২.
আমার ফ্ল্যাটমেট পাঠান সৈয়দকে নিয়ে ভালোই মুসিবতে আছি। ছোকরার সবকিছুই ভালো, কেবল সে অতিশয় অপরিছন্ন। আমার ছিমছাম রান্নাঘরটাকে সে সাফল্যের সাথে গ্রাউন্ড জিরো বানিয়ে রেখেছে। প্রথমে মিষ্টি করে বুঝিয়ে দেখেছি, কাজ হয় না। অতিষ্ঠ হয়ে একদিন তাকে ঝাড়ি দিলাম। মুখ কালো করে সেদিনের মতো রান্নাঘরটা পাকসাফ করলেও দু'দিন বাদে আবার সেই আগের মতোই। কারো যদি সম্ভাবনা থাকে, কোন পাঠানের সাথে এক ফ্ল্যাটে বসবাস করার, তাহলে খুব খিয়াল কইরা।
প্রশ্ন করতে পারেন, কেন অভিযোগ করি না কর্তৃপক্ষের কাছে। এর উত্তর হচ্ছে, এক, এখানে এক কালা আদমীর নামে আরেক কালা আদমীর অভিযোগ ততটা গুরুত্বের সাথে নেয়া হয় না, দুই, আমি চেষ্টা করি নিজের সমস্যা যতদূর সম্ভব নিজেই সমাধান করতে, তিন, ওকে খেদালে ওর চেয়ে খতরনাক আরেকটা এসে জোটার সম্ভাবনা প্রবল।
৩.
সৈয়দের সাথে আমার সাংস্কৃতিক তফাৎ বোধহয় ওখানেই, আমাকে কেউ মিষ্টি করে কিছু বললে আমি সাধারণত তা মেনে নিই বা মেনে চলি। কিছু ব্যতিক্রম সবসময়ই থাকবে, সেগুলো ধর্তব্যে রাখছি না।
একদিন দুই পিচ্চিনি এসে হাজির, বারো তেরো বছর বয়স হবে। তারা একটা জরিপ করছে, আমি তাতে অংশগ্রহণ করলে ভালো হয়। ঘরে তাদের বসাতে গিয়ে দেখি সৈয়দ রান্নাঘরটাকে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমের মতো বানিয়ে রেখেছে। প্যাসেজে দাঁড় করিয়েই তাদের জরিপের উত্তর দিলাম। মাদকাসক্তদের নিয়ে আমার ধ্যানধারণার ওপর জরিপ। জরিপ শেষে তারা জানালো, তারা অনাথ এবং প্রাক্তন মাদকাসক্ত। তারা আর অনাথাশ্রমে থাকতে চায় না, কিন্তু স্টেইট তাদের যা আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে তা তাদের প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য (মাসে ৯০ ইউরো)। আমি তাদের সাহায্য করতে পারি, যদি একটা ম্যাগাজিনের সাবস্ক্রাইবার হই। আমি নিজেই মোটামুটি ফকির, গীটার হাতে শনিবারে ফ্রিডরিশপ্লাৎসে নেমে দীনের নবী মোস্তফা বলে হুঙ্কার দিতে পারি যে কোন এক সপ্তাহান্তে, কিন্তু বাচ্চা দুইটা আমাকে মিষ্টি কথা বলে ভজিয়ে ফেললো। যাবার আগে দুইজনকে চকলেট খেতে দিলাম, বললাম আমাদের দেশে ঘরে কেউ এলে মিষ্টি কিছু খেতে দেয়া হয়, তারা মোটামুটি অভিভূত হয়ে হাজারো ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলো। মনে মনে বললাম, তুফানে বেঁধেছি লুঙ্গি, বাতাসে কী ভয়?
ফোন কোম্পানি থেকে এক সন্ধ্যায় এক ছেমরি ফোন করে লোভ দেখানো শুরু করলো, মহাশয়, আপনি কি জানেন কী অভূতপূর্ব এক সুযোগ আপনার জন্যে অপেক্ষা করে আছে? আপনি আমাদের ঐ প্যাকেজটা গ্রহণ করলে এক্স সংখ্যক এসমএমএস মাসে ফ্রি করতে পারবেন। আমি টের পেলাম, ফোন কোম্পানি আমার প্যান্ট খোলার চেষ্টা করছে। বললাম, খুবই জোস সংবাদ, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার এসএমএস করতে বিরক্ত লাগে। সে তারপরও ফোনে কোম্পানির হয়ে আমার জিপার খুলতে লাগলো, এসএমএস ভালো না লাগলে ওটা বাদ দিয়ে দিন। এই প্যাকেজে আপনি তাহলে মাসে ওয়াই ইউরো না দিয়ে জেড ইউরো দেবেন, আর যে কোন নেটওয়ার্কে মাসে ডাব্লিউ সংখ্যক মিনিট ফ্রি কথা বলতে পারবেন। মনে মনে বললাম, ফ্রি হইলো ক্যাম্নে, জেড ইউরো কি তোর বাপ দিচ্ছে? আমি যতই না না করি, সে ততই আমার প্যান্ট আন্ডু খুলে আমাকে নাঙ্গা করে। অবশেষে দেখলাম আমি হতাশ হয়ে রাজি হয়ে যাচ্ছি। ফোন কোম্পানিও প্যাকেজখানা আমাকে গছিয়ে পেছন মেরে শুভসন্ধ্যা বলে বিদায় নিচ্ছে। ঠিক করলাম, এরপর ফোন কোম্পানির কোন মেয়ে বাড়ি বয়ে এসে খাটে না উঠলে কোন প্যাকেজেই রাজি হবো না, সে যতই সুবিধাজনক হোক না কেন। চোরের দশ দিন আর গৃহস্থের এক দিন।
এরপর একদিন দুপুরে ভোনহাইমের দরজায় বোতাম টিপছে কেউ। ইন্টারকম তুলে শুনি এক মহিলা জানতে চাইছেন, মহাশয় কি আরবদেশের লোক? মেজাজটা বিলা হয়ে গেলো, বললাম, না, আমি বাংলাদেশের লোক। তিনি আরো খুশি হয়ে বললেন, একটা জরুরি ব্যাপারে আলোচনা করা দরকার, আসতে পারি ওপরে?
উচিত ছিলো জরুরি ব্যাপারের মায়রে বাপ বলে তাঁকে নিরুৎসাহিত করা, কিন্তু ভদ্রতার অবতার হয়ে তাঁদের ওপরে আসতে দিলাম। দুই মাঝবয়েসী মহিলা এসেছেন কোথায় যেন যীশুর মহিমাকীর্তন হচ্ছে, তা নিয়ে আমাকে ভজাতে। আমি সবিনয়ে জানালাম, আমি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি বটে, কিন্তু পরবর্তীতে আমার কাছে মনে হয়েছে ধর্ম নিয়ে কথাবার্তা বলে সময় নষ্ট করা আমার পক্ষে আর উচিত হবে না, তাই তাঁরা যদি আমাকে ক্ষমা করেন ... মহিলা দুইজনও ঘাগু, তাঁরাও তৎক্ষণাৎ অন্য সব প্রলোভন দেখাতে শুরু করলেন, ধর্ম ভুল হতে পারে, ঈশ্বর তো আর ভুল নয় ... ইত্যাদি। আমি বললাম, ঈশ্বরের সাথে আমার সম্পর্ক ঠিক ভালো নয়, আমরা একজন আরেকজনের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি, শুনে তাঁরা আরো খুশি, বাহ, এই অভিমানের নিরসনের জন্য সেই ভ্যাজরভ্যাজর অনুষ্ঠানই নাকি হতে পারে প্রথম ধাপ। আমি মনে মনে বললাম, আন্টি, আপনার ডাগর মেয়েটাকে যদি পাঠাতেন এই দাওয়াতে, এত কথা খরচ করা লাগতো? দুইজন একসাথে ঈশ্বরের নাম ধরে ডাক পাড়তাম। তা না ... যা-ই হোক, ভদ্রতার যুদ্ধে আমাকে হারাতে না পেরে তাঁরা শেষমেশ বিদায় নিলেন। আমি ম্যাগাজিনের সাবস্ক্রাইবার হয়েছি, বেহুদা ফোন প্যাকেজের সাবস্ক্রাইবার হয়েছি, ঈশ্বরের সাবস্ক্রাইবার হতে সমস্যা ছিলো না, কিন্তু সব কিছুরই তো একটা সীমা আছে, তাই না?
মন্তব্য
জানি না কেনো, হয়তো অনেক দিনের গ্যাপে পড়লাম বলে, এই পর্বটা মনে হচ্ছে অনেকদিন মনে থাকবে...
এতো যথাযথ একটা কথা বহুদিন শুনিনি, ঠিক এরকমটাই ভাবি কিন্তু এতো সুন্দর করে কখনো বলতে পারি নি! চমৎকার!
খুব ভালো লাগল।
প্রবাসে দইয়ের হাড়ির বাকী লেখাগুলোও এখন খুজে খুজে পড়তে হবে।
- তোর মনে আছে, বনে বেথোফেনের মূর্তিটার সামনে ক্যামনে তাবলীগের ভাইদের কবলে পড়ছিলাম আমরা তিনজন! তুই গোত্তা মেরে এগিয়ে গিয়ে উঁচু গীর্জাটার ছবি তোলা ধরলি, আমি গুতুম মাছের মতো পিছলা দিয়ে তোরে ডাকতে ডাকতে কেটে পড়লাম, আর আমাদের নাদান সরল সিধা বদ্দা, বাধ্য হয়ে তাবলীগ ভাইদের সাথে মাথা ঝাঁকিয়ে, হ্যাঁ... হুমম... করে চললেন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম। সুন্দরী যুবতীরা এই দাওয়াতের লাইনে একদমই নাই। যীশুর রাস্তার লোকজন দাওয়াত নিয়ে সিরিয়াস হলে অবশ্যই ফোন কোম্পানির মতোই মিষ্টিমেয়ে পাঠাইতো।
- সুন্দরী বালিকারা যীশুর তাবলীগে যোগ দিলে তো আমরাই রাস্তা ঘাটে, আনাচে কানাচে খুঁজে খুঁজে তাঁদের বের করতাম 'সবক' নেয়ার জন্য। তখন তোর আর আমার মতো দাওয়াত নিতে ওয়ালাদের ঠেলাঠেলি সামলাতে কী পরিমান হিমশিম খেতে হতো যীশুর রাস্তার লোকজনের, এইটা কি তারা ভাবে নাই মনে করছোস?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ্যাঁ, সিরাতুল মুস্তাকিমে তখন তিল ঠাঁই আর নাহি রে পরিস্থিতি দেখা দিতো।
অনেকদিন পর প্রবাসে দৈবের বশে পড়লাম। ভালো লেগেছে।
আমার তিন বছরের প্রবাস জীবনে দুইবার ধর্মপ্রচারকদের কবলে পড়তে হয়েছে। একবার পড়েছি আফ্রিকান তাবলীগ পার্টির হাতে। ভাষাগত কারণে সেবার খুব একটা সুবিধা করতে পারিনি।
দ্বিতীয়াবারে পড়েছিলাম আমারই বয়সী দুজন যীশুর মহিমা প্রচারকারীর কবলে। সেবারেরটা পুরা ইতিহাস। ওরা আমাকে ঈশ্বরের মহিমা শোনাবে কী উল্টে আমিই তাদের সংশয়বাদী বানিয়ে ছেড়েছি।
এখনো সেই দুজনকে দেখি বিল্ডিংয়ের অন্য অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে ঘুরে ঘুরে যীশুর মহিমা প্রচার করতে। সেদিন পর থেকে ওরা আমার অ্যাপার্টমেন্ট এড়িয়ে চলে।
[নবীজীর চাঁদকে দু'টুকরো করা, যীশুর পূনরুত্থান অথবা নূহের নৌকা বিষয়ক প্যাঁচে ফেলে যে কোন ধর্মপ্রচারককে নাস্তানাবুদ করা জলবৎতরলং]
হাসি চেপে রাখার জন্য অনেক কসরত করতে হয়েছে, অফিস থেকে ব্লগাই তো, আশেপাশের জনগন কি না কি বোঝে।
আপনার দুঃখে হাসলেও সমব্যাথী হলাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দ্রোহীদা পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ ধর্মেবিশ্বাসী, তাদের সে অধিকার আছে এবং ন্যনুতম সম্মানও তাদের প্রাপ্য বলে মনে করি। আমার মনে কারো ধর্মবিশ্বাসকে কটাক্ষ না করেও তাদেরকে দূরে রাখা আপনার মত মগজবান মানুষের জন্য জলবত তরলং
সাদা মনে বললাম,আবার মাইন্ড খাইয়েন না যেন, তাইলে কিন্তু ই -মেইল দ্বীনের দাওয়াত দেয়া শুরু করুম!
০১
মাফ করবেন মামুন ভাই। আসলে আমি সাধারণত ব্যক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে কারো সাথে তর্ক করি না। আমি মনে করি ধর্মপালন করাটা (না করাটাও) প্রত্যেকের জন্মগত অধিকার। সে অধিকারে বাধা দান করার ক্ষমতা আমি রাখি না।
শুধু একটা ব্যাপার কিছুতেই মানতে পারি না। মুসলিমরা মনে করে তাদের ধর্মই শ্রেষ্ঠ, বাকি ধর্মের লোকগুলো নরকবাসী হবে। তেমনিভাবে খ্রীষ্টান, ইহুদী, বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা প্রত্যেকেই যার যার ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে বসে আছে। ব্যাপারটা কেমন যেন হাস্যকর মনে হয় আমার কাছে।
০২
যে উদাহরণগুলোর কথা বলেছি। যে কোন বোধসম্পন্ন মানুষ যদি সাদা চোখে বিশ্লেষণ করে তাহলে ঘটনাগুলোর ভেতর যে ফাঁকিটুকু আছে তা ধরতে পারবে। সমস্যা হচ্ছে ধার্মিক মন একটা নিদ্দিষ্ট গন্ডীর বাইরে চিন্তা করতে পারে না। এ ধরনের সীমাবদ্ধতার কিছু যে সুবিধাও আছে সে কথা অনস্বীকার্য।
০৩
ঘাবড়াইয়েন না। আমি খুব সহজে মাইন্ড খাই না।
অসাধারণের উপরে অন্য কিছু লাগলো কথাগুলো। আর আপনার লেখার হিউমার নিয়ে কি আর বলব!
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
দারুন লাগলো!
এবং
সিরাম ২টা বাক্য
------------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
কী দেশে থাকেন, পিচ্চি পিচ্চি মেয়েরা আপনাদের কাছে এসে ঘোরাঘুরি করে !
জম্মন দেশে যাওয়ার নিয়ম কানুন দিয়া জলদি পোস্টান...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
১৬ (নাকি ১৮?)র নিচে কিছু করলে কেস খাওয়া কনফার্ম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
খোঁজখবর নিয়ে জেনে রাখুন ।
বাঁচতে হলে জানতে হবে ।
সবজান্তার জন্য সুসংবাদ। আইন দেখলাম, বয়সসীমা ১৬।
এখানে নাকি অনেক সময় আন্ডার সিক্সটিন পিচ্চিরা ফুসলানোর পরে ওই আইনের ভয় দেখাইয়া ব্ল্যাকমেইল করে। তাই কিছু করার আগে আইডি কার্ডে ডেট অফ বার্থ দেখে নেয়া সেইফ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- হিমু আইডি কার্ড দেখছিলো? নাকি আপনি বলতে চান সে দেখে নাই
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হিমু ভাই না চকলেট খেতে দিয়েছিল ? তার গায়ের রঙ ও কিন্তু চকলেট । খিয়াল কইরা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ছিঃ বলাইদা...
আপনাদের মনেই পাপ
আমি এতো ছোট মেয়েদের সাথে কী করবো
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
চ্রম !
একবার পড়সিলাম এদের খপ্পরে। আমি শয়তানের উপাসক বলে বিদায় করে দিসি
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
প্রবাসে দৈবের বশে
শিরোণাম দেখে পড়া শুরু করেছিলাম। আমার এক বন্ধু "সৈয়দ আফসার" যে একটি লিটলম্যাগ সম্পাদনা করতো, নাম "অর্কিড"। সে যেবার ইংল্যান্ডে গেলো, গিয়ে পৌঁছার কিছুদিনের মধ্যে বেশ কিছু কবিতা পোস্টে পাঠিয়ে দিল। সবগুলো কবিতারই মূল বিষযবস্তু হাহাকার! দেশকে, প্রিয়জনকে ছেড়ে যাওয়ার হাহাকারে ভর্তি সবগুলো কবিতা। এর মধ্যে যে একটি কবিতা আমার ভালোলেগেছিল ওই কবিতাটির নাম ছিল প্রবাসে দৈবের বশে।
অবশ্য আপনি হতাশ করেননি। ভাল লেগেছে একটু-আধটু জায়গা ছাড়া, সেটা নিয়ে কথা নাই বললাম। ভালোলাগাটা উপভোগ করা যাক।
আপনার কাছ হতে এরকম আরো লেখা আশা করছি।
"প্রবাসে দৈবের বশে"
এটা তো মনে হয় মাইকেল মধুসূদন দত্তের একটা কবিতার লাইন।
লেখা সুপার হিট!!!
এইসব তবলিগ আমারেও জালায়! সমস্যা একটাই, যতোই বলি ধর্ম নিয়ে আমি বেশি পড়ে এখন আফসোস করছি, ততোই আরোও জেঁকে ধরে।
টেলিফোন আর ক্রেডিট কার্ডের লোকদের অবশ্য কড়া করে 'না' বলাটা শিখে নিয়েছি।
আপনার বিষয়বুদ্ধিটা তেমন সুবিধার না । একমাত্র ঈশ্বরের সাবস্ক্রিপশনটাই ফ্রি পেতেন , ওটা বাদ দিয়ে টাকা পয়সার দিকে গেলেন ।
অসাধারণ!!!!!!!!!!
সচলাসক্তি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য লগইন থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করছি। তবে এ লেখা পড়ে মন্তব্য না করলে তা রীতিমত অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
লেখা জব্বর জোশিলা হইসে
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হিমুর বিয়ের বয়স হইছে, প্রত্যেকটা প্যারার শেষ লাইন এসে মেয়েদের মধ্যে ঠেকছে। মায়া লাগে পোলাডার জইন্য।
আমি চুবা খাইয়া খাইয়া কঠিন হৃদয়া এখন, সাবস্ক্রিপশনের গল্প একটা কোথায় আমিও যেনো লিখে রেখেছি, খুঁজতে হবে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তানবীরাপা অভিজ্ঞ মানুষ। আমি তার কথায় সায় দিই।
- কিন্তু হিমু তো বিয়া করতে রাজী হয় না, ডরায়। আমি তার লাইগ্যা মহিলা ঠিক করছিলাম তো! তিনি আবার প্রথিতযশা নাচুনে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হিমুর সেই নাইজেরিয়ান বান্ধবীর কথা কৈতেছো ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
স্প্যাম মেইলের মতো স্প্যাম বান্ধবী গছাইতে চান কেনু কেনু কেনু? ইদি আমীন পাইসেন আমারে?
সোমত্থ ওলন্দাজনী পাইলে আওয়াজ দিয়েন।
শব্দটা 'সোমত্ত' নাকি 'সোমত্থ'?
লেখাটা খুবই মজা লাগল।
সৈয়দকে ভাগালে যদি আরেক পাকি এসে না ওঠে, তাহলে তো ওকে ভাগায়া দিলেই পারেন।
অনেকদিন পরে তোর এই সিরিজের লেখা পড়ে ভাল লাগল খুব।
চালিয়ে যা।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভালো হইছে। খাসা।
একবার দুই খেরেস্তান মহিলা আমাকে রাস্তা থেকে হাইজ্যাক করে একবারে চার্চে নিয়ে গিয়ে হাজির করে। ভাষার ব্যবধানে কোন আপত্তি টিকে নাই। দুপুরের খানার জন্য অবশ্য সেদিন প্রভু জীশুকে সীল দেয়া গেছে। তবে কি খাইছি জানিনা।
ঈশ্বর কিন্তুক নজর রাখছে তুমারুপর....শৌচাগারেও...
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
এই সংখ্যা অসাধারণ লাগলো।
মন্তব্য করার কিছু নাই। তবুও জানিয়ে গেলাম যে পড়া হয়েছিল।
লেখাটি পড়ে খুবই মজা লাগলো। আমি একটু অবাক হ'লাম যে এখনো টেলি মার্কেটারেরা ব্যবসা করছে ওখানে। নানান রকমের আইনের ফ্যাঁকড়ায় পড়ে আমেরিকাতে এখন এদের খুবই দুর্দিন। তাবলীগ (তা সে যে ধর্মেরই হোক না কেন) পীপলদেরকে থামানো অবশ্য মুস্কিল। তারা কোন আইনের তোয়াক্কা করেনা। সেদিন একজন বাসায় ফোন করে বললো,"আই হ্যাভ গুড নিউজ ফর ইউ।" মন্দা অর্থনীতির কারণে নাভিশ্বাস ওঠা একজন মানুষ আমি। বললাম,"তাই নাকি? বলো, তাড়াতাড়ি বলো।" "আওয়ার লর্ড উইল সেইভ ইউ। ইজন্ট দ্যাট ওয়ান্ডারফুল?" রাগের চোটে ফোনটাকেই প্রায় ভেঙে ফেলেছিলাম সেদিন।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
"দুইজন একসাথে ঈশ্বরের নাম ধরে ডাক পাড়তাম। "
হে হে হে (চ্রম খ্রাপ হাসি)
নতুন মন্তব্য করুন