ভাস্কর্য ও স্থাপত্যকীর্তি প্রস্তাব

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৪/২০০৯ - ৭:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাণ্ডবদার এই পোস্টটি পড়ে একটি চিন্তার উদয় হয়েছিলো মাথায়, মন্তব্যে তা শেয়ারও করেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে এতে আরো মাংস যোগ করে পোস্ট আকারে শেয়ার করাই ভালো।

আমাদের দেশে ভাস্কর্য ও স্থাপত্যকীর্তিগুলোর মধ্যে পর্যটক আকর্ষণী শক্তি অর্জন করতে পেরেছে শহীদ মিনার আর শহীদ স্মৃতিসৌধ। এর মধ্যে শহীদ মিনার কেবল একটি ভাস্কর্য নয়, এটির প্রতীকমূল্য অপরিসীম, এটি সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞান হিসেবে স্বীকৃত। দূরদেশেও বাংলাদেশীরা সংখ্যা ও সামর্থ্যে গুরুত্ব অর্জন করতে পারলে নির্মাণ করে একটি শহীদ মিনার। আর সারা দেশ জুড়ে শহীদ মিনার বিস্তৃত হলেও এর মূল্যায়ন দিবসকেন্দ্রিক।

আমি প্রস্তাব করতে চাই পর্যটক আকর্ষণ করার মতো একটি ভাস্কর্য ও স্থাপত্যকীর্তির, যা

  • ঢাকা থেকে দূরে হবে (ঢাকা শহরে আর একটিও মানুষ আকর্ষণ করার মতো নির্মাণকর্মের প্রয়োজন নেই। শহরটি মানুষ ও অমানুষের চাপে কাঁপছে। একে গণধর্ষণের হাত থেকে নিস্তার দিয়ে এর ওপর থেকে মানুষ ও অমানুষের ভিড় দূর করা জরুরি)।

  • সারা বছর পর্যটনের জন্যে উপযোগী হবে। বিশেষ বিশেষ দিবসের জন্যেও এর কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে।

  • এটি হতে হবে আলোকচিত্র-আবেদনসম্পন্ন। এর সামনে পর্যটকদের ছবি তোলার আগ্রহ হতে হবে তীব্র।

এগারোটি বালিঘড়ি সম্পন্ন একটি বিস্তৃত ভাস্কর্যখচিত স্থাপত্যকীর্তির প্রস্তাব করছি আমি। এই বালিঘড়িগুলি হবে একটি বিশাল কলামের গায়ে প্রোথিত, কলামটি সজ্জিত হবে বিভিন্ন থিমের ভাস্কর্যে। কলামগুলি থাকবে একটি চত্বরের ওপর। দশটি বালিঘড়ি নির্দেশ করবে দশক, একটি নির্দেশ করবে এক বছর। প্রতি নববর্ষে ভোরে সূর্যোদয়ের পর একবাৎসরিক বালিঘড়িটির সাতরঙ বিশিষ্ট দানাগুলোর শেষটিও নিচে নেমে আসবে, সেদিন একে ঘিরে পালিত হবে উৎসব। পরদিন ভোরে বালিঘড়িটিকে উল্টে দেয়া হবে, তাই একে ৩৬৪ দিনের আয়ু নিয়ে তৈরি করতে হবে।

দশবাৎসরিক বালিঘড়িগুলির দানা হবে ভিন্ন ও একক রঙের, এদের পূর্তি ঘিরে পালিত হবে দশকবরণ উৎসব। সূর্যের আলো এই বালিঘড়িগুলিকে পূর্ণভাবে আলোকিত করবে।

এই গোটা কীর্তিকে ঘিরে থাকবে বিভিন্ন রঙের ফুলের কেয়ারি ও সরোবর। বাংলার ঋতুভিত্তিক জল ও স্থলপুষ্পের একটি বিস্তৃত প্রোগ্রাম অনুসৃত হবে বছর ভর, ফুলের বাগানের আকৃতি ও ফুলের প্রকৃতি নিসর্গনকশাবিদ ও উদ্যানবিদেরা এক সাথে বসে ঠিক করবেন। শরতের প্রথম দিনে এই কমপ্লেক্স থেকে শুরু হবে বেলুন উৎসব, প্রকান্ড গ্যাসভর্তি রঙিন বেলুনে চড়ে সেদিন পর্যটকেরা ভ্রমণ করবেন। বছরের যে কোন সময় পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থার জন্যে গোটা কম্পলেক্স থেকে কিছুদূরে গড়ে উঠবে ডরমিটরি ও রেস্তোরাঁ।

এই কেন্দ্রটি গড়ে উঠতে পারে বগুড়া বা চাঁপাইনবাবগঞ্জে, কিংবা মঙ্গাআক্রান্ত উত্তরবঙ্গের কোন উঁচু জায়গায়, যেখানে বন্যার পানি পৌঁছায় না। শারদোৎসবকে জনপ্রিয় করতে পারলে, ফসলশূন্য কার্তিকে পর্যটনই হতে পারে স্থানীয়দের আয়সংস্থানের একটি বড় উৎস।

আপনাদের মতামত জানান। ধন্যবাদ।


মন্তব্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ইউরোপীয় পর্যটকদের একটা বিরাট অংশ যায় থাইল্যান্ড। অবশ্য বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের কিছু কিছু ফ্যাসিলিটি দেওয়া সম্ভব না। পর্যটনের প্ল্যান অঞ্চলকেন্দ্রিক না হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারে। যোগাযোগ ব্যবস্থা যা আছে, তাকে একটু ঘসামাজা করলেই বিভিন্ন প্যাকেজ ট্যুরের বন্দোবস্ত করা যায়।

থিম বিষয়ে, প্রত্যেক এলাকারই কিছু প্রচলিত গল্প থাকে, নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে, এগুলোকে ফুটিয়ে তোলে এমন স্থাপত্য বানানো যেতে পারে। আর পুরোনো স্থাপত্যকীর্তিগুলোর সংরক্ষণ দরকার তারও আগে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

হিমু যে স্থাপত্য পরিকল্পনার কথা বলেছে তা অভিনব ও আকর্ষণীয়।

এখন এর জন্য দরকার একটা প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক কিছু বিনিয়োগের মাধ্যমে এই স্থাপত্য ধারণাটির একটা মডেল ও প্রজেক্ট পেপার তৈরি করতে হবে।
তারপর পর্যটন মন্ত্রণালয়ে লবিং করে এই স্থাপত্যের বিষয়ে নীতিগত সমর্থন আদায় করতে হবে। তারা জমি অধিগ্রহণে সাহায্য করবে।
এই পর্যায়ে বেসরকারী উদ্যোক্তা জোগাড় করতে হবে। ফ্যান্টাসি কিংডমের কনকর্ড, বা নন্দন পার্কের উদ্যোক্তা, বা প্রবাসী ধনপতি থেকে শুরু করে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাউকে উদ্বুদ্ধ করানো যেতে পারে। এতে এটা বাস্তবায়ন সহজ হবে।

প্রথমে প্রয়োজন একজন কারো মাসখানেক সময় ব্যয় করে একটা প্রজেক্ট কনসেপ্ট পেপার তৈরি করা। এটা শুধু একটা সামাজিক উদ্যোগ নয়, এটা একটা ব্যবসায়িক উদ্যোগও। সুতরাং এটাকে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এগিয়ে নেয়ার সুবিধা রয়েছে ১০০ ভাগ।

-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হিমু এর ছবি
তানভীর এর ছবি

পর্যটক আকৃষ্ট করতে চাইলে সিএন টাওয়ার বা টাওয়ার অফ আমেরিকার মত 'বাংলাদেশ স্তম্ভ' জাতীয় কিছু বানালে বাঙালি ওইটার উপর উঠতে ছুটে ছুটে আসত। চোখ টিপি

auto

হিমু এর ছবি

এটা তৈরি করা যেতে পারে জয়দেবপুর বা নরসিংদীতে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

চিটাগাং-এ কিন্তু একটা টাওয়ার আছে। সেখানে রিভলভিং রেস্টুরেন্টও আছে। ভালোই জমজমাট। তবে সব দেশি পর্যটক।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হিমু এর ছবি

দিনকাল যা পড়েছে, বিদেশ থেকে পর্যটক আসার আশা বাদ দিয়ে দেশের পর্যটকদের থাইল্যান্ড-মালেশিয়া-সিঙ্গাপুর যাওয়া থেকে বিরত করে দেশেই পয়সা খরচ করার পদ্ধতি বার করা জরুরি হো হো হো



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

বজলুর রহমান এর ছবি

বালিঘড়ির ব্যাপারে আমার কিঞ্চিৎ সন্দেহ আছে। ঠিক এক বছরে (লীপ ইয়ারে?) শেষ দানা (বালি হোমোজিনিয়াস নয়) নেমে যাবে, এমন ডিজাইনের নিশ্চয়তা দেয়া অসম্ভব। আর এদেশের আম-জনতার মধ্যে বিজ্ঞান সম্বন্ধে এমন ভীতি আছে যে, এরকম (রঙ-বেরঙ্গের হলেও) কিছু দেখতে উত্তর বঙ্গে ভীড় জমাবে, এমনটা বোধ হয় ঘটবে না। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে ৩১শে ডিসেম্বর রাত বারোটায় অনেক ইলেক্ট্রনিক কাঠখড় পুড়িয়ে একটা গোলক নামানো হয়।
পিরামিড বা স্টোনহেঞ্জেও মজার বৈজ্ঞানিক উপাদান আছে। কিন্তু এদের মূল আকর্ষণ ইতিহাস।
তবে একটা কিছু তৈরী করা উচিত ঢাকার এবং বড় শহরগুলোর বাইরে ( রাস্তার সুব্যবসস্থাসুদ্ধ) মানুষের সারা বছর আনন্দের জন্য , এ বিষয়ে কারো দ্বিমত থাকতে পারে না।

হিমু এর ছবি

রঙিন প্লাস্টিকের দানা ব্যবহার করা যেতে পারে। রঙিন বালি যোগাড় বা প্রস্তুত করা একটা পেইন হয়ে দাঁড়াবে। বালিঘড়িগুলি দেখে কেউ হাতঘড়ি ঠিক করে নেবে, এমন নিখুঁত হবার প্রয়োজনও নেই। লীপ ইয়ারে বালিঘড়ি একদিন পর উল্টে নিলেই কিচ্ছা খতম হাসি

বালিঘড়িগুলির আকর্ষণ হবে আসলে অন্যরকম। ধরুন আপনি এখন কুড়ি বছরের তরুণ, আর এখন ২০১৮ সাল। আপনি দ্বিতীয় কলামের সামনে (যেটার "বালি"র রং কমলা) দাঁড়িয়ে ছবি তুলবেন ইয়ারদোস্তসহ। চল্লিশ বছর পর, ২০৫৮ সালে আপনি নাতিকে কোলে নিয়ে ছবি তুলবেন ষষ্ঠ কলামের সামনে, যেটার "বালি"র রং বেগুনি।

আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী এমন কোন কিছু, যাকে ঘিরে নতুন একটি উৎসব ঢাকার বাইরে চালু করা সম্ভব। নববর্ষ, শারদোৎসব ছাড়াও বাকি বছরের জন্যে আকর্ষণ হিসেবে বিস্তৃত ফুলের কার্পেট করার প্রস্তাব করেছি। কয়কেনহফ বাগানের মতো একটা কিছু করা খুব সহজ হয়তো নয়, কিন্তু চেষ্টা করে দেখা যায়। বড় বড় কদাকার মার্কেট বানিয়ে ঢাকা শহরটা ভর্তি করে দেয়ার মতো উদ্যোক্তা যদি থাকে, তাহলে এরকম কিছুর উদ্যোক্তাও থাকা উচিত।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

তানভীর এর ছবি

চিটাগাং টাওয়ারের ছবি খুঁজে পেলাম। তবে দেখে মনে হচ্ছে এর উচ্চতা বেশি না। কেউ কি জানাতে পারেন এর উচ্চতা কত?

auto

auto

রণদীপম বসু এর ছবি

দারুণ আইডিয়া...! আমরা স্বপ্ন দেখতে জানিনা বলেই হয়তো আকর্ষণীয় কিছু তৈরি করতে পারি না, সৃজন করতে পারি না। আসলে এ বিষয়গুলোর জন্য আমাদের একটা স্বপ্ন-প্রজন্ম দরকার। এবং আমরা নিজেরাই তো সেই স্বপ্ন-প্রজন্ম হয়ে ওঠতে পারি নির্দ্বিধায় !
আসুন আমরা স্বপ্ন দেখতে শিখি, স্বপ্ন বুনতে শিখি। তাহলে একদিন ঠিকই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। মানুষের স্বপ্ন কখনোই বিফল হয় নি.....হবেও না....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

স্বপ্নদীনতার অবসান-ই কাম্য।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সহমত হিমু এবং বলাই দু'জনের প্রস্তাবের সাথেই। বিদ্যমান স্থাপত্যগুলো শুধু সংরক্ষণ করলেই চলবে না। সেগুলোকে পর্যটন স্পটের সুবিধাসম্পন্ন করতে হবে। আরো দরকার হবে এর প্রচারণা। ইন্টারনেটে তথ্য, ছবি, বুকিং সুবিধাতো থাকতেই হবে তার সাথে পর্যটন সেবার জন্য পর্যটকরা যেসব প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হন তাদের কাছেও এর বিস্তারিত থাকতে হবে। আমাদের দেশে এসব জিনিষ সাধারণত বিনিপয়সায় দেখতে পাওয়া যায়। এই ব্যবস্থাটির পরিবর্তন হওয়া দরকার। প্রবেশমূল্য রাখলে অবাধ প্রবেশ যেমন নিয়ন্ত্রন করা যায় আবার প্রাপ্ত আয় থেকে কিছুটা ব্যয়ও নির্বাহ করা যায়।

ঢাকার বাইরে স্থাপণার জন্য আগেই একমত পোষন করেছি। তবে এধরণের কাজে সদাশয় সরকারের সংশ্লিষ্টতা না থাকাই ভাল। তারা আরো জরুরী অনেক কাজ করছেন, তাদের সেগুলো করতে দিন। বেসরকারী উদ্যোগ না নিলে আমাদের যুগটা "ভিত্তিপ্রস্তর যুগ" বা "চুক্তি যুগ"-এ পরিণত হতে পারে।

সব উপজেলাতেই কোন না কোন বিখ্যাত ব্যক্তির জন্ম হয়েছে অথবা বাসস্থান আছে। সেগুলো ঘিরে অমন ভাস্কর্যও হতে পারে। সব উপজেলাতে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবল প্রতিরোধের যুদ্ধক্ষেত্র আছে, আছে পাকিস্তানীদের বানানো জল্লাদখানা। সেগুলো ঘিরেও নান্দনিক ভাস্কর্য হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের এক ধরণের ইতিহাস এভাবেও লিখিত হতে পারে।

সব জেলাকে ঘিরেই কোন না কোন মিথ বা উপকথা প্রচলিত আছে। উপকথার সেসব চরিত্র বা গল্প নিয়েও ভাস্কর্য বা স্থাপণা হতে পারে। অন্য সব দেশে অমন ভাস্কর্য দেখার সুযোগ আমাদের অনেকেরই হয়েছে।

মোটকথা শিল্পকে সারা দেশে মূর্ত উপায়ে ছড়িয়ে দিতে না পারলে দেশের বেশিরভাগ মানুষের নান্দনিক চেতনাতে ফাঁক থেকে যাবে। আমি মনে করি না "শিল্প শিল্পেরই জন্য" অথবা আর্থিক মূল্যায়ণ না হলে শিল্পীর অবমাননা হয়। শিল্প মানুষ দ্বারা, মানুষকে নিয়ে, মানুষের জন্য সৃষ্ট। শিল্পকে তাই দেশের মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে।

সচলে প্রায়ই অনেক ভালো ভালো উদ্যোগের কথা আলোচিত হয়। কিন্তু সচলদের প্রায় সবাই নানা রকম সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ। তাই চাইলেও সেসব উদ্যোগের অধিকাংশ আর আলোর মুখ দেখতে পায় না। সদিচ্ছা, স্বপ্ন আর আন্তরিকতাগুলো এভাবে শুকিয়ে যায়। তবু আসুন আমরা আলোচনা করি, পরিকল্পনা করি। কে জানে হয়তো আমাদের মধ্যেই এমন কেউ আছেন যিনি সত্যি সত্যি একদিন কাজটি করে ফেলতে পারবেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কালো কাক এর ছবি

দারুণ তো আইডিয়াটা !!!! কিন্তু এই পাতায়ই মরে গেলো সব ? ! মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।