স্যার গো, দরপত্র জমা দেয়ার ব্যাপারটিকে ডিজিটাল করা যায় না?

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বুধ, ২৪/০৬/২০০৯ - ২:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট যখন ক্ষমতার লঙ্কায়, তখন আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ডধারী রাবণসোনারাই পাঁচবছর দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে বলে মনে হচ্ছে। দিন বদলের সূচনা। গত সাত বছর তারা দৌড়ের উপর ছিলো, এখন আবার ঈশ্বর চোখ টিপে আশ্বস্ত করছেন তাদের, দিন বদলাইসে না? সরাসরি আওয়ামী লীগের দলীয় ক্ষমতাবলয়ে না থাকলে দেশের বাকি ব্যবসায়ীদের কপালেও দিন বদল ঘটবে। পত্রিকায় এমন একজন দিনবদলের কবলে পড়া ব্যবসায়ী মশিউর রহমানের খবর পড়লাম।

এই ইতিহাস পুনরাবৃত্ত হতে হতে হয়রান হয়ে এখন বটগাছের ছায়ায় জিরিয়ে নিচ্ছে। এর আগে জোট সরকারের সময় এই কাজগুলি করেছে তাদের পাণ্ডারা। তার আগে করেছে লীগের পাণ্ডারা। তার আগে করেছে বিএনপির পাণ্ডারা। তার আগে করেছে এরশাদের পাণ্ডারা। তার আগে ... ।

যেহেতু অ্যানালগের সানডে-মানডে কোলোজ করে মহাজোট সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল যুগে ঢোকাতে চান, তাহলে এই দরপত্র জমা দেয়ার প্রক্রিয়াটিকে ডিজিটাল করা হোক না কেন? ব্যাপারটি আহামরি জটিল কিছু হবে না, একটি ইলেকট্রনিক ফর্ম ওয়েবসাইটে তুলে দেয়া হবে, সেটির বিপরীতে ব্যাঙ্কে টাকা জমা দেয়া হবে। ব্যাঙ্ক আবার একটি কোড সরবরাহ করবে, যেটি ঐ ফর্মে পূরণ করতে হবে। স্বাক্ষরের পরিবর্তে ব্যবহৃত হতে পারে ঠিকাদারদের কোন কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের বিপরীতে পিনকোড বা এমনই কিছু, যা যাচাই করা হবে সার্ভারের ডাটাবেজ বরাবর। জমা পড়লে একটি টিকেট নম্বর পাঠিয়ে দেয়া হবে তাঁদের ইমেইল ঠিকানায়, যেটি পরবর্তীতে এর রসিদ হিসেবে আইনের চোখে বিবেচিত হবে। এরপর বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় বসে অন্য যে কোন জায়গার কাজে যাতে দরপত্র জমা দেয়া যায়, সেজন্যে একটি কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট খোলা হবে, যেটির সার্ভার একটি চরম সুরক্ষিত জায়গায় স্থাপন করা হবে। কোন শুয়োরের বাচ্চা ক্যাডার সেখানে গিয়ে বাগড়া দিতে পারবে না।

সরকার কি এমন একটি ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতে পারেন না? মনে হয় পারেন না। পারলে দেশটার হেঁটোয় কণ্টক আর ওপরে কণ্টক দিয়ে ডালকুত্তাদের মাঝে বণ্টক করার সুযোগ কমে যাবে। যে দলই আসুক না কেন, ভোটের পরোয়া তারা করে না, ডালকুকুরের খোরাক আগে জোগানো চাই।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এরকম শুনেছিলাম তো, তারা করতে চায়। যত তাড়াতাড়ি করে ততই ভালো। হাসিনা আগের চেয়ে অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য, যোগ্য। কিন্তু তার লোকবল বেশ আনকোড়া। তারা ভেতরে বাইরের চাপ সামলাতে পারছেনা।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, ডিজিটাইজ করলে মারিং কাটিং এ মন্ত্রী আমলাদের তো অসুবিধা হবে, তারা কী এটা হতে দিতে চাইবে?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

হিমু এর ছবি

ছোট আকারে কোথাও না কোথাও অন্তত শুরু করতে পারে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত বছর আগে এক ছাত্রী, সাবেকুন নাহার সনি, নিহত হয়েছিলেন দরপত্র নিয়ে দুই কুকুরের লড়াইয়ে। দরপত্র প্রক্রিয়ার ডিজিটায়ন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় একটি উদাহরণ রাখতে পারে দেশের সামনে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

প্রস্তাবে সহমত, কিন্তু সদিচ্ছা কোথায়?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ালের ডিজিটাল করবো। ভাত খাইতে ভাত নাই, সাইকেল লইয়া হাগতে যাই আরকি!
মেজাজ বহুত খারাপ হৈয়া আছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভাত খাইতে ভাত নাই, সাইকেল লইয়া হাগতে যাই আরকি!
এই প্রবাদ তো আগে শুনিনি! আপনার বানানো নাকি?

স্পর্শ এর ছবি

আমি শুনেছিলাম-
ভাত পাওনা ছাই খাও, হোন্ডা লইয়া হাগতে যাও


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এটা তো আরো জব্বর।

সবজান্তা এর ছবি

সঠিক ভার্সনটা সম্ভবত এমন,

ভাত পায় না, চা খায়... হোন্ডা লয়া...............


অলমিতি বিস্তারেণ

স্বপ্নাহত এর ছবি

পুরাই ডিজিটাল! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সেরাম হইসে...গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------------------------------------
একটি কথার দ্বিধাথরথর চূড়ে ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দিন বদলের অঙ্গীকারে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

-ইত্তেফাক, ২৪ জুন, ২০০৯।

নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত দিন বদলের সনদ বাস্তবায়ন করে অসাম্প্রায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সকালে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
.
.
.
বিকালে গণশোভাযাত্রা শুরুর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনের রাস্তায় খোলা ট্রাকে মঞ্চ তৈরী করে জনসমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।


আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা আনতে হবে। তিনি বলেন, বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর হবেই।
প্রশ্ন হচ্ছে, কবে?

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গীকার করতে হবে সবাইকে।
অঙ্গীকারের দায়িত্ব আমাদের উপর চাপানো হচ্ছে কেন? নিজেদের দিয়ে শুরু করলেই তো আমরাও এগিয়ে আসি।

প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল অহমেদ বলেন,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

ভালো কথা। কিন্তু মাঝে মাঝে কি সব যেন শুনতে পাই।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আসুন আমরা বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারী হিসেবে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার শপথ নেই।

বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, দলের জন্মদিনে আমাদেরকে শোষণ-বঞ্চনামুক্ত নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের শপথ নিতে হবে।

সেই একই শপথ আর অঙ্গীকার.. এর বাস্তবায়ন এ জনমে বোধ হয় দেখা হবে না।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তার বক্তব্যে বিরোধী দলকে সংসদে যোগ দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সকলে মিলে দেশকে এগিয়ে নেই।
এই লোকটার কথাবার্তা একটু পছন্দ হয়। আশাবাদী হতে আশা যোগায়।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল বোস, আব্দুল মান্নান, সুলতান মুহম্মদ মনসুর আহমেদ, আব্দুর রাহমান, ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, হাবিবুর রহমান সিরাজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান খান, মির্জা আজম, হাজী মকবুল হোসেন, ডাঃ এইচবিএম ইকবাল প্রমুখ।
হায়রে দিনবদল, এদের সাথে নিয়ে দিনবদলের অঙ্গীকার!

মামুন হক এর ছবি

এইটা প্রস্তাবটা বাস্তবায়ন করতে পারলে একটা বিরাট কাজ হতো। আশায় আছি, একদিন হয়তো হবে।

গৌতম এর ছবি

হয়তো একদিন সবকিছুই হবে। ততোদিনে তেত্রিশ বছর পেরিয়ে যাবে...
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

স্পর্শ এর ছবি

কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই দেশে ইন্টারনেট জিনিসটারে কাজের মনে করে খুব কম লোকই। অধিকাংশই মনে করে ইন্টারনেট হইলো তরুণ পোলাপানের ফাইজলামির জায়গা।
এই মানসিকতা বদলের কেউ চেষ্টা করে না।
এই কথাটা এখানে শুনতে হয়তো আশ্চর্য লাগতেছে। কিন্তু ঘটনাটা সত্যি। এখনো আমাদের মধ্যে প্রচুর মধ্যযুগীয়তা আছে। যতোই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলি না কেন

ডিজিটাল বলতে কেবল কম্পিউটারাইজড না। সব ক্ষেত্রেই বদলাইতে হবে।
গতকাল ছিলো আওয়ামী লীগের ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। বিকালে জনসমাবেশ ছিলো। ঢাকার প্রায় প্রতিটা এলাকা থেকে মিছিল গেছে পল্টনে। মিছিলে রাস্তা ছয়লাব। তাতে পুরা ঢাকায় যে ট্রাফিক জ্যাম হইছে তা অমানবিক। মহাখালি থেকে মগবাজার আসার ১০ মিনিটের পথ আমি পার হইছি দেড় ঘন্টায়। এবং এইটা অফিস ছুটির ব্যস্ত সময়ের ঘটনা।

মিছিল একটা শোডাউন। এটা জনজীবনে কতোটা প্রভাব ফেলে, সেটা আগে বুঝতে হবে। এমনিতেই জানজটে নাকাল আমরা। সেখানে অহেতুক মিছিলের রাজনীতি আগে প্রত্যাহার করতে হবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

মহাখালি থেকে মগবাজার আসার ১০ মিনিটের পথ আমি পার হইছি দেড় ঘন্টায়। এবং এইটা অফিস ছুটির ব্যস্ত সময়ের ঘটনা।

আপনি ভাগ্যবান! আমার লাগছিল প্রায় আড়াই ঘন্টা।

হিমু এর ছবি

দুইদিন আগে এক রামছাগল এসে ব্লগিংকে শিশুতোষ ডেকে গেছে। হাবভাব দেখে মনে হইল সে কোন আমলা, দুনিয়ার বাকি সবাইরে নিজের থেকে তুচ্ছ জ্ঞান করে। কাজেই তার মতো ইডিয়টকে ধারণ করে, এমন সিস্টেম তো ইন্টারনেটকে তাচ্ছিল্য করবেই। খোঁজ নিলে সে জানতে পারতো, বঙ্গবন্ধুর খুনী মহিউদ্দিনকে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ায় বাধা দিয়েছেন এক ব্লগার, ম্যাশ, স্রেফ ব্লগে লিখে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দ্রোহী এর ছবি

কী দরকার এইসব ঝামেলা করে? দরপত্র জমা দেবার ব্যবস্থাটাকে একটা মধ্যযুগীয় রূপ দিতে পারলে আরো ভালো হতো।

দরপত্র জমাদানের বাক্সের সামনে দরদাতারা ছাগলের (ছাগুরামের না) চামড়া পরে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হবে। যে জিতবে সে বাক্সে দরপত্র জমা দিবে।

সিরাত এর ছবি

আপনে অফিসে তো বিপদে ফালায় দিবেন দেখা যায়! কলিগ জিগায় হাসো ক্যান? কি কমু কন তো? মন খারাপ

সিরাত এর ছবি

হিমু ভাই তো সালিভান স্টাইলে লেখা শুরু করসেন! দারুন! আমাদের একজন সালিভান দরকার। হিমু সালিভান! হাসি

আমি আসলে আপনার মত অত দেশ-সচেতন না বলে কিছু জিনিস বুঝি না। আপনার পোস্ট পড়ে এজুকেশন হয় আর কি!

অজস্র ধন্যবাদ!

স্পর্শ এর ছবি

সালিভান কী?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দ্রোহী এর ছবি

সালিভান একজন বিখ্যাত ব্লগার

আরেকটা সালিভান হইলো "মনস্টারস্ ইনক্" এর সালিভান।

সবজান্তা এর ছবি

আমি দ্বিতীয় সালিভানের কঠিন ফ্যান। আমার লাইফে দেখা সেরা তিনটা এনিমেশনের একটা এই মনস্টারস ইঙ্ক।


অলমিতি বিস্তারেণ

দ্রোহী এর ছবি

আমারে তিনটা অ্যানিমেশন বাছতে বললে ঝামেলায় পড়ে যাবো। তবে "WALL-E" আমার লিস্টের একদম উপরের দিকে থাকবে সবসময়।

সবজান্তা এর ছবি

হ আসলে তিনটা এমনে বাছা কঠিন। তয় র‌্যাটাটুই নিঃসন্দেহে এক- নম্বরে থাকবে। আমি এমনিতে কোন সিনেমাই দুই বার দেখি না ,যতোই ভালো লাগুক না কেন। র‌্যাটাটুই দেখেছিলাম চার বার !


অলমিতি বিস্তারেণ

দ্রোহী এর ছবি

নাহ্ ঝামেলা লেগে গেল। র‌‌্যাটাটুইয়ের কথা ভুলে গেছিলাম। এখনতো এইটাও একদম উপরের দিকে থাকবে। ওই যা! ফাইন্ডিং নিমো ও একদম উপরের দিকে থাকবে। ওহ, আপ তো দুর্দান্ত, একদম উপরে না থাকলে মানায়ই না।

বুঝতে পেরেছি। আমাকে সেরা অ্যানিমেশন ছবি বাছতে বলা আর একদল ছাগলের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ছাগলটা বাছতে বলা এক কথা।

সবজান্তা এর ছবি

মিয়া মজা লন !

আপ এখনো দেখতে পারি নাই ভালো প্রিন্টের অভাবে, আর আপনে মিয়া আপ- এর গল্প লাগাইসেন।

আপনার আইপি সহ ব্যাঞ্চাই।


অলমিতি বিস্তারেণ

পার্থসারথি মুখার্জী এর ছবি

আপনি যে সমস্ত ছবিগুলোর কথা লিখেছেন সেগুলো আমারও ভীষণ প্রিয় ছবি । কিন্তু এদের মধ্যে আমি কাউকেই এক নম্বরে রাখতে পারছি না । আমার প্রিয় দুটি ছবি হল ,
১। Coraline
২। Prince of Egypt

আপনার পায়ে পড়ি , এই দুটি ছবি একবার দেখুন ! তারপর আপনার আরো কয়েকটি মন্তব্য শুনতে চাইব ।

দ্রোহী এর ছবি

কোরালাইন মোটামুটি লেগেছে আর প্রিন্স অব ইজিপ্টতো একেবারে উপরের দিকে থাকবে। দেঁতো হাসি

স্পর্শ এর ছবি

লিঙ্ক টার জন্য থ্যাঙ্কু। কিন্তু এই বেটারে ভালা পাইলাম না।
উইকিপিডিয়া থেকে-

Sullivan strongly supported the decision to go to war in Iraq, and was initially hawkish in the war on terror, arguing that weakness would embolden terrorists.


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সিরাত এর ছবি

সরাসরি ব্লগটাই পড়েন না! সে ইরাক নিয়ে বারে বারে ক্ষমা চাইছে, এটাও মনে রাখতে হবে।

মানুষ মাত্রই ভুল করে। সালিভান আরেক দেশের মানুষ। হিমু ভাই বা ওরকম জনপ্রিয় কোন ব্লগারও যে ভুল করেন না বা করবেন না তাও না। তবে সেটা কথা না।

কথা হল: সালিভান পাত্তা পায়। ওর প্রতি পোস্ট গড়ে লাখ লোক পড়ে।

সালিভান আমেরিকার কোন রাজনীতিবিদের পিছে লাগলে ওর তেরটা বেজে যেতে পারে। সুতরাং ওর মতামতও ওদের মাথায় রাখা লাগে। হিমু ভাই বা বাংলাদেশের অন্য কোন ব্লগার মতামত তৈরিতে এরকম ভূমিকা রাখতে পারলে ভাল হয়।

মোদ্দা কথায়, আমি চাই, হিমু ভাই (বা ওনার মত জনপ্রিয় কোন ব্লগার) পাত্তা পাক। হিমু ভাইয়ের প্রতি পোস্ট যদি গড়ে হাজার লোকও পড়ে, এ দেশের রাজনৈতিক মতামত তৈরিতে ওনার (বা ওনাদের) একটা প্রভাব থাকবে। এটা আমার মতে প্রযুক্তির একটা দারুন ব্যবহার।

তার মানে কিন্তু এই না যে সবাই হিমু ভাইয়ের সব কথা শুনবে। আমিই হিমু ভাইয়ের কিছু মতামতের সাথে দ্বিমত পোষন করি। কিন্তু আবার এমন কিছু আইডিয়াও আছে যেখানে ওনার কিছু ইউনিক অ্যাঙ্গেল আছে, বেশ ব্যবহারিকও। ওগুলি বিবেচনায় নেয়া গেলে কি দারুনই না হতো।

বিবেচনায় নেওয়ানোটাই এখানে মূলকথা। আমাদের ব্লগিং এর ওই পর্যায়ে পৌঁছানো দরকার। ব্লগ লেখার জন্য দেখেন না মধ্যপ্রাচ্যে মানুষকে জেলে নিয়ে যায় - ওই ধরনের ইমপ্যাক্ট। আমি এ পর্যায়ে দেখি সবচেয়ে ভাল চান্স হিমু ভাই বা ফারুক ওয়াসিফ ভাই টাইপের ব্লগারদের। তবে হয়তো এ জন্য হিমু ভাইকে পত্রিকাতেও কিছু লেখা দিতে হবে।

এহ, কত কথা কই আমি! বিরক্ত হইবেন না কইলাম!!

হিমু এর ছবি

সবকিছু পড়ে সিদ্ধান্ত নিলাম, দেশচিন্তা বাদ দিবো। অসমাপ্ত গল্প "গোয়েন্দা ঝাকানাকা ও কবিদের কারবালা" শেষ করায় তনোমনোধনোনিবেশ করবো। সালিভান বা ওয়াসিফ হইয়া কাম নাই।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ভুতুম এর ছবি

গল্প লেখায় তন ও মন নিবেশ করা অতিশয় উত্তম, কিন্তু এরপরের জিনিষটা কীভাবে নিবেশ করা যায় আলোকপাত করিয়া পোস্ট দেন - আমিও নিবেশ করিতে চাই, কিন্তু জ্ঞানাভাবে পারিতেছি না।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

সিরাত এর ছবি

হাহ হাহ হাহ হাহ। দেঁতো হাসি পোলাটা ওয়ার্ড-প্লে এর মাস্টার!

দ্রোহী এর ছবি

গল্প লেখায় তন ও মন নিবেশ করা অতিশয় উত্তম, কিন্তু এরপরের জিনিষটা কীভাবে নিবেশ করা যায় আলোকপাত করিয়া পোস্ট দেন - আমিও নিবেশ করিতে চাই, কিন্তু জ্ঞানাভাবে পারিতেছি না।

ধু.গোরে জিগান। ও এই লাইনে ওস্তাদ লোক।

সিরাত এর ছবি

এমুন করেন ক্যান?! চোখ টিপি

স্পর্শ এর ছবি

চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অমিত আহমেদ এর ছবি

করা দরকার। প্রযুক্তিগত ভাবে করা কষ্টসাধ্যও না। সহায়তা পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক'জন ছাত্র মিলেই করে ফেলতে পারবে। তবে সরকার খুব কাছাকাছি সময়ে করবে বলে আশা রাখতে পারি না।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

শামীম এর ছবি

টেন্ডার ফর্ম ডাউনলোড করা যায় ... কিন্তু জমা দেয়া যায় না ... মু হা হা হা ... আর এইদিকে ক্রেডিট কার্ডের এজেন্টরা পিছে ঘুরাঘুরি করতেছে ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ডিজিটাল মানে কী?
রাজকুমার বিশ্বাসের মতে, ডিজিটাল হইতেছে ডি এবং জি একলগে খাইয়া টাল।



অজ্ঞাতবাস

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, কঠিন গড়াগড়ি দিয়া হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অনলাইনে দরপত্র জমা দিয়ে কতোটা লাভ হবে? মানুষের দৌঁড়াদৌড়ি একটু কমবে, তবে যারা কাজ পাবে, তারা পলিটিক্যাল ব্যাকিং বা ঘুষের মাধ্যমেই পাবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হিমু এর ছবি

ডেডলাইন পার হবার পর সব অংশগ্রহণকারীর দরপত্রের মোট অঙ্ক প্রকাশিত হবে। কাজ পাওয়াটা হালাল হলো কি হলো না, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। দুর্নীতি বন্ধ করতে চাইলে সেটিই সবচেয়ে ভালো উপায় হবে। এই যে ডিজিটায়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, দুর্নীতিদমন ইত্যাদি বড় বড় শব্দের অনর্গল উচ্চারণে শব্দদূষণ ঘটছে, তার সবই সম্ভব হবে।

যারা এইসব শব্দোচ্চারণ করে করে হয়রান, তারা কাজে বাস্তবায়ন করে দেখাক। আর না পারলে চোরের বউয়ের মতো বড় ঘোমটা টেনে চুপচাপ চুরির অপবাদ সহ্য করে যাক।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

স্বচ্ছতা আর জবাবদিহীতা হলো মূলকথা, তা ইন্টারনেটে হোক আর কর্ণফুলী কাগজে হোক। নেটে দরপত্রের অঙ্ক দেখানোর পরেও ইচ্ছা থাকলে দুর্ণীতি করা সম্ভব। তবে পাবলিক জানলে দুই নাম্বারী করতে একটু অসুবিধা হয়; কারণ, আমরা অগোচরে লাখ টাকার অনিয়মেও কিছু না করলেও সামনে দিয়ে ২ টাকার এদিক-ওদিক দেখলে নড়েচড়ে বসি।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হ। চুরি করার ইচ্ছাটাই আসল। ম্যানুয়াল-ডিজিটাল কিছু না।



অজ্ঞাতবাস

শামীম এর ছবি

এই গল্পটা প্রায়ই বলি:
ঘুষ খায় দেখে রাজার কর্মচারীকে জেলার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সরিয়ে নিল ... জেলে তো বদমাশরা থাকে ওখানে আর কি করবে ...

কদিন পর কয়েদী মারা গেলে, জেলার সাহেব নিজ উদ্যোগে কয়েদীর বাসায় খবর দিয়ে জানালেন যে কয়েদীর আরো কয়েকবছর জেলবাস বাকী ছিল, এখন পরিবারের কাউকে এসে বাকী সময়টুকু জেল খেটে যেতে হবে .... .... অবশ্য বিকল্প উপায় আছে .... আমি যদি ব্যাপারটা চেপে যাই তাহলে কিছু হবে না। -- চেপে যাওয়ার ব্যবস্থা হল!

রাজার কানে এরকম খবর গেলে বিরক্ত হয়ে এই ব্যাটাকে নদীর ঢেউ গুণতে লাগিয়ে দিল (আগের আমলের কথা .. ইদানিংকার সিমুলেশন/মডেলিং তখন জানা ছিল না চোখ টিপি )। ব্যাটা ঢেউ গোনে; রিপোর্ট করে। একদিন এক নৌকাকে ডেকে নদীর পাড়ে ভিড়ালো ... ভীষন হম্বিতম্বি ... ব্যাটা জানস্ আমি রাজকীয় ঢেউ গণক ... তুই আমার ঢেউ ভাঙ্গলি কেন ... চল রাজার কাছে .. আইজ রাজারে তোর বিচার করতেই হবে .... মাঝির হাত ধরে হিড় হিড় করে রাজপ্রসাদের দিকে টানা শুরু করলো। মাঝি তো কাতর হয়ে অনুনয় বিনয় .. হুজুর আমি জানতাম না ... এইবারের মত মাপ করে দেন .... .... ইত্যাদি।

জানলে সব পরিস্থিতিতেই ঘুষ খাওয়া/দূর্নীতি করা যায়।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

লীন এর ছবি

সাধু সাধু...

______________________________________
বৃষ্টিভেজা বিকেল বেলায় তোমার সাথে হাঁটা...

______________________________________
লীন

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আর হৈছে...

হিমু এর ছবি

আজ প্রথম আলোতে পড়লাম খবরটা। লিঙ্ক দিতাম, কিন্তু এদের লিঙ্ক ব্যবস্থা বিরক্তিকর রকমের দুর্বল, দুইদিন পরই লিঙ্ক ইনভ্যালিড হয়ে যায়। উদ্ধৃত করি।



দুই মাসের মধ্যেই দরপত্র কার্যক্রম অনলাইনেঃ
নিজস্ব প্রতিবেদক

অনলাইনের মাধ্যমে দরপত্র জমা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী দুই মাসের মধ্যেই তা চালু করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে দরপত্রের এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ পরামর্শক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ ঘোষণা দেন। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসুচির (ইউএনডিপি) ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর রবার্ট জুকাম ও আয়েলমার গ্রুপের সভাপতি রিচার্ড লেবেল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ৩০৬টি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। এখন অগ্রাধিকার তালিকা করা হচ্ছে। অনলাইনের আওতায় প্রথমেই আসবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী সওজের পর রয়েছে শিক্ষা খাত ও জমি নিবন্ধন। বৈঠকে রবার্ট জুকাম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা কীভাবে দুর্নীতি কমাতে ভুমিকা রাখতে পারে, তা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

...




হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সাধু সাধু...
পড়ছিলো মনে হয় এই লেখাটা...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।