ভেতো

খা বাঙ্গালী হাত ডুবিয়ে ভাত খা...

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।

শেষ দুই প্যারা পড়ে হাহাহা করে বেশ কিছুক্ষণ হাসলাম।

হ । ভাতের বদলে অন্য জিনিস দিয়া পেট ভর্তি কৈরা ঘুমাইলে মাঝরাইতে ঘুম ভাইঙ্গা ভাবতে হয় কি জানি করি নাই - কি জানি করি নাই ... ভাত-সবজি ভাজি-তরকারি-ডাইলের রিপ্লেস সম্ভব না ।

এইবার নাকি দেশে আলু হয় নাই ঠিকঠাক...
আলু বিপ্লবের যে কি হবে?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

হিমুর, ইদানিং প্রায় প্রত্যেক লেখা মেয়েতে এসে কেনো যেনো শ্যাষ হচ্ছে !!!! ঃ)

"হাগন" ব্যবহার করছো প্রায় প্রত্যেক লেখাতেই এমনকি মন্তব্যও, কারন কি ???

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

কথা সত্য ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

ভারী সত্য কথা বলেছেন হিমুদা, ভাতের উপরে কিছু নাই, বিদেশে এসে তা বুঝতে পারলাম। আসলে পানি না, ভাতের অপর নাম জীবন। ভোট দিবার ক্ষমতা থাকলে ১ কোটি ভোট দিতাম, ভাগ্যিস নাই, হে হে হে।

সাইফ

একমাত্র বিদেশের মাটিতে কিছুদিন থাকলেই বুঝা যায় ভাত কী জিনিস।
এর বিকল্প এখনো কেউ বের করতে পারলো না!

হিমু - আমিও ভয়ংকর ভেতো !!!! অবশেষে, আপনার একটা লেখা পড়ে আপনার বুদ্ধিশুদ্ধির ওপর একটু শ্রদ্ধা জন্মালো!

আহা, এটাকে বলে জীবনের চটকানা - এই মেগাসাইজ চটকানা খেলে প্যাংসারা কুয়ারাদের সাথে হাত ধরাধরি করে পগারপার হয়

আমিও ভীষণ রকম ভাতের পাগল। তা না হলে চালের দাম এতো বাড়লেও মাসের বাজারের ফর্দের প্রথমে চাল থাকে কি করে?

আমার প্রথম বই 'টমবয় নিশো ও তার বন্ধুরা'

আরে কী কান্ড!
"সব পথ শেষে
মিলে গেল এসে,
তোমারি দু'খানি নয়নে।"

কেস দেখি গড়বড়!

লেখা মজার।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

দেশে থাকতে ভাতের চেয়ে অন্য খাবারের প্রতি আকর্ষণ ছিলো বেশি! কিন্তু ভিনদেশে এসে একবেলা ভাত না খেলে পেট ভরে না!
ধন্যবাদ হিমু ভাই মনের কথাগুলো বলার জন্য।

- দোস্ত, সবই ঠিকাছে, সবই মানলাম কিন্তু ওই যে শেষের বাক্যটা! দিলি তো ওইটাতেই গরবর লাগায়ে। কোনো চৈনিক বালিকা খাটে উঠলে, আগে ভাত খাইয়া, গায়ে তাগদ বাড়ায়া তারপর নাহয় তেলওয়াৎ শুরু করলি, কিন্তু তাই বলে স্বর্গের হুরপরী...!

নাহ্ দোস্ত, আমার নির্লিপ্ততায় তোর কইলজায় দিনকেদিন পানি বাইড়া চলতাছে! হুরপরীর ব্যাপারে রিস্কটা নিস না দোস্ত, তোর ভালো চাই বইলাই উপদেশটা দিলাম। পরে দেখবি ঘর ভর্তি কালো মিচমিচা আণ্ডাবাচ্চা না হৈয়া গুলাবী ধুগো জুনিয়রে ঘরবাড়ি সয়লাব হৈয়া গেছে তোর!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আহা দুর্দান্ত লিখেছেন ভায়া, সব দেশিবিদেশি জিনিস ফেলে খাই মাছের ঝোল আর ভাত। এ বস্তু জেনেটিক কোডে ঢুকে গেছে, কোনো খাদ্যই একে সরিয়ে সিংহাসন নিতে পারবে না।

ভাইরে ভাতের কষ্টে আমিও অনেক ভুগছি, প্রথম এই দেশে আসার পর প্রায় মাসখানেক ভাতের কষ্টে প্রায় পাগল হয়ে গেছিলাম। তারপর আর টিকতে না পেরে প্লেনের টিকেট কেটে হং কং গিয়ে ঠেসে কয়েকদিন ভাত খাইলাম, তিন দিনে ওজন বাড়ছিল দুই কেজি কিন্তু মুখে হাসি ফিরে আসছিল। এই নিয়ে একটা পুস্ট দিতে মন চাইতেছে...ক্যান জানি হিমু মিয়া কিছু একটা নিয়া লিখলে ঐটা নিয়া আমারো লিখতে ইচ্ছা করে...ভালো গিয়াঞ্জামে পড়লাম।

"খাওয়াকে আমার একটা রুটিন ঝামেলা" ‍‌বলেও খাওয়া নিয়ে রসালো লেখাতে পাঠকের রসনা তো জবজবে করে দিলেন।

"নিজের রান্না খেয়েই মানুষ কেবল অপরের রান্নার দোষগুণ ধরতে পারে"
১০১% দ্বিমত।

জীবনে রান্নাবান্না না করেও সফলতার সাথে অন্যের রান্না খেয়ে দোষগুন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। রাঁধুনির তীব্র চাহনিও আমাকে একতিল দমাতে পারেনি। বলে- "একটা ডিমভাজার মুরোদ নেই, আবার দোষধরা।"

আমি বলি-"আমি ডিম পাড়ি না, মুরগী পাড়ে, তাই বলে কি মামলেটের স্বাদ মুরগী আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবে?"

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

ভাত খাওয়া মনে হয় বন্ধ করে দিতে হবে পোস্টটা যখন দেই তখন ভেবেছিলাম বিদেশে এসে একমাত্র আমিই বোধহয় ভেতো রয়ে গেছি, বাকীরা হয়তো স্মর্ট বনে গেছে। সেই পোস্টে আপনি প্রথম মন্তব্যে উল্লেখ করেছিলেন ভাতের বিকল্প অভ্যাস করার কথা। যাক এতদিন পরে আবার প্যাভিলিয়নে ব্যাক করা দেখে স্বস্তি পেলাম-- আমি তাহলে একা নই।

আরেকটা কথা, কুয়ারা শব্দটা যতটা জানি আমাদের এলাকার মায়েরা বলেন। আপনার মায়ের সাথে আমার মায়ের শব্দ চয়নের মিলের কারণ কী হতে পারে? একই এলাকার?

...............................
নিসর্গ

হা: হা:। সাধে কি কয় 'মাছে-ভাতে বাঙ্গালী'?

কোন রাশিয়ান লেখকের বইয়ে জানি পড়ছিলাম রুটি খাইতে না পাইয়া যুদ্ধের সময় এক রাশিয়ান যুবকের অন্য দেশে ধীর মৃত্যুবরণের কাহিনী; যদিও অন্য আরো নানা খাবার ছিল ওই দেশে। এইবার বুঝলাম ক্যান।

এইটার নিশ্চয়ই একটা সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা আছে। জানলে জানামু!

গত তিনবছরে নানারকমের ইয়েমারা খেতে খেতে ভাতের কষ্ট কমে গেছে আমার।

আমার বাসায় একমাত্র আমিই ভেতো, বাকি সব অন্যকিছুতে মজে যায়। দুশ্চিন্তায় আছি সেজন্যে।

আমিও ভেঁতো। আজকাল ২ বেলা ভাত চালাচ্ছি। তবে আমি মিলিয়ে খাই। আপনি যেপথে হেটেছেন আমিও সেইপথেই হাটছি, এখনও। তবে কোনওটাই এক নাগাড়ে চালাই না, একমাত্র ভাত ছাড়া ভাতটা সবসময়ই চলে।

আর পাস্তা নিয়মিত বেশিদিন খাইলে 'ইয়ের' গন্ধ বদলে যায়। টয়লেটে বসে নিজের 'ইয়ে' অপরিচিত লাগে। সেইটা আমার অপছন্দ।

আমার কোনওকালেই ভাতের প্রতি তেমন আকর্ষণ ছিলনা। অন্য খাবারের দিকেই লোভটা বেশি সবসময়। তবে লেখা হয়েছে দারুন সরেস।
-------------------------------------------------

এমনি কী আর কবি বলেন, সাদা জুঁই তুমি সাদা ভাত হও।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

'ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র খাব!'

------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ভাতে শান্তি, ভাতে সুখ, ভাতে ঘুম...

এক্কেরে ঠিক কথা!
একলা-বাসে দেখলাম বহুকাল, ভাত ছাড়া এখনও রক্ষা নাই।
বহুকিছু ট্রাই করে দেখেছি, বেশিদিন কোনোটাই সহ্য করা যায় না।
ভাতই কেবল মায়ের মতো একমাত্র নারী যেন, যাকে সারাজীবনই ভালো লাগে।

প্যাংসা, কুয়ারা- দুইটা শব্দই কমন পড়লো ভালো।
মজা পেলাম।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

আমি প্রথম বিদেশে আসার পরে ফ্রেন্ডরা যখন কইলো, হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট নে, তখন মনে হইছিলো ভাত খাইতে যাচ্ছি। দীর্ঘ বিমান ভ্রমণে অখাদ্য কুখাদ্য খাওয়ার পরে ভাতের আশায় চকচকে চোখের সামনে যখন কলা-কেক আসতে থাকলো, তখন যে ছ্যাঁকাটা খাইছিলাম, কোনো মাইয়াও আজতক সেই ছ্যাঁকা দিতে পারে নাই।

তবে এখন মেদভুঁড়ির গ্যাঁড়াকলে পড়ে ভাতের বদলে সালাত খাওয়া শুরু করেছি, অবশ্য উইকেন্ডে পুষিয়ে নেই। সারা উইকে ওজন কমে ২ কেজি,উইকেন্ডে বাড়ে আড়াই কেজি, বাঁদরের তৈলাক্ত বাঁশের মত ভুঁড়ির সাইজ আর কমে না।

"জেলখানাতে ভাত খাইছে দেড় বছরের কাছাকাছি
তারপরও হুঁশ হয় না তার করে শুছু বাছাবাছি "

এই মহান ভানী হামার না... চর্ব্যগুণসম্পন্না হোজ্ঞলের চুখেরমনি 'মমতাজ আফা'

"জেলখানাতে ভাত খাইছে দেড় বছরের কাছাকাছি
তারপরও হুঁশ হয় না তার করে শুছু বাছাবাছি "

এই মহান ভানী হামার না... চর্ব্যগুণসম্পন্না হোজ্ঞলের চুখেরমনি 'মমতাজ আফার'

ফুনশ্ছঃ এট্টা ভেশী হয়ি গেছে... কাডি দেন।