বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কর্মরতরা এ ব্যাপারে আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন।
গোটা বাংলাদেশই বিলবোর্ডে ছেয়ে আছে এখন। সেখানে সিংহভাগ বিজ্ঞাপন মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর। তাদের এখন সময় হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে এগিয়ে এসে বিলবোর্ডে এ দাবি লেখার। ঢাকার বিজয় সরণী থেকে শুরু করে পিরোজপুরের প্রত্যন্ত পাথরঘাটা পর্যন্ত সব জায়গায় বিলবোর্ডে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি লিখিত আকারে দেখতে চাই।
বিভিন্ন সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দিয়ে যদি বিজ্ঞাপন করা যায়, গণমানুষের দাবির সাথে এক কাতারে দাঁড়িয়ে এমন বিজ্ঞাপন করা খুব কঠিন কাজ নয় বলেই মনে করি। যদি কেউ বলেন, এটি রাজনীতির ব্যাপার, তাহলে উত্তর একটাই, এ রাজনীতিতে শামিল হোন।
মন্তব্য
উত্তম প্রস্তাব।সবাইকে ভেবে দেখতে বলব এবং এ ব্যাপারে অব্যাহত চাপ রাখার তাগিদ জানাবো।ধন্যবাদ।
(মহসীন রেজা)
আপনার প্রস্তাবনাটি খুবই ভাল। সবাই মিলে টাকা তুলে নিশ্চয়ই এটা করা যায়।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আমার এই ছোট্ট পোস্টটি দিয়ে আমি যা বোঝাতে চেয়েছিলাম, তা আপনাকে বোঝাতে পারিনি বলে নিজের ওপর চরম বিরক্ত লাগছে।
সবাই মিলে টাকা তুলে বিলবোর্ডে এই দাবি লেখার কথা তো বলতে চাইনি। বলতে চেয়েছি, যারা এতোদিন ধরে বিলবোর্ডে হাস্যোজ্জ্বল মডেলদের ছবির পাশাপাশি "একটা কিনলে দুইটা ফ্রি" "রাত বারোটার পর অনিঃশেষ মাগ্না ভগরভগর" "৫০০ এসএমএস বিনা পয়সায়" ইত্যাদি মেসেজ দিয়ে আসছেন, তাঁরা তাঁদের বিজ্ঞাপনের মুড়োতে একটি অতিরিক্ত বাক্য সংযোজন করবেন, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই!"
আপনি আমি পয়সা তুলে বড়জোর একটা বিলবোর্ডে এই কথা ছাপাতে পারবো। আমি বলছি দেশজোড়া বিলবোর্ডের ভাষা পাল্টানোর কথা।
এবার কি বোঝাতে পারলাম?
হাঁটুপানির জলদস্যু
একটা মোবাইল কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম মনে হয় প্রথম আলোতে। গ্রামীন ফোন নাকি অন্যকেউ মনে করতে পারছিনা। একটা চিঠির স্ক্যান ছিল তাতে। পুরো পাতা জুড়ে চিঠিটা পড়া যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন মুক্তিযোদ্ধার তার পরিবারের কাছে লেখা চিঠি। চিঠির নিচে আবেদন ছিল - এধরণের চিঠি তারা সংগ্রহ এবং প্রচার করতে চায়। তাই যাদের কাছে আছে, তারা যেন একটা নির্দিষ্ট ঠিকানায় সেটা মেইল করে অথবা নিকটস্থ কাস্টোমার কেয়ার সেন্টারে পৌছে দেয়।
অবশ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা লেখা ছিলনা তাতে। অন্তত মুক্তিযুদ্ধের কিছু স্মৃতি মানুষের কাছে পৌছানোর প্রয়াশ ছিল।( নিশ্চই তাদের ব্যবসায়িক লাভ ক্ষতিও কোন ভাবে জড়িত এতে)। এটুকু করতে পারলে আশাকরি বাকিটাও করতে পারবে তারা। সদিচ্ছা প্রয়োজন শুধু।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
গ্রামীণফোন।
অতি উত্তম প্রস্তাব। আমার মনে হয় কিছু মানুষের সহযোগিতা পেলে এটা করা সম্ভব।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
একদম একমত । তবে এই ব্যাপারে যারা বেশি সাহায্য করতে পারে সেই শ্রেণীর (সুশীল) আগের ইতিহাস দেখে বেশি আশা করতে পারি না ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
চমৎকার প্রস্তাব। সচলায়তনে এমন অনেকেই আছেন যাদের পক্ষে অল্প আয়াসে এই কাজটি করা সম্ভব। একটু ভেবে দেখবেন কি?
আজ সকালেই আমি ভাবছিলাম আরেকটি ব্যাপারে, তবে এর আইনগত দিক নিয়ে নিশ্চিত নই।
জামায়ত সমর্থক মানুষজনের কোম্পানী যেমন ধরা যাক, বিডি ফুডস কিংবা অনিক পরিবহন ইত্যাদিকে আমরা বয়কট করতে পারি না ?
সামাজিকভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে এমন বয়কট কি তাদের কিছুটা বিপদে ফেলবে না ?
একটা লিস্ট যদি আমরা করে ফেলতে পারি, তাহলে কি আমরা সহজেই তাদের ত্যাগ করতে পারি না ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
শাবাশ ! দারুন আইডিয়া ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
- আবার জিগায় সবজান্তা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনাকে এই লাইনটির জন্য । আমার মনে হয় খুবই 'doable' প্রস্তাব এটি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
- এক্সিলেন্ট আইডিয়া দোস্ত। কিন্ত বিলবোর্ড গুলা খালি পাওয়া যাবে? আর ব্যবহৃত বিলবোর্ডগুলো কি তাদের মালিকানা ছেড়ে দিবে?
আচ্ছা এমনটা করা গেলে কেমন হয়। ধর একটা বিলবোর্ড আছে গ্রামীন এর। সেখানে একপাশে লেখা থাকলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। নিচে উপরে ডানে বামে সব জায়গায় তো গ্রামীনের লোগো আর ডায়ালগ থাকছেই। বিলবোর্ডের এই সামান্য জায়গাটুকু তারা ছেড়ে দিতে পারে জনসচেতনামূলক দাবীতে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমিও এইটাই প্রথমে ভাবসিলাম... প্রতিটা বিলবোর্ডের একেবারে উপরে (যাতে সবাই দেখতে পায়) মাত্র একটা লাইন লিখা থাকবে... বাকী পুরা বোর্ডইতো কোম্পানীর দখলে থাকবে... বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলা এইটা ভাবতে পারে...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
ভালো প্রস্তাব। তবে বহুজাতিক এসব কোম্পানীকে কনভিন্স করা কঠিন হতে পারে।
কঠিন হতে পারে, কিন্তু অসম্ভব বোধহয় হবে না। এসব কোম্পানীর চেনাজানা কর্মকর্তাদেরকেও নানাভাবে সচেতন করে তোলার ব্যাপারে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার মতে, মোবাইল অপারেটররা চাইলেই, কর্পোরেট স্যোশাল রেসপনসিবিলিটির অংশ হিসাবে "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই" বাক্যটি যোগ করে দিতে পারে তাদের বিলবোর্ডগুলোতে, টিভি/নিউজপেপারের বিজ্ঞাপনে।
টিভি/নিউজপেপারের বিজ্ঞাপনের আইডিয়াটা আরো ভাল... যেখানে বিলবোর্ড নাই সেখানেও মেসেজ পৌঁছানো যাবে...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যেমন রাজাকার দেশের জন্য।
দারুন একটা লাইন লিখেছেন ভাই । এই লাইনটা আমরা কবে থেকে সিগারেটের প্যাকেটে দেখতে পাব ? আছেন নাকি সচলে সিগারেটের বিজ্ঞাপণে জড়িত কেউ ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
চমৎকার প্রস্তাবনা।
বড় কর্পোরেটগুলোকে একটা সামাজিক-সাংস্কৃতিক চাপ দিয়ে এ কাজে শামিল করানো যায়। ঠিক কী কথা লেখা থাকবে, বা কীভাবে লেখা থাকবে তার স্বাধীনতা তাদের হাতে ছেড়ে দেয়া যায়। তাদের বিজ্ঞাপনী নির্মাতারা হয়তো অনেক আকর্ষণীয় উপায়ে কথাগুলো সাধারণের সামনে পরিবেশন করতে পারবেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
মোবাইলের প্রিপেইড কার্ডের বিজ্ঞাপন হৈতারে :
ভ্রমণ ফোনের প্রিপেইড সংযোগ নিন
পাশের বাড়িতে পালিয়ে থাকা রাজাকারটিকে ধরিয়ে দিন...
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
বিলবোর্ডের পাশাপাশি অ্যাডও হতে পারে। প্রেমিক-প্রেমিকার আলাপে ঢুকে যাবে গোলাম আযমের ফাঁসি চাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এরকম হৈতে পারে, প্রেমিক-প্রেমিকার আলাপের সমস্যা দেখা দিবে যে অমুক দিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে হরতাল বইলা সেদিন তারা আর আন্ডারগ্রাউন্ড বিবাহ করতে পারতেছে না। তখন প্রেমিক বলবে এই সব নন ইস্যুতে কেন যে হরতাল ডাইকা দেশের সর্বনাশ করে! ৩৭ বছর আগের পুরানা কাসুন্দি ঘাঁইটা ডেভেলপমেন্টের রাস্তা বন্ধ করা হৈতেছে। প্রেমিকা প্রোটেস্ট কইরা বলবে, অফ টপিক মানে? পুরানা কাসুন্দি মানে? প্রেমিক বলবে, এভাবে ঠগ বাছতে গেলে গাঁ উজাড় হৈয়া যাবে। ইন ফ্যাক্ট আমার বাবাও তো শান্তি কমিটিতে ছিলেন। প্রেমিকা তুই রাজাকার বইলা ফোন রাইখা দিবে। তারপর স্ক্রিন জুইড়া গোলামাজমের ছবির উপর একটা ক্রস আর নেপথ্যে গান,
বাঁচতে হলে জানতে হবে
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
- টুইস্ট লাগান বদ্দা।
এই যেমন প্রেমিকার প্রেমিক হৈলো বিত্তবান-মেধাবী, কিন্তু শান্তি কমিটির পোলা। আর প্রেমিকারে যে ভালো পায় সে হৈলো গরীব-মেধাবী। কিন্তি প্রেমিকা তারে ভালো পায় না। তো বিত্তবান-মেধাবী প্রেমিক যখন কাসুন্দি ঘাটোনের কথা কইবো তখন প্রেমিকা তোর চৌদ্দ গোষ্ঠী রাজাকার কইয়া (আরো কিছু খাচড়া গালি যোগ করা যাইতে পারে), ফুন রাইখা দিয়া সেই গরীব মেধাবী প্রেমিকের কাছে গিয়া গানে টান দিবে। "আমার ভুল ভেঙেছে, আমার চোখ খুলেছে..."। আর বাদবাকী সিম্বল মনেহয় ঠিকাছে আপনের বিজ্ঞাপনের। খালি যোগ হইবো,
গরীব-মেধাবী হওয়া কোনো ডিসক্রেডিট না, তবে রাজাকারের পোণা হইলে প্রেমিকাও পালায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গুরু জটিল হইসে... আপ্নে মিয়া বাইরে কি করেন?? যে আইডিয়া দিসেন, দেশের এ্যাড কোম্পানীগুলা তো আপনাকে লুইফা নিবে, দেশে আইসা এ্যাডগুলার ক্রিয়েটিভ ডিরেকটর হইয়া যান... রোল পাবার জন্য সুন্দরী মডেলরা আপ্নের পিছে পিছে ঘুরব...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
শ্যালিকা দের লাইন লেগে যাবে
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম বস !
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
- রিক্সার পিছে, সিএনজি'র সাইডে, বাসের গায়ে, ট্রাকের পেছনে- সব জায়গায় ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারে এই আগুন। বিলবোর্ডের চাইতেও সহজ হতে পারে কাজটা, অন্ততঃ শুরুটা করার জন্য।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অতি উত্তম আইডিয়া।
যদিও আমার মনে হয়না ঠিক এই মুহুর্তে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো একাজ করতে রাজী হবে। তারা ব্যাবসায়ী, লক্ষীর পুজা করতে নেমেছেন। অসুর বিনাশ নিয়ে তাদের তেমন মাথা ব্যাথা থাকার কথা না।
দেশপ্রেম বা ক্রিকেট নিয়ে যে বিগ্গাপনগুলো করা হয়, তা আসলে করা হয় ব্যাবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে। সাধারণ মানুষ যে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছে তারা সেই ভাবনাকে চিত্রায়িত করে নিজেদের নিয়ে আসেন সাধারণের কাছাকাছি। সুন্দর ভাবেই নিয়ে আসেন। তাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
বিলবোর্ডে যুদ্ধাপরাধী দের বিচারের দাবী তখনই আসবে যখন এটা হবে বাংলাদেশে খুব সাধারণ চর্চার বিষয়। সাধারণ মানুষ যখন একে ক্রমাগত একে দৈনন্দিন করবেন, পত্রিকা নেট টিভিতে যখন এ নিয়ে ক্রমাগত কথা হবে তখন ব্যাবসায়িক স্বার্থে (অথবা সামাজের প্রতি দ্বায়িত্ব হিসেবেই) তারা এই দাবীকে বিগ্গাপনের সাথে নিয়ে আসবেন।
এর আগে কোন কোম্পানী যদি করে, ভালো। তবে আমি খুব বেশী ভরসা পচ্ছিনা ।
সবজান্তার পরামর্শটা খুব ভালো।
এভাবে শুরু হোক।
কেউ কি দেশের জামাত ঘেষা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা তালিকা দিতে পারেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
- ধরেন, এমন কিছু করা গেলে যে গ্রামীন যদি তাদের বিলবোর্ডে 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই' কথাটি দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে যারা এই দাবীর সাথে সম্পৃক্ত তারা তিনদিন গ্রামীনের সার্ভিস ব্যবহার করবে না। সংখ্যার বিচারে এই সার্ভিস ব্যবহার না করা দলটা কিন্তু অনেক বড়ই হওয়ার কথা! এতেও রাজী না হলে সাতদিন, এভাবে রাজী না হলে পুরা বয়কট! সুইচ করো বাংলা লিংক কিংবা ওয়ারিদ বা সিটিসেল-একটেল-এ।
ব্যবসায়ী দিক দিয়েই এদেরকে কাবু করার রাস্তা বের করতে হবে। গ্রামীন থেকে এই বিশাল কাস্টমার বের হয়ে যাক এটা গ্রামীন নিশ্চই চাইবে না। আর পাশাপাশি অন্য প্রোভাইডারগুলো চাইবে এই সংখ্যাটা তাদের নেটওয়ার্কে ঢুকুক। অতএব, লাগা বিলবোর্ড!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হবে না, যারা গ্রামীনফোনে চাকরী করে বা গ্রামীণফোনের সাথে ব্যবসায়িক ভাবে জড়িত, তারা তখন কি করবে? তখনতো নিজের পেটে লাথি পড়বে। আর জোর করে এসব কাজ করানো যাবে না। এই সব করাতে হলে আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে। মোবাইল ওপারেটরা ব্যবসায় নেমেছে, ওরা যদি এধরনের প্রচারনা চালায় তাহলে ব্যবসায়িক ক্ষতি হবে। মনে হয় না কোন কোম্পানী এতে রাজী হবে।
বর্তমানে আমরা নিজেরা চাঁদা তুলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে পারি। কয়েকদিন চলুক, মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। স্টিকারগুলে বিভিন্ন জায়গায় লাগানো যেতে পারে। নিজেরা এস.এম.এস পাঠাতে পারি পরিচিত সবার কাছে।
জামাত ঘেষা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা ......... লাভ কি? যেমন সিলেটের আল-হামরা, আল-মারজান মার্কেট, আমরা ঐগুলো বর্জন করলাম, কি লাভ হবে? মার্কেট টা জামাত শিবিরের, কিন্তু ওখানে যারা ব্যবসা করেছ তারাতো সবাই জামাতপন্থী না, মার্কেট বর্জন করলে কিছু নিরিহ মানুষের ক্ষতি হবে।
আমরা একটা চিঠি লিখে সব বড় বড় কোম্পানীকে দিতে পারি, প্রস্তাব আকারে।
আপনি অনেক লোকের কষ্টের কথা বলছেন ঠিক আছে, কিন্তু এটাও তো দেখবেন এই সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যত ব্যবসা করছে, তত জামাত শিবির শক্তিশালী হচ্ছে।
কিছুটা ছাড় আমাদের দিতেই হবে, তবে ওদের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভাঙ্গতে না পারলে, কত দূর নির্মূল করা যাবে, তাতে আমার সন্দেহ রয়েছে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
- ভাই, গ্রামীন ফোন ঝানু ব্যবসায়ী। ওখানে যারা কাজ করছে তাদের পেট না বরং নিজের পরনের ল্যাঙ্গোট বাঁচানোর জন্যই মিলিয়ন গ্রাহকের বয়কটের হুমকি আমলে নিবে। বিশ্বাস না হইলে লাগেন বাজী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অসাধারণ কিছু আইডিয়ার জন্ম দিয়েছে এই ছোট্ট পোস্টটি। দেশের জন্য ভালবাসা আর রাজাকারদের জন্য ঘৃণা যে এই সচলদের কতটা প্রবল, তা মূর্ত হয়ে উঠেছে পোস্টের প্রতিক্রিয়ায়।
আমি হতাশাবাদী নই, তবে দীর্ঘদিন পৃথিবীতে বেঁচে থাকার এবং বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে কয়েকটি কথা বলতে পারি:
* দেশীয় ও বহুজাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নীতিগত কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য আছে নেই নীতির (অথবা তার অভাবের) প্রকাশে। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ভোক্তা আকৃষ্ট করে তার আন্তর্জাতিকতা বা বিশালতা দিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে দিয়ে, আর দেশী প্রতিষ্ঠানগুলো হতে চায় একেবারে "দেশী"- পাশের বাড়ির বড়ভাইটির মত। লক্ষ্য কিন্তু দুই দলেরই অভিন্ন: ভোক্তাদের পকেট কাটা।
* করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিলিটি (সিএসআর) বলে যে একটি নতুন বিষয় এসেছে। এটা কিন্তু মোটেও সামাজিক দায়বদ্ধতা নয়, বরং বিপণনের আরেকটি অস্ত্র। এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের এমন কোনো সিএসআর-এর কোনো নমুনা কি কেউ দেখাতে পারবেন, যেখানে প্রতিষ্ঠানটি প্রচারবিমুখ থেকেছে? সিএসআর-এর প্রধানতম উদ্দেশ্য হল Likeability index বাড়ানো, যাতে অভীষ্ট ভোক্তাগোষ্ঠীর মধ্যে ব্র্যান্ডের আবেদন বাড়ে। সেই সূত্র মানলে, দেশপ্রেম বা ধর্ম বা পহেলা বৈশাখ... সবই এদের কাছে বাজার বাড়ানোর মাধ্যম।
* যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি প্রসঙ্গে আমার মনে হয় না কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠান স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসবে, যদি না সেখানে ব্যবসাবৃদ্ধির সম্ভাবনা যুক্ত হয়। তার আগে পর্যন্ত ওরা এটাকে জনতার দাবি না, বরং একটি পক্ষের দাবি হিসেবে দেখতেই সুবিধা বোধ করবে।
* এই বিষয়টিতে বিজ্ঞাপনী সংস্থার ভূমিকা খুবই সামান্য। শুধু প্রভাবক হিসেবেই তারা কাজ করতে পারে; সিদ্ধান্ত বিজ্ঞাপনদাতাদের।
এই বাস্তবতার পরও আমি হাল না ছাড়ার পক্ষে। আমরা প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে যদি জনমত বাড়ানোর কাজটি শুরু করতে পারি, তাহলে তাদের বিজ্ঞাপনে বা বিলবোর্ডে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি দেখতে পাওয়া কঠিন হবে না।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
অসংখ্য ধন্যবাদ আনিস ভাই, মূল্যবান মতামতের জন্য।
আমি ২০০৬ সালে ব্লগস্পটে আমার বাংলা ব্লগ "রয়েসয়ে" খুলি। সেখানে প্রথম দিন থেকেই ফুটলাইনে আছে বিচারের দাবি, "তিরিশ লক্ষ স্বজন হত্যার বিচার চাই", তার নিচে অরূপ কামালের করা স্মৃতিসৌধের লোগো, তার নিচে পাঠকের প্রতি অনুরোধ, "কেউ যেন ভুল করে গেও নাকো মন ভাঙা গান।"
আজ আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে পরিবর্তনের উদ্যোগকে বাস্তবায়নের, আমি আপনার মতের মধ্যেও তার ছাপ দেখতে পাচ্ছি। মন ভাঙা গান কেউ গাইছেন না।
আমরা বিচার করবো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আনিস ভাই যা বলেছেন সেটা বাস্তব। বাস্তব তেতো। কিন্তু অপরিবর্তনীয় নয়। কর্পোরেট জগতের সহায়তা, ৩৭ বছর ধরে যুদ্ধাপরাধীদের টিকে থাকার প্রধাণ কারণগুলির একটি। এটা যেমন বাস্তব, গণচৈতন্যে ১৯৭১ সালের গণযুদ্ধের স্মৃতির অস্তিত্বও সেইভাবে আরো এক চেহারার বাস্তব, যার অবস্থিতি/সংহতি ভোটের রাজনীতি থেকে স্বতন্ত্র। এই বাস্তবতাই ২৯ তারিখের নির্বাচনে হায়েনাদের ঠেকাতে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন ভোটের রাজনীতি যেই হায়েনাদের গদীতে পাঠালো তারা যদি আবারো জনগণের সাথে প্রতারণা করে, তারপরেও কিন্তু গণযুদ্ধের স্মৃতি চট করে বিস্মৃত হবে না। সুতরাং বিষয়টির গভীর অবস্থিতি খুব প্রকট বাস্তবতা।
কর্পোরেট জগতের আসল কথা হচ্ছে প্রফিট। সেই প্রফিট যদি বাপকে দুলাভাই ডেকেও আসে তাতেও এঁদের আপত্তি থাকার কথা নয়, অভিজ্ঞতা তাই বলে।
একটা সময় বাজারে প্রচলিত কথাকে ব্যবহার করার প্রবণতার জায়গাকে প্রভাবিত করতে বাজারে কথাটিকে নিয়মিত এমবেড করা খুব জরুরি শর্ত। এই যে আমরা আজকে একটা কমিউনিটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়টি নিয়ে অবিরাম কথা চালাচালি করছি, এটাও কিন্তু একভাবে এই প্রচারণার আওতায় পড়ে। এই যে আইডিয়াগুলি বের হয়ে আসছে এগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সবাই অনেক কথা বলে ফেলেছেন। বিগত এক বছরাধিক কালে আমরা সচলায়তনে অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছি যা হয়ত নানা কারণে আলোর মুখ দেখেনি। অন্তত এই একটা প্রোজেক্ট যাতে সফল হয়, তা আমি কায়মনোবাক্যে চাইবো।
আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামতে কর্পোরেট কোম্পানীগুলি আমাদের এই সুযোগ দিবে না, যার অনেকটাই আনিস মাহমুদ ভাইয়ের মন্তব্যে উঠে এসেছে। তাই আমার কিছুটা ভিন্ন মতামত আছে - আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কিংবা ঘাদানিক কিংবা এমনই কোন একটা সংগঠণের সাথে যুক্ত হয়ে, টাকা দিয়ে নিজেরা একটা বিলবোর্ড ঝুলাতে পারি না টি এস সি'র মত জায়গাতে ? কারো সাথে যুক্ত হওয়ার প্রসংগ এ কারণেই যে, এর ফলে যে কোন ধরণের আইনগত ঝামেলা আমরা কোন প্রতিষ্ঠান হিসেবে মুখোমুখি হতে পারবো।
সামান্য অফটপিক, আজ সন্ধ্যার দিকে টি এস সি'র দিকে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ শুনি শ্লোগান হচ্ছে যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবীতে। মন ভরে গেল।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আনিস ভাই বেশ বাস্তব কিছু কথা বললেন। বদ্দার কথাগুলোও সঠিক।
গ্রামীণফোন বা অন্যান্য মোবাইল অপারেটরগুলো (বিশেষ করে বাংলালিংক) এখন পুরো দেশ জুড়েই অত্যন্ত পরিচিত নাম, এদের যে কোন কিছুই শহর থেকে শুরু করে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায় খুব সহজেই। তাই এটা কাজে লাগতে পারলে খুবই ভাল হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা অনেক সহজ হবে।
সিএসআর-এর বিষয়টা এসেছে এখানে। এটা ঠিক যে এইসব কোম্পানীগুলো নিজেদের সুবিধাটাই সবার আগে দেখে, দেখবেও, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পয়েন্ট হল মেসেজটা সবার কাছে পৌঁছানো। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ভাষা দিবস-সহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে এইসব মোবাইল অপারেটরগুলো। এর বাইরেও লোকজনের অনুভূতিতে সুড়সুড়িদায়ক অনেক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে এরা। নিজেদের মার্কেটিংয়ের পাশাপাশি ওরা সেটাই করেছে, যেটা বেশিরভাগ লোকজন ভাবে বা চায় বা পছন্দ করে। নির্বাচনের পর এটা তো সুনিশ্চিত - দেশের মানুষ চায় এইসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের দাবির প্রতি খেয়াল রেখে মোবাইল অপারেটররা চাইলেই বানিয়ে ফেলতে পারে বিজ্ঞাপন - টিভি, খবরের কাগজ বা বিলবোর্ডের জন্য। ওদের নিজেদের মার্কেটিংও হবে এতে, সাথে সাথে মেসেজটাও দ্রুত ছড়াবে। আর অন্য যে কোনও উপায়ে ছড়ানোর চেয়ে, এইসব বহুজাতিক কোম্পানীগুলোর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারলে কাজটা অনেক সহজ হবে।
বিষয়টা আমার কাছে কিন্তু খুব একটা অসম্ভব কিছু মনে হয়নি। যারা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থার সাথে জড়িত আছেন, তারা এগিয়ে এসে যদি এইসব কোম্পানীগুলোর বিপণন বিভাগের সাথে কথা বলেন, এবং বোঝাতে সক্ষম হন যে, এই জনমত গড়ে তোলার ব্যাপারে সোচ্চার হলে আখেরে তাদেরই প্রচার বাড়বে, তাহলে মনে হয় না সুযোগটা হাতছাড়া করবে তারা। বাস্তবে হয়ত কাজটা অনেক কঠিন, আমিও হয়ত একটু বেশিই আশাবাদ ব্যক্ত করলাম, কিন্তু চেষ্টা করে দেখতে দোষ কী!
আমি এ ধরনের অনুরোধ সাধারণত করিনা, কিন্তু এই আইডিয়াটাকে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিতে অনুরোধ করবো সবাইকে। অনেক কেষ্টুবিষ্টু আছেন ওখানে, তাঁদের নজরমোবারকে পড়া দরকার।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হিমু ভাইয়ের মেসেজটা মনে হয় ধরতে পেরেছি। যখন বিজ্ঞাপনের আইডিয়াগুলো হয়, তখন সেগুলোতে কোনোভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি অন্তভুর্ক্ত করা। এই-ই তো বলতে চেয়েছেন হিমু ভাই, নাকি? তবে সব বিজ্ঞাপনের এটা সম্ভব নয়। ফাংশনাল বিজ্ঞাপন যা শুধু প্রডাক্ট বেজড ও ইউজড নির্ভর সেগুলোতে সম্ভব না। থাকে পুতুপুতু করা কর্পোরেট বিজ্ঞাপনগুলো। এই বিজ্ঞাপনগুলো উৎসবকেন্দ্রিকও হয়ে থাকে। যেমন: বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি। যেখানে কোম্পানিগুলো নিজেদের প্রমাণ করতে চেষ্টা করে সবচেয়ে বড়ো দেশপ্রেমী হিসেবে, সবচেয়ে আদর্শবান সামাজিক প্রাণী হিসেবে। সেখানে বিচারের এই দাবিটি হয়তো অন্তভুর্ক্ত করা যায়। কিন্তু এই অন্তভুর্ক্তিকরণেও পেছনেও বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে দেখাতে হবে, এতে তোমার ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়বে, সাথে পণ্য বিক্রিও। যারা বিজ্ঞাপন সংস্থায় আছেন, তারা জানেন এই বুঝানোর ব্যাপারটা মোটেই সহজ নয়। কারণ আমাদের দেশে এখনো বিজ্ঞাপনদাতা নির্দেশ দেন আর বিজ্ঞাপনী সংস্থা তা বাস্তবায়ন করে দেয় এমন কালচারেই অভ্যস্ত। অন্যদিকে, যুদ্ধাপরাধের সাথে জামাত আছে, আর জামাতের সাথে আছে বিএনপি। তাই বিষয়টি বুঝলেও মুনাফা যাদের ধ্যানজ্ঞান তারা কাজটি করতে রাজি হবে কী'না সন্দেহ!
আরেকটা প্রস্তাব করতে পারি (ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে হয়ত), বিভিন্ন এটিএম বুথে টাকা তোলার পর যে স্লিপটা আমরা পাই, সেখানে "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই" কথাটা লেখা থাকতে পারে। এটা হয়ত একেবারে সাধারণ মানুষজন পাবে না, তবে এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে তো ছড়িয়ে দেয়া যাবে দাবিটা।
কর্পোরেটগুলি কখনওই কোনো "বিতর্কিত" ইস্যুতে ইনভলভড হবেনা। গ্রামীনফোন "মুক্তিযুদ্ধ" "মুক্তিযুদ্ধ" বলে গলা ফাটিয়ে ফেললেও "যুদ্ধাপরাধী" ইস্যুতে চুপ থাকবে। বাংলাদেশের বিজনেস স্কুল আর কর্পোরেটগুলির কাছে থাম্ব রুল হলো "যুদ্ধাপরাধী" বা "জাতির পিতা"-- এগুলি বিতর্কিত ইস্যু, এই বিষয়ে কখনো কথা বলা যাবেনা।
তাই কোনো টেলিকম নিজের পয়সা খরচ করে "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই", এই বিলবোর্ড লাগাবেনা। আবার "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই"-- এই কথার পাশে নিজেদের লোগোও ট্যাগ করবেনা। সচলায়তন নিজে থেকে ফান্ড তুলে কিন্তু কিছু করতে পারে।
এই প্রসঙ্গে আমি অল্প একটু তথ্য শেয়ার করি যদি আপনাদের কাজে লাগেঃ
ধরেন একটা মাঝারি সাইজের বিলবোর্ড হয় ৪০'*২০'= ৮০০ স্কয়ার ফিটের মতো। ঢাকা শহরের ভিতরে পার স্কয়ার ফিট বিলবোর্ডের নিম্নতম খরচ ৪৮০ টাকার মতো। তাহলে চার লাখেরও কিছু কম টাকায় আপনি সারা বছরের জন্য একটা বিলবোর্ড পেয়ে যাচ্ছেন। অবশ্য বিলবোর্ডের দাম লোকেশনের উপরেও নির্ভর করে, গুলশান, বনানী, উত্তরা, ফার্মগেট এরকম এলাকাতে বিলবোর্ডের খরচ অনেক অনেক বেশি হওয়ার কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতে মনে হয় এভারেজ খরচেই কভার হয়ে যাবে।
আমি মাস তিনেক আগে যশোর থেকে ঢাকা আসার সময় আরিচা দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বাংলালিংকের একটা বিশাল বিলবোর্ড দেখলাম। এইরকম জায়গাতে একটা বিলবোর্ড নিলে খরচও মনে হয় কিছু কম পড়বে, আবার এক্সপোজারও হবে অনেক অনেক বেশি। ঢাকার বাইরে বিলবোর্ডের এভারেজ খরচ ৪০০ টাকার মতো পার স্কয়ার ফিট। হাইওয়েতে মনে হয় আরও কম।
আরেকটা কাজ আপনারা বিবেচনা করে দেখতে পারেন, পোস্টারিং। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্যাফেটোরিয়া, যেমন আইবিএ ক্যান্টিন, টিএসসি, তারপরে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলির ক্যান্টিন-- এরকম যেইসব জায়গাগুলিতে পোস্টারিং করা এলাউড-- সেখানে সুদৃশ্য একটি পোস্টার কিন্তু অনেক অনেক কার্যকরী হতে পারে।
তথ্যবহুল মন্তব্য।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
বিলবোর্ডে খরচ অনেক বেশী। পোষ্টারের আইডিয়াটা ভালো।
আর আমারও মনে হয় না কোন কর্পোরেট এই কাজে ইনভলভ হবে না।
চিন্তা ভালো, সন্দেহ নাই। তবে,
পড়তে পড়তে আমার মাথায় যেই বাস্তবতাগুলো যেভাবে আসছিল (পঞ্চম বছর চলছে আমারও বিজ্ঞাপনী ক্যারিয়ারের) আর নিজে জানাতে চেয়েও অন্য কেউ বলেছেন কি না খুঁজছিলাম, আমার প্রাক্তন অফিশিয়াল বস আনিস ভাই-ই বলেছেন প্রায় ওইরকম ক'রেই। হ্যাঁ, বাস্তব এমনই কম মিষ্টি হয়।
একেবারেই অপরিবর্তনীয় হয়তো নয় ব্যাপারটি। আশা না থাকলে সাহসের জন্ম দিতো কে কবে?! তবে কী, এমন ভালো বিষয়ে কর্পোরেট বডিগুলোর বিক্রয়োর্ধ্ব মোটিভেশন এই লেভেলে হওয়া আমার কাছে তো ইউটোপিয়ান-ই লাগছে অনেকটা। দুঃখের সাথেই বলছি।
হিমু ভাই, অরূপ দা, আপনারা আমরা তো ব্লগার। আর যাদের ওপর এই বিষয়টা নির্ভর করে, তারা সেলার। সেলার হওয়ায় সমস্যার কিছু ছিল না, তবে আপনার আমার মতো এইরকম নন-ম্যাটেরিয়াল নন-মার্কেটিং এইগুলান নিয়ে এমন ইন্টারেস্ট তো সেই মার্কেটিয়ারদের থাকার কারণ দেখি না, নমুনা তো না-ই- (অনেক দুঃখজনক হ'লেও এটা সত্যি- অতো আইডিয়ালিস্টিক সমাজের দেখা কি আমরা কোনো ক্ষেত্রেই পাচ্ছি? স্যরি, আমার কথা কেউ ভুল বুঝবেন না আশা করি।)
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন