প্রথম সমস্যা হচ্ছে, এর একটি যন্ত্রাংশ নষ্ট, এবং গত এক বছর ধরে এই নষ্ট যন্ত্রাংশের কারণে প্ল্যান্টটি অচল হয়ে পড়ে আছে। প্রথম আলোর রিপোর্টাররা লিখেছেন "ইঞ্জিনের বুস্টার" এর কথা, যদিও এর কোন অর্থ দাঁড়ায় না, কারণ বায়ু টারবাইনে ইঞ্জিন বলে কিছু নেই, থাকে ব্লেড-গিয়ারবক্স-জেনারেটর, আর উৎপন্ন অসম ফ্রিকোয়েন্সির বিদ্যুৎকে একটি ইনভার্টার মডিউলের মাধ্যমে আবার ৫০ হার্টজের বিদ্যুতে রূপান্তরিত করা হয়। বুস্টারটি সম্ভবত এই ইনভার্টার মডিউলেরই, যার অভাবে কার্যত গোটা প্ল্যান্টটি নিরর্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ঠিকাদার কোম্পানির নাম প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড, ব্যবস্থাপক আহসান হাবিব সাহেব নিখোঁজ। প্রথম আলোর ভাষ্যমতে, বুস্টার মডিউলটি চীন থেকে আনার কথা। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সেক্টরে চীনের সাথে সহযোগিতার কুফল আমাদের পদে পদে ভোগ করতে হচ্ছে। এর আগে টঙ্গীতে একটি আশি মেগাওয়াটের থার্মাল প্ল্যান্ট আধ ঘন্টা চলে সেই যে হাঁটু ভেঙে পড়ে গিয়েছিলো, আর কোন খবর নেই তার।
যা-ই হোক, চীনের বদনাম করার উদ্দেশ্যে আমি পোস্ট লিখছি না। আমি বিস্মিত দু'টি তথ্য পেয়ে।
প্রথম তথ্যটি খুব একটা বিস্ময়কর কিছু নয়, বায়ুবিদ্যুতে মেগাওয়াটপিছু ইরেকশন কস্ট জার্মানিতেও টাকার অঙ্কে ১০-১১ কোটি টাকা। কিন্তু আমি বিস্মিত এ কারণে, যে ৫০ মিটার হাব হাইটে মাত্র ২০ কিলোওয়াটের ৫০টি টারবাইন বসানোর পরিকল্পনাটি খুব একটা এফিশিয়েন্ট কিছু না। কারণ ৮০-৯০ মিটার হাব হাইটে দুই মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন টারবাইন জার্মানিতে গিজগিজ করছে বেশ কয়েক বছর ধরেই, যেগুলোর রোটর ডায়ামিটার ৮০-৯০ মিটার। ৫০টি ৫০ মিটার উচ্চতার টারবাইন বসানোর পেছনে যে নির্মাণ খরচ গেছে সরকারের, নিঃসন্দেহে একটি ৮০ মিটার উঁচু টারবাইন বসাতে তারচেয়ে অনেক কম খরচ হতো।
হ্যাঁ, এ কথা সত্যি যে তখন হয়তো রিস্ক ফ্যাক্টরও বাড়তো, কোন কারণে একমাত্র টারবাইন ক্ষতিগ্রস্থ হলে সারা দ্বীপের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হতো, কিন্তু এখন কি তার কোন ব্যতিক্রম আমরা দেখতে পাচ্ছি? সে-ই তো একটা মাত্র ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্টের অভাবে প্ল্যান্ট ধুঁকছে, উৎপাদন ছাড়াই।
দ্বিতীয় যে সমস্যাটির কথা বললাম, যে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ৫০টি টারবাইন বসানো হয়েছে, তার পুরোটা এখন সাগরের চাপে বিপন্ন। আপনারা বুঝতেই পারছেন, বিস্তৃত এই এলাকাকে আবার বাঁধ দিয়ে রক্ষা করার কাজটি খরুচে ও সময়সাপেক্ষ, এবং বছরের এই সময়ে হয়তো অসম্ভবও। পরিবর্তে একটি মাত্র স্থানে একটি টারবাইন বসালে কি এই ঝামেলা হতো? আমার শিক্ষা আর কমনসেন্স বলছে, হতো না।
আমার কথায় প্রথম যে আপত্তিটা পাঠক করতে পারেন, তা হচ্ছে, উত্তর ইয়োরোপে তো বাতাসের বেগ অনেক বেশি। সেখানে ৮০ মিটার উচ্চতায় টারবাইন বসালে হয়তো ৬০০-২০০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে, বাংলাদেশে তো বাপু বাতাসের বেগ মন্দা। এর উত্তরে আমি বলবো, কুতুবদিয়ায় সাগরের পারে ৮০ মিটার উচ্চতায় কম করে হলেও ৬-৮ মিটার/সেকেন্ড বেগে বাতাস পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে বায়ুর বেগ নিয়ে কিছু মাপজোক হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমি কিছু কাজও করেছি, সেই জরিপটি যে পদ্ধতিগত ত্রুটিমুক্ত, এমনটি কেউ দাবি করতে পারবে না। একগাদা বিল্ডিং আর গাছপালার মাঝে একটা ১০ মিটার বা ২৫ মিটার উঁচু পোলে অ্যানেমোমিটার বসিয়ে যে বেগ পাওয়া গেছে, তাকে প্রামাণ্য ধরলেও সাগর এবং কুতুবদিয়ার টেরেইনকে হিসাবে ধরলে এই বেগ কুতুবদিয়ার ঐ এলাকায় ৮০ মিটার উচ্চতায় অনেকগুণ বেশি হবে। ফলে সহজেই, একটি মাত্র উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টারবাইন দিয়ে প্রকল্পটি সম্পন্ন করা যেতো।
আমার পোস্টের শিরোনাম সম্পর্কে এ পর্যায়ে পাঠক আপত্তি জানাতে পারেন, হাঁড়ির একটা ভাত টিপেই কেন আমি চেঁচিয়ে উঠলাম। এর উত্তরে বলবো, ফেনীতে দেশের প্রথম বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প মুহুরি প্রজেক্টের কথা। সেখানে চারটি টারবাইনে মোট ০.৯ মেগাওয়াটের একটি প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে, যেটি এখন কার্যত অচল। তবে ভারতীয় একটি কোম্পানির তত্ত্বাবধানে স্থাপিত এ প্রকল্পটি শেষ খবর পড়া পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। কিন্তু নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকা ঐ প্ল্যান্ট প্রমাণ করছে, এই দেশে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা তেমন নেই।
এই দু'টি মাত্র উদাহরণ থেকেই কিন্তু মানুষের মনে একটি ধারণা জন্মানো সম্ভব, বাংলাদেশে বায়ুবিদ্যুতের সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। কিন্তু আসলেই কি তাই? সঠিক বায়ুজরিপ আর সঠিক নকশা অনুযায়ী প্রকল্প প্রণয়ন করলে যে জিনিস সারা দুনিয়ায় ঘুরছে, বাংলাদেশে কোন দুঃখে ঘুরবে না? কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত ১০৮ কিমি সৈকত থেকে খানিকটা দূরে স্থাপিত হতে পারে অফশোর উইন্ড টারবাইন প্ল্যান্ট, যা উচ্চবিভব কেবল দিয়ে কক্সবাজারের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সঞ্চালন লাইনে যোগ করা যেতে পারে। উত্তরাঞ্চলে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ নদী তীরবর্তী সমতল অঞ্চলে স্থাপন করা যেতে পারে সুউচ্চ টারবাইনগুলি, যা বন্যা বা ভূমিধ্বসের হাত থেকে নিরাপদে থাকবে। উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাসের প্রকোপ বেশি বলে সেখানে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ সাধারণত টারবাইনের ব্লেডগুলি ৪০ মি/সে বেগ (ঘন্টায় ১৪৪ কি.মি.) পর্যন্ত বাতাস সহ্য করতে পারে, এর ওপরে গেলে তা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গেল সিডরে বাগেরহাটের একটি জায়গায় বাতাসের বেগ রেকর্ড করা হয়েছিলো ৬২ মি/সে। এছাড়া যেসব জায়গায় জলোচ্ছ্বাসের কারণে মাটি ক্ষয় হবার সম্ভাবনা বেশি, সেখানেও টারবাইন স্থাপন করা ঝুঁকিপূর্ণ।
পাঠকের জ্ঞাতার্থে জানাই, একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের খরচ মোটামুটি মেগাওয়াট পিছু পাঁচ কোটি টাকা, বায়ুবিদ্যুতের জন্যে ১০-১২ কোটি টাকা, সৌরবিদ্যুতের জন্যে ৪০-৫০ কোটি টাকা। চলমান খরচ ঠিক উল্টো হারে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি, বায়ু বা সৌরবিদ্যুতের ক্ষেত্রে নগণ্য।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, আপনারা প্রয়োজনে একটি আলাদা শাখা করুন, সেই শাখার কর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন, প্রয়োজনে বৃত্তি দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে শিখিয়ে পড়িয়ে আনুন, কিভাবে বায়ু প্রকল্প জরিপ ও নকশা করতে হয়। বায়ুবিদ্যুতের অমিত সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশে। অপ্রশিক্ষিত হাতে ছেড়ে এর ইমেজ নষ্ট করবেন না। ভারত বা চীন নয়, বড় আকারে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাইলে যোগাযোগ করুন জার্মানি বা ডেনমার্কের সাথে, তারা বিশ্বজুড়ে এই প্রযুক্তির শিখরে।
মন্তব্য
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
যতদূর জানি হিমু নিজেই এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হবার পথে। । আমাদের দেশ রাতারাতি বদলে যাবে এ স্বপ্ন আমি দেখি না। আদৌ বদলাবে কিনা সে বিষয়েও ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে!
আমি বলবো, হিমুর উচিৎ দেশ চিন্তা বাদ দিয়ে "গোয়েন্দা ঝাকানাকা ও ধূসর গোধূলি রহস্য" লিখতে।
রিনিউয়েবল এনার্জি পড়ার সময় বাংলাদেশের পাইওনিয়ার বিশেষজ্ঞ ডঃ মাহবুবুল আলম আমাদের অল্প বিস্তর জানিয়েছিলেন এ বিষয়ে। উইন্ড টার্বাইনের ক্ষেত্রে বায়ুর গড় গতি এবং তার বিস্তার (মাস জুড়ে কতখানি ওঠা নামা করে) এই দুই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উপকুল অঞ্চলে বায়ু খুব অনিয়মিত। হঠাৎ হঠাৎ উঠে নামে এবং নিয়মিত নয়। তাই বড় আকারের প্রজেক্ট হাতে নিলে সেটা অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক হবে কিনা সন্দেহ।
ডঃ মাহবুবুল আলম একটু ভিন্ন এপ্রোচে কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি একেবারে ছোট আকারের, গৃহে স্থাপনযোগ্য টার্বাইন নিয়ে কাজ করছিলেন। যার দরকার সে ঘরের ছাদে এধরনের টার্বাইন বসাতে পারবে। তুলনামূলক ভাবে সস্তা এবং সহজ মেইনটেনেন্স থাকতে হবে এগুলোর। মূল সমস্যা হলো ব্লেড প্রোফাইল এমন হতে হবে যাতে অল্প বাতাসেও ঘুরতে পারে। জাপান থেকে এক বিজ্ঞানী এসেছিলেন তার প্রোটোটাইপ নিয়ে ডঃ মাহবুবুলের সাথে কাজ করতে। আমরা একটা ল্যাব পরীক্ষাও প্রত্যক্ষ করেছিলাম।
বটম লাইন হচ্ছে, কিসের ভিত্তিতে বড় বড় উইন্ড টার্বাইন প্রজেক্টগুলো হচ্ছে সরকারের উচিৎ সেগুলো সর্ম্পকে জনগনকে একটু জানানো উচিৎ। যেহেতু জনগনের পয়সায় এগুলো হচ্ছে, জনগনের অধিকার আছে এটা জানার। তাছাড়া অল্টারনেট যে সমস্ত পদ্ধতি আছে সেগুলোর কার্যকারিতাও সরকারের ভেবে দেখা দরকার।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এটা আসলে পৃথিবীর সব জায়গাতেই ঘটে, শুধু বাংলাদেশের উপকূলে নয়। বায়ু টারবাইন কখনোই সারাক্ষণ চলে না। কখনো থেমে থাকে, কখনো মোটামুটি চলে, কখনো বাঁইবাঁই করে ঘোরে। এ কারণেই ইনভার্টার বসাতে হয়। হঠাৎ উঠে কদ্দূর ওঠে, এবং হঠাৎ নেমে কদ্দূর নামে, সেটাও বিবেচনার বিষয়। যে উচ্চতায় এটা মাপা হয়, সে উচ্চতায় এমনটা খুব হতাশাব্যঞ্জক ফল দিতে পারে, কিন্তু ৮০-১০০ মিটার উচ্চতায় বাতাসের আচরণ একেবারেই অন্যরকম হয়। আর সাগরের পারে গেলে তো কথাই নেই, রাফনেস হাইট ওখানে অনেক অনেক কম। এরপরও কথা থেকে যায়, যেমন কক্সবাজার সৈকতের পেছনেই অনুচ্চ পাহাড় সারি আছে, যা বাতাসকে বাধা দেয়, কিন্তু কুতুবদিয়া সমতল দ্বীপ, ওখানে প্ল্যান্টের পারফরম্যান্স অনেক ভালো হবে।
বায়ুজরিপের ওপর ভিত্তি করেই নকশা করা হয়। প্রোফাইল নির্বাচনের জন্যে অন্যতম প্যারামিটার হচ্ছে টিপ স্পিড আর ইনকামিং উইন্ড স্পিডের অনুপাত। এটি যতো বেশি হবে, ব্লেড প্রোফাইল ততো সরু হয়। মাহবুবুল আলম স্যারের নকশায় এ কারণেই ব্লেড প্রোফাইল হতে হবে অনেক সরু, কারণ ইনকামিং উইন্ড স্পিড খুব কম চান তিনি।
আমি থিসিস বেছে নেয়ার জন্যে আমার প্রফেসরকে (যিনি বায়ুশক্তির ইন্ডাস্ট্রিতে একদম শুরু থেকেই আছেন) একদিন গিয়ে ধরলাম, দুর্বল বায়ুর ওপর কোন গবেষণার সুযোগ থাকলে আগ্রহের কথা জানাতে। তিনি বললেন, গবেষণা এখন মূলত আরো উঁচু হাব হাইটে আরো বেশি ক্যাপাসিটির দিকে, কারণ শোয়াখ ভিন্ড মাখট শোয়াখ জিন (দুবলা বাতাসের কোন বেইল নাই)।
মূলত যে ফ্যাক্টরটা ডিসাইসিভ, সেটা হচ্ছে প্রতি বর্গমিটারে কতটুকু বায়ুশক্তি আছে। যত উঁচুতে ওঠা যায়, এই শক্তি তত বাড়তে থাকে। মাটির যত কাছে আসা হবে, টার্বুলেন্সের কারণে এই শক্তি কমে আসবে।
মনে হয় উপকুলের কাছাকাছি উচ্চতাভেদে পার্থক্য কমে আসতে পারে। কারন বায়ুর গাতির ক্ষেত্রে ফ্রিকশনাল লস কমে যাবার কথা। কিন্তু এইসব প্রকল্প অবশ্যই উপকুলীয় ভুমিক্ষয় বা ঝুঁকির ব্যপারে অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে নিতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে প্রকল্প গ্রহনের সময়ে ব্যয় সাশ্রয়ের নামে অনেক ক্ষেত্রেই ঝূকি পাশ কাটিয়ে সিধান্ত গ্রহনের প্রয়োজনীয় মাত্রাগুলো অনেক সময় বিবেচনা না করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা হয়। যতটুকু বুঝতে পারছি এখন পর্যন্ত বায়ুবিদ্যুত নিয়ে যেসব প্রকল্প ভাবা হয়েছে তার বেশিরভাগই ওয়েল-কন্সিভড নয়। সিদ্ধান্তে পৌছাতে হলে আরো যাচাইয়ের প্রয়োজন আছে মনে হয়।
আমি আপনার লেখায় বুঝলাম না কি ভাবে বছরের বিভিন্ন সময়ে বাতাসের গতিবেগের তারতম্যকে ইনভার্টার দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। ধরুন কোনো স্থানে বছরের বিভিন্ন সময়ে নিচের ছবির মত করে পরিবর্তিত হয়। সেখানে গরমকালে কি ভাবে বিদ্যুত উৎপাদন হবে?
খুঁজে দেখলাম ভারতে এখন ৮৮মি হাব হাইটে স্তম্ভ বসানো হচ্ছে। আগে ৭২ আর পরে ৮০ মি উচ্চতায় বসানো হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গকে বায়ুশক্তির সম্ভাবনাময় অঞ্চলের হিসাবের বাইরে রাখা হয়েছে। এখানে সাগরদ্বীপে বসানো একমাত্র বিদ্যুতকেন্দ্রে হাব হাইট মাত্র ৩০মিটার (পুরো স্পেসিফিকেশন এখানে)।
তবে সাগরদ্বীপে ৫৫ কিলোওয়াটের বেশী বিদ্যুত লাগারও কথা নয়।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বাতাসের বেগের তারতম্য হলে টারবাইনের ঘূর্ণনগতিরও তারতম্য হয়, এবং সেইসাথে জেনারেটরে উৎপন্ন বিদ্যুতের ফ্রিকোয়েন্সিরও তারতম্য ঘটে, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বায়ু টারবাইনের অ্যাসিনক্রোনাস জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। ধরুন, মোটামুটি ৪৮-৫২ হার্টজের মধ্যে ওঠানামা করতে পারে এই ফ্রিকোয়েন্সি। এদিকে গ্রিড তো ৫০ হার্টজের, সেখানে সাপ্লাই দিতে হলে তো আপনাকে ৫০ হার্টজের বিদ্যুৎ দিতে হবে। এ কারণে প্রথমে এই ভ্যারিয়েবল ফ্রিকোয়েন্সির বিদ্যুৎকে ডিসিতে নিয়ে তারপর আবার ইনভার্টারের মাধ্যমে ৫০ হার্টজের বিদ্যুতে রূপান্তর করা হয়।
এই পোস্টে আরো বিশেষজ্ঞের মতামত আশা করছি।
আমিও ঃ)
____________
অল্পকথা গল্পকথা
ছোট্ট একটা কথা মনে পড়ল ।
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উপযোগী সম্ভবত উলম্ব-অক্ষ বায়ু টারবাইন (vertical axis wind turbine) । খোঁজ নিয়ে দেখা দরকার ঐ দুই প্রকল্পে কি আনুভুমিক অক্ষের টারবাইন ব্যবহার করে বসে আছে কিনা । তাহলে নিশ্চিত হতে পারতাম যে একেবারেই শূন্য জ্ঞান এবং/অথবা সদিচ্ছা নিয়ে বিরাট অংকের টাকা নষ্ট করার প্রকল্প শুরু করেছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
উল্লম্ব-অক্ষের কিছু অসুবিধাও আছে। দারিয়াউস কনফিগারেশনের টারবাইন কি এখন আদৌ চলমান আছে কোথাও? বায়ুশক্তি গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু প্রোটোটাইপ চলেছিলো, ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড এখন আনুভূমিক-অক্ষই।
উল্লম্ব-অক্ষের কিছু না, অনেক অসুবিধা আছে। তাই আনুভূমিক অক্ষের দিকেই দুনিয়া ঝুঁকেছে। কিন্তু আমার ভাবনাটা হচ্ছে, যেখানে আনুভূমিক অক্ষ সফলভাবে প্রয়োগ করা যায় সেখানে উল্লম্ব অক্ষের কথা না ভাবলেও চলে। কিন্তু যেখানে অনেক উঁচুতে উঠানো, শুরুতেই বড় বিনিয়োগ, নরম ভিত্তির মাটি, ভূমিক্ষয় ইত্যাদি সমস্যা আছে সেখানে Darrieus বা Giromill অথবা আরো পুরোনো Savonius বসানোতে অসুবিধা কী? এগুলোর দক্ষতা কম, Operation-এও সমস্যা আছে, তবে কাজের জিনিষ। স্থানীয় পর্যায়ে ছোট ছোট VAWT বসানো যেতেই পারে। তবে ঠিক ফলাফল পাবার জন্য এক জিনিষের উপর নির্ভর না করে একটা ছোট লোকালয়ের জন্য একটা Combined Power Generation System-এর কথা ভাবা যেতে পারে। যেখানে VAWT-এর সাথে সোলার সেল আর জাতীয় বিদ্যুত গ্রীডের সংযোগও থাকবে। উপকূলীয় এলাকা হলে সাথে ওয়েভ এনার্জি কনভার্টারও লাগানো যেতে পারে, জিওথার্মালই বা বাদ থাকবে কেন (এটা অবশ্য ছোটখাট জিনিষ না)। সঞ্চয়ী কোষ ব্যবহার করে কিছু পরিমান বিদ্যুত সঞ্চয় করে (এখন যেমন আমরা আইপিএস-এ করি) সবসময় এক পরিমাণ বিদ্যুত সরবরাহের চেষ্টা করা যেতে পারে। এই ধরণের বিদ্যুত উৎপাদনে বিদ্যুতের মান সুবিধার হবার কথা না, তবে তা রেক্টিফাই করাও সম্ভব। আমার আরো মনে হয় কারিগরী সমস্যাগুলোকে সমাধাণের সময় এর ব্যবস্থাপনাগত সমাধাণের কথাও মনে রাখা উচিত। বিদ্যুত উৎপাদন, সরবরাহ ও বিতরণ একটি জটিল ব্যাপার। এর মধ্যে যখন নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যাপারটি আসলে জটিলতা আরো বাড়ে। তবে আমাদের স্বার্থেই সেগুলো আলোচনা হতে হবে। নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে আপনি একটা সিরিজ শুরু করেছিলেন। তারপর চা খেতে গিয়ে আর ফিরে আসেন নি। আপনি চা খেয়ে ফিরে আসলে এনিয়ে আরো আলোচনা সম্ভব হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
জিওথার্মাল কতটা সম্ভব বাংলাদেশে?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এই লিঙ্কের ছবিটা দেখুন। তাতে বাংলাদেশে জিওথার্মালের সম্ভাবনা ভালো হবার কথা বলেই তো মনে হচ্ছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার ধারণা এটা আগ্নেয়গিরির ম্যাপ একটু মোটা আকারে দেওয়া, মানে আশেপাশের কিছুটা অঞ্চল জুড়ে জিওথার্মালের সম্ভাবনা থাকে। আপনি আগ্নেয়গিরির ম্যাপটা দেখুন এখানে। অথবা টেকটোনিক ফল্টলাইনের ম্যাপ এখানে। এই দুটোই বাংলাদেশ থেকে কিছুটা দূরে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এই হচ্ছে বাংলাদেশের জিওথার্মাল গ্র্যাডিয়েন্টের অবস্থা। ছবিটা আমার বর্তমান থিসিস থেকে কপি করে দিয়েছি। [ডেটা সোর্স বাপেক্স থেকে সংগ্রহকৃত ড্রিলিং লগ]
ঠাকুরগাঁ শহরের বেশ কাছেই একটা নলকূপ আছে T-278 (88.496631° E, 26.058339° N)। এই নলকূপটির গভীরতা ৮৭ মিটার। এই নলকূপের ৮৭ মিটার গভীরতায় তাপমাত্রা ৩৭° সেলসিয়াস আর ওয়েল হেড তাপমাত্রা ৩৪° সেলসিয়াস। সেই হিসাবে এই জায়গার গড় জিওথার্মাল গ্র্যাডিয়েন্ট হবার কথা ১৪০° সেলসিয়াস/কিলোমিটার। কী অসাধারণ সম্ভাবনাময় একটা জায়গা!!!!!!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীণ সময়ে ইন্সটিটিউ অব ওয়াটার মডেলিংয়ের একটা প্রজেক্টের কাজে আমরা কয়েকজন ছাত্র ও আমার তৎকালীণ সুপারভাইজার এই জায়গাটিতে ফিল্ডওয়ার্ক করেছিলাম। পরবর্তীতে যতদূর জানি এই অমিত সম্ভাবনাময় জায়গাটিতে "জিওথার্মাল রিসার্চ গ্রুপ অব বাংলাদেশ"-র কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ঘুরে এসেছেন। ঘুরে আসার পর তাঁরা একটি রিপোর্ট ও দিয়েছিলেন। সেই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে কোন উদ্যোগ আদৌ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। আমাদের প্রজেক্ট রিপোর্টের ভিত্তিতে আই.ডাব্লিউ.এম কোন ভবিষ্যত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলো কিনা সে সম্পর্কেও বলতে পারবো না।
হ্যাঁ পরে আমিও দেখলাম ভারতেও একই অঞ্চলে কিছু জিওথার্মাল শক্তির সম্ভাবনা আছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আমার থিসিসের সাথে জিওথার্মাল গ্র্যাডিয়েন্টের তেমন কোন সরাসরি সম্পর্ক নেই। তবে ঠাকুরগাঁ তে আমি নিজেই কাজ করেছি কয়েকদিন। আমি বলবো জায়গাটাকে কাজে লাগালে তা লাভজনক হবে। ভারতের অংশটুকুও তাই হবার কথা। এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কোনরুপ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কি?
জিওথার্মাল নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার নিয়ত করছিলাম, দিয়ে দিলাম ... আমি এই লাইনে একশোভাগ আনাড়ি, তাও সাহস করে লিখে ফেললাম
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আলোচনা চলুক। বোঝার চেষ্টা করছি। সাথে আছি।
পড়ছি... এই লেখাটা অনেক দিন ধরে আশা করছিলাম।
হিমু ভাই দেশে চলে আসেন। আপনার একটা বায়ুবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট দেই। যা টাকা লাগে দ্রোহীদা দিবো।
হিমু টাকা দিলে আমিই বরং দেশে চলে আসবো।
দুঃখের কথা কী বলবো মেম্বর, আপনাকে দেয়ার জন্য যা টাকা জমিয়েছিলাম, এক বনবাসী পামর সেই তিলে তিলে সঞ্চিত তিলোত্তমা ২৪ ইউরো মেরে গা ঢাকা দিয়েছে।
কেমন যেন twilight দেখলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমার কাছে মনে হয়েছে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে উইন্ড পার্কের সম্ভাবনা উজ্জ্বল, সেখানে বন্যা বা টর্নেডোর হাঙ্গামা নেই, উঁচু স্থাপনাও নেই বললেই চলে (যদিও মোবাইল কোম্পানি টাওয়ার বসিয়ে ঝাঁঝরা করে ফেলেছে)। ৪-৫ মি/সে বেগে বাতাস পেলেই চলবে।
একটি অভিনব সার্ভে করে দেখা যেতে পারে। মোবাইল কোম্পানিগুলির সাথে চুক্তি করে তাদের টাওয়ার আর মাস্টগুলিতে একটা করে অ্যানেমোমিটার বসিয়ে দেখা যেতে পারে ঐ এলাকায় বায়ুর কী হাল। অবশ্য প্রাপ্ত ডেটায় অনেক ভুল থাকবে, কারণ টাওয়ারের স্ট্রাকচারের কারণেই বাতাস ওখানে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কিন্তু যে কোন একটি টাওয়ারের কাছাকাছি একটি মিটারিং মাস্ট বসিয়েই কারেকশন ফ্যাক্টর বের করে নেয়া সম্ভব। এরপর গোটা বাংলাদেশেরই বায়ুসম্পদ জরিপ করা সম্ভব।
বাংলাদেশে বায়ুবিদ্যুতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে মানুষকে। যদি সরকার কালো টাকা সাদা করার জন্য একটা বিদ্যুৎ উন্নয়ন ফান্ড গঠন করে কেবল তাতে টাকা ধোলাইয়ের সুযোগ দিতো, তাহলে সরকারের হাতে বেশ কিছু টাকা আসতো বলে আমার ধারণা। ভবিষ্যতে গ্যাসভিত্তিক সব প্রকল্পকে নিরুৎসাহিত করা হবে, এবং তেলভিত্তিক প্রকল্পগুলি লাভজনক হবে না। কয়লা নিয়ে অনেক কথাবার্তা চলছে, কিন্তু কর্তৃপক্ষের মনোভাব ওখানে চোরের মতো, শুধু বোঁচকার দিকে আড়চোখে তাকায়। নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে স্রোতশক্তি কাজে লাগানোর চেষ্টা করা যেতে পারে উত্তরাঞ্চলের কিছু নদীতে, আর বায়ুশক্তির একটা সম্ভাবনা আছে। সৌরশক্তির পেছনে বিনিয়োগ এখনও খুব বেশি। ভবিষ্যতে সৌরসেলের উৎপাদন খরচ কমলে হয়তো কাজে লাগানো যেতে পারে।
হুমম.. প্রথম আলোর লেখাটা আজ সকালে পড়লাম তবে আপনার লেখাটা এ সম্পর্কে ধারণা আরও স্পষ্ট করেছে..
এটা ঠিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের দেশ এমন সব দেশগুলোর সাহায্য নেয় যাদের দ্বারা উপকার খুব কমই হয় তার ওপর এসব গুরুত্বপূর্ন ক্ষেত্রে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের দায়িত্ববোধ নিয়েও প্রশ্ন আছে..
তবে সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আসলে সমস্যা গুলো দূর করে সম্ভনাময় ক্ষেত্র তৈরী করা সম্ভব..
ধন্যবাদ আপনার সময়মত তথ্যবহুল সুন্দর একটি লেখার জন্য....
(জয়িতা)
অল্টারনেটিভ রিনিউয়েবল এনার্জির আরেকটা সোর্স সম্পর্কে কোথায় যেন পড়েছিলাম, সমুদের জোয়ার ভাটার গতিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। আমাদের দেশের জন্য উপযুক্ত হতো ব্যাপারটা...
=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
এটা নির্ভর করে জোয়ার আর ভাটার মধ্যে পানির হেডের পার্থক্যের ওপর। পশ্চিমবঙ্গে সুন্দরবনে এরকম একটা আছে জানতাম।
বাংলাদেশে বর্ষাকালে যে পরিমাণ পানি নামে গোটা দেশ বেয়ে, যদি একে কয়েকটা নির্দিষ্ট খাতে নামানো যেতো, তাহলে সেই স্রোতের শক্তি কাজে লাগিয়ে বিপুল বিদ্যুৎ তৈরি সম্ভব ছিলো। আমাদের নেত্রকোণায় সোমেশ্বরীতে এমন করা সম্ভব।
এইটা বাংলাদেশের উপকূলে অনেক জায়গাতেই সম্ভব। সমস্যা হল এই পদ্ধতিতে লার্জ স্কেলে বিদ্যুত উৎপাদন সম্ভব নয়।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পোস্ট এবং আলোচনা পড়ে বড়ই আরাম পাইলাম।
কিছুদিন আগে প্রকৃতির উপরে বিভিন্ন রকম বিদ্যূৎ উৎপাদন ব্যবস্থার প্রভাব সম্পর্কে নেট ঘেটে একটা বাংলা লেখা দাঁড় করিয়ে এক জায়গায় পাঠালাম (প্রযুক্তি কথন) .... ... প্রকাশের খবর নাই ....
আপনার এই লেখাটা তখন পাইলে আমার কাজটা আরো সহজ হত।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এই কারণেই সচল ভালো। প্রকাশের খবর তো সাথে সাথে জোটেই, মন্তব্যের চোটে হয়রান হতে হয় ।
বায়ু-বিদ্যুৎ নিয়ে অনেককিছু জানতে পারলাম, আমার ধারনা বখরা ভাগাভাগি ঠিকমত না হ্ওয়ায় বেচারা প্রজেক্ট গুলো সাফল্যের মুখ দেখতে পারে না। মাঝে মাঝে মনে হয়, ঘোড়ার ডিমের পড়াশুনা বাদ দিয়ে anti-corruption Assassin হয়ে যাই, দেশে যাব, ঊড়ো চিঠি দিব, ১ মাস সময় দিব, তার মাঝে প্রজেক্টের অগ্রগতি না হলে মেরে ফেলব, এভাবে ৫০-১০০ টাকে মেরে তার সচিত্র প্রতিবেদন ছড়িয়ে দিব সবখানে, বাকিরা একদম সোজা হয়ে যাবে, মৃত্যু ভয় কার না আছে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সম্প্রতি কমল হাসানের হিন্দুস্থানি মুভিটা দেখলেন নাকি?
নামিয়েছি, দেখা হয়নি, আমি কী একই থিমে কথা বলছি? আমার মনে হয় মৃত্যভয়ই আমাদের জন্য একমাত্র রাস্তা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বায়ুবিদ্যূত প্রকল্প নিয়ে আজকের ইত্তেফাকের খবরটা দৃষ্টি আকর্ষন করলো।
খবরের লিংক
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
খবরঃ
জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে ১২ কোটি টাকার বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র
নতুন মন্তব্য করুন