নিজের সততা নিয়ে বড়াই করার পরিস্থিতি বোধহয় কারোই নেই। ডানে বামে সচেতন আর অবচেতন ধান্ধায় নিঃসন্দেহে অনেক ফাঁকিবাজি করেছি। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আমাকে বিপদে ফেলে দিয়েছেন টাকার রং নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করে। পূর্বপুরুষদের মধ্যে ঘোর দ্রাবিড়দের উপস্থিতির কারণে আমার গাত্রবর্ণ ঘরে কিছু অতিরিক্ত বাতির নিয়োগ দাবি করলেও, আমার টাকার রং ধবল। আমাকে তাই অতিরিক্ত কর গুণতে হবে দেশে গেলে, পদে পদে অতিরিক্ত গুণাগার গুনতে হবে সৎ আয়ের জন্য।
আমার পিতা বহু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সংকীর্ণ পথে হেঁটে তাঁর সন্তানদের মানুষ করেছেন মুখে রক্ত তুলে। মৃত্যুর সময় আমার মায়ের জন্যে রেখে গিয়েছিলেন কঠোর স্বভাবের পুত্রকন্যাকে, আর আমাদের জন্যে রেখে গিয়েছিলেন আমাদের ঘাতসহা মা-কে। আজও আমরা আমাদের কৈশোর শেষে ঘরত্যাগী বাবার লিগ্যাসিই বহন করে চলছি, ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি সবাই। আমি যদি আজ দেশে ফিরে কয়েক বছর শান্তসুবোধের মতো সৎ উপার্জনে মগ্ন হয়ে তারপর কোনমতে একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই কিনতে চাই, জনাব মুহিত, পারবো না। আপনি সেই সুযোগ রাখেননি। আপনি বলে দিয়েছেন, কালো টাকা আবাসন খাতে ব্যয় করলে কেউ খোঁজ নিতেও যাবে না। দেশে বহু বহু কালো টাকার মালিক খানকির পোলারা আমার সামনে দিয়ে শেষ বাড়ি-ফ্ল্যাট-প্লটটা কিনে নিয়ে যেতে পারবে কয়েকবার, বাড়িঘরের দাম চড়চড় করে বেড়ে যাবে, তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো আর দরদর করে ঘামবো। আমি এর প্রতিকার চাইতেও পারবো না। কারণ দেশে কোন আইনেই নাকি এর বিরুদ্ধাচরণ করা চলবে না।
শেষ পর্যন্ত ঐ সংসদে বসে আপনারা সব কালোদের জন্যই আইন বানান। শুধু আমাদের কালো মুখগুলি আপনাদের চোখে পড়ে না। ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দিলাম এই নিয়মের উপর, স্যার। আপনারা বাকিটা জীবন আমার মাতৃভূমিকে এইসব কালো-বাঁচানো আইন বানিয়ে বলাৎকার করে শেষ করে দিবেন, এই সত্যটা বুঝতে আমাদের মতো ভোদাইদের শুধু দেরি হয়ে যায়। সাড়ে চার বছর পরে আবার ভোট চাইতে আইসেন আমাদের দরজায়, লাত্থি মেরে বের করে দিবো।
মন্তব্য
হুমম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
বোঝ অবস্থা
কিছু বলার নাই
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ধন্যবাদ হিমু, আরো শক্ত ভাষা ব্যবহার করলেও পাঠক হিসাবে আমার কোনো আপত্তি থাকত না। সরকার যে এমন নির্লজ্জ হতে পারে তা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে, কারন এটা আমার দেশের সরকার।
লোকে তামাশা করে বলে বাংলাদেশের মাটিতে চোর বাটপাররাই বেশি ভাল থাকে আর নেতা - সরকারের অনুগ্রহ পায়। কিন্তু ব্যপারটাকে যে এরকম ভাবে নির্লজ্জের মত প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দেয়া হবে ভাবিনি।
কলমে আর গলায় যা জোর আছে তা দিয়ে শক্ত ভাষায় এর প্রতিবাদ করা চাই।
হিমুদা, খুবই সত্য কথা।
আমরাও দাড়াতে চাই লাথি দেবার জন্য আপনার পাশে।
ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
______________________________________
লীন
আমরা লাথি তো কাউকে দেই না। আমরা ভোট দেই।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
পারেনও আপনি লিখতে হিমু ভাই।
কিন্তু এর কি আর কোন প্র্যাকটিকাল সল্যুশন আছে? আমাদের রাজনীতিবিদদের মধ্যে বেশিরভাগই তো কালো টাকার মালিক; সাধারন উচ্চ-মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্তের মধ্যেও। ১০%টাই কি বোনাস না?
না, বোনাস না। এই ১০% 'ধর্ষন এনজয়' করার মত একটা ব্যাপার।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হিমু কী বলব ভাই, আমাদের আর নিজের দেশ বলে কিছু থাকলোনা যেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করা যাবে, যেখানে জান মালের নিরাপত্তাতো দূরের কথা আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচা যাবে। এইসব অনাচার দেখলে কষ্টে মাথার ভিতরটা আউলা হয়ে যায়। আমাদের কিছুই কী করার নাই?
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
হিমু ভাই! লাথি মারার জন্য আর এক জোড়া পা তৈরি আছে। খুঁজলে হয়ত লক্ষ জোড়া পা মিলবে। কিন্তু... অভাগা দেশের ভবিষ্যৎ কি তাতে বদলাবে? হতাশার হাত থেকে উদ্ধার পাওয়ার কোন উপায় তো চোখে পড়ে না!
........................
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আচ্ছা, আমি যদি আমার সাদা টাকা কালো করতে চাই, তাহলে সেটা কীভাবে করতে পারি? আমার বেতনের টাকা সরাসরি ব্যাংকে যায়, সুতরাং এক্ষেত্রে ফাঁকি মারার কোনো উপায় নেই।
সাদা টাকার চেয়ে কালো টাকাতেই যেহেতু সুবিধা বেশি, সেদিকে যাওয়াটাই বোধহয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। রাষ্ট্র যদি মানুষকে অসৎ বানাতে চায়, মানুষের আর দোষ কী! আমি কিন্তু সিরিয়াস। প্লিজ কারো উপায় থাকলে জানান।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মনের কথা বলেছেন হিমু ভাই! বাবা সবসময় বলে পূরীষ এর একপাশ দেখে মনে হয় অন্যপাশটা নিশ্চয়ই একটু কম খারাপ হবে...
মুখে মুতে দিয়েন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
দিন বদলের ফেরিওয়ালারা যখন দিন বদলের কথা বলেছিল তখন কিন্তু কাদের দিন বদল তা বলেনি। আস্তে আস্তে দিনটা কাদের বদলাচ্ছে তা স্পষ্ট হচ্ছে। দিন আসলেই পাল্টাচ্ছে। রাজনীতি এখন দুর্বৃত্তদের হাতে তাই আইন যা তৈরি হবে তা তাদের সুবিধার জন্যই করা হবে। বড় গলার চোরের মা'রা এখন সংবাদ সম্মেলন করে এর জন্য সরকারকে ধন্যবাদও জানায়। নীতির ভ্যাদভ্যাদে বুলি কপচানোদের এখানে কোন জায়গা নেই।
গৌতমের সাথে আমি একমত। মাস শেষে যে টাকা পাই তার ওপর ২৫% ট্যাক্স দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। রোজগারের এই টাকা কালো করার সুযোগ বাতলে দিন, ১০% ট্যাক্স দিয়ে আমি তা সাদা করব। বেঁচে যাওয়া ১৫% আমার সংসার চালানোর জন্য অত্যন্ত জরুরী।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
.
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
এই দেশ মনে হয় কাউকে সৎ থাকতে দেবে না।
--------------------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
দেশে সৎ মানুষদের নিয়ে উপহাস অবহেলা করা হয় অনেক দিন ধরে, একটা সময় আসবে যখন 'সৎ মানুষ' শব্দটি বোকার প্রতিশব্দে পরিনত হবে। আমরা ডিগ্রি শেষ করে দেশে ফিরে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার যোগদান করি তাহলে হয়ত পলাশীর লাল ক্যাম্পাস থেকে বুয়েটের একাডেমিক ভবন পর্যন্ত পায়ে হেটেই যেতে হবে আর আমারই সহপাঠী বন্ধুরা হয়ত পাজারো হাকিয়ে যাবার সময় ছেলেমেয়েদের দেখাবে ঐ যে দেখ আমাদের ক্লাসের ভাল ছাত্রটি, ইসস কি যে বোকা ! আমাদের বন্ধুদের মধ্যে যারা সরকারী চাকুরীতে আছে তাদের অনেকেরই এখন ঢাকাতে ফ্ল্যাট আছে আর আমরা হয়ত সারাজীবন কাটিয়ে দেব কোয়ার্টারে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দাদা, কন কী? আপনারে কোয়ার্টার দিব কেঠা? ঐখানেও লবিং, ১৪ জনের কাছে মোসাহেবি করা লাগবে, ঘুষ দেয়া লাগবে, তার পরেও পান কিনা দেখেন।
আপনার সব কথা ঠিক । রাষ্ট্র সব সময় ভুল ছিল, এখনো আছে । শুধু মাত্রার হেরফের । এভাবে ওদের বকেও মন শান্ত হয় না, আরও বেড়ে যায় । আমি দেশে যাইনা এগার বছর, কোনদিন যাব কিনা ভবিতব্য জানে । নেটে পেপার পড়ি আর হতাশ হই । আপনার মনের অবস্তা আর সব প্রবাসীদের মত প্রায় একই রকম । লেখার জন্য ধন্যবাদ ।
কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া বাংলাদেশে নোতুন নয়। আমরা ভাবি, যাক, তবু তো কিছু ট্যাক্স আসছে। ভাবখানা এমন যে, উনারা দুর্ণীতি করে তা থেকে আমাদের রাজস্বে দু'দশ পয়সা দিয়ে আমাদেরকে ধন্য করছেন। বাঙালির এই মেনে নেওয়া স্বভাব থেকেই আমাদের যতো দুর্গতি। যেখানে দুই নাম্বারী সেখানেই ঠিকমতো চেপে ধরা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে দুই নাম্বারীমুক্ত হওয়া সম্ভব নয়।
এ আইন/বক্তৃতা সম্পর্কিত বিস্তারিত (এক্সাক্ট) তথ্য পাওয়া যাবে কোথায়?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- প্রস্তাবিত বাজেট এখানে বাংলায় আছে বলাই'দা। তবে ব্রাউজারে পিডিএফ প্লাগইন লাগবে।
বক্তৃতা এখান থেকে পাওয়া যাবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পাইলাম। ৩২২ নম্বর পয়েন্ট। 'বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়া'র ওপরে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- যাঁরা এধরণের 'ডিজিটাল'(!) সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, আমি বুঝি না তাঁরাই বিশ্বজগতের সবচেয়ে উন্নত শ্রেনীর বেকুব নাকি আমরা আম-জনতাই তাঁদেরকে আমাদের মাথার ওপর এইসব উদ্ভট বুদ্ধির ছড়ি ঘুরানোর সুযোগ দিয়ে সেই বেকুবত্বের সকল দায়িত্ন নিজের কাঁধে তুলে নেই!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ন্যক্কারজনক চিন্তা। ছিহ!
বাজেটে কালো টাকা সংক্রান্ত ঘোষণাটা শোনার পর দুদিন ধরে পরিচিত সবাইকে জিজ্ঞেস করে বেরিয়েছি কীভাবে সাদা টাকা কালো করা যায়। কেউ কোনো হিল্লে করতে পারলেন না। একই প্রশ্ন এখানেও করেছিলাম। কোনো উত্তর নেই। সম্ভবত কেউ জানেন না কীভাবে সাদা টাকা কালো করা যায়।
অথচ আমার যতোগুলো টাকা সাদা আছে, সেগুলোকে কালো করা বিশেষভাবে জরুরি। মাস শেষে যে বেতন পাই, তাতে সাদা অনুযায়ী কর দিলে পরিবার-পরিজন নিয়ে টিকে থাকা সম্ভব না। বরং কালো অনুযায়ী কর দিলে কিছুটা হলেও টিকে থাকতে পারবো।
তাই সরকারের কাছে আমার এখন জোর দাবি-
১. কালো টাকা সাদা করার উপায় যেভাবে বলে দিয়েছেন, ঠিক তেমনিভাবে সাদা টাকা কালো করার উপায় বলে দিতে হবে। এবং কেন আমি সাদা টাকা কালো করতে চাই সে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে আমাকে বিব্রত, আহত ও অপমানিত করা যাবে না। সরকারের পক্ষ থেকে কেউ এ ধরনের প্রশ্ন করলে তাকে আইনের আওতায় নিতে হবে।
২. যদি প্রথম দাবি না মানা হয়, তাহলে আমার পরিবার-পরিজনসহ আমার যাবতীয় ভরণপোষণ ও বিনোদনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আমি আয়ের ১০০% করই দিতে বাধ্য থাকবো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
- বস, আপনার টাকা যেহেতু ব্যাংকে গিয়ে জমা হয় তাইলে এক কাজ করতে পারেন। ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ভাইরে একটা কালো কালির দোয়াত (দোয়া খয়রাত না) উপহার দিতে পারেন। তাঁকে আরও একটা 'ছোট্ট' অনুরোধ করতে পারেন। আপনার টাকা ব্যাংকে এসে জমা হওয়া মাত্রই তিনি কোষাগারে গিয়ে কালির দোয়াত থেকে খানিকটা কালি সেই টাকার উপর ঢেলে দিয়ে আমভর্তার মতোন করে একটু দলনমলন করবেন। ব্যস তাইলেই হয়ে গেলো।
এইবার মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে বলবেন, "আমার টাকা কালো। আমি এখন সেই মোতাবেক ট্যাক্স দিবো।" ভয় পাইয়েন না, মন্ত্রী মহোদয়ের মাথায় চুল না থাকলেও যে পরিমান 'মাল' আছে তাতে করে তিনি এই পন্থায় পরিবর্তন করা টাকাকেও 'কালো টাকা' বলে মেনে নিবেন, এনশাল্লাহ॥
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দারুণ বুদ্ধি!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কালো টাকার এই ঘোষণাতেই প্রমাণিত হলো, উনি আসলেই 'মাল' মুহিত।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আবুল মালের ফাউল বাজেটে অবস্থা মাজুল!
মুহিত কিংবা সাইফুররা
সব শিয়ালের (শালাদের) এক রা...!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সহমত............
সমস্যার মূলে কিন্তু এই ভোটের ব্যাবস্থাটিই। চার বছর পর কাকে আর ভোট দিব। মুহিতের পর আসবে সাইফুর তার পর আসবে আবার মুহিতের ছেলে, এভাবেই কি চলবে?
আমার মনে হয় শুধু লেখা আর বলার দিন ফুরিয়েছে। ঢেড় হয়েছে, এবার কাজের পালা। একটি শক্তিশালী তৃতীয় দল গঠনের প্রয়োজন। মানুষ পরিবর্তন চায়, কিন্তু তারা কাউকে পায়না। তাই তারা ভিক্ষের হাত বাড়ায় ইউনুসের কাছে অথবা মইনুদ্দিনের কাছে। কিন্তু আমারা সাধারন মানুষই পারি বৃহত্তর একটি দল গঠন করতে।
ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দিলাম এই নিয়মের উপর, স্যার।
এই লাইনটা আকর্ষনীয়। হিমু সব কিছুর রুপ, রস, ছন্দ, গন্ধ নিতে ভালোবাসে, বোঝা যায় ঃ)
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তাদের আর কি দোষ? চোদুতো আমরা। এখন চারটা বছর পেচ্ছাপ কইরাই কাটাউতে হবে!
--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........
একদম ছোট্টবেলায় বন্ধুদের লাথ্থি মারতাম। পরে কৈশোরে ফুটবলে লাথ্থি মারতাম, ঠিকমতোন লাগতো না। আরেকটু বড় হয়ে পাকিস্তান লাথ্থানো শুরু করি। এরপরে রাজাকার। রাজনীতি বুঝতে শুরু করে বিএনপি আর আওয়ামী লীগরে মনে মনে লাথ্থি দেই।
.... এদ্দিন দেশের জনগনরে ভুলে লাথ্থি দেওয়া হয় নাই। এই কুলাঙ্গারের বাচ্চাগুলারে ভোট দিয়া বারবার দেশের রাণী বানানোর জন্য এহন থেইকা শুধু এবং শুধুই ভোটার আইডি-বিশিষ্ট বাংলাদেশীরে লাইথ্থামু।
সবাই দেখছি মন্ত্রীমশায়কে গালাগালি আর লাথালাথির তুবড়ি ছুটিয়ে দাদাবাবার নাম ভুলিয়ে ছাড়ছেন!
দেখুন যেকোনো সরকারী কলোনীতে একদিন গেলেই যে গুলশান বারিধারার সব ঝাঁ চকচকে ভুঁ পিপ পিপ দেখা হয়ে যায় তাতো আর আজকের গল্প নয়... সেসব সবই আমরা সবাই দেখেছি এবং আরো গুরুত্বের সাথে এতদিন অন্ধ - কালা - বোবা সেজে গিলে খেয়েছি। আর ওদেরকে কি আর বলবো, ক'জন নিজের বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন কেউ জানবে না জেনেও মাল না খেয়ে শেষদিন পর্যন্ত হুকুমের গোলাম সেজে চাকরগিরি করে যাবেন?
আজ নিজেদের অক্ষমতা ঢাকতে ১ বছরের বাজেট শুনেই এখন যদি কষে খিস্তিখেউর করাকেই দেশপ্রেমের প্রকৃত পরিচায়ক ভাবি তাহলেতো এর চেয়ে সোজা দেশগড়ার কাজ আর হয়না!
মধ্যবিত্ত মাত্রেই চিলেকোঠার সেপাই, ইলিয়াসের গল্পের ওসমানের ভাইবেরাদর।
সেটাই, গালমন্দ চলবে না। ঘৃণার রাজনীতি ভুলে ন্যায়প্রতিষ্ঠার জন্যে জান লড়িয়ে দিতে হবে। আর দেশগড়ার জন্য সবচেয়ে কঠিন লড়াই হচ্ছে মধ্যবিত্তের লোম একটা একটা করে টেনে ছেঁড়া। মধ্যবিত্তের গুপ্তকেশ টেনে টেনে নিকেশ করতে পারলেই দেশটা রামরাজ্য হয়ে যাবে, কী বলেন?
- তবেরে পামর!,
সরকারী কলোনীতে গিয়ে ঝাঁ চকচকে পিপিপ যে দেখা যায় এটা আপনি আমি যেমন জানি মন্ত্রী মহোদয়ও জানেন। আমার আপনার মতো তিনি এটাও জানেন ঐ পিপিপের গর্বিত মালিক কে! এগুলা ছাড়া মন্ত্রী মহোদয়ের যে জিনিষ আমার আপনার চেয়ে বেশি আছে তা হলো এক্সেস করার ক্ষমতা। তিনি যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় এক্সেস করতে পারেন, যেটা আপনি-আমি পারি না। তিনি কি জানেন না কোন কোন সেক্টরে দুর্নীতি হচ্ছে? তিনি কি জানেন না ঢাকা শহরের অমুক মহল্লায় কে কে পানি, গ্যাস, ইলেক্ট্রিসিটির মিটার রিডিং করছে? তিনি কি জানেন না তাদের রিপোর্টিং অফিসার কে? কিংবা সেই সকল অফিসারের হুজুর মাইবাপ কে, এটা কি তিনি জানেন না? যদি এ বিষয়ে তিনি নাদান হয়ে থাকেন তাহলে বাজেটে তাঁর উচিৎ ছিলো এই জ্ঞানার্জনের পেছনে অর্থ বরাদ্দ দেয়া। তারপর জ্ঞান অর্জন করে উল্লিখিত প্রজাতন্ত্রের সেবকদের ধরে এনে পশ্চাৎদেশে জালি বেতের কয়েক ঘা মেরে দেয়া। জায়গা মতো কয়েক ঘা পড়লেই বাবাজীরা পৈ পৈ করে সব স্বীকার করতো। কালো, লাল, নীল, বেগুনী, আসমানী সব রঙের টাকাই তখন মাননীয় মন্ত্রী স্বচক্ষে দেখতে পেতেন। আগডুম, বাগডুম একটা উপায় বের করতেন না!
আর তিনি যদি মনে করে থাকেন কালো টাকা সাদা করার হলো একটা টোপ, কেউ সাদা করতে এলেই অক্টোপাসের মতো তাকে জড়িয়ে ধরবেন, তাহলে উইথ ডিউ রিসপেক্ট বলতে হয় তাঁর আশার গুঁড়ে ইয়া বড় বড় দানার বালি। যারা এতো বছর ধরে চলমান প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, জনগণের নাকের ডগায় বসে কালো টাকা বানিয়ে এসেছে তারা মন্ত্রী সাহেবের এই টোপ না গিলে সেটাকে মন্ত্রী মহোদয়ের গলার ফাঁস কী করে বানাতে হয় সেটা নিশ্চই বেশ ভালো করেই আয়ত্ত করে রেখেছেন। কালো টাকা সাদা বানানোর যে পথ তিনি বাতলে দিয়েছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি পথ আছে কালো টাকাকে আজীবন কালোই রেখে দেয়ার। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, মন্ত্রী মহোদয় প্রচণ্ড গরমে সেইদিন চিন্তা করতে ভুলে গিয়ে মধ্যবিত্তের পেছনের কাপড় তুলে সেখানে বিশ ইঞ্চি লম্বা আর আড়াই ইঞ্চি চওড়া একটা স্ক্রু-এর মাথায় মাতুয়াল লাগিয়ে সেটা ক্লকওয়াইজ ঘুরানোর চেষ্টা করছেন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভালো বলেছেন
______________________________________
আমার গরল বন্ধুরা সব কই রে !!!
______________________________________
লীন
@তবেরে পামর!
রুমান ভাই, আপনার কথায় লজিক যতটা আছে তার চাইতে ভাই মন্ত্রীর বাজে একটা ডিসিশন ওভারলুক করার একটা ব্যাপার আছে। সব বাজেটেই কাল টাকা ধলা করার একটা ব্যাপার থাকে। আর এইবার আবার "আবাসন" নামক লোভনীয় একটা ছুতা লাগাইসে। সব চোরের দল বাজেট পরতাসে আর হাসতাসে। যেই চোর এতদিন ডরে বাড়ি কিনে নাই, ওই শালাও বাড়ি কিনব। আর আমরা মদন, ব্লগ এ তাগো গুষ্টি উদ্ধার করব, যা হয়ত চোরেগো কানের লতিও ছুইবনা। তার পরেও ত কিছুটা ত মন ঠান্ডা হইল। এখন আমরা যদি এইসব দেইখাও না দেখার ভান করি, তাহলে কি নিজের কাছে নিজেরে অপরাধী মনে হইব না?
রাস্তায় সুন্দরী মেয়ে দেখলে সব পুরুষেরই লোভ হয়। এদের মধ্যে কেউ কেউ গায়ের জোরে তা আদায়ও করে এবং এইটাও জানে যে এর কোন বিচার হবেনা। এখন আমি মদন যদি "এইডা কোন ব্যাপার না, এইডা তো হরহামেশাই হয়", বলে ব্যাপারটা ওভারলুক করি, সেটা কি ঠিক হবে?
অন্তত চাপার জোরে যদি কিছু মনের জালা কমান যায়, খারাপ কি?
তবেরে পামর! এর পরবর্তী বক্তব্যের আশায় রইলাম...
@হিমুঃ ইন্টারনেট কমান্ডোরা অবশ্য নিশ্চয়ই আরো ভালো দেশ গড়তে পারে, দেশটা যদি সিমসিটির বা সিভিলাইজেশনের হয় তাহলে তো কথাই নেই!
উন্নয়নশীল দেশে নীতিনির্ধারন কাজটা দেশে প্রচলিত ব্যবসা (পড়ুন বাটপারী) বা ছাপোষা গোলামীর চাইতে যে একটু জটিল হতে পারে এটা আমরা জানলেও কার্যত মানতে নারাজ। ঠিক যেমন পুলিশেদের মলত্যাগের জায়গা না বানিয়ে আমরা আগে তাদের জন্য বানাই স্টেইট অব দি আর্ট কাটিং এজ্জ বায়োমেট্রিক ডেটাবেজ আর ভাবি শালার চুতিয়া পুলিশের জাত মা-বোনগো ইজ্জত দিবার চায়না!
@ধুসর গোধূলিঃ একটা পুরানো প্রবচন আছে - "সর্বাঙ্গে ব্যথা ঔষধ দেবো কোথা?" যে দেশে দুর্নীতি প্রধান ধর্ম সেখানে ঠগ বাছতেই গাঁ উজাড় হবে, সে মিটার রিডার হোক আর পুঁজিবাদী মুনাফাখোর ঘুষখোরই হোক। বস্তুত নিজেকে মন্ত্রীমশাইদের অবস্থানে বসিয়ে মুখে মুখে পলিসি তৈরীতে দক্ষ জনবলের এদেশে এতই প্রাচুর্য যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে সারা পৃথিবীর চাহিদাও বোধকরি পূরানো অসম্ভব নয়! কিন্তু ওই পলিসি কল্পনায় প্রকৃত তথ্যের অভাব থাকায় সেই কল্পনার গরু চাঁদেও যাচ্ছে আর গাত্রবর্ণও হচ্ছে ফিউশন সবুজ।
ধরলাম জালিবেতের ব্যবহারে রং বেরুলো, তা দেখে মন্ত্রীমশাই কোনো আগডুম বাগডুম উপায় নয় বরং তরতাজা টকটকে ঘোড়াডুম বাঘাডুম উপায় বাতলালেন (লক্ষ্যণীয় উপায়ের ব্যাপারে কিন্তু কবি নীরব, বল নির্বিঘ্নে মন্ত্রীর কোর্টে), কিন্তু তার সরলকৃত ধরণটা আসলে কি? দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন? কিন্তু তাতে তো শহর গেরাম ইতিমধ্যে উজাড়, আমার গণপ্রজাতন্ত্র কই? তাহলে রইলো বাকি সাধারণ ক্ষমা, এ ব্যাপারে আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
@অলস বালকঃ উপেক্ষা কোথায় দেখলেন বুঝলাম না, ছোটোমানুষ হয়ে এতোবড় মন্তব্য দিলাম! আসলে ওভারলুক ফুক কিছুনা, তৃতীয় শক্তির অপেক্ষায় শীতনিদ্রায় থাকতে থাকতে আমাদের এতদিনে বাটপ্লাগ গজিয়ে গেছে, সেটা বুঝেও অপেক্ষায় আছি অন্যকেউ টেনে খুলবে, অথবা চাপার (পড়ুন ব্লগের) জোড়ে আপনাই খসে পড়বে। হাহাহা!
পামরদা, সিমসিটি বা সিভিলাইজেশনের প্রসঙ্গটা ধরতে পারিনি। একটু আলোকিত করুন। প্ল্যানিং কমিশনের কমান্ডোরা যখন কালো টাকা সাদা করার সাফাই গেয়ে হয়রান, তখন তো ইন্টারনেট কমান্ডোদের উৎপাত একটু সহ্য করতেই হবে, কী বলেন?
উন্নয়নশীল দেশে ব্যবসা কেন নীতিনির্ধারণের চেয়ে সহজ? কারণ যে বাটপ্লাগধারী মহাত্মনেরা নীতিনির্ধারণের জটিল কাজখানা স্কন্ধে নিয়ে দেশটার হোগা মেরে জনগণকে উদ্ধার করছেন, তারা ঐ ব্যবসার বাটপারদের ইয়ে ধরেই দিনের শেষে দোল খান। জটিল কাজ করার মতো মাজার জোর তাদের থাকলে তো।
সিমসিটি /সিভিলাইজেশন /এজ অফ এম্পায়ার খেলেছেন? সবগুলোতেই দেশ চালানোর সিমুলেশন প্র্যাক্টিস।
প্ল্যানিং কমিশন থেকে বাজেট বানানো হয় না, শুধু ADPর ঐ ৩০,০০০ কোটি টাকার অংশটাই ওখান থেকে প্রস্তাব করা হয়, আর তারও প্রস্তাব আসে পুরো দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে। বাজেটের পুরোটাই আসে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে।
পেশাদার রাজনীতিবিদ আর ব্যবসায়ীদের যে অনৈতিক আঁতাতের কথা বলছেন, ওটা নেই এমন কোনো .পুঁজিবাদী দেশ নেই। আর এটা যে পুঁজিবাদী দেশে সর্বদাই থাকবে সেটাও মার্ক্স-হেগেল দেড়শ বছর আগেই বলে গেছেন। এখন ব্যাপার হলো কোনো বেশ্যা যদি উদোম গায়ে খদ্দের বাগায় আর কেউ যদি দামী জামা গায়ে দিয়ে রং মেখে টিভি সিরিয়ালে দেখিয়ে খদ্দের পায়, আপনি কাকে খারাপ বেশি বলবেন সেটা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। )
যে-ভাষাতে বুঝতে আপনার সুবিধা হবে, সে-ভাষাতেই বলি। আমি এ-ধরনের খেলাই পছন্দ করি। হাজার হাজার ঘন্টা নষ্ট করেছি SimCity, Civilization, আর AOE-র পেছনে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বললে,
মাননীয় অর্থমন্ত্রী Cheat Code ব্যবহার করছেন।
খুব সহজ দু'টি ব্যাপার চিন্তা করুন।
১) আইনের শাসন কিংবা নৈতিকতা বলে কিছু আর রইবে না। একটু গরীব দেশে এই মানবিক গর্বটুকু অনেক জরুরী। নয়তো যেই অরাজকতা ছড়িয়ে পড়বে, তা সংশোধনযোগ্য না।
২) দেশের সম্পদের বণ্টনে যেই অসম bias তৈরি হবে, তা চূড়ান্ত রকম অনতিক্রম্য। কোনো সৎ মানুষের পক্ষে আর নিজের শ্রম ও মেধার জোরে সমাজের উঁচুতলায় পৌঁছনো সম্ভব হবে না। সততা ও কার্যকারিতা থেকে মন উঠিয়ে দেওয়ার মত একটি সিদ্ধান্ত এটি।
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো "আইনের শাসন, নৈতিকতা, মানবিক গর্ব, সুষম বন্টন" ইত্যাদি বড় ভালো জিনিষগুলো এখনও এই দেশে আছে, মানে অন্তত আপনি ভাবছেন আছে।
সামনের বার কাকে ভোট দেবেন ঠিক করেছেন?
কাউকেই না। এভাবে চললেও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবো, এটা ভাবার অর্থ নেই কোন। বিএনপি-জামাত চোর দেখেই আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়া। আর এখন আওয়ামী লীগ হলো চোরের তোষক। এই সত্য বাস্তবায়ন হওয়ার পরও কেনো ভোট দেবো?
অনেক ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো ভূমিকা আছে, সেটা বড় গলায়ই সমর্থন করি আমি। আমার মতামত খুব বিস্তারিত ভাবেই লিখেছি নির্বাচনের পরেই বিশাল একটা লেখায়। কষ্ট করে দেখে নেবেন।
দল এবং দেশের এই দুরবস্থার জন্য দায়ী হলো এধরনের ন্যাংটা সমর্থন, ভাল-মন্দ বিচার না করে তোষামোদ করা। আজকে খবর বলছে, আপনার সম্মানিত মন্ত্রী মহোদয় নিজেই আমাদের এই "শিশুতোষ" চিন্তাগুলো মেনে নিয়েছেন। এবার কি পল্টি খেয়ে মেনে নেবেন আমাদের কথাগুলো? এজন্যই বলি, সমর্থন করলেই যে ভালো-মন্দ সবকিছুর প্রশংসা করতে হবে, এমন কথা নেই। খোদা প্রত্যেককে একটা করে মাথা দিয়েছেন নিজে চিন্তা করার জন্য। মাঝে মাঝে সেটা কাজে লাগালে সবার জন্যই ভালো না?
না, গেইমস খেলি না। তবে আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে কর্তাব্যক্তিরা ওগুলি খ্যালেন। এবং ওগুলি খেলে খেলেই মোজো অর্জন করে বাজেট প্রণয়নে আর এডিপির প্রস্তাবনায় নামেন। কেউ সেটার খোঁচ ধরলে গেইমস খেলা ফেলে মার্ক্স আর হেগেলের কেশ ধরে টানাটানি করেন, আর নন্দ ঘোষ মধ্যবিত্তের কেশ টেনে ছিঁড়ে শ্রেণী সংগ্রামের সুন্নতটুকু পালন করে আবার সিমসিটি-সিভিলাইজেশন-এজ অফ এম্পায়ার খেলায় মন দেন। ফাঁকতালে কালো টাকা সাদা করার হারামিপনাটা হারিয়ে যায়।
- বস, আপাতত খালি আমার ভাগের কথাগুলো নিয়েই হালকার উপ্রে ঝাপসা মারি!
ঠগ বাছতে গাঁও উজার করার দরকার নাই, আর কবি সমাধানের জায়গায়ও নিরব না। বরং বেশ সরব। জালি বেত ব্যবহার শেষ করেই ক্ষান্ত হওয়ার কথা বলি নাই। বলছি, টাচ এণ্ড ব্যাক নীতি। গত আটত্রিশ বছরের জঞ্জাল সাফা কইরা নিউ স্টার্ট দিতে বলি নাই। (যদিও এইটা কঠিন হলেও বেসম্ভব না।) যার কালো টাকা আছে তারে জামাই আদর করে ছেড়ে না দিলেই হলো। কাউকে চাকুরিচ্যুতও করার দরকার নাই। তাইলে দক্ষ জনশক্তির অভাব পড়বে প্রজাতন্ত্রে। সমাধান হলো শাস্তি, কঠিন শাস্তি। সেটা দৈহিকও হতে পারে মানসিকও হতে পারে কিংবা দুইটাই। মন্ত্রী মহোদয় খালি কষ্ট করে এমন একটা পদক্ষেপ নিলেই হয়, তাইলেই সব খাল্লাস! মিটার রিডার কিংবা সচিবালয়ের ভুড়িমোটা চান্দিছোলা আমলা, সবাইরে হাবুইট্টা জালিবেত ট্রিটমেন্ট। এইটা যদি তিনি বা যে কেউ করতে পারেন, তবে 'দুর্নীতি প্রধান দেশ' কথাটা যাদুঘরে ঠাঁই নেবে। এইটা কথার কথা না, প্রমাণ হাতের কাছেই আছে। চান?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পামর ভাইছাহেব দেখি বাট প্লাগের বহুবিধ ব্যবহারে একেবারে সিদ্ধহস্ত, হেইডারে আবার ইয়ার প্লাগ বানাইয়া তথাকথিত ইন্টারনেট কমান্ডোগো গুষ্ঠি উদ্ধার করতাছেন। আপনার সমস্যাটা কী বুঝলাম না। দুনিয়াব্যাপী সবখানেই ইন্টারনেট মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর অত্যন্ত কার্যকরী একটা মাধ্যম। আমরা অনেকেই বাজেটে কালো টাকা সাদা করার ব্যাপারটা নিয়ে সচেতন বা সোচ্চার হতাম না এই টপিকটা নিয়ে আলোচনা না হলে। আপনি বাল ছাল না বুঝে নিজের পরাজয় মেনে নেয়া, পাছা চুল্কানো হতাশাবাদী মানসিকতা জোর করে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার নির্লজ্জ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের সব বাটপার খানকির ছেলে, এই দেশের কোন অদল বদল সম্ভব না, সব রসাতলে গেছে ফর গুড, আসেন হাত পা গুটাইয়া কোরাসে কান্দি এই যদি আপনার বক্তব্য হয় তাহলে দয়া করে সেটা নিজের মধ্যেই রাখেন, আরো ভালো হয় যদি আপনার পেয়ারের বাট প্লাগটারে মাউথ প্লাগ বানিয়ে মুখে নিয়ে চুপ থাকেন।
আর যদি গঠনমূলক কোন আলোচনা সমালোচনা করতে চান, তাহলে মুখোশ খুলে নিজের নাম পরিচয় নিয়ে সামনে আসেন।
"তবেরে পামর"-এর নিম্নোক্ত মন্তব্যটি ঈষৎ সংক্ষেপিত। অবশিষ্ট অংশ মূল আলোচনায় অপ্রাসঙ্গিক হওয়ায় পরিমার্জন করা হল। সকলকে ব্যাক্তিগত, আপত্তিকর, ও অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার অনুরোধ রইলো।
আমিও দিলাম। লঙ্কায় গেলে রাবণ হতেই হয়?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
শিশুতোষ ব্লগাব্লগি বন্ধ করে বরং রাস্তায় নামুন আর তা না পারলে এমন একটা মাধ্যমে লিখুন (মানে সময় নষ্ট করুন) যেটা দেশের অনেকে দেখবে পড়বে। কিছুটা আলোড়ন তাতে হলেও হতে পারে। যেই দেশে ইন্টারনেট ১% লোকও ব্যবহার করে না সেখানে এসব বোতলামি অর্থহীন।
অবশ্য তাইওয়ান প্রবাসী সম্মানিত অতিথির মারকুটে দেশপ্রেম দেখানোর জায়গা তাতে আবার কম পড়ে যাবে... হাহাহা!
Enough of this shit already. Blah.
শ্রদ্ধেয় তবেরে পামর,
ব্লগিং শিশুতোষ হলে সমস্যা কী? আপনার না পোষালে বড়তোষ কিছু পড়ুন। এমন কোন মাধ্যমে পড়ুন যেটা অনেকে পড়ে। যে দেশে ১% এর থেকেও কম লোকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেখানে আপনার মত লোকের এইসব শিশুতোষ ব্লগ পড়ে বিচলিত হবার মতো বোতলামি (শব্দটা নতুন শুনলাম) অর্থ ( হীন।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
বাটপার পলিটিশিয়ান আর ব্যবসায়ীদের তাত্ত্বিক ডালকুকুর হয়ে মার্ক্স আর হেগেলের মুখ দিয়ে তাদের মেহন করা বন্ধ করে রাস্তায় নামুন, অথবা বড় কোথাও সময় নষ্ট করে তাত্ত্বিক মুখমেহন করে আলোড়ন ফেলুন না কেন? দেশপ্রেম তো নাংতি বেয়ে পড়ছে আপনার, তারই খানিকটা এখানে ওখানে মাখিয়ে লিখে দেশটাকে রামরাজ্য বানিয়ে দিন, জনাবে আলা। মার্ক্স আর হেগেলের লুঙ্গির নিচ থেকে মাথাটা বার করে আমাদের আলোকিত করুন। আপনিই জাতির ত্রাতা।
- তবেরে পামর, ভাইজান কি অর্থমন্ত্রণালয়ের কোনো হুম্বিতম্বি মার্কা আমলা নাকি? সোজা চোখে যেটা দেখা যায় সেটা না দেখে শিশুতোষ মাধ্যমে আপনার বড়তোষ আইডিয়ার তোষণ দেখাচ্ছেন যে বড়! মি. মাল মুহিত কি আপনাকে নিয়োগ দিয়েছেন নাকি এইসব বালছাল আমাদেরকে শোনানোর জন্য?
ভাই, উইথ ডিউ রিসপেক্ট বলি, দূরে গিয়া মরেন আপনার বড়তোষ আইডিয়া নিয়া। আমরা এইখানে শিশুমানুষ, অন্যকোনো দিক দিয়ে না হলেও ক্ষমতার দিক দিয়ে, আমাদেরকে আমাদের মতো করে রাজাউজির মারতে দেন। আর আপনি গিয়ে দেশের উন্নতি করেন মি. মাল মুহিতের সঙ্গে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
@ পামর দাদা, আমরা স্বল্প শিক্ষিত বাঙালি, ইংরেজি বুঝি না, একটু বাঙলায় বলবেন কী? আর ইংরেজী যদি ঝাড়তে চান, বলুন, আমরাও "ডিক""শোনা"রি নিয়া রেডি হই। আর এত যে ফাঁক চুদাইতেছেন, আপনে জনসচেতনতার ব্যাপারে কোন মহান কাজটি করিয়াছেন? বললে ভালো লাগত!! নিজেও কিছু করবেন না, ঐ মন্ত্রীর ইয়ে মারা খেতে যদি এতই ভালো লাগে তাহলে বলুন না, এখানে আপনার নাম ঠিকানা দিয়ে দেই, অন্যান্য মন্ত্রী মহোদয়রাও হয়তে আপনাকে স্বদব্যবহার করতে পারবে। ১% মানে জানেন? ১৫ কোটির ১% কিন্তু ১৫ লাখ, আপনে আবার ইংরেজী জানা মানুষ, আপনি অংক নাও জানতে পারেন, তাই এই লোভ সামলাতে পারলাম না নিজে কিছু করবেন না, এখানে অভিজ্ঞ সচলেরা যদি ১ লক্ষ লোককেও সচেতন করতে পারেন, তাও আমাদের জন্য লাভজনক? মন্ত্রী দেশে কয়জন? তাদের ঠেঙ্গাইতে কিন্তু শিক্ষিত ১৫ লাখ লোকের দরকার নাই, দেশ স্বাধীন করার জন্য একজন মানুষের ডাক কিন্তু যথেষ্ট ছিল।
অশালীন কথা বলার জন্য বড়ই লজ্জিত, কিন্তু মনে হয় না আপনে অন্য ভাষা বোঝেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এরকম মাথামোটা বুদ্ধি পাকি ছাড়া আর কারো মাথায় আর কারো মাথায় আসবে কিভাবে। গৌতমদার মত বলতে ইচ্ছা করছে, কালো কে সাদা নয়, সাদা কে কালো করার ফর্মুলা চাই, তাহলে ট্যাক্সের খুদ্র অংশ দিয়ে সব টাকা আবার কালো থেকে সাদায় আনা যাবে। ২%, হা হা হা, কোন খানে তো সেলস্ ট্যাক্সও নেই ২%
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বস, কঠিন ব্যানার হইসে, ব্যানারে কমেন্ট দেবার কোন ব্যাবস্থা করা যায় না?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কালো টাকা সাদা করার ব্যাপারে সাংসদদের প্রবল উৎসাহের সংবাদ আসছে পত্রিকায়। দুয়েকজন বিবেকবান উচ্চকণ্ঠে প্রতিবাদ করেছেন, তাঁদের সাধুবাদ জানাই।
টাকা কালো করার মেকানিজম চালু রেখে ফি বছর সাদা করার কল খুলে রেখেও লাভ নাই। নিতান্ত যদি কালো টাকা ধোলাই করে বাজেট ভরপুর করতে হয়, তাহলে একটি "বিদ্যুৎ খাত উন্নয়ন ফান্ড" করা হোক। এই খাতে আগামী তিন বছর ধরে অর্থবছরের প্রথম দশমাসব্যাপী নগদ আর্থিক অবদান গ্রহণ করা হোক, অবদাতাকে ফান্ডে জমা দেয়া টাকার চারগুণ পরিমাণ অর্থ আয়করের আওতার বাইরে রেখে প্রদর্শন করার সুযোগ দেয়া হোক। কুড়ি শতাংশ হারে কর দেয়ার সমতুল্য হবে ব্যাপারটা, অর্থাৎ ১০০ টাকা যদি কালো হয়, ২০ টাকা ফান্ডে জমা দিয়ে বাকি ৮০ টাকা সাদা করা যাবে। এ কাজ করা যাবে জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত, মে আর জুন মাস এই কাজ করা যাবে না। এই দুই মাসে চলবে কালো টাকা শিকার। কালো টাকার মালিকদের এই দুই মাস প্রচলিত আইনে পাকড়াও করা হবে।
বিদ্যুৎ খাতে আগামী কয়েক বছর ধরে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন। কালো টাকার মালিকদের টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হবে, আবার তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে টাকা কালো করার মেশিন চালু রেখে তিন বছর পর যাতে একেবারে মোটা টাকা সাদা করতে না পারে, সে জন্যে মাঝে ঐ দুই মাসের "হান্টিং সিজন" খোলা রাখা হবে।
নতুন মন্তব্য করুন