শাহাদুজ্জামান বলেছেন,
ইস্টার দ্বীপের ছবি যখন প্রথম দেখি তখন থেকেই কৌতুহলী হয়ে উঠেছি দ্বীপটির ব্যাপারে। জনমানুষ নেই, খাঁ খাঁ একটা দ্বীপের চারপাশে সারিবদ্ধ অসংখ্য প্রাগৈতিহাসিক পাথরের মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে অতল সমুদ্রের ঢেউয়ের দিকে মুখ করে।
ঈস্টার দ্বীপের এই বিখ্যাত মূর্তি বা "মোয়াই"গুলির বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে, এরা কেউ সাগরের দিকে মুখ ফিরিয়ে নেই। প্রতিটি মোয়াই সাগরের দিকে পিঠ ফিরিয়ে দাঁড় করানো।
শাহাদুজ্জামান লিখেছেন,
নৃতাত্ত্বিক, প্রত্নতাত্ত্বিকদের আগ্রহের অন্ত নেই এই দ্বীপটি নিয়ে। বিস্তর গবেষণা হয়েছে এ দ্বীপটি নিয়ে এবং বহু তথ্যই এখন জানা হয়ে গেছে। জানা গেছে, কয়েক হাজার বছর আগে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরের এক আগ্নেয়গিরির উদ্গিরণ থেকে জন্ন নিয়েছিল এই দ্বীপ।
কয়েক হাজার নয়, কয়েক লক্ষ বছর আগে দ্বীপটির জন্ম হয়েছে।
শাহাদুজ্জামান লিখেছেন,
এই দ্বীপ থেকে নিকটতম দেশ পেরু। সেই পেরুরই কোনো পথভোলা নৌকা গিয়ে ভেড়ে ওই দ্বীপে। পেরুর পাহাড়ি প্রকৃতি থেকে ওই আশ্চর্য শ্যামলিমায় পৌঁছে নিশ্চয় ঘোর লাগে নৌকাযাত্রীদের। তারা থেকে যায় সেখানে। কেউ কেউ ফিরে গিয়ে নিয়ে আসে আরও মানুষ। একটু একটু করে গড়ে ওঠে এক বিশাল জনপদ। গড়ে ওঠে সম্প্রদায়, প্রশাসন, নতুন এক সংস্কৃতি। এসবই ঘটে কয়েক শতাব্দী ধরে।
এইখানে এসে ব্যাপক অস্বস্তি শুরু হয়। প্রশ্ন জাগে, শাহাদুজ্জামান কি আদৌ কোল্যাপ্সের সেই অধ্যায়টি পড়ে দেখেছেন, যেখানে ঈস্টার সম্পর্কে লেখা হয়েছে?
ঈস্টার বা রাপা নুই বা ইজলা দে লা পাসকুয়ার নিকটতম দেশ পেরু নয়, চিলে। কিন্তু এর প্রাচীন জনপদের অধিবাসীরা পেরু বা চিলে বা দক্ষিণামেরিকার মূল ভূখন্ড থেকে আগত নয়, ধারণা করা হয় তারা হেন্ডারসন দ্বীপ বা পিটকেয়ার্ন দ্বীপ থেকে আগত। এর প্রমাণ মেলে ঈস্টারে পাওয়া পাথরের যন্ত্র বিশ্লেষণ করে। ঈস্টারের পাথর মূল ভূখন্ডে বা মূল ভূখন্ডের পাথরের যন্ত্র ঈস্টারে পাওয়া যায়নি। এর সংস্কৃতির সাথে দক্ষিণামেরিকার কোন সংস্কৃতির মিল নেই, দূরতর সাদৃশ্য আছে পলিনেশিয়ার সাথেই। এর ভাষার সাথে মূল ভূখন্ডের কোন ভাষার সাদৃশ্য নেই, কিন্তু প্রচুর সাদৃশ্য আছে পলিনেশিয়ার ভাষার সাথে। ঈস্টার শুধু দূরেই ছিলো না, অষ্টাদশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্নও ছিলো।
শাহাদুজ্জামান লিখেছেন,
এই নতুন রাজ্যের গোত্রপ্রধানরা নতুন এক প্রথা চালু করেন। এ দ্বীপের যেকোনো গণ্যমান্য ব্যক্তি মারা গেলে তাঁর স্নৃতিতে একটি পাথরের মূর্তি বানাতে হবে এবং সেটিকে স্থাপন করতে হবে দ্বীপের সীমানায়। সে মূর্তি সাগরের দিকে মুখ করে নতজানু হয়ে সাগরকে শ্রদ্ধা জানাবে।
এটি লেখক কোথায় পেলেন তা উল্লেখ করেননি, তবে মূর্তিগুলি ঠিক কেন বানানো শুরু হয়েছিলো, তা এখনও পর্যন্ত অনির্ণীত। ঈস্টারের সভ্যতার শেষ দিকে সেখানে ধনী ও প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যরা পরিবারের কেউ মারা গেলে সে উপলক্ষ্যে মূর্তি নির্মাণ করতো বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। দ্বীপের সীমানায় মূর্তি স্থাপন শুরু হয়েছে অনেক পরে, প্রাথমিক মূর্তিগুলো দ্বীপের মাঝামাঝি বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সাগরের দিকে মুখ করে থাকার কথা আগেই বলেছি।
শাহাদুজ্জামান লিখেছেন,
একেকজন মারা যায় আর দ্বীপের কয়েক শ মানুষ লেগে পড়ে মূর্তি বানাতে। দ্বীপের মাঝখানে অগ্নিগিরির লাভা থেকে সৃষ্ট প্রাচীন পাথর থেকে তৈরি হয় মূর্তি এবং প্রকান্ড সেসব মূর্তিকে এরপর কাঠের তৈরি বিশাল এক গাড়িতে করে আনা হয় দ্বীপের কিনারে। ক্রমেই দ্বীপ ভরে উঠতে থাকে সাগরের দিকে মুখ করা নতজানু অসংখ্য মূর্তিতে। সেই সঙ্গে আরও নিয়ম হয় যে রাতে আগুন জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে হবে এই পবিত্র মূর্তিগুলোকে।
রাতে আগুন জ্বালিয়ে শ্রদ্ধার ব্যাপারটিও লেখক কোথায় পেলেন, জানা যায় না। ঈস্টারে মানুষকে শুরুতে দাহ করা হতো, তার প্রমাণ মিলেছে, যা পরবর্তীতে কাঠের অভাবে সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়। রাতে তারা অবশ্যই আগুন জ্বালাতো (ঈস্টারের গড় তাপমাত্রা কম), কিন্তু পবিত্র মূর্তিকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্যে রাতে আগুন জ্বালানোর তথ্যটির উৎস জানা দরকার।
বিপত্তি শুরু হয় সেখান থেকে। দুটো কাজে তাদের কাঠের প্রয়োজন পড়ে। মূর্তিগুলোকে যে বিশাল যানে চড়িয়ে দ্বীপের কিনারে আনতে হবে সেই যানটি বানাতে এবং নিয়মিত আগুন জ্বালিয়ে তাদের পূজা দিতে।
আবারও সন্দেহ জাগে, শ্রদ্ধেয় শাহাদুজ্জামান কি কোল্যাপ্স বইটি পড়ে দেখেছেন? যে "বিশাল" যানে করে মূর্তিকে আনা হবে, সেটিকে রোজ রোজ বানানোর প্রয়োজন কেন পড়তো, এ প্রশ্ন তো নিজের মনেই জাগে! কোল্যাপ্সে বলা হয়েছে, পলিনেশিয়ার অন্যত্র বড় ক্যানো পরিবহনের জন্য তা গাছের গুঁড়ির ওপর দিয়ে গড়িয়ে বড় দূরত্ব পার করা হতো। সেই রোলার হিসেবে প্রচুর গাছ কাটা হয়েছে ঈস্টারে। তবে চিলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক সোনিয়া হাওয়া, যিনি ঈস্টারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের সাথে জড়িত, তিনি একটি সাম্প্রতিক পেপারে প্রস্তাবনা লিখেছেন যে ঈস্টারের পরবর্তী যুগের মূর্তিগুলো গড়িয়ে নয়, বরং কাঠের ভেলায় করে দ্বীপের পরিধি বরাবর পার করা হতো। এ কারণেই পরবর্তীতে দ্বীপের সৈকত জুড়ে মূর্তি দাঁড় করানো হয়।
শাহাদুজ্জামান লিখেছেন,
এই দুই কাজে অবিরাম বৃক্ষ নিধন চলতে থাকে ওই দ্বীপের। কেউ খেয়াল করে না প্রকৃতি যে হারে বৃক্ষ প্রতিস্থাপন করতে পারে, তার চেয়েও দ্রুত তারা তাদের বৃক্ষ ধ্বংস করছে। অবিরাম গাছ কেটে কেটে দেবতার পূজা দিতে থাকে তারা। দ্বীপের সীমিত ভুমির গাছ ক্রমেই কমতে থাকে। কমতে থাকে পাখিদের ডিম পাড়ার জায়গা, প্রাণীদের আশ্রয়। যত্রতত্র মারা যেতে থাকে তারা। অজান্তে কমতে থাকে দ্বীপের পাখি আর প্রাণী। এক পর্যায়ে ভয়ংকর পরিবেশ ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় দ্বীপে। আর কোনো বৃক্ষ জন্নায় না। জন্নায় না কোনো ফসল। পথে পথে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে পাখি, বিবিধ জন্তু-জানোয়ার। পরিবেশ বিপর্যয়ে শেষে মানুষের মধ্যে দেখা দেয় অজানা মহামারি। এক এক করে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে থাকে দ্বীপের মানুষ। খাবারের অভাবে মৃতদেহ খেতে শুরু করে তারা। ফলে-ফুলে শোভিত বর্ণাঢ্য এক জনপদ ক্রমেই পরিণত হয় এক দুর্বিষহ মৃত্যুপুরিতে। সপ্তদশ শতকে ডাচ্ অভিযাত্রী রোগিভিন যখন এই দ্বীপে তাঁর জাহাজ ভেড়ান, তখন দেখতে পান এক ভুতুড়ে বিরাণ দ্বীপ, যেখানে বেঁচে আছে মুমূর্ষু গুটিকয় মানুষ আর পুরো দ্বীপকে যেন পাহারা দিচ্ছে রহস্যময় সেসব মূর্তি। সেই বেঁচে যাওয়া কতিপয় অধিবাসী, তাদের প্রাচীন লিপি, গুহাচিত্র, লোকগাঁথা থেকে বেরিয়ে আসে এই ট্র্যাজিক জনপদের কাহিনী।
অজানা মহামারী ঈস্টারে ঘটে রগেভেন সে দ্বীপে পা দেয়ারও বহু পরে। ১৮৭২ নাগাদ দ্বীপটির অধিবাসীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১১১ তে, এবং সেই মহামারী ছিলো স্প্যানিয়ার্ড বোম্বেটেদের আমদানী করা। ঈস্টারের জনব্যবস্থা হুমকির মুখে যখন পড়ে, তখন দ্বীপে প্রচন্ড সংঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠে তারা আবার একটি ইকুইলিব্রিয়ামে পৌঁছাতে পেরেছিলো, যেটি নষ্ট হয় ইয়োরোপীয়দের বয়ে আনা অসুখ আর দাসব্যবসায়ীদের উৎপাতে। আর এই ট্র্যাজিক জনপদের কাহিনী তাদের সেই প্রাচীন লিপি (রঙ্গোরঙ্গো লিপি, যা খুব বেশি প্রাচীন নয়, এমনকি অনেকে ধারণা করেন এর উৎপত্তি হয় ইয়োরোপীয়দের পদার্পণের পর), গুহাচিত্র (গুহাচিত্রের কথা জানা যায় না, ঈস্টারে বরং জনপ্রিয় ছবি হচ্ছে পতিত মোয়াইয়ের ওপর আঁকা পরবর্তী পক্ষীমানব কাল্টের ছবিগুলো) আর লোকগাঁথা (এটি প্রকৃত তথ্যের আকর, নিঃসন্দেহে) ছাড়াও যে অগণিত প্রত্নতাত্ত্বিক এবং উদ্ভিদ, প্রাণী ও পরিবেশবিজ্ঞানী এই দ্বীপের রহস্যভেদে কাজ করেছেন, সেটিও উল্লেখ্য, কারণ রহস্যের একটি বড় অংশ তাঁরা ভেদ করেছেন।
শাহাদুজ্জামান বলেছেন,
লেখক জেরাড ডায়মন্ড সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর বই কলাপস-এ বেশ কয়েকটি বিলুপ্ত প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন কী করে তারা নিজেরা নিজেদের ধ্বংস ডেকে এনেছে। নিজেদের সম্পদ, শক্তি ভুল পথে চালিত করে নিঃশেষ হয়ে গেছে তারা। তাঁর বইয়ে অন্যতম একটি উদাহরণ হিসেবে এসেছে ইস্টার দ্বীপ। ইতিহাসবিদ টয়েনবি যে বলেছিলেন, ‘সভ্যতাকে কেউ হত্যা করে না, সভ্যতা আত্মহত্যা করে’−এ কথার আক্ষরিক অনেক উদাহরণ হাজির করেছেন ডায়মন্ড।
এখান থেকেই জানতে পারি, তিনি কোল্যাপ্সের কথা জানেন। কিন্তু বইটি একটু কষ্ট করে পড়লে ওপরের তথ্যজনিত ভ্রান্তি আর পাঠককে পেতে হতো না।
শাহাদুজ্জামানের সাথে শুধু একমত হই শেষ অংশে এসে, যেখানে তিনি বলেছেন,
ইস্টার দ্বীপের গল্প পড়তে পড়তে আমি নিজের দেশের দিকে তাকাই, তাকাই নিজের শহরের দিকে। এই মহামান্য রাজধানীকে নজরানা দিতে সারা দেশের মানুষ এসে জড়ো হয়েছে এই ঘেরাটোপে। এ শহর আর তার ভার বইতে পারছে না। শুনি শহরের পানির স্তর নেমে গেছে মরু অঞ্চলের মতো, নিঃশেষ হয়ে গেছে শহরকে আলোকিত করার ক্ষমতা, রাতে অন্ধকারে হাঁসফাঁস করে পুরো জনপদ, দিনে গাড়ি, মানুষ একে অপরের গায়ে লেপ্টে স্থবির হয়ে বসে থাকে পথে। আমরা কি ক্রমেই একটা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছি? ইস্টার দ্বীপবাসীর মতো কোনো মূর্তিও তো বানিয়ে রাখলাম না, যারা আমাদের ধ্বংসের সাক্ষী হয়ে থাকতে পারে?
কোল্যাপ্সের ওপর ভিত্তি করে ঈস্টার নিয়ে একটি সিরিজ লিখেছিলাম সচলে, লিঙ্ক দিয়ে যাই আগ্রহী পাঠকের জন্য, যদিও সেই সিরিজটি কোন কারণে তেমন পাঠকপ্রিয়তা পায়নি। আর এ অনুভব করে অস্বস্তি বোধ করছি, সুলেখকরা বইয়ের নাম উদ্ধৃত করেন, কিন্তু তা পড়ে দেখেন না।
মন্তব্য
আপনার এই লেখাটি প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রথম আলোতে পাঠাতে পারেন।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এইমাত্র প্রথম আলোতে শাহাদুজ্জামানের চিরকুট পড়ে এসেই সচলায়তনে দেখি হিমু'র লেখা।
হিমু এই লেখাটা প্রথম আলোতে সম্ভবত: পাঠাবেন না, পাঠালেও প্রতিষ্ঠিত লেখকের ভুল ধরা এই লেখা ছাপা না হওয়ারই কথা - লেখক চটতে পারেন।
কিন্তু সমস্যা হলো প্রথম আলোর বিপুল সংখ্যক পাঠক শাহাদুজ্জামানের লেখাটি পড়ে নানা ভুল তথ্য পেলেন এবং তা সংশোধনের সুযোগও থাকছে না।
বিস্ময় লাগে যখন শাহাদুজ্জামান পরিশ্রমী লেখক বলে যার একটা ইমেজ রয়েছে যিনি গবেষক ও শিক্ষক - যিনি উত্তম মানের লেখা লিখবেন বলে কম লিখেন বলে মিডিয়ায় প্রচারণা আছে তিনি এরকম অবিশ্বস্ত বর্ণনা দেন কোনো বিষয়ে।
আর সম্পাদনা বিষয়টা বোধহয় আমাদের প্রকাশনার জগতে উদিত হতে এখনও অনেক বাকী।
হিমুকে এই লেখার জন্য অনেক অভিনন্দন।
এ লেখা বাংলা ব্লগের পাঠক-লেখকদের অগ্রসরতার একটা চিহ্ন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমি তাঁর ক্রাচের কর্ণেল পড়ার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম, কিন্তু এই লেখাটি পড়ার পর সিদ্ধান্ত নিলাম, পড়বো না। লেখাটি ইতিহাসানুগ বলে সচলেই একটি আলোচনা হয়েছিলো, কিন্তু আস্থা আর রাখতে পারছি না।
বাহ এই লেখাটা হিমু না লিখলে তো এত ঘটনা জানাই হতোনা। চমৎকার কাজ হয়েছে।
একেবারে ফানা-ফানা করে ফেলেছেন
কিছুক্ষণ আগে প্রথম আলোয় লেখাটি পড়বার সময় আপনাকে লিংকটা পাঠাবো, ভাবছিলাম। যদি নজরে না পড়ে থাকে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এইটারে কয় গুল্লি মারা...
শাহাদুজ্জামানকে এই লেখাটির লিংক দেয়া যায় না?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ঠিক এই কথাটি বলতেই লগ-ইন করেছিলাম। শাহাদুজ্জামানকে লিংকটা দেয়া গেলে চমত্কার হত। হিমু ভাইয়ের লেখার বিপরীতে ওনার কোন বক্তব্য থাকলে ওনি ইচ্ছে করলে বলতে পারতেন।
হু, এইটাই এখন করা যায়। শো. মো. এর বক্তব্যের পরে মনে হয় না প্রথম আলোতে পাঠিয়ে লাভ আছে। কিন্তু লেখাটা শাহাদুজ্জামানের পড়া দরকার।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
ঠিকাছে। শুধু এই ব্যদ্দপ সাতটা মূর্তি সাগরের দিকে মুখ করে বানানো হয়েছিল।
Uniquely, the inland Ahu Akivi, on the long slope of the volcano Tereuaka, has seven moai facing the sea and is the only such occurrence on the island.
সূত্র
আমার জানা ছিলো না। কিন্তু লেখা সংশোধন করছি না। বরং আমার জানার ত্রুটির নিদর্শন হিসেবেই তা থাকলো।
আমার লেখা উচিত ছিলো, ঈস্টারের সৈকতে কোন মোয়াই সাগরের দিকে মুখ ফিরিয়ে নেই। দ্বীপের মাঝখানে কোন মূর্তি "সাগরের দিকে" মুখ ফিরিয়ে থাকতে বাধ্য, কারণ দ্বীপের চারদিকেই তো সাগর ।
কথার প্যাঁচ মারলে কিন্তু বলা যায় সব মূর্তিই সাগরের দিকে পিঠ ফেরানো কিংবা উল্টোটা।
আবার পড়তে গিয়ে শ্রদ্ধেয় শাহাদুজ্জামানের লেখায় আরো কিছু ভুল চোখে পড়লো। তখন স্মৃতি থেকে লিখছিলাম বলে সব দিন তারিখ স্পষ্ট ছিলো না। ইয়াকব রগেভেন সপ্তদশ শতক নয়, অষ্টাদশ শতকে (১৭২২ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জুলাই) ঈস্টারে পা রেখেছিলেন। দ্বীপজুড়ে কিছু "মুমূর্ষু" লোক ছিলো না, কয়েক হাজার মানুষ ছিলো, যাদের পরবর্তী সময়ের ইয়োরোপীয় নাবিকেরা (ক্যাপ্টেন কুক) কৃশকায় বলে বর্ণণা করেছিলেন।
যাই হোক, আমি হতাশ। কোল্যাপ্স বইটির যখন পড়ছিলাম, তখন আমি ঢাকায় চাকরিরত ছিলাম। বাসা থেকে অফিসে যেতে পাকা এক থেকে সোয়া এক ঘন্টা লেগে যেতো। অফিসের কাজে গাড়ি নিয়ে বেরোলে পথে বসে পড়তাম। এর দুটি অধ্যায় আমি গাড়িতে বসে পড়ে শেষ করেছি। বইটি অসাধারণ শৈলীময় ভাষায় লেখা, এমন দুরূহ কিছু নয় যে পড়তে গেলে মহা আড়ম্বর লেগে যাবে। লেখকরা যখন পত্রিকায় কিছু লেখেন, লক্ষাধিক মানুষকে উদ্দেশ্য করে লেখেন। কোন ভুল তথ্য যাতে না পৌঁছে দেন, সেজন্যে একটা বইয়ের একটা চ্যাপ্টারে চোখ বুলাতে তাঁদের খুব বেশি সময় ব্যয় হবার কথা নয়। আমি হতাশ যে একজন লেখক এইটুকু সময়ও তাঁর পাঠকদের জন্য ব্যয় করতে প্রস্তুত নন।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমরা বাঙালীরা কিন্তু ভুলভাল লেখা মেরে দিতে ভীষণ ওস্তাদ! গুরু শিবরাম চক্রবর্তী থেকে শুরু করে সুপ্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবালও এরওর থেকে মেরে দিয়েছেন।
সঠিক রেফারেন্স দেবার কালচারটাও আমাদের দেশে এখনো তেমনভাবে গড়ে উঠেনি। সুতারাং লেখায় ভুলভাল থাকলে তাতে দোষের কিছু নেই। বাংলাদেশে এটাই গ্রহণযোগ্য ব্যাপার।
বইয়ের কভার দেখলেই বই পড়া হয়ে গেছে টাইপ দুই/একজন মানুষের সাথে আমার খানিকটা পরিচয় আছে। হয়তোবা সেইসব সুলেখক (সব সুলেখক না) ওই কাতারেই পড়েন।
হিমুকে এই লেখার জন্য ঝাঝা।। (জিনিসটা ঝাঝাই তো?)
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
ঝাঝা না জাঝা
সংশোধনী : হিমুকে এই লেখার জন্য জাঝা।
ঠিক শব্দটি জানিয়ে দেয়ার জন্য দ্রোহীকে ধন্যবাদ।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
খুব অস্বস্তি লাগছে। শাহাদুজ্জামানের মত লেখকের কাছ থেকে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতা আশা করিনি। প্রথম আলোতে আসলেই এই লেখাটা পাঠানো উচিত। কিংবা স্বয়ং শাহাদুজ্জামানকে। লেখককে সতর্ক করে দেয়া তো পাঠকের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকে এধরনের ভুল তথ্য উপস্থাপন কাম্য নয় ।
লেখার লিংকটি তাই হিমুর অনুমিত ব্যাতিরেকেই শাহাদুজ্জামানের কাছে মেইল করে দিলাম ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমিও অস্বস্তি বোধ করলাম
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
তথ্যগত ত্রুটি আমাদের অনেক প্রতিষ্ঠিত লেখকদের মাঝে দেখা গেছে ... সম্পাদকের তাগাদা, তাড়াহুড়ো, রিভিশনের আলসেমি, পাঠককে আবুল ভাবা -- এরকম অনেক কারণই আছে .... আবারও মনে হলো, পিয়ার রিভিউড জার্নালে পেপার লেখার মতো ওয়ার্কশপ নন-একাডেমিক লেখকদের জন্য থাকলে ভালো হতো, যেখানে ওয়ার্ড-বাই-ওয়ার্ড চেক, ক্রসচেক করে তারপর সাবমিট করা হয় ...
তবে শাহাদুজ্জামানের এই লেখার তথ্যগত ত্রুটিগুলো কিন্তু কোন মিথ্যাকে প্রচার বা অযৌক্তিক কিছুকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য না ... নির্দোষ মিথ্যাই ... সম্ভবতঃ স্মৃতিবিভ্রম, কারণ কোথাও ভুলভাল পড়লে অন্য বইয়ের রেফারেন্স দেয়ার কথা না... এমনও হতে পারে ঈস্টার দ্বীপ নিয়ে তিনি বেশ আগে পড়েছেন, সেই পড়ার তালিকায় হয়তো কলাপ্স বইটিও ছিলো ... রিভাইজ না করে স্মৃতি থেকে লিখেছেন, আর হয়তো রেফারেন্স হিসেবে সবচেয়ে ভালো বইটির নামই উল্লেখ করে দিয়েছেন
লেখককে ব্যক্তিগতভাবে ভুলগুলো জানানো জরূরী
প্রসঙ্গতঃ পেরু আর চিলি নিয়ে আমারও গন্ডগোল লাগে মাঝে মাঝে ... ৯৮ এর বিশ্বকাপে মনে হয় চিলি শক্তিশালী দল ছিলো, সেটার কথা বলতে গিয়ে বেশ কয়েকবার পেরুর কথা বলেছি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
পিয়ার রিভিউ এর ফস্কা গেরোর সাথে সম্পর্কিত একটা লেখার লিংক এখানে জুড়ে দিলাম।
লিংকটি পাঠানোর পরে শাহাদুজ্জামান মেইলের রিপ্লাই দিয়েছেন । সচলায়তনের পাঠকদের জন্য এখানে শাহাদুজ্জামানের বক্তব্য তুলে দিচ্ছি :
Dear Arif,
Thanks a lot for sending me this write up by Himu.
I spent some time reading about Easter Island some years back, including Diamond and other authors. I remember that some authors differ with Diamond’s version of Ester Island and have different information and interpretations. So the write up was not based only on my reading of Diamond.
My aim of this article was not to give an historical account of Easter Island rather to draw our attention to Dhaka that is nearly facing a collapse. I took Easter Island as a reference.
The main point was as raised by many authors that the reason behind the island’s collapsed was the destruction of ecosystem.
However, I have written this peace from my memory as I am travelling now in UK and didn’t have the references in hand. I must acknowledge that there would probably be some information gap in my write up.
Thanks a lot to Himu for making me aware of those.
Can you please share this mail with Himu and others.
Thanks,
Shahaduz Zaman
আরিফ ভাই ও শাহাদুজ্জামান দু'জনকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অন্ততঃ মেইলের রিপ্লাই করলেন একজন...। এটাই ব্যতিক্রম মনে হচ্ছে...।
আমার ধারনা, সর্টকাট মারার জন্য গুগুল ম্যাপস থেকে মেরে দিয়েছেন, এজন্য আমি মানচিত্র দিলাম। অবশ্য আমি শিওর না, আসল দুরত্ব কার কম?? তাও ভালো যে উনি জবাব দিয়েছেন, হিমু কে ধন্যবাদ জামান সাহেব এর ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য।
প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপগুলো নিয়ে আমার আগ্রহ দীর্ঘদিনের। এই বিতর্কটা তাই উপভোগ করলাম। শাহাদুজ্জামানকে যেভাবে ঠেসে ধরেছেন 'হাঁটুপানির জলদস্যু' তা যথার্থই প্রশংসার দাবীদার, যতই শাহাদুজ্জামান স্মৃতিদুর্বলতার অজুহাত দেন না কেন।
এখানে মুর্তিগুলো সমুদ্রমুখী বা সমুদ্রবিমুখী বিতর্কে একটু যোগ করি।
হিমু বলেছেন - প্রতিটি মোয়াই সাগরের দিকে পিঠ ফিরিয়ে দাঁড় করানো।
তানভীর বলেছেন - শুধু এই ব্যদ্দপ সাতটা মূর্তি সাগরের দিকে মুখ করে বানানো হয়েছিল।
আমি একটু যোগ করি সেই বিতর্কে। কোনটা কেন সাগরমুখী কেন বিমুখী ব্যাপারটা অনুমান মাত্র। ইতিহাস থেকে জানা যায় প্রাথমিক ইউরোপীয় অভিযান মুর্তিগুলোকে খাড়া অবস্থায় দেখেছিল। ডাচ(১৭২২) এবং স্প্যানিয়ার্ড(১৭৭০) অভিযানে খাড়া মুর্তির কথা জানা যায়। কিন্তু ১৭৭৪ সালে ক্যাপ্টেন কুক অনেক মোয়াই পতিত অবস্থায় পান। দ্বীপের গৃহযুদ্ধের সময় বেশ কিছু মুর্তি ধ্বংস হয়। তাছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ভুমিতে পতিত হয় অনেক মুর্তি। যা পরবর্তীতে খাড়া করানো হয়েছে। সুতরাং আধুনিক মানুষের হাতও মুর্তির মুখ পরিবর্তনে কাজ করেছে বোধহয়।
সবচেয়ে বড় মোয়াই Ahu Tongariki-র উদাহরন দেয়া যায়। দেখুন এই ১৫ ভদ্রলোক সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। ইনারা কিন্তু শোয়া অবস্থায় ছিলেন সুত্রমতে-
moai
Ahu Tongariki নিয়ে উইকিতে পড়ুন-
http://en.wikipedia.org/wiki/Ahu_Tongariki
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ক্যাপ্টেন কুকের পর সম্ভবত কেউ আর খাড়া অবস্থায় কোন মোয়াই দেখেননি। পরবর্তীতে মোয়াইগুলো এক এক করে খাড়া করা হয়েছে। দ্বীপের অধিবাসীরা সংঘাতকালীন পরিস্থিতিতে নিজেরাই প্রচুর মোয়াই টেনে নামিয়েছে, এবং কোন কোন ক্ষেত্রে একটি পাথরের ওপর ফেলে মোয়াইগুলোকে দুই টুকরো করেছে। কিন্তু মোয়াইয়ের মুখ দেখলেই তো বোঝা যায় সেটা কোনদিকে ছিলো। সেগুলোর যা ওজন, তাতে প্রাকৃতিকভাবে উল্টানোর কোন সুযোগ নেই, আর ঈস্টারের শেষ পর্যায়ে এসে মূর্তিগুলোকে উল্টানোর মতো যান্ত্রিক উপকরণও আর দ্বীপবাসীর কাছে ছিলো না।
আপনার দেয়া ছবি থেকে কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না, কোন দিকে সাগর। আমি ফ্লিকারেও ঈস্টারের প্রচুর ছবি দেখেছি ডায়মন্ডের বক্তব্য মিলিয়ে দেখার জন্য, সাগরমুখী কোন মোয়াই চোখে পড়েনি।
মূর্তি যখন রিস্টোর করা হয়, সাধারণত এর আদি অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। আপনি সম্ভবত জানেন, থর হেয়ারডাল ঈস্টারে প্রায় যথেচ্ছ পরীক্ষানিরীক্ষা করে বেড়িয়েছিলেন। বেশ কয়েকটি মূর্তি রিস্টোর করতে গিয়ে তিনি ভাংচুরও করেছেন। পরবর্তীতে প্রত্নতাত্ত্বিকদের সতর্ক হস্তক্ষেপে ঈস্টারের কিছু মোয়াই রিস্টোর করা হয়। কোন ব্যতিক্রম যদি থাকে, হেয়ারডাল তাতে হাত দিয়েছিলেন কি না, আগে খোঁজ করে দেখা দরকার।
আর একটা কনফিউশন পাচ্ছি আপনার লেখায়। আহু হচ্ছে সেই প্ল্যাটফর্ম, যার ওপর মূর্তি (মোয়াই)গুলো বসানো হতো। এক একটা আহুতে অনেকগুলি মোয়াই থাকতো।
অনেক কিছু জানা হলো।
শাহাদুজ্জামান সাহেব আজ পত্রিকায় আবারও টুপির নিচ থেকে তথ্য বার করে আর্টিকেল লিখেছেন। তিনি লিখেছেন,
লর্ড অব দ্য ফ্লাইজ-এ স্কুলবালকের দল কোনো মরুভূমিতে আটকা পড়েনি, পড়েছিলো একটি দ্বীপে। সেই দ্বীপের সৈকত, পাহাড় আর জঙ্গলের বিস্তারিত বর্ণনা উপন্যাসটিতে ছড়িয়ে আছে।
এ কথা পরিষ্কার যে শাহাদুজ্জামান সাহেব লর্ড অব দ্য ফ্লাইজ মন দিয়ে পড়েননি, কিংবা পড়েই দেখেননি। প্রথম আলোর উপসম্পাদকীয় পাতা যারা দেখভাল করেন, তারাও লর্ড অব দ্য ফ্লাইজ পড়েননি, পড়ে থাকলে হয়তো ঐ "বিরান মরুভূমি"র অংশটি তারা নিজেরা সম্পাদনা করতে পারতেন, কিংবা শাহাদুজ্জামানকে পুনরায় সম্পাদনা করে পাঠাতে বলতে পারতেন।
শাহাদুজ্জামান সাহেব, বড় বড় বইপুস্তকের নাম নেয়ার আগে সেগুলো পড়ে দেখুন। আপনারা বড় বড় লেখকেরা লেখার চাপে মনে হচ্ছে পড়াশোনার বদভ্যাসটাই ভুলে গেছেন।
আমার মনে হয় ভদ্রলোক যেখান থেকে চোথা মেরেছেন সেখানকার Deserted শব্দটা মিসট্রান্সলেট করে ফেলেছেন হাহাহা
আলু মানে নির্মল বিনোদন।
কাকস্য পরিবেদনা
শাহাদুজ্জামানের লেখা ভালোই লাগে।এই লেখাটি প্রথম যখন পড়ি তখন বেশ অস্বস্তি বোধ করেছিলাম।ভালো লাগে এমন এক লেখকের খেলোভাব দেখে।তবুও আরিফ ভাইয়ের মেইলের যে জবাব শাহাদুজ্জামান দিয়েছিলেন তা দেখে ভেবেছিলাম এরকম ভুল তিনি আর করবেন না।কিন্তু সে গুড়ে দেখছি বেজায় বালি।ব্রিটিশ স্কুলবালকদের সংখ্যাতে ভুল করলেও না হয় কথা ছিলো।তিনি ভুল তথ্য গুজে বসলেন কিনা স্বউল্লেখিত উপন্যাসেরই সংগঠনস্থল বিষয়ে!
অনেক কিছু জানতে পারলাম। হিমুকে ধন্যবাদ।
শাহাদুজ্জামান সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করি। আশা করি, তিনি আরিফ ভাই এর মেইল পেলে জিনিষটি বুঝবেন এবং সংশোধন করে দেবেন
দ্রোহীর মতে আমি একমত। আলু মানেই বিনোদন। কিন্তু অন্য কী পড়ব, পত্রিকাগুলো সকলেই লেজুড়বৃত্তি করছে কারো না কারো।
নতুন মন্তব্য করুন