২) পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত থাকতে হবে।
৩) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৪) দিনে-রাতে মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
৫) প্রধান শহরগুলোয় যানজট কমানোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
__
শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ থাকবে, কথা কম বলে মন দিয়ে শুনুন আপনার সমালোচকরা কী বলেন। বিদেশ ভ্রমণ, অনারারি ডিগ্রি, চামচা বেষ্টনীর চক্কর থেকে বেরিয়ে আসুন। আর প্লিজ, বঙ্গবন্ধুর নামকে যত্রতত্র ব্যবহার করবেন না।
৫ | লিখেছেন অভ্রনীল (তারিখ: বুধ, ৩১/১২/২০০৮ - ৩:১১পূর্বাহ্ন)
৬. আগের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেয়া। যেমন দেশকে বাবার সম্পত্তি মনে না করা।
৭. হাসিনার প্রতি অনুরোধ থাকবে উনি যেন এইবার কমনসেন্স নিয়ে কথা বলেন।
৮. দেশকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যেখান থেকে আমরা বিশ্বের কাছে দেশ নিয়ে গর্ববোধ করতে পারি। "ব্যাংলাড্যাশ" বলে পৃথিবীর অন্য প্রান্তের কেউ নাক সিটকাবেনা।
৯. দেশকে সব দিক থেকে স্বয়ংসম্পুর্ণ করতে বিদেশের সাহায্য পাওয়া টাকাগুলো দেশের কাজে খরচ করা।
১। অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
আমাদের এখন দুধরনের অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে নজর দিতে হবে।
১ক। শর্ট টার্ম এবং
১খ। লং টার্ম
১ক। শর্ট টার্ম অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
এটা হতে হবে বর্তমান অর্থনৈতিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে একটা সাসটেইনড গ্রোথ ধরে রাখা। প্রাথমিক কাজ হবে বর্তমান অর্থনৈতিক খুঁটি গুলি আইডেনটিফাই করা। যেমন, গার্মেন্টস, আইটি, এক্সটার্নাল রেমিট্যান্স। তারপর এদের মাধ্যমে কতখানি বুস্ট আনা সম্ভব সেটা যাচাই করা। যেমন, যদি গার্মেন্টেসে ট্যক্স কাট দেয়া হয় তাহলে নতুন কতগুলো চাকরী আসতে পারে? কতখানি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতে পারে? যদি আইটি সেক্টরে নতুন কোম্পানীর সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয় তাহলে কতখানি নতুন চাকুরী তৈরী হতে পারে?
এই পরিকল্পনা করতে হবে তিন মাসের মধ্যে এবং কার্যকর করতে হবে ছয় মাসের মধ্যে। প্রাইমারী গোল: আরো অনেক বেশী মানুষ যেন খেয়ে পরে বাঁচতে পারে।
১০ | লিখেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক (তারিখ: বুধ, ৩১/১২/২০০৮ - ৩:৫৪পূর্বাহ্ন)
১. বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। হল দখলের পুনরাবৃত্তি না ঘটিয়ে সকলের সাথে সহাবস্থান নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা
২. উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ (টাকা পয়সা, জার্ণাল ইত্যাদি)এর ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নেয়া
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি বহাল রাখা তবে তা ছাত্রদের কল্যানের জন্যেই যেন হয়, দলীয় রাজনীতির লেজুড়বৃত্তিতে ব্যবহৃত না হয় সেদিকটা বিবেচনা করা
৪. শিক্ষকদের যেন খ্যাপ মারতে না হয়, সামান্য পদের জন্য যেন দলীয়নেতা-নেত্রীদের গাত্র-পদ লেহন না করতে হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া।
১খ। লং টার্ম অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
এরপর থাকতে হবে লং টার্ম অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারটা। বেশ খানিকটা সময় নিয়ে (এক থেকে দু বছর) ঠিক করুন আগামী বিশ বছরে আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামো কি হতে পারে? পৃথিবীর মূল ফোকাস কি হতে পারে? আমাদের অর্থনৈতিক গোলযোগ কিসের ভিত্তিতে হতে পারে? ছোট দেশ হিসেবে বেঁচে থাকতে হলে কি করতে হতে পারে? ভিক্ষা চাইতে হলে কোন দেশ পোটেনিশয়াল ভিক্ষা দাতা, তাদের সাথে ভালো সর্ম্পক আছে কিনা সেটা লক্ষ্য করতে হবে। এক্ষেত্রে দল নয় দেশ বড় করে দেখতে হবে। কেননা এটার বেনিফিট ১০-২০ বছরে চোখে পড়বে না।
২। দুর্নীতি দমন:
একটা সামাজিক আন্দোলন দরকার এক্ষেত্রে। আমাদের কাঠমোল্লা প্রধান দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রন ঢোকানো গ্যাছে আর নৈতিকতা ঢোকানো যাবে না? এটা করতে হবে টপ ডাউন এবং বটম আপ দুই এপ্রোচেই। বটম আপ মানে গোঁড়ার দিকে সাধারন জনতার মধ্যে সচেতনতা তৈরী করা। মানুষ যেন ঘুষ না দেয়, অনিয়ম সহ্য না করে এ ব্যাপারে জন সচেতনতা তৈরী করতে হবে। আর টপ ডাউন মানে উপরের দিক থেকে সততা। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে উপরের সবাই যেন ধীরে ধীরে সৎ হতে পারেন সেই সুযোগ থাকতে হবে।
মনে রাখবেন দুর্নীতি দমন সম্ভব হবে না যদি না অর্থনৈতিক মুক্তি না ঘটে। তাই একই সাথে শক্ত অর্থনৈতিক উন্নতি করতে হবে।
প্রথম দাবীটা তো একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মৌলবাদীদের বিচার এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধকরন। এরপর...লুটপাট, চুরি যথাসম্ভব সীমিত রাখা। পুরোপুরি বন্ধ হবে সেটা মনে হয় একটু বেশি আশাই করা হবে...এরউপরে এই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। মাথা ঠিক রাখা অনেক কঠিন। ইতোমধ্যেই হল দখল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।
সাধারন মানুষের চাওয়া পাওয়া খুব সীমিত। তান্ত্রিকসমাজের মতো টয়লেট শেষে পশ্চাৎদেশ পরিষ্কারের দায়িত্বও রাষ্ট্র নেবে সেটা সাধারন মানুষ আশা করেন না। একদিনে ম্যাজিক দেখাবেন সেটাও কেউ আশা করে না। দ্রব্যমূল্যের দাম আহামরি কমবে সেটা আশা করছি না। কারন, সারা বিশ্বেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। উপরে চুরি কমলে নিচেও কমবে ধীরে ধীরে। নিজের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে শিখবে মানুষ। এখন ধরাকে সরা জ্ঞান না করে কতটুকু লাগাম টেনে ধরতে পারেন সেটা দেখার বিষয় ...
মৌলবাদী ও যুদ্ধাপরাধীদের মূল উৎপাটনের মাধ্যমে তাদের হাতেই ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ- সেটুকুই আশা করছি...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
৩। এড্যুকেশন সিস্টেম ওভারহল:
দলীয় কোন্দল, যেমন কে স্বাধীনতার ঘোষক কে নয় এসব থেকে বেরিয়ে এসে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবমুখী নয়। গৃহীত শিক্ষা বাস্তব কোন কাজে আসে না। এন্ট্রিপ্রিনওর হতে শেখায় না। ভাবতে শেখায় না। একস্ট্রা অর্ডিনারী চিন্তাশীল মানুষ হতে শেখায় না। কেবল কনফিউজড অর্ডিনারী মানুষ হতে শেখায়। এখানে বাইরের দেশ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। বিশেষ করে ভারতের কাছ থেকে শিখতে পারেন। কিভাবে তারা শিক্ষার মান এত উন্নত করল। দুবছরের মধ্যে এটাকে চমৎকার একটা সিস্টেমে দাঁড় করাতে হবে।
৪। এনার্জি পলিসি
ভবিষ্যতের জ্বালানী কি হবে? বাইরের পৃথিবী কি করছে? কত টাকা আমরা এনার্জির পিছনে ব্যয় করছি? আগামী বিশ বছরে কি করা যেতে পারে? এটা নিয়ে একটা পরিকল্পনা এখনই করে রাখতে হবে।
১৬ | লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: বুধ, ৩১/১২/২০০৮ - ৪:৪৪পূর্বাহ্ন)
৪ খ। জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে জ্বলানিনীতির সামঞ্জস্যতা চাই। দেশকে খাদ্যবস্ত্রে স্বনির্ভর করতে গ্যাস ও কয়লায় সুষ্ঠু ব্যাবহার ও আমদানি নির্ভরতা কমানোর টার্গেট বেঁধে দেওয়া চাই।
৪ গ। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা কে এক করে নিয়ে নিখিল বাংলা জ্বালানী তেল সংস্থা চাই।
১৮ | লিখেছেন এনকিদু (তারিখ: বুধ, ৩১/১২/২০০৮ - ১০:৪৯অপরাহ্ন)
আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত । তারপরও শিক্ষা বিষয়ক কয়েকটি লাইন যোগ করি ।
বেশির ভাগ উন্নত দেশে মানুষে দুই তিনটা বিদেশি ভাষা পারে । আমাদের ইংরেজি ছাড়াও ইউরোপের পাঁচটি প্রধান ভাষার যেকোন একটি স্কুলে, নিদেন পক্ষে কলেজে শেখান উচিত । পৃথিবিটা অনেক বড় । শুধু ইংরেজিতে পোষায় না ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
২০ | লিখেছেন থার্ড আই (তারিখ: বুধ, ৩১/১২/২০০৮ - ৫:২৯পূর্বাহ্ন)
কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং কোরআনের সঠিক ব্যাখ্যা গুলো প্রচার করা( গনমাধ্যমের সহায়তা নেয়া যেতে পারে) কেননা রাজাকাররা কোরআন শরীফে হেন বলেছে ত্যান বলেছে বলে প্রচার করে মানুষকে অযথা ভয় ভীতি দেখিয়ে বেড়ায়, আমরাও এটা চুপ করে শুনি, কারণ এই বিষয়ে আমাদের সাধারণ মানুষের জ্ঞান সীমিত। এই ভুল ব্যাখ্যার উপর পুঁজি করেই ধর্মব্যবসায়িরা সাধারণ মানুষকে বোকা বানায়। কিন্তু প্রকৃত কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থাটা করা গেলে সেখানে মাদ্রাসার পোলাপান আবজাব বুঝাইতে পারবেনা। কোরআন শিক্ষা দিতে হলেই যে হাটুর উপরে পায়জামা তুলে,দাড়ি চুলকাইতে চুলকাইতে আর পান চাবাতে চাবাতে শিক্ষা দিতে হবে এই ধারণা বদলাতে হবে। স্মার্ট ছেলে মেয়েদের এই শিক্ষায় উৎসাহিত করতে হবে।
শিক্ষাটা আসলে ক্যামন হবে সেটাও বলি।
কোরআনের সঠিক অনুবাদ ও পূর্ণাঙ্গ ব্যাখা সাধারণ মানুষের কাছে পৌছাতে হবে। ধর্ম সম্পর্কে মানুষের ভীতি দূর করতে হবে। তাহলেই আর হাতে কোরআন শপথ করিয়ে ভবিষ্যতে ভোট কারচুপির ছক আঁকা যাবেনা।
রাত বিরাতে মাহফিলের নামে ধর্ম ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে ভুল শিক্ষা দিতে পারবেনা, চালাতে পারবেনা রাজণৈতিক ক্যম্পেইন। কোরআনকে সঠিক অনুবাদ করে সহজপাঠ্য করে তুলতে হবে।
ধর্মীয় শিক্ষার নামে মাদ্রাসার অন্ধ কুঠুরিতে হাটুগেড়ে শুধু কায়দা মুখস্ত করার অন্ধ অনুকরণ বন্ধকরে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সাথে ধর্মীয় শিক্ষাকে অন্তভূক্ত করে একমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
স্নাতক পর্যন্ত বিনমূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করার আগে নির্বাচিত এমপিরা, যে গুলো আধা শিক্ষিত ঐগুলার জন্য বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। ( মোটেও হাসির আলাপ না এইটা দয়া করে হাসবেন না) ইংরেজী কম জানা গুলোর জন্য ইংরেজী শিক্ষা, যেগুলোর আইটি জ্ঞান নেই সেই গুলোরে আইটি শিক্ষা, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে শেখানো , ব্লগে একটা একটা কইরা একাউন্ট, ফেসবুকে একাউন্ট , না হলে অন্তত ইমেইল ইউজটা শেখানোর দ্রুত উদ্যেগ নেয়া দরকার।
নির্বাচিত প্রতিশ্রুতিগুলো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে অগ্রাধীকার দিয়ে এ্যাকশন প্লান নির্ধারণ করা , কবে এবং কিভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা।
নিজ এলাকার জন প্রতিনিধি সপ্তাহে অন্তত একদিন তার নির্বাচনী এলাকায় নিদিষ্ট সময়ে স্থানীয় মানুষের সমস্যা সমাধানে সার্জারীতে বসবেন এই ব্যবস্থা করা।
আপাতত এইগুলো মনে আসছে, বাকী গুলো মনে পড়লেই ব্লগানো শুরু করবো ।
কোরানের পক্ষপাতহীন (নিজের ইচ্ছেমত নয়) ব্যাখ্যার ব্যাপারে থার্ড আই কে জোরালো সমর্থন করছি।
আমার মনে হয় মূলধারার গণমাধ্যম ধর্মের ব্যাপারে বিমুখ থাকায় ধর্মব্যবসায়ীরা আরও বেশি সুযোগ পেয়েছে মানুষকে বিভ্রান্ত করার। মূলধারার গণমাধ্যমে আরও বেশি সহজবোধ্য আলোচনা, সমালোচনা (ভ্রান্ত ধারনার) হওয়া দরকার সহজবোধ্য বাঙলায়। কথায় কথায় আরবি, ফার্সি বয়ান দিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার করে ধর্ম ব্যবসায়ীরা তাদের বিভ্রান্ত করে। কোরানের অনেক জায়গায় (১২:২ তথা ১২ নম্বর সুরার দ্বিতীয় বাক্যে; ২০:১১৩ ও ২৬:১৯৫ ইত্যাদি) আরবি ভাষাভাষীদের উদ্দেশ্য করে বলা আছে, "কোরান আরবি ভাষায় অবতীর্ন হয়েছে যাতে তোমরা (আরবের লোকেরা) তথ্য সহজে বুঝতে পার" - Paraphrase। এখানে সুনির্দিষ্টভাবে সহজবোধ্যতার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাই যার যার ভাষায় সরলভাবে উপস্থাপনের গুরুত্ব অনেক। কোরানের ৩০ নম্বর সুরার ২২ নম্বর বাক্যে পৃথিবীর সকল ভাষাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ভারি ভারি শব্দের মধ্যে রেখে ভীতি ও বিভ্রান্তি না বাড়িয়ে সহজ পথে হাঁটতে হবে। তাহলে অনর্থক ভীতি দূর হবে। প্রয়োজনীয় সমীহ ও মান্যতা আসবে।
২৪ | লিখেছেন সুবিনয় মুস্তফী (তারিখ: বুধ, ৩১/১২/২০০৮ - ৫:৪১পূর্বাহ্ন)
অর্থনৈতিক উইশ লিস্ট
একেবারেই আংশিক লিস্ট, বাংলাদেশের জন্যে এরকম লিস্টে সহজ়েই ৫০টা আইটেম বসানো যেতে পারে। তাও মাথায় যেগুলো প্রথমে এসেছিলো সেগুলা দিয়ে দিলাম। সুধীজন নিশ্চয়ই আরো অন্যান্য অনেক ইস্যুর কথা জানবেন।
---
১) পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুত উৎপাদনে সক্ষম অবকাঠামো। বিদ্যুত ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত ফেল।
২) রপ্তানীমুখী শিল্পায়ন - বিশেষ করে শ্রম-ঘণ সেক্টরে। বিশ্ব বাজার টলমল, তাই আগামী দু-তিন বছর বিদেশে লোক পাঠানোর উপর ভরসা কমিয়ে অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থানে বেশী করে মন দিতে হবে। গার্মেন্টস ছাড়াও আর কি কি সেক্টরে আমাদের সামনে খোলা আছে, খুঁজে দেখতে হবে।
৩) উন্নয়নের প্রকৃত বিকেন্দ্রীকরণ চাই - শিল্প কারখানা যেন প্রতিটি বিভাগে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের ফলে ঢাকা চট্টগ্রাম ইত্যাদি বড় শহরগুলোর উপর প্রচন্ড চাপ পড়ছে। মানুষকে তার শেকড়ের কাছাকাছি কাজের সুযোগ করে দিন, যাতে অর্থনৈতিক উদ্বাস্তু আর বস্তিবাসীর সংখ্যা কমে।
৪) এর মানে চৌকষ একটা অভ্যন্তরীণ ইনফ্রাস্ট্রাকচার চাই। শিল্প কারখানা তখনই দূরবর্তী অঞ্চলে নেয়া সম্ভব, যখন বহির্বিশ্বের সাথে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন করা গেছে। রাস্তা-ঘাট, হাইওয়ে, ব্রিজ নির্মাতারা কোথায়?
৫) প্রাথমিক স্তর থেকেই ছাত্র ছাত্রীদের সুষ্ঠু ইংরেজী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। "সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের" নামে ছাত্র ছাত্রীদের ইংরেজীর মান খাটো করে দিয়ে তাদের পায়ে কুড়াল মারা বন্ধ করতে হবে। ঔপনিবেশিক ভাষা, বৃটিশের ভাষা এইসব চিন্তার দিন ফুরিয়েছে। পুরো বিশ্বের শ্রম-শক্তির সাথে পাল্লা দেয়ার মেধা ও যোগ্যতা আমাদের আছে, শুধু একটা ভাষার কারনে পিছিয়ে পড়াটা অগ্রহণযোগ্য।
৬) দেশের ভিতরে নানা অসমতার সাথে সাথে ডিজিটাল ডিভাইডও বড় হয়েছে - শহর বনাম গ্রাম। এই ব্যবধান কিছুটা হলেও কমানো প্রয়োজন। বেসিক স্বাক্ষরতার সাথে সাথে নতুন প্রজন্মের "টেকনোলজি স্বাক্ষরতা" বাড়ানোর নানা পন্থা খুঁজতে হবে।
৭) প্রকৃত ব্রোডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ প্রসার ঘটাতে হবে - শহরে, মফস্বলে এবং গ্রামে।
৮) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন শর্টেজ-এর সৃষ্টি হয়। অমুক দেশে অভিজ্ঞ নার্স দরকার তো তমুক দেশে ইলেক্ট্রিশিয়ানের অভাব। সরকারের পক্ষে সম্ভব টেকনিক্যাল ট্রেনিং, ভোকেশনাল ট্রেনিং, ভাষা শিক্ষা, এসবের সমন্বয় ঘটিয়ে একটা চৌকষ শ্রমিক বেইজ গড়ে তোলা। সরকারকে এইসব বিষয় নজর রাখতে হবে। এবং তারই সাথে সাথে...
৯) ...আমাদের তেলতেলে এলিট কূটনীতিক শ্রেণীকে দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় আরো অনেক বেশী মনোযোগী হতে হবে। আপনারা দেশের চাকর, উল্টোটা না। বিসিএস-এ টপ মার্ক পাওয়া মানে এই না যে বিদেশে গিয়ে খালি অফিশিয়াল পার্টি আর ডিনারই সব। ইকোনোমিক ডিপ্লোম্যাসি বিষয়ে সজাগ হোন। আমাদের কোথায় কোথায় সুযোগ থাকতে পারে, সরকারকে জানান। সর্বোপরি ভিনদেশে ইমিগ্র্যান্ট ভাইদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সচেষ্ট থাকুন। দাম্ভিকতা ঝেড়ে গ্রামের যেই ছেলেটা দিনে ১৪ ঘন্টা কাজ করে দেশে বাপ-মা ভাই-বোনের কাছে অল্প কিছু টাকা পাঠানোর জন্যে, তার জীবনটা আরেকটু সহজ করে দেয়ার চেষ্টা করেন।
১। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার .....
২। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা....
৩। ধর্ম এবং রাষ্ট্র এ দুটিকে আলাদা রাখা....
৪। নারীনীতির পূর্নাংগ বাস্তবায়ন.....
৫। মাদ্রাসা শিক্ষা উঠিয়ে মূল্ধারার শিক্ষায় নিয়ে আসা ....
৬।বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা সম্প্রসারণ করা.....
৭। ধর্মীয় সংখ্যালঘু, উপজাতি , নারী সহ সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা ...
৮। তসলীমা নাসরিন, দাউদ হায়দার দের নিজ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা ....
আসলে চাওয়ার তো শেষ নেই । লিষ্ট লম্বা হতেই থাকবে - তাই এখানেই আপাতত থামলাম । প্রাথমিক ভাবে যে চাওয়া গুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তাই তুলে ধরলাম এখানে ...
অতি দ্রুত দেশের অবকাঠামোর উন্নয়ন। বিশেষ করে বিদ্যুত, পানি, গ্যাস সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উপায় বের করা।
নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিটি মানুষের উপার্জন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদী ইফেক্টিভ পরিকল্পনা নেয়া।
ছিন্নমূল মানুষের জন্য স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে বাসস্থান বানাতে ভার্টিক্যালি। এতে অনেক স্পেস বেচেঁ যাবে।
শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষ করে বাংলা মিডিয়াম আর ইংলিশ মিডিয়ামের দূরত্ব চিরতরে মুছে ফেলতে হবে। পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষা জবরদস্তি বন্ধ করে না দিয়ে আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে। প্রয়োজনে আরবীতে বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া উচ্চ শিক্ষাসহ সকল শিক্ষার গুনগত পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা যাতে না বাড়ে সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি স্কীলড্ জনশক্তি বানাতে হবে আলোর গতিতে (হা হা) এবং বাড়াতে হবে ইংরেজীর উপর দক্ষতা।
বাঙ্গালী সংস্কৃতিসহ দেশের সকল ছোট ছোট উপসংস্কৃতির বিকাশের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। একে অন্যকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নিতে হবে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশী চ্যানেলগুলো বন্ধ না করে ভয়াভহ পরিমানের ট্যাস্ক আরোপ করা যেতে পারে।
পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে গোটা দেশকে স্থায়ী বাধেঁর আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। এখনি আগামী ১০০ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিতে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। বের করতে হবে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান
শিল্প উন্নয়নের জন্য যত্নবান হতে হবে। বিশেষ করে কৃষি, পোষাক শিল্প, বন্দর এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আধুনিক টেকলজি ব্যবহারের পাশাপাশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি এমন নতুন নতুন শিল্পের কথা চিন্তা করা যেতে পারে যা থেকে আয় হতে পারে বিপুল পরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা। এক্ষেত্রে প্রথমেই ভাবা যেতে পারে সার্ভিস অরিয়েন্টেড ব্যবসার কথা।
প্রশাসনিক কর্মকান্ডের জোরালো বিকেন্দ্রীকরণ চাই। সামান্য কাজের জন্যে লোকজনকে যেন ঘন ঘন রাজধানী বা বিভাগীয় শহরে দৌড়াতে না হয়।
মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কার এবং কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে শিক্ষাবোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন করা।
পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলির টিপে ধরা টুঁটি ছাড়িয়ে একে ইন্ডাস্ট্রির সাথে সমন্বিত করে শিল্প ও গবেষণার মেলবন্ধন ঘটানো।
নিজ দলের পান্ডাদের কঠোর হাতে দমন করে গুন্ডামির হাত থেকে দেশবাসীকে মুক্তি দেয়া। এই সরকারের আমলেই জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমান প্রমুখ গডফাদারদের বিচার দেখতে চাই।
তারেক ও কোকো জিয়ার লুট ও পাচার করা হাজার হাজার কোটি টাকা পুনরায় দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা।
শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি ধরনের সুবিধা আদায়ে ভূমিধ্বস ঐকমত্য না দেখিয়ে বরং সংসদে কার্যকর সব আইন প্রণয়নে একমত হওয়া এবং সংবিধানের গায়ে লেপ্টে থাকা কালো দাগগুলি মুছে ফেলা।
একটি কার্যকর, আধুনিক, রুচিশীল, স্বায়ত্বশাসিত বাংলাদেশ টেলিভিশন পুনর্প্রতিষ্ঠা করা।
৩০ | লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বুধ, ৩১/১২/২০০৮ - ৬:৫৮পূর্বাহ্ন)
সবার চাওয়াতে অনেক জরুরী বিষয়গুতলো উঠে এসেছে । সবগুলোর সাথে তীব্র সহমত জানিয়ে আমার দু'আনাঃ-
১। বিনা বিচারে মানুষ হত্যার রাষ্ট্রীয় আয়োজন বন্ধ করতে হবে । আর একটা ও যেনো ক্রসফায়ারের ঘটনা না ঘটে । বিএনপি সরকার অপারেশন ক্লিনহার্ট নামের হত্যাযজ্ঞের যে ইন্ডেমনিটি দিয়েছে সেটা বাতিল করতে হবে । সরকার বিরোধী আন্দোলন হলেই গনগ্রেপ্তারের নামে নামে হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে জেলে পুরে যে হয়রানী করেছিল জামাত-বিএনপি সরকার তার যেনো কোন পুনরাবৃত্তি না ঘটে ।
৩২ | লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ৩১/১২/২০০৮ - ৯:৫৫পূর্বাহ্ন)
কৃষির দুঃখের অবসান চাই। আমাদের মাঠগুলো ফলবতী; অনন্ত দুঃখের মধ্যেও এরা আমাদের সোনা এনে দেয়। তা না হলে কী করে গত পাঁচবছরে দুটো ভয়াবহ বন্যা, একটি সিডর, আর মৌসুমে বীজ-সার-সেচের ক্রমাগত সঙ্কটের পরও রাশিরাশি ফলন। কৃষি, কৃষক ও গোটা জাতির সেকি সৌভাগ্য।
আমাদের কৃষি জীবননির্বাহী। মানে সকলে মিলে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার মূল প্রণোদনা আসে এখান থেকে। গত কয়েক বছরে বাম্পার ফলন আর ঊর্ধ্বমুখী দামের যে প্যারাডক্স তৈরি হয়েছিল তাতে আমাদের বোদ্ধামহলের কিছু বুদ্ধু ঠিকমত না বুঝেই হাফ ছেড়ে বাঁচলেন: কৃষকের দিন এল। তারা দাম পাচ্ছে। রাজনীতি যা এদ্দিনে যা দিতে পারেনি, বাজার তা দিল।
অন্যান্য সেক্টরে ইনপুট আর আউটপুটের দাম না বেড়ে জীবননির্বাহী ফলনের দাম বেড়ে চললে যেখানে মোট শ্রমশক্তির অর্ধেকর বেশি নিয়োজিত তারাই বাজারের আগুনে বেশি পোড়ে, কেননা খাবার কেনার জন্যই তাদের আয়ের ৯০%-এর বেশি চলে যায়। মানে বাজার যা দিল নিয়ে গেল তার বেশি। দামের চাপে পড়ে অকৃষি শ্রমিকেরও ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। রিয়েল ওয়েজ হাঁটুতে নামল যে।
কৃষির এই পেট-ফোলা রোগের আরোগ্য চাই, যাতে আমরা সবাই মিলে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারি। একটি আধুনিক জীবননির্বাহী কৃষি চাই যেখানে
১. উপকরণ সরবরাহ বাঁধাহীন ও সুলভ
২. পর্যাপ্ত রাষ্ট্রীয় খাদ্যমজুত, যুক্তিযুক্ত দামে
৩. আধুনিক বিপনন কাঠামো তৈরি, পারলে ডিজিটাল
৪. সমবায়-বিপনন পুনরায় চালু
৫. কৃষিশিক্ষার ব্যাপক প্রসার এবং উত্ সাহ প্রদান যাতে করে এমনকি বঙ্গভবনেও কিছুটা চাষবাস হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেও যেন দুয়েকটা 'অনারারি' পুরষ্কার পেয়ে যান। ২০০৭-০৮-এর মত খাদ্যসঙ্কট যেন আর না আসে।
১। পেটের জ্বালা বড় ঝ্বালা। খাবারে স্বয়ং সম্পুর্ন হতে হবে। বড় বড় মার্কেট এর পিছনে এতো পয়সা খরচের আদেশ না দিয়ে , তা শষ্য উৎপাদনে উৎসাহিত কারা দরকার।
২। শিক্ষা, এক মূখী হবে। বি এ পর্যন্ত ফ্রি করার চেয়ে জরুরী মাদ্রাসা গুলোর উন্নয়ান। তা সাধারন শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে এক পর্যায়ে নিয়ে আসা। আর সব ধরনের ধর্মীয় বই তফসির স হ পড়ানো।
৩। শক্তি উৎপাদন ও তার ইউটিলিটির বিষয়ে ৫০ বছরের পরিকল্পনা করে আগানো।
৪। যেকোন অপরাধ, ধরা পড়লে, তার বিচার হওয়া, তা সে যে ই হোক।
৫। রপ্তানী মূখী উৎপাদন বাড়ানো, তা জনশক্তি হোক আর কোন ব্যব হার্য জিনিস ই হোক।
দেশের সর্বত্র দ্রুতগতির ইন্টারনেট লাইন নিশ্চিত করা। আরো একটু স্পেসিফিকলি বললে, সাবমেরিন ক্যাবলের আরো একটি ব্যাকআপ সংযোগ নিশ্চিত করা এবং বর্তমান ক্যাপাসিটির পূর্ণ ব্যবহার করা।
ছাত্র রাজনীতিকে ঢেলে সাজানো। এমনিতে অবশ্য গতবার ছাত্রলীগ তাদের কেন্দ্রীয় নমিনেশনের সময়ই অছাত্রদের নমিনেশন দেওয়া অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলো, তবুও ছাত্র রাজনীতির সামগ্রিক কালচার পরিবর্তনের জন্যই কাজ করতে হবে
দেশে এক ধরণের শিক্ষা পদ্ধতিই থাকবে। স্কুল কলেজের পড়ানোর পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে, এবং বিজ্ঞান কিংবা গণিতের মত বিষয়গুলিতে গতানুগতিক ধরণের প্রশ্ন বন্ধ করতে হবে। স্কুল পর্যায় থেকেই ব্যবহারিক ক্লাসের গুরুত্ব বাড়াতে হবে।
উপরের পয়েন্টের বাস্তবায়নের জন্য যা দরকার, অর্থাৎ প্রকৃত শিক্ষামনস্কদের হাতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ছেড়ে দিতে হবে এবং সেই সাথে স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বেতন অনেক বাড়াতে হবে।
সবার আগে চাই
১। বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে, ছোট শহর, বড় শহর সর্বত্র জনসাধারনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২। অনেক আসনেই জনসাধারনের একটা অভিযোগ আছে যে আওয়ামীলীগের নেতা, পাতি নেতারা, কর্মীরা সাধারন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়। তারা আবার এলাকার মেয়ে মহিলাদের বেশ উত্তক্ত করতেও পটু।
... এগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
৩। যুদ্ধাপরাধীদের অবশ্যই বিচার করতে হবে।
৪। সর্বত্র ব্যাবসা ও বিনিয়োগ করার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫। দেশের গ্রাম গঞ্জ থেকে শুরু করে সর্বত্র চাঁদাবাজী, ছিনতাই, রাহাজানী, সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।
৬। সকল শিক্ষাক্ষেত্রে লীগ নেতাদের সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের উপড় চাঁদাবাজী, বাড়াবাড়ী বন্ধ করতে হবে।
৭। পুলিশদের সন্ত্রাসী-সুলভ আচরণ বন্ধ করতে হবে, জনগনের শোষক না হয়ে সেবক হতে হবে এবং এজন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ ও সহযোগীতা নিশ্চিত করতে হবে।
৮। দেশে কর্মসংস্থানের ব্যাপক ও সত্যিকারের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে।
৯। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অবশ্যই কমাতে হবে।
... পরে মনে হলে আবার লিখব।
এগুলো কি আমরা শেখ হাসিনার নিকট পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারি না?
সবার আগে চাই
১। বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে, ছোট শহর, বড় শহর সর্বত্র জনসাধারনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২। অনেক আসনেই জনসাধারনের একটা অভিযোগ আছে যে আওয়ামীলীগের নেতা, পাতি নেতারা, কর্মীরা সাধারন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়। তারা আবার এলাকার মেয়ে মহিলাদের বেশ উত্তক্ত করতেও পটু।
... এগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
৩। যুদ্ধাপরাধীদের অবশ্যই বিচার করতে হবে।
৪। সর্বত্র ব্যাবসা ও বিনিয়োগ করার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫। দেশের গ্রাম গঞ্জ থেকে শুরু করে সর্বত্র চাঁদাবাজী, ছিনতাই, রাহাজানী, সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।
৬। সকল শিক্ষাক্ষেত্রে লীগ নেতাদের সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের উপড় চাঁদাবাজী, বাড়াবাড়ী বন্ধ করতে হবে।
৭। পুলিশদের সন্ত্রাসী-সুলভ আচরণ বন্ধ করতে হবে, জনগনের শোষক না হয়ে সেবক হতে হবে এবং এজন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ ও সহযোগীতা নিশ্চিত করতে হবে।
৮। দেশে কর্মসংস্থানের ব্যাপক ও সত্যিকারের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে।
৯। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অবশ্যই কমাতে হবে।
... পরে মনে হলে আবার লিখব।
এগুলো কি আমরা শেখ হাসিনার নিকট পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারি না?
কিছু্ই হয়তো হবে না চেয়ে। তবু, জিজ্ঞেস যখন করছেন, তখন চাই, মানে বলি-
দশ-দফা অরণ্যে রোদন
১. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তো করতে হবেই। এর কোনো বিকল্প নাই। ২. গণতন্ত্রের স্বার্থেই একটু গণতন্ত্র ভুলে ইসলামী দল আর প্রচারমাধ্যমগুলো বন্ধ ক'রে দিতে হবে। এগুলোর মদদ-মাধ্যমেই সানী, মুহিব খানের মতো লাখ লাখ পঙ্গপাল জন্ম নিচ্ছে, এদের বেজন্মা জন্ম বন্ধ করতে না পারলে খালি '৭১-এর অপরাধীদের বিচার দিয়েই ভবিষ্যত্ বাংলার সমস্যা সমাধান হবে না। কারণ এগুলো অবশ্যই অবশ্যই বাংলাদেশের জন্মের মৌলচেতনা-পরিপন্থী। 'ধর্ম' ব্যক্তিগত ব্যাপার। মানুষ ধার্মিক হোক, ধর্মভীরু হোক আর ধর্মহীন হোক, সকল ধর্মের এমনকি অ্যাগনস্টিক-অ্যাথিস্ট নাগরিকদের নিয়ে যেই রাষ্ট্র হয়, সেই রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠানের অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষ হ'তে হবে সত্যিকার অর্থে। ধর্ম নিয়ে শোম্যানশিপের রাজনীতি আমরা নিশ্চয়ই চাই না কোনো মূল্যে। ৩. সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের বর্তমান মর্যাদাপূর্ণ জীবনের দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকে। উপযুক্ত স্বীকৃতি আর সম্মানের বাইরে যেন একজন মুক্তিযোদ্ধাকেও অভিমান-অপমানের অন্ধকারে বাঁচতে না হয়। ৪. থিয়েটার এবং চলচ্চিত্র মাধ্যমকে যথার্থ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। ভালো নাটক, ব্যাপক মানুষমুখী নাটক এবং ভালো চলচ্চিত্র ছাড়া, আমরা যা চাই তা মনে হয় সম্ভব হবে না। ৫. ছিনতাই-রাহাজানি-সন্ত্রাস বন্ধ এবং নির্মূল করতে হবে। সেইজন্য যা-ই করতে হয় করা উচিত, যেকোনো মূল্যে। ছাত্ররাজনীতির নামে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র আর সন্ত্রাসের চাষাবাদ বন্ধ করতে হবে। দলের পরিচয়ে আর দলের গরমে হল দখল আর বিরোধীকে কোপানো যেমন ছাত্রত্ব নয়, সেই ঘৃণ্য পশু-পেশী-শক্তি পেলে-পুষে গায়ের গরম বাড়ানোও নেতৃত্ব নয়। ৬. যোগাযোগ-ব্যবস্থার অব্যবস্থা-অরাজকতার সমাধান খুবই জরুরি। মেট্রো-তে এই রাস্তায় ওই রাস্তায় দু'দিন পরপর রিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, অথচ রিকশাহীন ভিআইপি-চলাচলের অবকাঠামো তো নাই আসলে। ব্যক্তিগত গাড়ি আমাদের দেশের কয় শতাংশ মানুষের আছে? আর, সিএনজি-স্কুটার মালিকদের অন্যায্য (এবং গ্যাসের দাম আর ভাড়ার মিটারের সঙ্গে তুমুল অসঙ্গতিপূর্ণ) আমদানী/জমা আদায় এবং সেই অজুহাতে স্কুটার-চালকদের হাইকোর্ট-প্রদর্শন বন্ধ হওয়া উচিত। প্রয়োজনে মিটার আরো এক দফা আপডেট আপগ্রেড ক'রে হ'লেও মিটার অনুযায়ী ভাড়া আদায় এবং যেখানে যেতে চাই সেখানেই যাওয়ার কড়াকড়ি বিধান করতে হবে। স্কুটার এবং রিকশা-চালকেরা এই গ্যাপগুলোর সুযোগে প্রতিদিনের জীবনে জিম্মি ক'রে রেখেছে জনসাধারণকে। ৭. দ্রব্যমূল্য রিজনেবল পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে, এবং সেরকম রাখতে যা করতে হয় সেসব দিকে সবসময় মনোযোগ রাখতে হবে। ৮. পুলিশ এবং সশস্ত্র বাহিনী-কে রাজার লেঠেল বাহিনী হিসেবে অন্যায্যতা চাপানোর জন্য লেলিয়ে না দিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা আর জনউন্নয়নমূলক কাজেই সর্বোচ্চ শুভ সদ্ব্যবহার করতে হবে। ৯. দুর্নীতি দমন করতে হবে। ১০. সারাদেশে সবক্ষেত্রে সরকারদলীয় নেতা-নেত্রীদের স্বজনদের নাচন-কুদন আমরা বহু দেখেছি এ দেশে। আর চাই না।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা........
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদেরা এতদিন ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষাব্যবস্থাটাকে দুর্বল করে রেখেছে। কারন দেশের বেশিরভাগ মানুষ প্রকৃত শিক্ষিত হলে তাদের লুটপাট বানিজ্য অবাধে করতে সমস্যা হয়। মুর্খ জনগনকে লাম-সাম একটা বুঝিয়ে দিলেই হলো, এটাই তাদের টার্গেট।
এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান শিক্ষা উৎসাহিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুধু ক্লাস নেয়ার জায়গা বা পলিটিক্সের জায়গা বানিয়ে না রেখে গবেষনাভিত্তিক কার্যক্রমে উৎসাহ এবং প্রণোদনা দিতে হবে।
আমার মূল চাওয়া একটা:
২০০১ আর ২০০৮ এর দুটো আয়না দু'পাশে রেখে আমাদের রাজনীতিকদের প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই প্রথম দুটো আয়নায় একবার করে নিজের চেহারাটা দেখে দিন শুরু করা এবং আগামী ক'টা বছর চেহারার সম্ভাব্য বিবর্তনটা খুটিয়ে পর্যবেক্ষনের জন্য আরেকটি কাল্পনিক আয়না ফিট করে রাখা...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
৪৬ | লিখেছেন নদী (যাচাই করা হয়নি) (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০১/২০০৯ - ৭:৪২পূর্বাহ্ন)
যদিও অনেকেই বলে ফেলেছেন, তবুও কিছু অনুষঙ্গ যোগ করি ।
২. সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে শিক্ষায় । এর বহুমুখী দিক নিয়ে ভাবনা করে আগাতে হবে ।
ক. শিক্ষামন্ত্রণালয়ে একজন শিক্ষাসচেতন মন্ত্রী দিতে হবে (প্রয়োজনে টেকনোক্র্যাট হলেও )।
খ. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে "গাভীদেরকে" (সব দলেই এরা বিরাজমান ) বাদ দিয়ে প্রাজ্ঞব্যক্তিবৃন্দকে ভিসি হিসাবে নিয়োগ করা । (এটি খুবই জটিল কাজ । প্রাজ্ঞজন ক্ষমতালোভী নন, তবুও সময়ের প্রয়োজনে তাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে)।
গ. সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত কনফারেন্স, সেমিনার আয়োজন করতে হবে চলমান গবেষণা নিয়ে (শিক্ষা, বিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদি), সরকারের গান গাওয়ার জন্য নয় ।
ঘ. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতাই হবে মূল, তার রাজনৈতিক দর্শন নয়। নতুবা গার্বেজ শিক্ষক জন্ম নিবে, যার ফলশ্রুতিতে আমরা অন্ধ প্রজন্ম উপহার পাব।
ঙ. দেশের সার্বিক স্বার্থে শিক্ষকদের (প্রাইমারী, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয়) আলাদা পে স্কেল দিতে হবে, যাতে মেধাবীরা চলে আসতে পারে । (যদিও এর ফলে আমলাবৃন্দ সাময়িক উত্তেজনা তৈরী করতে পারে )। ভারত এই কাজটি করতে পেরেছে । আর তাই বিশ্বে এমন কোন বিশ্ববিদ্যালয় নাই যেখানে তাদেরকে পাওয়া যাবেনা । (ভারতবিরোধী মনোভাবের কারণে ভূতপূর্ব সরকারগুলো এ ব্যাপারে উদাসীন ছিল ?!)
চ. প্রচার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা গ্রহনের পদ্ধতি,যোগ্যতা ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে হবে যাতে অন্যসবার সাথে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশু-কিশোরও তাদের ভবিষ্যৎনিয়ে একটা কার্য্যকরী স্বপ্ন দাঁড় করাতে পারে ।
ছ. শিক্ষা প্রচারের স্বার্থে প্রধান বা শিক্ষামন্ত্রীকে স্কুলে স্কুলে যেতে হবে, তিনি যদি microscope এ একবারও চোখ রাখেন, তার গুরুত্ব একটি শিশুর নিকট অনেক। (আপাত দৃষ্টিতে এর কোন মূল্য নাই)।
(আরো বিষয় লেখার ছিল কিন্তু একজন অতিথি হিসাবে বোধ হয় প্রলম্বিত লেখা ঠিক হচ্ছে না)
শিক্ষা, একান্তভাবেই শিক্ষা, যে শিক্ষা স্বপ্রণোদিত এবং সংস্কৃতিমনা (Inspired and cultured) মানুষ তৈরি করে, এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা সমাজের মতো হবে না, বরং সমাজই গড়ে উঠবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আদর্শে। এ জন্য হয়ত সময় লাগবে। সময় লাগুক, কিন্তু এটা আমাদের অর্জন করতেই হবে।
মন্তব্য
কমনসেন্স।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অযথা হয়রানি থেকে মুক্তি চাই। এয়ারপোর্টে নামার সাথে সাথে যেনো পুলসিরাতের পুল মনে না হয়ে জন্মভুমিতে ফিরছি তা মনে হয়।
সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকের বাইরে না আনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
২) পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত থাকতে হবে।
৩) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৪) দিনে-রাতে মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
৫) প্রধান শহরগুলোয় যানজট কমানোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
__
শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ থাকবে, কথা কম বলে মন দিয়ে শুনুন আপনার সমালোচকরা কী বলেন। বিদেশ ভ্রমণ, অনারারি ডিগ্রি, চামচা বেষ্টনীর চক্কর থেকে বেরিয়ে আসুন। আর প্লিজ, বঙ্গবন্ধুর নামকে যত্রতত্র ব্যবহার করবেন না।
৬. আগের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেয়া। যেমন দেশকে বাবার সম্পত্তি মনে না করা।
৭. হাসিনার প্রতি অনুরোধ থাকবে উনি যেন এইবার কমনসেন্স নিয়ে কথা বলেন।
৮. দেশকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যেখান থেকে আমরা বিশ্বের কাছে দেশ নিয়ে গর্ববোধ করতে পারি। "ব্যাংলাড্যাশ" বলে পৃথিবীর অন্য প্রান্তের কেউ নাক সিটকাবেনা।
৯. দেশকে সব দিক থেকে স্বয়ংসম্পুর্ণ করতে বিদেশের সাহায্য পাওয়া টাকাগুলো দেশের কাজে খরচ করা।
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
১. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।
২. মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন ও মূল্যায়ন।
৩. মৌলবাদের মূলোচ্ছেদ।
বাকি কাজ তখন সহজ হয়ে পড়বে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
২. ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রনীতি প্রনয়ন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির নিষিদ্ধকরন ।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সর্বক্ষেত্রে দলীয়করন বন্ধ করা বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যদিও জানি তা খুব দূরহ ব্যাপার
১। অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
আমাদের এখন দুধরনের অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে নজর দিতে হবে।
১ক। শর্ট টার্ম এবং
১খ। লং টার্ম
১ক। শর্ট টার্ম অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
এটা হতে হবে বর্তমান অর্থনৈতিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে একটা সাসটেইনড গ্রোথ ধরে রাখা। প্রাথমিক কাজ হবে বর্তমান অর্থনৈতিক খুঁটি গুলি আইডেনটিফাই করা। যেমন, গার্মেন্টস, আইটি, এক্সটার্নাল রেমিট্যান্স। তারপর এদের মাধ্যমে কতখানি বুস্ট আনা সম্ভব সেটা যাচাই করা। যেমন, যদি গার্মেন্টেসে ট্যক্স কাট দেয়া হয় তাহলে নতুন কতগুলো চাকরী আসতে পারে? কতখানি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতে পারে? যদি আইটি সেক্টরে নতুন কোম্পানীর সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয় তাহলে কতখানি নতুন চাকুরী তৈরী হতে পারে?
এই পরিকল্পনা করতে হবে তিন মাসের মধ্যে এবং কার্যকর করতে হবে ছয় মাসের মধ্যে। প্রাইমারী গোল: আরো অনেক বেশী মানুষ যেন খেয়ে পরে বাঁচতে পারে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
১. বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। হল দখলের পুনরাবৃত্তি না ঘটিয়ে সকলের সাথে সহাবস্থান নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা
২. উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ (টাকা পয়সা, জার্ণাল ইত্যাদি)এর ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নেয়া
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি বহাল রাখা তবে তা ছাত্রদের কল্যানের জন্যেই যেন হয়, দলীয় রাজনীতির লেজুড়বৃত্তিতে ব্যবহৃত না হয় সেদিকটা বিবেচনা করা
৪. শিক্ষকদের যেন খ্যাপ মারতে না হয়, সামান্য পদের জন্য যেন দলীয়নেতা-নেত্রীদের গাত্র-পদ লেহন না করতে হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া।
১খ। লং টার্ম অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
এরপর থাকতে হবে লং টার্ম অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারটা। বেশ খানিকটা সময় নিয়ে (এক থেকে দু বছর) ঠিক করুন আগামী বিশ বছরে আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামো কি হতে পারে? পৃথিবীর মূল ফোকাস কি হতে পারে? আমাদের অর্থনৈতিক গোলযোগ কিসের ভিত্তিতে হতে পারে? ছোট দেশ হিসেবে বেঁচে থাকতে হলে কি করতে হতে পারে? ভিক্ষা চাইতে হলে কোন দেশ পোটেনিশয়াল ভিক্ষা দাতা, তাদের সাথে ভালো সর্ম্পক আছে কিনা সেটা লক্ষ্য করতে হবে। এক্ষেত্রে দল নয় দেশ বড় করে দেখতে হবে। কেননা এটার বেনিফিট ১০-২০ বছরে চোখে পড়বে না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
২। দুর্নীতি দমন:
একটা সামাজিক আন্দোলন দরকার এক্ষেত্রে। আমাদের কাঠমোল্লা প্রধান দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রন ঢোকানো গ্যাছে আর নৈতিকতা ঢোকানো যাবে না? এটা করতে হবে টপ ডাউন এবং বটম আপ দুই এপ্রোচেই। বটম আপ মানে গোঁড়ার দিকে সাধারন জনতার মধ্যে সচেতনতা তৈরী করা। মানুষ যেন ঘুষ না দেয়, অনিয়ম সহ্য না করে এ ব্যাপারে জন সচেতনতা তৈরী করতে হবে। আর টপ ডাউন মানে উপরের দিক থেকে সততা। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে উপরের সবাই যেন ধীরে ধীরে সৎ হতে পারেন সেই সুযোগ থাকতে হবে।
মনে রাখবেন দুর্নীতি দমন সম্ভব হবে না যদি না অর্থনৈতিক মুক্তি না ঘটে। তাই একই সাথে শক্ত অর্থনৈতিক উন্নতি করতে হবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
প্রথম দাবীটা তো একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মৌলবাদীদের বিচার এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধকরন। এরপর...লুটপাট, চুরি যথাসম্ভব সীমিত রাখা। পুরোপুরি বন্ধ হবে সেটা মনে হয় একটু বেশি আশাই করা হবে...এরউপরে এই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। মাথা ঠিক রাখা অনেক কঠিন। ইতোমধ্যেই হল দখল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।
সাধারন মানুষের চাওয়া পাওয়া খুব সীমিত। তান্ত্রিকসমাজের মতো টয়লেট শেষে পশ্চাৎদেশ পরিষ্কারের দায়িত্বও রাষ্ট্র নেবে সেটা সাধারন মানুষ আশা করেন না। একদিনে ম্যাজিক দেখাবেন সেটাও কেউ আশা করে না। দ্রব্যমূল্যের দাম আহামরি কমবে সেটা আশা করছি না। কারন, সারা বিশ্বেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। উপরে চুরি কমলে নিচেও কমবে ধীরে ধীরে। নিজের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে শিখবে মানুষ। এখন ধরাকে সরা জ্ঞান না করে কতটুকু লাগাম টেনে ধরতে পারেন সেটা দেখার বিষয় ...
মৌলবাদী ও যুদ্ধাপরাধীদের মূল উৎপাটনের মাধ্যমে তাদের হাতেই ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ- সেটুকুই আশা করছি...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
৩। এড্যুকেশন সিস্টেম ওভারহল:
দলীয় কোন্দল, যেমন কে স্বাধীনতার ঘোষক কে নয় এসব থেকে বেরিয়ে এসে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবমুখী নয়। গৃহীত শিক্ষা বাস্তব কোন কাজে আসে না। এন্ট্রিপ্রিনওর হতে শেখায় না। ভাবতে শেখায় না। একস্ট্রা অর্ডিনারী চিন্তাশীল মানুষ হতে শেখায় না। কেবল কনফিউজড অর্ডিনারী মানুষ হতে শেখায়। এখানে বাইরের দেশ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। বিশেষ করে ভারতের কাছ থেকে শিখতে পারেন। কিভাবে তারা শিক্ষার মান এত উন্নত করল। দুবছরের মধ্যে এটাকে চমৎকার একটা সিস্টেমে দাঁড় করাতে হবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
৪। এনার্জি পলিসি
ভবিষ্যতের জ্বালানী কি হবে? বাইরের পৃথিবী কি করছে? কত টাকা আমরা এনার্জির পিছনে ব্যয় করছি? আগামী বিশ বছরে কি করা যেতে পারে? এটা নিয়ে একটা পরিকল্পনা এখনই করে রাখতে হবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
৪ খ। জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে জ্বলানিনীতির সামঞ্জস্যতা চাই। দেশকে খাদ্যবস্ত্রে স্বনির্ভর করতে গ্যাস ও কয়লায় সুষ্ঠু ব্যাবহার ও আমদানি নির্ভরতা কমানোর টার্গেট বেঁধে দেওয়া চাই।
৪ গ। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা কে এক করে নিয়ে নিখিল বাংলা জ্বালানী তেল সংস্থা চাই।
চার ধারার বদলে সকলের জন্য এক ধারার শিক্ষা।
প্রাথমিক শিক্ষার ঢালাও সংস্কার, বিস্তৃতকরণ এবং গুণগত মানোন্নয়ন।
স্কুল শিক্ষকদের সন্মানজনক আয় নিশ্চিত করা। যাতে মেধাবী ছাত্ররা পরবর্তীতে শিক্ষক হতে ভরসা পায়।
পাঁচ বছরে এইটুকু করতে পারলেই হবে। শিক্ষার সংস্কার প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত আনতে হবে। তবে সেটা সময় সাপেক্ষ বিষয়।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত । তারপরও শিক্ষা বিষয়ক কয়েকটি লাইন যোগ করি ।
বেশির ভাগ উন্নত দেশে মানুষে দুই তিনটা বিদেশি ভাষা পারে । আমাদের ইংরেজি ছাড়াও ইউরোপের পাঁচটি প্রধান ভাষার যেকোন একটি স্কুলে, নিদেন পক্ষে কলেজে শেখান উচিত । পৃথিবিটা অনেক বড় । শুধু ইংরেজিতে পোষায় না ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমার চাওয়া অনেক.... গুছিয়ে বলা না যদিও, তবে লিস্ট করার চেষ্টা করেছিলাম একটা-
http://www.sachalayatan.com/wanted_not/20776
__________________________
I think , therefore i am - Descartes
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং কোরআনের সঠিক ব্যাখ্যা গুলো প্রচার করা( গনমাধ্যমের সহায়তা নেয়া যেতে পারে) কেননা রাজাকাররা কোরআন শরীফে হেন বলেছে ত্যান বলেছে বলে প্রচার করে মানুষকে অযথা ভয় ভীতি দেখিয়ে বেড়ায়, আমরাও এটা চুপ করে শুনি, কারণ এই বিষয়ে আমাদের সাধারণ মানুষের জ্ঞান সীমিত। এই ভুল ব্যাখ্যার উপর পুঁজি করেই ধর্মব্যবসায়িরা সাধারণ মানুষকে বোকা বানায়। কিন্তু প্রকৃত কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থাটা করা গেলে সেখানে মাদ্রাসার পোলাপান আবজাব বুঝাইতে পারবেনা। কোরআন শিক্ষা দিতে হলেই যে হাটুর উপরে পায়জামা তুলে,দাড়ি চুলকাইতে চুলকাইতে আর পান চাবাতে চাবাতে শিক্ষা দিতে হবে এই ধারণা বদলাতে হবে। স্মার্ট ছেলে মেয়েদের এই শিক্ষায় উৎসাহিত করতে হবে।
শিক্ষাটা আসলে ক্যামন হবে সেটাও বলি।
কোরআনের সঠিক অনুবাদ ও পূর্ণাঙ্গ ব্যাখা সাধারণ মানুষের কাছে পৌছাতে হবে। ধর্ম সম্পর্কে মানুষের ভীতি দূর করতে হবে। তাহলেই আর হাতে কোরআন শপথ করিয়ে ভবিষ্যতে ভোট কারচুপির ছক আঁকা যাবেনা।
রাত বিরাতে মাহফিলের নামে ধর্ম ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে ভুল শিক্ষা দিতে পারবেনা, চালাতে পারবেনা রাজণৈতিক ক্যম্পেইন। কোরআনকে সঠিক অনুবাদ করে সহজপাঠ্য করে তুলতে হবে।
ধর্মীয় শিক্ষার নামে মাদ্রাসার অন্ধ কুঠুরিতে হাটুগেড়ে শুধু কায়দা মুখস্ত করার অন্ধ অনুকরণ বন্ধকরে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সাথে ধর্মীয় শিক্ষাকে অন্তভূক্ত করে একমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
স্নাতক পর্যন্ত বিনমূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করার আগে নির্বাচিত এমপিরা, যে গুলো আধা শিক্ষিত ঐগুলার জন্য বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। ( মোটেও হাসির আলাপ না এইটা দয়া করে হাসবেন না) ইংরেজী কম জানা গুলোর জন্য ইংরেজী শিক্ষা, যেগুলোর আইটি জ্ঞান নেই সেই গুলোরে আইটি শিক্ষা, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে শেখানো , ব্লগে একটা একটা কইরা একাউন্ট, ফেসবুকে একাউন্ট , না হলে অন্তত ইমেইল ইউজটা শেখানোর দ্রুত উদ্যেগ নেয়া দরকার।
নির্বাচিত প্রতিশ্রুতিগুলো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে অগ্রাধীকার দিয়ে এ্যাকশন প্লান নির্ধারণ করা , কবে এবং কিভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা।
নিজ এলাকার জন প্রতিনিধি সপ্তাহে অন্তত একদিন তার নির্বাচনী এলাকায় নিদিষ্ট সময়ে স্থানীয় মানুষের সমস্যা সমাধানে সার্জারীতে বসবেন এই ব্যবস্থা করা।
আপাতত এইগুলো মনে আসছে, বাকী গুলো মনে পড়লেই ব্লগানো শুরু করবো ।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
কোরানের পক্ষপাতহীন (নিজের ইচ্ছেমত নয়) ব্যাখ্যার ব্যাপারে থার্ড আই কে জোরালো সমর্থন করছি।
আমার মনে হয় মূলধারার গণমাধ্যম ধর্মের ব্যাপারে বিমুখ থাকায় ধর্মব্যবসায়ীরা আরও বেশি সুযোগ পেয়েছে মানুষকে বিভ্রান্ত করার। মূলধারার গণমাধ্যমে আরও বেশি সহজবোধ্য আলোচনা, সমালোচনা (ভ্রান্ত ধারনার) হওয়া দরকার সহজবোধ্য বাঙলায়। কথায় কথায় আরবি, ফার্সি বয়ান দিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার করে ধর্ম ব্যবসায়ীরা তাদের বিভ্রান্ত করে। কোরানের অনেক জায়গায় (১২:২ তথা ১২ নম্বর সুরার দ্বিতীয় বাক্যে; ২০:১১৩ ও ২৬:১৯৫ ইত্যাদি) আরবি ভাষাভাষীদের উদ্দেশ্য করে বলা আছে, "কোরান আরবি ভাষায় অবতীর্ন হয়েছে যাতে তোমরা (আরবের লোকেরা) তথ্য সহজে বুঝতে পার" - Paraphrase। এখানে সুনির্দিষ্টভাবে সহজবোধ্যতার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাই যার যার ভাষায় সরলভাবে উপস্থাপনের গুরুত্ব অনেক। কোরানের ৩০ নম্বর সুরার ২২ নম্বর বাক্যে পৃথিবীর সকল ভাষাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ভারি ভারি শব্দের মধ্যে রেখে ভীতি ও বিভ্রান্তি না বাড়িয়ে সহজ পথে হাঁটতে হবে। তাহলে অনর্থক ভীতি দূর হবে। প্রয়োজনীয় সমীহ ও মান্যতা আসবে।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
আমি চাই কৃষি ও শিক্ষার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। (কৃষি ভর্তুকি)
আমি চাই কৃষি ও শিক্ষার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। (শিক্ষালয় ও শিক্ষকের মানোন্নয়ন)
আমি চাই কৃষি ও শিক্ষার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। (কৃষি ও শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি নয়)
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের জন্য পরমতসহিষ্ণুতা। হরতাল, ভাঙচুর, নাশকতার রাজনীতির অবসান ও সংসদকেন্দ্রিক রাজনীতি। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিলুপ্তি ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিকাশ।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
অর্থনৈতিক উইশ লিস্ট
একেবারেই আংশিক লিস্ট, বাংলাদেশের জন্যে এরকম লিস্টে সহজ়েই ৫০টা আইটেম বসানো যেতে পারে। তাও মাথায় যেগুলো প্রথমে এসেছিলো সেগুলা দিয়ে দিলাম। সুধীজন নিশ্চয়ই আরো অন্যান্য অনেক ইস্যুর কথা জানবেন।
---
১) পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুত উৎপাদনে সক্ষম অবকাঠামো। বিদ্যুত ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত ফেল।
২) রপ্তানীমুখী শিল্পায়ন - বিশেষ করে শ্রম-ঘণ সেক্টরে। বিশ্ব বাজার টলমল, তাই আগামী দু-তিন বছর বিদেশে লোক পাঠানোর উপর ভরসা কমিয়ে অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থানে বেশী করে মন দিতে হবে। গার্মেন্টস ছাড়াও আর কি কি সেক্টরে আমাদের সামনে খোলা আছে, খুঁজে দেখতে হবে।
৩) উন্নয়নের প্রকৃত বিকেন্দ্রীকরণ চাই - শিল্প কারখানা যেন প্রতিটি বিভাগে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের ফলে ঢাকা চট্টগ্রাম ইত্যাদি বড় শহরগুলোর উপর প্রচন্ড চাপ পড়ছে। মানুষকে তার শেকড়ের কাছাকাছি কাজের সুযোগ করে দিন, যাতে অর্থনৈতিক উদ্বাস্তু আর বস্তিবাসীর সংখ্যা কমে।
৪) এর মানে চৌকষ একটা অভ্যন্তরীণ ইনফ্রাস্ট্রাকচার চাই। শিল্প কারখানা তখনই দূরবর্তী অঞ্চলে নেয়া সম্ভব, যখন বহির্বিশ্বের সাথে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন করা গেছে। রাস্তা-ঘাট, হাইওয়ে, ব্রিজ নির্মাতারা কোথায়?
৫) প্রাথমিক স্তর থেকেই ছাত্র ছাত্রীদের সুষ্ঠু ইংরেজী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। "সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের" নামে ছাত্র ছাত্রীদের ইংরেজীর মান খাটো করে দিয়ে তাদের পায়ে কুড়াল মারা বন্ধ করতে হবে। ঔপনিবেশিক ভাষা, বৃটিশের ভাষা এইসব চিন্তার দিন ফুরিয়েছে। পুরো বিশ্বের শ্রম-শক্তির সাথে পাল্লা দেয়ার মেধা ও যোগ্যতা আমাদের আছে, শুধু একটা ভাষার কারনে পিছিয়ে পড়াটা অগ্রহণযোগ্য।
৬) দেশের ভিতরে নানা অসমতার সাথে সাথে ডিজিটাল ডিভাইডও বড় হয়েছে - শহর বনাম গ্রাম। এই ব্যবধান কিছুটা হলেও কমানো প্রয়োজন। বেসিক স্বাক্ষরতার সাথে সাথে নতুন প্রজন্মের "টেকনোলজি স্বাক্ষরতা" বাড়ানোর নানা পন্থা খুঁজতে হবে।
৭) প্রকৃত ব্রোডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ প্রসার ঘটাতে হবে - শহরে, মফস্বলে এবং গ্রামে।
৮) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন শর্টেজ-এর সৃষ্টি হয়। অমুক দেশে অভিজ্ঞ নার্স দরকার তো তমুক দেশে ইলেক্ট্রিশিয়ানের অভাব। সরকারের পক্ষে সম্ভব টেকনিক্যাল ট্রেনিং, ভোকেশনাল ট্রেনিং, ভাষা শিক্ষা, এসবের সমন্বয় ঘটিয়ে একটা চৌকষ শ্রমিক বেইজ গড়ে তোলা। সরকারকে এইসব বিষয় নজর রাখতে হবে। এবং তারই সাথে সাথে...
৯) ...আমাদের তেলতেলে এলিট কূটনীতিক শ্রেণীকে দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় আরো অনেক বেশী মনোযোগী হতে হবে। আপনারা দেশের চাকর, উল্টোটা না। বিসিএস-এ টপ মার্ক পাওয়া মানে এই না যে বিদেশে গিয়ে খালি অফিশিয়াল পার্টি আর ডিনারই সব। ইকোনোমিক ডিপ্লোম্যাসি বিষয়ে সজাগ হোন। আমাদের কোথায় কোথায় সুযোগ থাকতে পারে, সরকারকে জানান। সর্বোপরি ভিনদেশে ইমিগ্র্যান্ট ভাইদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সচেষ্ট থাকুন। দাম্ভিকতা ঝেড়ে গ্রামের যেই ছেলেটা দিনে ১৪ ঘন্টা কাজ করে দেশে বাপ-মা ভাই-বোনের কাছে অল্প কিছু টাকা পাঠানোর জন্যে, তার জীবনটা আরেকটু সহজ করে দেয়ার চেষ্টা করেন।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
কিরে ভাই আপনার লগে তো দেখি চিন্তার অনেক মিল! আমি পোষ্টাইতে গিয়ে দেখি আপনি এর মধ্যেই সেরে ফেলেছেন।
এই ধরণের কথাবার্তাই মাথায় ঘুরছিল। সহমত রইলো। আরো কিছু চাই।
আমার মতে, আমাদের সবার উচিত নিজ নিজ 'স্পেশালাইজেশন' নিয়ে কিছু লেখা। খুঁটি-নাটি ডিটেইল থাকলে ভাল, তবে মূলত ভিশন টুকু নিয়ে। হয়তো সেটা পথ দেখাতে পারে।
উদাহরণ, হিমু ভাই লিখতে পারেন এনার্জি ইন্ডিপেন্ডেন্স নিয়ে। অল্টারনেটিভ এনার্জি নিয়েও লিখতে পারেন।
১। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার .....
২। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা....
৩। ধর্ম এবং রাষ্ট্র এ দুটিকে আলাদা রাখা....
৪। নারীনীতির পূর্নাংগ বাস্তবায়ন.....
৫। মাদ্রাসা শিক্ষা উঠিয়ে মূল্ধারার শিক্ষায় নিয়ে আসা ....
৬।বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা সম্প্রসারণ করা.....
৭। ধর্মীয় সংখ্যালঘু, উপজাতি , নারী সহ সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা ...
৮। তসলীমা নাসরিন, দাউদ হায়দার দের নিজ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা ....
আসলে চাওয়ার তো শেষ নেই । লিষ্ট লম্বা হতেই থাকবে - তাই এখানেই আপাতত থামলাম । প্রাথমিক ভাবে যে চাওয়া গুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তাই তুলে ধরলাম এখানে ...
নন্দিনী
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা
মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া
অতি দ্রুত দেশের অবকাঠামোর উন্নয়ন। বিশেষ করে বিদ্যুত, পানি, গ্যাস সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উপায় বের করা।
নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিটি মানুষের উপার্জন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদী ইফেক্টিভ পরিকল্পনা নেয়া।
ছিন্নমূল মানুষের জন্য স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে বাসস্থান বানাতে ভার্টিক্যালি। এতে অনেক স্পেস বেচেঁ যাবে।
শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষ করে বাংলা মিডিয়াম আর ইংলিশ মিডিয়ামের দূরত্ব চিরতরে মুছে ফেলতে হবে। পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষা জবরদস্তি বন্ধ করে না দিয়ে আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে। প্রয়োজনে আরবীতে বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া উচ্চ শিক্ষাসহ সকল শিক্ষার গুনগত পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা যাতে না বাড়ে সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি স্কীলড্ জনশক্তি বানাতে হবে আলোর গতিতে (হা হা) এবং বাড়াতে হবে ইংরেজীর উপর দক্ষতা।
বাঙ্গালী সংস্কৃতিসহ দেশের সকল ছোট ছোট উপসংস্কৃতির বিকাশের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। একে অন্যকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নিতে হবে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশী চ্যানেলগুলো বন্ধ না করে ভয়াভহ পরিমানের ট্যাস্ক আরোপ করা যেতে পারে।
পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে গোটা দেশকে স্থায়ী বাধেঁর আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। এখনি আগামী ১০০ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিতে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। বের করতে হবে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান
শিল্প উন্নয়নের জন্য যত্নবান হতে হবে। বিশেষ করে কৃষি, পোষাক শিল্প, বন্দর এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আধুনিক টেকলজি ব্যবহারের পাশাপাশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি এমন নতুন নতুন শিল্পের কথা চিন্তা করা যেতে পারে যা থেকে আয় হতে পারে বিপুল পরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা। এক্ষেত্রে প্রথমেই ভাবা যেতে পারে সার্ভিস অরিয়েন্টেড ব্যবসার কথা।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সবার চাওয়াতে অনেক জরুরী বিষয়গুতলো উঠে এসেছে । সবগুলোর সাথে তীব্র সহমত জানিয়ে আমার দু'আনাঃ-
১। বিনা বিচারে মানুষ হত্যার রাষ্ট্রীয় আয়োজন বন্ধ করতে হবে । আর একটা ও যেনো ক্রসফায়ারের ঘটনা না ঘটে । বিএনপি সরকার অপারেশন ক্লিনহার্ট নামের হত্যাযজ্ঞের যে ইন্ডেমনিটি দিয়েছে সেটা বাতিল করতে হবে । সরকার বিরোধী আন্দোলন হলেই গনগ্রেপ্তারের নামে নামে হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে জেলে পুরে যে হয়রানী করেছিল জামাত-বিএনপি সরকার তার যেনো কোন পুনরাবৃত্তি না ঘটে ।
২।অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল করতে হবে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নিরাপদ মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই । সেটা সম্ভব না হলে , অন্তত যাতে অখন্ড কবরে যেতে পারি , সেটা চাই ।
কৃষির দুঃখের অবসান চাই। আমাদের মাঠগুলো ফলবতী; অনন্ত দুঃখের মধ্যেও এরা আমাদের সোনা এনে দেয়। তা না হলে কী করে গত পাঁচবছরে দুটো ভয়াবহ বন্যা, একটি সিডর, আর মৌসুমে বীজ-সার-সেচের ক্রমাগত সঙ্কটের পরও রাশিরাশি ফলন। কৃষি, কৃষক ও গোটা জাতির সেকি সৌভাগ্য।
আমাদের কৃষি জীবননির্বাহী। মানে সকলে মিলে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার মূল প্রণোদনা আসে এখান থেকে। গত কয়েক বছরে বাম্পার ফলন আর ঊর্ধ্বমুখী দামের যে প্যারাডক্স তৈরি হয়েছিল তাতে আমাদের বোদ্ধামহলের কিছু বুদ্ধু ঠিকমত না বুঝেই হাফ ছেড়ে বাঁচলেন: কৃষকের দিন এল। তারা দাম পাচ্ছে। রাজনীতি যা এদ্দিনে যা দিতে পারেনি, বাজার তা দিল।
অন্যান্য সেক্টরে ইনপুট আর আউটপুটের দাম না বেড়ে জীবননির্বাহী ফলনের দাম বেড়ে চললে যেখানে মোট শ্রমশক্তির অর্ধেকর বেশি নিয়োজিত তারাই বাজারের আগুনে বেশি পোড়ে, কেননা খাবার কেনার জন্যই তাদের আয়ের ৯০%-এর বেশি চলে যায়। মানে বাজার যা দিল নিয়ে গেল তার বেশি। দামের চাপে পড়ে অকৃষি শ্রমিকেরও ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। রিয়েল ওয়েজ হাঁটুতে নামল যে।
কৃষির এই পেট-ফোলা রোগের আরোগ্য চাই, যাতে আমরা সবাই মিলে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারি। একটি আধুনিক জীবননির্বাহী কৃষি চাই যেখানে
১. উপকরণ সরবরাহ বাঁধাহীন ও সুলভ
২. পর্যাপ্ত রাষ্ট্রীয় খাদ্যমজুত, যুক্তিযুক্ত দামে
৩. আধুনিক বিপনন কাঠামো তৈরি, পারলে ডিজিটাল
৪. সমবায়-বিপনন পুনরায় চালু
৫. কৃষিশিক্ষার ব্যাপক প্রসার এবং উত্ সাহ প্রদান যাতে করে এমনকি বঙ্গভবনেও কিছুটা চাষবাস হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেও যেন দুয়েকটা 'অনারারি' পুরষ্কার পেয়ে যান। ২০০৭-০৮-এর মত খাদ্যসঙ্কট যেন আর না আসে।
প্রফাইল
সবার প্রথম সন্ত্রাসমুক্ত দেশ চাই।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ চাই।
=============================
১। পেটের জ্বালা বড় ঝ্বালা। খাবারে স্বয়ং সম্পুর্ন হতে হবে। বড় বড় মার্কেট এর পিছনে এতো পয়সা খরচের আদেশ না দিয়ে , তা শষ্য উৎপাদনে উৎসাহিত কারা দরকার।
২। শিক্ষা, এক মূখী হবে। বি এ পর্যন্ত ফ্রি করার চেয়ে জরুরী মাদ্রাসা গুলোর উন্নয়ান। তা সাধারন শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে এক পর্যায়ে নিয়ে আসা। আর সব ধরনের ধর্মীয় বই তফসির স হ পড়ানো।
৩। শক্তি উৎপাদন ও তার ইউটিলিটির বিষয়ে ৫০ বছরের পরিকল্পনা করে আগানো।
৪। যেকোন অপরাধ, ধরা পড়লে, তার বিচার হওয়া, তা সে যে ই হোক।
৫। রপ্তানী মূখী উৎপাদন বাড়ানো, তা জনশক্তি হোক আর কোন ব্যব হার্য জিনিস ই হোক।
এই মুহূর্তে একটাই মাথায় আসছে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সবার আগে চাই
১। বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে, ছোট শহর, বড় শহর সর্বত্র জনসাধারনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২। অনেক আসনেই জনসাধারনের একটা অভিযোগ আছে যে আওয়ামীলীগের নেতা, পাতি নেতারা, কর্মীরা সাধারন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়। তারা আবার এলাকার মেয়ে মহিলাদের বেশ উত্তক্ত করতেও পটু।
... এগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
৩। যুদ্ধাপরাধীদের অবশ্যই বিচার করতে হবে।
৪। সর্বত্র ব্যাবসা ও বিনিয়োগ করার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫। দেশের গ্রাম গঞ্জ থেকে শুরু করে সর্বত্র চাঁদাবাজী, ছিনতাই, রাহাজানী, সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।
৬। সকল শিক্ষাক্ষেত্রে লীগ নেতাদের সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের উপড় চাঁদাবাজী, বাড়াবাড়ী বন্ধ করতে হবে।
৭। পুলিশদের সন্ত্রাসী-সুলভ আচরণ বন্ধ করতে হবে, জনগনের শোষক না হয়ে সেবক হতে হবে এবং এজন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ ও সহযোগীতা নিশ্চিত করতে হবে।
৮। দেশে কর্মসংস্থানের ব্যাপক ও সত্যিকারের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে।
৯। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অবশ্যই কমাতে হবে।
... পরে মনে হলে আবার লিখব।
এগুলো কি আমরা শেখ হাসিনার নিকট পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারি না?
... নামহীন
সবার আগে চাই
১। বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে, ছোট শহর, বড় শহর সর্বত্র জনসাধারনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২। অনেক আসনেই জনসাধারনের একটা অভিযোগ আছে যে আওয়ামীলীগের নেতা, পাতি নেতারা, কর্মীরা সাধারন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়। তারা আবার এলাকার মেয়ে মহিলাদের বেশ উত্তক্ত করতেও পটু।
... এগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
৩। যুদ্ধাপরাধীদের অবশ্যই বিচার করতে হবে।
৪। সর্বত্র ব্যাবসা ও বিনিয়োগ করার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫। দেশের গ্রাম গঞ্জ থেকে শুরু করে সর্বত্র চাঁদাবাজী, ছিনতাই, রাহাজানী, সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।
৬। সকল শিক্ষাক্ষেত্রে লীগ নেতাদের সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের উপড় চাঁদাবাজী, বাড়াবাড়ী বন্ধ করতে হবে।
৭। পুলিশদের সন্ত্রাসী-সুলভ আচরণ বন্ধ করতে হবে, জনগনের শোষক না হয়ে সেবক হতে হবে এবং এজন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ ও সহযোগীতা নিশ্চিত করতে হবে।
৮। দেশে কর্মসংস্থানের ব্যাপক ও সত্যিকারের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে।
৯। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অবশ্যই কমাতে হবে।
... পরে মনে হলে আবার লিখব।
এগুলো কি আমরা শেখ হাসিনার নিকট পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারি না?
... নামহীন
কিছু্ই হয়তো হবে না চেয়ে। তবু, জিজ্ঞেস যখন করছেন, তখন চাই, মানে বলি-
দশ-দফা অরণ্যে রোদন
১. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তো করতে হবেই। এর কোনো বিকল্প নাই।
২. গণতন্ত্রের স্বার্থেই একটু গণতন্ত্র ভুলে ইসলামী দল আর প্রচারমাধ্যমগুলো বন্ধ ক'রে দিতে হবে। এগুলোর মদদ-মাধ্যমেই সানী, মুহিব খানের মতো লাখ লাখ পঙ্গপাল জন্ম নিচ্ছে, এদের বেজন্মা জন্ম বন্ধ করতে না পারলে খালি '৭১-এর অপরাধীদের বিচার দিয়েই ভবিষ্যত্ বাংলার সমস্যা সমাধান হবে না। কারণ এগুলো অবশ্যই অবশ্যই বাংলাদেশের জন্মের মৌলচেতনা-পরিপন্থী। 'ধর্ম' ব্যক্তিগত ব্যাপার। মানুষ ধার্মিক হোক, ধর্মভীরু হোক আর ধর্মহীন হোক, সকল ধর্মের এমনকি অ্যাগনস্টিক-অ্যাথিস্ট নাগরিকদের নিয়ে যেই রাষ্ট্র হয়, সেই রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠানের অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষ হ'তে হবে সত্যিকার অর্থে। ধর্ম নিয়ে শোম্যানশিপের রাজনীতি আমরা নিশ্চয়ই চাই না কোনো মূল্যে।
৩. সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের বর্তমান মর্যাদাপূর্ণ জীবনের দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকে। উপযুক্ত স্বীকৃতি আর সম্মানের বাইরে যেন একজন মুক্তিযোদ্ধাকেও অভিমান-অপমানের অন্ধকারে বাঁচতে না হয়।
৪. থিয়েটার এবং চলচ্চিত্র মাধ্যমকে যথার্থ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। ভালো নাটক, ব্যাপক মানুষমুখী নাটক এবং ভালো চলচ্চিত্র ছাড়া, আমরা যা চাই তা মনে হয় সম্ভব হবে না।
৫. ছিনতাই-রাহাজানি-সন্ত্রাস বন্ধ এবং নির্মূল করতে হবে। সেইজন্য যা-ই করতে হয় করা উচিত, যেকোনো মূল্যে। ছাত্ররাজনীতির নামে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র আর সন্ত্রাসের চাষাবাদ বন্ধ করতে হবে। দলের পরিচয়ে আর দলের গরমে হল দখল আর বিরোধীকে কোপানো যেমন ছাত্রত্ব নয়, সেই ঘৃণ্য পশু-পেশী-শক্তি পেলে-পুষে গায়ের গরম বাড়ানোও নেতৃত্ব নয়।
৬. যোগাযোগ-ব্যবস্থার অব্যবস্থা-অরাজকতার সমাধান খুবই জরুরি। মেট্রো-তে এই রাস্তায় ওই রাস্তায় দু'দিন পরপর রিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, অথচ রিকশাহীন ভিআইপি-চলাচলের অবকাঠামো তো নাই আসলে। ব্যক্তিগত গাড়ি আমাদের দেশের কয় শতাংশ মানুষের আছে? আর, সিএনজি-স্কুটার মালিকদের অন্যায্য (এবং গ্যাসের দাম আর ভাড়ার মিটারের সঙ্গে তুমুল অসঙ্গতিপূর্ণ) আমদানী/জমা আদায় এবং সেই অজুহাতে স্কুটার-চালকদের হাইকোর্ট-প্রদর্শন বন্ধ হওয়া উচিত। প্রয়োজনে মিটার আরো এক দফা আপডেট আপগ্রেড ক'রে হ'লেও মিটার অনুযায়ী ভাড়া আদায় এবং যেখানে যেতে চাই সেখানেই যাওয়ার কড়াকড়ি বিধান করতে হবে। স্কুটার এবং রিকশা-চালকেরা এই গ্যাপগুলোর সুযোগে প্রতিদিনের জীবনে জিম্মি ক'রে রেখেছে জনসাধারণকে।
৭. দ্রব্যমূল্য রিজনেবল পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে, এবং সেরকম রাখতে যা করতে হয় সেসব দিকে সবসময় মনোযোগ রাখতে হবে।
৮. পুলিশ এবং সশস্ত্র বাহিনী-কে রাজার লেঠেল বাহিনী হিসেবে অন্যায্যতা চাপানোর জন্য লেলিয়ে না দিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা আর জনউন্নয়নমূলক কাজেই সর্বোচ্চ শুভ সদ্ব্যবহার করতে হবে।
৯. দুর্নীতি দমন করতে হবে।
১০. সারাদেশে সবক্ষেত্রে সরকারদলীয় নেতা-নেত্রীদের স্বজনদের নাচন-কুদন আমরা বহু দেখেছি এ দেশে। আর চাই না।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আইন করে অথবা সংবিধান সংশোধন করে হলেও হরতাল বন্ধ করতে হবে।
নামের আগে 'শেখ' আছে বইলা অটোমেটিক দেশের নেতা হয়ে যাবে, এমনটা কষ্মিনকালেও চাই না। কিন্তু তার কোন অদল বদল হবে বলে মনে হইতেছে না।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
নির্বাচনী ইশ্তেহারে দেওয়া প্রতিস্তুতির ৬০%
...........................
Every Picture Tells a Story
শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা........
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
প্রচন্ডভাবে একমত।
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদেরা এতদিন ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষাব্যবস্থাটাকে দুর্বল করে রেখেছে। কারন দেশের বেশিরভাগ মানুষ প্রকৃত শিক্ষিত হলে তাদের লুটপাট বানিজ্য অবাধে করতে সমস্যা হয়। মুর্খ জনগনকে লাম-সাম একটা বুঝিয়ে দিলেই হলো, এটাই তাদের টার্গেট।
এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান শিক্ষা উৎসাহিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুধু ক্লাস নেয়ার জায়গা বা পলিটিক্সের জায়গা বানিয়ে না রেখে গবেষনাভিত্তিক কার্যক্রমে উৎসাহ এবং প্রণোদনা দিতে হবে।
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
আমার মূল চাওয়া একটা:
২০০১ আর ২০০৮ এর দুটো আয়না দু'পাশে রেখে আমাদের রাজনীতিকদের প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই প্রথম দুটো আয়নায় একবার করে নিজের চেহারাটা দেখে দিন শুরু করা এবং আগামী ক'টা বছর চেহারার সম্ভাব্য বিবর্তনটা খুটিয়ে পর্যবেক্ষনের জন্য আরেকটি কাল্পনিক আয়না ফিট করে রাখা...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
যদিও অনেকেই বলে ফেলেছেন, তবুও কিছু অনুষঙ্গ যোগ করি ।
২. সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে শিক্ষায় । এর বহুমুখী দিক নিয়ে ভাবনা করে আগাতে হবে ।
ক. শিক্ষামন্ত্রণালয়ে একজন শিক্ষাসচেতন মন্ত্রী দিতে হবে (প্রয়োজনে টেকনোক্র্যাট হলেও )।
খ. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে "গাভীদেরকে" (সব দলেই এরা বিরাজমান ) বাদ দিয়ে প্রাজ্ঞব্যক্তিবৃন্দকে ভিসি হিসাবে নিয়োগ করা । (এটি খুবই জটিল কাজ । প্রাজ্ঞজন ক্ষমতালোভী নন, তবুও সময়ের প্রয়োজনে তাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে)।
গ. সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত কনফারেন্স, সেমিনার আয়োজন করতে হবে চলমান গবেষণা নিয়ে (শিক্ষা, বিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদি), সরকারের গান গাওয়ার জন্য নয় ।
ঘ. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতাই হবে মূল, তার রাজনৈতিক দর্শন নয়। নতুবা গার্বেজ শিক্ষক জন্ম নিবে, যার ফলশ্রুতিতে আমরা অন্ধ প্রজন্ম উপহার পাব।
ঙ. দেশের সার্বিক স্বার্থে শিক্ষকদের (প্রাইমারী, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয়) আলাদা পে স্কেল দিতে হবে, যাতে মেধাবীরা চলে আসতে পারে । (যদিও এর ফলে আমলাবৃন্দ সাময়িক উত্তেজনা তৈরী করতে পারে )। ভারত এই কাজটি করতে পেরেছে । আর তাই বিশ্বে এমন কোন বিশ্ববিদ্যালয় নাই যেখানে তাদেরকে পাওয়া যাবেনা । (ভারতবিরোধী মনোভাবের কারণে ভূতপূর্ব সরকারগুলো এ ব্যাপারে উদাসীন ছিল ?!)
চ. প্রচার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা গ্রহনের পদ্ধতি,যোগ্যতা ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে হবে যাতে অন্যসবার সাথে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশু-কিশোরও তাদের ভবিষ্যৎনিয়ে একটা কার্য্যকরী স্বপ্ন দাঁড় করাতে পারে ।
ছ. শিক্ষা প্রচারের স্বার্থে প্রধান বা শিক্ষামন্ত্রীকে স্কুলে স্কুলে যেতে হবে, তিনি যদি microscope এ একবারও চোখ রাখেন, তার গুরুত্ব একটি শিশুর নিকট অনেক। (আপাত দৃষ্টিতে এর কোন মূল্য নাই)।
(আরো বিষয় লেখার ছিল কিন্তু একজন অতিথি হিসাবে বোধ হয় প্রলম্বিত লেখা ঠিক হচ্ছে না)
নদী
1972 এর সংবিধান চাই...
রাজাকারদের বিচার চাই
শিক্ষা, একান্তভাবেই শিক্ষা, যে শিক্ষা স্বপ্রণোদিত এবং সংস্কৃতিমনা (Inspired and cultured) মানুষ তৈরি করে, এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা সমাজের মতো হবে না, বরং সমাজই গড়ে উঠবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আদর্শে। এ জন্য হয়ত সময় লাগবে। সময় লাগুক, কিন্তু এটা আমাদের অর্জন করতেই হবে।
নতুন মন্তব্য করুন