গিয়েছিলাম মিউনিখে, অক্টোবরফেস্টে, অগ্রজপ্রতিম তীরন্দাজের আতিথ্য বরণ করে। সেই আতিথ্য আবার শটগান আতিথ্য, তীরুদার হাজারটা কাজের ব্যস্ততা, আমরা এদিক দিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক করে মনে পড়লো, আচ্ছা তীরন্দাজ কি জানেন যে আমরা আসছি? শেষ পর্যন্ত মানুষটা তীরন্দাজ বলেই হয়তো জার্মানির তিন দিক থেকে আমরা চারজন গিয়ে হামলা করি তাঁর আর উশি ভাবীর ওপর, তাঁরাও অম্লানবদনে সহ্য করেন আমাদের উৎপাত। সে গল্প সামনে করছি ছবিসহ, আপাতত মিসির আলিকে নিয়ে বলি।
আমি নেটাসক্ত মানুষ, এটা টের পেয়ে গেছি ইতিমধ্যে। হাতের কাছে নেট না থাকলে শরীর কামড়াতে থাকে, মেজাজ খারাপ হয়, চা-কফি খাবার পরিমাণ বেড়ে যায়, একমাত্র নারীসংসর্গই এর নিরাময় করতে পারে। দীর্ঘ নয় ঘন্টা জার্নির পর মিউনিখে পৌঁছে আরো ঘন্টা তিনেক আড্ডা মেরে তীরুদার বাসায় পৌঁছেই তাই সচল হাসিবের ল্যাপটপ ছিনতাই করে বসে পড়লাম। সচলায়তন খুলে চোখ বুলাচ্ছি নীড়পাতায়, চোখে পড়লো অতন্দ্র প্রহরীর চমৎকার একটি রিভিউ। তা-ও আবার মিসির আলি। রহস্যগল্প আমি এমনিতেই ভালোবাসি, আর মিসির আলির গল্পগুলোর মেজাজই অন্যরকম। রাত তখন অনেক, কিছুক্ষণ আড্ডা মেরে শুয়ে পড়েছে বাকিরা, আমি ডাউনলোড করে পড়তে শুরু করলাম। পড়া শেষ করে ভোরে ঘুমাতে গেলাম।
বইটা সম্পর্কে আমার প্রতিক্রিয়া প্রহরীর পোস্টেই বলেছি। কিন্তু মিউনিখে দেড়দিন প্রবল আড্ডাবাজি আর ঘোরাঘুরি করে আবারও দীর্ঘ ক্লান্তিকর জার্নি সেরে কাসেলে ফিরে এসে আমার মাথায় মিসির আলির ভূত চেপে রইলো। হাসিব ভাইকে টোকা দিয়ে মিসির আলির আরো কিছু পিডিয়েফ যোগাড় করলাম, সেগুলো পড়ছি এক এক করে।
একটানা কয়েকটা গল্প পড়ে যে সিদ্ধান্তে এসেছি, সেটি হতাশাব্যঞ্জক। আমার কাছে মনে হয়েছে, হুমায়ূন আহমেদ সময়ের সাথে এই ঘরানার গল্প বা বড়গল্প লেখার শৈলীটি ক্রমশ হারিয়ে ফেলছেন। দেবী বা নিশীথিনীর কথা বাদ দিই, সেগুলো বাদেও মিসির আলিকে নিয়ে তিনি চমৎকার কিছু গল্প লিখেছেন [নাম উল্লেখ করতে গেলে বলতে হয় "বৃহন্নলা" আর "অন্য ভূবন"], সেগুলি ভবিষ্যতে তাঁর মশালবাহক হবে। কিন্তু নিকট অতীতে লেখা মিসির আলিগুলিতে আগের সেই টানটান ভাবটা নেই। হুমায়ূন আহমেদের বইগুলিতে সাধারণত বর্ণনাগত ত্রুটি থাকে, দারুণ ঘটা করে বর্ণিত লেজকাটা কুকুর কয়েক পৃষ্ঠা পর লেজ নাড়তে থাকে, এইসব ছোটখাটো ত্রুটি মিসির আলির বইগুলিতে বরাবর অনুপস্থিত ছিলো, সেগুলি অনেক গোছানো, পরিমিত আর টানটান থাকতো, কিন্তু সময়ের সাথে হুমায়ূন আহমেদের গড় উপন্যাসগুলির ত্রুটি হেঁটে এসে মিশে গেছে মিসির আলির সাথে। আরো সহজ করে বললে, মিসির আলির লেখাগুলি লেখক নিজেই গোড়া থেকে কয়েকবার পড়েছেন, উলটে পালটে দেখেছেন, কোনো ত্রুটি থাকলে মার্জনা করেছেন, এমন একটা ধারণা পাঠকের মনে তৈরি হতো, যেটা এখন আর হয় না। মনে হয়, কোনোমতে টেনেটুনে শেষ করা এক একটা লেখা, যেটি লেখক নিজে দ্বিতীয়বার পড়ে দেখার উদ্যোগ নেননি। এই যে অযত্নটুকু, এটিই পাঠকের জন্যে অপমানকর বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
মিসির আলির গল্পের দু'টি ধারা আছে, একটিতে লেখক উত্তম পুরুষে উপস্থিত থাকেন, মিসির আলিকে বর্ণনা করেন। অপরটিতে মিসির আলি স্ক্রাইবের অনুপস্থিতিতেই যা করার করে চলেন। এই দু'টি ধারা বরাবরই সমান্তরাল ছিলো, কিন্তু সময়ের সাথে যা হয়েছে, সেটি হচ্ছে, মিসির আলি চরিত্রটি জোলো আবেগের আধিক্যের শিকার হয়েছে, যা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য লেখায় সুলভ। বরাবর যে স্বাতন্ত্র্য মিসির আলির চরিত্রে ছিলো, সেটি ক্রমশ লোপ পেয়েছে, এখন মিসির আলির গল্পে মিসির আলিকে লম্বা, শুকনো, নিরাবেগ, তীক্ষ্ণধী মানুষ বলে কল্পনা করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে, মনে হয়েছে একজন প্রৌঢ় হুমায়ূন আহমেদকেই দেখছি মিসির আলির গেঞ্জি গায়ে। এই পরিবর্তনটি হজম করা কষ্টকর। গল্পের চরিত্রে লেখক সেই তাঁবুর উটের মতো একটু একটু করে ঢুকে পড়ছেন ক্রমশ, এতে মিসির আলির চরিত্রহননই হচ্ছে কেবল। যখন ঘনাদা পড়ি, প্রথম থেকে সেই শেষ পর্যন্ত, ঘনাদার চরিত্রটি স্বাতন্ত্র্য ধরে রাখে, যেমন রাখে সত্যজিতের শঙ্কু আর তারিণীখুড়ো, কোনান ডয়েলের প্রফেসর চ্যালেঞ্জার, শরদিন্দুর বরদাচরণ। বাস্তব পৃথিবীকে অতিক্রম করে লেখা গল্পের শিখণ্ডী চরিত্রগুলির এই স্বাতন্ত্র্য জরুরি বলে মনে হয় আমার কাছে। লেখকের ওতে হামাগুড়ি দিয়ে ঢোকার অধিকার আছে, প্রয়োজন নেই।
পাশাপাশি আমি এ-ও স্বীকার করবো, মিসির আলির গল্পগুলিতে রহস্যগুলি মান্টোর গল্পের টোবাটেক সিং এর মতোই যেন, অর্ধেক বাস্তব পৃথিবীতে, বাকি অর্ধেক মানুষের মনে ... এ ধরনের গল্পের মানকে পরিমাণের বিপরীতে রেখে ছক কাটলে তা ওপর থেকে নিচের দিকেই নামে। এ ধরনের গল্প গণ্ডায় গণ্ডায় লেখা সহজ নয়, লিখলে মান বজায় রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। অগণিত ছাইপাঁশের পাশাপাশি হুমায়ূন আহমেদ মিসির আলির গল্পগুলি লিখেছেন বড় সযত্নে, যে যত্ন তিরোহিত হচ্ছে ক্রমশ। হুমায়ূন আহমেদ নিজস্ব পাঠকবলয় তৈরি করে নিয়েছেন, যারা তাঁর নামাঙ্কিত সবকিছুই নির্বিবাদে ভক্ষণ করে; কিন্তু এই যে মিসির আলির টানটান গল্পের ঘরানা, এটিকে যেন তিনি কমপ্রোমাইজ না করেন, পাঠক হিসেবে এটি আমার কামনা। আমি নতুন কোনো মিসির আলি পড়তে না পেলেও অখুশি হবো না, কিন্তু আধাখ্যাঁচড়া জোড়াতালি মার্কা জোলো রহস্যগল্প পেলে ঐ অযত্নের অভিযোগ করবো। পাঠক হিসেবে সে অধিকার আমি অর্জন করে নিয়েছি কয়েক দশকে।
মন্তব্য
----মোদ্দা কথা।
কী চমৎকার করে মনের কথাটুকু বলে দিলেন!
মিসির আলির বিয়ের বয়স হয়েছে তো, তাই এরকম অগোছালো। বিয়ে হলেই ঠিক হয়ে যেতে পারে।
অতি মূল্যবান কথা। খুব ভালো লাগল, এভাবে গুছিয়ে বলতে পারছিলাম না, লেখাটা স্টিকি করার অনুরোধ জানাচ্ছি, সকল হুমা ফ্যানাটিকদের পড়া উচিত এই বিশ্লেষনটা। যদিও এখনো বই বের হলে পড়ি আর গালি দেই, আর নিজেকে প্রবোধ দেই, "দেখি এই ব্যাটা আর কতদুর নামতে পারে"
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এক্টা ফ্যানাটিক্রে আমি চিনি। সে আমার আর আপনার ওপর খুব বিলা।
আমার ধারনা গল্পগুলো হুমায়ূন আহমেদের লেখা না, মূল লেখার ওপর তিনি হয়তো শেষে কলম চালিয়ে একটা হুমায়ুনীয় আবেশ আনার চেষ্টা করেছেন।
গল্পগুলোর কোনটাকেই রহস্যগল্প বলা যায়না, একটা রহস্যময় ঘটনার বর্ণনা দিয়েই শেষ, সেটার কোন আফটার ইফেক্ট আসেনি কোন গল্পে অথবা সেটার নানান ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দেখতে পাওয়া যে কোন ব্যাখ্যাই খাটছেনা -- এমন কিছুও আমরা পাইনা গল্পগুলোয়। শুধু একেকটা অলৌকিক ঘটনার সরল বর্ণনা।
আমার পড়ে মনে হলো এমন গল্প তো চাইলেই হাজারটা লেখা যায়। যেমন মিসির আলী একদিন ট্যাক্সিতে উঠলেন, কিছুক্ষণ পর তিনি খেয়াল করলেন যে ট্যাক্সিচালকের গোঁফগুলো দশ মিনিট পরপর রংবদল করছে!! ... ব্যাখ্যার অযোগ্য হিসেবে তিনি সেটাকে নিজের ডায়রীতে টুকে নিলেন ...হা হা হা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ট্যাক্সির উদাহরণটা দারুণ লাগলো!
জটিল উদাহরন বস
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
দারুণ, আগ্রহ জাগিয়ে তোলা রিভিউ। আপনাকে আর কি বলবো ভাষা নিয়ে!
অযত্ন অংশটা পড়ে নিজের একটু লজ্জা লাগলো।
মিসির আলি একসময় পড়ে দারুণ লেগেছিল। অনেকদিন পড়া হয় না। সামনে পড়ার ইচ্ছা রইলো।
এখানে একটা প্রশ্ন রাখি: আপনার হিমু নামটার সাথে কি হুমায়ুন আহমেদের হিমু চরিত্রের কোন সম্পর্ক আছে?
আপনি হুমায়ুন আহমেদের ফ্যান কিনা এ প্রশ্ন অনেকদিন মাথায় ছিল। আজকে আপনি নিজেই কিছুটা আগ্রহ মেটালেন। থ্যাংকু!
না, হিমু আমার পিতৃদত্ত ডাকনাম। হুমায়ূনের হিমুর সাথে আমার সম্পর্ক নাই, সে আমার খাটনি বাড়িয়েছে শুধু, নিজের নামটা যে নিজের, এ কথা বারে বারে বলার বেহুদা পরিশ্রম। হুমায়ূন আহমেদকে জরিমানা করা উচিত ।
হুমায়ূন আহমেদের ফ্যান আমি নই। ফ্যান কথাটা আমি বুঝেশুনে ব্যবহার করি (যদিও ফেসবুকে ফ্যান হই কারো কারো, যেমন মুজতবা আলী), কারণ ফ্যান শুনলেই মনে হয় অপ্রকৃতিস্থ কোনো লোক, যে তার আইডোলের অপরিষ্কার জাঙ্গিয়া সংগ্রহ করে বেড়ায়। হুমায়ূন আহমেদের লেখার আমি পুরনো পাঠক বড়জোর, সেই নীল হাতি থেকে শুরু। তার কিছু লেখা পড়ে আমি মুগ্ধ, সেই মুগ্ধতা প্রকাশে আমার কোনো কুণ্ঠা নেই। বাকিগুলি হুমায়ূন আজাদের কথা ধার করে বলতে গেলে, মহাকালের মলস্রোতে যুক্ত হবার মতো। এ কথা বলতেও আমার দ্বিধা নেই।
যদি আপনার নামটার জন্ম হুমায়ুনাহ্মেদ সাহেবের হিমুর আগে হয়ে থাকে, তাইলে ব্যাটার কাছে রয়্যাল্টি চাইয়া উকিল নোটিশ পাঠাইতে পারেন। দুই-চাইর কোটি টাকা চাইবেন, শেষ মেশ নগদে কিছুই পাইবেন না, কিন্তু আসল হিমুর পরিচয় জাতি জানতে পারবে
আমার বাপের বয়সী এক হিমুরে চিনি। ঐ মাম্লায় সে হুমায়ূনের কাছ থিকা দুই কোটি বাগাইতার্লে আমার কাছ থিকা কমসেকম দুই হাজার বাগাইবো।
না আপনি বেআক্কেল ফ্যান না সেটা আমি বুঝছি আগেই। আপনে ঠিক ওই টাইপের মানুষই না। মাথায় আর কোন শব্দ না আসায় ফ্যান শব্দটা ব্যবহার করেছি।
"আইডোলের অপরিষ্কার জাঙ্গিয়া"
হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম . . . .
: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: :
'Cinema is over' - Master Godard
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মজার ব্যাপার আমারো সেই নীল হাতি থেকে শুরু....
দারুণ রিভিউ.....ইদানিং হূআ'র পুরোনো লেখাগুলো পড়ছি....আর ভাবছি....পতন সবসময় নিম্নেই হয়...হা হা
তবে বহুদিন পর বলপয়েন্ট' পড়ে ক্যান যেন ভালো লেগেছিল....
এই কৌতুহলটা আমারও ছিল৷ যাগ্গে সিরাতের কল্যাণে জেনে গেলাম৷ সিরাতকে ধন্যবাদ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
জ্বিনের বাদশার মন্তব্যের সাথে সম্পুর্ন একমত। আমার আজকাল মনে হয় ওনার স্ত্রী কিংবা বড় পুত্র এগুলো লেখে এবং এরপর শুধু একটু হুমায়ুনীয় সম্পাদনা হয়। লেখার মান এত পড়ে যাওয়ার আর কোন কারন পাই না।
সিরাতের মত আমিও জানতে চাই, হিমু নিকটা কি হুমায়ুন আহমেদের হিমু থেকে এসেছে?
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
কিছুই অসম্ভব নয়। আমার এক প্রেমিকার মা কলেজে শিক্ষকতা করতেন, সেই প্রেমিকা প্রচুর মেয়ের গুরুতর পরীক্ষার খাতা দেখেছে । আর এইটা তো তুচ্ছ হৌমায়ূনেয় উপন্যাস, বউবাচ্চা লিখে দিলে বিচিত্র কী?
উত্তর দিলাম তো সিরাত্রে!
সেই প্রেমিকা এবং তার সাথে আপনার রগরগে প্রেমের কাহানী নিয়া কিছু লেখেন
ভক্ত পাঠক হিসাবে আবদার করলাম।
আপনি এই বুড়া বয়সে রগ্রগে গল্প শুইনা কী করতেন? কসবী ছেড়ে তসবীর লাইনে আসেন বস। গোমরাহির পথ ছেড়ে সিরাতুল মুস্তাকিমে উঠে পড়েন, ২০০ মিটার সামনে লেফট লেন।
হৈ মিয়া বুড়া পাইলেন কই, ভিত্রে এখনও সতের বছরের নওজোয়ান। আর বুড়া হৈলেই যে শখাহ্লাদ সব মরে যায় সেইটাও আজাইরা কথা
লেফট লেইনে সিরাতুল মুস্তাকিম নাই, একবার ধরা খাইয়া শিখছি, ডাইন লেইনেও নাই
গপ্পো হুনাইবেন্না সেইটা কন!
আরেক্বার লেফ্টলেন লৈয়া দ্যাহেন্বস, সিরাত্রে তো পাইতারেন অন্তত!
আর @ হিমু,
মানুম্ভাই অতো বুড়া হয়নাই তো। এই মাঝবয়সেই নাকি ওইরকম কাহানি রগরগ-কি(!) বেশি চ্রমানন্দ দেয়! হুনায়া ফালান। আম্রা সত্যিকারের পরিণত তরুণরা [ ] কান্বন্ধ কৈরা রাহুম্নে (খালি চক্ষু থাক্বো খোলা)।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
- লম্বা, বয়ষ্ক লরির জন্য লেফট না ব্যাটা, রাইট লেন ব্যবহৃত হয়। তুই কি মামুন ভাইরে বামে নিয়া থামুন হক বানাইয়া দিবার চাস? দিক্কার তোরে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাঃ! চমৎকার বিশ্লেষণ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মিসির আলি যে দু চারটা পড়েছি, আমার বেশ বাজে লেগেছে৷ আন্দাজ করেছি যে আগে হয়ত ভাল লিখতেন, আমি সেগুলো পড়তে পাই নি৷ এই রিভিউটা পড়ে মনে হল মিসির আলির বিবর্তনের ইতিহাস ৷ ভাল লাগল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হাতের কাছে নেট না থাকলে শরীর কামড়াতে থাকে, মেজাজ খারাপ হয়, চা-কফি খাবার পরিমাণ বেড়ে যায়, একমাত্র নারীসংসর্গই এর নিরাময় করতে পারে।
বরাবর যে স্বাতন্ত্র্য মিসির আলির চরিত্রে ছিলো, সেটি ক্রমশ লোপ পেয়েছে, এখন মিসির আলির গল্পে মিসির আলিকে লম্বা, শুকনো, নিরাবেগ, তীক্ষ্ণধী মানুষ বলে কল্পনা করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে, মনে হয়েছে একজন প্রৌঢ় হুমায়ূন আহমেদকেই দেখছি মিসির আলির গেঞ্জি গায়ে। এই পরিবর্তনটি হজম করা কষ্টকর। ... ... ... বাস্তব পৃথিবীকে অতিক্রম করে লেখা গল্পের শিখণ্ডী চরিত্রগুলির এই স্বাতন্ত্র্য জরুরি বলে মনে হয় আমার কাছে। লেখকের ওতে হামাগুড়ি দিয়ে ঢোকার অধিকার আছে, প্রয়োজন নেই।
হক কথা!
সব মিলিয়ে, যথারীতি হৈছে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এনকিদুর একটা অভিজ্ঞতার কথা জানি আমি। কীভাবে হুমায়ূন আহমেদের অধিকাংশ সাম্প্রতিক বই লিখা হয়, তা স্বচক্ষে দেখেছিলো ও। সম্ভবত মিসির আলিও একই ফর্মুলায় পড়ে আত্মহত্যা করেছে।
শুধু হু আ- এর কথাই বা কেন বলি, বিগত কয়েক বছরের পশ্চিমবঙ্গের পূজা সংখ্যাগুলিতে সুনীল, শীর্ষেন্দু পাতার পর পাতায় যা উগড়ে দিয়েছেন, তাও একই ধরনের নিকৃষ্ট মাল। আমার তো স্পষ্ট খেয়াল আছে, বছর দুয়েক আগে সম্ভবত সুনীল কোন এক পূজা সংখ্যায় একটা উপন্যাস লিখলেন, "দুই নারী হাতে তরবারি"। আমি বাজি লেগে বলতে পারি এই উপন্যাস সুনীলের হাতে লিখা না, লিখলেও ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে "স্লিপ-রাইটিং" করেছেন। ওরকম উপন্যাস একবসায় আমাদের সচলের অনেকেই হয়তো লিখে ফেলতে পারবেন।
একই অভিযোগ কাজ করে শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতুড়ে সিরিজের ক্ষেত্রেও। পটাশগড়ের জঙ্গলে, মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি এসব পুরানো গল্পের কয়েক হাজার মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যেও সাম্প্রতিক বছরের লেখাগুলি আসে না। বুঝতে পারি, হয়তো শীর্ষেন্দু সম্পাদকের চাপেই যাচ্ছাতাই কিছু একটা লিখে দেন। তবু মনে হয় কালজয়ী এই সিরিজগুলিকে অযথা লিখে বাড়ানোর চেয়ে অনেক আগেই থামিয়ে দেওয়া ভালো ছিলো। একই কথা খাটে কাকাবাবুর ক্ষেত্রেও।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
প্রসঙ্গটা টেনে এনে ভালো করেছেন, আমার ধারনা বাংলাদেশে এখন যে ক'জন বেস্টসেলার লেখক আছেন তাঁদের অনেকেই এই কাজ করেন ... মাইকেল মধুসূদন তো মুখে বলতেন, লিখিয়েরা টুকে নিতো ... এনারা এতই মহান যে মুখেও বলেননা, বলিয়েরা বলে, টুকিয়েরা টুকে নেয়, তারপর উনারা দেখে দ্যান...
গতবছর দেশ থেকে আসার সময় দেশের সেরা চার বেস্টসেলার লেখকের ইদানিং বের হওয়া গোটা দশেক বই এনেছিলাম ... পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো ওগুলোর যে কোনটার চেয়ে আমাদের লীলেনদার লেখার স্টাইল বলুন ভাষার ব্যবহার আর সাহিত্যমান বলুন, যে কোনটাই অনেক অনেক উঁচুমানের
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ঠিক সময়ে না মরলে লেখক, শিল্পীদের এই অবস্থা হয়
সম্পূর্ণরূপে সহমত...
সহমত।
একটা সময় মনে হত লেখক হুমায়ূন আহমেদ মারা গেছেন, যিনি বেঁচে আছেন তার কাছে আর কিছু আশা করে লাভ নাই। কিন্তু সেই লোকই তো আবার "মধ্যাহ্ন" লিখলেন, "কে কথা কয়" লিখলেন। চাইলেই যদি পারেন তাহলে গাদাগাদা ছাইপাশ লেখার দরকার কী?
হিমু আমার মনে হয়, ওঁনার এখনকার বইগুলান 'শাওন ভাবী' লিখে দেন। কেন মনে হইল জিজ্ঞেস করবেন না, মনে হইল তাই বললাম
একমত, একই কথা আমি "অ প্র" এর পোস্টে বলেছি। আর যেভাবে বাংলিশ মারতেসে, কম বয়স্ক কারো ছাপ প্রবল লাগে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হিমু, আমাকে যখন প্রথম ইশতি তোমার লেখার লিংক দেয়, আমি পড়েই ভাবছিলাম আমি কই যেনো এই রীতিটা দেখেছি। চিন্তা করতেই মনে পড়ে গেলো আরে সৈয়দ মুজতবা আলী। তোমাদের লেখার ধরনটি হলো ---শব্দের প্রতি প্রবল প্রেম আর বাক্যগঠনের মাধুর্য। ঠিক তাড়াতাড়ি পানির মতো গেলা যায়না, ককটেলের মতো আস্তে আস্তে খেতে হয়।
আর লেখাটায় আমাদের মনের কথাই কইলে।
লুৎফুল আরেফীন, চশমাওয়ালী, জ্বিনের বাদশা কথার সাথে যুক্ত করতে চাই, আমার দৃঢ় বিশ্বাস 'কুটুমিয়া' নামক কোনো কোনো বই ওনার বাবুর্চি লিখে দেন (হিমু এই কথায় তুমি ঐদিন মজা পেয়েছো, পরে মনে পড়েছে)।
দৃশ্যটা হয় এমন, প্রকাশক টাকা নিয়ে এসেছে নুহাশপল্লীতে, হুমায়ুন আহমেদ ঐটাকায় বড়ো একটা গরু রাতে খাবার জন্য কিনে ফেললেন । রাতে ভাত খাবার পর শাওন বলছে, এইযে টাকাটা তো খাইলা এখন কিছু লিখতে তো হবে। আমি এবার পারবো না কিন্তু, আমার ইয়োগা ক্লাস আছে। তখন বাবুর্চি পিছে থেকে বলে, 'আমার অনেক দিনের খায়েশ একটা বই লেখবাম।' হুমায়ুন আহমেদ দাঁত খুচিয়ে বলেন, 'যা ব্যাটা এইবারেরটা তুই লিখবি।' বাবুর্চির চোখ কৃতজ্ঞতায় ভিজে উঠে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ঐ বইতে বাবুর্চিই নায়ক নাকি?
হুঁ
আপনার কথা গুলো ভালো লাগলো। খাটি কথা।
ধন্যবাদ। লেখাটা কী কোনো ভাবে হুমায়ুন আহমেদকে পড়ানো যায়?
দলছুট।
- একটা মিসির আলি লেখার আমার খুব শখ। লিখবোও মনে হয় একটা মরনের আগে, যা আছে কপালে। সেখানে দরকার হলে মিসির আলিকে লালবাতি এলাকায়ও ঘুরিয়ে আনা হবে। বনের বিখ্যাত প্রোপস্টহফ নর্ড এলাকায় কোনো এক সপ্তাহান্তের রাতে জনৈক নাইট কুইনের সাথে 'রেট' নিয়ে বচসা করতে দেখা যাবে। হাতে এক পাত্তর রাম সহ রামনাম জপ করতে দেখা যাবে। কিংবা তুর্কী জোয়ান ইবনে মোবারকের সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজের পর কোলাকুলি করতে দেখা যাবে। মোদ্দা কথা নিজের মতো করে সাজাবো আমার মিসির আলিকে। আর বোনাস হিসেবে তেলেসমাতি টাইপের রহস্য তো থাকবেই!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গতবছর মিসির আলিকে নিয়ে আমি একটা লেখা শুরু করেছিলাম। গল্পের আরেক চরিত্র ছিলো হিমু। ফাঁকতালে ধু.গো নামের একটা চরিত্রকেও ঢুকাই দিছিলাম। আফসোস!!!!!! আধা পৃষ্ঠার বেশি আর লেখা হয় নাই।
- খাড়ান, আমার মিসির আলিতে একটা ধোলাইখাল ইউনিয়ন পরিষদ রাখুম, সেইটার ৯ নং ওয়ার্ডে একটা মেম্বর থাকবো। বড়ই আধুনিক। সে লুঙ্গির নিচে আবার ইশটিলের জাইঙ্গা পরে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অসম্ভব প্রতিভাবানরা যখন নিজের মেধা নষ্ট করেন অথবা ভালো প্যাকেটে রদ্দি মাল গছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তখন তার উপরে ক্ষিপ্ত হওয়া স্বাভাবিক। হুমায়ূন আহমেদের বর্তমানের বেশির ভাগ লেখাতেই এই বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। মেহদী যেমন বলেছেন,
অর্থাৎ লেখক মরে যান নি, মরেছে তার কমিটমেন্ট। মিসির আলী অত্যন্ত প্রিয় একটি চরিত্র। কিন্তু বর্তমানে এই চরিত্র এবং তাকে ঘিরে থাকা গল্পের এই হাল হলে
লেখকের উচিৎ অবসরে যাওয়া... অথবা অন্তত চরিত্রটিকে অবসরে পাঠানো।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
মিসির আলির বাকি পিডিএফগুলো কোথ্থেকে নামিয়েছেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
লিঙ্ক নাই এখন। লাগ্লে মেইলে টোকা দিয়েন, পাঠায় দিবোনি।
একটা কথা জিজ্ঞেস করি, মাসুদ রানা কি এখনও কাজী সাহেব লেখেন?
কাজী সাহেব মাসুদ রানার প্রথম কয়েকটা পর্ব লিখেছেন কেবল। বাকিগুলি অন্য লেখকদের লেখা, কাজী সাহেব কেবল সম্পাদনা করেছেন।
ভালো বিশ্লেষণ...
হু.আ. এর প্রতিভা নিয়ে কারোই কিছু বলার নাই; কিন্তু তাঁর কাছে আমাদের দাবি থেকে আমাদের বলার অনেক কিছু আছে...। এনকিদু ভাই এক আড্ডায় হুমায়ুনীয় সাম্প্রতিক বইগুলো কোন প্রসেসে লেখা- তার একটা বর্ণনা দিয়েছিলেন; ঐটা মনে ধরসে আমার...।
অফটপিকঃ হিমু ভাইরে যখন বাচ্চা কালে দেক্সিলাম- তখন উনারে দেইখ্যা আমার কিন্তু হুমায়ুনীয় হিমুর কথা মনে হয় নাই- বৈরাম খানের প্রানের শত্রু হিমুর কথা মনে হইসিলো। ক্যান, জানি না- হুদাই মনে হয়...
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
এখন আমারে দেক্লে চম্বলদস্যু বীরাপ্পানের কথা মনে হবে।
সহমত..........খিকয্
একমত
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দারুণ লেখা। এতো সুন্দর করে গুছিয়ে সব বলে দিলেন...
আমি পুরনো কিছু মিসির আলির বইয়ে চোখ বুলিয়েছিলাম ওই রিভিউটা লেখার পরেই, তখন পার্থক্যটা বেশি করে চোখে পড়ল...
তবে প্রত্যাশা একদমই না থাকায়, সাম্প্রতিক লেখাগুলোর মধ্যে তুলনামূলক মন্দের ভালো হওয়ায়, এবং অবশ্যই বিষয়বস্তুর কারণে, বইটা (মিসির আলি UNSOLVED) বেশ ভালো লেগে গিয়েছিল...
আপ্নে না কইলেন আমি আর আপ্নে জয়েন ভেঞ্চারে হু আর গাজাখুরী গল্প লেখুম ??
---------------------
আমার ফ্লিকার
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
<উদভ্রান্ত পথিক>
ঈমানদারের এক জবান। আমি বলসি যেহেতু, আমি রাজি অবশ্যই। তুমিই তো মিয়া আর যোগাযোগ করলা না। এদিকে আমি একটা 'হুমায়ূনীয় গল্প'-এর প্লট পায়া গেছি। দাঁড়াও, নামায়া ফেলতেসি...
একসময় আমার খুব ঝোঁক চাপসিল বড় হয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত লেখব
উনার বই একসময় খুব প্রিয় ছিলো। সেই বইগুলো এখনো আসলে প্রিয়ই আছে। কিন্তু গত বেশ কবছরে তার কোনো বই-ই পড়ি নাই।
এখন একটা পড়ছি, লীলাবতী...
তাকে নিয়ে আসলেই কিছু বলার নাই। আপনার বিশ্লেষণ ভালো হইছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে ভালো কথা গুলো সবার কন্ঠে একই রকম শোনায়। কিন্তু সমালোচনাগুলো ( নিন্দা অর্থে ) বিভিন্ন জনের কন্ঠে বিভিন্ন রকম শোনায়। নানা মাত্রা পায়। বেশ ভালোই লাগে।
মহসীন রেজা
যার উপর ক্ষোভ নিয়ে এই পোস্টখানা করলেন, তাতে কী তার কিছুই যায় আসে?
হু আ এই লেখা পরবেওনা, আমাদের মেসেজ তার কাছ পর্যন্ত পৌছুবেও না। বরং অন্যপ্রকাশের স্টলের সামনে তার মলাটবন্দি আবর্জনা সংগ্রহে আমাদেরই বাবু-বিবিরা কনুইযুদ্ধে নাম্বেন। আর প্রকাশকরা গুচ্ছগুচ্ছটাকা তার নৈবদ্যে পেশ করে আসবে। আর আফসোসের সাথে আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলবো- মেলা থেকে বের হওয়া কোন তরুণ বা তরুণীর হাতে একটিও কবিতার বই না দেখে...
মনজুর এলাহী
আপনি আফসোসের নিঃশ্বাস যে ফেলেন, তরুণ বা তরুণীদের তাতে কি কিছু যায় আসে ?
আপনি যে কারণে নিঃশ্বাস ফেলেন, আমি সে কারণেই লিখি। মা ফলেষু কদাচন।
নতুন মন্তব্য করুন