানের খবর। আরো রয়েছে ব্যাপক ধ্বংসী যুদ্ধাস্ত্রের জুজু প্রসঙ্গে সাবেক মন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা, সেনাদের ইরাক থেকে ঘরে ফেরার কয়েক রকমের খবর, স্বাস্থ্য বীমা সংক্রান্ত আইন পাস, বুশের বিচার প্রক্রিয়া শুরু, অন্তর্দহন যান নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ নানা খবর। মনসান্তোর ব্যানারে সেখানে রয়েছে কীটনাশকের বদলে গুবরেপোকা দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে ফসলের কীট ধ্বংসের বিজ্ঞাপন, এক্সন-মোবিল সেখানে ইরাক যুদ্ধের পেছনে নোংরা কৌশলকে বিশদ ব্যাখ্যা করে নতুন শক্তি সরবরাহ নীতি অনুসরণের প্রতিজ্ঞা করছে। এমনই আরো মজার সব "সংবাদ" রয়েছে চৌদ্দ পাতা জুড়ে।
যে ওয়েবসাইটটির রেফারেন্সসহ এই নকল সংবাদপত্র মানুষের হাতে হাতে বিলানো হয়েছে, সেটি দেখতেও নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতোই। নিউ ইয়র্ক, লস এঞ্জেলস, সান ফ্রান্সিসকো, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া আর ওয়াশিংটন জুড়ে অনেক স্বেচ্ছাসেবী এই "সংবাদ"পত্র বিতরণের কাজে যোগ দিয়েছেন। এর রূপকাররা হচ্ছেন জনৈক চলচ্চিত্র উদ্যোক্তা, টাইমসের তিনজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মী, এবং স্টিভেন ল্যাম্বার্ট, জনৈক চারুকলা অধ্যাপক। বারাক ওবামাকে এই পেপার ছাপিয়ে একটা মেসেজ দিতে চেয়েছেন তারা, জো ওয়াদা কিয়া ও নিভানা পাড়েগা।
সফটওয়্যার আর ইন্টারনেটে সহায়তা জুগিয়েছে "ইয়েস মেন" নামে একটি গোষ্ঠী। তারা জানিয়েছে, প্রায় ছয় মাস প্রস্তুতির পর ছয়টি প্রেসে এই কাগজটি ছাপা হয়েছে। "দ্য ইয়েস মেন" নামে একটি ননফিকশন চলচ্চিত্রও মুক্তি পেয়েছিলো ২০০৪, যেখানে এই ইয়েস মেন এর রাজনৈতিক প্র্যাঙ্কগুলো স্থান পেয়েছে। একটি উদাহরণ ছিলো এমন, অস্ট্রিয়ার জালৎসবুর্গে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে নাম ভাঁড়িয়ে একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলো ইয়েস মেন এর একজন, অ্যান্ডি বিশলবাউম, এবং তার বক্তব্যের মোদ্দা কথা ছিলো, মার্কিনীদের উচিত তাদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট নিলামে তুলে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে বিক্রি করা, আর ডাব্লিউ.টি.ও.র আসল কাজ হচ্ছে "এক দুনিয়া এক সংস্কৃতি" চালু করা। তারা একই কাজ ফিনল্যান্ডেও একটি ট্রেড কনফারেন্সে নাম ভাঁড়িয়ে অংশগ্রহণ করেছিলো, যেখানে তাদের ওয়েবসাইটটি হুবহু ডব্লিউ.টি,ও.-র ওয়েবসাইটটির মতো সাজিয়ে ফিনিশ কর্তাদের ধোঁকা দেয়া হয়েছিলো। এবারে তাদের বক্তব্য ছিলো, ডব্লিউ.টি.ও, অচিরেই ভেঙে দিয়ে গরীববান্ধব বাণিজ্যের পথ উদারীকরণ হবে শিগগীরই।
তবে এমন ধোঁকা এ-ই প্রথম নয়। ১৯৯৯ এর এপ্রিল ফুল'স ডে-তে রিচার্ড ব্র্যানসন এক লক্ষ কপি নকল নিউ ইয়র্ক টাইমস ছাপিয়েছিলেন।
মন্তব্য
নিউজ.কমে একজনের মন্তব্য ছিলো এরকম:
ওই প্র্যাংক নিউজেরপেপারে যত সত্য কথা আছে আসলটাতে তার ছিটেফোটাও নাই।
.
ইয়া হাবিবি!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
- ওয়েব সাইটের তারিখ তো বলছে আগামি বছরের কথা। যে কাগজ বিলানো হয়েছে সেখানেও কি এই তারিখ ছিলো, থাকলে সেটা কারো চোখে পড়ে নি?
অবশ্য নাও পড়তে পারে। কারণ আম্রিকানদের মতো ভুদাই ম্যাঙ্গোপিপোল খুব কমই আছে সারা দুনিয়ায়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চট করে তারিখটা অনেকেরই চোখে পড়বে না। যেটা হয়, উই টেইক ইট ফর গ্র্যান্টেড।
হাঁটুপানির জলদস্যু
নাম বলতেছি না... কিন্তু বাংলাদেশে সার্কুলেশনের দিক দিয়া দৈনিকগুলার মধ্যে সেরা ৫টার মধ্যে একটা পত্রিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় এক সাপ্লিমেন্টারির তারিখ দেখে তো আমি অবাক। তারিখ ঠিক আছে কিন্তু ২০০৭এর জায়গায় ২০০৬...
আরো কয়েকটা নিয়া খেয়াল করে দেখলাম তারা পুরা বছর ধইরাই ভুল ইংরেজী সন ছাপিয়ে আসছে।
সেই সাপ্লিমেন্টারির বিভাগীয় সম্পাদক বন্ধু মানুষ... তারে ফোন কইরা কইলাম করছস কি?
সে তো খেয়াল কইরা অবাক। আমি যাতে এই ঘটনা কাউরে না কই (কইলে নির্ঘাত্ চাকরি নট) সেই অজুহাতে অবশ্য মদ্যপান করাইছিলো।
আমি কিন্তু কাউরে কই নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ। অনেকেই নিউইয়র্ক টাইমসের পশ্চাতদেশ পছন্দ করে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ব্যাপারগুলা জানতাম না। মজা লাগলো।
কিন্তু এ ব্যাপারে এন ওয়াই টাইমস কোন মামলা মোকদ্দমা করে নাই?
-----------------------------------
তুমি যা জিনিস গুরু আমি জানি, আর কেউ জানে না
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
মোকদ্দমা এড়াতেই সম্ভবত অগ্রিম তারিখের ব্যবহার।
ইন্টারেসটিং
হেব্বি হইছে ত।
স্পোর্টস পেজটা আপডেট করলেও পারত। দেশের কিছু খবর দিয়া
- রানী হামিদ ও বোল্টের ওয়ান অন ওয়ান খিচ্চা দৌড়ের একটা নিউস
- ৯৫ মিনিটে বাড্ডা একাদশের ফরেন রিক্রুট নেপালের হার্ডিলি থাপার গোলে ম্যান-ইউ পরাজিত। বাড্ডা একাদশ ১ - ম্যান ইউ ০
--------------------------------------------
<ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত> - আমার সিগনেচার
--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........
ইন্টারেস্টিং মনে হইতেছে বিষয়টা। লিংক ধরে গিয়া দেখি ব্যাপারটা।
মজা পাইলাম... আইডিয়াটা ভালো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মানুষের মাথায় কতো যে বুদ্ধি !
দিলেনতো এখন এই হিন্দি গানটা মাথায় স্টাক করে
পেপার নিয়ে ওদের কান্ড ভালই করসে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
জটিল আইডিয়া।
=============================
ঐ সংবাদ পত্রের দুই একটা পাতা স্ক্যান / ছবি তুলে দেয়া যায় না ?
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পিডিএফ আছে আমার কাছে। ড়্যাপিডশেয়ারের লিঙ্কটা খেয়ে ফেলসি। লাগলে রয়েসয়েতে একটা মেইল দিও, পাঠিয়ে দিবো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
পুরো পত্রিকা আছে এখানে পিডিএফ-এ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হুম, মজার খবর !
--------------------------------------------------------
খাইসে! আসলেই অভিনব!
তবে একটা জিনিস বুঝলাম না, ভিন্ন তারিখ ব্যবহারের কারণে এন ওয়াই টাইমস কী মামলা করতে পারবে না? ওয়েবসাইটে যা দেখলাম, নাম-ধাম আর চেহারা-সুরত তো একই রকমের।
নতুন মন্তব্য করুন