আজ প্রথম আলোর একটি বিজ্ঞাপনের ছবি দেখে মুখটা তেতো হয়ে গেলো।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে একটি জিএসএম অপারেটরের আগডুমবাগডুম বিজ্ঞাপন। সেখানে এক মুক্তিযোদ্ধা খালিগায়ে টারজানের মতো শরীরের সম্ভব অসম্ভব সবরকম পেশী পাকিয়ে দাঁড়িয়ে, তার চেহারাটি হিন্দি সিনেমার নায়কের মতো। এই বিজ্ঞাপনচিত্রী এবং বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনসংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তারা মনে করেন বা মনে করাতে চান, মুক্তিযোদ্ধারা এমন ছিলো। তারা ছিলো নাসের ভুলুর মতো পালোয়ান, তারা ছিলো কাপুর-খান্না-খান-বচ্চনদের মতো সুদর্শন, তারা ছিলো হাফন্যাংটা ও জ্বলজ্বলে।
বাস্তবতা কী রকম ছিলো, নিচের দু'টি ভিডিওতে আমরা চাইলে দেখে নিতে পারি। আমরা দেখতে পাই, মুক্তিযোদ্ধাদের শরীরে অনাহারের ছাপ, আমরা দেখি তারা নিতান্ত সাধারণ চেহারার মানুষ, আমরা দেখি দিনের পর দিন রোদেজলে যুদ্ধ করে তাদের শ্রান্ত সজল চোখ, আমরা দেখি একটি নৃশংস গণহত্যা কিভাবে তাদের হাতে থেকে লাঙল ছিনিয়ে এক টুকরো অচেনা ইস্পাত ধরিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখি সেইসব জীর্ণশীর্ণ কিশোর তরুণ প্রৌঢ় লুঙ্গি মালকোঁচা দিয়ে বসে আছে প্রশিক্ষকের সামনে। আমরা যা দেখি না, তা হচ্ছে অবচেতনে তাদের ভাবনা-স্বপ্নটুকু তারা যুদ্ধে যাবে, যুদ্ধে জিতবে, জিতে ফিরবে নিজের আঙিনাটুকুতে, নিজের স্ত্রীসন্তানপরিজনকে নিয়ে সন্ধ্যায় টেমির আলোতে বসে একটু ভাত খাবে একটু তরকারি দিয়ে। কারো কারো সেই স্বপ্ন সফল হয় তাদের অনুপস্থিতিতে। কেউ কেউ উপস্থিত থাকলেও আঙিনা মেলে না, পরিজনেরা মেলে না, কিংবা মেলে না ভাত আর তরকারি। আমরা কোন হিন্দিসিনেমামুখো মাসলম্যান দেখতে পাই না মুক্তিযোদ্ধাদের ভিড়ে।
কোন বোধসম্পন্ন মানুষ কি নেই এসব বিজ্ঞাপন ইস্যুর পেছনে? তারা কি অনুভব করে না, এই বিজ্ঞাপন মুক্তিযোদ্ধাকে মহিমা এনে দেয় না, তাকে কেবল সিনেমার নায়ক বানাতে চায়? মুক্তিযোদ্ধার শরীরের অবাস্তব গোস্তের আধিক্যটুকু না দেখালে কি হাজার হাজার সেইসব স্বপ্নবান মানুষের ছবি দেখানো যায় না নতুন প্রজন্মের মানুষকে? পেশীর জয়গানই যদি গাইতে হয়, থিম হিসেবে ডাব্লিউ ডাব্লিউ এফকে বেছে বিজ্ঞাপন তৈরি হোক।
অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বিরক্তি প্রকাশ করছি এই বিশেষ বিজ্ঞাপনটির সাথে জড়িত অসংবেদনশীল লোকগুলির জন্য। আহাম্মকির সীমা তারা ঠেলতে ঠেলতে নতুন দিগন্তে নিয়ে গেছে।
মন্তব্য
ভীষণ বিব্রত।
এইভাবে চললে,
এই ধরেন বছর পঞ্চাশেক পরে, "মুক্তিযোদ্ধা" হতে পারে কোন হিরো-নির্ভর কার্টুনের মাসলম্যান চরিত্র ।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
সেটাই...
কিছু বলার নাই...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
তীক্ষ্ন পর্যবেক্ষণ
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সহমত। বিকৃতি যে কত দিকে, কত ভাবে হচ্ছে!
এইটা তো গতকালের প্রথম আলো'র তুলনায় অনেক ভালো...
লাল সবুজে সাজাই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
অনেক কিছুরই হলিউডি- ও বলিউডিকরণ চলছে। মুক্তিযুদ্ধই বা বাদ থাকে কেন!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
তাঁরা সম্ভবত এসএম সুলতানের অ্যাপ্রচ মাথায় রেখে ফিউশন ঘটাচ্ছেন। অবশ্য আমাদের যোদ্ধারা তো হারকিউলিসের চাইতে কম বীরত্বপূর্ণ নন, যাঁরা মৃত্যুপণে অসম্ভব দ্রুততায় ছিনিয়ে এনেছেন একখণ্ড গাঢ় সবুজ, ষ্পন্দিত জল।
সুলতানের কথা আমিও বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার আগেই আপনি সুলতানের প্রসঙ্গ নিয়ে আসলেন ।
সুলতানের দৃষ্টিভঙ্গী অনুযায়ী, বাংলার সাধারন মানুষের অন্তঃস্থ শক্তিটিকে তিনি চিত্রায়িত করতেন । তাই তার ছবির মানুষ গুলো সবাই ভীষণ বলশালী । হয়তো ফিউশন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে । কিন্তু লক্ষ করলে দেখবেন, সুলতানের মানুষদের চেহারা সিনেমার নায়ক নায়িকাদের মত না, আমাদের চারপাশের সাধারন লোক জনের মতই । আর তাদের দেহের গড়নও এরকম হত না । কাল্পনিক মানুষের কাল্পনিক আবয়বটাই হত অন্যরকম ।
এই ধরনের প্রচেষ্টাকে আমি "না" বলছি । এটাকে ঠিক ফিউশন বনে মনে হচ্ছেনা আমার কাছে ।
আমি বিশাল কোন শিল্প রসিক বা শিল্প বোদ্ধা নই । একটা শিল্প কর্ম ভাল লাগলে "হ্যাঁ" বলি, খারাপ লাগলে "না" বলি । বেশি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা আমার নেই । তবুও একটু চেষ্টা করলাম ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
তাঁরা সম্ভবত এসএম সুলতানের অ্যাপ্রচ মাথায় রেখে ফিউশন ঘটাচ্ছেন বলে আমি কিন্তু ব্যঙ্গ করেছি এইসব অসঙ্গত প্রচেষ্টাকে। তাঁরা যে মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তঃস্থ প্রবল শক্তিকে অনুধাবন করতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এইসব মেধাশূন্য প্রয়াসকে আমারও জোরালো "না"।
আমার কাছে ব্যাপারটা কোনো সিরিয়াস ইস্যু বলে মনে হলো না। যুগে যুগে মানুষ তাদের নায়কদেরকে নিজেদের মতো করে কল্পনা করেছে। জাতীয় বীরদের নিজেদের যেভাবে দেখতে চায় সেভাবে সাজিয়েছে। ঐতিহাসিক ব্যাখ্যান আর মিথ তাই কখনো মিল খায় না। এটা মানুষের ভালোবাসারই প্রকাশ বলে আমার মনে হয়, আর কিছু না। একজন শিশু যদি মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে তাদের প্রিয় নায়ক স্ট্যালোনকে দেখতে পায় তাতে প্রকান্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাদের ভালোবাসাই প্রকাশ পায়। একই কথা বলা যায় উপরে দেয়া ছবির ক্ষেত্রে। শিল্পী তার মতো করে মুক্তিযোদ্ধার চিত্রণ করেছেন। এই অধিকার তার আছে। তাকে সব মুক্তিযোদ্ধার চেহারা দেখে মানানসই একটা মুখ বেছে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ছবি অনেক ক্ষেত্রেই প্রতীকী। মাহফুজ তার মন্তব্যে চিত্রশিল্পী সুলতানের কথা ঠাট্টা করে বললেন কিনা জানিনা, তবে সুলতানের ছবিগুলো একটা বড় উদাহরণ হতে পারে। সুলতানের চোখে বাংলার সব কৃষক-মজুর পেশল এটা তাদের মানসিক শক্তি আর জীবনের সাথে অবিরত সংগ্রাম বোঝানোর জন্যই। ছবি কল্পনাতে ইতিহাস বদলে যায় না। যাবেও না। মিথ আর ইতিহাস আলাদাই ছিলো, থাকবে।
বিপ্রতীপ "লাল সবুজে সাজাই" কেনো আপত্তিকর মনে করলেন তাও বুঝলাম না। লাল সবুজ আমাদের রঙ। আমরা সব এই রঙে সাজাবো। আমার ল্যাপটপে, আমার জামায়, আমার খাবারে, আমার সব কিছুতে। কার কী সমস্যা?
সুন্দর করে জিনিসটা প্রকাশ করতে পারলে কোন সমস্যাই নেই । বরং অরুসরনীয় হয়ে উঠবে । কিন্তু উপরে বিজ্ঞাপণের ছবিটার কথা ধরুন । আমি চিত্রকর হলে চেষ্টা করতাম যত্ন করে ছবিটা আঁকতে । এরকম 'খ্যাপ মারা' ছবি এঁকে পার করতাম না ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
উদ্ধৃত অংশটুকু সহব্লগার বিপ্রতীপের দেয়া লিংকের প্রেক্ষিতে বলা।
শিল্পীর অধিকার ক্ষুণ্ণ করার কোন উদ্দেশ্য আমার নেই। তাই তার অধিকারের চর্চা আমার চোখে সঠিক মনে না হলে আমি বলতে পারি। জাতীয় বীরদের মানুষ নিজে যেভাবে দেখতে চায়, সেভাবে সাজাতে পারে, কিন্তু সেটা সমর্থনযোগ্য হবে এমন তো কোন কথা নেই। আজকে যদি কেউ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখকে চোখে সানগ্লাস আর মুখে সিগার পরিয়ে জন হ্যানিবল স্মিথ বানিয়ে আঁকে, আমি তাদের শৈল্পিক অধিকারবোধ কেড়ে নেবো না, কিন্তু সমর্থনও করবো না। কোন শিশু মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ভালোবাসার স্ট্যালোনকে দেখতে পেলে সে কোন জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝেও স্ট্যালোন খুঁজতে গিয়ে হতাশ হবে। ঘোড়াকে "গরুর মতো একটা প্রাণী" বলে চেনানোর তো কোন মানে হয় না। মিথ আর ইতিহাস যে আলাদা থাকে না, তারা যে একটা আরেকটার মধ্যে ঢুকে যায় এবং ক্রমাগত যাচ্ছে, এ কথা এতদিন পর নতুন করে বলারও অর্থ হয় না আসলে। কারণ ইতিহাসকে মিথ হিসেবে চালিয়ে দিয়ে অস্বীকার করার প্রবণতা অনেক বুলন্দ এখন, আর মিথকে ইতিহাসে ঢোকানোর চেষ্টায় অনেকে সক্রিয়।
সত্যি সেলুকাস্.................
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
একমত। বিকৃতি রোধের জন্য এসব বিজ্ঞাপন বন্ধ হওয়া উচিত।
**************************************
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
উদ্ধৃতি:
আমরা যা দেখি না, তা হচ্ছে অবচেতনে তাদের ভাবনা-স্বপ্নটুকু তারা যুদ্ধে যাবে, যুদ্ধে জিতবে, জিতে ফিরবে নিজের আঙিনাটুকুতে, নিজের স্ত্রীসন্তানপরিজনকে নিয়ে সন্ধ্যায় টেমির আলোতে বসে একটু ভাত খাবে একটু তরকারি দিয়ে। কারো কারো সেই স্বপ্ন সফল হয় তাদের অনুপস্থিতিতে। কেউ কেউ উপস্থিত থাকলেও আঙিনা মেলে না, পরিজনেরা মেলে না, কিংবা মেলে না ভাত আর তরকারি।
চোখের জল আটকাতে পারলাম না। চেষ্টাও করলাম না।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
ধিক্কার!!!
=============================
খুবই দরকারি পর্যবেক্ষণ। খুবই দরকারি।
জাতীয়তাবাদ মিথ চায়, নায়ক চায়। তার জন্য আসল ইতিহাসকে ঢাকা হয়, আনা হয় মেকি বীরদের মহড়া। কৃষক মুক্তিযোদ্ধাকে ঢেকে ফেলে শহুরে তরুণরা। জাতীয় মুক্তির যাবতীয় জটিলতাকে সরল রূপকথায় পরিণত করা হয়। আনা হয় কোনো এক হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার তত্ত্ব।
আমাদের দেশের শাসক মায় মধ্যবিত্ত শ্রেণী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বর্তমানকে সের দরে বিক্রি করে দিয়েছে। সেকারণে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এদের তেমন কোনো বড় কাজ নাই, এদের রাজনীতিতেও সেটা স্পষ্ট।
সুলতানের কৃষক মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে আঁকা। মুক্তির সাহস ও দাপট তিনি দেখেছেন তাদের জীবনে, কেবল গতরে নয়। শিল্প সম্ভাবনাকে আর ভেতরের শক্তিকে খোঁজে। আর বাস্তবে আমাদের সেটা খুঁজতে হবে তাদের চর্চায়, সংস্কৃতিতে বাস্তব কর্মকাণ্ডে। বিজ্ঞাপন বা সিনেমার 'মুক্তি'রা সত্যিকার মুক্তিযুদ্ধকে কখনোই স্পর্শ করে না। সেই সাহস তাদের থাকা সম্ভব নয়। পণ্যকে সমসয়ই দাহিকাগুণবর্জিত রাখতে হয়। তাই না?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
মধ্যবিত্তের জীবন ৭১ থেকে বিমুখ হয়েছে অনেক আগেই, বছরের পর বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে ৭১ নিয়ে উন্নাসিকতা দেখাতে দেখাতে কিছুটা তো অভিযোজন হবেই কিন্তু চিন্তার কথা নতুন প্রজন্মের অবস্থা। আমার বয়সের আশেপাশের ছেলেপেলেদের এত ভীতিকরভাবে মননশীলতাথেকে সরে যেতে দেখছি যে আমি বার বার ভাবতে বাধ্য হই "কিচ্ছু হবে না"। আর ৭১ কে পন্য বানানোর যে প্রতিযোগিতা সেল ফোন অপারেটররা শুরু করেছে সেটা আমাকে অসুস্থ করে দেয়। বই,শিল্প,বিজ্ঞানমনস্কতা থেকে তেপান্তরসম দুরত্বে অবস্থান করা এই ফাপা জেনারেশনের মেজরিটির কাছে জি এস এম সি ডি এম এর বিজ্ঞাপন গুলো আলাদা বিনোদন। আমি অনেককেই দেখেছি গানের মিউজিক ভিডিও বা মুভির মত বিজ্ঞাপন জমায়। এই রক্তচোষা ড্রাকুলা শ্রেনীর কর্পোরেট রা যদি ৭১ কে পন্য বানিয়ে আখের গোছাতে থাকে তখন অসহায় লাগে খুব।
সুলতানের 'শক্তিমান মানুষ' কে Rambo
শাহাবুদ্দীনের কিছু শিল্পকর্মের ক্ষিপ্রতাকে ঘোড়া
দিয়ে প্রকাশ করা যায় কি?
শিল্পী (হয়ত নামকরা কেউ হবেন) নতুন কিছু করতে গিয়ে অশ্বডিম্ব প্রসব করেছেন।
কিংবা তিনি কম্পুগেম খেলছিলেন, ভুলে গেমের একটা চরিত্র পেস্ট করে দিয়েছেন!
নদী
হিমু যে কি বলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ও রকম ছবি আঁকলে তারা রিক্সাওয়ালাদের মত, অফিসের পিয়নটা বা দেশের বাড়ি থেকে আসা ক্ষেত দিনমজুর স্টুপিডটার মত দেখতে হয়ে যাবে না? ধুর, তাহলে তো আমাদের কচি ছেলেমেয়েরা ঐ সব ক্ষেত লুকিং মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা করলে, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মনে করলে তারা সমস্থ ক্ষেতমজুর, দিনমজুর, রিক্সাওয়ালাদের ভালবেসে ফেলতে পারে। তাহলেই তো সর্বনাশ।
ব্যাপার টা খেয়াল করার জন্য ধন্যবাদ কিন্তু এটা শুধুই টিপ অব দি আইসবার্গ - সমস্যাটা অনেক গভীর।
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
ভালবাসার দাবীতে বাস্তবতাকে আড়াল করাটা সর্বক্ষেত্রে সমর্থনযোগ্য নয়।
(সত্য গোপন করা, আর মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেয়া প্রায় সমার্থক)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
সকালেই পড়েছিলাম পোস্টটা... মেজাজ এতোটাই খারাপ ছিলো যে ছাপার যোগ্য মন্তব্য করতে পারছিলাম না...
মনে রাখতে হবে এই ফোন কোম্পানিগুলোই এখন দেশের বিজ্ঞাপনের মূল শক্তি। তারাই বলে এবং বলতে পারে এবং বলার সাহস পায় "আমরা ছাড়া কে আর পারে দেশটাকে এমনভাবে ভালোবাসতে? ....... ফোন, দেশের কথা বলে"
আমাদের বিজয় দিবসের স্লোগান এখন তারা ঠিক করে দেয়, আমাদের আবেগ প্রকাশের ভঙ্গি তারা ঠিক করে দেয়...
শালার... বিরক্ত লাগে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অতি দরকারি পর্যবেক্ষণ।
অন্ধকারের উপর লাঠিপেটা করে লাভ নেই, আলোক জ্বালালেই অন্ধকার দূর হবে
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
- এরকম প্রকাশে হয়তো কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমার কাছে অশ্লীল লাগছে ছবিটা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একমত। এতগুলো কথার মধ্যে আমার মনের কথা একদম।
আদৌ কি পরিপাটি হয় কোনো ক্লেদ?ঋণ শুধু শরীরেরই, মন ঋণহীন??
এই কথাটা আমার বা তোর পক্ষে বলা সহজ, কারণ আমরা তাদের না পুছেই মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করে নিতে পেরেছি। আমার উদ্বেগ তো আমাদের নিয়ে নয়। এই ছোট ছোট জিনিসগুলি মিলে একটা বড় ছবি তৈরি করে, যা ভুল। কখনো বাচ্চাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছবি আঁকতে দেখলে টের পাবি, সমস্যাটা কোথায়। আমরা ব্যাপারটা নিয়ে হালকা হয়ে থাকতে পারি, যে এটা আদৌ কোন সমস্যা নয়, কিন্তু ছাগু জেনারেশনকে চোখের সামনে দেখার পর অনুভব করি, এটা বাস্তবিক একটা সমস্যা। মুক্তিযোদ্ধাকে সিক্সপ্যাক বীরপুরুষ হিসেবে দেখানোর অর্থ তাকে এলিয়েনেট করা, তাকে আকাশ থেকে নাজিল হওয়া সুপারপাওয়ার বানানো, এবং মুক্তিযুদ্ধের যে স্পিরিট, সশস্ত্র শক্তিশালী শত্রুর বিরুদ্ধে অগণিত সাধারণ মানুষের সমন্বিত প্রতিরোধ, তা নষ্ট করা। ষড়যন্ত্র করে এমন করা হচ্ছে, এমনটা আমি বলছি না, কিন্তু এ কাজের পেছনে যে চিন্তার ধারাটি কাজ করছে, আমি সেটিকে সঠিক বলে মনে করছি না। মৌলবাদের সাথে এর পার্থক্য হচ্ছে, আমরা গিয়ে এর সাথে সংশ্লিষ্ট লোকটিকে কুপিয়ে খুন করছি না।
তোর মনে আছে কি না জানি না, জামাত আয়োজিত "মুক্তিযোদ্ধা পুনর্মিলনী"তে (যেখানে মুক্তিযোদ্ধাকে এক শিবিরের কুত্তার বাচ্চা লাথি মেরেছিলো এবং নির্বিঘ্নে পার পেয়ে গিয়েছিলো) কথিত জামাতি "মুক্তিযোদ্ধা"রা "নারায়ে তাকবীর" বলে হুঙ্কার দিয়েছিলো। এই ছবিগুলি হচ্ছে ঐ ধরনের বিকৃতি। এই ছোট ছোট জিনিসগুলি পরিবর্তন করে দিতে পারলে, এবং কেউ প্রতিবাদ না করলে আজ থেকে দশ বছর পর যে বাচ্চাটার বয়স দশ বছর, সে বিশ্বাস করবে, মুক্তিযুদ্ধ করেছে শুধু পালোয়ান টারজানের মতো লোকজন, যারা নারায়ে তাকবীর বলে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো।
ছবিটাতে কিন্তু স্পষ্টভাবেই একজন সিক্সপ্যাকের সাথে একজন গেঞ্জি পরা এবং একজন শার্ট পরা মুক্তিযোদ্ধাও আছে। আমার আদৌ মনে হচ্ছে না এখানে কাউকেই এলিয়েনেট করা হচ্ছে। ছবিটা উন্নতমানের কি"না সে তর্ক ভিন্ন, কিন্তু ছবির ব্যবহারে কোন দোষ দেখতে পাচ্ছিনা! চিন্তার মৌলবাদ ও মৌলবাদ। সব মৌলবাদীরাই মানুষ কুপিয়ে খুন করে না।
আদৌ কি পরিপাটি হয় কোনো ক্লেদ?ঋণ শুধু শরীরেরই, মন ঋণহীন??
আমি আসলে আমার পোস্টের বক্তব্য খুব স্পষ্ট করে বোঝাতে পারতাম, যদি আমার দেখা কিছু শিশুর আঁকা মুক্তিযুদ্ধের ছবি স্ক্যান করে পোস্টে যোগ করতে পারতাম। ফলে আমার ক্ষোভের একটি দিক ঠিক বাক্যে প্রস্ফূট হচ্ছে না। আর কিছু মানুষ ছবি না দেখালে কিছুই বোঝেন না।
আমি নিশ্চিত যে আমাদের কাছে এই ছবিটি কোন সমস্যা নয়। আপনি সম্ভবত শিশু নন, আমার মতোই প্রাপ্তবয়স্ক। সম্ভাব্য সমস্যাটি এই ২০০৯ সালে বেড়ে উঠছে এমন শিশুদের নিয়ে, বলা যেতে পারে শহুরে মধ্যবিত্ত শিশুদের নিয়ে। আপনি যদি মনে করেন আমার ক্ষোভ আর উদ্বেগ মৌলবাদের সীমা স্পর্শ বা অতিক্রম করেছে, তাহলেও আমি আপত্তি দেখি না, ওকে প্রতিমৌলবাদ হিসেবে ধরে নিন।
প্রাপ্তবয়স্ক আমরা সবাই। শিশুরা শুধুমাত্র এই খালি গায়ের পেশিবহুল ছবিটিই দেখবে, কিন্তু ঠিক তার পাশের লোকগুলিকে দেখবে না, শিশুমানসের পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনায় আপনার এই বক্তব্যটি আমার সরলীকরণ মনে হয়। কারণ আমি শিশুদের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার ওপর কাজ করেছি এবং তারা (শহুরে মধ্যবিত্ত শিশুরা) শুধুমাত্র গ্রামীণ ফোনের এই অ্যাড দেখেই এলিয়েনেটেড মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি ভুল ধারণা তৈরি করবে, এটি একটি সরলীকরণ। ব্যবসার উদ্দেশ্যে গ্রামীণের মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমি একমত এবং আপনার ক্ষোভের জায়গাটা বুঝতে পারি।
কিন্তু এই বর্ণনাটি উচ্চকিত, সেখানে দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ আছে, তাই করছি। শিশুরা পুরো ছবিটাই দেখবে এবং তাদেরকে কোনো ধারণা তৈরি করাতে হলে পুরো ছবিটাই ব্যবহার করা লাগবে, আরো গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে ছবিটাকে নিয়ে এতো কথা বলা হয়েছে এই রকম ছবি হরহামেশা অনেক বইয়ের অলংকরণেও দেখতে পাওয়া যায়, তাহলে কি সেগুলোও তুলে দিতে হবে?এই রকম করলে হয়তো অরূপের কথাটাই ঠিক হবে, যে কোনো কিছুতেই আপত্তিকর কিছু পাওয়া যেতে পারে। সেইজন্যই দ্বিমত প্রকাশ করছি, ধন্যবাদ।
আপনার সময় ও সুযোগ হলে এই ছবিটি নিয়ে একটা পরীক্ষা করে দেখবেন কি? বাচ্চাদের ছবিটা দেখতে দিন, কয়েকদিন বাদে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার ছবি আঁকতে বলুন। তারপর তাদের আঁকা ছবিগুলোর স্যালিয়েন্ট ফীচারসগুলো নিয়ে দেখুন। এ নিয়ে একটা ইন্টারেস্টিং পোস্টও হতে পারে। আমি আপনার মতো গুছিয়ে কাজ করিনি, কিন্তু একটা লম্বা সময় ধরে বেশ কয়েকটা বাচ্চাকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছবি আঁকতে দেখেছি, এবং সেগুলোর প্রায় প্রত্যেকটিতেই মুক্তিযোদ্ধারা অতিমানব এবং বিকট রকমের সশস্ত্র।
যদি বইয়ের অলঙ্করণে এই বিজ্ঞাপনচিত্রের মতো কিছু থাকে, আমি সেগুলো সরিয়ে সাধারণ মানুষের ছবি দেবার দাবি করবো।
মুক্তিযুদ্ধ এমন একটা অসম্ভব সংগ্রামের উদাহরণ, যার তুল্য ঘটনা পৃথিবীতে কমই আছে। মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য কতগুলি লবি কীরকম সক্রিয়, আপনি হয়তো জানেন। এই রোগাপটকা মানুষগুলি যুদ্ধ করে একটি প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর পাঁচটি রেজিমেন্টকে পর্যুদস্ত করেছে, এ কথা ভুলিয়ে দিতে চায় সে সময়ের প্রত্যক্ষ সাক্ষী জ্ঞানপাপীরাই। আর এই আটত্রিশ বছর পরের শিশুরা তো ... শিশু! ট্রুথ যখন স্ট্রেইঞ্জার দ্যান ফিকশন, তখন কিছু স্ট্রেইঞ্জ স্টেপস তো নিতেই হবে তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।
মুক্তিযোদ্ধাকে পেশীবহুল কোন নায়ক হিসেবে দেখতে আমার খারাপ লাগতো না
যদি তার সাধারণ রুপকে একই সাথে দেখতে পেতাম।
এই ছবিটাকেই দেখুন s-s
এখানে পেছনে সাদামাটা চেহারার দুজন যোদ্ধাকে ঠিকই দেখা যাচ্ছে
কিন্তু হাইলাইট করা হচ্ছে একজন দীর্ঘদেহী সুপুরুষকে।
আমরা যখন পন্য বিক্রির কথা চিন্তা করি
তখন আমাদের মাথায় থাকে সহজে মনোযোগ আকর্ষনের চেষ্টা।
এই ছবিটাও সেরকম।
একজন দীর্ঘাঙ্গ যুবক যার চেহারায় আবার একধরনের আভিজাত্যও আছে
তিনিই নায়কোচিত ভঙ্গি নিয়ে শিশু কেন আমারও মনোযোগ হরন করছেন।
আর এই ছবিটা একা হলে হয়তো খুব বেশী সমস্যা হতোনা।
যন্ত্রনা হলো এটা পার্ট অফ আ সিরিজ।
যেই সিরিজ কাজ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে জণমানুষের কাছ থেকে তুলে এনে
একধরনের হিরোইজম এনকোটেড ট্যাবলেট হিসেবে খাওয়ানো।
আশ্চর্য ব্যাপার কী জানেন s-s
আমি আর আমার ছোটভাই ছোট বেলায় মুক্তিযোদ্ধার ছবি আঁকার সময়
যোদ্ধার মাথায় একটা গামছা দিতাম। গ্রাম্য গামছা।
না না। আমাদের নিজেদের উদ্ভাবনি শক্তি দিয়ে নয়।
শিক্ষক শিখিয়েছিলেন।
আমার বোনের ছেলেমেয়েরা দেয়না।
তাদের আকার্ হাত খুব ভালো।
তারা অনেক স্মার্ট মুক্তিযোদ্ধা আকে।
কে জানে।
হয়তো আমার আকার প্রতিভা কম ছিল কিংবা আমার শিক্ষকের
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ভেঙে ফেলা বা পুড়িয়ে ফেলার সাজেশনগুলি কিন্তু আমার কাছ থেকে আসছে না ।
ভাস্কর্য বা চিত্রকর্মের সাথে এই বিজ্ঞাপনচিত্রের পার্থক্যটুকু কি তোর কাছে পরিষ্কার, না কি শুধুই আমরা তর্কের জন্য তর্ক করছি? বার বার সুলতানের কথা আসছে। সুলতানের কাজ পৃথিবী সম্পর্কে একজন মানুষের নিজস্ব প্রকাশ ভঙ্গি। আমরা তো তাহলে সালভাদর দালির মতো করেও মুক্তিযোদ্ধাদের আঁকতে পারি। পিকাসোর পিঙ্ক পিরিয়ডের ভঙ্গি নকল করেও আঁকতে পারি। তারপর বলতে পারি, দালি আর পিকাসোও তো ওভাবে এঁকেছেন, কাজেই আমারটাও হালাল।
একটা ভাস্কর্য শুধু প্রতিকৃতি নয়, একটা ছবিও শুধু রেখা আর রং নয়, এর মধ্যে শিল্পীর একটা বক্তব্য আছে। অপরাজেয় বাংলার সামনে একটা বাচ্চাকে ছেড়ে দিলে সে কিছুই বুঝবে না, ওটা যে স্বৈর আক্রমণের বিরুদ্ধে ছাত্রদের প্রতিরোধের প্রতীক, সেটাও সে বুঝবে না। সে দেখবে শুধু প্রকান্ড কিছু মানুষ। অপরাজেয় বাংলার ওপরে বড়বড় করে লেখা নেই, আসুন স্বাধীনতার চেতনা ছড়িয়ে দিই সবখানে। ফলে কোন শিশুকে অপরাজেয় বাংলা বোঝাতে গেলে তার সঙ্গে এমন কাউকে যেতে হবে যে খানিকটা হলেও আলোকপাত করতে পারবে এর ওপর। সুলতানের ছবি তো শুধু মুক্তিযুদ্ধের ছবি নয়, মানুষের জীবনাচরণের ছবি। কেন ওখানে মানুষগুলো এত প্রকান্ড, এত স্ফূরিত-বিচ্ছুরিত পেশীময়, সেটা একটি শিশুকে বোঝাতে হবে এমন কাউকে যে ছবি বোঝে। সুলতানের ছবির ওপর লাল কালিতে বড় বড় করে বলা নেই কোন কিছু। এই বিজ্ঞাপনচিত্রটিতে আছে। একটি শিশু এটি দেখে রিলেইট করতে পারবে, এটি একটি মুক্তিযোদ্ধার ছবি, মুক্তিযোদ্ধারা এমন।
একাত্তরের দিনগুলি জাহানারা ইমামের চোখে দেখা মুক্তিযুদ্ধের ছবি। সেখানে যদি বলা হতো, রুমি "নারায়ে তাকবীর" বলে অপারেশনে নামতো, তাহলে ব্যাপারটা যেমন হতো, এই ছবিটি সেরকম। স্পেসিফিক উদাহরণ আর জেনারেল উদাহরণের কি তুলনা চলে?
বিষয়টা ছোট, কিন্তু এগুলোই কিউমুলেট করে বড় হয়। ১৪ই অগাস্ট বাড়ির ছাদে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ায় যারা, তারা এভাবেই ছাড় পায়। ছোট ভেবে আমরা পাশ কাটিয়ে চলে গিয়ে বড় বিষয়ের অপেক্ষা করতে থাকি। বড় বিষয় যখন সামনে আসে তখন কিছু করার থাকে না।
কিছু কিছু ব্যাপারে সত্যের কাছাকাছি থাকাই কাম্য, মিথের নামে মিথ্যা আমদানী করা নয়।
ভিডিওগুলা দেখে একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলাম। কোন মানুষগুলো মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলো চেহারা দেখেই বুঝা যায়। সমাজে এই মানুষগুলাই এখনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। তেলতেলে মুখায়বয়বের ভাঁজকরা পাঞ্জাবিপরাদের উপস্থিতি একেবারেই সীমিত। দাড়িওয়ালা মুক্তিযোদ্ধা মনে করিয়ে দেয় ইসলাম রক্ষার নামে ৩০ লাখ মানুষ হত্যার বটিকা মানুষ তখনো খায় নি, যেমন এখনো খায় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এই লাইনে
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অরূপের কথায় কিছু যুক্তি আছে। তবে আমার অবজেকশন অন্য জায়গায়। মোবাইল কম্পানীর কাছ থেকে কেন এইসব বাণি্জ্যিক দেশপ্রেম শিখতে হয় আজকাল? ওদের ব্যবসা তো শুধু মোবাইল আর সিম বেঁচায় সীমিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু ইন্ডিয়ান কর্পোরেটদের দেখাদেখি এরা এখন দেশপ্রেমও বেঁচে - ফেব্রুয়ারী-মার্চ-ডিসেম্বরে। ওরাই এজেন্ডা বানায় দেয়। ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় ওরাই 'বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম' নামের কলংকজনক হারুপাট্টিদের নিয়ে বিরাট বাজেটের এড বানায়। সেটা দেখে সবাই আপ্লুত হয়, ভূ্ত থেকে ভূ্তে চালান হয়, ইন্টারনেট সয়লাব হয়।
অসহ্য লাগে পুরো ব্যাপারটা। ব্যবসা করবি কর, কিন্তু কি ভাল বাসবো আর কি বাসবো না সেটার তালিম দিস না।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
পান্থ ভাইয়া কই ? আরেকজন বিশেষজ্ঞের অভিমত শুনতে পারতাম তাহলে আমরা। নজু ভাইয়ের মন্তব্যটা পড়ে খারাপই লাগল। কিছু কিছু কাজ দেখলে মনেহয় জাতি সত্যিই মনেহয় দিনে দিনে বুদ্ধিহীন হয়ে পড়ছে।
----------------------------------------
--------------------------------------------------------
এই লেখা পড়তে পড়তে একটা হা করা খবর পেলাম।
হয়তো লেখার বিষয়ের একটু বাইরে যাবে
আব্দুল গাফফার চৌধুরী এবং আরো কজন
বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে একটা সিনেমা করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
যেখানে বঙ্গবন্ধুর চরিত্র চিত্রায়ন করবেন অমিতাভ বচ্চন
আর উনার এক মেয়ের চরিত্র করবেন ঐশ্বরিয়া।
কী বলবো একে? শিল্প?
বঙ্গবন্ধু আর তার পরিবারের চরিত্র করার মতো
অভিনেতা নেই বাংলাদেশে?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
... কী কমু ...
রানা আমি এই খবরটা পাই মাস চারেক আগে এক বন্ধুর কাছে। কিঞিৎ ভীত (কারন বঙ্গবন্ধুকে অন্য কারও চেহারায় দেখতে চাইনা) হয়ে যাবতীয় বলিউডি ফোরামে/ওয়েবসাইটে গুতোগুতি করে জানলাম যে এটা আসলে উড়ো খবর। অমিতাভ নিজে সেটা অস্বীকার করেছেন যখন গুজব তুঙ্গে ছিল।
ইশ।
কীযে ভালো হয় উড়ো খবর হলে।
কিন্তু আপু উদীচির একজন কর্মী জানিয়েছেন
লন্ডনের উদীচি শাখার উচ্চপদস্থ যিনি এই প্রজেক্টের একজন
গেছেন ঢাকায় কিছু ডিটেইল কাজ করতে।
তারপর যাবেন বোম্বেতে।
ফাইন্যান্স এর ব্যাপারে অমিতাভ ভাইজানের সাথে কথা বলতে।
তারপরো আপু খুব আশা করি আপনার কথা সত্যি হোক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা লিংকটা কিন্তু মে ২০০৮ এর ।
এই ঘটনার পরে গঙ্গা যমুনা পদ্মা দিয়ে অনেক পানি বয়ে গেছে ।
এখন তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে অমিতাভ ভাইজানের অস্বীকার ফাইন্যান্সের সাথে জড়িত।
গোলাম আযম চরিত্রে আমি একটি লেজকাটা শুয়োরকে দেখতে চাই
যদিও আমার উচিত না শুয়োর সম্প্রদায়কে এভাবে অপমান করা
হিমু অসাধারন পর্যবেক্ষণ।
সবাই এভাবে খুটিয়ে দেখে কি না জানা নেই। আপনি যেহেতূ দেখেই ফেললেন, তাই ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
অনেকের মতোন আমি এটাকে বিকৃতি বলতে নারাজ; বরং এটাকে অজ্ঞতা বলাই বেশী সমীচীন হবে বলে বোধ করি।
সবাই আমরা সচেতন হলে এইরকম বিজ্ঞাপনগুলোও একসময় বদলে যাবে।
আমাদের বিজ্ঞাপন আজকে একটা পর্যায়ে এসেছে বলেই না হিমু এরকম সমালোচনা করলেন। হেনোলাক্স নিয়ে কেউ কিন্তু সমালোচনা করে না, ফান করেন। কারণ সমালোচনা পাবার জন্যও যোগ্যতা লাগে।
সুতরাং, সামনে আরোও এগুবে এই শিল্প এটা আশা করা যেতেই পারে।
আরেফীন
মুক্তিযুদ্ধ করেছে বাংলাদেশের জনগণ। শুধু জনগণ না লড়াই করেছে মুখ্যত শ্রমজীবি মানুষ। শ্রমজীবি মানুষের সংগ্রামের এই ইতিহাসকে ধামাচাপা দেবার রাজনৈতিক প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ছিনতাইকারীদের ছিল। একটা সংগ্রামের সাংস্কৃতিক প্রতিফলন ইতিহাসে তাঁর দার্শনিক পরিচয়কে ধারণ করে। মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগের যুদ্ধ না। মুক্তিযুদ্ধ শেকড়হীন মধ্যবিত্তের যুদ্ধ না। মুক্তিযুদ্ধ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারদের যুদ্ধ না। ১৯৭১ সালে লড়াই করেছে বাংলাদেশের জনগণ। একেবারে শাস্ত্রীয় অর্থে গণযুদ্ধ।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সব পইড়া একটা কথাই বলতে চাই যে যাই হোক, পেশী আকনেরও তো একটা সিস্টেম আছে! ছবি দেইখা তো মনে হইতাছে শোয়ার্জেনিগারও ফেইল!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বিজ্ঞাপন একটা ইল্যুশনের জগত সৃষ্টি করে।
দূর্দান্ত পর্যবেক্ষণের জন্য হিমু ভাইকে জাঝা।
নতুন মন্তব্য করুন