যে বিকল্পটি হাতে থাকে, সেটি হচ্ছে এক বেলা বা দুই বেলা খাওয়ার মতো করে কেনা। তাতে করে খরচ বাড়ে, কারণ এখানে এক কেজি মাছ আর আড়াইশো গ্রাম মাছের ফিলে-র দাম প্রায় সমান। আর যে মাছ খেতে পছন্দ করি, সে মাছ প্রক্রিয়াজাত অবস্থায় মেলে না। রুশ দোকান থেকে কিনে আঁশ ছাড়িয়ে যে মাছ খাচ্ছি, তার স্বাদের সাথে বরফ গলানো বিস্বাদ লাখস-বার্শ-কাবেলিয়াউ-পাঙ্গাসিয়াস এর ফিলের তুলনা চলে না।
আরেকটি বিকল্প আছে, সেটি হচ্ছে কৌটার মাছ খাওয়া। টুনা, ম্যাকারেল, হেরিং এইসব। এগুলো একেবারে এক বেলার জন্যেই ডিজাইন করা, কৌটা খুলে তাওয়ায় চড়িয়ে সব্জির সাথে মিশিয়ে একটা ঘুঁটা দিলে মোটামুটি ভক্ষণযোগ্য একটা কিছু তৈরি হয়। ব্রকোলি/ফুলকপি, টোমাটো, বেগুন, পাপ্রিকা পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে তার সাথে এই কৌটার মাছ আর ধনেপাতা দিয়ে ঝালঝাল ভুনা করলে বেশ ইন্টারেস্টিং একটা জিনিস দাঁড়ায়। তবে রোজ রোজ তো এক জিনিস খাওয়া যায় না।
ক্যানের মাছ কিনতে গিয়ে ভাবলাম, বাংলাদেশে কেন অন্তত কাছাকাছি কিছু করতে পারি না আমরা? আমাদের দেশে মাছের বিশাল চাহিদা, কতিপয় শুয়োরের বাচ্চা এই মাছে ফরমালিনের মতো বিষ মিশিয়ে বিক্রি করে, কিন্তু কেন বিকল্প শিল্পায়ন করা হবে না?
আমার ভোলাভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে তাই লিখছি। বরিশাল-চাঁদপুর অঞ্চলে চালু করা যেতে পারে দু'টি ভাসমান মাছ প্রক্রিয়াকরণ কারখানা। এই জাহাজগুলি ওখান থেকে কিনবে ইলিশের বিশাল চালান, টনকে টন। তারপর চলতে শুরু করবে উত্তর দিকে, যেখানে মাছের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল এবং নানা চুতিয়ামিতে আক্রান্ত। চলতে চলতেই ইলিশ মাছের আঁশ ছাড়িয়ে কেটে কুটে একে বিশেষ সংরক্ষণারকে চুবিয়ে একটা ক্যানে ভরা হবে। জাহাজ থেকে খালাস করা হবে ক্যানড ইলিশ। জাহাজ যখন আবার বরিশাল বা চাঁদপুরের দিকে ফিরবে, তখন সে সাথে কোন কার্গো নিয়ে ফিরতে পারে, যাতে তার ট্রিপ কস্ট কমে আসে। লোকজন বাজারে গিয়ে হয়রান না হয়ে দোকান থেকে ফিক্সড প্রাইসে কিনবে, প্রচলিত দামের চেয়ে অনেক সস্তায়। খুব অসম্ভব কিছু তো নয়, আটলান্টিক আর ভূমধ্যসাগরে তো এমন অহরহই হচ্ছে।
মন্তব্য
ইন্টারেস্টিং...
____________
অল্পকথা গল্পকথা
পড়ে দেখুন উইকিতে। আমার মনে হল আপনি এই বস্তুই বোঝাচ্ছেন।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এটার ইনল্যান্ড ওয়াটার সংস্করণ আর কি।
- ক্যানড্ ইলিশ খেয়ে মজা পাবি না। বাইল্যা আর ইলিশে কোনো তফাৎ পাবি না। ক্যানড্ মাছে স্বাদীয় গন্ধের পার্থক্য খুবই কম। জার্ডিনা যেমন গন্ধ দেয়, টুনা মাছও তার কাছাকাছিই। ইলিশ হতে হবে আঁশটে গন্ধযুক্ত। ঐটাই ইলিশের স্বাদ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ফরমালিন দেয়া মাছ কিছুদিন খেলে দেখবি কৌটার মাছই অমৃত লাগবে। যোনিগন্ধা ইলিশের কুয়ারা তখন আর থাকবে না।
- যোনিগন্ধা ইলিশের কুয়ারা করিনা বাল। তুই যদি ইলিশই খেতে চাস তাইলে ইলিশ খাওয়াই উচিৎ, টিন খুলে স্বাদগন্ধের তামতম্যহীন পেলাশটিক না। এইটা নাম্বার ওয়ান।
নাম্বার টু হইলো, বরিশাল চাঁদপুরে বরফকল নাই- এইটার সমাধান ভাসমান জাহাজে করে প্রসেসড ইলিশ (কিংবা অন্য যেকোনো মাছ) অন্য কোথাও নিয়ে বেচা না। মৎস্য মন্ত্রনালয়ের যথাযথ মন্ত্রণা দরকার এখানে, যেকোনো মৎস্যমাফিয়া, গৎস্যমাফিয়া, গাড়িমাফিয়া সবার যন্ত্রণা লাঘবের জন্য।
আরও কিছু কথা আছে, খাড়া মনে হইলে আইসা কইয়া যামু নে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দোস্ত, আঁইশটা ছাড়ানো আর মাছ কোটা একটা পেইন! টুকরা করা ইলিশ ক্যান থিকা খুইলা ভাইজা খাওয়ার বুদ্ধি দিলাম, গিয়ানজাম করস ক্যান?
নোনা ইলিশ আর তাজা ইলিশের মাঝামাঝি কিছু একটা ক্যনবদ্ধ পওয়া গেলে হলে মন্দ হবে না।
হিমুর চাহিদামতো সবকিছু হয়ে গেলে দেশটা যে বাংলাদেশ থাকবে না আর!
ডিজিটাল মহাজোট সরকারের উচিত আমাকে মিনিস্ট্র অব ইনোভেশন অ্যান্ড অপটিমাইজেশনের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া। অ্যাতো অ্যাতো আইডিয়া শুধুমুধু নষ্ট হচ্ছে রোদে।
শুধুমুধু রোদে ফেলে না রেখে ঝাকানাকার কানে তুলে দেয়া যেতে পারে।
লাখস-বার্শ-কাবেলিয়াউ-পাঙ্গাসিয়াস এর নাম শুনে তো বেশি ডেলিশিয়াস ই মনে হইতেসে
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ফরমালিন মিশানো প্রসংগে হিমুর সাথে একমত হৈলেও কৌটার মাছ আর ফ্রেশ মাছের বিতর্কে আমার সমর্থন ফ্রেশ মাছের দিকেই থাকবে।
নানান কায়দার অটোমেশান সমাধান না বাচ্চু। উৎপাদন বাড়ানোটা সমাধান, যেইটা করতে গেলে মৎস মাফিয়াদের গলায় পাড়া দিতে হবে।
আমরা এমন একটা দেশ থিকা আইছি, যেইখানে টোটকা চিকিৎসার সম্ভাবনা নি:শেষিত। কিছু করার নাই। তুমারও না আমারও না।
তবে অত্যধিক দাম বাড়ার প্রতিবাদে ইলিশ বর্জন করছি। কাসেলে বর্তমানে ইলিশের দাম ১৩ ইউরো ৫০ সেন্ট। ফ্রাঙ্কফুর্টে ৮ ইউরো ৫০। এই দাম আমার পকেট মানে না। আমার মানারো তাই প্রশ্ন উঠে না।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সমস্যাটা বহুলাংশে পরিবহনের, কেবল উৎপাদনের স্বল্পতার না। মাফিয়ারা নিজেই মাছ ক্যান করা শুরু করুক না। পাবলিক কম দামে ইলিশ খাইতে পারলেই তো হইল।
কোয়ালিটি ব্যাপারটা খিয়াল কৈরা। একবার তাজা মাছের স্বাদ পাওয়া মানুষরে কৌটায় ঠেসানো সহজ না। লাঠি দেখাইলে হয়তো চুপ করবো। কিন্তু মনে মনে তুমার ৩৮ গুষ্ঠি উদ্ধার করবো। যাই হোক পরিবহনের প্রসঙ্গ বহুলাংশে উৎপাদনের সাথে জড়িত। ইকনোমিক্স ইজ আ সায়েন্স অফ প্রোডাকশান অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশান।
পরিবহনে মূল সমস্যা সৃষ্টি করে মাফিয়ারা। ইলিশের উৎপাদন কেন কমতেছে। কোথায় সমস্যা হইতেছে সেইটার সমাধান কী, এইটা মাফিয়ারা বাইর করুক, আমি তাগো ফ্রেশ মশলা দিয়া তেহারি খাওয়ামু।
কৌটার মাছ বিদেশে আসতে পারে। কিন্তু সেইটা অভ্যন্তরীণ উৎপাদন একটা জায়গায় পৌছানোর পরে। তার আগেও করতে পারে তুমি যেমনে কৈলা। সেইটা দিনের শেষে ব্র্যাকের আমদুধের মতো শুনায়....
আমদুধ খাইতে আমার জঘন্য লাগে। সেজান জুসের মতো।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ফরমালিন দেয়া দেড় বিঘত মাছ আপনি আটশো টাকা দিয়া কিনা খাইয়া মজা পাইলে তো আমার কোন সমস্যা নাই। আমি এর একটা বিকল্প সাজেস্ট করলাম শুধু। বরিশালে মণকে মণ ইলিশ পঁচে, কারণ সেখানে পর্যাপ্ত বরফকল নাই, ঢাকায় লোকে দামের চোটে ইলিশে হাত ছোঁয়াইতে পারে না। ইলিশ পরিবহনে মাফিয়ারা বাধা দিলে তাদের চেয়ে বড় কোন মাফিয়াকে এই ব্যবসা খুলতে হবে, এ-ই আর কী।
বরফকল খুলতে বা বরফ সরবরাহ করতে মাফিয়া ছাড়া অন্যকেউ বাধা দিলে আমি বরফকল খুলার টেকা দিমু।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
যদিও মাছ তেমন খেতে পছন্দ করিনা, তারপরেও ইলিশের গন্ধ না পাওয়া গেলে ঐ জিনিস নিয়ে লাভ কি?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
গন্ধটা কোথায় যাবে?
নোনা ইলিশ তো আছেই (অথবা ছিলো)।
এখন মাছের উৎপাদন অনেক কম। চাঁদপুরেই ঠিকমতো ইলিশ পাওয়া যায় না। এমন না যে, সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হওয়ার মতো প্রচুর মাছ আছে। ?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমি টুনা ছাড়া আর কোন ক্যানের মাছ খাইনা। ইলিশ মাছ নরম মাছ; আস্ত পিস ক্যানে ঢুকাইতে এবং তা ঠিক রাখতে মনে হয়না কস্ট-এফেক্টিভ হবে। আর ক্যান ভর্তি করার সময় যদি টুনার মত ভর্তা করে ঢুকায় তাইলে আর ভাজা খামু কেমনে!! অন্যদিকে সংরক্ষণের জন্য ফরমালিনে চুবাবে না ওইটার গ্যারান্টী মনে হয়না কেউ দিতে পারবে!
বরঞ্চ আমি বলব আঁইশ আর পেট পরিস্কার করে বরফে সংরক্ষণের কথা। এতে মাছের স্বাদ ভাল থাকে আর তাড়াতাড়ি পচনের সম্ভাবিলিটি ও কমে যায়।
-------------------------------------
সুরঞ্জনা, ওইখানে যেয়োনাকো তুমি...অইহানে হাপ আছে...কামুড় দিব!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বাহ!
আমি সব এড়াই না, কিন্তু এ্যাসপায়ারেশন থাকে। হেহ হেহ।
*
কৌটার মাছ কখনো খাই নাই, ইলিশ যা খাই ভালই লাগে, তাই কি বলবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। এক্সপার্টরাই চিল্লাক।
*
আপনি গালাগালি একটু কম করলে মন্ত্রী বানাইতেও পারে। আপনে আর ইশতিয়াক মন্ত্রীসভায় গেলে দেশের খুব ভাল কিছু একটা হওয়া উচিৎ (যদিও বলা যায় না)। সমস্যা হল, আপনি জর্মনদেশে, আর ইশতি মার্কিনদেশে।
হবে না।
ইলিশের জন্য ব্যাপারটা মনে হয় একটু ট্রিকি কারণ ওই গন্ধ। ক্যানড ফিশে গন্ধ থাকবে না, থাকাতে হলে আলাদা গন্ধ কেমিকেল যোগ করতে হবে। মিলে মিশে ওই যেই কে সেই। তবুও এমন হলে মন্দ হয় না কারণ এতে কিছু মানুষ যাদের তাজা মাছ কিনে খাবার সামর্থ্য নেই তারা হয়তো টিনের মাছের কাছে যাবে। বিকল্প একটা ভালো জিনিস, সব কিছুরই নিদেনপক্ষে একটা বিকল্প থাকা দরকার।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
মিনিস্ট্র অব ইনোভেশন অ্যান্ড অপটিমাইজেশনের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আপনারে নিয়োগ দিলে আমাদের পক্ষে ব্লগে আপনারে বাম্বো দেয়াটা সুবিধাজনক হইতো। অন্য মন্ত্রীরে বাম্বো দিয়া লাভ নাই ,এরা ব্লগ পড়ে না।
যাক, প্রস্তাবের সমস্যাটা হচ্ছে
১. আর্থিক ভাবে জাহাজে করে প্রসেস করা লাভজনক হবে না। কারন ইলিশের সিজন থাকে মাত্র দুইমাসের মতো।
২. জাহাজে করে প্রসেস করার কারনে খরচ বেড়ে যাবে , কারন জাহাজকে খুঁজে খুঁজে মোহনার বিভিন্ন স্থানে ভিড়তে হবে , এটা সময় সাপেক্ষ , জাহাজ মেইনটেনেন্সের আর্থিক চাপ ইলিশের দামকে দ্বিগুন করে দেবে।
--
বরফকলের অভাবে ইলিশ নষ্ট হচ্ছে এমন তথ্য আবার যাচাই করা প্রয়োজন। আমার কাছে যদিও কোন তথ্য নেই তবু আমার মনে হয় না এটা সম্ভব। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বরফ কলের চাহিদা থাকলে ঘাটে অনেকগুলো বরফকল তৈরী হয়ে যাওয়ার কথা । টেকনলজি সহজ, খুব খরুচে ব্যাপারও না ওটা। স্থানীয় বিনিয়োগ হওয়া উচিত ওখানে।
তবে মূল সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুৎ থাকবে না ওখানে , বরফ তো আর আকাশ থেকে পড়বে না , বিদ্যুৎ না থাকায় বরফ তৈরী হবে না বা হচ্ছে না।
-
বাংলাদেশে ক্যানে ভরে রফতানি করার মতো মাছের প্রাচুর্য বোধহয় তেমনটা নেই। চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ রফতানি হচ্ছে বটে, ইলিশও কলকাতায় যায় ; কিন্তু মিঠাপানির অন্যান্য মাছ রফতানি কতোটুকু সম্ভব সেটা বিবেচ্য।
বিকল্প হিসেবে চিংড়ি রফতানির মতো প্যাকেটজাত করে রফতানি করাটা সহজ। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ( আশ ছাড়ানো, কাটাকুটি করা) প্যাকেট করে দেশে বাজারজাত করা যায় , সুপারস্টোরগুলো ভেবে দেখতে পারে।
তবে সেটাও খুব জরুরী নয়। দেশের সবগুলো মাছ বাজারেই কেটেকুটে দেয়ার জন্য লোক থাকে , এমনকি আগোরা নন্দনের মতো সুপারস্টোরগুলোতেও, সুতরাং ক্যানড ইলিশের ধারনা খুব একটা সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না।
কাটাকাটির কি দরকার? এক একটা আস্তো ইলিশ একটা কৌটায় প্রিজার্ভ করে বিক্রি করুক। আইডিয়া ভালোই। তবে পর্যাপ্ত ইলিশের সরবরাহ থাকতে হবে। বানিজ্যিক ভিত্তিতে ইলিশের চাষ করতে হবে (সেটা কি সম্ভব?)। ইউরোপের তো ওরা বিভিন্ন নদী অথবা সাগরে বিরাট এলাকায় ঘের করে মাছ চাষ করে। বাংলাদেশে পুকুর, খাল-বিল যেভাবে দখল হচ্ছে তাতে কয়েকবছে পর ইলিশের অথাব স্বাদু পানির মাছের গন্ধ কৌটায় ভরে বিক্রি করতে হবে।
বদ্দা, ইলিশ খাওয়ার শখ হলে ক্যাসেল আসার সময় বলে দিলে ২/৩টা নিয়ে আসা যেতো। ফ্রাঙ্কফুটে গতদিন দেখলাম বেশ বড়ো বড়ো ইলিশ এসেছে। অবশ্য আপনিও বেড়াতে এসে নিয়ে যেতে পারেন
ফ্রিলিংক, ইলিশ তো পুকুরে চাষ করা যায় না। ইলিশ যাকে বলে পুরা গভীর জলের মাছ। ডিম পাড়ার সময় নদীতে আসে। ফ্রাঙ্কফুর্টের বড়ো ইলিশ ফুরিয়ে যাওয়ার আগে কিনে রাখো, ক্রিকেট খেলতে আসতেছি। সাথে ইলিশ ভোজ হলে মন্দ হয় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ইলিশ ভুজ নাই। এইবার মুরকা আর খাশী ভুজ (গ্রীল)। তবে চান্সে যদি আপনাদের সময় থাকে তাহলে আমার বাসায় ইলিশ ভুজ হতে পারে (পার্টি হবে ডামস্টার্ডে)।
ইলিশ চাষের জন্য সাগরের কথাই বলেছিলাম। ওরা টুনা মাছকেও তো সাগরে চাষ করে। আমাদেরও সেইম টেকনো নেওয়া দরকার যদি পাতে ইলিশ পেতে চাই। আলাক্সা মাছ চাষের উপর একটি ডকু দেখেছিলাম। টেকনো আর চেষ্টা থাকলে সবই সম্ভব।
ঝেজে দিলাম এই মন্তব্যে
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নতুন মন্তব্য করুন