ঢাকা আক্রান্ত হয়েছে প্রথমত ডিজাইন প্রবলেমে। নগরবিদেরা আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন, কিন্তু এই শহরটি উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত হলেও উত্তর-দক্ষিণ বরাবর রাস্তা কম। ঢাকায় স্থায়ী আর অস্থায়ীদের যাতায়াতে প্রতিটি রাস্তা দিনের প্রতিটি মুহূর্তে জ্যামকণ্টকিত, দিনে গড়ে চার ঘন্টা করে সময় ব্যয় হয় ঘর থেকে বেরোতে আর ঘরে ফিরতে। ঢাকায় জনসংখ্যার তুলনায় পাবলিক ট্র্যান্সপোর্ট অপ্রতুল, আর রাস্তার একটি বড় অংশ দখল করে থাকে প্রাইভেট কার। সরকার এই সমস্যা নিয়ে নির্বিকার।
আমি ভাবছিলাম, কেন আমরা ঘর ছেড়ে বেরোই? সম্ভাব্য উত্তরগুলি দেখলাম, ঘর ছেড়ে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাই, কিংবা যাই অফিসে। এর বাইরে যাওয়া যায় কেনাকাটায়। নিশ্চয়ই আরো হাজারটা উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়ে বেরোই আমরা, কিন্তু প্রধান খাত তো এই তিনটিই। প্রতিদিন সকালে লক্ষ লক্ষ লোক সরু কয়েকটি রাস্তা ধরে হয় উত্তর থেকে দক্ষিণে, নয়তো দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছুটছে।
ভাবছিলাম, চট করে শহরে বড় মাপের কোন পরিবহন সমাধান চালু করা সম্ভব নয়। পাতাল রেল বা দোতলা রেল, দু'টিই অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ, আর যতদিন কাজ চলবে ততদিন নরকযন্ত্রণা পোহাতে হবে সবাইকে। বিকল্প থাকে, এই কমিউটিংকে মিনিমাইজ করা।
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে কি ডিস্ট্রিবিউটেড অফিস সিস্টেমস চালু করা সম্ভব না? ঘর ছেড়েই বের হবার প্রয়োজন কমিয়ে আনা যাবে তাতে। ঘুম থেকে উঠবো আটটার সময়, দাঁত মেজে গোসল করে নাস্তা সেরে কাঁটায় কাঁটায় ন'টায় লগ-ইন করবো অফিসের পোর্টালে। যা কিছু কাজ আছে, অনলাইনে পেয়ে যাবো, সেগুলো করা শুরু করবো। লাগবে শুধু নির্ভরযোগ্য কমিউনিকেশন আর এনার্জি ব্যাকবোন। হাতের কাছে তো অফিসের মোবাইল আছেই, যে কোন প্রয়োজনে হাজির আছি সকাল ন'টা থেকে। শোবার ঘরটাকেই কাজের ঘর বানিয়ে ফেলবো, কম্পিউটার/ল্যাপটপ তো অফিস দিচ্ছেই।
এর ইমপ্যাক্টটা চিন্তা করে দেখুন একবার। ছোট্ট একটা কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা থাকবে অফিসে, ম্যানেজারসহ দু'তিনজন থাকলেই যথেষ্ঠ। অনেক ছোট জায়গা নিয়ে অফিস চলতে পারে, বিদ্যুৎ তাতে খরচ হবে কম, ফলে দিনের বেলায় লোডশেডিংও তুলনামূলকভাবে কম হবে। এমপ্লয়ির বেহুদা যাতায়াত খরচটা বাঁচে, বাঁচে বাস-সিএনজি তাড়া করার হ্যাপাটা, আর এমপ্লয়ারের বাঁচে ফালতু অফিস স্পেস ভাড়া আর ইউটিলিটি খরচা। ঘরের খেয়ে অফিসের মোষ তাড়ানোতে একটা আলাদা জোশ কাজ করবে। ফাঁকিবাজির সম্ভাবনা বাড়তে দেখতে পারেন অনেকে, তাহলে বলি, ফাঁকিবাজি কি অফিসে বসে হয় না? যে ম্যানেজ করতে জানে, সে দূর থেকেও ম্যানেজ করতে জানে। ওসব ছেঁদো যুক্তি। হপ্তায় একটা দিন বড়জোর জেনারেল উইকলি মিটিঙের জন্য বরাদ্দ রাখা যেতে পারে।
আসুন, অফিস যাওয়ার হাঙ্গামা থেকে ঢাকা শহরকে বাঁচাই, নিজেরা বাঁচি। রাস্তাটুকু ছেড়ে দিই ছাত্রছাত্রী আর বাজারুদের জন্যে।
মন্তব্য
বস, লেখায়
আর আপনি
আমার মনে হয় আসলেও সম্ভব, কিছু ক্ষেত্র ছাড়া বাকি জায়গায় (যেমন হাসপাতাল) তবে বাড়ী থেকে বের না হবার কারনে হাসপাতালে যাবার কারনও সম্ভবত কমে যাবে, দুর্ঘটনা, হিট স্ট্রোক, মানসিক উত্তেজনা সবি কমে যাবে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাইরে, এখনও মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখি, অফিসে যাবো, অটোরিকশা খুঁজতেসি। সকালে আর সন্ধ্যায় কী যে এক ফাঁপড়ের মধ্যে থাকতাম! জ্যামের কথা বাদ দিলাম, একটা অটোরিকশা বা ক্যাবরে রাজি করাতেই ঘন্টা-দেড়ঘন্টা লেগে যেতো। অফিসে পৌঁছাইতাম দেরিতে, বস ক্যাচক্যাচ করতো, বাসায় ফিরতাম দেরিতে, মাথাটায় আগুন ধরে থাকতো।
কমিউটারদের কথা কেউ ভাবে না। কমিউটাররাও প্রাণপণে সিস্টেম খোঁজার চেষ্টা করে, যাদের পেটে গু আছে তারা জিলাপির মতো করে হাগে, যাদের নাই তারা ধারকর্জ করে গাড়ি কিনে জ্যাম আরো বাড়ায়।
বেবি ট্যাক্সি আর সি এন জি ওয়ালাদের কথা মনে পড়লে এখনও জ্বর আসে, আমার মনে পড়ে না, একদিনও আমি ক্লাসে সময় মত যাইতে পারসি, আর যাওয়া মাত্র শিক্ষকদের দাবড়ি, আর ফেরার সময় অর্ধেক রাস্তা রিকশায় এসে বাকি রাস্তা হেটে আসতাম, থাকতাম বাংলামটর মোড়ে, রাস্তা পার হওয়াও একখান বিশাল ব্যাপার, জান হাতে নিয়া দৌড়ের সাথে সাথে চিন্তা করতাম "হোয়াই ডিড ডা চিকেন ক্রস দা রোড"
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমি সেন্ট পারসেন্ট একমত। কিন্তু আমার ম্যানেজমেন্টকে বুঝাবে কে? উঁচুতলার বিল্লিদের ঘন্টা পরানো বিরাট হ্যাপা।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভুতুম্ভাই, আপনিও একদিন উঁচুতলায় উঠবেন। ঘন্টা এখনই পরে ফেলেন গলায় ।
অন আ মোর সিরিয়াস নোট, এরকম একটা কিছু করা শুরু করা দরকার। খুব খুব দরকার। তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে বড় বড় শব্দ না করে এরকম কিছু হাতে কলমে ঘটানো দরকার।
ঘন্টা পরেই আছি, এখন শুধু ওঠার অপেক্ষা! আমি সিইও হয়ে নি, এরপর বিয়াপক পরিবর্তন নিয়া আসবো এনশাল্লাহ। আর কেউ না হোক, অন্তত নিজে বাসায় বসে থাকব।
ঠিকই বলছেন, তবে এধরনের রিমোট অফিস কালচার মনে হয় আসতে এখনো দেরি আছে, সীমাবদ্ধতা কিছুটা প্রযুক্তিগত ও কিছুটা মানসিক। তবে ছোট ছোট করে কিছু পদক্ষেপ নেয়া শুরু করলে আসলেই জীবনযাত্রা আরেকটু সহজ হবে। যদি সচিবালয় টাইপের কিছু সরকারী অফিস গাজীপুরের দিকে সরিয়ে নেয়া যায়, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি সব ঢাকা শহরের বাইরে নেয়া যায় - শহরের উপর কিছুটা চাপ কমবে।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ঢাকায় সারাদিনে চলমান গাড়ির এঞ্জিনের সংখ্যার কথা ভাবুন। এগুলোর এফিশিয়েন্সি ২০-৪০% এর মধ্যে। অর্থাৎ, ৬০-৮০% তাপ অপচিত হচ্ছে, বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। যদি ধরি, গাড়ির ব্রেক পাওয়ার (লস বাদে যে পাওয়ার) ৫০ কিলোওয়াটের কাছাকাছি, তার মানে দাঁড়াচ্ছে, ১৫০-২০০ কিলোওয়াটের একটা হিটার ক্রমাগত চলছে। এটা একটা গাড়ির কথা বললাম। সারাটা দিন ধরে শহরটা এই গাড়ি থেকে ছড়িয়ে পড়া তাপে পুড়ছে। সাথে আছে এসির মাধ্যমে ঘর-অফিস-হাসপাতাল থেকে খেদিয়ে বার করা তাপ। ঢাকা শহর ছেয়ে আছে কংক্রিট, যা তাপ ধরে রাখে। মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হচ্ছে তার নিজের দোষে। ঢাকায় গাড়িচলাচলের হার কমাতে হবে বিপুলভাবে।
আইটি-র অনেক ধরনের কাজই রিমোট লগিন দিয়ে করে ফেলা সম্ভব। আইটি দিয়েও শুরু হতে পারে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ঠিক কথা ... কিন্তু তার জন্য ইন্টারনেট ব্যাকবোনটার ব্যাপক উন্নতি করতে হবে ... যেমন, জিপিতে আমাদের সার্ভারগুলির অনেক ছোটখাট প্রবলেম বাসা থেকে রিমোট লগিন করে ঠিক করে ফেলা সম্ভব ছিল; কিন্তু নেটের স্পীডের কারণে শুধু কানেক্ট করতেই যে পরিমাণ সময় লাগতো তাতে রাতের বেলা কোন সমস্যা হলে গাড়ি কল দিয়ে অফিস চলে আসা অনেক কুইক সলিউশন ছিল ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ওরে কিংকু চৌধারি, ইন্টারনেট ব্যাকবোনের ব্যাপক উন্নতির জন্যে কী কী করতে হবে, একটু পোস্টাও।
হ, আমি আসলে ইন্টারনেট ব্যাকবোন নিয়েও লিখতে গেছিলাম, কিন্তু সেলিনা জেটলির একটা ওয়ালপেপার দেখতে যায়া, আর বাড়াইলাম না, কথা।
ইন্টারনেট ব্যাকবোন ঠিক করার আগে, বুঝতে হইবো ঠিক ব্যাপারটা আসলে কী ! যেইখানে ইংল্যান্ডের লোক কাইন্দা ভাসায় যে তাদের স্পীড মাত্র ২ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ডে, সেইখানে আমাগো দেশে ১২৮ কিলোবিট পাইলে কয়, লাইনটা মন্দ না ! আমার ব্যক্তিগত বিবেচনায় রিমোট লগিন সহ মোটামুটি অন্যান্য কাজ করতে নূন্যতম ৫১২ কিলোবিটের লাইন যথেষ্ট। এইটা করা আমার ধারণা খুব কঠিন কিছু না। কিন্তু এইখানের মূল সমস্যা বিটিআরসি। তাদের কোন কাজেই নূন্যতম কমন সেন্সের গন্ধ পাই না। তারা ওয়াইম্যাক্স লাইসেন্স পর্বতের সমান দামে বেইচা খুশি - আরে বাবা, এতো দাম দিয়া যদি কেউ কিনে, সেইটা তো সে উসুল করবে এন্ড ইউজারের কাছ থিকাই, তাইলে টেকনোলজির উন্নতি কী হইলো ? বিটিআরসি আরো তুঘলকি ব্যাপার স্যাপার আছে, ম্যাংগো টেলিকম থেকে বাধ্যতামূলক ব্যান্ডউইডথ কেনা সহ আরো অনেক কিছুই। যাই হোক, এতো প্যাচাল না পাইরা আসল কথা কই, সরকারের সদিচ্ছাই আসল কথা।
টেকনোলজির উন্নতি কিংবা ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে শুধু জব্বারের বিজয় না, কিংবা সাবমেরিন কেবলে কানেক্ট করছি - সেইটা না। এই জিনিসটা যতো তাড়াতাড়ি সরকার বুঝবে, ততোই ভালো।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ম্যাঙ্গো'র ব্যাপারে কিছুই বলা নাই। আইএলডিটিএস পলিসিটাই একটা ফালতু পলিসি, যেখানে ইন্টারনেট গেটওয়ে রাখা হয়েছে মাত্র ২টা, যার মাঝে ম্যাঙ্গো ব্যান্ডউইথ কিনবে বিটিসিএল এর কনসার্ন বিএসসিসিএল থেকে। তাহলে আরেকটা ইন্টারনেট গেটওয়ে এর আগমন কী ভ্যালু অ্যাড করবে কমিউনিকেশনে? আর ব্যান্ডউইথ বাড়ানোর জন্য বিটিআরসি'র কী করা উচিৎ বা এই জাতীয় ব্যাপারে কী একটু বিস্তারিত আলোকপাত কী করা যায়?
অসঙ্গতিগুলি নিয়ে একটু পোস্টাও।
সহমত। এ ব্যাপারে জানার বেশ ইচ্ছা।
আমি নিতান্তই একজন এন্ড-ইউজার হিসেবে কিছু কথা বলতে পারি, যার অধিকাংশই কমন সেন্সের উপর ভিত্তি করে।
বাংলাদেশের ইন্টারনেট লাইন এখন মূলত তিন রকমের। প্রথম ক্যাটেগরিতে আছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট লাইন, যাতে ইউটিপি তারের মাধ্যমে লাইন বাসা পর্যন্ত পৌছে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ক্যাটেগরি, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট লাইন ব্যবহার। এতে সাধারণত ব্যবহারকারি ফোনসেটকে মডেম কিংবা আলাদা মডেমের মাধ্যমে পিসিতে ব্যবহার করে থাকেন। আর তৃতীয় ক্যাটেগরি, প্রাচীন পদ্ধতির সেই ডায়াল আপ লাইন, যা এখন অনেক কমে গিয়েছে।
প্রথমেই আসি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনের ক্ষেত্রে। ব্রডব্যান্ড শব্দটার সম্ভবত অপমানই হলো বাংলাদেশে এসে। যদিও ইন্টারনেটের প্রাচীন যুগে সেকেন্ডে কমপক্ষে ৬৪ কিলোবিট থেকে এ মেগাবিট পর্যন্ত স্পীডকে ব্রডব্যান্ড বলা হতো, কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের কোন স্ট্যান্ডার্ডেই সেকেন্ডে ২৫৬ কিলোবিট (অর্থাৎ, ৩২ কিলোবাইট)- এর নিচে হলে তাকে ব্রডব্যান্ড বলা যায় না। সেখানে আমরা আজ অনেক বছর ধরেই ১২-৩২ কিলোবিট সেকেন্ড প্রতির লাইনকেও ব্রডব্যান্ড নামেই ডেকে যাচ্ছি। যাই হোক, এ ধরনের লাইনের মূল সমস্যা হচ্ছে দেখ-ভালের অভাব। সম্পূর্ন নেটওয়ার্কই ইউ টি পি ক্যাবলের মাধ্যমে তৈরি করা, মাঝে মাঝে সুইচ/হাব বসানো। ঝড় বৃষ্টি কিংবা বজ্রপাতে তাই এ ধরনের লাইনের বিপদ বেশ বেড়ে যায়। এ ধরনের লাইনে এখন যেটা হয়, বড় কিছু কোম্পানী যেমন বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ধরা যাক, জিপ, ব্র্যাকনেট কিংবা স্মাইল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান লাইন দিয়ে থাকে। এদের থেকে যোগাযোগ করে বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় অনেক পিচ্চি আই এস পি ডিলারশিপ নেয়। এখানে মূল সমস্যা যেটা হয়, টাকার পরিমাণ বেড়ে যায়। ধরা যাক আমার নিজের কথাই। একই ব্র্যাকনেটের লাইন বুয়েট হলে ৬০০ টাকায় ১২৮ কিলোবিট পাওয়া যায় কারণ হলে ব্র্যাকনেটের সরাসরি ব্যবসা, কোন মধ্যপক্ষ নেই। কিন্তু একই ব্র্যাকনেটের লাইন, ১২৮ কেবিপিএস এর, পাড়ার আই এস পি তে দিতে হয় ১০০০ টাকা। পাড়ার আই এস পি শুধু মাত্র, এই তার, হাব ইত্যাদি পাহাড়া দিয়েই মাসে ৪০০ টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। মধ্যসত্বভোগের এই অংশটা বাদ দিতে পারলে কিন্তু, এই আমিই বাসাতে বসে ২৫৬ কেবিপিএস এর লাইন পেতে পারি, ১০০০ টাকা খরচ করে।
এরপর আসে মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার। এই পদ্ধতি কারো জন্য চমৎকার, কারো জন্য ভয়াবহ রকমের দুর্ভোগ। এর কারণ হচ্ছে একজন ব্যবহারকারি কতো স্পীড পাবেন তা নির্ভর করছে তিনি যেই বিটিএস অর্থাৎ সোজা বাংলায় যেই মোবাইল টাওয়ারের আন্ডারে আছেন, সেখানে কয়জন ব্যবহারকারি ব্যবহার করছেন একই সাথে তার উপর। এ ছাড়া বিল্ডিং এর অবস্থান, কতো উচ্চতায় ব্যবহার করছেন ইত্যাদি সবকিছুর উপরই। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, আমাদের নজরুল ভাই উত্তরা থাকাকালীন গ্রামীনের ইন্টারনেট সার্ভিস থেকে খুবই বাজে স্পীড পেতেন। সেই নজরুল ভাই-ই এখন ইস্কাটনে এসে চমৎকার স্পীড পান বলে শুনেছি।
এক অর্থে, মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট আমাদের দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার অনেকটা বাড়িয়েছে।
আজকাল অনেককেই ওয়াইম্যাক্সের ব্যাপারে খুব আশাবাদী হতে দেখছি। আমাদের এই আকালের দেশে নতুন কোন প্রযুক্তি আসলে, তাকে নিয়ে গালভরা যতো কথা বলা হয় তাতে নন-টেকি লোকের আশাবাদী না হয়ে উপায় থাকে না। কিন্তু একটু অন্যভাবে চিন্তা করলেই এই আশা কর্পূর হয়ে উবে যায়। বাংলাদেশের মতো তৃতীয়বিশ্বের দেশে এতো টাকা দিয়ে ওয়াইম্যাক্সের লাইসেন্স বিক্রি হওয়ার খবরে নীতিনির্ধারক মহলে সবার যে "ইন্টালেকচুয়াল অর্গাজম" (কার্টেসি - বদ্দা সুমন চৌধুরী) দেখলাম, তাতে বিস্ময় বাড়লো। এতো টাকা যদি কেউ বিনিয়োগ করে, তা নিশ্চয়ই তুলে আনবে মানুষেরই পকেট থেকে। তাহলে টেকনোলজি ছড়াবে কীভাবে? এরই মধ্যে এই প্রযুক্তি অন্তঃসারশূন্যতা টের পেয়ে প্রথম বিডার ব্র্যাকনেট ছেড়ে দিয়েছে। এই মুহূর্তে যাদের ওয়াইম্যাক্স আনার কথা ছিলো জুনেই, সেই বাংলালায়নও নিরব। এছাড়া দেখতে হবে ওয়াইম্যাক্সের আসলে ভবিষ্যতটা কী ? ওয়াইম্যাক্সের সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক হচ্ছে পাকিস্তানে, যার অনেকটা অংশই মরুভূমি। সাধারণত বলা হয়ে থাকে, দুর্গম এবং রিমোট অঞ্চলেই ওয়াইম্যাক্সের মূল ইম্পলিমেন্টেশনের জায়গা। এ ছাড়া এটা মাইক্রোওয়েভ ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা হওয়ার কারণে আবহাওয়া নির্ভরশীলতাও বেশি হবে কিছুটা।
কথা প্রসঙ্গে আসলে মূল বক্তব্য থেকেই সরে এসেছি কিছুটা। যাই হোক, মূল বক্তব্য হচ্ছে বিটিআরসি তথা সরকারকেই এ ব্যাপারে সজাগ হতে হবে। বিকল্প সাবমেরিন ক্যাবল রুটের সাথে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করতে হবে। অযথা ব্যান্ডউইডথের দাম বাড়িয়ে রাখার কোন যুক্তি দেখি না।কালো টাকা নিয়ে যতো জামাই আদর দেখি, তার এক শতাংশ যদি এই খাতে দিতো তাহলেই দেশের ইন্টারনেট ব্যাকবোন দাঁড়িয়ে যেতো। এছাড়া আর্মি সরকারের আমলে বিটিআরসি যাবতীয় প্রোভাইডারদের বাধ্য করতো ম্যাংগো টেলিকম থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যান্ডউইডথ কিনতে।
যাই হোক, শেষ কথা হলো, সরকারকে ব্যান্ডউইডথের দাম কমাতে হবে এবং সর্বস্তরের প্রোভাইডাররাই যেন তা কার্যকরী করে তা নিয়ন্ত্রন করতে হবে, এবং মধ্যসত্বভোগীদের একটা লাইসেন্সের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে, যাতে কেউ তার ইচ্ছা মতো ব্যবসা না করতে পারে।
আহহহ---- হাত ব্যথা করতেছে
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সবকিছু ডিজিটাল বা এই ধরনের অটোমেটেড করতে হলে বাইরে থেকে দেশে কত স্পীড/ব্যান্ডউইডথ নিয়ে ডেটা আসা-যাওয়া করছে সেটার চেয়ে দেশের মধ্যে কত স্পীডে বাসা/দোকান থেকে ব্যাংকে বা অফিসে ডেটা আসা যাওয়া করছে সেটা জরুরী মনে হয়।
দেশের সীমানার মধ্যে ডেটা ট্রান্সফারের এই স্পীড অর্জন করা কি খুব কঠিন?
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
দেশের মধ্যে যদি নিজস্ব নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যায় তবে এই স্পীড অর্জন করা নিশ্চয়ই কঠিন না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সারাদেশকে কি একক নেটওয়ার্কের আওতায় আনা সহজ হবে?
আপনি যেহেতু টেক-সচেতন লোক, সেহেতু জানেনই, ইন্টারনেট আসলে কী। সারা পৃথিবী জোড়া একটা নেটওয়ার্ক। আপনি ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়ার অর্থ হচ্ছে, আপনি সেই নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হচ্ছেন। আপনার আইডিয়াটা আমি যতোদূর বুঝতে পারছি, তাতে প্রয়োজন হবে দেশব্যাপী এমন একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। এমন একটা নেটওয়ার্ক স্থাপন করা, তার রক্ষনাবেক্ষন করা, তাও সরকারি এই লোক দক্ষতা নিয়ে - কাজটা যথেষ্ট কঠিন হবে।
তবে আমি দেশব্যাপী নিজস্ব নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেয়ে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোতেই ফায়দা বেশি দেখি, কাজটাও সহজ। আমার ধারনা থেকে বলতে পারি, মোটামুটি ৫১২ কিলোবিট সেকেন্ড প্রতিতেই কাজ ভালো মত হয়ে যাওয়ার কথা। আর এই স্পীডের জন্য বিটিআরসির অশ্বমেধ যজ্ঞ করার মতো পরিশ্রম হবে বলেও মনে হয় না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি জানতে আগ্রহী-
রাজউক বা নগর পরিকল্পক অথবা যে বিভাগ ঢাকার যাতায়াত দিক দেখভাল করে, তাদের কি স্বল্প মেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী কোনো প্ল্যান থাকে? থাকলে কি তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়?
ঢাকা নিয়ে নগর-মাথারা কী ভাবছেন/করছেন সেটা আমাদের জানার সুযোগ কি আছে?
একটা ইন্টারেস্টিং গবেষণা করতে পারো শিমুল। রাজউকের কর্মকর্তারা অবসর গ্রহণের পর কোথায় আছেন, তাঁদের সন্তানেরা কোথায় আছে।
এই গবেষণার মাঝামাঝি পর্যায়ে উত্তরায় আমি একটি প্লট পেয়ে যেতেও পারি। গো অন্বেষণ কেবল থামিয়ে দিতে হবে, এই শর্তে
আরে ভাই পরিকল্পনার কথা তো আমার দেশের আবালবৃদ্ধবনিতা জানে! গত সরকার সব টাকা মাইরা খাইছে আর এই সরকার পরিকল্পনা করছে সব ঠিক কইরা ফেলব। এবং সেই পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে... আপনি এই খবর জানেন না !!!
এইটা অবশ্য বললাম দেশ নেতারা ঢাকা শহর নিয়ে কি ভাবছে সেই কথা। নগর নেতারা কি ভাবছে সেইটা সাহস থাকলে আপনি গিয়া জিগান। আমার ঘাড়ে একটা মাথা...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাই অনার্য সঙ্গীত,
ঢাকা শহর নিয়ে পরিকল্পনার কথা আমি জানি না। আমার জানার সীমাবদ্ধতা স্বীকার করছি। আপনি কিছু জানলে জানান..., প্লিজ।
নগর নেতারা কী ভাবছে সেটা জানতে গেলে মাথা কাটা যাবে নাকি? কেনো?
সেদিন আমার এক সিনিয়রকে এই আইডিয়ার কথা বললাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- তোমার কি ছুটি দরকার? না হলে কোথাও থেকে ঘুরে আসো।
সো, আমি সিনিয়র না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা বদলাবে না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ঢাকার কোন ডিজাইন নাই। পুরান ঢাকা গড়ে উঠেছিল বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে বিক্ষিপ্তভাবে। নতুন ঢাকা উত্তরে বেড়েছে তেমন কোন সমন্বিত পরিকল্পনা ছাড়াই। বাংলাদেশে প্ল্যান বলতে প্লট ডিজাইনই বোঝায় শুধু। তাই সিটি কর্পোরেশনের চেয়ে এখানে রাজউকের দাপট বেশি। অথচ হওয়ার কথা ছিল উল্টোটা।
শোবার ঘরে অফিস আইডিয়াটা ভাল। তবে ফাঁকিবাজি রোধ করার জন্য আট ঘন্টা ওয়েবক্যামের সামনে হাজির থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ছোট সেন্ট্রাল অফিস থেকে সেটা মনিটর করা হবে। যানজটের কোন ঝামেলা নাই। একইভাবে সুলভ অনলাইন শপিং/গ্রোসারি অনেক যানজট কমাতে ও এনার্জি সেইভ করতে পারে। কিন্তু সবার আগে এর জন্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু সেটা কি সম্ভব?
ওয়েবক্যামের আইডিয়াটা চাল্লু।
গোটা ঢাকাকে ফাইবার অপটিক্সের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেয়া কি খুব কঠিন কিছু হবে? সারা বছরই তো দেখি কোন না কোন রাস্তা কেউ না কেউ খোঁড়াখুঁড়ি করছেই। নাহয় আরেক দফা হলোই।
আর বিদ্যুতের ব্যাপারটা দেখেন বস, অফিসে তো বিদ্যুৎ চাহিদা কমে আসবে ব্যাপকভাবে। মানে, বিদ্যুতের চাহিদা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় শিফট করবে কেবল।
সবচেয়ে বড় ইমপ্যাক্ট পড়বে তেল-সিএনজি খাতে। চিন্তা করুন প্রতিদিন কী বিশাল খরচ বাঁচানো সম্ভব। এটা সরাসরি ঢাকার বাতাসের মান উন্নয়নে প্রভাব ফেলবে।
ফাইবার @ হোম নামের একটা কোম্পানী সারা দেশে অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর লাইসেন্স পেয়েছে এবং তারা ব্যাপক উৎসাহে ডাক্ট বসায় যাচ্ছে। সম্ভবত এ বছরের শেষে অথবা সামনের বছরের কিউ১ নাগাদ তারা সার্ভিস ছাড়তে পারবে। ইন্ফ্রাস্ট্রাকচার আছে, এখন সঠিক প্রয়োগ ও ব্যবহারের অপেক্ষা।
এন্ড-ইউজার ন্যূনতম কেমন স্পিড পাবেন এতে?
আইডিয়াটা ভাল। কিছু কিছু অফিসকে এভাবে অনলাইনভিত্তিক করা সম্ভব। কিন্তু ভেবে দেখুন বিদ্যুত ছাড়া আবার এসব পরিকল্পনা সফল করা সম্ভব হবে না। আমার বাসায় আইপিএস লাগিয়েছি। বিদ্যুতের বিড়ম্বনা এতই বেশি যে মাঝে মাঝে আইপিএসের ব্যাটারিতেও চার্জ ফুরিয়ে যায়। কী যে হবে ঢাকার!!!
গ্রামে মাছ ও লাইভস্টক নিয়ে কাজ করার কথা ভাবছিলাম তাও বিদ্যুতের অভাবে নিরুৎসাহিত হতে হচ্ছে।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
বস, বিদ্যুতের সমস্যা কি অফিসগুলিতে নাই ?
আইডিয়া খারাপ না, তবে বাংলাদেশে অফিস করুয়াদের কতো % কম্পুতে কাজ করে, তা বিবেচনার বিষয়। অন্যান্য কাজও বাসায় বসে করা অন্তত বাংলাদেশের জন্য অবাস্তবসম্মত। বসে কাজ করছে, এমন সময় দেখা যাবে বউ বাজারের ব্যাগ নিয়ে হাজির, কারণ শালি এসেছে তার মামাতো কাজিনকে নিয়ে। ছোট ছেলেটাকেও স্কুলে দিয়ে আসতে হবে, বউয়ের কোমরে বাতের ব্যাথা।
ঢাকা শহরের যানযট সমস্যার একমাত্র সমাধান এর লোকসংখ্যা কমানো। এত বিশাল পরিমাণ লোক এত অল্প স্থানে বাস করায় আমাদের ম্যানেজমেন্ট দূরের কথা, উন্নত বিশ্বের ম্যানেজমেন্টও কোনো কূলকিনারা করতে পারবে না। ঢাকা শহরে লোকসংখ্যা কমাতে অন্যান্য শহরগুলোতে বা শহরতলীতে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। তারচেয়ে বড়ো কথা, গ্রামগুলোর উন্নয়নে বেশি এফোর্ট দিতে হবে। মানুষকে যদি বাধ্য হয়ে ঢাকায় না আসতে হয়, তাহলে যানযটেরও প্রশ্ন আসবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমি আসলে কেন্দ্রীয় উদ্যোগের উপর ভরসা হারাচ্ছি ক্রমশ। ঢাকায় যেভাবে খালবিলহ্রদমাঠ নিশ্চিহ্ন করে কংক্রীটের জঙ্গল তৈরি হচ্ছে, তাতে বোঝা যায়, প্রভাবশালীরা শহরের শেষ বর্গমিটারটুকু থেকে লাভের গুড় ঝোলায় না ভরে থামবে না। ঢাকায় লোক টানতে না পারলে তাদের লাভ নাই। কাজেই কালো-টাকা-সাদা-করনেঅলা নীতিনির্ধারকরাও এদের পাতেই ঝোল দিবে।
হিমু ভঅই, আপনি কতদিন আগে ঢাকা ছাড়ছেন?!! এখনো হচ্ছি, হচ্ছে (মানে, ঘটমান বর্তমান) বলছেন তো, তাই জিজ্ঞাসা করলাম...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
- আমি এই দিকটাতেই ফোকাস করতে চেয়েছিলাম, যে ঢাকার মতো শহরে আসলে হিমুর প্রস্তাবিত পরিকল্পনা কতোটুকু বাস্তব!
যে পরিমান জনসংখ্যা প্রতিদিনের যানজটের জন্য দায়ী (কেবল অফিসগামীদেরকেই ধরলাম) তাদেরকে ইণ্টারনেট বা কম্পিউটারে দক্ষ করে তুলতে যে পরিমান শ্রম ও সময়ের দরকার, সে জন্য যে স্কুলিং-এর দরকার, যে খরচ দরকার, তখন যে যানজট সৃষ্টি হবে তার প্রতিকার- এগুলো কি ধরা হয়েছে?
সম্ভাব্য সমাধানঃ সব রকমের অফিস ঢাকার বাইরে কোনো এক অপেক্ষাকৃত কম জনবসতি পূর্ণ জেলায় স্থানান্তর করা যেতে পারে না কি? কিংবা গোটা রাজধানীকেই সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়াটা কতোটা অবাস্তব?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঠ্যালার নাম বাবাজি। ইন্টারনেট বা কম্পিউটারে অদক্ষ কিন্তু চাকরি করতে চায়, এমন লোকজনের সংখ্যা দ্রুতই কমে আসছে। তাদের স্কুলিঙের জন্য তো দীর্ঘমেয়াদি যানজট সৃষ্টির কোন সম্ভাবনা দেখি না। প্রয়োজনে অফিসে এক বা দুই সপ্তাহ প্রশিক্ষণ হবে এই ডিস্ট্রিবিউটেড অফিসের ওপর।
আর রাস্তা থেকে সবাইকে তো হঠিয়ে দিতে হবে না। প্রতিদিন সকালে রাস্তায় যে পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে, তার ৫০ শতাংশ যদি বন্ধ করে দেয়া যায়, তাহলেই তো কোন সমস্যা আর থাকে না।
সম্ভাব্য সব রকমের অফিস ঢাকার বাইরে সরালেই তো হবে না। সাথে নিয়ে যেতে হবে আবাসন আর শিক্ষাব্যবস্থা, চিকিৎসা অবকাঠামো। সব মিলিয়ে অবকাঠামো খাতে ব্যয়টা হবে বিশাল।
- বাংলাদেশের আর দশটা প্ল্যানিং-এর মতো করেই তো হলো, অর্থ্যাৎ বর্তমানকে কোনোমতে সাপোর্ট দেয়া। সিনারিওটা আরও বিশ-পঞ্চাশ বছর সামনে এগিয়ে নিয়ে চিন্তা করলে কী দাঁড়ায়? জনসংখ্যা তো বাড়ন্ত। এই বাড়ন্ত জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়বে সবকিছুই। তখনও এই একই অবস্থা তৈরী হবে ঢাকায়। তখন বিকল্প চিন্তা করতে হবে আবার। হয়তো তখন সবকিছু সরানোর চিন্তা আসবে মাথায়, কিন্তু তখন দেশের বাকি জায়গাগুলোও আর জনবসতিহীন থাকছে না! নতুন করে নগরায়নের খরচটা কিন্তু হবেই, আজকে বা ত্রিশ বছর পর। এটা করতেই যদি হয় কখনো তো সেটা এখনই কেনো নয়?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তা ঠিক। কিন্তু কম্বল সাইজে ছোট। মাথা ঢাকতে গেলে পা বের হয়ে যাবে। আমার কুবুদ্ধিটা পেইন কিলার। বড় বড় কিছু লোকজন শুরু করে দিলে দেখবি কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকার জ্যাম হাওয়া।
ঢাকা থেকে মানুষের চাপ কমাতে গেলে প্রথমেই শহর থেকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলিকে দূরে সরিয়ে নিতে হবে, সম্ভব হলে চট্টগ্রামের দিকে। বিজিএমইএ-র হর্তাকর্তারা চট্টগ্রামের কাছাকাছি কোথাও তাঁদের জন্যে সংরক্ষিত শিল্পাঞ্চল নির্মাণের জন্যে সরকারের ওপর চাপ দিতে পারেন। পিপিপি নিয়ে অনেক শোরগোল হচ্ছে, এর শুরুটা হতে পারে এটা দিয়ে।
ঢাকার বেশীর ভাগ গার্মেন্টস কারখানাই সাভার, গাজীপুর এবং ভালুকা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে তবে এখনও যে কয়েক'শ গার্মেন্টস শহরের ভেতরে আছে তা যে যানজটের একটি কারণ তা অস্বীকার করা যাবে না।
ঢাকার বাইরে গার্মেন্টস সরিয়ে নিয়ে উপকার যে খুব বেশী হয়েছে তা কিন্তু না। কারণ প্রায় সকল গার্মেন্টস এর হেড অফিসগুলো শহরের ভিতরে এবং এইসব কারখানার কর্মকর্তাদের গাড়ী এবং অন্যান্য যানবাহন শহরের ভিতরেই চলাফেরা করে এবং বাইপাস হিসাবেও ব্যাবহার করে ।
এক্ষেত্রে শহরের কারখানাগুলো যদি পোর্ট সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া তবে একটি ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
তবে ঢাকা শহরকে যানজট সহ অন্যান্য সমস্যা থেকে বাঁচানো একটি অনন্য, গুনগত এবং সুদুরপ্রসারী উপায় হতে পারে তা হলো গ্রামের মানুষজনকে শহরমুখী হওয়া থেকে রোধ করা। আর তার একমাত্র উপায় হচ্ছে গ্রাম এবং অন্যান্য শহরগুলো কাজের সৃষ্টি করা।
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
গুলশান টু ধানমন্ডি জাতীয় রুটে গেমস কর্নার, বার্গার-পিৎসা, মিনি পার্লার ও বুয়াদের ফ্লোরে বসার ব্যাবস্থা সহ এসি বাসের লাইসেন্স ছাড়া যেতে পারে। ব্লিং ব্লিং পশ কয়েক ডজন বাস ছেড়ে একটু কায়দা করে যদি 'শুধু নবাব বংশীয়, উপসচীবের জামাই ও মোবাইল ফোন কম্পানির ডিরেক্টর লেভেলের পরিবারের জন্য আসন সংরক্ষিত' ইত্যাদি রটিয়ে দেয়া যায়। তাহলে বান্টি-বাবলীদের বাবারা স্কুলদিনের সকাল দুপুরে গাড়ি-ড্রাইভারকে ধানমন্ডির রাস্তা আটকাতে পাঠাবেন না।
)
স্কুলগুলির জন্য বাস বাধ্যতামূলক করলে কেমন হয়?
আপনার আইডিয়াটাকে ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটা অংশ)এ একটা নাম আছে: সিউডো কমিউনিকেশন (pseudo communication)।
ইতিমধ্যেই কিন্তু কিছু ব্যাপারে trip demand কমিয়ে ফেলেছে এই বিষয়গুলো। এ বিষয়ে মোবাইল টেলিফোন একটা অন্যতম হাতিয়ার। আগে একজন স্যারের সাথে দেখা করার জন্য সেই মিরপুর থেকে বাস/টেম্পু/রিক্সা ঠেঙ্গিয়ে বুয়েটে আসা লাগতো কয়েকবার/কয়েকদিন। এখন মোবাইল ফোনে ওনার অবস্থান এবং সময় জেনে আসা যায়। এমনকি ... ঐ স্যার হয়তো পাশের রূমে আরেকজন কলিগের সাথে আলাপ করছেন ... আগে না জেনে ফিরে আসতে হত; এখন মোবাইল ফোনে ...
পাশাপাশি অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা সহ বিভিন্ন পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেও কিন্তু অনেক trip demand কমিয়ে দিচ্ছে।
ফোনের মাধ্যমে/অনলাইনে বিভিন্ন বিল দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেও trip demand কমানো যায়।
অনলাইন স্টোর থেকে কেনাকাটা করলে যদি বাসায় পৌছিয়ে দিতো, তাহলেও কিছুটা trip demand কমবে (জাপানে টোকিওর বাঙালি দোকান থেকে এভাবে কেনাকাটা করা যেত)। হাতিরপুলের কাছে সেন্ট্রাল রোডে এমন একটা দোকান দেখেছি যেখানে ফোন করে অর্ডার দেয়া যায়।
আগে যখন SWMCতে (এখনকার IWM) কাজ করতাম তখন বাসায় বসে কাজ করার সিস্টেম চালু ছিল পরীক্ষামূলক ভাবে। বিশেষত মহিলা কর্মীদের ক্ষেত্রে ..... একমাস বাসা থেকে অনলাইনে অফিস করতো -- কাজগুলো যেহেতু নিউমেরিকাল মডেলিং তাই অসুবিধা হত না।
এখনকার অনলাইনে আয় করুন টাইপের ব্যাপারগুলোতেও কিন্তু সেই কোথাকার কাজ বাসায় বসে করছে লোকজন .... ঘন্টাভিত্তিক কাজের জন্য একটা সফটওয়্যার লাগে যেটা কাজ মনিটর করে।
------------------
ঢাকা শহরে পূর্ব-পশ্চিম সংযোগকারী সরাসরি রাস্তার অভাবটা বেশি প্রভাব ফেলছে। পান্থপথটা বর্ধিত হয়ে হাতিরঝিল প্রজেক্ট শেষ হলে রামপুরাতে লাগবে .... এটা হবে সত্যিকার অর্থে পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক। কিন্তু আফসোস মূল উত্তর-দক্ষিন সড়কগুলোর (আর্টারিয়াল রোড) সাথের ইন্টারসেকশনগুলো ফ্লাইওভার দেয়নি।
আরেকটি পূর্ব-পশ্চিম সংযোগের মূল রাস্তা হচ্ছে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে ক্রিসেন্স রোড--> বিজয় সরনি --> ড়্যাংগস ভবন ভেঙ্গে তৈরী হওয়া নতুন সড়ক যেটা তেজগাঁওয়ের ভেতরে লাভলেইন দিয়ে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির নতুন ক্যাম্পাস পর্যন্ত সংযুক্ত করবে।
বাকী সড়কগুলোর কী অবস্থা জানেন তো! যেমন বাংলামটর-->মগবাজার-->মালিবাগ-->?
ধানমন্ডি ২নং থেকে একটু এঁকেবেঁকে--> এলিফেন্ট রোড--> শাহবাগ --> পল্টন--> শাপলা চত্বর
মিরপুর ১ নং থেকে --> ১০নং গোলচক্কর-->কচুক্ষেত --> ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে কাকলি -->একটু এঁকেবেঁকে কামাল আতার্তূক --> মাদানি সড়ক --> নতুনবাজার
(নতুন হচ্ছে) মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বনানি ক্যান্টনমেন্ট (জিয়া কলোনী) হয়ে আর্মি স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে রেডিসন হোটেলের সামনে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
সচলায়তনে যারা মোবাইল কোম্পানিগুলির সাথে যুক্ত আছেন, তারা বলতে পারবেন, এ নিয়ে সামনে কিছু আসছে কি না। একটা বিরাট হাঙ্গামার হাত থেকে বাঁচা যায় এমন একটা কিছু শুরু হয়ে গেলে।
গ্রামীনফোন "বিল-পে" নামে একটা সার্ভিস চালু করছে কিছুদিন হলো, মোটামুটি ভালো সাড়াও পাচ্ছে। ফ্লেক্সিলোডের দোকান থেকেই এখন বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল দেয়া যায়।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভুতুম্ভাই, ফ্লেক্সিলোডের দোকান পর্যন্ত যেতে হবে কেন? ভোক্তারা ঘরে বসেই দিতে পারবেন না কেন? ঘরে বসে বিল আইডি নাম্বার আর টাকার পরিমাণ লিখে একটা নাম্বারে এসএমএস করলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।
দারুণ পোস্ট, আলোচনাও ভালো লাগছে।
আমি এসে পড়েছি অপ্রাসংগিক মন্তব্যের ডালি নিয়ে।
হে হে হে ........ হিমুরে একটা গালি দিই : হিমু আপনে একটা আসিমভ!
অন্য দেশে যা ডালভাত আমাদের দেশে তাই কল্পবিজ্ঞান।
আবজাব বস্তাপচা গালাগালি বন। হিমু এবং আসিমভের মধ্যেকার "মিসিং লিংক" গুলো কে খুঁজে বের কর্বে শুনি?
আছে একজন। উনি আয়া পড়লেই মিসিং লিংকের দফারফা হয়ে যাবে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
সেদিন প্রথম আলোয় পড়লাম, কৃষিবিজ্ঞানী এ কে এম জাকারিয়া ও তাঁর সহকর্মীরা ধানচাষে সেচ অপটিমাইজ করার জন্যে এক কার্যকর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। ধানের শেকড় মাটির ছয় ইঞ্চি নিচ পর্যন্ত যায়, আর ততদূর পর্যন্ত পানি পেলেই তার চলে। কিন্তু কৃষকরা ধানের জমি পানি দিয়ে ভর্তি করে রাখতে অভ্যস্ত। এই অতিরিক্ত পানি আবার কিছু প্রয়োজনীয় খনিজকে মাটির গভীরে পাঠিয়ে দেয়। অপটিমাল ফলনের জন্যে তাই সেচের পানির মিটারিঙের জন্যে একটা অতি সাধারণ এক ফুট লম্বা নলের অর্ধেকটায় ছিদ্র করে ক্ষেতে পুঁতে রাখতে বলা হয়েছে। ওপরের ছয় ইঞ্চি বাইরে থেকে নলের ভেতরে পানি ঢোকা ঠেকাবে। যদি এই নলের নিচে পানি দেখা যায়, তার অর্থ মাটির ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত পানি আছে। পানি দেখা গেলে কৃষক সেচ বন্ধ করে দেবেন, আবার পানির পরিবর্তে মাটি দেখা গেলে সেচ শুরু করবেন।
এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকরী এবং অতি সরল। আর এই সামান্য প্রযুক্তি যে পরিমাণ জ্বালানি খরচ বাঁচাবে, তার সর্বোচ্চ পরিমাণ বছরে ৮০০ কোটি টাকা। সেইসাথে বাঁচাবে পানি আর খানিকটা বিদ্যুৎ।
আমরা যেভাবে সংখ্যায় বাড়ছি, কিছু অপটিমাইজেশন না করলে ঝাড়ে-বংশে সবাই শেষ হয়ে যাবো। আমার প্রস্তাবটাও অপটিমাইজেশনের জন্যেই। দুই বছর আগের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমার প্রস্তাব অনুযায়ী মাসে আমার সাশ্রয় হতো চার হাজার তিনশো কুড়ি টাকা এবং চৌষট্টি ঘন্টা সময়, বছরে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা এবং বত্রিশ দিন!
০১। আপনার এই আইডিয়াটারে একটা নোবেল প্রাইজ দিলাম, ভুক্তভোগী মানুষদের হৃদয় থেকে।
০২। এইটার ফিজিবিলিটি নিয়া সিরিয়াসলি ভাবছি, ভাবা শেষে জানাবো। আইডিয়াটা খুবই দুর্দান্ত কিন্তু শুনতে যতটা সহজ শোনায় ততটা সরল না।
০৩। আপনে ভাবনা থামাইয়েন না, একদিন আমাদের দিন আসবে যেদিন আমরা সব জনকল্যানমুখী পরিকল্পনাগুলোকে দিনের আলো দেখাব।
দুনিয়ার একটা আকাম সিষ্টেম হলো, যার মাথায় আইডিয়া আছে তার হাতে ক্ষমতা নাই, যার হাতে ক্ষমতা আছে তার মাথা গোচনায় ভর্তি!
বাংলাদেশে এইটা তো আরো বেশী। পিপিপির ফলপ্রসূতা এখনো পরীক্ষার অপেক্ষায়। তবে খুব বেশী আশাবাদী নই। ঢাকায় যে জনবিষ্ফোরন সেটা একদিনে বা বছরে নিয়ন্ত্রন সম্ভব না। কিন্তু যে শহরগুলোতে এখনো বিষ্ফোরন ঘটেনি তাদের উন্নয়নেও সেরকম কোন পরিকল্পনা দেখা যায় না। মানে সবগুলো শহরই একসময় ঢাকার পরিণতি বরন করবে। অনিবার্যভাবে।
আপনার আইডিয়াকে এ-প্লাস দিলাম!! কিন্তু যাদের মাথায় এরকম জিনিস ঢোকার কথা, সেখানে কিছু গেলেই হতো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কিন্তু হিমু ভাই...যারা রিক্সা-অটো চালায় এত্তগুলান লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা কি হবে? কাজের সময় ভাগাভাগি করলে মনে হয় একটু উন্নতি হতে পারে ট্র্যাফিক জ্যামের...কিছু শিল্পকারখানা-অফিস রাতে চালু রাখা যায় আর বাকিগুলা দিনের বেলায়!
তাদের কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্থ হবার কোন সম্ভাবনা দেখি না, কারণ অ্যাট এনি গিভেন টাইম, কোন রিকশা বা অটো-রিকশা প্যাসেঞ্জারের অভাবে বসে থাকে না। বরং জ্যামের কারণে তারা রুট সিলেকশনে অনেক বেশি সিলেকটিভ হয়ে থাকে। উদাহরণ, সকালে মিরপুর থেকে বনানী যেতে চায় না কোন অটোরিকশা, কারণ একে তো জ্যাম, তার ওপর সকালে বনানী থেকে পরবর্তী ট্রিপ পেতে গেলে তাকে সময় আর গ্যাস নষ্ট করতে হয়।
আর খেয়াল করে দেখো, আমি শুধু রাস্তা থেকে কিছু লোড সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব করছি, রাস্তা ফাঁকা তো করে দিতে বলছি না। কিছু না কিছু মানুষ সবসময়ই রাস্তার উপর থাকবে।
আপনার এই আইডিয়ায় কিছু কিছু কাজ হচ্ছে , যদিও খুব অল্প। ডিওএইচএস এ আমি একটা অফিস চিনি , যাদের হেড অফিস লন্ডনে , কিন্তু তারা প্রোগ্রামারা সাপোর্ট নেয় তাদের ঢাকা অফিস থেকে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে। তাদের শুধু একাউন্টেন্ট আর একটা পিয়ন বসে অফিসে , বাকী সবাই নিজ নিজ বাসা থেকে কাজ করে। ঠিক কিভাবে তারা ফাকিবাজি মনিটর করে আমি জানি না , মনে হয় টার্গেট দিয়ে দেয় কাজের।
অফিসগামী লোকজনকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। অফিসে যারা কাজ করেন আর অফিসে যারা সেবা নিতে যান।
আমাদের দেশে প্লাস্টিক মানি এবং নেটভিত্তিক কাজকর্মের প্রসার করা খুবই জরুরী।
পাশ্চাত্যে আপনারা রাতে কফি খেতে খেতে ইন্টারনেটে ট্রেনের টিকিট কাটছেন, ক্যামেরার ফিল্ম কিনছেন , ব্যাংকে বেতন এসেছে কি না চেক করে ফেলছেন।
ঢাকায় আমরা ধানমন্ডির ব্যাংক থেকে টাকা তুলে , নিউমার্কেটে গিয়ে ফিল্ম কিনে , কমলাপুর গিয়ে টিকিট কেটে নিয়ে আসছি , বিদ্যুৎ বিল আর গ্যাস বিল দিতে আলাদা আলাদা ব্যাংকে যাচ্ছি। সারাদিন চলে যাচ্ছে রাস্তায়। এদিকটা ভাবতে হবে। আমার কাছে মনে হয় সেবা যতোটুকু সম্ভব ঘরে বসে পেয়ে গেলে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
--------------
ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যামের সবচাইতে বড় কারন কিন্তু অফিসগামী লোকজন নয় , স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী। মহাখালী এলাকায় থেকে এক বাচ্চাকে পড়ায় ধানমন্ডিতে , আরেকটা যায় উত্তরায় আগাখান স্কুলে; এরকম উদাহরন এই মুহুর্তে আমার বাসার আশে পাশে একহালি আছে। একটা স্কুলে একহাজার বাচ্চা পড়লে একহাজার গাড়ি-স্কুটার-রিক্সা ঐ রাস্তায় জ্যাম লাগায়। পাশের গলিতে আরেকটা স্কুল, তার পাশের গলিতে আরেকটা।
অথচ একহাজার বাচ্চাকে আনা নেয়া করার জন্য ৫০ সিটের ২০টা বাস যথেষ্ট।
স্কুল বাস জরুরী ভিত্তিতে বাধ্যতামূলক কর দিতে হবে সব স্কুলের জন্য , তাহলে অভিভাবকদেরও সময় ও খরচ অনেক কমে আসে , ট্রাফিক জ্যামেরও সুরাহা হয়।
জাপানে থাকাকালীন সময়ে কোনো বিল দিতে ব্যাংকে যেতে হয়নি .... প্রতিমাসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমার ব্যাংক একাউন্ট থেকে বাসা ভাড়া, বিভিন্ন বিল (গ্যাস, ইলেক্ট্রিসিটি, পানি, ইন্টারনেট, টেলিফোন, টিভিচ্যানেল, ইনসুরেন্স, ক্রেডিট কার্ডের পেমেন্ট) ইত্যাদি কেটে নিত ... আমার কাছে সময়মত ডাকযোগে ভাউচার চলে আসতো। এই সুবিধা নিতে শুরুতে প্রতিটি সার্ভিসের জন্য শুধু একটা করে ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হয়েছিলো।
এই সুবিধাটা এখানে খু-উ-ব মিস করি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
তাইওয়ানেও এই অবস্থা শামীম ভাই, এখানে আছি আট বছর হয়ে গেল প্রায়, কোনদিন ব্যাংকে যেতে হয়নি বিল টিল দিতে। সেভেন ইলেভেনে বা অন্যান্য কনভেনিয়েন্ট স্টোরে দেয়া যায়, মোবাইল থেকে বা অন লাইনে বা এটিএম মেশিনে সব খান থেকেই দেয়া যায়। গাড়ীর পেমেন্ট বা বাড়ী ভাড়া এসব অ্যাকাউন্ট থেকেই কেটে নেয়। এগুলা তেমন জটিল কোন ব্যাপার না, চাইলে আমাদের দেশেও চালু করা সম্ভব।
এ নিয়ে জোরেসোরে আওয়াজ দরকার দেখছি।
ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যামের সবচাইতে বড় কারন কিন্তু অফিসগামী লোকজন নয় , স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী।
খাঁটি কথা।
আইডিয়া দারুণ! কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশেও (?) এটি হবে কী না সন্দেহ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আজকে বৃষ্টির দিনে আমার বাবার গুলশান থেকে কলাবাগান বাসায় ফিরতে চার ঘন্টা লেগেছে। হতাশ।
______________________________________
চোখ যে মনের কথা বলে, চোখ মেরেছি তাই
তোমার চোখের শূল হয়েছি, এখন ক্ষমা চাই
______________________________________
লীন
হিমু, পুলাডা খারাপ হইলেও মানুষডা ভালা
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ঢাকার পাঠকদের কাছে একটি অনুরোধ
আপনারা একটু কষ্ট করে একটা মাস এক্সেলে একটা চার্ট তৈরি করে আমাকে দিন। এটা দেখতে হবে এমন,
ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন