মরা মানুষের সিন্দুক

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/১০/২০০৯ - ৯:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
পিক-আপের ভেতরে কবরের নিস্তব্ধতা। এমনকি চোখ আর হাত বাঁধা খালেকও কোনো শব্দ করছে না।

রুহুল আমিন আর সদরুলের মাঝে বসে আছে লোকটা। রুহুল আর সদরুল দু'জনেই পোড় খাওয়া লোক, তাদের প্রশিক্ষিত, শক্তিশালী পেশীর পাহারায় ন্যাতানো মুড়ির মতো পড়ে আছে কসাই খালেক।

ইয়াকুব রাস্তার পলাতক ল্যাম্পপোস্টের আলোয় দেখতে চেষ্টা করে খালেককে। এমন নয়, যে সে খালেককে আগে দেখেনি। ফাইলে কসাই খালেকের কয়েকটা ঝাপসা ছবি গত কুড়িদিন ধরেই মনোযোগ দিয়ে দেখেছে ইয়াকুব। গত পরশু যখন শহরতলির এক বাড়ির নড়বড়ে দরজার কবাট বুটের লাথিতে ভেঙে ভেতরে ঢুকে সাবলেট নিয়ে বসবাসরত খালেককে পাকড়াও করা হয়, ষাট পাওয়ারের বাল্বের আলোতে তার ভীত, উন্মত্ত, উত্তেজনায় বিকৃত চেহারা ইয়াকুব খুব কাছ থেকে দেখেছে। খালেকের এই সৌম্য, শান্ত রূপটাই কেবল দেখা হয়নি তার।

কোন অস্ত্র ছিলো না খালেকের সাথে। আগুয়ান বুটের শব্দ শুনে ঘর থেকে ভীরু খরগোশের মতো ছুটে বেরিয়ে চারতালার বারান্দা থেকে লাফ দিতে চেয়েছিলো সে। পারেনি। যে সদরুলের পাশে সে বসে আছে এখন, সেই সদরুল তার ঘাড়ে এক ভয়ঙ্কর চপ মেরে মাটিতে শুইয়ে দিয়েছে তৎক্ষণাৎ। তারপর টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে এনে মাইক্রোবাসে তুলেছে।

ইয়াকুব চোখ বোঁজে। ভাড়াটিয়া পরিবারটা এক কোণে দাঁড়িয়ে কাঁপছিলো প্রচণ্ড ত্রাসে। বাচ্চা মেয়েটা টুলটুলে ঘুম ঘুম চোখে দেখছিলো তাদের। খালেকের লোকজন কি পরে কোনো ক্ষতি করবে ঐ ছোট্ট পরিবারের? খালেকের লোকজন যদি তাদের ছেড়েও দেয়, পুলিশের জেরায় জেরায় কাহিল হয়েই তাদের ভবিষ্যতের একটা অনিশ্চিত দৈর্ঘ্যের টুকরো কেটে যাবে। কেন তারা কুখ্যাত আব্দুল খালেক ওরফে কসাই খালেক ওরফে মিজান ওরফে পারভেজকে বাড়িতে সাবলেট দিয়েছিলো? কেন? তারা কি জানে না, এটা কত বড় অপরাধ? ঐ ঘুম ঘুম চোখের ছোট্ট মেয়েটা কি জানে, সে কত বড় পাপী? না বোধহয়। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র কি ক্ষমা করবে তার এই অজ্ঞতাকে?

খালেক হেফাজতে ছিলো গতকাল। তার নিয়তি নির্ধারিত হয়ে আছে অবশ্য অনেক আগে থেকেই।

ইয়াকুব অখণ্ড মনোযোগ দিয়ে খালেককে দেখেছে গতকাল। ফাঁদে পড়া ইঁদুরের মতো লাগছিলো ব্যাটাকে দেখতে। কসাই খালেক নিজ হাতে কমপক্ষে কুড়িটা খুন করেছে। তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা মোট কত করেছে, সঠিক হিসাব নেই। সেই দুর্ধর্ষ খুনী খালেক একটা কেন্নোর মতো গুটিয়ে বসে ছিলো সেলের এক কোণায়, ছাদের দিকে চোখ মেলে।

হেফাজতে নাস্তাপানি মন্দ দেয়া হয় না। গরম আটার রুটি, সব্জির ঘ্যাঁট, ডিমের অমলেট। এক মগ চা। মুখে দেয়নি খালেক কিছুই। নেড়েচেড়ে রেখে দিয়েছে আবার। দুপুরটা উপোস করিয়ে রেখে সন্ধ্যেবেলা মুরগির ঝোল দিয়ে গরম মোটা চালের ভাত দেয়া হয়েছিলো। খালেক খায়নি।

ইয়াকুব আজ সন্ধ্যাবেলাতেও জিজ্ঞেস করেছে তাকে, খালেক, খাইবেন কিছু ভালোমন্দ? বিরিয়ানি? ইলিশ মাছ দিয়া ভাত? খাসির গোস্ত? খাইতে চাইলে বলেন।

খালেক কেঁপে উঠেছে একবার, কিন্তু চোখ নামিয়ে নিরুত্তর বসেছিলো চুপচাপ।

ইয়াকুব একটা সিগারেট ধরায়। পিক-আপ শহর ছাড়িয়ে এসেছে। মফস্বলের অন্ধকার ঘিরে ধরেছে পিক-আপকে, পেছনের পিক-আপের নির্লজ্জ হেডলাইট দু'টি জ্বলছে বেশ্যার স্তনের মতো, অন্ধকার কাঁপতে কাঁপতে সরে যাচ্ছে রাস্তার ওপর থেকে।

দূরাগত হেডলাইটের আলো আর সিগারেটের মন্থর আভায় ইয়াকুব খালেককে দেখার চেষ্টা করে। চোখ বাঁধা অবস্থায় কারো চেহারা দেখার মানে হয় না, যেমনটা মানে হয় না সানগ্লাস পরা অবস্থায় দেখলে। চোখ মানুষের আত্মার মিটার, সেটার কাঁটা নড়ে উঠে জানিয়ে দেয় ভেতরে কী চলছে। চোখ বাঁধা খালেক একটা অন্ধকার দাঁড়িপাল্লার মতো, তার কোন পাল্লা কোনদিকে হেলে আছে, বোঝার কী উপায়!

ইয়াকুবের পাশে বসা হামজা কেশে গলা পরিষ্কার করে একবার। ইয়াকুব ঘাড় ফিরিয়ে হামজাকে দেখার চেষ্টা করে।

হামজা ট্রুপের জল্লাদ। গুলি সে-ই করবে। শক্ত সমর্থ, ছোটোখাটো, অমায়িক চেহারার হামজাকে দেখে বোঝার উপায় নেই, নির্বিকার মুখে গুলি করে সে হাত বাঁধা, চোখ বাঁধা মানুষকে মেরে একটু তফাতে গিয়ে অফিসারের চোখের আড়ালে একটা সিগারেট ধরাতে পারে।

খালেকের কণ্ঠস্বর থেকে গোঙানির মতো একটা শব্দ বেরিয়ে আসে।

"কিছু বললেন, খালেক?" ইয়াকুব কর্কশ গলায় প্রশ্ন করে।

খালেক মাথা নাড়ে।

পিক-আপ দুটো চলতে থাকে অন্ধকার চিরে।

২.
লোকেশনটা ইয়াকুবই খুঁজে বের করেছে। পুরনো একটা পোড়ো, ভাঙা দালান আছে মাঠের এক প্রান্তে, অন্যদিক ঘন গাছের সারি, দূরে একটা প্রাইমারি স্কুল। পিক আপ দু'টোর মসৃণ গতি হঠাৎ টালমাটাল হয় রাস্তা ছেড়ে মাটির ওপরে নেমে আসায়।

পিক আপ থামতেই খালেক ফুঁপিয়ে ওঠে, "স্যার, খালি জানে মারবেন না। যা চান দিবো স্যার। আমার ধানী জমি আছে অন্যের নামে। বাসায় গিয়ে টাকা দিয়ে আসবে আমার লোক। খালি জানে মারবেন না স্যার ...।"

ইয়াকুব সিগারেটে টান দেয় চুপচাপ, সদরুল আর রুহুল আমিন তার বাঘের মতো চোখ দেখতে পায় সিগারেটের আভায়।

"তুই ধানী জমি কিনলি ক্যামনে রে মাদারচোদ?" ইয়াকুব গুলির মতো প্রশ্ন করে। "আট বছর আগে তুই ছিলি গ্যারেজ মেকানিক খসরুর চামচা। ধানী জমি কিনার পয়সা পাইলি কই? বাপের গোয়া দিয়া পয়সা বাইর হয়?"

খালেক ফোঁপাতে থাকে।

সদরুলকে ইশারা করে ইয়াকুব, প্রচণ্ড এক চড় মারে সদরুল।

"কথা বল। পয়সা বাপের গোয়া দিয়া বাইর হয়?"

খালেক আবারও বলে, "স্যার, খালি জানে মারবেন না। যত টাকা লাগে ... ।"

ইয়াকুবের ভুরু আবারও ইঙ্গিত দেয়, সদরুল আবারও চড় কষায়। খালেক এবার হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে।

"নামাও এইটারে।" ইয়াকুবের চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে। খালেকের সাধ্য নাই টাকা দিয়ে রফা করার। তার ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গেছে কয়েকদিন আগেই।

দুই পিক আপ থেকে একে একে নামে হাতাকাটা জ্যাকেট পরা লোকজন। জ্যাকেটের পেছনে তাদের বাহিনীর নাম লেখা। প্রত্যেকের হাতেই অস্ত্র। ইয়াকুব শুধু স্মল আর্মস নিয়ে এসেছে সাথে।

খালেককে টেনে হিঁচড়ে নামায় রুহুল আমিন। এই খালেককে দেখে বিশ্বাস করার উপায় নেই, এই লোক এই অঞ্চলের দুর্ধর্ষতম খুনীদের একজন। ফোঁপাচ্ছে, বিড়বিড় করছে, থরথর করে কাঁপছে তার শরীর, খালেক এখন একজন মানুষ।

ইয়াকুব এই পর্যায়ে এসে কোনো খুনীকে দেখেনি। প্রত্যেকেই তখন মানুষ হয়ে যায়, চিৎকার করে, কাঁদে, অনুনয় করে, টাকার প্রলোভন দেখায়, আল্লাহর নামে জিকির করে, আসন্ন মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে নিজের কাপড় নষ্ট করে।

দুয়েকজন আদালতে বিচার চায়।

খালেকও দেখা গেলো সেই পদেরই লোক। "স্যার, জানে মারবেন না স্যার। আমাকে কোর্টে তুলেন। ফাঁসি দেন। জানে মারবেন না স্যার।"

"ফাঁসি দিলে জানে মরবি না?" ইয়াকুব হালকা গলায় প্রশ্ন করে।

খালেক জিভ বার করে ঠোঁট ভিজিয়ে নেয় একবার। "স্যার, যত টাকা লাগে ...।"

ইয়াকুব খসখসে গলায় বলে, "হামজা, তৈরি হও।"

খালেক কুকুরের মতো গোঙাতে থাকে। "স্যার, আদালতে তুলেন আমারে। জানে মারবেন না স্যার। আল্লাহ আপনাদের হায়াত দিবে স্যার। জানে মারবেন না স্যার। আপনি মা-বাপ স্যার ...।"

খালেক যাদের খুন করেছে, তারাও নিশ্চয়ই এমন কাতর অনুনয় করেছিলো জবাই হওয়ার আগে, গুলি খাওয়ার আগে। খালেক সেদিন ঈশ্বরের মতোই বধির ছিলো।

ইয়াকুব দীর্ঘশ্বাস গোপন করে ইঙ্গিত দেয়, সদরুল প্রচণ্ড এক লাথি মেরে খালেককে মাটিতে ফেলে দেয়। পিছমোড়া করে বাঁধা হাত নিয়ে খালেক গড়িয়ে পড়ে শিশির ভেজা মাঠে। হামজা এগিয়ে যায়, তার হাতে টি-৫৬ থেমে থেমে সংক্ষিপ্ত গর্জন করে কয়েকবার।

বাকিদের মধ্যে কয়েকজন আশেপাশের অন্ধকারে কয়েক রাউণ্ড গুলি ছোঁড়ে। ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে নিশ্চয়ই।

একটা কাটা রাইফেল, দুইটা দেশি পিস্তল আর কয়েক রাউণ্ড গুলি পাওয়া যাবে অদূরেই। ক্যামেরা আছে ইয়াকুবের ব্যাগে, সবকিছুর ছবি তুলে রাখতে হবে।

সদরুল এগিয়ে গিয়ে খালেকের মৃতদেহে বুট দিয়ে খোঁচা দেয়। তারপর হাত আর চোখ বাঁধা গামছা দুটো খুলে আনে। ইয়াকুব এগিয়ে গিয়ে টর্চ মেরে দেখে খালেকের মৃত মুখটা। এক কাতর অভিব্যক্তি সেখানে, চোখ দু'টো সামান্য খোলা। শার্টের সামনের দিকটা রক্তে ভিজে গাঢ় হয়ে আছে।

ইয়াকুব চারপাশে তাকায়। দলের পনেরোজন খালেকের মৃতদেহ গোল হয়ে ঘিরে দেখে। তাদের হাতের সাব মেশিনগানগুলো নীরব প্রভুভক্ত কুকুরের মতো তাকিয়ে আছে খালেকের দিকে।

ইয়াকুবের মনে হয়, খালেকের বুক যেন একটা সিন্দুকের ডালা হয়ে খুলে যাচ্ছে, খুলে যাচ্ছে প্যাণ্ডোরার বাক্সের মতো, ভেতর থেকে আশ্চর্য সঙ্গীতের মতো পাক খেয়ে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে দেবত্বের অনুভূতি। ঈশ্বরের পৃথিবীতে আরো পনেরোজন ঈশ্বর যেন অভিষিক্ত হলো আবার, বহুতম বারের মতো, যেখানে তারাই সংহারের শিল্পী, যেখানে তাদের অস্ত্রের নিচে কসাই খালেক মানুষ খালেক আর মানুষ খালেক মরা মানুষ খালেকে পরিণত হবে রাতের পর রাতে। ভোরের পর ভোরে মাঠগুলোতে জমা হবে আরো আরো মানুষের দল, তারা ভীত চোখে দেখবে কয়েকজন সশস্ত্র ঈশ্বর আর একটি মানুষের মৃতদেহকে, শিখবে, পৃথিবীতে অনেক ঈশ্বর, আর মানুষের আদালত ঈশ্বরের আদালতের মতোই দূর, স্পর্শের বাইরে। ঈশ্বরের আকাশের নিচে এই মাঠগুলো শুধু মঞ্চ, সেখানে আর কোনো যুক্তি নেই, প্রশ্ন নেই, সাক্ষ্য নেই।

ইয়াকুব টর্চ নিভিয়ে দিলো। শেষ মুহূর্তগুলোতে কোনো খুনীকেই নিধন করা হয়ে ওঠে না, তখন এসে মানুষ হয়ে যায় সকলে, যাদের জন্যে মৃত্যু ছাড়া আর কেউ ওঁত পেতে বসে থাকে না।

ইয়াকুব ঘড়ি দেখে। ভোর হবে একটু পরেই। একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারি গলায় সে বলে, "ইয়ো হো হো অ্যাণ্ড আ বটল অফ রাম!"


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমু লিখেছেন:

১.
ভোর হবে একটু পরেই। একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারি গলায় সে বলে, "ইয়ো হো হো অ্যাণ্ড আ বটল অফ রাম!"


গড় রেটিং
( ভোট)

রেফারেন্সটা কি পনের জন মানুষ বলেই? খুব ভালো লেগেছে লেখাটা।

হিমু লিখেছেন:

১.
ঈশ্বরের পৃথিবীতে আরো পনেরোজন ঈশ্বর যেন অভিষিক্ত হলো আবার, বহুতম বারের মতো, যেখানে তারাই সংহারের শিল্পী, যেখানে তাদের অস্ত্রের নিচে কসাই খালেক মানুষ খালেক আর মানুষ খালেক মরা মানুষ খালেকে পরিণত হবে রাতের পর রাতে।


গড় রেটিং
( ভোট)

অসাধারণ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এটা হিমুর মতই লেখা হয়েছে। কেমনে যে লেখেন হিমু!

অতিথি লেখক এর ছবি

"একটা কাটা রাইফেল, দুইটা দেশি পিস্তল আর কয়েক রাউণ্ড গুলি পাওয়া যাবে অদূরেই।"------------
'শেষ মুহূর্তগুলোতে প্রত্যেক খুনীই মানুষ হয়ে যায়। যাদের জন্যে মৃত্যু ছাড়া আর কেউ ওঁত পেতে বসে থাকে না।'-------- চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছেন, বেশ ভাল লাগল।
এস হোসাইন

----------------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"

মামুন হক এর ছবি

গল্পটা নির্বাক করে দিল।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন...

-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

চশমাওয়ালি [অতিথি] এর ছবি

অসাধারণ হিমু ভাই!

সাফি এর ছবি

as usual ..

নির্জন স্বাক্ষর এর ছবি

কি বলব বুঝতে পারছিনা।
আপনি অসাধারন লেখেন হিমু ভাই।

----------------------------------------------------------------------------

ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক

নৈষাদ এর ছবি

চমৎকার

নিবিড় এর ছবি

চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সচেতন নাগরিক এর ছবি

ফাটাফাটি লাগলো!!

হাতুড়ে_ডাক্তার [অতিথি] এর ছবি

সেদিন খবরটা পড়ার পর থেকে নিজেকে খুব অপরাধী লাগছে, একসময় আমিও তো গলা মিলিয়ে বলেছি "উচিত সাজা হয়েছে" মন খারাপ

মূলত পাঠক এর ছবি

গল্প ভালো লাগলো।

একেবারে শুরুতে "রহুল আমিন আর সদরুলের মাঝে বসে আছে লোকটা।" এই বাক্যটা বাড়তি, বাদ দিলেও ফারাক হয় না, এমনকি কন্টিনিউয়েশনেও।

ইয়াকুবের প্যান্ডোরার বাক্সের কথা ভাবার অংশটা সামান্য প্রক্ষিপ্ত মনে হলো, যেন ইয়াকুবের মানসিকতার সাথে পুরোপুরি যায় না। তবে কোনো বিকল্পের কথা ভেবে পেলাম না, এও সত্যি।

রেশনুভা এর ছবি

চমৎকার।

রহুল আমিন আর সদরুলের মাঝে বসে আছে লোকটা।

রহুল কে রুহুল বানায় দেন বস।

জি.এম.তানিম এর ছবি

"Drink and the devil had done for the rest--
...Yo-ho-ho, and a bottle of rum!"

কেমন নির্দয়ভাবে লিখেন... কিচ্ছু বলার নেই... মন খারাপ
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

বইখাতা এর ছবি

বুঝলাম।
কিছু কিছু বাক্য অসাধারণ লেগেছে।

ভুতুম এর ছবি

এই গল্পে কি এই গুল্লি কমেন্ট দেয়া যাবে? গেলে দিলাম কিছু: গুল্লি গুল্লি গুল্লি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

নীড়পাতায় নয়া পোস্ট, হিমু হিমু গন্ধ! দেঁতো হাসি

----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।

- ললিতবিস্তর

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অম্লান অভি এর ছবি

মৃত খালেকের পরিচয় সঠিক ছিল তো! হায় বাপ্পি.....

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

ছায়ামূর্তি এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

শেষ মুহূর্তগুলোতে কোনো খুনীকেই নিধন করা হয়ে ওঠে না, তখন এসে মানুষ হয়ে যায় সকলে

চরম হইসে

স্পার্টাকাস

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভালো লাগলো!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

দ্রোহী এর ছবি

ইশ! হিমুর মতো করে যদি লিখতে পারতাম!

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ভালো লাগলো। তবে পাঠকদা'র সাথে একমত। প্যাণ্ডোরার বাক্সের প্যারার কিছু কথা আরোপিত মনে হয়েছে। আমার কাছে মনে হলো শেষের ইয়ো-হো-হো টাও। চিন্তিত পুরোপুরি হিমুয়িত হয়েছে কি?

গল্পটা কি ক্রমিক খুনি রসু খাঁ ধরা পড়ার পরে লেখা?

হিমু এর ছবি

আসলে DEAD MAN'S CHEST কথাটা নিয়ে একটু খেলতে ইচ্ছা করলো। চেস্ট মানে বুক আর সিন্দুক দুইটাই হয়। প্যাণ্ডোরার প্রসঙ্গটা ঐ সূত্রেই আসা।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

বর্ষা এর ছবি

ভালু লেগেছে হিমু।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

আহির ভৈরব এর ছবি

ভালো লাগলো।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

রানা মেহের এর ছবি

এই গল্পটা খুব একটা ভালো লাগেনি হিমু

শুরুটাই একটা চর্চিত শব্দ দিয়ে। 'কবরের মতো নিস্তব্ধতা'

খালেকের এই সৌম্য, শান্ত রূপটাই কেবল দেখা হয়নি তার।

পরশু দিন ধরা পরার পর তাকে নিশ্চয়ই জামাই আদরে রাখা হয়নি। তারপর তার চেহারা শান্ত থাকতে পারে কিন্তু সৌম্য লাগাটা একটু কেমন না?

ইয়াকুব আজ সন্ধ্যাবেলাতেও জিজ্ঞেস করেছে তাকে, খালেক, খাইবেন কিছু ভালোমন্দ? বিরিয়ানি? ইলিশ মাছ দিয়া ভাত? খাসির গোস্ত? খাইতে চাইলে বলেন।

এটা ইয়াকুবের প্রথম সংলাপ।

দ্বিতীয় সংলাপেই

"কিছু বললেন, খালেক?" ইয়াকুব কর্কশ গলায় প্রশ্ন করে

কেমন অন্যরকম শোনায় না? বোধহয় "কিছু কইবেন"? স্বাভাবিক হতো।

প্যান্ডোরার বাক্স ব্যাপারটা পুরো গল্পের সাথে একদমই যায়নি। পুরোপুরি চাপিয়ে দেয়া। দেশীয় কোন ধর্মীয় আবহ বা প্রচলিত লৌকিকতা দিলে বিশ্বাসযোগ্য হতো।

হিমু
আপনার গল্পের যে জিনিসটা ভালো লাগে অনেক বেশী তা হলো নতুন ঝকঝকে কিছু তুলনা কিছু নতুন বর্ণনা পড়া।
এ গল্পে সেটা একবারে অনুপস্থিত।
'কেন্নোর মতো গুটিয়ে থাকা' 'শিশির ভেজা মাঠ' 'ফাঁদে পড়া ইঁদুর'
এ গল্পকে মন্থর করেছে শুধু।

ভালো থাকবেন।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

হিমু এর ছবি

পাঠকের প্রতিক্রিয়ার আসলে প্রত্যুত্তর হয় না। তারপরও নোট অব ডিসেন্ট দিচ্ছি ঐ প্রচলিত ধর্মবিশ্বাস বা দেশীয় ধর্মীয় আবহের ব্যাপারে। যতদূর বুঝি, ইয়াকুবরা সবাই গোমূর্খ হয় না। প্যাণ্ডোরার বাক্স এমন কিছু আহামরি রূপকল্প নয় যে ইয়াকুব বা ইয়াকুবদের গোচরের বাইরে রয়ে যাবে। এটা যদি চাপিয়ে দেয়া কিছু হয়, তাহলে মাদারচোদ গালিটাও চাপিয়ে দেয়া বলে দাবি করা যেতে পারে, কারণ ওটাও দেশী গালি নয়।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

রানা মেহের এর ছবি

হিমু কি ক্ষেপলেন?

ইয়াকুবরা যথেষ্ঠ শিক্ষিতই হয়।
প্যান্ডোরাও এমন কোন অধরা নন।
তবে উনার মাঝে একধরনের রোমান্টিসিজম আছে।
যা ঝট করে এ গল্পে বা এরকম পরিস্থিতিতে ইয়াকুবের রাডারে আসার কথা না
যেমন আসে মাদা... গালিটা।

আপনার গল্প ভালো হয় বলে প্রত্যাশা বেশী থাকে।
তাই বলা এইসব।
আপনি সহজভাবে নিতে না পারায় আশ্চর্য এবং দুঃখীত।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

হিমু এর ছবি

আপনি প্রথমে প্রশ্ন করলেন আমি ক্ষেপলাম কি না। তারপরে শেষ করলেন আমি সহজভাবে নিতে পারলাম না, এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে। আপনার কেন মনে হলো আমি সহজভাবে নিতে পারিনি?

প্যান্ডোরাও এমন কোন অধরা নন।
তবে উনার মাঝে একধরনের রোমান্টিসিজম আছে।
যা ঝট করে এ গল্পে বা এরকম পরিস্থিতিতে ইয়াকুবের রাডারে আসার কথা না

কেন আসার কথা নয়, সেটা স্পষ্ট হলো না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

রানা মেহের এর ছবি

পাঠকের প্রতিক্রিয়ার আসলে প্রত্যুত্তর হয় না। তারপরও নোট অব ডিসেন্ট দিচ্ছি ঐ প্রচলিত ধর্মবিশ্বাস বা দেশীয় ধর্মীয় আবহের ব্যাপারে। যতদূর বুঝি, ইয়াকুবরা সবাই গোমূর্খ হয় না। প্যাণ্ডোরার বাক্স এমন কিছু আহামরি রূপকল্প নয় যে ইয়াকুব বা ইয়াকুবদের গোচরের বাইরে রয়ে যাবে। এটা যদি চাপিয়ে দেয়া কিছু হয়, তাহলে মাদারচোদ গালিটাও চাপিয়ে দেয়া বলে দাবি করা যেতে পারে, কারণ ওটাও দেশী গালি নয়।

আপনার এই মন্তব্য পড়ে হাসি

ক্ষেপেননি বুঝি?
তাহলেতো ভালো। আরো আরো পন্ডিতি করা যাবে ভবিষ্যতে চোখ টিপি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

হিমু এর ছবি

আপনার উদ্ধৃত মন্তব্যের কোথাও তো ক্ষেপে যাওয়ার চিহ্ন পেলাম না। তবে উত্তর আশা করেননি, এটা বুঝতে পেরেছি। আপনার ভবিষ্যৎ পণ্ডিতির প্রত্যাশায় থাকবো, তবে নিরুত্তর থাকতে ভুলবো না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

রানা মেহের এর ছবি

প্রিয় হিমু
আপনি একটা গ্রীক (গ্রীকইতো নাকি?) উপকথার ব্যাবহারের সাথে বহুল প্রচলিত
একটা গালি ব্যাবহারের তুলনা দিলেন।
ব্যাপারটা একটু বাংলা বলতে হলে চেয়ারকে কেন কেদারা বলিনা ধরনের হয়ে গেলনা?
তাই সহজভাবে না নেয়ার প্রশ্ন।

এখন আমি কি আপনাকে জিগ্গেস করবো
কী করে বুঝতে পারলেন, আমি উ্ত্তর আশা করিনি?
বরং উত্তরের অপেক্ষাই করছিলাম।
বাজে সমালোচক হতে পারি।
খোলাপাতায় মন্তব্যের উত্তর আশা না করার মতো ভীরু তো নই হাসি
ভবিষ্যতে আপনার নিরুত্তর থাকার কথাটা একটু আক্রমনাত্মক হয়ে গেলনা?

হিমু
আবারো বলছি। এতো কথা বলা আপনার কাছে প্রত্যাশা বেশী বলে।
আপনি একটা গল্প লিখেছেন জানলে লাফিয়ে লাফিয়ে পড়তে আসি।
নিজে লিখতে পারিনা বলে চাওয়াটা আরো বেড়ে যায়।

তারপরো যদি বোঝাতে না পারি
আপনাকে গল্পে আর বিরক্ত করবোনা। কথা দিলাম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

হিমু এর ছবি

গ্রীক উপকথাটা ক্লাস সেভেনে থাকতে ড়্যাপিড রিডারে আমি নিজেই পড়েছিলাম। সেটা ১৯৯১ সালের কথা।

ঐ বাহিনীতে ইয়াকুবদের ড়্যাঙ্ক কী হতে পারে? ক্যাপ্টেন? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়ার তিন বছরের মাথায় ক্যাপ্টেন হয়ে যায় এক একজন অফিসার। সাথে যোগ করুন আরো এক বছর এই বিশেষ বাহিনীতে কাজের অভিজ্ঞতা আর দুই বছর প্রশিক্ষণ। তাহলে ২০০৩ সালে হয়তো সে এইচএসসি পাস করেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হয়তো ইংরেজি ভাষার ওপরে পাস কোর্সে পাশ করেছে ভাটিয়ারির দাওয়াখানা থেকে? আমার মতো বুড়া হাবড়া যদি ১৯৯১ সাল থেকে প্যাণ্ডোরার নাম জানে, তাহলে ২০০৩ এ এইচএসসি টপকানো একটা স্মার্ট ছোকরা জানবে না কেন? নাকি আমাদের অফিসরাগুলি এমনই জরদ্গব যে তাদের প্যাণ্ডোরার নাম ভুলিয়ে ব্যাজ পরানো হয়?

সহজভাবে নিতে না পারার ওপর যখন আপনি জোরাজুরি করেন, তখন আরো বিরক্ত লাগে। আপনি ধরেই নিয়েছেন আমি "ক্ষেপেছি" এবং "সহজভাবে নিতে পারিনি", এবং সেটা প্রমাণের চেষ্টাও করে যাচ্ছেন, ওখানে আমার আর কিছু বলার জায়গা থাকে না। আপনার সমালোচনার আরো বেশ কিছু পয়েন্ট তো ছিলো, সেগুলি নিয়ে তো প্রত্যুত্তর করিনি। আপনি প্যাণ্ডোরার বাক্স নিয়ে আপত্তি তুলেছেন, সেই আপত্তির যাথার্থ্য নিয়ে মত দিতেই আপনি "ক্ষেপে যাওয়া"র অভিযোগ করেছেন, সেটা খুবই আপত্তিকর। অন্যের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো যে এই গল্পের লেখক সমালোচনার ভার বহনে অক্ষম। এটা পরোক্ষ অপমান। না করাই ভালো।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

যুধিষ্ঠির এর ছবি

প্রিয় দুজন লেখকের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে বুঝলাম, আসলেই খারাপ সময় যাচ্ছে আমাদের।

মন খারাপ হলো।

খেকশিয়াল এর ছবি

ভাল্লাগলো
এইবার ভুতের গল্প লিখেন

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

জুম্ম [অতিথি] এর ছবি

গল্পটা ভালু লেগেছে হিমুভাই। আগামীতে মিসির আলীকে নিয়ে আসেন........

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

দুর্দান্ত লাগল গল্পটা।

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।