কাজের লোড ঘাড়ে চাপতে পেরেছে আমারই ফাঁকিবাজির কারণে। মাঝখানে কিছুদিন ঢিল দেবার কারণে একটু একটু করে কাজের স্তুপ জমছে মাথার ওপর, সেদিকে আড়চোখে তাকিয়ে আবার অকাজে তনোমনোধনোনিবেশ করেছি। শেষমেশ ব্যাপারটা দাঁড়ালো খাটো কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমানোর মতো, মাথা ঢাকতে গেলে পা বেরিয়ে যায়, আর পা ঢাকতে গেলে মাথা। সমাধান হচ্ছে কুন্ডলী পাকিয়ে শোয়া, তাই অবদমিত কাজের চাপে আমিও কুন্ডলী পাকিয়ে ছিলাম কয়েক হপ্তা।
তো যাই হোক, শেষপর্যন্ত রফা হলো, উল্ম যাবো। ধূসর গোধূলি নিখোঁজ, শোনা যায় কোন এক মাফিয়া ডনের কুড়ি ইউরো মেরে গা ঢাকা দিয়েছ সে, ডনবাবাজি এখন বার্ষিক সুদ ১০% আর সার্ভিস চার্জ ২ ইউরো, একুনে চব্বিশ ইউরোর হুলিয়া জারি করেছে গোধূলির নামে।
শুক্কুরবার ভোরবেলা আমি আর চৌধুরী ট্রেনে চেপে বসলাম। গন্তব্য উল্ম শহরটি জার্মানির দক্ষিণে, বাডেনভুয়র্টেমবুর্গ আর বায়ার্ন (বাভারিয়া) এর সীমান্ত অঞ্চলে, দানিয়ুব নদীর পাশে। উল্মে আছে দু'টি দানব, যথাক্রমে উল্মারমুয়নস্টার এবং সচল হাসিব।
রেলযাত্রার বর্ণনা দিতে কখনোই ভালো লাগে না, কিন্তু ব্যাপক ভুগতে হয়েছে। হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছো মহান। বুলেট ট্রেন সার্ভিস ইসেএ (ICE) এর টিকেট কাটতে না পেরে গরীববান্ধব রেগিওনালবান-ই আমাদের সম্বল, তাই কাসেল থেকে প্রথমে ঘন্টা দুয়েক ঝুক্কুর ঝুক্কুরের পর ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমে মুতে আর খেয়ে চড়া হলো হাইডেলবার্গগামী আরেক রেগিওনালবানে, সেখানে মৃদু বিয়ারপানের পর ষ্টুটগার্ট, ষ্টুটগার্ট থেকে উল্ম। পাক্কা সোয়া আটঘন্টার জার্নি, ঘেডিঘুডি ব্যথা।
ভুক্তভোগীরাই জানে হাসিব ভাই কী চীজ। কিন্তু লোহার হৃদয়ের পাশাপাশি তাঁর একটি কোমল হৃদয়ও আছে, টের পেলাম তাঁর রান্না মুরগি খেয়ে। একটু টাটকা হয়ে আমার নতুন ক্যামেরা বার করলাম, যাত্রাপথে আর সেটাকে এস্তেমাল করা হয়নি ক্লান্তিজনিত নিভু নিভু মুডের কারণে। তারপর আমাদের ছোট সচলকাফেলা বেরিয়ে পড়লো উল্মের ভাইনাখটসমার্কট দেখতে।
উল্মের ভাইনাখটসমার্কট উল্মের বিখ্যাত ক্যাথেড্রাল, উল্মারমুয়নস্টারের গোড়াতেই বসে। আয়তন এবং আয়োজনেও সেটি কাসেলের ভাইনাখটসমার্কটগুলির তুলনায় জমজমাট। একটি কুঁড়েতে আলোকিত যীশু, মেরি আর যোসেফের মূর্তি দাঁড় করানো। বেথেলহামের সেই খোঁয়াড়ের ভাব ফুটিয়ে তোলার জন্যে সেখানে খড়ের গাদায় শুয়ে ঝিমাচ্ছে গাধা, চড়ে বেড়াচ্ছে ভেড়া। আপসোস, ছাগু ছিলো না।
রাতের উল্ম নিরিবিলি। কেপলারের সৌরঘড়ি আর উল্মারমুয়নস্টারের বিভিন্ন দিক দেখে আমরা আবার ডেরায় ফেরত গেলাম। রাতে হাসিব ভাইয়ের দক্ষিণজার্মানীখ্যাত বিরিয়ানি রান্না হবে, উল্মের অন্যান্য বিচ্ছুদের সাথেও আড্ডা হবে।
পরদিন ভোরে উঠে খেয়েদেয়ে বেরোলাম সকালের শহর দেখতে। উল্ম শহরটি অপূর্ব। পাহাড় আর এর পাদদেশে বিস্তৃত, বাড়িঘর সবই রঙিন, মানুষজনও হাসিখুশি। উত্তর হেসেনের লোকজন সব গোমড়ামুখো, ভাল্লাগেনা। দানিয়ুবের পাশে উল্মের প্রাচীর, নদীর ওপারে বাভারিয়ার শহর নয়উল্ম (নতুন উল্ম)। এই দুই নগরীর মানুষজনের সংস্কৃতিও ভাগ করে দু'দিকে ঠেলে দিয়েছে দানিয়ুব। বনাবনি নেই খুব একটা। শহরে এক চক্কর মেরে আমরা ঢুকলাম ক্যাথেড্রালে।
উল্মারমুয়নস্টার এক কথায় প্রকান্ড। ভেতরটা বিশাল তো বটেই, বাইরে থেকেও একে দেখতে গেলে ঘাড় ব্যথা হয়ে যায়। শঙ্খপাক টাওয়ারে সাতশো আটষট্টিটা ধাপ, তবে শুনতে পেলাম বরফের কারণে দ্বিতীয় স্তরটা বন্ধ, আমাদের আধাআধি উঠেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে এ যাত্রা। কী আর করা, ঢুকলাম আগে নিচটা ঘুরে দেখতে।
দয়া করে আমার নাতি আলেকজান্ডারকে সাহায্য করো।
ধন্যবাদ।"
ক্যাথেড্রালের ভেতরে একটি বোর্ডে শতশত প্রার্থনার চিরকুট লেখা। তার মাঝে একটি।
ভেতরটা বিশাল। একটু স্পৃষ্ট হলাম প্রার্থনার বোর্ড দেখে। সেখানে চিরকুটে করে ঈশ্বরের কাছে নানা আবেদন নিবেদন রেখে গেছে লোকে। ঈশ্বরকে সব জায়গায় পাওয়া যায় না, গির্জা-মন্দির-মসজিদ-সিনাগগে গিয়ে খুঁজতে হয়, এ-ই এক গেরো। ভদ্রলোক যে কবে একটু খোলা হাওয়ায় বেরিয়ে বুক ভরে শ্বাস নেবেন, ভাবি।
শিশু আর ছাত্রদের জন্যে টাওয়ারের ওপর চড়ার ফি কম। আমাদের ছাত্রপরিচয়পত্র দেখে প্রৌড়া টিকেটবিক্রয়ব্যবস্থাপিকা ছেড়ে দিলেন। সেইসাথে টাওয়ারে আদ্ধেক না উঠতে পারার জন্যে কনসেশন।
টাওয়ারের সিঁড়ি খুবই সরু, খাড়া এবং কিছুটা বিপজ্জনক। কিছুক্ষণ পরপরই ওপর থেকে কেউ না কেউ নামে, তখন মোচড়ামুচড়ি করে জায়গা করতে হয়। সিঁড়ির দেয়ালে নানারকম মাণিক্যখচিত বাক্যসম্ভার খোদিত। বাংলাদেশে প্রণয়ভারাক্রান্ত যুবকেরা যেমন বাসের সীটের পেছন থেকে শুরু করে প্রাচীন প্রত্ননিদর্শনে "খোকন + সুমি" লিখতে সর্বদা তৎপর থাকেন, জার্মানীও তার ব্যতিক্রম নয় বোধজয়, এখানেও বাসের সীটের পেছনে "আমি অমুককে ছাড়া বাঁচবো না", "তমুকের সাথে সঙ্গম করি" হরহামেশাই দেখা যায়। উল্মারমুয়নস্টারের টাওয়ারে ওঠার সিঁড়িতেও পৃথিবীর তাবৎ হরফে নানা কথাবার্তা লেখা। জার্মান, ইংরেজি, ফরাসী, স্প্যানিশ আর ইতালীয় বক্তব্যগুলি ১০০% থেকে ৫০% শনাক্ত করতে পারলাম, সিরিলিক আর গ্রীক হরফের মাথামুন্ডু বোঝার প্রশ্নই আসে না। তবে মুগ্ধ হলাম এক জায়গায় এসে, সেখানে কোন এক বেরসিক হাঁপিয়ে গিয়ে দেয়ালে লিখে রেখেছে, "ফাক ত্রেপেন।" কাঁচা বাংলায় এর অর্থ দাঁড়ায়, "সিঁড়িকে চুদি।"
ওপরে উঠে কুয়াশাঘেরা উল্ম দেখে ভাল্লাগলো। ছবি কিছু তুলেছিলাম, ভালো আসেনি। কেবল ভেতরে ট্রফি রুমের একটা ছবিই দিচ্ছি। ওখানে একটা কপিকল ঝুলছে, আগে নাকি নিচ থেকে আপেলভর্তি ঝুড়ি তোলা হতো ওটা দিয়ে। কপিকলের নিচেই একটা গোল পোর্ট, তার কাঁচে চোখ ঠেকিয়ে দেখি নিচে মেরামতের স্ক্যাফোল্ড ফিট করা। বলতে ভুলে গেছি, উল্মারমুয়নস্টারের সংস্কার কাজ চলছে। এক একটা পুরনো পাথরের টুকরো সরিয়ে সরিয়ে অবিকল সেইরকম আরেকটা টুকরো বসানো হচ্ছে, একই উপাদানে তৈরি, একই রকম নকশায়। পুরোটাই হাতে বানানো। নিচে একটা ছোট প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে, পাঁচটা পাথরের ব্লক তৈরিতে দেখলাম সময় লেগেছে ২৭০ ঘন্টা। এরকম হাজার পাঁচেক ব্লক আছে সম্ভবত সব মিলিয়ে।
ক্যাথেড্রাল থেকে বেরিয়ে আমরা গেলাম উল্ম বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। পথে পড়লো একটা ফলক, আলবার্ট আইনষ্টাইন যে বাড়িতে জন্মেছিলেন, সেখানে বাড়িটা আর নেই, ফলকটা রয়ে গেছে। দূর থেকে উল্মারমুয়নস্টারের একটা ছবি তুলে বাসে চড়ে বসলাম আমরা।
উল্ম বিশ্ববিদ্যালয়টিও শহরের মতোই রঙিন, পাহাড়ের ওপর এবং জঙ্গলের মাঝখানে। অনেকখানি জায়গা নিয়ে এক একটা ভবন, স্থাপত্যরীতি দেখে মুগ্ধ হবার মতো। আমার লেন্স সিগমা ২৮-৭০, ক্রপ ফ্যাক্টরের কল্যাণে তা ৩৫ মিমির হিসাবে ৪২-১১২তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই সেসব ছবি ঠিক জুতমতো তুলতে পারবো না বুঝে দেখায় মন দিলাম।
উল্ম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে পাহাড়ের পাকদন্ডী বেয়ে শহরে নামলো বাস। শহরের পাহাড়ি অংশটি এক কথায় অপূর্ব।
নিচে নেমে আর দেরি করলাম না আমরা। ঊর্ধ্বশ্বাসে হাসিব ভাইয়ের আস্তানায় ফিরে তাঁরই রান্না দারুণ পাঙ্গাশ মাছ গান্ডেপিন্ডে গিলে ছুট দিলাম স্টেশনের দিকে। গন্তব্য দুই ঘন্টা দূরের মুয়নশেন, যে শহরে আমাদের জন্যে সপরিবারে অপেক্ষা করছেন সচল তীরন্দাজ আর পুতুল। মুয়নশেন, জার্মানিতে আমার দেখা প্রথম শহর, স্মৃতির কারণে খুব প্রিয়। তবে তার গল্প থাকবে পরের পর্বে, সেখানে ২০০৮ এর পাশাপাশি ২০০৩ ও উঁকি দেবে মাঝে মাঝে।
মন্তব্য
এই ঠান্ডায় ঘুরতে বেরিয়েছিলেন? উৎসাহের প্রশংসা করতেই হয়... ছবিগুলো বেশ হয়েছে, বিশেষ করে "পরীর পুতুল" আর "ক্যাথেড্রালের ভেতরে আবছায়া"। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
ফাহিম
ধন্যবাদ ফাহিম ভাই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ছবিগুলো ভালো লাগল। বিশেষ করে ক্যাথেড্রালের ভেতরে রঙিন কাঁচে আঁকা ছবিটা খুবই ভালো। লেখাটা পড়ে পড়তে হবে।
ধন্যবাদ পিপিদা। আপনার সেই দুর্ধর্ষ কমান্ডো ফোটোগ্রাফির পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি কিন্তু। আপনার পাখির কালেকশন থেকে ছাড়েন না কিছু।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ভাই লজ্জায় ফেলে দিচ্ছেন কিন্তু। মান-সম্মত হলে তবেই না সচলে পোস্টাব; তেমন কিছু এখনো জোগাড় হয়নি।
আপনি এই কথা বললে আমরা কই যাই বলেন্তো ?
হাঁটুপানির জলদস্যু
হিমু
ফেসবুক আপনার প্রাপ্য কৃতিত্বের ইয়ে মেরে দিছে।
ছবিগুলো এখানে শতগুণ ভাল দেখাচ্ছে।
২নংটা সবচে বেশী। এটার হাই রেজুলেশান থাকলে ছুঁড়ে দিয়েন একটু। ডেস্কটপে লাগামু।
জিমেইলে গুঁতা মারেন বস।
হাঁটুপানির জলদস্যু
অবিশ্বাস্য !!!
আগেও বলেছি, আবারও বলছি - ছবিগুলো অপূর্ব !
এটা একেবারে আমার বর্তমান অবস্থা... তবে আমার বেলায় ছিলাম না... কুন্ডলী পাকিয়ে আছি হবে...
লেখা তেরম পড়তে পারলাম না... ছবি দেখলাম খালি... ভালো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আফসোসটা আরেক্টু বাড়ল আর কী ! এই জীবনে কিছুই দেখা হলো না ।
"পরীর পুতুল" ছবিটা অদ্ভুত সুন্দর হইছে হিমু ভাই । থ্যাঙ্কু আপনারে
ধন্যবাদ আকতার ভাই। জীবন অনেক লম্বা হোক আপনার। সবকিছু দেখা হোক। সবে তো শুরু।
হাঁটুপানির জলদস্যু
- শোন, আমি নেহায়েৎ সজ্জন মানুষ বলে তোর এখানে মন্তব্য করতেছি। তোর সঙ্গে সকল প্রকারের কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের কথা তো আগের পোষ্টেই বললাম। তারপরেও... শিখ ব্যাটা শিখ, আমারে দেইখা কিছু সু-জনতা শিখ। কতো আর মানুষের ঘরের টিনের চাল খুলে নেওয়ার হুমকি দিবিরে ইউনুইচ্চা?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আজকে দূতাবাস বন্ধ। সোমবারে বেলা সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর একটার মধ্যে যোগাযোগ করিস।
দেখিস, শীতের দিন কিন্তু। তোষক নিয়া হাউপ্টবানহফে গিয়া উঠতে হইবো। অনেক লোকজন, ঘুমাইতে কষ্ট হইবো কিন্তু। তারচেয়ে ২৪ ইউরো হাওয়ালা কর। কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার আগের মতই হইবো, যা, কথা দিলাম।
হাঁটুপানির জলদস্যু
- যা ব্যাটা তুই একটা মন্তব্যখেলাপি। তোর লগে পান্তামুক বন্ধ। তোর লগে কীসের সম্পর্ক রি-বিল্ডিং? বোম্বিং খাওয়ার লাইগ্যা রেডি হ শায়তাননন...!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধু গো'কে খন্দকার সালোয়ার বানানোর তীব্র নিন্দা জানাই।
ছবিগুলা তো এইখানে চমৎকার আসছে ! একদম ফাটাফাটি। ছবিগুলার হাই রেজুলেশন পারলে আমাকেও মেইল করে দিয়েন...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এইটার কারিগরী সমস্যাটা কোথায় বুঝতেছিনা... এই ছবিগুলো এখানে বেশ ভালো লাগতেছে... কিন্তু ফেইসবুকে অতটা মজা পাই নাই... তারমানে সমস্যাটা ছবিতে না... অন্য কোথাও...
বিশেষজ্ঞরা জানলে একটু বিস্তারে বললে ভবিষ্যতে আমাদের সুবিধা হইতো...
যে জানাবে তার জন্য অগ্রীম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- জমিন একটা ফ্যাক্টর বস। খোমাখাতার জমিনটাই কেমন জানি ম্যান্দামারা। কালো রঙের প্যান্ট কিন্তু যেকোনো জামার সাথেই পরা যায়। সাদা রঙের শার্ট ও তাই। এই দুইটা রঙ ই সার্বজনীন।
সচলের জমিনটা সাদা হওয়ায় কালোর মাঝে তোলা হিমুর বেশির ভাগ ছবিই অন্য রকম লাগতেছে এখানে খোমাখাতার তুলনায়। বাদ বাকী নীলচে ফটুকগুলা খুব ভালো করে দেখেন, খোমাখাতার চেয়ে আলাদা নয়। অথচ জমিনের কারণেই বদলে গেছে ওদের রঙচঙ।
আমার উড়াধুড়া থিওরী বুঝাইতে পারলাম মমিন?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সম্ভবত ফেসবুকে আপলোড করা হলে, সে অটোমেটিক রেজ্যুলেশন কন্ট্রোল করে। ঠিক নিশ্চিত না... তবে এ ছাড়া আর ব্যাখ্যা মাথাতেও আসছে না ...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এটাই একমাত্র কারণ। ছবি রিসাইজ করে ফেলে, কোয়ালিটি কমায় (জায়গা বাঁচানোর জন্য)।
ফ্লিকারে দেখেছি .. আমার নিজের বেশী পছন্দ হয়েছে "তোরণের ওপরে মূর্তি" আর ষ্টার্নবার্গ মুয়নশেনের লেকের (?) অসাধারন চমৎকার ছবিটি
আসলেই অসাধারন ফ্রেমিং
আহা!
ভাবি, এইসব শহর কি এমন সুন্দর, নাকি ক্যামেরার কারণে অমন!
কয়েকটা ছবি আপনার ফ্লীকার অ্যাকাউন্টে আগেই দেখেছিলাম। কিন্তু এখানে দেখেই বেশি ভাল লাগল। অসাধারণ! বিশেষ করে "পরীর পুতুল"। দারুন ছবি তোলেন আপনি। সত্যিই এক বহুমুখী প্রতিভা।
লেখার শুরুর প্যারাটা বেশি জোস লাগল! কিভাবে যে লেখেন এমন!
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
ভাইরে, সচলে ঘাগু সব ফোটোগ্রাফাররা ঘাপটি মেরে বসে থাকে দেখেই আমার তোলা হাবিজাবি ছবি দেখে ভাল্লাগছে। সিরাজ ভাই. মুস্তাফিজ ভাই, প্রকৃতিপ্রেমিক, এঁরা রেগুলার ছবি দেয়া শুরু করলে লেজ গুটিয়ে ভাগবো। আর লজ্জা দিও না।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ছবিগুলো ফেসবুকে, ফ্লিকারে দেখেছি।
এই মাফিয়া ডন কি প্রচন্ড কালো দেখতে???????
কী ব্লগার? ডরাইলা?
হ্যাঁ, পুরা আব্লুশ! আপনি জানলেন ক্যাম্নে??
হাঁটুপানির জলদস্যু
জানি না। আন্দাজ করতে হল আর কি! মাফিয়া ডন বলে কথা। কালো না হলে ঠিকমতো ভাব আসে না!!!!!!!!!
কী ব্লগার? ডরাইলা?
- ঠিক, পুরাই সূদানী হালায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওয়াও! (এইটা ছাড়া আর কিছু মাথায় আসছেনা। )
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ছবিগুলো ফ্লিকারে দেখতে বেশী ভালো লাগছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হিমু ভাই,
ফেসবুকে আর ছবি বোধহয় না দেয়াই ভালো। আপনার ছবির জাত মেরে দিসে।
লেখাটাও চমৎকার হইসে। প্রবাসে দৈবের বশে বা হস্তক্ষেপে ঘটনা ঘটতে থাকুক।
আজকে বাঙলাদেশে ঈদ। শুভেচ্ছা থাকলো।
পড়েই উইকি মারলাম, কারণ ছবিগুলি দেখতে পারি নাই ফ্লিকর ব্যান এর কারনে।
নতুন মন্তব্য করুন