• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

পুলিশ কেন জাপটে ধরবে?

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০২/২০০৯ - ৫:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম আলোতে পড়লাম, ভৈরবে এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সদলবলে আধ ঘন্টার ব্যবধানে এক উপপরিদর্শককে হত্যা আর চার কনস্টেবলকে আহত করেছে ছুরি মেরে।

সাদা পোশাকে প্রথমে দুই কনস্টেবল আক্রান্ত হয় সন্ত্রাসী মামুনের হাতে। পরবর্তীতে এই সন্ত্রাসীকে পাকড়াও করতে গিয়ে জাপটে ধরে এস আই মোস্তাফিজসহ আরো কয়েকজন কনস্টেবল। মামুন আগের মতোই ছুরি মেরে তাদের দফারফা করে। এবার তার সাথে যোগ দেয় তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা।

আমি অতীতে আরো বহুবার পুলিশের এই "জাপটে" ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হবার কথা পড়েছি। পুলিশ সন্ত্রাসীকে জাপটে ধরতে গুলি খেয়েছে, ছুরি খেয়েছে, একবার কতগুলি চীনা বখাটে এই জাপটে ধরতে আসা পুলিশকে কুংফু মেরে পর্যন্ত ধরাশায়ী করেছে।

পুলিশ কেন জাপটে ধরবে? একজন উপপরিদর্শকের কি কোন হ্যান্ডগান নেই? সন্দেহভাজন একজন সন্ত্রাসী, যে কি না কিছুক্ষণ আগে দুই সহকর্মীকে ছুরি মেরে ঘায়েল করেছে, তাকে কেন জাপটে ধরার চেষ্টা করা হবে? মামুন বদমাইশটাকে কি মাটিতে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়তে বলা যেতো না? তেড়িবেড়ি করলে কি তাকে আহত করার উদ্দেশ্যে গুলি করা যেতো না?

আমি এই ঘটনায় মর্মাহত। নিহত পুলিশ অফিসারের স্ত্রীপুত্রকন্যাদের প্রতি শুধু অসহায় সমবেদনা জানাই। আর পুলিশকে এ ধরনের সন্ত্রাসী আক্রমণ মোকাবেলার আরো উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়ার দাবি জানাই। বছরের পর বছর পুলিশ শুধু সন্ত্রাসীকে জাপটে ধরে কাবু করতে যাবে, এ কেমন কথা? পুলিশের বুলেট ক্রয় বাবদ কি কম টাকা বরাদ্দ করা হয়?

পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীর জাপটাজাপটি কোন শুভ ফল বয়ে আনতে পারে না। এ কথা পুলিশকে উপলব্ধি করতে হবে।


মন্তব্য

জিজ্ঞাসু এর ছবি

আমাদের আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষা বাহিনীর কি কোন ট্রেনিং নেই? সন্ত্রাসীকে জাপটে ধরে তাকে গ্রেফতার করার নিয়ম নাকি! দেশের সবকিছুতেই কেমন সব অসামঞ্জস্যতা। পুলিশ সন্ত্রাসীর সাথে ধস্তাধস্তি করে আবার নিরপরাধ লোককে জেলের ঘানি টানায়। ঘটনাটা পড়ে খুবই মর্মাহত হয়েছি।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সারদায় যে ট্রেনিং দেওয়া হয় তাতে কি জাপটে ধরা থেকে ভালোকোন কায়দা শেখায় না?

অফ টপিক: কর্মদক্ষতা দেখাতে গিয়ে এম পির ভাতিজাকে শ্রীঘরে নিলে সমস্যা আসলে কতটা? কতদুর বদলী হতে পারে?



অজ্ঞাতবাস

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আচ্ছা, কোনো পুলিস ব্লগার কি আছেন? ব্লগিং এ নানান পেশার মানুষের দেখা পেলেও, পুলিস কাউকে দেখিনি।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এক্কেরে মুখের কথা কাইড়া নিয়া কইলা।

আছেন না কি কেউ পুলিশ ব্লগার?



অজ্ঞাতবাস

হিমু এর ছবি

আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি, পুলিশের কর্তব্যে গাফিলতির অনেক অভিযোগ থাকলেও, তাদের অবসর খুব কম। ব্লগিং করার মতো সময় বোধহয় একমাত্র অবসরপ্রাপ্ত পুলিশেরই থাকতে পারে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

তানবীরা এর ছবি

হাহাহাহাহা, আমার মনে হয় ছোট পুলিশদের যতো দৌড়াদৌড়ি বা জাপটাজাপটি করতে হয়, উচ্চপদস্থদের ততো করতে হয় না। তাদের সময় হয়তো আছে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে, আছি ;) - মাসরুফ হোসেন

বন্দেআলি এর ছবি

খবর দেখে মনে হচ্ছে থানার কর্তার হুকুম ছিল যেকোন মূল্যে অক্ষত ধরে আনার। তা না হলে তাঁর এমন ভুল করার কথা নয়। অবশ্য এটা আমার সম্পূর্ণ অনুমান।

সাধারণ ক্ষেত্রে দুর্ধর্ষ এরকম ডাকাত/ ছিনতাইকারীকে প্রথমে বেজায়গায় আচমকা আঘাত করে ফেলে দিয়ে তারপর ১৫-২০ সেকেন্ডের মধ্যে দোলমা বানানো হয়, এতে ভয় পেয়ে প্রায়ই সাঙ্গপাঙ্গরা পালায়। এটাই পুলিশের প্রচলিত কায়দা। আর পুলিশের দল একটু বড় হলে ওদেরকে সাঙ্গপাঙ্গসহ পাকড়াও করা কোন ব্যাপারই নয়। সারদা ট্রেনিং হয়ত মডার্নাইজেশন দরকার কিন্তু মামুনকে ক্ষতকরে ধরার জন্য যথেষ্ট।

নিঝুম এর ছবি

শুধু বাংলাদেশেই নয় , ইংল্যান্ডে পুলিশ সাথে পিস্তল বন্ধুক এইগুলা রাখেনা । কি এক অদ্ভুত দক্ষতায় তারা সন্ত্রাসী কে জাপটে ধরে । অনেকবার এই দৃশ্য দেখেছি । তবে গায়ে শক দেয়ার জন্য লম্বামত কি একটা যেন রাখে । নাম ভুলে গেছি । এই করেই গত বছর প্রায় তিনজন পুলিশ অফিসার এইখানে নিহত হয়েছেন । তারপরেও পিস্তলের ব্যাবহার বাড়েনি খুব সিলেক্টেড কিছু অপারেশন ছাড়া ।

নিহত পুলিশ অফিসারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল । মন খারাপ হবার মতন সংবাদ ।
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমেরিকায় এই দিক দিয়ে শক্ত। পুলিশ গাড়ী থামালে নিয়ম হচ্ছে রাস্তার ডান পাশে শোল্ডার বলে অতিরিক্ত যায়গায় গাড়ী থামিয়ে দু হাত স্টিয়ারিং উপরে রাখা। এর ব্যতিক্রম দেখলে পুলিশ হোলস্টারে হাত দিয়ে সাবধানে সামনে আসে। ড্যাশবোর্ডে থেকে কোন কাগজ বের করতে হলে পুলিশকে বলতে হবে আমার এই কাগজটা ড্যাশবোর্ডে। পুলিশ গো অ্যাহেড বললে আগাতে হয়। সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র থাকলে আগে থেকে জানান না দিলে বিপদ। তারপরেও যে র্দূঘটনা ঘটে না তা নয়। তবে প্রস্তুতি তো আছে!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

নিহতের জন্য সমবেদনা। তবে জাপটে ধরা বলতে পত্রিকায় যেমনটা লেখা হয় বাস্তবতা হয়তো তেমনটা নয়। "জাপটে ধরা" না বলে অন্য কোন যুতসই শব্দও হয়তো নেই। ঘটনার বর্ণনাতেও হয়তো জাপটে ধরার কথাই বলা হয়েছে। তবে আমি চোখ বন্ধ করে যেটা দেখতে পাই তা হলো অস্ত্রধারী বা চাকুধারী কোন সন্ত্রাসীকে পুলিশ কেন, কেউই "জাপটে" ধরতে চাইবেনা। তাই আমার সন্দেহ ঐ শব্দটার প্রতি।

পুলিশের ট্রেনিং অবশ্যই উন্নত করা দরকার। আবার পুলিশ কিছু করা শুরু করলে কেউ কেউ বলা শুরু করে "দেশটা পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে"। অথচ কথায় কথায় আমরা যেসব দেশের উদাহরণ দেই তারা পুলিশ দিয়েই সব নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ব্যাপারটা আসলে কিছুই না। আমাদের পুলিশ ভাইরা কোনো ইয়াসমীনকে একা পেলেই জাপটে ধরে, মামুনকেও একা পেয়ে মনেহয় জাপটে ধরার খায়েশ চাগাড় দিয়ে উঠেছিলো পুলিশ ভাইদের!

বাংলাদেশ 'পুলিশ রাস্ট্র' না হলে আসলে এই সর্বময় জাপটা জাপটির কালচার শেষ হবে না। আচ্ছা এতো যে রাবার বুলেটের কথা শুনি ভিবিন্ন মিছিল মিটিঙএ ছোড়া হয়, ঐ রাবার বুলেট আর হস্ত বন্দুক সাথে রাখা কি কবীরা গুণাহ নাকি? শক দেয়ার জন্য পৌনে হাতি ডান্ডার মতো জিনিষটা আমাদের পেট ঢোলা, আনফিট পুলিশ ভাইদের কাছে রাখলে অসুবিধা কি?

সেদিন চোখের সামনে জার্মান পুলিশের এ্যাকশন দেখলাম। ইয়া বিশাল সাইজের একটা দুষ্টু লোকেরে কোৎ করে কৈ মাছের মতো ধরে পটপটভটভটখটখট ভাষায় কী জানি বলতেছে। একটু পরে দেখি গাড়ির পেছনে ঠেলে ঢুকিয়ে রওনা দিছে নিকটস্থ পুলিশ ফাঁড়িতে। কী স্মার্ট এটিচিউড!

আমাদের পুলিশ ভাইরা স্মার্টলী উৎকোচ গ্রহন বাদ দিয়ে এই রকম আসল স্মার্ট হওয়ার ট্রেনিং সারদা থেকে কবে পাবেন কে জানে! :(
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

আমার তো মনেহয় ওরা নিজেদের গুলিভরা বন্দুকের উপর ভরসা রাখতে পারেনা।
ফায়ার করলে গুলি বের হবে কিনা সেটা নিয়ে মনেহয় তারা সন্দেহে থাকে।
------------------------------

--------------------------------------------------------

রণদীপম বসু এর ছবি

খুব সম্ভবত আমাদের পুলিশ ভাইদেরকে শিক্ষা দেয়া হয় নিরীহ প্রতিবাদী ছাত্র-শিক্ষক কিংবা জনগণকে বেপরোয়া ব্যাটন চার্জ করে কিভাবে কুপোকাৎ করতে হয় এবং ধরে ধরে নির্বিচারে চালান দিতে হয়। এদেরকে রাষ্ট্র হয়তো গুরুতর সন্ত্রাসী মনে করছে। কারণ এরা যে সরকারের সমালোচনা করে !
আমরা যাদেরকে অরিজিনাল সন্ত্রাসী মনে করছি রাষ্ট্র হয়তো সেটা মনে করছে না। কেননা এই সন্ত্রাসীরা তো আর নিজের কাজ বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সমালোচনা করছে না। তারা তাদের কাজেই ব্যস্ত থাকে !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তীরন্দাজ এর ছবি

পিস্তলের যত্রতত্র ব্যবহারও ভালো নয়। কিন্তু জাপটে না ধরে পায়ে তো গুলি করা যায়! আসলেই ভালো ট্রেনিং দেয়া হয়না। মনে হয় ওদেরকে শুধু মিছিলে লাঠি পেটানো আর টিয়ার গ্যাস ছোড়ার ট্রেনিংটাই যত্ন করে দেয়া হয়!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতিথি লেখক এর ছবি

রাবার বুলেট এর ব্যবহার করতে দিলে সবচে ভালো হয়।
নিহত পুলিশ পরিবারের জন্যে শোকপ্রকাশ করছি।
(শব্দশিল্পী)

হিমু এর ছবি

আপডেটঃ

সন্ত্রাসী মামুনকে প্রাইমারী স্কুলের শিশুরা তাদের শ্রেণীকক্ষে শায়িত অবস্থায় পেয়ে এবং চিনতে পেরে তাকে জাপটে ধরে এবং রিইনফোর্সমেন্ট ডেকে এনে পুলিশে সোপর্দ করে!

মামুন হারামী সেই জাপটানিতেই কাবু হলো শেষমেশ। তবে বাচ্চাদের হাতে।

বাঘের বাচ্চাদের অভিনন্দন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

সাবাশ বাচ্চা বাঘেরা !!
-----------------------

--------------------------------------------------------

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুলিশ হত্যাকারী মামুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলেছেন, ‘মোটরসাইকেলে করে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই পুলিশের মাঝখানে বসে আমি দুজনকেই ছুরি মারি। মোটরসাইকেল পড়ে গেলে পেছন থেকে এসআই এসে আমাকে জাপটে ধরলে তাঁর বুকেও ছুরি বসিয়ে দিই।’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিচারিক হাকিম আবু সাইয়িদের আদালতে গতকাল শুক্রবার সন্ত্রাসী মামুন ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন।
গত বুধবার সন্ধ্যায় পাঁচ পুলিশকে হতাহত করে পালিয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে ভৈরব পৌর এলাকার ভৈরবপুর আদর্শ মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে শিক্ষার্থীরা মামুনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
সন্ত্রাসী মামুন ও তার বাহিনীর হাতে উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান নিহত ও আরও চার পুলিশ জখম হওয়ার পর ভৈরবের আইনশৃঙ্খলা পরিস্িথতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য চলে এসেছে। পুলিশ জানায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও পুলিশের মহাপরিদর্শক নুর মোহাম্মদের নির্দেশে গতকাল দুপুর থেকে ভৈরবের সর্বত্র মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।
আদালতের বরাত দিয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান কবির জানান, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে মামুন বলে, রাতে হাবিলদার রুহুল আমিন ও কনস্টেবল আল আমিন তাকে দেখে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে সে বাঁচার জন্য তাঁদের দুজনকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। সে সময় মামুনও সামান্য আহত হয়। চিকিৎসা নেওয়ার জন্য প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে গিয়ে পুলিশের গাড়ি দেখে সরে পড়ে এবং ভৈরবপুরের একটি দোকানে ওষুধ কিনতে যায়। মামুন বলে, ‘এ সময় হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেলে পুলিশ এসে আমাকে ঘিরে ফেলে। তারা আমাকে ধরে একটি মোটরসাইকেলে দুজনের মাঝখানে বসিয়ে থানায় নিতে থাকে। পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসংলগ্ন আড়াইবেপারির বাড়ির কাছে আসার পর আমি আমার সহযোগী ওবায়েদকে দেখতে পাই এবং পালানোর চিন্তা করি। সঙ্গে সঙ্গে আমি মোটরসাইকেলে ঝাঁকুনি দিয়ে প্রথমে পেছনে বসে থাকা কনস্টেবল সিয়ামকে ছুরি দিয়ে আঘাত করি। পরে এসআই মিজানকে আঘাত করলে তিনি মোটরসাইকেলসহ পড়ে যান। এরপর পেছনের হোন্ডা থেকে এসআই মোস্তাফিজ নেমে আমাকে জাপটে ধরলে আমি তাঁর বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যাই।’
সাহসী শিশুদেরকে অভিনন্দন
ভয়ভীতি উপেক্ষা করে কুখ্যাত সন্ত্রাসী মামুনকে ধরিয়ে দেওয়ার নায়ক সেই সব সাহসী ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছে সারা দেশের নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এ প্রতিনিধির মাধ্যমে টেলিফোনে গতকাল সারা দিন ধরে পাঠকেরা এ অভিনন্দন জানায়।
ভৈরব থানার পুলিশ জানায়, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোজাম্মেল হকও তাদের মাধ্যমে স্কুলের সাহসী ছেলেমেয়েকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমরা সারা দিন বিভিন্ন মহলের কাছ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা পেয়েছি।’
প্রথম আলো ফেব্রু ২১, ২০০৯

প্রশ্ন হলো এই জবানবন্দী যদি সত্যি হয় তাহলে বলতেই হচ্ছে পুলিশ কত বড় আহাম্মক। একটা সন্ত্রাসীকে ধরে চেক না করেই, হাতে হ্যান্ডকাফ না লাগিয়েই মোটরসাইকেলের মাঝখানে বসিয়ে থানায় নিয়ে যাচ্ছিল!

অতিথি লেখক এর ছবি

মান সম্মান গেলো পুরা , যদিও এই ঘটনার সময় আমি পুলিশে ছিলাম না :( - মাসরুফ হোসেন

হিমু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।