১.
আওয়ামী লীগের উল্লসিত হবার মতো কোন কারণ নেই। এ বিজয় মহাজোটের নয়। এ পরাজয় মুক্তিযোদ্ধাহন্তারকদের। এ পরাজয় তাদের, যারা আলী আমানের পিঠ লাথি মেরেছে এই সেদিন, যারা মুক্তিযোদ্ধা সেনাদের মিথ্যা বিদ্রোহের অভিযোগ ফাঁসি দিয়ে গুলি করে পিটিয়ে মেরে হত্যা করেছে একত্রিশ বছর আগে, আর লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যার কাজে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও সহায়তা করেছে সাঁইত্রিশ বছর আগে। তাদের মুখে জুতার বাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।
২.
আওয়ামী লীগের উল্লসিত হবার কারণ নেই কারণ জোটে তাদের সাথে রয়েছে বিশ্ববেহায়া এরশাদ, যে লোকটি আশির দশক ধরে বাংলাদেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানকে সকলের চোখের সামনে ধর্ষণ করেছে, যাকে মানুষ জুতিয়ে নামিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে বলে একটি ভুল ধারণা নিয়ে খুশি হয়েছিলো আজ থেকে আঠারো বছর আগে।
৩.
আওয়ামী লীগের উল্লসিত হবার কারণ নেই, কারণ এককভাবে নির্বাচন করে আজ থেকে বারো বছর আগে ক্ষমতায় পাঁচটি বছর কাটিয়েও তারা বাংলাদেশকে সাঁইত্রিশ বছর আগের জন্মলগ্নের চেতনার পথে পরিচালিত করতে পারেনি। বরং তাদের দলের ভেতরে বেড়ে উঠেছিলো জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমান, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর মতো লোকজন।
৪.
আওয়ামী লীগের উল্লসিত হবার কারণ নেই, কারণ দেশের শত্রু, বাংলাদেশের মানুষের শত্রু যে গোষ্ঠীটি, সেই রাজাকার-আলবদর-জামাতকে তারা আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে শোচনীয় ব্যর্থতার, এবং কখনো কখনো নিস্পৃহার পরিচয় দিয়েছে।
৫.
আওয়ামী লীগের উল্লসিত হবার কোন কারণ নেই, কারণ তাদের সামনে রয়েছে সেই গোষ্ঠীটিকে দমন করে বাংলাদেশকে এই দুই হাজার নয় খ্রিষ্টাব্দের পৃথিবীর সাথে তাল মেলানোর, এই দুই হাজার নয় খ্রিষ্টাব্দের পৃথিবীতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকিয়ে রাখার শেষ সুযোগ। এই সুযোগ তারা আর কখনোই পাবে না।
৬.
শেখ হাসিনা কি জানেন এ কথা?
মন্তব্য
হ
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
এই কথাগুলো মাথায় রাখুক তারা... সহমত
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
এই বিজয় 1971 এর, এই তরুণরা ভোট দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাহন্তারকদের বিরুদ্ধে
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
আশা করি তিনি ও আওয়ামী লীগ কথাগুলো অনুধাবনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু ব্যাপার হলো, আপনি যা বলেছেন তা সত্য হলেও আজো খুশিতে কাজের ফাকেঁ বাথরুমে গিয়ে চিৎকার করে বলেছিলাম 'জয় বাংলা'! এতো রুক্ষ জীবনের প্রান্তভাগে এসেও স্বপ্ন দেখি 'আমাদের ভূমি একদিন ঝরামুক্ত হবে!'
নিইজের লাইভ ফিড পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে দিতে দিতে বার বার দু'চোখের কোণায় অশ্রু জমা হচ্ছিলো! যখন নিশ্চিত হলাম জামাত সারা দেশে মাত্র দু'টি আসন পেয়েছে (অনুমান করেছিলাম ৩টি পাবে) তখন হাত দিয়ে কয়েকটি শব্দ অক্ষরে রুপ নিলো 'নিজামী ফাইনালি ফাকড্......বাংলাদেশ রকিং......'। খুশিতে আমার মা'কেও সেন্ট করে দিয়েছিলাম সে মেসেজ...হা হা হা......অনেকদিন পর এতো খুশির একটা উপলক্ষ্য পেলাম।
৭০-এর নির্বাচনের পর এ যেন আরেকটি ৭১! ভয় হয় আওয়ামী লীগ কি পারবে এতো বিশাল স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে!
সামনে ইমিডিয়েট বড় দুর্যোগের কারন হবে, 'ভয়াবহ মাত্রার বেকার সমস্যা'। দেশের দুর্বল অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হতে পারে! জঙ্গীবাদের সাথে সাথে আবারো সেই বোমা ফাটানোর কালচারও শুরু হয়ে যেতে পারে! অনেক অনেক বাজে কিছুও হয়ে যেতে পারে......।
মনে হয় এখন দলটির পক্ষে উৎসব পালনের চেয়ে চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে কীভাবে এতোগুলো সমস্যাকে দ্রুততম সময়ে সমাধান করা যায়? কিভাবে আমরা একটা আধুনিক সমৃদ্ধ জাতিতে রুপ নিতে পারি?
মুক্তিযোদ্ধাহন্তারকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে
বাঙালির স্পষ্ট না
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এ বিজয় অতি অবশ্যই আওয়ামী লীগের। এই বিজয় আওয়ামী লীগের দলীয় চেতনার - সার্বিকভাবে নৌকা মার্কা যে চেতনা বহন করে।
রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু বা মঈনুদ্দিন বাদল-ও নির্বাচিত হয়ে আসেন তাও এই আওয়ামী চেতনা ও নৌকা মার্কার কারণেই।
এই বিজয়ে আওয়ামী লীগের ধারণ করা চেতনা ও মূল্যবোধের কোন অবমূল্যায়ন হয় না। বরং তা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। এসব মূল্যবোধের একটি হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। অন্যান্য নষ্ট দলগুলোর শোরগোলের মধ্যেও বহু কষ্টে জনপ্রিয়তার ঝুঁকিতে থেকেও আওয়ামী লীগ এসব মূল্যবোধের পতাকা তুলে ধরে রেখেছিল। সুসংবাদ যে এবার নতুন প্রজন্ম এসব মূল্যবোধের পক্ষে একাট্টা হয়ে রায় দিয়েছে। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে আওয়ামী লীগের বিপন্নতা এবার কাটলো।
বিপন্নতা কাটার বিষয়টাও আওয়ামী লীগ ধরতে পেরেছিলো। তাই শামীম ওসমান, জয়নাল হাজারি বা এরকম আরো যারা নানা কারণে বিতর্কিত তাদের বেশির ভাগকেই আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়নি। কালো-টাকা আর সন্ত্রাস-পেশিশক্তির জোরে ভোট জয়ের চেনা সহজ পথে আওয়ামী লীগ হাঁটে নি।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একমাত্র বড় সমালোচনার বিন্দু হচ্ছে এরশাদ ও তার জাতীয় পার্টির সাথে হাত মেলানো। বিএনপি-জামাত আঁতাত বা চার দলীয় জোটের কাছে ভোটের অংকে হেরে যাওয়ার আশংকার যে হিসাব সে পরিপ্রেক্ষিতে লাঙ্গলকে নৌকায় না তুলে নিলে আওয়ামী লীগের বিজয় মোটেই সহজ হতো না।
আসন যত বেশি পাক না কেন আওয়ামী লীগ, খেয়াল রাখতে হবে যে চারদলীয় জোট কোনো আসনেই তার মূল ভোটারদের হারায়নি। প্রতিটি আসনে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব ভোটব্যাংকের সাথে বাড়তি ভোট যোগ করে জয়লাভ করতে পেরেছে জোট তৈরি করার জন্যই। নিজের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিজয়ের এই কৌশলকে শেষ বিচারে কখনই নিন্দনীয় হিসেবে কোনো কুশলী রাজনীতিবিদই দেখবেন না। দেখেননি ইনু, মেনন বা বাদলও বা মহাজোটের শরিক অন্যান্য দলগুলোও।
তবে বাতিল হয়ে যাওয়া নির্বাচনের আগে আগে আওয়ামী লীগ যে ইসলামী কিছু দলের সাথে যে জোট গড়ে তুলতে চেয়েছিল চারদলের ভোটব্যাংকে ভাঙন ধরানোর জন্য এবার তা তারা করেনি। কারণ পরিবর্তিত পরিস্থিতি।গত দুবছরে দুর্নীতি ও কালো টাকা বিরোধী, মৌলবাদ বিরোধী একটা জনমত গড়ে উঠেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি খোলস ভেঙে বের হয়ে এসে যুদ্ধাপরাধের দাবী তুলে জামায়াত গোষ্ঠীকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে সাহায্য করেছেন। এসব কারণে আওয়ামী লীগ এবারের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ও জোট গঠনে এরকম সাহস দেখাতে পেরেছে।
আওয়ামী লীগ একারণেই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য যে দেশের অধ:পতন কালে এরকম সংকটের সময়েও দেশবাসী একাট্টা হয়ে যোগ্যতর দল যাতে সহজে খুজেঁ পেতে পারেন সে সুযোগ আওয়ামী লীগ করে দিয়েছে। প্রতিপক্ষ দল বা জোটের উপর-চালাকির কৌশলগুলো গ্রহণ না করে নিজের আদর্শ ও মূল্যবোধকে আরো শক্ত করে আঁকড়ে ধরেছিল আওয়ামী লীগ।
দেশ ও জাতির অগ্রগতির জন্য আওয়ামী লীগকে কষ্টকর কিছুই করতে হবে না। এই পরিস্থিতিতেও না। তাদেরকে একটিমাত্র কাজ করতে হবে। সহজ একটি কাজ। দল হিসেবে তাদের মৌল মূল্যবোধ ও চেতনাতে স্থির থেকে সব পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আওয়ামী লীগ যদি নিজের ওপর এই বিশ্বাসটুকু রাখতে পারে যে এসব মূল্যবোধ - আদর্শ অনুসরণ করে গেলে তারা ভোট হারাবে না তবেই তারা জাতিকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিতে পারবে - এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। দরকার শুধু আত্মবিশ্বাস - একথা মনে রাখাটাই দরকার যে, সত্য ও ন্যায়ের পথ কঠিন হলেও বিজয় এই পথেই আসে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ঠিক আমার মনের কথাই বলেছেন। তবে আমি অবশ্যই এতো সুন্দর করে বলতে পারতাম না। আশা করি আমাদের চেতনা বুঝতে পারবেন দেশনেত্রীরা।
এইবার চাই রাজাকার কুত্তার বাচ্চাদের বিচার । আর কিছুর দরকার নাই । এই একটাই চাওয়া আমার ।
জয় বাংলা
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
শুধু বিচারে হবে না, বিচার করে নির্মূল করতে হবে । সম্ভব হলে তাদের সকলের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্ট বা অন্য কোন ভাবে পঙ্গু ও দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় ব্যায় করা যেতে পারে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
রাজাকারদের ভরাডুবির মাঝেও দেখি সাকা চৌধুরী একটা আসনে জিতেছে! হারামজাদাকে কারা ভোট দিল দেখার খুব ইচ্ছা ছিল।
এইভাবে জিতেছে সাকা চৌধুরী। অন্যসময় হলে ভোটকেন্দ্রের পুনর্নির্বাচন দাবী করা যুক্তিসঙ্গত ছিল, কিন্তু এবারে ভোটের সামগ্রিক ফলের পরে মনে হয়না ওই কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবী উঠবে। কারণ ওটা আবার একটা ইস্যু বিএনপির হাতে তুলে দিতে পারে হরতালে নামার জন্য।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এই ভয়ংকর দানবটাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে না হলে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তেই একে স্রেফ নাই করে দিতে হবে যে কোন উছিলায় ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
RAB
Crossfire
?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সাকার কিছু হয় না ক্যান?
এ বিজয় জনতার ---
এই গতকাল ও আমার এক বন্ধুর সাথে তর্ক হচ্ছিল, বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় উগ্রবাদ দূর করার উপায় নিয়ে। তিনি বলছিলেন আইন করে ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা। আমি বললাম এরা একটি রাজনৈতিক আদর্শের অনুসারী, এদেরকে রাজনৈতিক ভাবেই পরাজিত করতে হবে।
সত্যি বুঝি বাংলার মানুষ আজ বুঝিয়ে দিল -- ঐ ভ্রান্ত এবং স্ববিরোধী মতাদর্শের কোন স্থান বাংলার মাটিতে নেই।
তবে একটি কথা -- ৫২ থেকে ৭১ এর দীর্ঘ সংগ্রামে যদিও বা ঐ আদর্শ একবার পরাজিত হয়েছিল -- তার ভুত পুরোপুরি বিতাড়িত হয়নি -- ৭৫ এ আবার চেপে বসেছিল জাতির মাথায়।
যদিও আজকের নির্বাচনে আসনের অংকে ঐ গোষ্ঠী বিপুল ভাবে পরাজিত -- তারা সংখায় এবং সংগঠনে এখনো যথেষ্ঠ পরিমানে বিদ্যমান -- এই ধাক্কায় ওই আদর্শকে সামাজিক ভাবে সম্পূর্ণ পরাস্ত করা দরকার।
জনগন রাজনৈতিক পদ্ধতিতেই তাদের রায় কিন্ত জানিয়ে দিয়েছে ।
এখন decisive পদক্ষেপ নেয়ার দায়িত্ব কিন্তু সরকারের । তাদেরকে নির্বাচিত করে পাঠান হয়েছে রাজাকার নির্মূল করার জন্য - এটা তাদের মনে রাখা উচিত ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
জয় আওয়ামীলীগের হোক অথবা মোহামেডানের
রাজাকার হারামীগুলো হেরে ভুত হয়েছে
এতেই আমি চরম খুশী
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
এই বিজয় শুয়োরের পালের নেতা নিজামী-মুজাহিদ- কামরুজ্জামানদের পশ্চাতে জনতার গদাম লাথথি ...
এই জয় না আওয়ামীলীগের, না মহাজোটের এই জয় চেতনার।
--------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
আওয়ামী লীগ বা বিএনপি, কোনোটা নিয়েই মাথাব্যাথা নেই আমার। তবে রাজাকারদের চিনে নিয়ে বাঙালী যে তাদেরকে চরম ঘৃনাভরে ছুঁড়ে ফেলতে শিখেছে, এবং ফেলেছে, তাতেই আমি মহা আনন্দিত।
জেগে থাকুক এই চেতনা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এই বিজয় অন্ধকারের বিপরীতে আলোর।
এই বিজয় দুর্মর বাংলাদেশের--
সাবাস বাংলাদেশ--এ পৃথিবী আজো অবাক তাকিয়ে রয়----!!
সাকাতো রয়ে গেলেন,
রাজাকারদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদেরও ছুঁড়ে ফেলছি না তো! কাদের সিদ্দিকি হারলেন কেন?
কাদের সিদ্দিকির সাথে একজন মুক্তিযোদ্ধাই জিতেছেন ...
১৯৭১ এর কাদের সিদ্দিকি আর ২০০৮ এর কাদের সিদ্দিকি এক নয়।
এই বিজয় নিয়ে তৃণমূল ভূঁইফোড় এবং পুরানা আওয়ামী কর্মীরা ধরাকে সরা জ্ঞান করা শুরু না করে সংযম ও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিলেই বিজয় অর্থবহ সুন্দর হবে।
শীর্ষপর্যায়ে দূর্নীতি ও দেশ বিরোধী নীতির বিরূদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়াটা জরুরী।
আমার এলাকা (ঢাকা-১২) তে বেসরকারীভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ তাপস (৭৫এর ক্যূ-এ নিহত শেখ মনির ছেলে; হাসিনার ভাতিজা) ....নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা হলফনামায় দেখেছিলাম ওনার নামেও স্থগিত দুইটি মামলা রয়েছে (দুদকসহ)। তা সত্বেও যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সহযোগীদের পাছায় লাত্থি দেয়া ফলাফলে আমি অসম্ভব খুশি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এই জয় জনতার। কিন্তু তার মাঝেও দু:খ রয়ে গেল।
জামাত ২টি আসন পেল আর সাকা জিতে গেল, আর এই তিনটি ঘটনা ঘটল চট্টগ্রামে। হায় ............. চট্টগ্রামবাসী তোমরা কি করলে???
সালাম বাঙলার জনগণ।
টু দ্য পয়েন্ট।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সাধু সাধু! ২০০% ভাগ একমত।
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
ঠিক।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
আওয়ামী লীগ যেন এই অর্জনের মূল্যটা বোঝে! দস্যু রত্নাকরও তো একসময় হয়েছিলেন বাল্মিকী মুনি... আওয়ামী লীগ যেন সেই একাত্তুরের আওয়ামী লীগ হিসেবে এসে দাঁড়াতে পারে, এছাড়া আর কামনা করার কীইবা আছে?
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
একদম ঠিক
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পুরো লেখার প্রতিটি লাইনের সাথে সহমত।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
৭১-এর জ্বীন-ভূত-দের কি করবো ? এই জ্বীন-ভূতগুলা এখন বক হবার চেষ্টা করবে । ধ্যানে বসার আগেই কিছু একটা করতে হবে, নয়তো আগের মত ভয় দেখাবে আর কষ্টের ফসল খেয়ে ফেলবে ।
আর সেই সব জ্বীন-ভূত যারা দেশজুড়ে বোমা মেরে সারা দেশে ভীতি জাগালো তাদের কি করা হবে ?
ভুলে গেলে চলবে না বর্তমানের বিজয়ের পিছনে এদের রয়েছে উজ্জ্বল ভুমিকা । দ্রব্য মূল্যের ভূমিকা যদিও প্রধান বলে মনে হ্য় । এরও ফয়সালা শুরুতেই করতে হবে ।
আর বাংলাদেশের জনগন মনে হয় তাদের মনের সব অস্ত্র জমা রেখেছিলো এইরকম একদিনে দেখানোর জন্য । তাদের অস্ত্রের সম্মান সরকার দিলেই মালয়েশিয়া বা সিংগাপুরের মত তুলনামুলক উন্নতি আমরা করতে পারবো ।
নদী
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
একমত হিমুর সাথে
তবে আমরা যেন ছোট ছোট কীটকে নিযে বেশি আলোচনা করে দানব না বানিয়ে ফেলি এটাও মাথায় রাখতে হবে
কারণ একসময় হয়তো আমরাই এদের নিয়ে বেশি আলোচনা করে অনেকের মনেই শিবিরের প্যানিক ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম
রাজাকারদের শক্তি যত না বড়ো
আমরা ভেবেছিলাম তার চেয়েও অনেক বড়ো করে
আর এর প্রভাব কোনো না কোনোভাবে গিযে পড়েছে আমাদেরই কারো না কারো উপর
০২
কীটদেরকে যেন কীটদের মতোই দেখি আমরা
দানব হিসেবে নয়
সহমত
অহমিকা বোধ কাটিয়ে কথাগুলো মাথায় রাখুক তারা...
...........................
Every Picture Tells a Story
দীর্ঘ সাতবছর প্রাইভেট চ্যানেলগুলোর খবরও দেখতে ইচ্ছে হতনা রাজাকারের বাচ্চাগুলোকে দেখতে হবে বলে। দিনসাতেক পর থেকে আবারও খবর দেখব সুস্থির মন নিয়ে।
বাঙলিশ বলে যতই গালাগাল দিক এ তরুণ সমাজকে, আমি বরাবরই তাদের স্মার্টনেসের প্রশংসায় মুখর। আজ বাঙলিশ ছেলেমেয়েগুলো স্বাধীনতার স্বাদ পাইয়ে দিল নির্জীব প্রবীণগুলোরে।
শ্রদ্ধা তাই তাদের। যারা নতুন চোখে (মুক্তিযোদ্ধা বা অমুক্তিযোদ্ধার চোখ থেকে নয়) বাংলাদেশকে দেখতে শিখেছে। আওয়ামী লীগের সাবধান এবার হতেই হবে। তরুণ যেমন আঘাতে ভাঙতে পারে তেমন টক শো'র বুলি না কপচে লাথিও মারতে জানে------আওয়ামী ইতিহাসই তার সাক্ষ্য।
আর আপনার লেখার সাথে সহমত।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
কিন্তু এই কিছুক্ষণ আগে বেগম খালেদা জিয়া চারদলের পক্ষ থেকে মহা জালিয়াতির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষপূর্ণ ধন্যবাদ জানিয়ে এমন নীলনক্সার নির্বাচনকে প্রত্যাক্ষান করলেন।(বাংলা ভিশন চ্যানেল এবং অন্যান্য টিভি মিডিয়া..)
এবং ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হানাহানির সংবাদ আসা শুরু হয়ে গেছে....
বাঙালির জন্ম-ফাঁড়াটি কি আবারো........?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
=============================
একমত
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
এ পরাজয় মুক্তিযোদ্ধাহন্তারকদের
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
নতুন মন্তব্য করুন