ব্যাপারটা মিডিয়াতে প্রায় সাপ্তাহিক আয়োজনের মতো নিয়মিত হয়ে পড়েছে। অমুক সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী নিহত।
একটা নৃশংস ঘটনার নৃশংসতা ক্রমাগত ফিকে হয়ে আসে পুনরাবৃত্তিতে। চায়ে চুমুক দিতে দিতে খবরের কাগজে সেসব খবর টপকে চোখ চলে যায় অন্য খবরে, টিভিতে সুন্দরী সংবাদপাঠিকাও এই খবর শেষ করে অন্য কোন খবরে কণ্ঠান্তর করেন। আমাদের ভাবান্তর হয় না, কারণ আমরা সীমান্ত এলাকায় থাকি না। আমরা ভাই ঢাকার পোলা, আরামে থাকি, সীমান্তে ক্যাচাল হইলে চায়ের আড্ডায়, ব্লগে পোস্টের তুফানে, ফোনে জিয়েফের লগে চিল্লাচিল্লি কইরা আমাগো কাম শ্যাষ।
আমি জীবনে একবারই সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ এর মুখোমুখি হয়েছি, সেটি সুনামগঞ্জে, টাঙ্গুয়ার হাওরের উত্তরে, তিন-চারদিনের এক নৌবিহারে গিয়েছিলাম আমরা কয়েকজন। বিডিআর ক্যাম্পে বসে চা-বিস্কুট খেতে খেতে জওয়ানদের সাথে গল্প করে যা শুনলাম, বিএসএফ এর ক্যাম্প সে এলাকায় পাহাড়ের এমন এক অংশে যে সেখানে বসে তারা টপাটপ ফেলে দিতে পারে এদিকের যে কাউকে। নৌকো নিয়ে আমরা সেই নদী ধরে আরেকটু উজানে গিয়ে একটা মোড় ঘুরেই প্রকান্ড তেরঙ্গার মুখোমুখি হলাম। আমার চোখে বাইনোকিউলার ছিলো, দেখলাম ভূতের মতো মিশমিশে এক বিএসএফ জওয়ানও বাইনোকিউলার লাগিয়ে দেখছে আমাদের। সে হাত তুলে কী একটা ইশারা করতেই দেখলাম আরো কয়েকজন জওয়ান সশস্ত্র অবস্থায় ছুটে আসছে পেছন থেকে। কালবিলম্ব না করে নৌকা ঘুরিয়ে আমরা আবার বাঁক ঘুরে চলে এলাম। সেদিনই বিকেলে ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর কোয়ারি পেরিয়ে গিয়ে দেখি পাহাড়ের নিচে এক বিএসএফ জওয়ান বসে বসে ঝিমুচ্ছে। সেখানে আশেপাশে লোকজন সবাই মেঘালয়ের, ভাঙাভাঙা বাংলা বলেন, তাঁরা জানালেন, এ এলাকায় সবসময়ই আসাযাওয়া চলছে, কোন সমস্যা নেই। বিএসএফের সেই জওয়ানের সাথে আমরা আলাপ করার চেষ্টা করলাম, সে নিরাসক্ত মুখে জানালো, তার আলাপের এখতিয়ার নেই। কমান্ডারের অনুমতি ছাড়া জওয়ানেরা বাক্যবিনিময়ও করতে প্রস্তুত না, কাজেই তারা যখন গুলি ছোঁড়ে, কমান্ডারের সম্মতিতই ছোঁড়ে।
বিএসএফের আচরণে যা মনে হয়, এর স্থানীয় কমান্ডাররা সবাই ঘাস খায় আর বাল ছিঁড়ে। তাদের জওয়ানরা মদ খেয়ে আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করে গ্রামে ঢুকে আমাদের মহিলা আর শিশুদের গুলি করে মারে, তারা ঠাহর করতে পারে না। একজন জওয়ান একটা কিলিং মেশিন, যার ট্রিগারে আঙুল রাখবে কমান্ডার। মেশিন ঠিকমতো কাজ করছে না, এর অর্থ হচ্ছে, কমান্ডার বোকাচোদা।
ব্যক্তিগত পরিমন্ডলের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, সীমান্তরক্ষার কাজে নিয়োজিত বাহিনীর সদস্য জওয়ানেরা নিজ উদ্যোগে কোন অফেন্সিভে যেতে পারে না। তার প্রশিক্ষণেই নেই এই জিনিস। আমাদের বিডিআরের সদস্যরা, যাদের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কাছ থেকে দেখেছি, যথেষ্ঠ চৌকস এবং ধুরন্ধর, এবং ঈর্ষণীয় রকমের ফিট। সেনাবাহিনীর সদস্যদের তুলনায়ও তারা অনেক বেশি স্মার্ট হয়। এই একই কথা বিএসএফের জওয়ানদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু তারা কেবল প্রতিবেশী দেশের সীমান্তের ভেতরে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের হত্যায় সিদ্ধহস্ত।
গত পনেরো বছর ধরে খবরের কাগজে এই সংবাদ দেখতে দেখতে মনটা পঁচে গেছে। বিএসএফের শুয়োরের বাচ্চাদের বিচার চাই। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠামোতে বিচার চাই। নেপাল-ভূটান-চীন-পাকিস্তান সীমান্তে এইসব হয় কি না জানি না। বাংলাদেশ নমনীয় আচরণ করে বলেই এই চুতমারানিদের আচরণে কোন পরিবর্তন হয় না। রৌমারির মতো গুলি করে মেরে বাঁশে ঝুলিয়ে লাশ ফেরত দেয়া হোক, এ-ই তাদের কাম্য প্রতিক্রিয়া?
মন্তব্য
ভারতের সাথে সরাসরি কনফ্রন্টেশনে গিয়ে মার খাওয়া ছাড়া আর কোন লাভ হবেনা ... কূটনৈতিক পর্যায়েও কিছু সম্ভবনা ভারতের প্রতিবেশী ছোটদেশগুলোর ব্যাপারে প্রচন্ডরকম গোঁয়াড় আর সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের কারণে ... আর আমরা বাঙালীরা কূটনীতিতে খুবই দূর্বল
এখানে ঘি ওঠাতে কিছুটা আঙুল বাঁকা করা উচিত ...
এই সমস্যাটার সমাধান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এটাকে তুলে ধরা ... এটার জন্য পশ্চিমা মিডিয়ার সাথে ভালো কানেকশন আছে এরকম লোকজনদের একটিভ হওয়া দরকার, কিন্তু সেটাই হয়ে উঠছেনা .... এখানে বাংলাদেশের পক্ষে লড়ার মত সদিচ্ছাওয়ালা সাংবাদিকের যেমন অভাব, ভারতের পক্ষে বায়াসড সাংবাদিকের সংখ্যা তেমনই বেশী
তাই, ব্যাপারটাকে এখন হিউম্যানিটারিয়ান গ্রাউন্ড থেকে সামাল দিতে হবে ... যেমন, আমরা এখন যেটা করতে পারি সেটা হলো সিএনন/বিবিসি বা অন্যান্য নিউজ মিডিয়াতে অনলাইন খবরের ল্যাজে যে কমেন্ট করার সুবিধা থাকে সেখানে বিষয়গুলো তুলে ধরা .... একটা সলিড পরিসংখ্যান দরকার মূল চিত্রটাকে ঠিকঠাকমতো পরিবেশন করার জন্য ... বিএসএফের এই অত্যাচার নিয়ে একটা হোমপেজ তৈরীর আইডিয়াও মন্দ না ...
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আইডিয়াটা ভালো।
সরাসরি কনফ্রন্টেশনে গেলে সীমান্ত টপকে কিছু পণ্য ঢোকায় কড়াকড়ি হয়। তখন পেঁয়াজ আর গরুর মাংসের কেজিপিছু দাম লাফ দিয়ে বাড়ে। আমরা যেহেতু ঢাকায় বসে শস্তায় পেঁয়াজ দিয়ে কষিয়ে গরুর মাংস খাওয়ার সুযোগ হেলায় হারাইতে চাই না, তাই আমাদের সীমান্তে টপকে এসে আমাদের গোয়া মেরে দিলেও আমরা মিষ্টি হেসে বলি, আস্তে মারো ব্যথা পাই। আর বীরত্ব দেখাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পশুর মতো পিটিয়ে। ভালোই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
কনফ্রন্টেশনে যেতে মানা করার অর্থ এই না যে, "হাত যেহেতু খালি আছে তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পশুর মতো পিটিয়ে একটু মকশো করো"
বুঝছিনা আপনি কী কনফ্রন্টেশনের পক্ষে উপরের কথাগুলো বলেছেন কিনা! না হলেও কনফ্রন্টেশন প্রসঙ্গে দুটো কথা
ঢাকায় বসে পেঁয়াজে কষানো ভুনা গরু খেতে খেতে যতটা সহজে কনফ্রন্টেশন কল্পনা করা যায়, সীমান্তে বসে হয়তো অত সহজে তা করা যায়না ... সেটা না বিডিআর সদস্য হিসেবে, না এলাকাবাসী সাধারন মানুষ হিসেবে
গতকালের খবরটিরই একটা অংশ লক্ষ্য করুন, বিএসএফের আক্রমণের খবর ছড়িয়ে যাবার পর সারা গ্রামের মানুষ এই মধ্যরাতে গিয়ে আশ্রয় নেয় গ্রামের স্কুলে ... শুধু কল্পনা করুন, কি আতংক নিয়ে একজন মা শিশুকে জাপটে ধরে পালাচ্ছে, বা কিরকম ভয়ের মাঝে একজন যুবক তার বৃদ্ধবাবাকে পারলে টেনে হিঁচড়ে বাঁচাতে নিয়ে যায় স্কুলে! ... যদি এমন হয় এরকম দিনের সংখ্যা এ লোকগুলোর জন্য দিনকে দিন বাড়ছে, তাহলে?? মনে রাখা দরকার, এরা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক ... এরা হয়ত ট্যাক্সও দেয় ঠিকমতো
সীমান্তের কনফ্রন্টেশন হলে সেটা খুব সহসা রাষ্ট্রীয় চেহারা নাও নিতে পারে ...একটা অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকবে, যার ফলাফল হবে সেটা অনেক সময় ধরে চলবে ... ইন ফ্যাক্ট এখন যা হচ্ছে আরকি.... ফলাফল হলো, আতংকে, অনিরাপত্তায় জীবন কাটাবে সীমান্তের লোকেরা, ভুনাশাষী ঢাকার লোকেরা না ... উল্টো আমরা হয়তো মাঝে মাঝে হাততালি দেব বিডিআর যুবকের কৃতিত্বের সংবাদে .... কিন্তু বিডিআর যুবকদের মায়েরা কি তা পারবে??
আর সামরিক শক্তিতে ভারত বাংলাদেশের তুলনায় একটা দানব ... সীমান্তের কনফ্রন্টেশন যদি সাম্রাজ্যবাদকে প্রশ্রয় দেয়, তার দায় নেবে কে?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
না, আপনি ভুল বুঝেছেন।
বিডিআর যুবকদের মায়েরা জানেন যে তাঁদের সন্তানেরা কী কাজে নিয়োজিত। তাঁরা আমাদের সীমান্তের রক্ষী, এবং কৃতিত্বের সাথেই এ কাজ তাঁরা করে আসছেন। আমি বলছি না তাঁদের মায়েদের কোল খালি হোক, কিন্তু যখন তাঁরা এই পেশায় যোগ দিয়েছেন, তখন থেকেই তাঁরা মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ঘুরছেন।
আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক, সীমান্তে সংঘাত বাড়লে সেই এলাকার মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। কিন্তু এর বিকল্পটি কী তা ভেবে দেখেছেন? বিএসএফের মার্কসম্যানদের খুব ঘন ঘন স্টেশন পাল্টানো হয় বলেই জানি। যে খুনী রাইফেলম্যান আজ কুষ্টিয়া সীমান্তে কাউকে মারছে, তাকে কয়েক মাস পরই পাঠিয়ে দেয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে। এর অর্থ দাঁড়ায়, সংঘাতের কারণটিকে সীমান্ত বরাবর ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আজকে গ্রামে দুইজনকে গুলি করে মারলো, আমরা চুপ করে সহ্য করে গেলাম, তার অর্থ হচ্ছে অন্য কোন সীমান্তে আরো দু'জনের মৃত্যুতে আমাদের নীরব সমর্থন দেয়া হলো কেবল।
একবার কি ভেবে দেখেছেন, আর পি সিঙের মতো একজন জওয়ানের স্পর্ধা কতদূর বাড়লে সে অস্ত্র হাতে একটি দেশের সীমান্ত অতিক্রম করে অনুপ্রবেশ করে? তার চিন্তায় গেঁথে গেছে যে এইরকম একটা কাজ করে পার পাওয়া সম্ভব। কারণ সে কনফ্রন্টেশনের মুখোমুখি হয়নি।
আমি সীমান্তে বিএসএফকে চূড়ান্ত ধোলাইয়ের পক্ষপাতী। এতে প্রয়োজনে গ্রামবাসীকেও শামিল করা হোক।
সাম্রাজ্যবাদ প্রশ্রয় পেতে বাকি আছে কোথায়, একটু জানান। আমাদের স্থলসীমা, নৌসীমা, কোনটাই তো নিরাপদ দেখি না। ভদ্রলোক সেজে জবুথবু হয়ে বসে থাকলেই তাবৎ দুনিয়ার চুতমারানিরা পেয়ে বসে। এদের দরকার হোগায় লাত্থি। বিশ্বব্যাঙ্ক আর বিএসএফকে লাত্থি দিয়ে রাজনৈতিক সরকারের প্রমাণ করা উচিত যে তাঁরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যোগ্য।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমি এখানে একটাই বিকল্প দেখতে পাই যেটা হলো, আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইন ... এবং দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে এই কাজটা আমরা মোটেও করছিনা ... সরকারীভাবে তো নয়ই, নাগরিক বা হিউম্যানিটারিয়ান কোন উদ্যোগও নেয়া হয়নি .... আমরা প্রবাসীরা "নোয়াখালী জিলা ভুইয়াবাড়ী সমিতি", "কুষ্টিয়া জেলা বাদামওয়ালা সমিতি" এরকম হাজারটা সমিতি করতে বাকী রাখিনি .... নিজের দেশে যাতে বিনিয়োগ না করা হয় সেটা নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন করতেও বাকী রাখিনি ... অথচ সীমান্তের ব্যাপারে একবারে চুপ! একেকবার কয়েকজন মরে, আমরা রাগ প্রকাশ করি!
শুধু বিএসএফ না, বিডিআরেও হয় ... এটা চোরাচালান কমানোর একটা পন্থা এবং কনফ্রন্টেশনে গিয়ে এটা থামবেনা ... ইনফ্যাক্ট এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কার্যকর কি কি কাজ করা হচ্ছে? কনফ্রন্টেশনই তো! (ধ্বজাভাঙা ফ্জ্যাগ মিটিংরেতো হিসাবে ধরে লাভ নাই)। তো এই কনফ্রন্টেশনের ফলে বাঁশটা কারা খাচ্ছি? আমরাই। আপনি কি এই কনফ্রন্টেশনকে আরো বড় স্কেলে নিতে বলেন? তাতে কাজের কাজ কিছুই হবেনা, বাঁশ খাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সীটা বাড়বে। আপনি যদি পরিসংখ্যানের দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন রৌমারীর ঘটনার পরপরই সীমান্তে বাংলাদেশী নিধন অনেক বেড়ে গিয়েছিল ...
আর চুপ করে সহ্য করা বা নীরব সমর্থনের কথা কেউ বলছিনা ... আমি বলছি কোন ওষুধে ফল দেবে সেটার কথা ...
কনফ্রন্টেশনের মুখোমুখি হচ্ছেনা বলছেন কেন? বিডিআর কিন্তু কমবেশী মারামারিতে যাচ্ছে ... তাতে উল্টোটাই বেশী হচ্ছে .... কারণ বিডিআর গুলি করলে বাংলাদেশের সরকার ভারতের ভয়ে বিডিআর প্রধানকে স্যাক করবে, কিন্তু বিএসএফ গুলী করলে তাদের বসদের ওসব ভয় নেই ... ভারত বাংলাদেশকে ভয় পাবে কেন? তারা ভয় পেলে পাবে ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিকে ... বাংলাদেশের সীমান্তে মানুষ মেরে যে জিনিসটা ভারত সবচেয়ে বেশী পেতে চাইবেনা সেটা হলো আন্তর্জাতিক দূর্ণাম
কাজেই, এসব বিএসএফ নওজোয়ানদের আপনার উল্লেখিত "বিএসএফ কমান্ডে"র একটা ঝাড়িতেই টাইট দেয়া যাবে ... আর সেই ঝাড়িটা তারা তখনই দেবেন যখন কেন্দ্র থেকে বলা হবে যে "তোমাদের কারণে ভারতের প্রেস্টিজ যাচ্ছে" !
এটাই পলিটিক্স। সেজন্যই বাঁকা আঙুলে ঘি ওঠানো দরকার!
আপনি নিজে যাবেন সীমান্তে? বিএসএফের বিরুদ্ধে লড়তে?
একমত, আক্রোশটা অনুভব করতে পারছি। কিন্তু ভায়া , এটা তো হোগায় লাত্থি দিয়ে কিছু হবার বিষয় না। এখানে মাথার কাজ দরকার।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
প্রিয় জ্বিনের বাদশা, আমাকে যদি কোনদিন সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব দেয়া হয়, আমি খুব উৎসাহের সাথেই যাবো লড়তে। তবে বিস্মিত হলাম, বিডিআরের ঘাড় থেকে দায়িত্ব সরিয়ে আপনি আমাকেই পাঠাতে চান। তবুও আমি রাজি। আপনি সঙ্গে এলে আরো ভালো হয়, গেসবল খেলা যাবে ।
মাথার কাজের কথাই যদি বলেন, তাহলে আরেকটা হিন্দুস্তানি প্রবাদ শোনাই, লাথোঁ কা ভূত বাতোঁমে নেহি ভাগতা। কেবল মাথায়ই কাজ দিলে মানুষের হাত-পা-দাঁত-নখ থাকতো না।
আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইনের ব্যাপারে আমি একমত। এ ব্যাপারে কিছু একটা করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, যতদূর জানি। আরো বিশদ তথ্য ভবিষ্যতে পাবেন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আজকের প্রথমআলো পড়ে এত খারাপ লাগছিলো.. আপনি পোস্ট দেয়াতে ভালই হলো।
গরু মেরে জুতা দান করলে তাতে গৃহস্তের কী লাভ?
সূত্র: প্রথম আলো, নভে ১৮, ২০০৮
যথারীতি এই মাদারচোদকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। তার কী বিচার হবে সেটা আর জানা যাবে না।
ভারত ডাকাত বাঁচাতে ওস্তাদ। ১৯৭১ সালেও তারা তাদের পাঞ্জাবী ভাইদের হোগা বাঁচিয়ে দিয়েছিলো, বিচার করতে দেয়নি। দুর্বল বাংলাদেশ সিমলা চুক্তি চেয়ে চেয়ে দেখেছে।
আমি বুঝলাম না, গ্রামবাসী ধরে এই আরপিসিং মাদারচোদকে বাঁচিয়ে রাখলো কেন? কারো ঘরে কি একটা টাঙ্গি ছিলো না?
হাঁটুপানির জলদস্যু
এটাই একমাত্র সমাধানের রাস্তা। আমি অনেককাল আগে থেকেই এ নিয়ে লিখেছিলাম। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক ভাবে না উত্থাপিত হলে দেশের মন্ত্রীদের টনক নড়বে না।
দুভাবে আন্তুর্জাতিকিকরণ করা যায়। প্রথম, আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তুলে ধরা, দ্বিতীয়, হিউম্যান রাইটস সংস্থাগুলোর রিপোর্টে স্থান বানানো। এগুলোতেও কাজ না হলে শেষে ক্ষতিপূরণের মামলা আনা যায় আন্তর্জাতিক আদালতে। আমার ধারণা আরো অনেক বহুপাক্ষিক বৈঠকেও ইস্যুটা তোলা যায়, তবে তাতে কতটা কাজ হবে নিশ্চিত নই। যেটাতে কোনোভাবেই কাজ হবে না সেটা হল দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আর ফ্ল্যাগ মিটিং।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সর্বাংশে সহমত।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সহমত
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এটার কারণ ভারতের মনোভাব তো অবশ্যই, তার সাথে বাণিজ্য সুবিধা, করিডোর ইত্যাদি বিষয় জড়িত করে একটা চাপে রাখা।
পুশব্যাক নামক শব্দটি এবং কর্মটি ভারত ছাড়া পৃথিবীর আর কোন দেশ করে না, সভ্য বা অসভ্য। এবং আমি অসম্ভব রকম ক্ষিপ্ত শাহরিরায় কবির ঘরাণার কিছু দালালদের প্রতি যারা বেছে বেছে ঘটনা স্টাডি করেন। সীমান্তে নারী-শিশুরা ১৩দিন অভুক্ত পড়ে ছিল, দেশের কোন আবাল বুদ্ধিজীবি টু শব্দটি করে নাই। একমাত্র হুমায়ুন আহমেদ একটা কলাম লিখেছিলেন।
দেশের পত্রিকাগুলোর নিজস্ব হিসাব আছে। ভারতীয় হাইকমিশনারের স্ত্রী বসুন্ধরার এক কর্মকর্তা বা তার গাড়ীর চালক কর্তৃক লাঞ্ছিত হয়েছিলেন। প্রথম আলো, আমাদের বাম বুদ্ধিজীবিরা এক কাতারে এর নিন্দা আর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছিলেন। তার দুদিন আগে পরে ব্রাহ্মনবাড়িয়া আর তেতুলিয়াতে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে গুলি করে মেরেছে বিএসএফ, কোন চোদনা কিছু বলেনি।
আমি নিজে গুণে এক বছরে ২০০ উপর হত্যার হিসাব রেখেছিলাম প্রথম আলের খবর পড়েই। এরাই একদিন এক সম্পাদকীয় লেখে, কী হিসাব দিয়েছিল তার আর না বলি। একমাত্র অধিকার ছাড়া কোন এনজিও এটা নিয়ে বোদার করে না (বিএনপিপন্থী হওয়া সব সময় খারাপ না)।
আপনি বিডিআর লোম ছিড়ে বলছেন। রৌমারি আর বোয়ালিয়ার ঘটনা যদি মনে থাকে তবে বলি। সেসময় আবেদ খান মন্তব্য প্রতিবেদন ছেড়েছিলেন বিডিআরের 'আস্পর্ধা' নিয়ে। শেখ হাসিনা বাজপেয়ীকে কী বলে শান্ত করেছিলেন তা আমরা জানতে পারিনি। তবে বিডিআর প্রধান তার চাকরি নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই হারিয়েছিলেন এটা জানা। শেরপুর দিয়েই লাশগুলো পাঠানো হয়েছিল, তাই সব ঘটনা মুখস্থ আছে আমার।
অনেক আগে একটা লেখা লিখেছিলাম, পত্রিকায় ফরহাদ মজহারের একটা কলাম পড়ে। প্রথম আলোতে প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেয়ার জন্য। দেয়া হয়নি, খুঁজে পেলে তুলে দিব আবার। প্রাসঙ্গিক হবে।
আমাদের অনেক মানুষ, দুএকজন মারা গেলে কী এমন ক্ষতি! মাতব্বর বাড়ীর ধারে ক্ষেত থাকলে ফসল একটু কমই হয়। ভবিষ্যতের কথা ভেবে আরো অনেকের মতো চেপে যান।
লেখাটার অপেক্ষায় থাকলাম।
- আচোদা পলিটিশিয়ানদের মতো পুটকি বন্ধক দেয়া চোদনা বুদ্ধিজীবিদের আগে পাছায় বাঁশ ঢুকায়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হোক। মাদারচোদ খানকির পোলারা দেশপ্রেম চোদায় আবার!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভুল। এ কথা বলিনি। বিডিআর যথেষ্ঠ তৎপর এসব ব্যাপারে। আমি আমাদের বিডিআরের কমান্ডকাঠামোর প্রশংসা করি। বিএসএফ তাদের তুলনায় অনেক বেশি অপেশাদার এবং ট্রিগারহ্যাপি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ঠিক, আমার পড়তে ভুল হয়েছে, মেজাজ খিচে থাকলে যা হয়। বিএনপির আমলে এটা ডালভাতের মতো হয়ে গিয়েছিল, অনেকদিন পত্রিকা না পড়ে থেকেছি।
এসব পড়ে কেবল মন খারাপ হয়, মেজাজ চড়ে যায়। অযথা আস্ফালন আর গালাগালি সার হয়। আর সিমান্তে আমাদের মানুষেরা অযথা মরতেই থাকে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বিএসএফ খামোখাই গুলি করে ।
একবার আমাদেরকে গুলি করে ফেলে দিয়েছিল মাঝনদীতে ।
শুধু বিএসএফ বা ভারত নয়, দেশের বাইরের যে কোন কিছু নিয়ে, অন্য যে কোন দেশ কে নিয়ে আমাদের মনোভাব করুনাকর। একবার আমাদের এমন মনোভাব নিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ের আচরন নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। ব্যক্তি চরিত্রই সামষ্টিক চরিত্রের ভিত। আমাদের জাতীয় চরিত্র তাই আমাদের মতই অপচিত মেরুদণ্ডের। আমার মাঝে মধ্যে খুব অবাক লাগে ভাবতে - এরাই কী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল?
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
প্রায়ই খবরের কাগজ খুললে এমন ঘটনা চোখে পড়ে।টিভির খবরেও প্রায় শুনি বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে বি,এস,এফ গুলি চালিয়েছে।ভারতীয় খবরের কাগজ পড়া হয় না,তবে ওদের টিভি চ্যানেল গুলোর হঠাৎ কখনো শুনি।ওরা খবর কে ভালই বিকৃত করতে পারে।অনেকদিন আগে একবার বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলের খবরে শুনলাম বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে বি,এস,এফ গুলি চালিয়েছে,কিন্তু কলকাতার ইটিভি বাংলার একই দিনের খবর শুনে আমি অবাক।ওদের খবর পড়ার স্টাইলতো আপনারা জানেন,ঠিক তেমন আগ্রাসী উচ্চারনে পাঠিকা বল্ল-"ফের বিনা উস্কানিতে গুলি চালালো বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী"।দেখুন কি অবস্থা।আন্তর্জাতিক মিডিয়া ওদের কথাই বিশ্বাস করবে।আর বাংলাদেশে বুদ্ধিজিবীরা ভারতের অন্যায় এর ব্যাপারে কবে সচ্চার হবে?আমি দেখেছি সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসী অনেক সাহসী তারা এমন আক্রমনে সবসময় সাহসের সাথেই মোকাবেলা করে,তবে নিরীহ প্রাণের মূল্য কে দেয়?তাই এমন ঘটনা বার বার ঘটে।
গুলি-বিনিময়ের ঘটনা সাধারণত দুপাশেই ঘটে। দুর্ভাগ্যবশত, একপাশের হতাহতের সংবাদই গোচরে আসে। উল্টোদিকের কোনো হিসাব আসে না। কারণ সাংবাদিকেরা ক্রস-বর্ডার খবরও পান না, পরিবেশনও হয় না।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এটা দুধভাত।
প্রথমআলোর একদিন শেষপাতায় দুই কলামে:
কলকাতা থেকে আমাদের প্রতিনিধি অমুক পাল জানাচ্ছানে উলফা গেরিলাদের জন্য পাঠানো হচ্ছিল এরকম এক ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার করেছে কোলকাতা পুলিশ।
পরের দিন দুই লাইনে:
দুঃখিত, অস্ত্র উদ্ধারের খবরটি যাচাই করা যায়নি।
অনলাইন ক্যাম্পেইন একটা ভাল পথ। অন্য সব জায়গায়-ই তো দালালরা কাজ করতে দেবে না। মেজাজ গরম করে লাভ নাই .... কুল থাকতে হবে।
আরেকটা সম্ভাবনা মাথায় এসেছে শুরুতেই,
মিডিয়া গরম করে ঘোলা পানিতে মাছ কে শিকার করবে? সাধারণত বড় কোন ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার দরকার হলেই এমন ঘৃণ্য ঘটনা ঘটানো হয় মিডিয়াকে ডাইভার্ট করার জন্য।(কারগিল যুদ্ধ হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের মুসলমান নিধনকে মিডিয়ার হেডলাইন হওয়া আড়াল করার জন্য) কে কোথায় কী কলকাঠি নাড়ছে বোঝা মুশকিল ....
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
- ভারত সরকারের হায়ার / লোয়ার কমাণ্ড কি এ ব্যাপারে অজ্ঞ?
এ ব্যাপারে ধনাত্বক থাকার মতো কোন যুক্তিই তো খুঁজে পাচ্ছি না। তার মানে তারা কী চায়? পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া বাঁধিয়ে 'কিছু একটা' করা?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বৃত্তবন্দি সবকিছুই..............গা সয়ে গেছে।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
আন্তর্জাতিক পর্যায় জিনিসটা সবসময় শক্তিমানের পক্ষে। আমাদের ফারাক্কা-সমস্যায় চোখ দিলে এটা বোঝা যাবে।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
একমত হলাম না। ফারাক্কাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেওয়াই হয়নি - যেমন হয়নি এই ঘটনাগুলো। কতবার আন্তর্জাতিক আদালত বা কোনো আন্তর্জাতিক বৈঠকের বিষয় হিসাবে এগুলো উচ্চারিত হয়েছে?
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
একমত @দিগন্ত
ফারাক্কা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার খালি মান-অভিমানের খেলা খেলেছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আসল সমস্যা আমাদের নেতৃত্বে।
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
আসল সমস্যা আমাদের নেতৃত্বে।
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ফোনে জিয়েফের লগে চিল্লাচিল্লি কইরা আমাগো কাম শ্যাষ।
এইটা কোন প্রানীর নাম বুঝতে পারলাম না। ঃ-}
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
GF তো গার্লফ্রেন্ড হওয়ার কথা
বিষয়টা সামনে আনার জন্য হিমু ভাইকে ধন্যবাদ।
আসলেই, এর একটা সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
আমাদের পক্ষথেকে জোরালো প্রতিবাদ কখনো তেমন হয়নি।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আপনারা আসলেই ঢাকায় থাকেন!
বিষয়টা নিয়ে আরো আলোচনা হওয়া দরকার। সীমান্ত এলাকায় যারা বাস করে তাদের সমমর্মী হয়ে ভাবতে হবে। ভারতের সরকারি নীতির মধ্যেই হয়তো বাঙলাদেশের প্রতি এমন আচরণ করার কথা বলা আছে। খোঁজ নেয়া দরকার চীনের সাথে সীমান্তে তাদের আচরণ কেমন। আমাদের সরকার ও রাজনীতি তারা ভালভাবেই পর্যবেক্ষণ করে। ভারত জানে আমাদের ধ্বজভঙ্গ রাজনীতিবিদদের পরিচয়। নোট দেখলে এসব রাজনীতিবিদরা নিজের বিবিকেও বের করে দেবে। আমাদের রাজনীতিবিদদের দিকে তাকালে যা দেখি - ভাগাড়ের কোলাহল। ওরা শকুনি, গৃধিনী, কুক্কুর, পিশাচের দল। জনগণ তাদের কাছে মৃত পশুবৎ। আজকের এই দিনে অন্তত বলতে পারি জনগণ তাদের থেকে কিছু আশা করতে পারে না।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
এটাই আমার ধারণা।
তবে চিন বা পাকিস্তান সীমান্তের সাথে বাংলাদেশ সীমান্তের কোনো তুলনা হয় না। চিন আর পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলে লোকজন কমই বাস করে। আর দুপাশে সেনা ছাড়া আর কেউ থাকে না। পৃথিবীর যে যে প্রান্তে সিভিলিয়ানের পাশে সেনা মোতায়েন করা আছে (ভারতে কাশ্মীর, মণিপুর, পাকিস্তানে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত, ইরাকে বহুজাতিক সেনা বা পুরোনো ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধত্তোর জাপান, কোরিয়া আর জার্মানীতে রুশ আর আমেরিকান সেনা), কোথাওই সেনার মানবাধিকার রেকর্ড ভাল না। বাংলাদেশ সীমান্তেও আলাদা কিছু নয়।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এটা ধারণা না, এটা প্রকাশ্য বাস্তব। স্বয়ং বুদ্ধদেব বাবু পুশব্যাকের সমর্থক।
সেটাই!!!
দেশে যোগ্য নেতৃত্ব দরকার। আমরা ওইখানেই মার খেয়ে গেছি।
দেশে-বিদেশে খবর প্রচার, মানবাধিকার সংস্থায় যোগাযোগ - ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব করে হাতেনাতে ফল পাওয়া খুব টাফ। সরকারী উদ্যোগ, আমার মতে, বেশি কার্যকরী। জনগণ হিসেবে আমাদের প্রথম দায়িত্ব যোগ্য নেতৃত্বের সৃষ্টি এবং সেই লক্ষ্যে প্রথমেই সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। বিএসএফ এসে মানুষ খুন করে যায় আর তারা সরকারে বসে বসে রাজাকারদের সাথে বৈঠক করে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই'দার কথাটাই বলি।
সময়টা তো বেশ খারাপ... একদিকে মিয়ানমার আরেকদিকে ভারত... দুই সীমান্তেই উত্তেজনা। পাইছেটা কি শালারা?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সীমান্তে আসলে সসস্ত্র সেনা কেন রাখা হয় ?
সীমান্ত এবং সীমান্তবাসিদের নিরাপত্তার জন্যইতো?
যদি তাই হয়ে থাকে,
তবে বিএসফ এর সাথে সরাসরি কনফ্রন্টেশনে যেতে সমস্যা কোথায়?
আমি যুদ্ধের পক্ষে নই।
সসস্ত্র বাঁধা সবসময়ই শেষ উপায় হওয়া উচিত।
কিন্তু ঠিক কতটুকু গেলে 'শেষ' শেষ হয়?
সীমান্তের বাঙালিরা কি আমাদের শান্তিপ্রিয়তা এবং ধৈর্যের যথেষ্ট শাস্তি পাননি?
ইন আ আইডিয়াল ওয়ার্ল্ড এই সমস্যাগুলোর সমাধান
যোগ্য নেতৃত্ব বিশ্ব জনমত - এভাবেই হওয়া দরকার।
কিন্তু বিএসএফ কী ঠিক আইডিয়াল ওয়ার্ল্ডের নিয়ম মেনে চলে?
আর যতদিনে সমাধানের এই পদ্ধতি কাজ শুরু করবে
ততদিন এই বোকা সীমান্তবাসিদের কে রক্ষা করবে?
সরাসরি কনফ্রন্টেশনে গেলেই বরং আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাওয়া সহজ হবে।
আর কোন সিংও বাংলাদেশের সীমান্ত ঢোকার আগে দুবার ভাববে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
- ঘটনাটা বিডিআর Vs বিএসএফ পর্যন্ত হলে কোনো সমস্যা নেই। আমিও বলি, দেক বাংলাদেশী সশস্ত্র, স্মার্ট সেনারা ভারতীয় সেনাকে একটা উচিৎ শিক্ষা দিয়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি সমস্যাটা হলো অন্য জায়গায়। আর সে পর্যায়ে গেলে আন্তর্জাতিক সিমপ্যাথী ড্র করতে বাংলাদেশ যতোটা না সক্ষম হবে তার চাইতে অনেক বেশি এগিয়ে থাকবে ভারত!
বাংলাদেশের কর্ণধার তথা নেতারা ভারতীয়দের থেকে কম করে হলেও একশ হাত পিছিয়ে আছে চুতিয়াগিরীতে। বাংলাদেশী নেতারা চুতিয়াগিরী করে আভ্যন্তরীন আর ভারতীয়রা করে আন্তর্জাতিক।
ফলাফলঃ চূড়ান্ত ধরা খাবে বাংলার ম্যাঙ্গো পিপোল। আপনার আমার পরিবার পরিজন। রক্তের জোশে বলীয়ান হওয়া আমি কিংবা আপনি না প্রিয় রানা মেহের।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কনফ্রন্টেশান একটি ভ্রান্ত ধারণা মাত্র!
সহজ বুদ্ধিতে যা বুঝি, ব্যাপারটা সবসময় সম্ভব না। রৌমারীতে হইছিলো, কিন্তু ওইটা ব্যাতিক্রম, উদাহরণ কখনোই না। ছোট প্রতিবেশী হওয়ার যন্ত্রণা আর কি, নিরাপত্তার কথা ভেবে লাথি-গুঁতা খাইতে হয়। বিএসএফ এর উস্কানীতে বিডিআর লাগতে গেলে, ব্যাপারটা যই সত্যিই বড় আকৃতি নেয়, তাহলে আমাদের জান নিয়েই টানাটানি হবে। আন্তর্জাতিক নজর কাড়তে গিয়ে নিজেদের ঘর-হারা হওয়ারও চান্স আছে।
যদি ভাবেন, এহ, বললেই হইলো, ঘর-ছাড়া করা এত সোজা?
আমি বলি, হু, সোজাই। একবার আফগান ইরাক বা তিব্বতের দিকে তাকাইয়া দেখেন, পিথিমিতে সবই সুম্ভব।
-----------------------------------
তুমি যা জিনিস গুরু আমি জানি, আর কেউ জানে না
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ধুসর গোধুলী - কনফুসিয়াস,
ঠিকই বলেছেন
তবু এইসব দেখে মাথা ঠান্ডা থাকেনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
এ লেখাটা আগে দেখা হয়নি। আলমগীর সাহেবের লিঙ্ক থেকে আজকে দেখলাম।
হিমুকে ধন্যবাদ এই বিষয়টি নিয়ে লিখবার জন্য। ভারতীয় সীমান্তবাহিনীর হাতে প্রতিদিনই বাংলাদেশের মানুষ মারা যাচ্ছে - একজন বাংলাদেশী হয়ে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক খবর কি হতে পারে?
প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম ভারতীয় বাহিনীর নৃশংসতার। ইয়েস! বিএসএফের শুয়োরের বাচ্চাদের বিচার চাই। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠামোতে বিচার চাই।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
বি এস এফ এর নামে আপনারা প্রচুর সমালোচনা করলেন। একজন ভারতীয় হিসাবে একথা বলে রাখি যে আমাদের সীমান্ত রক্ষী বাহিনির জওয়ান দের প্রশিক্ষন দেওয়ার সময় মানবিকতার বিষয়টি কে যথেষ্ট গুরুত্ত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশী দের ভারতীয় দের উপর এই বিদ্দ্বেষী মনোভাব আমাকে হতবাক করেছে। আসলে আমার মনে হয় যে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা, আন্তর্জাতিক কূটনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভারতের অপরিসীম সাফল্য বাংলাদেশী দের মনে ব্যপক ঈর্ষা সৃষ্টি করেছে। এগুলি তারই প্রতিফলন। একজন ভারতীয় হিসাবে এবার আমাকে একথাও ভাবতে হবে যে বাংলাদেশ কে আদৌ ভারতের বন্ধু দেশ হিসাবে ভাবা উচিত কিনা।
মজা লাগলো আপনার মন্তব্যে। ভারতীয় বাহিনীর নৃশংসতা নিয়ে আপনার কোন বক্তব্য নেই, অথচ সেই নৃশংসতার সমালোচনা করলেই আপনি ভাবতে বসে যাবেন বাংলাদেশীদের "ভারতের বন্ধু" হিসেবে ভাবা উচিত কি না (!)
বন্ধু দেশ হিসেবে ভাবেন তার কোন দৃষ্টান্ত আছে কি? বরং আপনারা যে বাংলাদেশকে গরীব ছোটভাই ভাবেন সেটাই তো আরেক ভারতীয় সেদিন বলে গেলেন।
কচু করা হয়। এখানে একটু উঁকি দিয়ে দেখবেন।
ছোটোলোকদের আমি এ ধরনের কথাবার্তা বলতে শুনেছি। হে ভারতীয় বন্ধু, আপনি অত্যন্ত ছোটো মনের মানুষ। সীমান্তে আপনাদের রক্ষীরা মদ খেয়ে অস্ত্র হাতে সীমান্ত টপকে প্রতিবেশী দেশে ঢুকে শিশু হত্যা করেছে, নারীধর্ষণের চেষ্টা করেছে, সেদিকে আপনার কোনো গা নেই, আপনি এসেছেন ঈর্ষা কপচাতে? ঈর্ষা আপনার পশ্চাদ্দেশ দিয়ে প্রবিষ্ট করুন।
এইবার হেসে ফেললাম। যান, শত্রু দেশ ভাবুন গিয়ে। ভেবে ভেবে বাল ছিঁড়ুন।
- এই লেখাটার শিরোনাম দেখেছেন বস?
বিএসএফ শব্দটার সাথে আপনার মতো "ভারতীয়", কথাটাও একটা "এবং" দিয়ে যোগ করে নিয়েন একটু কষ্ট করে।
আর ব্যাপক ঈর্ষার কথা কী বলবো বস! আপনার মতো ভারতীয়দেরকে আমাদের মতো বাংলাদেশিরা "আওয়াজ ছাড়া ঠাশও করে না", ঈর্ষা করা তো দূরের কথা! আইছে আমার ছালহীন ডিওজি সাব, বাঘা নাম নিয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন