বেশ কিছুদিন ধরে মনে হচ্ছে, অবসর সময়টুকুই হয়তো একজন মানুষকে সংজ্ঞায়িত করে।
নিজের কাজের সময়টুকু সবাই একই মনোযোগ বা নিষ্ঠার সাথে ব্যয় করে না। এ নিয়ে বহু পরীক্ষানিরীক্ষা হয়ে গেছে। কিন্তু নিজের অবসরটুকু মানুষ কিভাবে ব্যয় করে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে হয়তো মানুষের আরেকটা ছবি তৈরি হবে চোখের সামনে। শেষ পর্যন্ত, নিজের অবসরে এসেই হয়তো মানুষের প্রকৃত চেহারা চোখে পড়ে, কর্মব্যস্ত মানুষের মুখে মোটামুটি একই মুখোশ, দলবল ছাড়ি একা দুই পায়ে পিলপিল চলে সবাই। অবসরের সময়টুকু কেউ কাটায় অন্যের সাথে, কেউ নিজের সাথে, কেউ অন্যের জন্যে, কেউ নিজের জন্যে।
এখানে মাঝে মাঝে পথের পাশে রং মেখে মূর্তি সেজে দাঁড়িয়ে থাকে পথ-অভিনেতারা। কেউ পয়সা ছুঁড়ে দিলে সামান্য একটু নড়ে তাকে অভিবাদন জানিয়ে আবার ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে নিশ্চুপ, পাথুরে মুখ করে। অবসরের সময়টুকুতে সে একটু দূরে গিয়ে রং করা মুখে সিগারেট ধরায়, কিংবা একটা বিয়ার খায়, ধোঁয়া ছাড়ে রিং পাকিয়ে, বিয়ারে বিষম খেয়ে কাশে। নিশ্চিত জানি, সে আসলে ঐ সিগারেট ঠোঁটে লোকটিই, কিংবা বিয়ারে চুমুকরত মানুষটিই। আবার যে লোকটি অবসর শেষে রং মেখে বেদীর ওপর দাঁড়ায়, সে শেষ বিচারে একটা মূর্তিই শুধু।
মন্তব্য
লাপ্লাস করতে করতে বিচারা টার্য়াড।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
মামুর বিটা তুমার রেফ এ সমস্যা ...
কবিতাটা অসাধারণ হয়েছে। পাঁচতারা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আফরীন! আফরীন!
কঠিন সত্যি, কেমনে যে এমন গুছায় লেখেন??
খুব ভালো লাগলো, এমন গভীর লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম। এ তো ছোটোগল্পের উপাদান, একেবারে সরাসরি! প্রথম গল্প লিখেই হয়তো এখন সবখানে উপাদান খুঁজি, কিন্তু এইটা ক্লাসিক লাগলো!
যদি এমন লেখা পাই তাহলে কম লিখছেন বলে অভিযোগ করবো না।
মূলত নিজেরই সাথে, কিন্তু প্রায়ই অন্যের জন্য, আবার হয়তো নিজেরও জন্য। ইন্টারনেট জিনিসটাকে কতই না পাল্টে দিয়েছে। একটা অনলাইন ওয়ারক্রাফট-৩ বা একটা MMORPG-ই ধরেন!
ভালই লাগলো।
হিমুর বিরুদ্ধে যতৈ বদনাম, এই পুলাডা একটা মালই বটে। কেম্নে কি এতো ফাইন লিখে। না কমেন্টাইয়া পারলাম না।
পেলাস। [ মনে মনে ]
'কে হায় প্রায়শ্চিত্তের পেয়ে গেলো অবসর
আমার তো পাপ করবার সময়টুকুও নেই।'
...
দারুণ !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ইশ। হিমুর মত যদি লিখতে পারতাম।
L ( পথের পাশে মূর্তি ) = সিগারেট ঠোঁটে লোকটি, কিংবা বিয়ারে চুমুকরত মানুষটি
L ( লাপ্লাসের ঠেলায় কাবু হিমু ) = জটিল জটিল লেখা লিখে যেই হিমু
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
চমৎকার করে লিখে দিলেন একট চরম সত্য।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
দারুণ।
আচ্ছা, 'কিভাবে' এবং 'কীভাবে' - কোনটা ঠিক? কোনটা কোথায় ব্যবহার করতে হয়?
কিভাবে ভুল। কীভাবে শুদ্ধ। আমার -১ (
নতুন মন্তব্য করুন