যুদ্ধাপরাধীদের বিচারঃ ক্যালেন্ডার (ফেব্রুয়ারি)
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০২/২০০৯ - ৪:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:
২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
মন্তব্য
যুদ্ধাপরাধের বিচারে বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য পথনির্দেশ
কামরুন্নেসা নাজলী
কয়েক শতক আগে থেকেই য্দ্ধুাপরাধ বিষয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে প্রথাগত আইন বিদ্যমান ছিল। এই প্রথাগত আইনগুলোকেই যথাক্রমে ১৮৯৯ এবং ১৯০৭ সালের হেগ কনভেনশনের মাধ্যমে বিধিবদ্ধ করা হয়। এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে জার্মানি ও জাপানের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত নুরেমবার্গ ও টোকিও ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক আইনের আধুনিক ধারণার সূচনা। ১৯৪৫ সালের ৮ আগস্ট প্রকাশিত লন্ডন সনদের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনাল যুদ্ধাপরাধ, শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সংজ্ঞায়িত করে।
এরপর ১৯৪৮ সারে গৃহীত হয় গণহত্যা সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন, যেখানে গণহত্যা সংঘটনের পরিকল্পনা, সহায়তা, প্ররোচনা বা চেষ্টাকেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং গণহত্যাকে সংজ্ঞায়িত করার পাশাপাশি গণহত্যার বিচার, শাস্তি প্রদান এবং গণহত্যা প্রতিরোধের ব্যাপারে পক্ষরাষ্ট্রের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। যুদ্ধকালীন সব ধরনের মানবতাবিরোধী কার্যক্রম থেকে যুদ্ধরত পক্ষকে বিরত রাখতে এবং বেসামরিক জনসাধারণ, লোকালয় ও স্খাপনাগুলো রক্ষার্থে ১৯৪৯ সালে চারটি পৃথক কনভেনশনের মাধ্যমে গৃহীত হয় জেনেভা কনভেনশন ১৯৪৯ এবং ১৯৭৭ সালে জেনেভা কনভেনশনের বর্ধিত দুটি প্রটোকল গৃহীত হয়। ১৯৭২ ও ১৯৮৪ সালে জেনেভা কনভেনশনে কিছু সংযোজন করে বলা হয় কোন দেশের অভ্যন্তরেও যদি কোন জনগোষ্ঠীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উগ্যোগ নেয়া হয় সেটা যুদ্ধাপরাধ বলে বিবেচিত হবে। উল্লিখিত আইনি কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সময়ে সাবেক যুগোশ্লাভিয়া ও রুয়ান্ডায় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারে জাতিসংঘের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয় যথাক্রমে যুগোশ্লাভিয়া ট্রাইব্যুনাল ও রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনাল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পৃথক দুটি রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় অস্খায়ী বিশেষ এই ট্রাইব্যুনালগুলো।
যুগোশ্লাভিয়া ট্রাইব্যুনাল
যুগোশ্লাভিয়া ট্রাইব্যুনালের আওতায় ইতোমধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত সার্বনেতা রাদোভান কারাজ্জিচ গ্রেফতার হয় ২১ জুলাই ২০০৮। গ্রেফতারের পর ৩০ জুলাই তাকে ট্রাইব্যুনালের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ পর্যন্ত যুগোশ্লাভিয়া ট্রাইব্যুনালে ১৬১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ১০৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে ট্রাইব্যুনাল। ২০১০ সাল নাগাদ এই ট্রাইব্যুনালের সব বিচার সম্পন্ন করা কথা। অন্যদিকে একই আদলে গড়া রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত ৪০টি বিচার সম্পন্ন করেছে, যার মাধ্যমে ৩৪ জন দোষী সাব্যস্ত হয়। ২৩টি মামলা এখনও বিচারাধীন এবং ৮টি মামলা বিচার শুরুর অপেক্ষায়। ১৮ ডিসেম্বর ২০০৮ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্নেল থিওনেস্টে বাগোসোরাসহ সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তাকে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে রুয়ান্ডার সেনাবাহিনী এবং ইনতারাহাল্ফে হুতু মিলিশিয়া বাহিনী কর্তৃক আট লাখেরও বেশি সংখ্যালঘু তুতসি এবং উদারপন্থি হুতুকে হত্যা করা হয়। নৃশংস এই হত্যাযজ্ঞ সংগঠনের পরিকল্পনা, সংগঠন ও ইনতারাহাল্ফে হুতু মিলিশিয়া বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে এই তিন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ দণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
অস্খায়ী ভিত্তিতে হলেও নুরেমবার্গ ও টোকিও ট্রাইব্যুনালের দুর্বলতাকে কাটিয়ে এ দুটি ট্রাইব্যুনালেই অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের ব্যবস্খাসহ আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত
যুদ্ধাপরাধের বিচারে অস্খায়ীভাবে গঠিত নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনাল, টোকিও ট্রাইব্যুনাল এবং যুগোশ্লাভিয়া ও রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনালের অভিজ্ঞতা থেকেই যুদ্ধাপরাধীসহ মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অন্যান্য গুরুতর অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিকভাবে স্খায়ী একটি ব্যবস্খা প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সামনে আসে। এবং যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি, ব্যক্তিবর্গের বিচারে স্খায়ী কার্যকর আন্তর্জাতিক আদালত প্রবর্তনে ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসে রোমবিধি নামে এক চুক্তি গৃহীত হয়। প্রয়োজনীয় ৬০টি রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর ২০০২ সালের ১ জুলাই রোমবিধি কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত’র যাত্রা শুরু হয়।
রোমবিধি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ এবং জেনোসাইড ইত্যাদি অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি, ব্যক্তিবর্গের বিচারের এখতিয়ার রাখে এবং উল্লিখিত অপরাধগুলো যখন রোমবিধির পক্ষ কোন রাষ্ট্রের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে সংঘটিত হয় অথবা পক্ষ রাষ্ট্রের কোন নাগরিক যদি এরূপ অপরাধে অভিযুক্ত হয় অথবা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক প্রেরিত কোন অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচার করার এখতিয়ার এই আদালতে আছে। রোমবিধি অনুযায়ী ২০০২ সালের ১ জুলাই বা এরপরে সংঘটিত অপরাধ বিচারে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত’ এর এখতিয়ার থাকবে এবং বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় বিচারিক ব্যবস্খার পরিপূরক হিসেবে রাষ্ট্র যখন ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত’ এর এখতিয়ারভুক্ত অপরাধের বিচার করতে অসমর্থ হবে তখনই কেবল এ আদালত তার এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারবে। নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের স্খায়ী কার্যালয় অবস্খিত। তবে প্রয়োজনে অন্য স্খানেও এই আদালত বসানোর বিধান আছে।
যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত যথাক্রমে উগান্ডা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, সেন্ট্রাল আফিন্সকান রিপাবলিক এবং সুদানের দারফুর ঘটনায় মোট চারটি মামলা আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারাধীন আছে। এর মধ্যে উগান্ডা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো এবং সেন্ট্রাল আফিন্সকান রিপাবলিকের মামলা এই তিনটি পক্ষরাষ্ট্র কর্তৃক এবং দারফুর বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক এই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আদালত উল্লিখিত মামলাগুলোতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিসহ বেশ অগ্রগতি সাধন করেছে। উগান্ডার ঘটনায় আদালত জোসেফ কোনিসহ লর্ডস রেজিস্টেন্স আর্মির চার শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ২০০৭ সালের মে মাসে সুদানের মানবিক বিষয় সংক্রন্ত মন্ত্রী আহমেদ মুহাম্মদ হারুন ও জানজাবিদ নেতা আলি মুহাম্মদ আলি আবদ আল রহমানের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। অন্যদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিপ্রেক্ষিতে কঙ্গোর মামলায় টমাস লুবাঙ্গা (১৭ মার্চ ২০০৬) ও জার্মেন কাতাঙ্গা (১৭ অক্টোবর ২০০৭) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০০৮ সালের মে মাসে সেন্ট্রাল আফিন্সকান রিপাবলিক মামলায় বিদ্রোহী দল মুভমেন্ট দি লিবারেশন ডিউ কঙ্গোর নেতা জ্যঁ পিয়েরি বেম্বা গম্বোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনের অভিযোগ গঠন করা হয়।
এক্সট্রা অর্ডিনারি, কম্বোডিয়া
মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের বিচারে স্খায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সমান্তরালে জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ হাইব্রিড ধরনের বিচার ব্যবস্খাও প্রত্যক্ষ করা যায়। যেমন, সত্তর দশকে খেমাররুজ বাহিনী কর্তৃক কম্বোডিয়ায় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, জোরপূর্বক নির্বাসনে পাঠানো, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্খাপনা ধ্বংসের মতো মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিচারে জাতিসংঘ ও কম্বোডিয়া সরকারের যৌথ পরিচালনায় এক্সট্রা অর্ডিনারি চেম্বার নামের একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বর্তমানে কাজ করছে। জাতিসংঘ ও কম্বোডিয়া সরকারের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি (২০০৩) ও খেমাররুজ শাসনামলে সংঘটিত বিভিন্ন গুরুতর অপরাধ বিচারে ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ২০০১ সালে প্রণীত বিশেষ আইন অনুসারে এই ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয় এবং ২০০৬ সালে এই ট্রাইব্যুনাল কাজ শুরু করে। কম্বোডিয়া এবং জাতিসংঘের যৌথভাবে প্রতিষ্ঠিত এ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কম্বোডিয়ান এবং আন্তর্জাতিক বিচারক, প্রসিকিউটর এবং তদন্তকারীদের সমন্বয়ে গঠিত মিশ্র ধরনের ট্রাইব্যুনাল। এটি কম্বোডিয়ার আদালত ব্যবস্খার আওতায় খেমাররুজ শাসনামলে সংঘটিত অপরাধের বিচারে গঠিত বিশেষ আদালত। এ এক্সট্রা অডিনারি চেম্বারের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে নমপেনে। তিন বছর সময়সীমার এই ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার জ্যেষ্ঠ খেমাররুজ নেতা এবং গুরুতর অপরাধের জন্য প্রধানত দায়ী ব্যক্তিদের বিচারেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কারা খেমাররুজ নেতা এবং কারা সংঘটিত ওইসব অপরাধের জন্য প্রধানত দায়ী তার বিবেচনার দায়িত্ব ট্রাইব্যুনালের। বিচারে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্তের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। এর মধ্যে ২০০৭ সালে জুলাই মাসে ৫ জন সম্ভাব্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রস্তুত করা ট্রাইব্যুনালের তরফে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এবং এখন পর্যন্ত আটক খেমাররুজ নেতার সংখ্যা পাঁচ। তারা হলো খেমাররুজ আমলের এস-২১ নামে পরিচিত নির্যাতন ক্যাম্পের অধিনায়ক ক্যাং কেক লিও ওরফে কমরেড ডুম, ব্রাদার টু নামে পরিচিত নিওন চিয়া, খেমাররুজ সরকারের বিদেশ মন্ত্রী ইয়েং স্যারি, তার স্ত্রী তৎকালীন সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী ইয়েং থিরিথ এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্ট খিউ সাম্পান। আটক এসব খেমাররুজ নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। বিচারপূর্ব শুনানি শুরু করেছে ট্রাইব্যুনাল এবং এ প্রক্রিয়ায় অভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, মামলার কার্যক্রমে নাগরিক পক্ষ হিসেবে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য উপস্খাপনের সুযোগ এই ট্রাইব্যুনালের একটি বিশেষ দিক।
স্পেশাল কোর্ট ফর সিয়েরালিওন
হীরা খনি অধ্যুষিত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিয়েরালিওন ১৯৯১ সাল থেকে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। এ লক্ষ্যে জনসাধারণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে লাইব্রেরিয়া সমর্থিত বিদ্রোহী রিভ্যুলশনারি ফন্সন্ট (আরইউএফ) ব্যাপক মাত্রায় গণধর্ষণ ও জোরপূর্বক অঙ্গচ্ছেদনের মতো নৃশংস অপরাধে লিপ্ত হয়। এসবের সঙ্গে জড়িতদের বিচারে জাতিসংঘ ও সিয়েরালিওনের যৌথ উদ্যোগে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্পেশাল কোর্ট ফর সিয়েরালিওন নামের বিশেষ আদালত। সিয়েরালিওনে অবস্খিত রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত এই আদালত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগের মাধ্যমে উল্লিখিত গৃহযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ২০০৪ সালের জুন মাসে কার্যক্রম শুরু করে। ৬ বছরমেয়াদি এই ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে এবং এর মধ্যে ৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সিয়েরালিওনের গৃহযুদ্ধের অন্যতম মদদদাতা ও সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত লাইবেরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি চার্লস টেইলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন। যদিও নিরাপত্তাজনিত প্রশ্নে টেইলরের বিচার কার্যক্রম হেগে স্খানান্তর করা হয়েছে।
পূর্ব তিমুর
১৯৯৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনী ও ইন্দোনেশিয়া সমর্থিত তিমুর সেনাবাহিনীর সদস্যরা ইন্দোনেশিয়া থেকে স্বাধীনতা প্রত্যাশী পূর্ব তিমুরের প্রায় দুই হাজার লোককে হত্যা করে এবং প্রায় ৫ লাখ লোককে জোরপূর্বক ঘরবাড়ি ছাড়া করে। এ সহিংসতার বিচারে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃক প্রতিষ্ঠা করা হয় এডহক হিউম্যান রাইটস ট্রাইব্যুনাল। একে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচারের জন্য জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার আন্তর্জাতিক চাপকে বিভ্রান্ত করার প্রয়াস বলে অভিহিত করে মানবাধিকার কর্মীরা ইন্দোনেশিয়ার এই উদ্যোগকে খারিজ করে দেয়। পরে জাতিসংঘের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় স্বাধীনতা অর্জনকারী পূর্ব তিমুরে সে সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জাতিসংঘ তদন্ত পরিচালনা ও বিচারের লক্ষ্যে সিরিয়াস ক্রাইমস ইনভেস্টিগেশন ইউনিট গঠন করে। এ প্রক্রিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অভিযুক্ত করা হয়। তবে ইন্দোনেশিয়ার সরকার কর্তৃক এই ব্যবস্খার স্বীকৃতি না দেয়া এবং অভিযুক্তদের সমর্পণে ইন্দোনেশিয়ার অস্বীকৃতির কারণে এ প্রক্রিয়া তেমন এগোতে পারেনি। এ অবস্খায় উল্লিখিত মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা তদন্ত এবং আইনি কার্যক্রম বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে ২০০০ সালে গঠন করা হয় কমিশন ফর রিসিপশন, ট্্রুথ এন্ড রিকনসিলিয়েশন নামের একটি কমিশন। সংঘটিত নির্যাতনের বিস্তৃত বয়ান তুলে ধরে ২০০২ সালে কমিশন তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। অন্যদিকে সিরিয়াস ক্রাইমস ইনভেস্টিগেশন ইউনিটও এ বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পূর্ব তিমুরের সরকারের অবস্খান রিকনসিলিয়েশনের পক্ষে, যা কিনা অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে কোন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের পথের অন্তরায়।
মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের বিচারে উল্লিখিত সব ব্যবস্খার সম্ভাবনার পাশাপাশি দুর্বলতাও আছে যেমন, কম্বোডিয়া ও সিয়েরালিওনের প্রথাগত ন্যায়বিচার ব্যবস্খার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ক্ষতিপূরণের বিধান। কিন্তু মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিচারে ওপরে বর্ণিত বিশেষ ব্যবস্খায় দারিদ্র্যপীড়িত ভুক্তভোগীদের জন্য ক্ষতিপূরণের অনুপস্খিতি কতটুকু স্বস্তি দিতে পারে, সেটা অবশ্যই বিবেচনার বিষয়। আবার অসংখ্য অপরাধীর মধ্যে গুটিকয় অপরাধীর বিচার ভবিষ্যতে এরকম অপরাধ সংঘটনের নিবারণ এবং সার্বিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে বিতর্ক থাকাটাও স্বাভাবিক। তবে অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিকে দূর করতে এ বিচার প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অনেক।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
উল্লিখিত সব উদ্যোগ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যুদ্ধাপরাধসহ মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের বিচারের বিষয় কখনও তামাদি হয় না এবং এরকম অপরাধের বিচারের অর্থ শুধু অভিযুক্তকে শাস্তি প্রদান নয় বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একই রকম অপরাধের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করে সুস্খ, শুদ্ধ সমাজের নিশ্চয়তা দেয়া ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা। যুদ্ধাপরাধসহ মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিচারের এসব অভিজ্ঞতা বিশেষ করে কম্বোডিয়ার খেমাররুজদের বিচারে কম্বোডিয়া-জাতিসংঘ যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত বিশেষ বিচারিক ব্যবস্খা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধসহ মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের বিচারে কার্যকর ব্যবস্খা গ্রহণে অনুসরণীয় হতে পারে।
যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক সব আন্তর্জাতিক কনভেনশনের পক্ষরাষ্ট্র বাংলাদেশ। তাছাড়া স্বাধীনতার পর উল্লিখিত আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতির অনুসরণে একাত্তরে সংঘটিত অপরাধের বিচারে ১৯৭৩ সালে প্রণীত হয় ওহ:বৎহধ:রড়হধষ ঈৎরসবং (ঞৎরনঁহধষং) অপ:, ১৯৭৩. যুদ্ধাপরাধের বিচারের এ বিধান সংবিধানের ৪৭ (৩) অনুচ্ছেদেও সংযোজিত আছে। ১৯৭৩-এর আইনটি এখনও বলবৎ আছে, যার মাধ্যমে একাত্তরে সংঘটিত হত্যা-নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের যথাক্রমে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে, শান্তির বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগে বিচারের সম্মুখীন করা সম্ভব। তবে তার জন্য দরকার ’৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধসহ মানবতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের বিচারে সরকারের দৃঢ় অবস্খান। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন নয়, দরকার এদের বিচারে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে এ বিষয়ে জোর আলাপ-আলোচনার সূত্রপাত ঘটানো এবং প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সম্ভাব্য কার্যকর কোন ব্যবস্খার মাধ্যমে ’৭১-এর য্দ্ধুাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা।
[বুলেটিন : আইন ও সালিশ কেন্দ্র : ডিসেম্বর ২০০৮]
মার্চ মাসের জন্য ক্যালেন্ডার খোলা হয়নি, তাই ফেব্রুয়ারি মাসেই তুলে রাখছি...
প্রথম আলো
মার্চ ২৬, ২০০৯
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
দেশ টিভি
মার্চ ২৭, ২০০৯
যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু
বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের করা তালিকা সমন্বয় করে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আপাতত ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস-ফাইন্ডিং কমিটির তৈরি করা ১হাজার ৭শ ৭৫ জনের তালিকা ধরেই এগুচ্ছে তারা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আল বদররা পাক হানাদের সহায়তায় হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণ চালিয়েছিল নির্বিচারে। তাদের বিচার করতে বর্তমান সরকার সংসদে প্রস্তাব পাশ করে। এরপরই যুদ্বাপরাধীদের তালিকা তৈরি শুরু করে গোয়েন্দারা।
আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জানালেন, সমন্বিত তালিকায় যাদের নাম আছে, তাদের দেশ ছাড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
দেশীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অভিযুক্ত ৩শ ৬৯ জনের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
হিমুসহ আর আর যারা এই কাজটা করছেন তাদের ধন্যবাদ
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের কাজ শুরু
ঢাকা, ডিসেম্বর ০৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য রাজধানীর আব্দুল গনি রোডে ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রোববার গণপূর্ত বিভাগের লোকজন নিয়ে গনি রোডের ১৪ নম্বর বাড়িটিতে ট্রাইব্যুনালের জন্য বিভিন্ন কক্ষের সাজগোছ ও সংস্কার কাজ শুরু করেছেন।
আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ রোববার তার সচিবালয়ের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, "বসার জায়গা হয়ে গেলেই ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার কাজ শুরু করা হবে।"
ট্রাইব্যুনাল স্থাপন কাজের তদারকের দায়িত্বে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ে উপ-সচিব এ এস এস এম জহিরুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "কোন কক্ষে এজলাস, অফিস, নিরাপত্তা কক্ষ, তদন্ত কর্মকর্তাদের কক্ষ ও পরিদর্শকদের কক্ষ হবে তা আমরা গণপূর্ত কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি। তারা এগুলো তৈরি করবে।"
এক মাসের মধ্যেই নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
গণি রোডের ওই বাড়িতে থাকা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল ও নিবন্ধন পরিদপ্তরের কার্যালয় কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জহিরুল জানান।
গত জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের পর ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়। এ জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন-১৯৭৩ সংশোধন করা হয়। এ আইনেই অভিযুক্তদের বিচার করা হবে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/আরবি/এমইউএস/এমআই/১৪৫০ ঘ.
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
জামায়াতের মজলিসে শূরার বৈঠকে হতাশার সুর
যাযাদি রিপোর্ট (বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০০৯,বছর ০৪ সংখ্যা ১৮০ )
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মজলিসে শূরার বৈঠকে হতাশার সুর ধ্বনিত হয়েছে। শূরা সদস্যদের অনেকেই যুদ্ধাপরাধের বিচার, প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি, ’৭২-এর সংবিধানে সরকারের ফিরে যাওয়া বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনের সঙ্গে এসব বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রায় অসম্ভব। এছাড়া জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর রয়েছে প্রশাসনিক চাপ। বিশ্বস্ত সূত্রে একথা জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার মজলিসে শূরার অধিবেশনে দলের নবনির্বাচিত আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর উদ্বোধনী ভাষণের সূত্র ধরে আলোচনা শুরু হয়। ওই ভাষণে তিনি যুদ্ধা-পরাধীদের বিচার, সেক্যুলার শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন এবং সরকারের ’৭২-এর হতাশা : পৃষ্ঠা ৪ কলাম ১ সংবিধানে ফিরে যাওয়াকে দেশের ইসলামী শক্তিকে নির্মূল করার ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এসব মীমাংসিত ইস্যু ও ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ আলেম-ওলামা এবং জামায়াতসহ দেশের জনগণ প্রতিরোধ করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মজলিসে শূরার অনেক সদস্যই যুদ্ধাপরাধের বিচার, প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি এবং ’৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে মাওলানা নিজামীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করলেও হতাশা ব্যক্ত করেন এসব বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে। তারা বলেন, এখনো সরকারের শাসনকাল এক বছর অতিক্রম করেনি। এত অল্প সময়ে সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলনই সফল করা যাবে না। মিত্র জোট বিএনপিও ওইসব ইস্যুতে জামায়াতের সঙ্গে কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে না। বরং তারা নিশ্চুপ রয়েছে। এ অবস্থায় শুধু জামায়াত সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো কর্মসূচি দিয়ে এগিয়ে নিতে পারবে না বলে হতাশা ব্যক্ত করেন শূরা সদস্যরা।
এ ব্যাপারে শূরা সদস্য এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ এমপি এই হতাশার কথা অস্বীকার করে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে জামায়াতে ইসলামী মানববন্ধন কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। তাই যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে দলের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে আগ্রহী। এ নিয়ে কোনো হতাশা নেই।
তিনি বলেন, শূরা সম্মেলনে জামায়াতের আমির সাংগঠনিক বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন। এতে তিনি দলকে সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এছাড়া তিনি দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ, আইনশৃঙ্খলা অবনতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহার না করার কথা বলেছেন।
নতুন মন্তব্য করুন