স্কুলে অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে কিংকং খেলতাম আমরা টেনিস বল দিয়ে। এই চরম উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটা যারা খেলেননি তাঁদের জনম চার আনাই বৃথা। নিয়ম খুব সহজ, একজন গোলন্দাজ নির্বাচিত হবে প্রথমে। নির্বাচন প্রথা অনেকভাবে করা হয়, সাধারণত একটা গোল দাগ কেটে তার পরিধিতে পা রাখে সবাই, বলটা মাঝখানে ড্রপ খাওয়ানো হয়, এরপর যার পায়ে গিয়ে পড়ে সে-ই চোর। চোরের কাজ হচ্ছে বলটা নিয়ে বাকিদের গায়ে কষে মারা। শুধু মাত্র হাতের তালু দিয়ে তা প্রতিহত করা যাবে, অন্য কোথাও লাগলে যার গায়ে গিয়ে লাগলো, সে-ও স্পর্শদোষে চোরে পরিণত হবে। তারপর এরা দু'জন মিলে অভিযান পরিচালনা করবে। শেষমেশ যে বাকি থাকবে সে ঐ রাউন্ডে বিজয়ী। লক্ষ্যণীয় যে এই খেলাকে বোম্বাস্টিক নামেও চিনে থাকবেন অনেকে।
তবে একে একটি দ্বিদলীয় স্পোর্টি (শব্দটা শুনলেই ইদানীং মনে ঘাই মারে ... হায় ...) রূপ দিয়েছেন বাইতুল মোকাররমের কিছু মুসল্লি। তারা নামাজ আদায়ের পাশাপাশি পাদুকাক্ষেপণেও দড়। পর পর তিন সপ্তাহ ধরে জাতীয় মসজিদে এই ঘটনা ঘটলো।
মনে পড়ে যাচ্ছে একটি কবিতা।
একদা ছিলো না জুতা চরণ যুগলে
দহিল হৃদয় মন সেই ক্ষোভানলে
ধীরে ধীরে চুপি চুপি দুঃখাকুল মনে
গেলাম ভজনালয়ে ভজন কারণে। ...
কিন্তু পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, জুতার অভাব ঘটলে কেউ আর ভজন কারণে বাইতুল মোকাররমে যাচ্ছে না। রীতিমতো সপাদুক হয়ে যাচ্ছে কিছু মুসল্লি। নামাজের আগে তারা বোম্বাস্টিক খেলছে এক রাউন্ড, তারপর রাস্তায় বেরিয়ে গিয়ে আলাদা নামাজ পড়ছে।
নতুন খতিবের নাকি আকিদাগত সমস্যা আছে। যদিও তিনি এর আগে তেজগাঁয়ের আরেকটি মসজিদে নিযুক্ত ছিলেন, সেখানে কেউ তার আকিদা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বলে সংবাদে আসেনি, জুতাজুতি তো দূরের কথা।
আমি শুধু ওয়াকিবহাল মহলের কাছে জানতে চাই, সালাহউদ্দিনের আকিদাগত সমস্যাটা কী? ওবায়দুল হকের মতো বিতর্কিত একটা লোকের পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারলে, সালাহউদ্দিন কী সমস্যা করলো?
মন্তব্য
হুম...ক্ষমতা বদলের সাথে সাথে নতুন খতিব কেন নিয়োগ করা হলো সেইটাও ঠিক বুঝলাম না...
[বোম্বাস্টিক নামেই চিনতাম খেলাটা, ছেলেবেলায় খেলেছিও অনেকবার...জীবন চার আনা বেঁচে গেলো এ যাত্রা...]
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
নতুন খতিবের নিয়োগদাতা বর্তমান সরকার নয়।
নতুন খতিব কোন রাজনৈতিক (খেলাফত আন্দোলন টাইপের) দলের সমর্থক নন।
আগের খতিব মারা যাবার পর ভারপ্রাপ্ত হিসাবে যিনি ছিলেন তার রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে।
কোন কোন রাজনৈতিক দলের কাছে বায়তুল মোকাররমের ইমামতির দায়িত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাতে সমমনা দল্গুলোর মাঝে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্য প্রমান করা যায়।
...........................
Every Picture Tells a Story
খেলাটাকে আমরা বলতাম বোম্পাট।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আকিদায় সমস্যা?
হাসলাম রে ভাই।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
- সমস্যা টমস্যা কোনো পিরোবলেম না, আসল কথা হইলো একটা পিডাপিডির সুবন্দোবস্ত! আমাগো হাতপাও সবসময় খালি কাতুকুতু দেয় মস্তিষ্কে। ঐ কাতুকুতুর বহিঃপ্রকাশই দেখা যাইতাছে গত কয়েক জুমাবারে। সরকার ঠিকঠাক হোক, দেখবি ঐ কাতুকুতু গিয়া পড়বো রাস্তার বেক্কল বোক্কল যানবাহনের উপরে। সামলাইয়া নে দোস্ত। এগুলা না দেখলে এখন আর ভাল্লাগেনা। মনেহয় কি জানি কী নাই, কিছু একটা হয় নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখার styleএ মজা পেলাম। আকিদা কি জিনিস?
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
এক ধরনের স্ট্যামিনা । ঐটা থাকলে প্রতি সপ্তাহের ছুটির দিনে পাঞ্জাবি-পায়জামা-টুপি সমেত জার্সি পড়ে বোম্বাস্টিক খেলা যায় ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এই ঘটনাসমূহে ইসলামের কোনো অবমাননা হচ্ছে না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সমস্যা আমি যতদূর জানি খুবই সরল। এতোদিন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিংবা বায়তুল মোকাররম ছিলো জামাতের একাধিপত্যে, তাদের দুর্গ। সবারই নিশ্চয়ই মনে আছে, আটাশে অক্টোবরের সেই সহিংসতায় জামাত-শিবিরের লোকজন বায়তুল মোকাররমের ভিতর থেকেই অস্ত্র নিয়ে এসে গুলি করছিলো।
কিছুদিন আগে তত্ববধায়ক সরকার এই নতুন খতিব নিয়োগ দেন, যিনি জামাতের লোক নন। তিনি এসেই ঘোষনা দেন, মসজিদ হচ্ছে উপাসনার জায়গা, এখানে এসে আর মিটিং মিছিল চলবে না। সাথে সাথেই জামাতের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়, তারা বলতে থাকে এই খতিব আটরশির পীরের মুরীদ, তাই তার পেছনে নামাজ পড়লে তা সঠিক হবে না।
এরপর থেকেই "সাপ্তাহিক বোম্বাস্টিংপ্রতিযোগিতার" সূত্রপাত
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ওবায়দুল হক ছিলা রাজাকারের বাপ, তার পেছনে জামাতে ইসলামি আর কওমিরা বাপ বাপ বলে নামাজ পরতো।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আর রাজাকার পেশ ইমামকে জুতাপেটা করে বের করে দিলে, মসজিদে আর কেউ জুতা নিয়ে ঢুকতে সাহস পাবে না।
১
আকিদাগত সমস্যাটি যে আসলে কি আমাদের স্থূল বুদ্ধিতে বুঝা সম্ভব না । এগুলো সূক্ষ্ম আধ্যাত্নিক জিনিস - আমাদের অ্যান্টেনায় ধরবে না ।
২
ছোটকালে (সম্ভবত) ধর্মীয় শিক্ষার বইতে পড়েছিলাম কেয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার ৩০টি লক্ষণ । তারমধ্যে একটি ছিল "উপসনালয়ে গন্ডগোল শুরু হবে" । ভেবেছিলাম এসব জিনিস আমার জিবদ্দশায় দেখা হবেনা, আজি হতে শতবর্ষ পরে আমার বংশধর রেখে যেতে পারলে তারা দেখবে । মুসল্লীদের অশেষ মেহেরবানীতে কেয়ামতের আলামত নিজের জিবদ্দশায় দেখতে পেরেছি । সবার জীবনে এরকম সুযোগ আসেনা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আমরাও এই খেলাটারে বোম্বাস্টিং বলতাম। ঈদের ছুটিতে সব পোলাপান পাড়ায় একত্রিত হলে এখনো খেলার সৌভাগ্য হয় মাঝে মাঝে
পর পর তিন সপ্তাহ একই কাহিনীসম্বলিত ছবি দেখে আমার কেন জানি খুব মজা লাগসে। মাইর না দিলে/খাইলে এদের পেটের ভাত হজম হয়না বলেই মালুম হয়।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
"আকিদা" জিনিষটা কী এইটা ঠিক র্ধতের্পাতেছিনা তবে,
আমার আকিদা নাই, এইটা নিশ্চিত কৈতে পরি।
ভালই হল , মানির মান আল্লায় রাখছে । আকিদা থাকলে আবার আপনার আকিদার টানে জুতা-বোম্বাস্টিকে অংশগ্রহন করা লাগত ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সহমত।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
"গেল গেল ইসলাম গেল!!"
নিজের জুতা ছুড়ে মারে নাকি আশেপাশে রাখা অন্য মুসল্লির জুতা ছুড়ে মারে!!
কিং কং খেলতাম আপনার খেলার নিয়মেই। একজন বাদে সবাই 'টাচডাউন' হয়ে যাবার পরে সেই একজন কে রাজা ঘোষনা করা হত। পরের দানে সবাই গোল দাগে পা দিয়ে দাঁড়ানোর পরে সেই রাজা বল ড্রপ করার সুযোগ পেত। কিন্তু বোম্বাস্টিং খেলার সময় কোন দল বলের ব্যাপার ছিলনা। যে যাকে খুশি তাকে মারত। ডু অর ডাই সিচুয়েশন।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সমস্যা আছে এইখানে ।
ইসলাম ধর্মে ক্রিশ্চিয়ান ধর্মের মতোই ধর্ম কিভাবে পালন করতে হবে সেই বিষয়ে অনেক মত আছে ।
বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা সুন্নী । এই সুন্নীদের মধ্যেই নানা মত আছে । যেমন তাবলীগ, মাজারকেন্দ্রিক সিলেটি/চিটাগঙের ধার্মিকরা, চরমোনাই-আটরশী-নয়রশি টাইপ পীরকেন্দ্রিক ধার্মিকেরা ধর্ম কিভাবে পালন (আমল) করতে হবে সেই বিষয়ে ভিন্ন মত রাকে
আমি যেই তিনটা গ্রুপের উদাহরন দিলাম সেই তিনটা গ্রুপের মধ্যে তাবলীগ অন্য দুটোর সাথে মিশ খায় না । এই গ্রুপটা আবার অরাজনীতিকও ।
বায়তুল মুকাররমে যেই বিষয়টা প্যাচ খাইছে সেইটা হলো নতুন খতীব পীরভক্ত গ্রুপের । তাও আবার যেই সেই পীর না । আটরশির (যিনি এরশাদ আমলে জ্যোতি হিমেল পাউডার স্বপ্নে উদভাবন করেছিলেন । এবং শোনা যায় উনার দোয়াতেই নাকি গর্ভাবস্থা বাইপাস করে নগদ শাদ এরশাদের জন্ম) পীর । এই আটরশীর পীরের রাজনৈতিক প্রভাব এরশাদের হাত ধরে । এখন যেহেতু এরশাদ চাচ্চু ক্ষমতায় অতএব আওয়ামী লীগ এরশাদের মাধ্যমে হুজুরদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে এই নতুন খতিব নিয়োগ দিতে পারে । অন্তত এইটা একটা সম্ভাবনা হিসেবে মাথায় রাখা যায় ।
এখন নতুন হুজুর পীরের মুরিদ হবার কারনে তাবলীগিয়ানদের সমর্থন সে পাবে না । আবার সংখ্যাগরিষ্ঠ হুজুররেরা যারা মাদ্রাসা মসজিদে বসবাস করেন তাদের সমর্থনও সে পাবে না । কারন সংখ্যাগরিষ্ঠ হুজুরেরা বাংলাদেশে সৌদি সিস্টেমে মুফতিদের (মানে হৈলো যারা ধর্ম বিষয়ে স্কলার) মানে । পীরদের না । এইকারনে অন্য তরিকার হুজুররে খতিব হিসেবে অনেকেই মানতেছে না । এবং এর প্রতিক্রিয়া যেইভাবে হৈতেছে সেইটাতে কেউ রাজনীতির গন্ধ খুজলে আমি তারে দোষ দেবো না । কারন পৃথিবীর কিছুই রাজনীতির বাইরে না । ইসলামী ফাউন্ডেশনে জামাত প্রভাব নষ্ট হবার ভয়েও এই জুতো ছুড়োছুড়ি হতে পারে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
পুরুতদের মধ্যে এত বিভাজন
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এদের ড্রেসকোডেও পার্থক্য আছে । সবচেয়ে সাদামাটা ড্রেস পরবে তাবলীগিয়ানরা । অন্যদিকে তারপর মাদ্রাসা পাশ হুজুরেরা গোল্ড রিমের চশমা, হাটু পর্যন্ত দামি কাপড়ের পাঞ্জাবিরসহ বেশ ফ্যাশন সচেতন হয়ে ঘুরে বেড়ায় । রাজারবাগের একদলরে চিন্তাম যারা লম্বা পাঞ্জাবি আর সবুজ পাগড়ী পরতো । আবার ধরেন হুজুর আছিলো আগে, সেই সাথে এ্যাক্টিভ পলিটিক্স (শিবির) করার পর ইসলামি ব্যাংক বা অন্য কোথাও চাকরিবাকরি করে তাদেরও ড্রেসটা আলাদা । চেক শার্ট, পেটের ওপর বেল্ট পেচিয়ে গোড়ালির উপরে পরা প্যান্ট দিয়েই তাদের বেশ চলে যায় ।
টিপিকাল এই গ্রুপগুলোর বাইরে ঢাকা শহরের নতুন প্রপঞ্চ হিজবুত তাহরীরের যুবক কর্মীদের ড্রেস কোড বের করা সম্ভব । নাইকির টি শার্ট, মুখে দাড়ি, আডিডাসের টুপি, পাওয়ারের স্যান্ডেল শু = হিজবুত তাহরির ।
এই বিষয়ে একটা থিসিস নামায় ফেলেন । সচিত্র ।
দ্রষ্টব্য - এই মন্তব্যগুলো সিরিয়াসলি নিয়েন না কেউ । খুব বেশী জেনারালাইজড মন্তব্য করছি হয়তো ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হাসিবের পর্যবেক্ষন ঠিকাছে ।
শুরুর দিকে হিজবুত তাহরীরের ছেলেপেলেরা কালো গোল টুপি মাথায় পড়তো, কপাল পর্যন্ত ঢেকে ।
এখন দেখছি এদের ড্রেসকোড পাল্টেছে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ইমাম সাহেবের হাওয়া ভবন নিয়া গ্যাঞ্জাম আছে মনে হয় ।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
এই বোম্বাস্টিং প্রতিযোগিতার কারণে আমারই দেখি সমস্যা বাড়লো। পার্টনার নাইওরে থাকায় শুক্কুরবারে ভাবি যে পল্টনে গিয়া রুটি-গোস্ত মাইরা ফুটপাথের বই-দোকানগুলো ঘাটবো। খেলার প্রথম দিনই অর্থাৎ প্রথম শুক্কুরবারেই গাড়ি থাইকা নাইমাই দেখি পুলিশে সয়লাব পল্টন মোড়। আমার চেহারা-মোবারকের কারণে কিনা জানি না, পুলিশের আড়ানি চাউনি দেইখ্যা সুবিধার মনে হয় নাই। খানা দুরে থাক, চলতি আরেকটা ফিরতি গাড়িতে লাফ দিয়া উইঠ্যা গেলাম।
এদিকে পার্টনারের ফিরা আসার টাইম হইছে। অথচ প্রতি শুক্কুরবারের বোম্বাস্টিক খেলাও বন্ধ হয় না, আর আমার রুটি গোস্তও খাওয়া হয় না। শেষ পর্যন্ত অন্য কিছু খাওয়া লাগে কি না....
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মাওলানা রণদীপম
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এইসব দাড়িওয়ালা জোকারদের ফাইজলামি দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত !
বোম্বাট আমিও খেলতাম ছোটকালে। উপমাটা দারুন দিয়েছেন হিমুদা।
---------------------------------
--------------------------------------------------------
খেলারাম খেলে জও হুজুররা চালোয় জও
মনে হয় 'এইটা একটা প্যারাডক্স'।
একমত নই। সালাহউদ্দিন ভালরকম স্কলার এবং তার ডিগ্রিও সৌদি থেকে। মূল সমস্যা অন্যত্র। আপনারা নিশ্চয় খেয়াল করে থাকবেন, তিনি নিয়োগ পাবার পরই বায়তুল মোকাররম কেন্দ্রিক (জামাতি এবং আরো কয়েকটি একাট্টা দলের) রাজনীতির বিরুদ্ধে জিহাদের ঘোষণা দিয়েছেন। সোজা কথায়, ওদেরকে তিনি ওখান থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে চাচ্ছেন। এতদিনের একটা শক্তিশালী ঘাঁটি ওরা এত্ত সহজে ছেঁড়ে দেবে? তাই এই 'জুতো বিদ্রোহ'। 'আকিদা' একটি উছিলা মাত্র।
হাসিনা-ও এককাঠি সরেস। তিনিও ঐসব আকিদাঅলাদের শায়েস্তা করতে অতিরিক্ত ব্যাটালিয়ান মোতায়েন করতে বলেছেন। দেখা যাক এ শুক্রবার কি হয়।
প্রফাইল
....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে
এতক্ষণে বোঝা যাওয়া শুরু হইলো, আপনি কোনখান থাইকা ব্লগান। আপনি নিয়মিত যাইতেসেন নাকি জুতা মারতে?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
জুতাখেলার একটা বিরাট সুফল আছে । মসজিদে ঢুকেই জুতা সবার হাতে থাকে , মসজিদ থেকে জুতা চুরি যাওয়ার কোন ভয় নাই ।
জুতাচোরদের বড় দুর্দিন ।
হুজুরেরা বায়্তুল মোকাররমে গিয়া, জুতা মারমারি করবেন, মানুষের মস্তকের দাম নির্ধারন করবেন, দোকান পাটে আগুন দিবেন, পারলে পুলিশর রাইফেল নিয়া দৌড় দিবেন। কিচ্চু বলা যাবেনা। কারন উনারা নাকি ফাজিল পাশ আলেম। আমার তো মনে হয় উনাদের "ফাইজলামির" সিলেবাসটা দিন দিন বাড়তাছে, এর কি কোন বিহিত নাই?
আকিদা কী, হিমু?
পুরা পোস্ট আর কমেন্টগুলো পড়েও ধারণা পেলাম না
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নতুন মন্তব্য করুন