যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ১৯/১২/২০০৮ - ৬:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খুবই সংক্ষিপ্ত প্রস্তাব। "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই" শ্লোগানটি কি মুদ্রিত অবস্থায় বাণিজ্যিক কাগজপত্রাদিতে চালু করা যায় কি না। বিলের রশিদ, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, বাস-ট্রেন-লঞ্চের টিকেটে?

কিংবা আমরা কি স্টিকার বের করতে পারি না? বাড়িতে-গাড়িতে-হাটেবাজারে? যতদিন বিচার না হচ্ছে, ততদিন এর দাবি জাগরূক থাকুক।

পরশুরাম নাকি একুশবার পৃথিবী নিঃক্ষত্রিয় করেছিলেন। জানি না তার কত সময় লেগেছিলো। আমরা ৩৭ বছরে একবারের জন্যেও দেশটাকে এই যুদ্ধাপরাধী জঞ্জাল থেকে মুক্ত করতে পারিনি।

আমরা নিজামী-মুজাহিদ-কামারুজ্জামানদের ঘর থেকে ধরে ধরে নিয়ে বধ্যভূমিতে নিয়ে হত্যা করার কথা বলছি না, আমরা চাই রাষ্ট্র এদের বিচার করুক, করে নিজের অস্তিত্বের যথার্থতা প্রমাণ করুক।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।


মন্তব্য

বিপ্লব রহমান এর ছবি

আমরা নিজামী-মুজাহিদ-কামারুজ্জামানদের ঘর থেকে ধরে ধরে নিয়ে বধ্যভূমিতে নিয়ে হত্যা করার কথা বলছি না, আমরা চাই রাষ্ট্র এদের বিচার করুক, করে নিজের অস্তিত্বের যথার্থতা প্রমাণ করুক। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।

একমত।।

প্রজন্ম-৭১ এর সাইদুর রহমানের মতো করে বলতে ইচ্ছা করে: যতদিন বাঁচবো, ততোদিন, এমন কী শেষ নিঃশ্বাস ফেলার আগেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতেই থাকবো।...

---
(দ্র: তোমাদের যা বলার ছিলো, বলেছে কী তা বাংলাদেশ?)


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

হিমু এর ছবি

সাইদুর রহমানের ইমেইল ঠিকানাটি কি আপনার কাছে আছে?


হাঁটুপানির জলদস্যু

বিপ্লব রহমান এর ছবি

এই মুহূর্তে নেই; তবে জোগার করে আপনাকে জানাতে পারবো। একটু সময় দিতে হবে যে।...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

চমৎকার আইডিয়া
আমার মাথায় একটা আইডিয়া আসলো -- পত্রিকাগুলো প্রতিদিন (অথবা প্রতি শুক্রবার, শনিবার) সকালের পত্রিকার সাথে একটা স্টিকার সাইজের সাধারণ মানের কাগজেই "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই" স্লোগানটাকে পৌঁছে দিতে পারে সবখানে

টিভিগুলো প্রাইমটাইম খবরের আগে আগে ৫/১০ সেকেন্ডের একটা স্লট দিলে তো কথাই নাই

সাংবাদিক ভাইয়েরা সম্ভাব্যতাটা যাচাই করে দেখবেন?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

বিপ্লব রহমান এর ছবি

টিভিগুলো প্রাইমটাইম খবরের আগে আগে ৫/১০ সেকেন্ডের একটা স্লট দিলে তো কথাই নাই। সাংবাদিক ভাইয়েরা সম্ভাব্যতাটা যাচাই করে দেখবেন?

আমার মনে হয়, খুব সম্ভব টিভিতে এমনটা মোটেই সম্ভব নয়। পত্রিকায় যেটি খুব সহজ, টিভিতে সেই একই বিষয় অনেক কঠিন। এর কারণ টিভি যে কোনো বহুল প্রচারিত দৈনিকের চেয়েও একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। তাই এর দায়বদ্ধতা অনেক বেশী...শেকড়-বাকড় তথা সীমাবদ্ধতাও অনেক বেশী।

১. মামাদের শাহী ফরমান, ২. সরকারি ফরমান ও ৩. মালিক পক্ষীয় ফরমানই এখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আর সাংবাদিকরা স্টেশন-পলিসি, তথা ক্রমানুসারে ক্ষমতার কাছে নিছক অসহায়। (লক্ষনীয়, 'চাকরি' শব্দটির মধ্যে চাকর 'শব্দ'টি আছে। ভিন্নভাবে বললে বলতে হয়: 'শৃঙ্খলা' কথাটির মধ্যে 'শৃঙ্খল' কথাটি আছে।)

আবার নির্বাচন কমিশন টিভিতে প্রচার করার জন্য যে সব বিজ্ঞাপন তৈরি করে দেয় (মতান্তরে, কিছু দৃষ্টিকটু সরকারি বিজ্ঞাপন প্রচারে বাধ্য করে), সেখানে কমিশন যদি 'নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের -না-বলুন' এরকম কথা জুড়ে দেয়, তাহলে টিভিগুলো তা লুফে নেবে!...

জানি না, বিষয়টি কতোটা পরিস্কার করে বলতে পারলাম।...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

কবি এর ছবি

আর যেই নিক দিগন্ত টিভি মনে হয় নিবে না।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

সেখানে কমিশন যদি 'নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের -না-বলুন' এরকম কথা জুড়ে দেয়, তাহলে টিভিগুলো তা লুফে নেবে!

ধরে নেয়া যায় যে টিভিগুলো উৎসাহী, সমস্যাটা মূলতঃ বিবিধ শৃঙ্খল
তাহলে তো নাটকেও একই ঘটনা হবে মনে হয় মন খারাপ
(ভাবছিলাম, নাটকগুলোতেও যখন নামধাম দেখানো হয় তখন, আর নাটক চলাকালে টেলপে চালু করা যায় কিনা)

যাই হোক, মহাজোট ক্ষমতায় আসলে এবার জোরেসোরে ক্যাম্পেইনের আশা রাখি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

তারেক এর ছবি

আমরা চাই রাষ্ট্র এদের বিচার করুক, করে নিজের অস্তিত্বের যথার্থতা প্রমাণ করুক।
সহমত।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

আজিজ সুপার মার্কেটের একটি বুটিক অলরেডি বাজারে ছেড়েছে যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা সম্বলিত টি-সার্ট, জানি না কী পরিমাণ বিক্রি হচ্ছে সেটা!
"যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই" কথাটা দিয়ে স্টিকার, টি-সার্ট আরো অনেক কিছুই তৈরি করা যায়, কিন্তু কথা হচ্ছে, খুব বেশি লোক বোধহয় সেটা ব্যবহার করতে চাইবে না! কারণ, রিস্ক। গাড়িতে সেই স্টিকার লাগালে জামাতিরা যদি গাড়ি ভেঙ্গে দেয়? টি-সার্ট পরে ঘোরার সময় পুরানা পল্টন এলাকায় বই কিনতে গেলে জামাতিরা যদি ঠ্যাঙ্গানি দেয়?
আমি কিন্তু কোনো নেগেটিভ কথা বলছি না, গণমানুষের স্বাভাবিক চিন্তার কথাই বলছি!
এখনকার অফিসগুলোর ই-মেইলে উল্লেখ থাকে, এই মেইলটি প্রিন্ট করার আগে আরেকবার চিন্তা কর, কারণ তোমার প্রিন্টটা একটি গাছের মৃত্যুর কারণ হবে। ঠিক সেভাবেই আমাদের চেনাপরিচিত সব প্রতিষ্ঠানে যদি ব্যাপারটা চালু করা যায়, সেটা একটা কাহিনী হতে পারে। বাজারে চিঠির খাম ছাড়া যেতে পারে, যেখানে লেখা থাকবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই...
তবে আমার একান্তই ব্যক্তিগত চিন্তা, যুদ্ধাপরাধী শব্দটার মধ্যে কোনো ঘৃণা নেই, আছে স্রেফ একটি পরিচয়, এ কোন যুদ্ধাপরাধী, কোন যুদ্ধ, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের আবাইত্যা পোলাপানেরা অনেকেই সেটা জানে না!
আলবদর, রাজাকার, এগুলো হচ্ছে আমাদের দেশের সত্যিকার ঘৃণা উদ্রেককারী শব্দ, রাজাকার বললেই মুখে যেরকম থুথু চলে আসে, যুদ্ধাপরাধী বললে তেমনটা হয় না... বরং মনে হয় বেশ একটা গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দেয়া হল হারামজাদাদের...
যদি এই প্রচারণার অন্যতম লক্ষ্য হয় বিদেশি বন্ধুদের মনোযোগ এবংসমর্থন আদায়, তাহলে প্রতিটি ই-মেইলের নিচে এরকম একটি কথা সংযুক্তও রাখা যায়, "আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানিরা মেরেছে ৩০ লাখ মানুষ, আমি সেই দুঃখি দেশের এক নাগরিক, যেদেশে সেই রাজাকারদের আজও বিচার হয় নি, বরং তারা উচ্চাসনে আসীন। আমি তাদের বিচার চাই!"
ইংলিশে আমার দক্ষতা উইলিয়াম শেক্সপিয়রের চেয়েও বেশি বলেই অনুবাদে গেলাম না, কিন্তু ইংরেজিতে এই কথাগুলো অনেক কম শব্দে দাগ কাটার মতো করে লেখা সম্ভব। তবে ফেসবুক, ই-মেইল সব জায়গায় আমি রাজাকারবিরোধী স্লোগান লাগাচ্ছি আজকে থেকেই!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

"যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই" কথাটি সহ বিপ্রর করা ব্যানারটি শোভা পাচ্ছে এখন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

খুব ভালো লাগছে। বিপ্রতীপকে ধন্যবাদ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রণদীপম বসু এর ছবি

সচলায়তনের এই দুর্দান্ত ব্যানারটার জন্য 'বিপ্র'কে অভিবাদন জানাচ্ছি !
বিশেষ করে 'সচলায়তন' লোগোটা তো ফাটাফাটি ! এই লোগোটাকে সচলায়তনের স্থায়ী লোগো করা যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন। অন্য কনটেন্টগুলো হয়তো পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু এই লোগোটায় আমার দেশ আমার পতাকা শুয়ে আছে, মেখে আছে পরম মমতা নিয়ে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দারুণ হয়েছে!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

স্টিকার বা অন্যকিছু জানি না... আমি আমৃত্যু এই দাবী চালিয়ে যাবো। জলে স্থলে অন্তরীক্ষে এই ছড়ায়ে যাবো যে আমি যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। যে কোনো মাধ্যমে... যে কোনো উপায়ে।

বিপ্রর ব্যাণারটা ভালো লাগছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এনকিদু এর ছবি

রাস্তা ঘাটে দেয়ালে, দরজায়, বাসে ও টেম্পোর ভেতরে যেখানে সেখানে "অমুক পীরের তমুক মাহফিল" , ছাত্র শিবির, জামাত ইত্যাদির প্রচারনা করার স্টিকার লাগান হয় দেখেছেন কখনো ?

যদি বলেন "না দেখি নাই" তাহলে বুঝে নেব আপনি এই দেশে থাকেন না ।

এক হাজার স্টিকার বানাতে কত টাকা লাগে ? আমি কয়েকমাস আগে বাংলাদেশ ইনফোরমেটিক্স অলিম্পিয়াডের জন্য একশ টি শার্ট ডিজাইন এবং প্রিন্ট করার কাজ করেছিলাম । প্রতি টি শার্ট প্রিন্টে ১৮ টাকা লেগেছে কাঁটাবনে । এক হাজার স্টিকার করতে এর থেকেও অনেক কম টাকা লাগবে ।

কেউ একজন একটা ভাল ডিজাইন করেন, পারলে অনেকজন অনেক গুলা করেন । যেটা বা যেগুলা সবার মনে ধরবে সেগুলা নিয়ে প্রিন্ট করে ফেললেই হল ।

তারপর নেক্সট সচলাড্ডায় বা অন্য কোন ভাবে আগ্রহী সচলদের হাতে ২৫টা বা ৫০টা করে স্টিকার ধরিয়ে দেয়া যাবে । নিজের গাড়িতে লাগানর দরকার নাই, বাস টেম্পোতে উঠে সেখানে লাগিয়ে দেবেন । যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকেন হলে নিজের ঘরে তো লাগাতেই পারবনে । যারা রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ান হাঁটার পথে উপযুক্ত জায়গা পেলে লাগিয়ে দেবেন ।

এটা আমাদের ক্যাম্পেইন, আমাদেরকেই করতে হবে ।

উপরে যা লিখেছি সবই প্রস্তাবিত । কারো যদি প্রস্তাব পছন্দ হয় এবং আগ্রহী থাকেন তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন, খুব খুশি হব । আমাকে সচলায়তনে ব্যাক্তিগত মেসেজ দিতে পারেন অথবা চাইলে ইমেইল ও করতে পারেন । আর মন্তব্য করার সুযোগ তো থাকলই ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

মোবাইলে আমরা মাঝে মাঝে নানা মেসেজ পাই যেগুলো পরে অন্যদের পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আমার এক পরিচিতজনের কাছ থেকে কাল একটা মেসেজ পেয়েছি। মেসেজে জামাতীদের অমুসলিম এবং যুদ্ধপরাধী হিসেবে ঘোষনা করে এ বিষয়ে একমত হলে তা আরো ২০ জনকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
জাতীয় বিভিন্ন ক্যাম্পেইনে ইদানিং মোবাইল কোম্পানীগুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সুতরাং যুদ্ধপরাধীদের বিষয়ে কি এ ধরণের প্রচারণা চালানো যায় না?

এনকিদু এর ছবি


মোবাইলেও প্রচারনা করা যায়, খারাপ না আইডিয়া টা ।


রাজাকার যুদ্ধাপরাধী প্রভৃতি জীব জানোয়ারের বিচার চাইতে আমার কোন আপত্তি নাই । এদের বিচার চাই কারন তারা দেশের শত্রু এবং দেশ ও দেশে মানুষের জন্য প্রমানিত ভাবে ক্ষতিকর ।


তবে এর মধ্যে ধর্মীয় ব্যাপার টানার মানে হয়না । আর তাছাড়া আমি কাউরে অমুসলিম ঘোষণা করার ক্ষমতা রাখি না কারন আমি এই ধর্মীয় বিষয়টার এক্সপার্ট নই । কে মুসলিম আর কে না সেটা সৃষ্টি কর্তা বিচার করবেন, আমি বিচার করার কেউ না । আবার আমি মুসলিম নাকি অমুসলিম নাকি কাফের এই বিচার কররার ক্ষমতাও ওদের কারো নাই, যদিও ওরা সেটা জানে না আর তারস্বরে যারে পায় তারেই অমুসলিম মুরতাদ কাফের ইত্যাদি নাম দিয়ে চেচামেচি করে । ওদের সাথে আমার পার্থক্য অনেক বিষয়ে তার মধ্যে ইহা একটি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

যিনি এ মেসেজ তৈরী করেছেন তিনি সম্ভবত ধর্ম ব্যবসায়ী জামায়াত চক্রকে পাল্টা আঘাত করতে এ ধরণের কৌশলের শরণাপন্ন হয়েছেন।
আপনার মতো আমি ও ধর্মীয় বিষয়কে টেনে আনার পক্ষপাতী নই । আমি শুধু উদাহরণ হিসেবে এটা বলেছি।
কৌশল যাই হোক মূল বিষয় নিয়ে হয়ত আমরা এ ধরণের কাজ চালাতে পারি।
তার জন্য খুব যুৎসই একটা শ্লোগান দরকার যেটা মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে সহজে।
এ ব্যাপারে কেউ এগিয়ে আসবেন?

এনকিদু এর ছবি

আপনিই শুরু করে দিন না সুন্দর একটা মেসেজ লিখে হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

রাস্তায়, ফুটপাতে, দেয়ালে দেয়ালে আইজুদ্দিন তার কষ্টকে চাপা দিয়ে লিখুক,
যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই

অপেক্ষার প্রহর মূলতবি রেখে নাজির সোচ্চার হোক
যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই

রাজ্জাক বিড়ির গায়ে ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরের পাশাপাশি লেখা হোক
যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই

রিক্সার পিছনে আর্টিস্ট কবির লিখুক
যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই

এদেশের প্রতিটা শিশু জানুক একাত্তরে এই দেশ স্বাধীন হয়েছিলো আর সে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা, লাখ লাখ মাবোনকে অত্যাচার করেছিলো একদল পশু। নতুন প্রজন্ম সোচ্চার হোক
যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এনকিদু এর ছবি

চলুক


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

বিপ্রতীপ এর ছবি

নীলক্ষেতে এক হাজার স্টিকারের খরচ ৫০০-৬০০ টাকার মতো। তবে কালার বাড়লে খরচও বাড়বে। টি-শার্ট প্রিন্টের খরচও রঙ এর উপর। রং বেশি হলে, প্লেট বেশি বানাতে হয়, খরচও বেশি। টি-শার্ট বেশি হলে খরচ কম আসে। টি-শার্টের মাঝে কাজের কোয়ালিটি নীলক্ষেতের চেয়ে ফুলবাড়িয়ায় বঙ্গবাজারের সামনের মার্কেটটা ভালো। বড় কথা- খরচ কম, এক জায়গাতেই দুইটা কাজ করা যায়। ঐখানে টি-শার্টও খুব সস্তা। আমি অবশ্য সব গত বছরের হিসাব বললাম। এখন কিছুটা বাড়তে পারে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

এনকিদু এর ছবি

এইটা কি আপনার স্টিকারের ডিজাইন ?

সোজা সাপ্টা কথা - খারাপ না ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

মৃদুল লিখেছেন:

যুদ্ধাপরাধী শব্দটার মধ্যে কোনো ঘৃণা নেই, আছে স্রেফ একটি পরিচয়, এ কোন যুদ্ধাপরাধী, কোন যুদ্ধ, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের আবাইত্যা পোলাপানেরা অনেকেই সেটা জানে না!
আলবদর, রাজাকার, এগুলো হচ্ছে আমাদের দেশের সত্যিকার ঘৃণা উদ্রেককারী শব্দ, রাজাকার বললেই মুখে যেরকম থুথু চলে আসে, যুদ্ধাপরাধী বললে তেমনটা হয় না... বরং মনে হয় বেশ একটা গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দেয়া হল হারামজাদাদের...

আমারও তা-ই ধারণা।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সুমন চৌধুরী এর ছবি
নন্দিনী এর ছবি

একাত্তরের ঘাতক, রাজাকার,আলবদর দের বিচার চাই।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই,
বিচার চা্‌ই,
বিচার চাই...

নন্দিনী

কেমিকেল আলী এর ছবি

চমৎকার আইডিয়া

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবই ভালো ভালো প্রস্তাব...

বাংলাদেশে ভালো কথায় কাজ হয় না, হতে দেখি নাই... যেমন মানববন্ধনে, অবস্থান ধর্মঘটে... বরং মার খেয়েছি, মামলার আসামী হয়েছি...

কিন্তু ওরা ভালো আছে... আর আমরা? আমরা মুখে ফেনা তুলি, মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধি...

সংগঠিত আন্দোলন চাই, চাই ক্রিয়াশীল প্রতিবাদ, চাই প্রতিবন্ধকতা প্রদান, চাই বস্তুগত প্রতিরোধ, চাই অসহযোগ আন্দোলন, চাই কর্মবিরতি, চাই ত্যাগ, চাই মৃত্যু...

চাই হারামজাদাদের বিচার...

...নামহীন

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

রাজাকার হারামজাদাদের বিচার চাই

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

রায়হান আবীর এর ছবি

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইযুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই

অনেকের সহায়তায় ২০০০ কপি স্টিকার তৈরি করা হয়েছে। কালকে বিলানো হবে। শুরু হলো আমাদের আন্দোলন।

=============================

হিমু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।