প্রথম আলোতে পড়লাম, স্কুলে প্রাক নির্বাচনী আর নির্বাচনী পরীক্ষার মূল্যায়ন অভিন্ন করার লক্ষ্যে একই দিনে সারা দেশে একই প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হবে। সাথে সাথে মাথায় খেললো প্রশ্নটা, টেস্ট পেপারের ব্যবসা কি তাহলে শেষ?
মনটা উদাস হয়ে গেলো। চৌদ্দ বছর আগে এক একটা সুন্দর সকাল আর দুপুর পণ্ড করেছি সেই জগদ্দল নিউজপ্রিন্টে ছাপা খুদি খুদি হরফশোভিত ভয়াবহ পুস্তকের পৃষ্ঠা উল্টিয়ে। সারা দেশে এত এত স্কুল, আর তাদের বিখাউজ সব টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নের গাদা, কোন দুঃখে আমাকে সেগুলি সমাধান করতে হবে, সেই ফরিয়াদ মুখ ফুটে জানাতে না পেরে বুকের ভেতর পুষে কলম চালিয়ে গেছি। বিধাতার মৃত্যু হয়েছিলো তার বছরখানেক আগেই, তিনি কফিনে শুয়েই হাসছিলেন নিশ্চয়ই।
মেসেঞ্জারে পেয়ে টোকা দিলাম আনোয়ার সাদাত শিমুলকে। দেখলাম সে-ও স্মৃতির ঘায়ে মূর্ছা গেলো। সারা দেশের কত কত স্কুলের নাম জানা যেতো টেস্ট পেপার পড়ে। নোয়াখালি জেলার স্কুলগুলি যে হুদাই বেশি কঠিন প্রশ্ন করতো, এ ব্যাপারে একমত হলাম আমরা এতদিন পরও। টেস্ট পেপারের ঘ্রাণও শিমুল ভোলেনি। হায় সেই সোনালী সময়, কী যে দাগ কেটে গেছে বুকের ভেতর, এতগুলি বছরের অভিজ্ঞতার পলি-আবর্জনা দিয়েও তাকে ভরাট করা যায় না, বেহায়া হলরেখার মতো সে দাঁত বের হাসে শুধু।
এরপর আলোচনা হচ্ছিলো কী কী জিনিস হারিয়ে যাচ্ছে এভাবে, তার একটা তালিকা করা নিয়ে। যা পেলাম, সেগুলো হচ্ছে এমনঃ
- টেলিগ্রাম
এ জিনিস আমি কখনো আসতে দেখিনি। পরিচিত কাউকে পেতেও দেখিনি। কিন্তু এককালে সে ছিলো, আজ আর নেই। টেলিগ্রামের স্মৃতি নিয়ে কারো কিছু বলার থাকলে, বলুন প্লিজ। পরের মুখেই ঝাল খাই।
- রোটারি ডায়াল
এখন তো হাতে হাতে মোবাইল। ঘরের ফোনের সেটও বাটনপ্রেস ডায়াল। পুরনো সেই আদিম রোটারি ডায়ালে চার ডিজিটের নাম্বারে ফোন করার স্মৃতি ভেসে উঠলো চোখের সামনে। কত মধুর, কত বেদনার স্মৃতি জড়িয়ে আছে তার সাথে! মনে পড়ে, বহু বছর আগে একবার আব্বা দুপুরে বাড়ি ফিরে আমাকে সাথে করে নিয়ে গেলেন অফিসে। তখন আমাদের সেই ছোট্ট পাহাড়ি শহরে রাতে মাঝে মাঝে কারেন্ট থাকে না, দি এ-টিম দেখতে পারি না। ঠিক রাত দশটার খবরের সময় ফিরে আসে কারেন্ট। এই পাশবিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর নির্বাচিত হয়েছে আমার, বাবার এক সহকর্মী এই বুদ্ধি দিয়েছেন, পিচ্চিকে দিয়ে একটা ফোন করান। আব্বা নাম্বার লিখে দিলেন, ফোন ডায়াল করার দারুণ শখ আমার, নিজেই ডায়াল করলাম পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কোন এক প্রকৌশলীকে। তিনি ফোন ধরলেন গম্ভীর গলায়, হ্যালো! আমিও গম্ভীর হয়ে বললাম, হ্যালো, আমি হিমু বলছি! আমাদের বাসায় রাতে কারেন্ট থাকে না! আমরা দি এ-টীম দেখতে পারি না! ভদ্রলোক কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে খুকখুক করে হাসলেন, তারপর বললেন, কোথায় তোমাদের বাসা? বাসার ঠিকানাই দিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, ঠিক আছে। আজ আর কারেন্ট যাবে না। আমি ফোন নামিয়ে রাখতে যাচ্ছি, আব্বা বললেন, থ্যাঙ্কিউ বলো! আমি আবার পাড়া কাঁপিয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে ফোন রেখে দিলাম। আব্বার কয়েক সহকর্মী বসে বসে ঘটনা দেখছিলেন, তারা একচোট পিঠ চাপড়ে দিলেন এসে। এবং সত্যি, সেদিন কারেন্ট যায়নি! লিখতে লিখতে মনে হলো, সেই শিশুর কাছে প্রতিজ্ঞা করার মতো প্রকৌশলীও বুঝি আজ হারিয়ে গেছেন।
- পত্রমিতালি
শিমুল যোগালো পরের এন্ট্রি। পত্রমিতালি! আমার শৈশবে আমার বড় দুই ভাই ছুটিতে ফিরে অফুরন্ত প্রাণশক্তি নিয়ে সবসময় আমাদের ছোট্ট বাসাটা মাতিয়ে রাখতেন, তারা পত্রমিতালি নিয়ে দীর্ঘ সময় হইহই করেছেন। দুই ভাই-ই পত্রমিতালির পার্টনার যোগাড় করেছিলেন জার্মানীতে। এখনও মনে আছে সেই দুই মিষ্টি চেহারার তরুণীর নাম, বড় ভাইয়ার পত্রমিতা রেবেকা, ছোট ভাইয়ার পত্রমিতা নাতাশা। তারা মাঝে মাঝেই নিজেদের ছবি পাঠাতো, ভাইয়ারাও সেজেগুজে ছবি তুলে তাদের পাঠিয়েছে, দেখেছি।
- সাইবারক্যাফে
শিমুলের এন্ট্রি। না, পুরোপুরি উঠে যায়নি। তবে শহর থেকে হয়তো হারিয়ে যাবে। দুয়েকটা টিকে থাকবে এখানে ওখানে। টু-স্ট্রোক অটোরিকশার মতো বাকিগুলো একদিন মুখ লুকিয়ে ক্লান্ত পায়ে হেঁটে বেরিয়ে যাবে বড় শহর থেকে, অধোমুখে পৌঁছুবে দূরের মফস্বলে, তারপর জায়গা করে নেবে।
- সিঁদ কেটে চুরি
গ্রাম থেকে নাকি হারিয়ে যাচ্ছে এ জিনিস, শিমুল জানালো। সিঁদেল চোরের হাতেও এখন শটগান, সে এখন তেল আর গায়ে মাখে না, থানার ওসিকে দেয়। গ্রামেও সিঁদ দেয়ার মতো বাড়ি কমে যাচ্ছে।
- ফাউন্টেন পেন
কেউ কি আর ফাউন্টেন পেন ব্যবহার করে এখন? কালির দোয়াত কেনে? টিপে টিপে টিউবে কালি ভরে লেখে? পেনম্যানশিপ চর্চার জন্যে ফাউন্টেন পেনে রোমান হরফ গুঁতিয়েছি কত! কলেজে পার হবার আগেই হাতে লেখার খাটনিকে বিদায় জানিয়ে কীবোর্ডকে আপন করে নিয়েছি কয়েক মাসের মধ্যে। জানি না ফাউন্টেন পেন এখনও আগের গাম্ভীর্য নিয়ে স্কুলের শিশুদের জ্যামিতি বক্সে থাকে কি না।
- স্ট্যাম্প অ্যালবাম
স্ট্যাম্প জমাতাম পাগলের মতো। এই স্ট্যাম্প জমানো নিয়ে বন্ধুদের সাথে মারপিট করেছি, দোকানে নতুন স্ট্যাম্প আসার খবর পেয়ে রেসিং সাইকেলের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুট লাগিয়েছি স্কুল ছুটি হবার পর, প্রবল যত্নে আদ্যাক্ষর ধরে ধরে অ্যালবামে স্ট্যাম্প সাজিয়েছি। আমি যখন স্ট্যাম্প জমানো ছেড়ে দিই, তখন জমানো স্ট্যাম্প দিয়ে যাবার মতো কাউকে পাইনি। মনে আছে, একবার স্কুলে এক ফেল্টুশ সিনিয়র সহপাঠীকে ইংরেজি পরীক্ষায় প্রায় পুরোটা সময় খাতা দেখিয়েছিলাম। পরীক্ষার যেদিন ফল বেরোলো, সেদিন সে সুন্দর বাদামি খামে ভরে নিয়ে এসেছিলো তার পুরো স্ট্যাম্প অ্যালবাম, ইংরেজিতে উৎরে যাওয়া উপলক্ষে ... ঘুষ নয়, উপহার। আজও নিশ্চয়ই অনেকে স্ট্যাম্প জমায়, অ্যালবামেই তারা সেগুলো গুঁজে রাখে। কিন্তু, আগের মতো কি?
- এক পাতার হলুদ সরকারী ক্যালেন্ডার
সরকার হয়তো থামেনি, ছাপিয়েই চলছে, কিন্তু বাসায় তো আর আসতে দেখি না। পরিবারগুলোও পড়েছে বেসরকারীকরণের মুখে।
কিন্তু অনেক কিছুই হারায়নি। মশার কয়েল টিকে গেছে, টিকে গেছে হারিকেন আর হাতপাখা। শহর থেকে মশা বা লোডশেডিং দূর হয়নি, আর আজও আইপিএস আর জেনারেটর সবটুকু অন্ধকার আর গরম দূর করতে পারে না, মনে হয় না আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেও পারবে। টিকে গেছে মাসিক মদিনা, ইউনিকোডেড অনলাইন সংস্করণেও আছে সে। পুরনো প্রেমের তিক্ত স্মৃতির মতো টিকে গেছে আরো অনেক কিছু।
মন্তব্য
টেস্ট পেপার জিন্দেগীতেও সলভ করিনি। সেজন্যই বোধহয় ভালো রেজাল্ট করতে পারিনি-- এধরনের একটা অপবাদ এখনো মাঝে মাঝে শুনতে হয় । আমাদের পরীক্ষা ব্যবস্থার যে ধরন, তাতে বেশী বেশী প্রাকটিস করলে ভালো ফল দেয়, সেটা কিছুটা স্বীকার করি।
শুধু পত্রমিতালী কেন চিঠি লেখাও উঠে যাচ্ছে না? ফাউন্টেন পেন এসএসসির পরে ছেড়েছি। শেফার আর পার্কার কলমটা আজো আছে। সাইবারক্যাফে হয়তো পুরাপুরি উঠে যাবেনা কখনোই।
প্রি-প্রাক-নির্বাচনী টেস্ট পেপার বের হবে!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
টেস্ট পেপারের কাজ ছিল আমার কাছে দুটি। প্রশ্নপত্র ঘেটে বাংলা ও ইংরেজি রচনা কমন ফালানো, আর ইংরেজি ট্রান্সলেশন করা। উভয় ক্ষেত্রেই আমি কোন স্কুলের/কলেজের ধার ধারিনি। ৫ বছরের বোর্ডের প্রশ্ন ঘেটেছি শুধু।
এস এস সি তে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা দিতে গিয়ে অবাক বিস্ময়ে খেয়াল করলাম, আমার পাঁচটা ট্রান্সলেশনই কমন পড়েছে!!!
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হাহাহাহা...।
আপনি পারেনও মামারে...
হিমু ভাই, খুব ভাল লাগলো না... মন খারাপ করে দিলেন।
ফাউন্টেন পেনের স্মৃতিটা মারাত্মক...।
নীল রঙের 'জেম' কালি, আরমান জেম। কালো রঙেরটার নাম মনে পড়ছে না, 'ইয়ুথ' সম্ভবতঃ। দাদার দেয়া পারকার কলমটা ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষার ক'মাস আগেই হারিয়ে ফেললাম...। কী কান্না সেদিন...
আরো কিছু যোগ করি-
১) হারিয়ে গেছে দৈনিক ইত্তেফাকে সিনেমার সাদাকালো বিজ্ঞাপন। চলিতেছে কিংবা আসিতেছে; ঢাকা নারায়নগঞ্জসহ সারাদেশে...। কতোদিন ভেবেছি, ঢাকা-চট্টগ্রাম না বলে, ঢাকা-নারায়নগঞ্জ বলে কেনো...। বিজ্ঞাপনের নিচে লেখা থাকতো - সনি (ঢাকা), জোনাকী (ঢাকা), আলমাস (চট্টগ্রাম), পালকি (ফেনী), পরাগ (বাড়বকুন্ড), মনিহার (কুষ্টিয়া); এরকম আরও কতো কতো সিনেমা হল আর জায়গার নাম। একটা সময় পর্যন্ত ভাবতাম ওগুলো অভিনেতা অভিনেত্রীদের নাম আর বাসার ঠিকানা। ঃ)।
আরও ছিলো রেডিওতে নাজমুল হুসাইন - মাজহারুল ইসলামের 'হ্যাঁ ভাই আসিতেছে' হাঁকে; ১০ মিনিটের বিশেষ অনুষ্ঠান। ২০০৫ এর পরে সেটাও হারিয়ে গেছে...।
২) হারিয়ে যাচ্ছে - লোহার শিক আগুনে পুড়িয়ে কিংবা এসিড দিয়ে হাতে প্রেমিকার নাম লেখা। (আহা, সাইফুল মামার হাতে কী আগ্রহ নিয়েই না তাকিয়ে ছিলাম বালকবেলায় S+F, হায় ফেরদৌস হায়, পরে অন্যের ঘরণী হয়েছিলো)
৩) হারিয়ে গেছে - মিস্টার রেহমান, যাযাদি'র বিশেষ সংখ্যা। প্রেম অপ্রেমের রগরগে গল্প।
হাহাহাহা
ইয়ুথ আর কোনিকা। এক দিস্তা কাগজ কিনে এনে সেলাই করে খাতা বানানো, তার প্রথম পাতায় কায়দা করে নিজের নাম লেখা ... যদিও পেছনের পাতাগুলি ভরে থাকতো শয়তানিতে। কাঁটাকম্পাসে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম শার্প করা পেন্সিল লাগিয়ে সম্পাদ্য আঁকা, ত্রিভূজের অন্তর্কেন্দ্র পরিকেন্দ্র, ভূগোলের রাফ খাতায় নিজের দেশের চেয়ে যত্নে বার্মা আর শ্রীলঙ্কার ম্যাপ আঁকা শেখা।
- এরকম একটা ধারনা প্রচলিত ছিলো যে ফাউন্টেন পেন দিয়ে লিখলে লেখা সুন্দর হয় আর শিষ কলম (মানে বল পয়েন্ট) দিয়ে লিখলে লেখা খারাপ হয় । মনে আছে প্রথম শিষ কলম ছিলো ইকোনো । তারপর আসলো রাইটার ।
- ফাউন্টেন পেন সাবধানতার সাথে হ্যান্ডেল করা লাগতো । জ্যামিতি বক্সে গণহারে ফালায় ক্যারি করলে কালি ঝরতো । মাঝে মাঝে কালি ঝরে কলম ফাকা হয়ে যেতো ।
- নতুন ফাউন্টেন পেন দিয়ে পরীক্ষা দেয়া রেকমেন্ডেড ছিলো না । খসখস করতো কাগজে । কয়েক দিন লেখার পর একটু স্মুথ হতো ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হেড স্যারের কড়া নির্দেশ ছিল, বলপেন ধরাই যাবে না। আমি যখন ক্লাস ফাইভে তখন ইকোনো ডি-এক্স আসলো। গোপনে গোপনে একটা দিয়ে লিখলাম কয়েকদিন।
ফাউন্টেন পেনের আরেকটা স্মৃতি আছে, কারো কালি শেষ হয়ে গেলে রিফিল টিপে কালি ধার দেয়া/নেয়া। কিংবা হাতের ঝাঁকুনিতে টেবিলে কয়েক ফোটা কালি ফেলে, অন্য কলমের নিব দিয়ে তুলে নেয়া।
বাঁদরামিঃ
সামনের সারিতে বসা-জনের শার্টে পেছন থেকে আলতো করে ফাউন্টেন পেনের নিব লাগিয়ে রাখলেই হতো। শার্ট শুষে নিতো কালি। ক্লাস শেষে হেইও-হেইয়ো...
সবচেয়ে সস্তা কালিটার নাম ছিলো "কমেট", আর মোটামুটি দামীটা "ইয়ূথ"। নরমাল বাড়ীর কাজ, শ্রেনীর কাজের জন্য কমেট বরাদ্দ ছিলো, ইয়ূথ শুধু পরীক্ষার সময় ব্যবহার করতাম।
এখন বুঝি রবিবাবুর আমার ছেলেবেলার মর্ম, তখন ভাবতাম বুড়োটা এত কিছু মনে রাকছে কিভাবে, নির্ঘাৎ চাপাবাজি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
- চক-স্লেট
- ভিসিপি-ভিসিআর
- টেপ-ক্যাসেট (টাইপ ১, টাইপ ২, মেটাল ইত্যাদি প্রকার ছিলো), গান শোনার জন্য এলিফেন্ট রোডের রেইনবোতে গিয়ে গানের লিস্ট ফিলাপ করে দিয়ে আসা লাগতো । এক সপ্তাহ পরে সেই রেকর্ড করা গান নিয়ে বাসায় টেপরেকর্ডারে চালানো । সেরাম বিষয় ছিলো সব ।
- ফ্লপি ডিস্ক । এই জিনিস গেছে ভালো হৈছে । ফ্লপির ফাইল ওপেন না হওয়া সংক্রান্ত বহুত কেলেঙ্কারির কথা এখনো মাঝে মাঝে মনে হয় ।
- ইত্তেফাকে এখনো টারজান ছাপা হয় ?
- এ সপ্তাহের নাটক, মুভি অব দ্য উইক, শুক্রবারে দুপুরে থান্ডারক্যাটস, বুধবার রাতে নাইট রাইডার ।
- টাইপ রাইটার
- টেস্ট পেপারের মতো মোটা বই আরো একটা ছিলো । মেইড ইজি সিরিজের বইগুলো । ডিগ্রী ক্লাসের চোথা কম্পাইলেশন ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আহা টারজান!! প্রতিদিন অপেক্ষা করে থাকতাম! আর, চাচা চৌধুরী, ফ্যান্টম, বিল্লু, নন্টে-ফন্টে... তারপর ছোট ছোট হি-ম্যান...
অনেক বিখ্যাত গাইড আসিলো... পাঞ্জেরী, রয়েল... আরো কি কি...
স্যারদের বাসায় ব্যাচের পর ব্যাচ... লম্বা টেবলে সব বন্ধু টেস্ট পেপার সল্ভ করা...
ফ্লপি ডিস্ক নিয়া কত গেঞ্জামরে ভাই... লাইফ হেল হয়া যাইতো...
থান্ডারক্যাটস, হিম্যানো দেখানো হইতো... আমি এখনো টিনটিন উল্টায়া দেখি... তারেকরে দিয়া কিনাইসি তারপর এখানে আনাইসি... হা হা...
টিপু সুলতান দেখতাম। বাসার টিভি নষ্ট হয়ে গেল। পাশের বাসায় গিয়ে দেখতাম। আম্মা রাগ করতো। মাঝে মাঝে যাইতে দিত না। আমি বারান্দার ওখানে রেলিং দিয়ে উঁকি মেরে উলটা দিকের ফ্ল্যাটে দেখার চেষ্টা করতাম...।
সকালে স্পাইডারম্যান...
বিকালে আম্মা খেলতে যাইতে দিতো না মাঝে মাঝে... আমি বারান্দায় দাঁড়ায়া বাসা ছাইড়া চইলা যামু সিদ্ধান্ত নিতাম আর দেখতাম বন্ধুরা খেলতেসে।
রেইনবোর কথা শুনে মনটা উদাস হয়ে গেল (কবির ভাই মনে হয় এখন অষ্ট্রেলিয়াতে !)
আমি মিক্সড টেপ একবার পেয়েছিলাম তিন মাস পর। আমার মেটাল টাইপ ক্যাসেট ছিল ২-৩ টা। একেকটার দামই ছিল শ-খানেক। অনেক যত্ন করে গান নির্বাচন করতে হত, যাতে একটুকু জায়গাও নষ্ট না হয়।
অন্যগুলাতো বুঝলাম। কিন্তু সিঁদ কেটে চুরি এইটার ব্যাখা চাই। শিমুল জানলো কেমনে এইটা ???
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
শিমুল একটা গন্ডগ্রামে থাকে। কে জানি কয়দিন আগে কারে যেনো ফেসবুকে নাকি কই যেনো জিজ্ঞেস করেছিলো
এবার দেশে গিয়ে একটা কথা জেনে কেমন অদ্ভুত লেগেছিল
স্কুলে গেছি।নমিতা দি আমাদের অতি প্রিয় শিক্ষক বললেন
কতদিন পর দি ডাকটা শুনলাম তোদের মুখে
এখনকার ছাত্ররা কেউ আর আপা দিদি ডাকেনা
সবাই ম্যাডাম ডাকে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আরেকটা জিনিস উঠেগেছে কিনা জানিনা
তবে পরিচিত কনো কাচ্চাবাচ্চার কাছে দেখিনি
ভিউকার্ড
আমি আর আমার ভাই প্রতিযোগীতা করে ভিউকার্ড জমাতাম
ববিতা শাবানা সুবর্না শ্রীদেবী জাফর ইকবাল মিঠুন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ভিউকার্ড নেই ... প্রতিবারই দেশে গেলে খুঁজি ... কোথাও নেই এই ডিজিটাল ফটোর যুগে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ভিউকার্ডের বদলে এখনকার পোলাপান পিসিতে ওয়ালপেপার জমায়
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
গ্রামের ছেলেটাকে আর কষ্ট দেবেন না তাতাআপু
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
২ টাকা দিয়া লাল রঙয়ের একটা গাব্দাগোব্দা "চুইং"গাম পাওয়া যেত স্কুলে।
বাটারবন পাওয়া যায় এখনো ? আর লবণ-মরিচ দেয়া আমড়া ?
(নস্টালজিয়া একটা মধুর সংক্রামক নেশা, আমি ফুটি এখন)
আহা বাটারবন, বেশি প্রিয় ছিলো ম্যান। আর, রানাপু বললেন যে, আমড়া... বাইরের এক টাকার আইসক্রীম। গোল গোল। আর, প্যাকেটে ভরা দুই টাকার জুস। চট্টগ্রামে বেশি উঁচু বিল্ডিং বেশি ছিলো না আগে। এখন অনেক। পাহাড়ী রাস্তা তো, রিকশা নিয়া যাওয়ার মজাই আলাদা।
আর, আমরা চিটগাঙ্গে 'রেকর্ডস' থেকে কিনতাম। একশ বিশ টাকা রেকর্ডিং শুদ্ধু।
এখনো আসে কিনা জানিনা।
লবন মরিচ দেয়া আমড়া পাওয়া যায় পাওয়া যায় পাওয়া যায়
বাটারবন পাইনি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
- সবচাইতে সংক্রামক কী জিনিষ? (টিক চিহ্ণ মারেন)
ক) মসজিদে জুমা কিংবা তারাবীর নামাজের সময় কারো হঠাৎ কাশি!
খ) গরমের দিনে স্কুলে টিফিন পিরিয়ডের পর সমাজ বিজ্ঞান ক্লাশ চলাকালে কেউ 'পেশাব' করতে বাইরে চলে গেলো!
গ) বুইড়া বয়সে কোনো এক হাবশী কর্তৃক স্মৃতিউষ্কানীয়া একটা লেখা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
স্কুলের এসেম্বলিতে জাতীয় সঙ্গীতের আগে গলা খাকরানো ভারী সংক্রামক ছিল
আরেকটা ছিলো, টিফিনের পর .... তবে ভদ্রসমাজে বলা যাবেনা ... খালি বলা যায়, কেন যে মায়েরা বুঝতনা যে ডিম ছাড়াও অন্য পুষ্টিকর খাবার আছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আরে!! এই ট্রাডিশন তো দেখি অনেকদিন চালু ছিলো!! আমাদের সময়েও এই স্কুলের প্রশ্ন দেখে টাশকি খাইছিলাম।
ইংরেজীতে ট্রান্সলেশন করতে দিছিলো বিখাউজ সব জিনিস, একটা মনে আছে, "সোহাগ চাঁদবদনী, তুমি নাচো তো দেখি!"
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
- মাই ডিয়ার চন্দ্রমুখী, ইউ ডান্স আই সী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা হা হা )
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
চাঁদবদনীর ইংরেজী তাইলে চন্দ্রমুখী
একটা ডিজ্যুসীয় ট্রান্সলেশন বানাইলাম,
হেই, মূনিয়াহ বেইবী, কাম'ন, রক এন রোল!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমাদের স্কুলের পরীক্ষায় একবার এসেছিল: কলসটির গলা খসিয়া গেল এর ট্রান্সলেশন। এখনো জানিনা এর উত্তর কী?
কে যে এগুলি বাইর করে!
"দ্য নেক অব দ্য পিচার কেইম অফ" কি হয়?
- 'ফলস এপার্ট'ও হতে পারে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুমম, হয় তো।
হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ হয়ে গেল ঃ)) ......।এই রকম আরো কিছু শুনেছিলাম শাহাবুদ্দিন স্যার এর কাছে......। দুঃখের বিষয়,একটাও মনে পরছে না।
বৃত্তি পরীক্ষার জন্য একটা পেটমোটা বই ছিলো, নাম, ছাত্রসখা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
এখনো আছে ঃ)
মিনার প্রকাশনী/ রেখা প্রকাশনীর নোট বই আছে কিনা জানি না...
- মুকুল ছাত্রসখা
রচনায়,
পণ্ডিত আবুল ফজল,
চন্দ্রশেখর রায়,
আরেকজনের নামটা মনে নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরেকজনের নাম বাদ পড়ছে, "জনৈক অভিজ্ঞ হেডমাস্টার"
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
- ঐটাতো নোটবই গুলোতে লেখা থাকতো!
কাকলী প্রকাশনী।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হরলাল রায়ের ব্যাকরণ বই (নাকি রচনার বই, মনে নাই)।
- ব্যাকরণ বই। ইয়া মোটা ছিলো সাইজে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হরলাল রায়ের 'একের ভিতরে পাঁচ'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অনেকগুলো হারিয়ে যাওয়া জিনিসই কমন পড়লো। সেই সাথে মনে পড়লো নিজের ছেলেবেলার কথা। মনে পড়লো দুপুর রোদে ঘুড়ি ওড়ানো, ফিউজ হওয়া লাইটবাল্ব গুঁড়ো করে সূতোয় মান্জা দেওয়া। মনে পড়লো লাটিম খেলা, মার্বেল খেলার কথা। গরমের সময় রাতের বেলা জোনাকীপোকা ধরে কাঁচের বোয়ামে জমানো। গংগাফড়িং এর লেজে সূতো বাঁধা। স্মৃতিতে সবই উজ্জ্বল, মনে হয় হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারি। যদিও পারিনা আসলে।
আপনার আসলে নিবন্ধন করে লেখা শুরু করার সময় হয়েছে। ছুঁতে না পারেন, লিখতে তো পারবেন।
অনেক কাল আগে একটা লেখা লিখেছিলাম কিছুটা একই থীমে। আমার কাছে মনে হচ্ছিল যে এভাবেই আমরা যেন আস্তে আস্তে নির্বাসিত হয়ে যাচ্ছি।
মজার ব্যপারটি হচ্ছে যে কিছুবছর আগে একবার আমেরিকার কি কি জিনিস হারিয়ে গেছে তার তালিকা তৈরী করছিল কয়েক বন্ধু। সেখানে ছিল বাড়ীতে প্রতিদিন সকালে দিয়ে যাওয়া দুধের বোতল, ড্রাইভ-ইন মুভি। এই মুহুর্তে বিলুপ্তির সামনে দাঁড়িয়ে আছে ছাপা খবরের কাগজগুলো। আস্তে আস্তে বদলায় সবকিছুই। এর নামই হয়তো জীবন!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
হায় হিমু অলিন্দে ধরে টান দিলেন ভাই, এক সাথে এত স্মৃতি চলে এল ...স্মৃতিকাতরতায় আমি এখন পাগলা জগাই
টেস্ট পেপার ঘেন্না। জীবনেও সমাধান করি নাই।
দি-এ-টীম এর ঘটনায় মজা পাইছি।
টেলিগ্রাম জীবনেও দেখি নাই। তয় নাম শুনছি।
আর পত্রমিতালীর দিন শেষ। দেশে এখন মুঠোফোনের বন্ধু ও সঙ্গমের দিন।
গলির চিপায় সাইবার-ক্যাফে এখনও চোক্ষে পড়ে।
সিঁদ কাটা চোর এখন আর সিঁদ কাটে না। দরজা কাটে।
ফাউন্টেন পেন তো চরম একটা জিনিস, কাগজ ফুটা কইরা ফেলতাম লেখতে গেলে।
______________________________________
আমার গরল বন্ধুরা সব কই রে !!!
______________________________________
লীন
ভার্সিটির হলের কয়েন বক্স টেলিফোনগুলো আছে কি নাই জানি না। দুপুর বেলায় কয়েন দাদু আসতো টেলিফোন এর বক্স খুলে সিকিগুলো নিয়ে যেতে...।
পাড়ায় পাড়ায় আগের মত ভিডিও ক্যাসেটের দোকান কি আছে?
অডিও ক্যাসেট হয়তো খুব শীঘ্রিই থাকবে না।
আগে বাসায় বাসায় মিটসেফ বলে একটি আসবাব থাকতো, মায়রা দুধের সর , আচার ইত্যাদি তালা দিয়ে চাবি আঁচলে পাড়া বেড়াতে বের হতেন।
চাবি আর কেউ আঁচলে বাঁধে বলে মনে হয় না।
মিটসেফের কথা ভুলেই গেছিলাম
"আলনা" বলেও একটা জিনিস ছিল
আগের মত কি এখনও তিনচাকার একটা বাক্সে ঘন্টা বাজিয়ে আইসক্রিম বিক্রি হয় ?
"রেশন" টাইপের একটা ব্যাপারও মনে হয় আগে ছিল যেখানে সস্তায় চাল-ডাল বিক্রি হত।
ওগুলি এখনো আছে । উচ্চ মধ্যবিত্তের ঘরে হয়তো নাই । তবে নিন্মমধ্যবিত্তের ঘরে ওগুলো আছে এখনো । হুট করে অটবির নান্দনিকতা তাদের পকেটে সয় না বলেই হয়তো ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
তালপাতা দিয়ে হাতেখড়ি হয়েছিলো, তারপরে শ্লেট, এখন পোলাপাইন মনে হয় কাগজের খাতা দিয়ে ইনিংস উদ্বোধন করে। আদর্শলিপি, চয়নিকারা কি টিকে আছে এখনও?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আহা !
আমাদের গেছে যে দিন, একেবারেই কি গেছে?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এখন আর গুলিস্তান বা নীলক্ষেত মোড় থেকে কেউ লুকিয়ে দুষ্টু ছবির বই কিনে না।
দুষ্টু জিনিস এখনো আছে। খালি ডিজিটাইজড হয়ে গ্যাছে!
টারজান, মোগলী, টিপু সুলতান এগুলোর সাথে সাথে আরও দুটো জিনিসের কথাও মনে পড়ছে - ছায়াছন্দ আর শুক্রবারের বাংলা ছবি (যা পরিবারের সবাই মিলে একসাথে বসে দেখা যেত)।
আলনা - আমাদের সিলেটের বাসায় এখনও আছে একটা, অনেক পুরনো।
রানা মেহের,
যথার্থই বলেছেন, আজকাল বাচ্চারা আর আপা কিংবা দিদি বলে ডাকেনা।
মিস্ কিংবা ম্যাডাম ই প্রচলিত।
সত্যি, অনেককিছুই হারিয়ে গেল।
জুয়েইরিযাহ মউ
উচ্চ নম্বরের সিঁড়ি
যেমন খুশি তেমন সাজো-তে কুমারি বঁধু (কেন যে কুমারি পূজো কে কুমারি বঁধু বলতাম জানি না) সাজা; আর একেকবার একেক কিছু সাজার পরও এক অভিন্ন পাগল প্রতিবারই এসে সামনে দাঁড়িয়ে পাগলামি করে যেতো, একবার মূর্তি সেজে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েছিলাম।
পেপস্ ফ্লোরাইড টুথ পেষ্ট আর যে কেউ হতে পারে আমার পত্রমিতা - নাজমা জামান
সলিড গোল্ড
ওয়ার্ল্ড মিউজিক
একদিন তো চলে যাবো পরের ঘরনি হবো -র পিলু মমতাজ
সিলসিলা শাড়ি - কতো শখ ছিল বড় হলে বিয়ে হবে আর বিয়ে হলেই প্রথম কিনবো সিলসিলা শাড়ি!
মুড়ির টিন বাস - স্কুলে যেতে আসতে প্রতিদিন এই বাস নিয়ে কতো হাসাহাসি
আদমজি, করিম আর বাওয়ানী জুট মিলের সাইরেন - আহা আর কোনও দিন বুঝি বাজবে না
শীতলক্ষ্যায় একটা বজরা প্রায়ই ভেসে থাকতো যা থেকে মাঝে মাঝে গানও শোনা যেতো, স্কুলে যাওয়া আসার পথে শুনতাম- ভাবতাম একদিন আমারও বজ্রা হবে, আমিও গান শুনবো জল দেখতে দেখতে- আজকাল শুনি শীতলক্ষ্যা মরে যাচ্ছে, হেঁজে যাচ্ছে, এক জীবনে নদীর মৃত্যু দেখার মতো পাপের ভাগিদারও হতে হলো! দোযখ কি এর চেয়েও কষ্টকর? আমি নিশ্চিত, না।
মাসুদা, আপনি কি নারায়ণগঞ্জের মেয়ে? অথবা নারায়ণগঞ্জের সাবেক বাসিন্দ?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
- মনে হচ্ছে মদনগঞ্জের। বাওয়া জুট মিল ওখানকারই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেক কিছুই হারিয়ে যায় সময়ের সাথে। তবে একটা জিনিস জোর করেই রেখেছি টেবলের পাশে; কটকটে কমলা রঙের একটা রোটারি ডায়াল ফোনসেট। অনেক বয়স হয়েছে, কথা ঠিকমত শোনাও যায়না, জোরে কথা বল্লে অপরপ্রান্তের সাথে মোটামুটি কমুনিকেশনটা হয়। তারপরেও আছে, থাক না! জরুরী প্রয়োজনের জন্য মোবাইল তো আছেই!
বড় স্মৃতি-জাগানিয়া লেখা----(দীর্ঘশ্বাস---)
নীলক্ষেতের পুরনো বইয়ের বাজারটা খুব মিস করি। শালার পুরা শহরের ফুটপাত দখল করে বসে আছে রড সিমেন্ট আর স্যানিটারি ব্যবসায়ীরা... নীলক্ষেতের বইয়ের বাজারের ফুটপাতটাই যেন খালি ঝামেলা...
জীবনের অসাধারণ সব বইগুলা সেখান থেকে কেনা, কতো যে দুষ্প্রাপ্য সব বই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কার্টুন ভল্ট্রন খুব প্রিয় ছিল...ইংরেজি বুঝার দরকার হতনা...বিটিভি তে কাহিনী বলে দিত! টিভি সিরিজগুলোঃ ভি, ভয়েজার, হেলিকপ্টার না মোটরসাইকেল (5,4,3,2,1)..নাম মনে নাই! র্যাভেন ছিল!
সেবা প্রকাশনীর সব বই...রহস্য পত্রিকা!...গুপ্ত স্যারের নোট (রসময় গুপ্ত)...ছবি ছাড়া হলে কোড ছিল 'বাইবেল'...ছবিসহ হলে ' যোগব্যায়াম' . স্কুলের সামনে টনিক, রঙ্গিন বরফের গুড়ার আইসক্রিম (অনেক ধোলাই খাইছি!), টাকায় ২টা ফুচকা!
পরীক্ষা দিতাম রেডলীফ দিয়ে!
হারিয়ে গেছে...
-কুলপি মালাই/ বরফ আইসক্রিম।
-বায়েস্কোপ।
-হট প্যাটিস ওয়ালা।
-পুরনো বক্স ক্যামেরার পেছনে কালো-কাপড়ের ভেতরে মাথা ঢোকানো ফটোগ্রাফার।
-গাছতলার নাপিত।
-টেনিস বল দিয়ে বম্ব-পাট/ সাতচারা খেলা।
-ডাঙ্গুলি/ মার্বেল/ ঘুড্ডি খেলা।
-দুস্যু বনহুর/ দুস্যু বারহাম।
-বেতাল কমিক্স/ বুক সাইজ আনন্দমেলা/ টেবোলয়েড কিশোর বাংলা/ বিজ্ঞান সাময়িকী।
-ক্যাসপার, থান্ডার ক্যাটস কার্টুন।
-লাল-নীল দুমাথার পেন্সিল।
-হ্যান্ডেল পেন ( খাগের কলাম বা কুইল পেনের অত্যাধুনিক সংস্কারণ)।
-কার্বন পেপার।
-স্টেনসিল।
-টেলিগ্রাম/পোস্টকার্ড।
-নৌকা মার্কা পিতলের পাঁচ পয়সা/ অ্যালমুনিয়ামের ছোট্ট এক পয়সা।...
-নানু বাড়ির ঢেঁকি, গুড়ের চা।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আহ, দারুন স্মৃতিজাগানিয়া পোস্ট দিছেন হিমু ভাই। লেখা যেমন, কমেন্টগুলা তার চেয়েও বেশি মজা লাগলো।
এক টিকেটে দুইটি ছবি
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
এইটা তো এখনো আছে
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
প্রিয় পোস্টে নিলাম কারন নিজেকে বেশ বুড়োবুড়ো মনে হচ্ছে এখন।
অনেক হারিয়ে যাওয়ার লিস্ট দেখে মনে পড়ল , প্রেমপত্রের মতো মধুর বিষয়টাও বোধহয় হারিয়ে গেছে আজকাল।
ঘুিড় উড়ােনা
-লাঠিম খেলা
-মার্বেল খেলা
-সাতচারা খেলা
-রাম-সাম-যদু-মদু খেলা
-বউচি খেলা
এগুলো এখন সবই স্মৃতি............
নতুন মন্তব্য করুন