গাঢ় সন্ধ্যার শেষ ট্রেনের পেছনে ছুটতে ছুটতে একসময় আবার হাঁটছো উল্টো পথে
শেষ বগির আলো দূরে সরে যাবার আগে দীর্ঘ করে দিয়ে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মে তোমার ছায়া
শুনতে পাচ্ছি বালিশে কান পেতে তোমার আষাঢ়সঙ্কেতী গুড়গুড় বিড়বিড়ে খিস্তির খুতবা
দেখতে পাচ্ছি মানসচোখে, ছুটছো পাঁজরের স্কুইরেল কেইজে দিনভর
আবার হাঁটছো প্ল্যাটফর্মের ধূলো, কাগজ আর বাদামের খোসার সাভানায়, ফেলছো ভদ্রলোকী থুতু
দাঁতে কাটছো ভাঙা হতাশ বিস্কুট, তৃষ্ণাটুকু ভাঁজ করে পকেটে রেখে তাকিয়ে দেখছো দূরে বালছালকোলার নিয়ন গসপেল
এভাবেই পায়চারিতে কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলে ভোরের ট্রেনের আগে রাতটুকু
দেখতে পাচ্ছি, তোমার অফিসের ব্যাগ প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চে বালিশের চাকরি করছে রাতের পর রাত
শুনতে পাচ্ছি, ঘুমের মধ্যেও খুব হেঁটে পার হচ্ছো খালবিলস্থাবরজঙ্গম
দেখছি আবারও, ভুল ভোরের ট্রেন তোমার ঘুম ভাঙাচ্ছে অশিষ্ট হুইসেলের কোমল ঋষভে।
মন্তব্য
বুঝার চেষ্টা করতাসি ... এখনো মাথায় কিছু ঢোকেনাই।
---------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
আপ্নে এক লেখায় কইছিলেন যে কবিতা লেখতে পারেন না, মিয়া বিনয় দেখলে গা জ্বলে। ফেসবুকে ঝড়তোলা অনেক কবিদের চাইতে বহুগুনে ভালো হইছে। আরও কিছু ছাড়েন।
আমি কবিতা না বুইঝাই পড়ি, এখানে রিদম ভাল্লাগছে। আর কিছু কইলে যে বুঝি নাই এইটাই প্রকট হইবো, তাই কইলাম না!
বাহ্ ! চমৎকার চিত্রকল্প !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
চমৎকার লেগেছে। কবির সব্যসাচীত্বে !
এ দেখি অন্যরূপ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
কবিতায় কি আসলে দীর্ঘ কমেন্ট করা যায়? যেহেতু অনেকে করেন বা করতে পারেন সেই বিচারে আসলে শব্দটা সরিয়ে নিলাম। কিন্তু তারপরেও কেন যেন আমার মনে হয়, আমার প্রশ্নটা অবান্তর হয় না। কবিতা যেই নির্যাস পাঠকের মধ্যে রেখে যায় তার প্রতিক্রিয়া কি হ্রস্বই হওয়ার কথা না? কি জানি......
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
হাহাহা... আপনি তো এক্কেরে সিম্বলিস্ট/ইমেজিস্ট মুভমেনেটে প্রতিক্রিয়া নিয়া আসতে চাইতেসেন!!
তবে, ঐ হিসাবে সচলে বেশিরভাগ প্রতিক্রিয়া-ই বেশ সংক্ষিপ্ত। কবিতা-অকবিতা নির্বিশেষে। প্রতিক্রিয়া তো আসলে ঝামেলারই ব্যাপার...
পদ্য গম লাগলো। ('গম' চাটঁগার ভাষায় 'ভালো')
কাব্যিকতা একটু বেশি হইসে মনে হইলো মাঝে মাঝে, তবে, ঐটার আবার 'বালছাল' ধরণের এন্টি-থিসিসো আসে। এক ধরণের মজা, আরাম।
জিফরান,
সবার প্রতিক্রিয়া একরকম হবে এই রকম প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তা করা কি ঠিক? কবিতা যদি গদ্যে আলোচনাযোগ্যই হইতো তাইলে তো আর কবিতার দরকার ছিল না। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রবন্ধ লিখলেই হইতো। আমার প্রতিক্রিয়ায় কবিতা অনেক বেশী কইরা অনুভবের বিষয়। এই অনুভবটা করতে পারার পরে একেক পাঠকের একেক ধরণের এক্সপ্রেশান তৈরী হয়। এই জন্যই কবিতার প্রকরণের পাশাপাশি কবিতার পাঠকেরও প্রকরণ আছে। সেই দিক বিবেচনায় নিয়া আমিও এক বিশেষ ধরণের পাঠক, যে অনুভব করতে পারারেই ভালো লাগায় অনুবাদ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য বিভাগে যেই সব কায়দা কৌশল শিখানো হয় সেগুলি পেশাদার সাহিত্য শিক্ষক বা "মৃত কবিদের কৃমি খোঁটা" পেশাদার সমালোচকদের জন্য বানিয়ে তোলা ঝকমারি।
সঙ্গীত বা চিত্রকলার মতোই কবিতা নন্দনতত্ত্বের আরো একটা প্রকাশ, যার যোগাযোগক্ষমতা নন্দনতত্ত্বের হায়ারোগ্লিফিক্স পার হয়ে কবি ও পাঠকের মধ্যকার সরল সেতুতে এসে মূর্ত হয়। এখন এখানে কবি ও পাঠক দুইটাই ডিপেণ্ডেন্ট ভেরিয়েবল। সকল কবির সকল কবিতা সকল পাঠককে স্পর্শ করে না। কোন কবির কোন কবিতা বা কবিতাংশ কোন পাঠকের কতটুকু ভালো লেগেছে বা লাগেনি আর অভিসন্দর্ভ রচনার দায় পাঠকের উপর চাপানো যায় না। বরং পাঠকের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বাহ্, অপূর্ব, ধূৎ, খাইছে এগুলি অনেক ক্ষেত্রেই বানিয়ে বানিয়ে পরিভাষার তুবড়ি ছোটানো কাব্যালোচনার থেকে অনেকবেশী সৎ প্রতিক্রিয়া বলে দেখা যায়।
আশা করছি আমার বক্তব্য এখানে পরিস্কার। কবি কবিতা লিখতে যে স্বাধীনতা ভোগ করেন, প্রকৃত রিডারশীপ তৈরী করতে পাঠকও তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে সেই স্বাধীনতাই ভোগ করবেন। এইটাই আমি বলতে চাচ্ছিলাম।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সুমন ভাই,
এই মাত্র নতুন বাসায় উঠলাম। আনপ্যাক করা হয় নাই। আরেকজনের নেটবুক ধার কইরা লিখতেসি। খুবই ছোট। দেখা যায় না।
আমার মনে হয় না, পাঠকের পরিধি বা প্রতিক্রিয়ার এলাকা লয়া আমি কোনো স্টেইট্মেন্ট দিসি। আমি সংক্ষেপে এইটা কইতে চাইসি যে - আপনার একটা প্রশ্ন আসিলো - 'কবিতার ব্যাপারে বড় কইরা কিছু কওন যায় কি-না?'
যেইটারে ধরলে দাঁড়ায় কবিতার প্রতিক্রিয়া হিশাবে আপনি সংক্ষিপ্ততায় আস্থা রাখেন।
এইটারেই আমি আইডিন্টেফাই করতে চাইসিলাম 'সিম্বলিস্ট/ ইমেজিস্ট' ঘরাণা দিয়া। ঐখানে কবিতারে তিরিশ লাইন থেইকা দুই লাইনে নিয়া আসার ব্যাপার ঘটসে, এক্কেরে না বললে না ঐ প্রবণতাটা। তো আমি বলতেসিলাম যে
প্রতিক্রিয়াতেও আপনি এই ব্যাপারটাই হয়তো চাইতেসেন। এইটাই। একটা ঐতিহাসিক প্রবণতার লগে এইটারে মিলায়া দেখনের কৌতুক-সহ চেষ্টা। এর বাইরে কিছু না।
বাকি কথা যেগুলা কইলেন, এইগুলার ব্যাপারে আমার তেমন কিছু কওনের নাই। এইগুলারে আমি একটু আলাদাভাবে দেখার প্রয়াসে থাকি। তবে, আপনি যেই ধারণা এবং পদ্ধতির কথা কইলেন, সেইটা শুনতে এবং পড়তে আরাম।
'প্রতিক্রিয়া ঝামেলার ব্যাপার' বইলা আমি আসলে একেকটা টেক্সটের যে কাম বা আকাম, আর, যে পড়তাসে, তার যে পড়ার কাজটা - এইগুলাতে ঝামেলা টের পাই অনেক বেশি, সেইটার ইঙ্গিত রাখসিলাম, যেইটা এই স্পেসে গুরুত্বপূর্ণ না।
পাঠকের অধিকার, কবির অধিকার, এইগুলা ঠিক এমনভাবে ভাবতে পারি না আমি। তবে, এমনতরোই দেখতেসি মূল প্রবণতাগুলা। আমার বিরোধ নাই ঠিক এইটাতে, তবে, সহাবস্থানও নাই।
এই আর কি।
তার মানে, এর আগে আপনি আরো ৬০খানা পদ্য লিখেছেন!
গথ গথ লাগল ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
গেছিলা কৈ?
ঘুমের মধ্যেও খুব হেঁটে পার হচ্ছো খালবিলস্থাবরজঙ্গম
কি করব কবি! কি করব কবি! কি করব কবি???????
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নতুন মন্তব্য করুন