২.
"না টুনি, আমি পারবো না!" টোনা ভাঙা গলায় বলে।
১. টোনা
২. টুনি
টোনা টুনিকে জানাচ্ছে তার অক্ষমতার কথা। কিন্তু কী এমন কাজ, যা একজন টুনির জন্যে একজন টোনা করতে পারবে না?
জানতে হলে, আসুন, আমরা প্রথম চ্যাপ্টারে যাই।
১.
টুনি হাসিমুখে দরজা খুলে দিলো।
টোনা কলিংবেলের ওপর থেকে আঙুল সরিয়ে নার্ভাস একটা হাসি ফুটিয়ে তুললো মুখে। "হাই ... টুনি! কেমন ... মানে ... কেমন আছো?"
টুনি হাসে, ঝিক করে ওঠে তার ঝকঝকে সাদা দাঁত। টোনার বুক গুড়গুড় করে ওঠে।
"কাম অন ইন টোনা!" টুনি দরজা মেলে ধরে। টোনা এবার দেখতে পায়, টুনি একটা ছোটো শর্টস পরে আছে কেবল। টিশার্টটা বড় আঁটো হয়ে চেপে বসে আছে টুনির শরীরে। টোনা বহুকষ্টে টুনির খোলা ঊরু থেকে চোখ সরিয়ে টুনির চোখের দিকে তাকায়। ঝকঝকে চোখ, তাতে কীসের যেন বন্য আমন্ত্রণ।
টোনা ঢোঁক গিলে ভেতরে ঢোকে।
টুনি দরজাটা ধীর গতিতে ভিজিয়ে দেয়, তারপর লীলা লাস্যে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে উঁচু হয়ে ওপরের ছিটকিনিটা লাগিয়ে দেয়। ব্রাসের ছিটকিনিটা মিহি হ্রেষাধ্বনি করে ওঠে, টোনা চমকে উঠে পেছন ফিরে তাকায়।
টুনির খোলা পা-ই তার দৃষ্টি কেড়ে নেয় প্রথমে। পায়ের আঙুলের ওপর তখনও ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে টুনি, তার মসৃণ গোড়ালি এসে মিশে গেছে ক্ষীণ দু'টি পায়ের সাথে, সামান্য স্ফীত হয়ে একজোড়া মসৃণ হাঁটু তারপর স্পর্শ করেছে ঊরুর নিম্নাংশ, নিটোল মসৃণ একজোড়া ঊরু মিশে গেছে টুনির সুপুষ্ট নিতম্বের সাথে, ছোট্ট শর্টস রহস্য আড়াল করার খাতিরে কিছু গোপন করেছে শুধু, কিন্তু টোনার চোখকে পুরোপুরি অতৃপ্তও রাখতে পারছে না সেটা। টুনির ক্ষীণ কটির ওপর থেকে সরে গেছে অবাধ্য টিশার্ট, মসৃণ মাখনরঙা চামড়া বেরিয়ে পড়েছে কিছুটা। টোনার চোখ টুনির পিঠ বেয়ে ঘাড়ের কাছে উঠতেই চমকে ওঠে। দরজায় বুক ঠেকিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে আছে টুনি, মুখে মিষ্টি বুনো হাসি।
টোনার শরীরে কী যেন একটা পরিবর্তন ঘটতে থাকে। সে শরীরের ভর অন্য পায়ে নিয়ে আবার ঢোঁক গেলে।
টুনি এবার ঘুরে দাঁড়ায়। হাত দু'টো কোমরের পেছনে বেঁধে দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়ায় সে। টোনার চোখ নেমে আসে টুনির গলা বেয়ে। বুকের কাছে এসে আটকে যায় তার চোখ। টুনি ব্রা পরেনি।
টুনি ইচ্ছে করেই আরেকটু হেলান দেয় পেছনে, তার সুডৌল বুক যেন টিশার্টের আবরণের আড়াল থেকে আরো উদ্ধত চোখে তাকায় টোনার দিকে।
টোনা পকেট থেকে রুমাল বার করে কপালের ঘাম মোছে, তারপর বহু কষ্টে চোখ তোলে টুনির চোখের দিকে। টুনি আবারও হাসে। মিষ্টি, একটু হিংস্র হাসি। টোনা দেখে, টুনির দাঁতগুলো শুধু সাদাই নয়, বেশ তীক্ষ্ণও বটে।
টুনির চোখে হাসি নেই। শিকারী যেমন করে শিকারকে লক্ষ্য করে, সতর্ক, ঠাণ্ডা চোখে, তেমনই এক আদিম মনোযোগ নিয়ে টুনি চেয়ে আছে টোনার দিকে।
"ইয়ে ... আন্টি বাসায় নেই?" টোনা ভাঙা গলায় প্রশ্ন করে।
টুনি ঠোঁট গোল করে বলে, "না!"
টোনা এদিক সেদিকে তাকায়, হাত দু'টোকে কোথায় রাখবে, বুঝে উঠতে পারে না। "তা ... ইয়ে, মানে ... ।"
"জুতো খোলো।" টুনি আদুরে গলায় বলে।
টোনা চমকে উঠে নিজের জুতোজোড়ার দিকে তাকায়। খুব একটা উজ্জ্বল দেখাচ্ছে না ওগুলোকে। লজ্জায় টোনার গাল বেগুনি হয়ে ওঠে। "শিওর ... মানে, সরি ... খেয়াল হয়নি ...।" সে এক হাঁটু মেঝেতে রেখে অন্য পায়ের জুতোর ফিতেয় হাত রাখে। টুনি দরজা ছেড়ে এগিয়ে আসে টোনার দিকে।
অন্য পায়ের জুতো খুলতে গিয়ে টোনা অনুভব করে, টুনি তার এক পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধের ওপর আলতো করে হাত রেখেছে। টোনার শরীর শক্ত হয়ে ওঠে।
জুতো খোলার পর টোনা উঠে দাঁড়ায়। টুনি তার শরীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে। টোনা শ্বাস নিতে গিয়ে টুনির চুলের মিষ্টি একটা গন্ধ পায় নাকে। সে পরবর্তী শ্বাসটা আরো গভীর করে নেয়।
টুনি টোনার বুকের ওপর আলগোছে একটা হাত রেখে বলে, "মোজাও খোলো!"
টোনার বুকটা ধ্বক করে ওঠে। টুনি বোধহয় সেই ধুকধুকানি টের পেয়েই হাতটা মন্থর, সর্পিল গতিতে সরিয়ে নেয়, তার মুখে একই লয়ে এক বিচিত্র হাসি ফুটে ওঠে।
টোনা দেখে, টুনিকে যেন বড় বেশি ফর্সা লাগছে আজ। কিন্তু কেমন যেন প্রাণশূন্য এক ভাব তাতে, তার মুখের স্বাভাবিক রক্তিমাভা যেন আজ এই সন্ধ্যায় পুরোই অনুপস্থিত।
টোনার মুখটা লালচে হয়ে ওঠে, সে আমতা আমতা করে বলে, "মোজা না খুললে হয় না?"
টুনি ভুরু নাচিয়ে বলে, "কেন?"
টোনা বিব্রত মুখে বলে, "মানে ... মোজা তো একটু ... মানে ...।"
টুনি হাসিমুখে বলে, "শু র্যাকে দেখো একটা স্প্রে আছে।"
টোনা একটা নিচু টুলে বসে এবার মোজা খুলে ফেলে, তারপর জুতো আর মোজা নিয়ে এগিয়ে যায় শু র্যাকের দিকে। স্প্রে করে নিজের পায়ে। টের পায়, তার কানের পেছনে এসে জমা হয়েছে শরীরের সব রক্ত।
"স্লিপার আছে একজোড়া, কালো, পরে এসো।" টুনির কণ্ঠ টুংটাং বেজে ওঠে।
টোনা বলে, "এগুলো পরবো?" একজোড়া কালো স্লিপার বার করে সে।
টুনি খসখসে, মদির কণ্ঠে বলে, "ওগুলোই পরবে শুধু। বাকি সবই খুলতে হবে।"
১.খ.
টুনির হাসিটা তার চোখকে স্পর্শ করে না। সে শিকারীর ঠাণ্ডা চোখ মেলে টোনাকে দেখে।
টোনা কুলকুল করে ঘামে। "ইয়ে ... মানে ... তোমাদের বুয়াকে বলো না একটু ঠাণ্ডা পানি দিতে ...।"
টুনি মাথাটা পেছনে হেলিয়ে হাসে। "নেই! বুয়া নেই বাসায়। বুয়া নেই, আম্মু নেই, আব্বু নেই! বাসায় আমরা একা! শুধু তুমি আর আমি। টোনা আর টুনি। অ্যান্ড উইভ গট টু মোর আওয়ারস অন আওয়ার ট্যাব!"
টোনা ঢোঁক গেলে, "কেন ... মানে, কেউ নেই কেন ...?"
টুনি কাঁধ ঝাঁকায়, তার টিশার্টের নিচে শরীরের আরো খানিকটা নড়ে ওঠে ছটফটে বেড়ালের মতো। টোনা টের পায়, তার শরীরের সব রক্ত এখন শিরা-ধমনীর মহাসড়ক বেয়ে যাত্রা করছে এক দুর্গম গন্তব্যে। পৃথিবীর সব পথই যেমন রোমের দিকে ছোটে।
টুনি কোমরে হাত রেখে একটা পা অন্যটার সাথে সমকোণে রেখে দাঁড়ায়।
"ওয়েল, তুমিই না সেদিন ফোনে বলছিলে, আমাকে একা পেলে কী সব করবে?"
টোনা গলা খাঁকারি দেয়। "হ্যাঁ .. কিন্তু ...।"
টুনির কণ্ঠস্বর চাবুকের মতো আছড়ে পড়ে। "কোনো কিন্তু নাই। একা চেয়েছিলে, এখন একা পাচ্ছো। নাউ শো মি হোয়াট ইউভ গট!"
টোনার মনে হয়, তার হাঁটুর কাছটা জেলি দিয়ে তৈরি। সে যেন ঠিক বল পায় না ওখানে।
টুনি এবার এগিয়ে আসে নরম, মন্থর পায়ে। টোনা ঘামতে থাকে।
টুনি টোনার হাত ধরে আলতো করে। "কাম অন! আসো আমার সাথে।"
টোনা ধীর পায়ে এগিয়ে যায় টুনির হাতে বন্দী হয়ে।
টুনির শোবার ঘর একটা করিডোরের শেষ মাথায়। দরজায় আতিফ আসলামের একটা পুরনো পোস্টার সাঁটা। সেটার ওপরে আবার সাইনপেন দিয়ে নানা আঁকিবুঁকি কাটা। করিডোরের বাল্বটা বাইরের ঘরের মতো উজ্জ্বল নয়, চল্লিশ ওয়াটের একটা ল্যাম্প জ্বলছে বৃদ্ধ আগুনের মতো।
টুনি নিজের ঘরের দরজা খুলে একটু রুক্ষ হাতে টোনাকে টেনে আনে ভেতরে। টুনির ঘরে আলো আরো কম, নিবু নিবু একটা আলো জ্বলছে টুনির পড়ার টেবিলের পাশে। টুনির ঘরটা অগোছালো। টেবিলের ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা বই, কাগজ, একটা ল্যাপটপ স্লিপ মোডে জ্বলছে আর নিভছে নিঃশব্দ অ্যামবুলেন্সের বীকনের মতো। একটা বড় উফার তার পাশে। আরো কয়েকটা ছোটো ছোটো স্পিকার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ঘরে। টুনির ঘরের দেয়ালে আরো কিছু ছোটো ছোটো পোস্টার, সেই পুরুষদের মধ্যে রজার ফেদেরার বাদে বাকিদের চিনতে পারলো না টোনা। টুনির বিছানায় তিনটা শাঁসালো পুতুল, একটা শিম্পাঞ্জি, একটা পাণ্ডা আর একটা খরগোশ। ঘরের অন্য প্রান্তে একটা বড় আয়না ঝুলছে।
টুনি নিজের ঘরের ছিটকিনিও তুলে দেয় অস্থির হাতে। তারপর টোনাকে ঠেলে ঘরের মাঝে নিয়ে আসে।
"দাঁড়াও এখানে।" টুনি ল্যাপটপের কাছে এগিয়ে যায়। "একটা গান শোনাই তোমাকে।"
টোনা ঘাম মোছে রুমাল দিয়ে। টুনির ঘরে এয়ার কুলার চলছে, হঠাৎ তার সারা শরীর যেন শীতে কেঁপে ওঠে।
টুনি ল্যাপটপে খুটখাট করে। স্লিপ মোড থেকে জেগে উঠে ড্রাগনের মতো চোখ মেলে তাকায় মনিটরটা। টোনা ওয়ালপেপারটা অর্ধেকটা দেখতে পায়, কোনো একটা পোস্টারের ছবি, কীসের ছবি বোঝা দায়।
হঠাৎ ঘর কাঁপিয়ে বেজে ওঠে একটা কণ্ঠস্বর, "টু থ্রি ফোর ... উ হু।" বেইজের ধাক্কায় টোনার শরীরে অ্যাড্রিনালিন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। কেটি টানস্টলের বিগ ব্ল্যাক হর্স অ্যান্ড দ্য চেরি ট্রি ঝনঝন করতে থাকে সমস্ত ঘরে।
|
টুনি ড্রামের কিকের তালে তালে পা ফেলে এগিয়ে আসে টোনার দিকে। টোনা দম বন্ধ করে ফেলে নিজের অজান্তেই। টুনির ঘরের আলোটা ঠিক স্বাভাবিক নয়, কোনো একটা কারণে টুনির টিশার্ট অনেক স্বচ্ছ দেখাচ্ছে এই আলোয়।
টুনি সর্পিল ভঙ্গিতে টোনাকে পাশ কাটিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে তাকে। পিঠে টুনির নরম শরীরের স্পর্শ পেয়ে টোনা চমকে ওঠে হঠাৎ। টুনির শরীরটা এমন ঠাণ্ডা কেন? ঠিক যেন মৃত মানুষের মতো!
টুনি হয়তো আবারও টোনার হঠাৎ চমকে ওঠা হৃৎপিণ্ডের মোর্সকোড পড়ে ফ্যালে, টোনাকে ছেড়ে দিয়ে সে এবার দুই হাত ঘাড়ের কাছে নিয়ে ঘুরপাক খায়। টোনা ঘুরে টুনির মুখোমুখি হয়।
"এইবার শোনো ... লাভার বয় ...," টুনি গানের তালে বলে, "তুমি হচ্ছো আমার বিগ ব্ল্যাক হর্স! আর আমি তোমার চেরিগাছ, ঠিকাছে?"
টোনা সম্মোহিতের মতো টুনির শরীরের বাঁক দেখতে থাকে।
টুনি হাসিমুখে পিছিয়ে যায়। "ফোনে তুমি রোজই কামড় দিতে চাও। এখন কামড়াও দেখি কতো পারো?"
টোনা ঢোঁক গেলে।
টুনি গানের তালে টিশার্টটা আস্তে আস্তে ওপরের দিকে তুলতে থাকে। টোনার মনোযোগ কেড়ে নেয় টুনির নাভি। ফ্যাকাসে সাদা দেখাচ্ছে টুনির পেটের চামড়া, হয়তো এই ঘরের আলোর জন্যেই, সমতল পেটে মৃদু একটা স্ফীতি আছে, তার মাঝে অগভীর নাভি সাইক্লপসের চোখের মতো নিষ্পলক তাকিয়ে আছে যেন টোনার দিকে। টোনা হঠাৎ শিউরে ওঠে, মনে হয়, টুনি যেন মানুষ নয়, অন্যকিছু!
টুনি টোনার ওপর থেকে চোখ সরায়নি এক পলকের জন্যেও। গানের লয় ঠিক রেখে সে এক পাক ঘোরে এবার, তার ঝকঝকে কালো চোখ বিদ্ধ টোনার ওপর।
টিশার্টের পাড় মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে টুনির শরীর অতিক্রম করে, তারপর ছিটকে পড়ে মেঝেতে। টোনা এক বিঘত হাঁ করে তাকিয়ে থাকে টুনির উন্মুক্ত বুকের দিকে। টুনির খয়েরি স্তনবৃন্ত জোড়া সেই মনোযোগ যেন ফিরিয়ে দেয়।
"টোনা!" মিষ্টি গলায় ডাকে টুনি।
টোনা চমকে উঠে টুনির মুখের দিকে তাকায়।
"কোথায় কামড়াতে চাও?" টুনি ডান হাতের তর্জনী বোলায় নিজের নাভির চারপাশে। "এখানে?"
টোনা দরদর ঘামে শুধু।
টুনির আঙুল তার ফ্যাকাসে চামড়ার ওপর একটা অলস গোখরোর মতো ধীর, নিশ্চিত ভঙ্গিতে রয়েসয়ে ওপরে ওঠে। বাম স্তনবৃন্তের ওপর আঙুল রেখে টুনি আবার প্রশ্ন করে, "নাকি এখানে?"
৩.
টুনির দাঁত ঝিক করে ওঠে ঘরের ম্লান আলোয়। সাদা, ধারালো দাঁতের পাটি। টুনির ঠোঁট জোড়াও টকটকে লাল দেখাচ্ছে এ ঘরে, অথচ বাইরের ঘরে স্নিগ্ধ হালকা একটা শেড বলে মনে হয়েছিলো টোনার কাছে। ব্যাপারটা কী?
"কেন, বীরপুরুষ?" টুনি হাসে নিঃশব্দে। "পারবে না কেন?"
টোনা কপালের ঘাম মোছে।
গানটা আবার শুরু থেকে বেজে ওঠে। লুপ করে রেখেছে টুনি। ড্রামের কিকের লয়কে ছাড়িয়ে টোনা নিজের কানের কাছে রক্তস্রোতের তাল শুনতে পায়। তার হৃৎপিণ্ড বহুগুণিত লয়ে রক্ত পাম্প করে যাচ্ছে গোটা শরীরে।
টুনির হাসিটা এবার তার দৃষ্টি থেকে কিছুটা হিংস্রতা ধার নেয় যেন। "কাপুরুষ!"
টোনা মুখ খোলে, তারপর আবার চুপ করে যায়। টুনিকে বলা কি ঠিক হবে?
"তোমাকে আমি বহুবার ডেকেছি আগে। বলেছি আসো। সকালে কেউ থাকে না বাসায়। আসোনি তুমি। তোমার বাহাদুরি সব ফোনে!"
টোনার হঠাৎ খুব গরম লাগতে শুরু করে। সে অস্থির ভঙ্গিতে গেঞ্জিটা মাথার ওপর দিয়ে গলিয়ে বার করে আনে।
"আচ্ছা!" টুনি কোমরে হাত রেখে একটু সামনে ঝুঁকে গা দুলিয়ে হাসে। "সাহস বাড়তে শুরু করেছে দেখি!"
টোনা বলে, "না, টুনি, তুমি বুঝতে পারছো না ... ।"
টুনি টোনার স্যাণ্ডো গেঞ্জি পরা শরীরে চোখ বুলায়। "নট ব্যাড টোনা। আরেকটু এক্সারসাইজ করলেও তো পারো। ইউ ডু হ্যাভ সাম পোটেনশিয়াল, জানো সেটা?"
টোনা অসহায় ভঙ্গিতে কাঁধ ঝাঁকায়।
টুনি এগিয়ে এসে টোনার কাঁধে হাত রাখে। "এইবার বলো, ইউ ড্যাম উস! এতদিন যে বাসায় আসতে বললাম, আসোনি কেন?"
টোনার শরীরটা আড়ষ্ট হয়ে যায় টুনির হাতের নিচে। "তোমাকে তো বলেছি টুনি, আমি দিনের বেলা ... দিনের বেলা একটু ব্যস্ত।"
টুনি টোনার একটা হাত তুলে নিয়ে নিজের স্তনের ওপর চেপে ধরে। নরম একটা স্পর্শে টোনার করতল ভরে ওঠে। "তুমি এতোই ব্যস্ত যে এর জন্যেও তোমার সময় হয় না?" টুনি হাসে।
টোনা নির্জীবের মতো টুনির শরীর স্পর্শ করে শুধু। "হ্যাঁ ... মানে, হ্যাঁ ...।"
টুনি ফিসফিস করে বলো, "গো অন ... ফিল দেম!"
টোনা কাঁপা হাত রাখে টুনির শরীরে।
"কী কাজ তোমার সকালে? একটা দিনও তো সকালে দেখা করতে চাও না! লুকিয়ে অন্য মেয়ের সাথে ডেইট মারাও?" টুনি হিসহিস করে বলে।
টোনা বিব্রত ভঙ্গিতে বলে, "না, আমি ... আমি সত্যিই ব্যস্ত ...।"
টুনির ধারালো দাঁতের পাটি বার হয়ে আসে আবার। "ঠিকাছে! নো প্রোবলেমো! এখন তো সন্ধ্যা। সন্ধ্যাই ভালো। আই ফিল অ্যালাইভ আফটার সানসেট!"
টোনা ঢোঁক গেলে।
"কামড় দাও!" টুনির কণ্ঠস্বর আবার চাবুকের মতো আছড়ে পড়ে ঘরে। "দেখি তুমি কেমন কামড়ুজ্জামান!"
টোনা চোখ বোঁজে, তারপর চোখ খুলে ঠাণ্ডা গলায় টুনিকে বলে, "দেখো টুনি ... আমি আসলেই কামড়াতে পারবো না। তারচে আসো আসল কাজ শুরু করি।"
টুনি টোনাকে নিজের শরীরের সাথে চেপে ধরে। "উইইই ... থিংস আর গেটিং হার্ড ফর ইউ ডিয়ার! কেন, কামড়াতে সমস্যা কোথায়? এই যে রোজ রাতে কামড়ের লোভ দেখিয়ে গরম করো আমাকে ... আজকে কামড়াতে গিয়ে তোমার দাঁত কাঁপে কেন?"
টোনা নিজেকে টুনির আলিঙ্গন থেকে ছাড়িয়ে আনে। "সরি টুনি ... আমি তোমাকে বলতে পারবো না।" হাত বাড়িয়ে টুনির শর্টসের ইলাস্টিকের ভেতর আঙুল ঢোকায় টোনা।
"নট সো ফ্যাস্ট টোনা!" টুনির চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে। "আই ওয়ান্ট সাম নিবলস!"
টোনা মাথা নাড়ে। "না, টুনি ... পারবো না!"
টুনি পিছিয়ে আসে এক পা, তারপর জ্বলন্ত চোখে টোনার দিকে তাকিয়ে বলে, "কেন? পারবা না কেন?"
টোনা কিছু বলে না।
টুনি হিসিয়ে ওঠে, "ফ্যাগট কোথাকার!"
টোনার চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে, একটানে সে স্যাণ্ডো গেঞ্জি খুলে ফেলে। তারপর অস্বাভাবিক ক্ষিপ্রতায় খুলে ফেলে ট্রাউজার্স আর আন্ডি। নগ্ন শরীর সামনে ঝুঁকিয়ে সে শক্ত হাতে টুনির বাহু আঁকড়ে ধরে। "সত্যি শুনতে চাও, কেন তোমাকে কামড়াতে পারবো না?"
টুনি ঢলে পড়ে টোনার হাতে। "হুঁ। চাই। টেল মি অল অ্যাবাউট ইট।" আদুরে গলায় বলে সে।
টোনা ফিসফিস করে বলে, "আমি তোমাকে কামড়াতে পারবো না, কারণ আমি একজন ভ্যাম্পায়ার!"
টুনি হেসে ফেলে, ঘরের ম্লান আলোয় ঝকঝক করে ওঠে তার চোখা দাঁতগুলি। "বটে? ভ্যাম্পায়ার? তুমি? হা হা হা! টোনা ... তুমি পারোও বটে!"
টোনা হাসে না, তীব্র চোখে তাকায় টুনির দিকে।
টুনির মুখের হাসিটা সামান্য ম্লান হয়। টোনার হাত এত ঠাণ্ডা কেন?
"প্রমাণ চাও?" টোনা মৃদু গলায় বলে।
টুনি বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে মাথা নাড়ে। প্রমাণ চায় সে।
টোনা পলকের মধ্যে টুনিকে এক হাতে শূন্যে তুলে এনে হাজির করে ঘরের এক প্রান্তে বড় আয়নাটার সামনে। ঝকঝকে কাঁচে সেখানে প্রতিফলন পড়েছে টুনির অর্ধনগ্ন শরীরের। টোনাকে সেখানে দেখা যাচ্ছে না, যদিও টুনির ঠিক পাশেই সে দাঁড়িয়ে।
টোনা ভুদাই হতে পারে, মিথ্যুক নয়।
মন্তব্য
তুমি তো দেখি ক্লাসিক ঋণ খেলাপী হয়ে যাচ্ছো।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হিমুর যায়গায় হিমি হৈলে ঋণ খেলাপী হৈতনা।
নোবেল প্রতিষ্ঠানের লোন ঠিকমত শোধ করত।
দুরু! মই কৈ!! দিয়া জান! তালগাছে উঠায়া......
খাইছে !
সচলে একটা চায়ের দোকান খোলা যায় না
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
রসিয়ে রসিয়ে চা খাই। বহুদিন বাদে দুধ-চা খাচ্ছি। এলাচ ছাড়া।
আপ্নের আল্লা-খোদার ভয় নাই? বান্দার মনে দুঃখ দিলে ...... আপনার চায়ে পোকা পড়ুক।
সবুর, সবুর! সুমায়ে সুনা ফলে। চা-টা খাইয়া শেষাইতে দ্যান। আপ্নিও ইন্দামিন্টাইম চড়ান এক কাপ।
মাইনাচ মাইনাচ মাইনাচ >
---------------------
আমার ফ্লিকার
পুরাটা আগে লেখুক, তারপরে কমন্ট করি; শেষে কোনদিকে না কোনদিকে নিয়ে যায়..
সবখুলে শেষমেষ চপ্পল? টোনা কি বৈদ্যুতিক শক খেতে যাচ্ছে না কি?
টুনির বর্ণনা তো সিরাম...
এইভাবে গাছে তুলে চা খেতে যাওয়ায় দিক্কার!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
বিয়াফক জটিল বর্ননা টুনির অঙ্গসৌষ্ঠবের অনেকটা পুরানো মাসুদ রানার নায়িকাদের মত, বিয়াফক নস্টালজিক হইলাম, আর এইদিকে টুনার অবস্থাতো কঠিনস্য কঠিন। দুর্দান্ত, অসাধারন এসব শব্দ দিয়ে মাপা যাইতেসে না। কষ্ট কইরা চা বানানির চেয়ে এইখানে আসেন, চা লইয়া পাশে বইয়া থাকুম, আর আপনে চাই খাইয়া পরের পর্ব লিখবেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আসলেই। সেই পুরানো মাসুদ্রানার উপরে কিছু হয় না ।
তারপরেও কিন্তু এ লেখাটাকে আমি মাসুদ রানার চেয়ে উপরে গ্রেড করব, অনেকদিন এমন পাঞ্চলাইন ওয়ালা গল্প পড়িনাই। চা বিরতির পরের পর্বটুকু ও কিন্তু অসাধারন হয়েছে। তবে কামড় মাস্টার "কামরুজ্জামানের" কথায় হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে এসেছে। পারেন ভাই আপনে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এখনো বুঝতেসিনা কি বলবো... আগে শেষ হোক
গল্প শেষ কখন হবে?
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
ঝাক্কাস। কী আর কমু? আপনি চা পান করেন, আমি গান শুনি আর টুনিরে আরো একটু নিজের মতন করে দেখি।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
চা কি একলাই খাইবেন?
শেষটুকু পড়ার অপেক্ষায়।
_____________________________________________
তুমি হতে পারো একটি স্বার্থক বিষাদের সংজ্ঞা। স্বার্থক নদী, স্বার্থক ক্লান্তি অথবা স্বার্থক স্বপ্ন।
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
টোনাটা কে?? আপনি
স্বপ্নদ্রোহ
হ ভাই
আমার এতো ধৈর্য্যর নাই। আমি শেষ করে ঘুমোতে যাব।
এমন টোনার দরকার নাই। টোনার কী কোয়ালিটী দেখছেন? ফোনে বলে। হেহ
বোকা টোনা, আমি হইলে তো ছিটকিনি লাগানোর পরে আর ল্যাপটপ খোলার আগেই ওর উপর ঝাপাইয়া পইরা একটা কিছু নাঘঠাইয়াই স্বগর্বে চইলা আসতাম।
কিন্তু টুনির ঘরে তো আপনার অ্যাকসেস থাকবে না দাদা। আপনাকে লাইলির বাড়িতে হানা দেনা পড়েগা।
ঢাকার Temperature টা আজকে একটু বেশিই মনে হচ্ছে...!
- শূন্য
কই রে খেকু, পড়ে দ্যাখ ব্যাটা তোর হড়ড়গল্প ...
আরে রে! একি হইলো! চাইলাম মই......দিলেন এস্কেলেটার!
কলা ছিল্লা দিলাম, এহন কন বুজাইয়া দ্যাও !
ওররেররেরররেররে!!! তালি !! তালি !!
প্রভু খণ্ড প্রভু খণ্ড!!
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এইটা নিয়া এক্টা সিনামা বানানির কাম। রোপের মতো দুইটা তিনটা টানা শট নিয়ে হবে। তবে ন্যাংটা হওয়ার মতো লুকজন পাওয়া গেলেও রবীন্দ্র গোপেদের কাছে ঠেকতে হইতে পারে।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আহহহহহারে!!!
আমি তো টুনিরেই ভ্যাম্পায়ারনি ভাবছিলাম শুরুতে!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এইটার প্রথম অংশ বড়দের গল্প তাই আমি পড়িনাই
এইটার দ্বিতীয় অংশ ভয়ের তাই আমি পড়িনাই
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বুঝলাম না, আপ্নেরা এই গল্পটারে তারকাচিহ্নিত করলেন না কেন? মন্তব্য পড়ে তো মনে হচ্ছে সবারই ভালো লাগছে। আমি ৫টা তারা দিলাম, আপ্নেরাও ৫ টা করে দিয়ে যান। তারকাচিহ্নিত থাকলে অন্তত ৪৮ টা ঘণ্টা সামনের পাতায় থাকবো। মানুষরে একটু ভালো কিছু পড়ার সুযোগ দেন, খালি নিজেরা চুপি চুপি পড়ে যাবেন, সেটা তো হয় না। না হয় একটু বড়দের গল্প ট্যাগ থাকলোই!!!
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
আপনার এই সুক্রিয়ার জন্যে জানাই শুক্রিয়া
'টোনাইলাইট'
***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
হে হে হে ... পুরাই। কালকে প্রহরীর স্ট্যাটাসে টোয়াইলাইট নিয়া কমেন্ট করসিলাম
ব্যর্থ ভ্যাম্পু সারা সিনেমায় বালিকার গায়ে দন্ত
ফোটাতে পারেনি, এমন ভ্যাম্পু কী বা কামে আসে কন তো?
তারপর মনে হলো একটা গল্প লেখা যায়।
দারুণ লাগলো বস্!!
ধন্যবাদ!
দারুণ একটা গল্প। শুধু মাত্র কমেন্ট করার জন্যই এই ভোরবেলা অফিস থেকে লগিন করলাম ! কমেন্ট না করে থাকা গেলো না।
পাঁচ তারা !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
রাতবিরাতে এইসব গল্প পড় কেনু কেনু কেনু?
আপনার কাছ থেকে প্রতিদিন এমন একটা হড়র গল্প পড়তাম ছাই!
বিয়াপক অশ্লীণ হইসে।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
একটু বেশি ইয়ে হয়ে গেছে। এক দিলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হাশরের ময়দানে আল্লা তুমারে ৭০টা ১ দিবে
এই লাইনটার আগ পর্যন্ত ভাবছিলাম এই ফোকলা অধম বান্দাকে কটাক্ষ করে বলছেন কিনা। টোনার চিন্তা-ভাবনা আমার সাথে অনেক মিলে যায় তো, তাই একটু ভড়কে গেছিলাম। টোনা ভ্যাম্পায়ার হওয়ায় লেখায় পাঁচালাম। শেষটা পছন্দ হয়নি, তবে বর্ণনার গুণ উপেক্ষা করা অসম্ভব। অবিশ্বাস্য রকম বাস্তব।
আহেম!
আদ্ধেক পড়ে আমি ভাবলাম মেয়েটা ভ্যাম্পায়ার না হয়েই যায় না- খুশিও হইলাম- হিমু ভাইএর প্যাঁচ এইবার ধইরা ফেলসি... আর কত বোকা বানাইবো এই লোকটা... সবকিছুর একটা শেষ আছে।
কিন্তু শেষে আইসা এইটা কি হইলো!
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এইটার একটা সিকোয়েল লেখার আইডিয়া পাইলাম আপনার মন্তব্য পড়ে। ধন্যবাদ!
অনেক কিছু বলব ভাবছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর কিছুই বলা হল না।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
কিন্তু কেনু?
ফালতুটাইপ গল্প। ভালো লাগে নাই।
হুম্ম.........আসলেই। গল্পে উত্তর-আধুনিক এক্সপেরিমেন্টেশান এর অভাব আছে...মনস্তাত্ত্বিক কোনো গূঢ় বিশ্লেষণ ও নাই। লেখনীতে ফরাসি প্রতিবাস্তবতার প্রতিচ্ছবি থেকে এটা স্পষ্ট যে লেখকের অন্তর্নিহীত যে গিলগামেশিয় উদ্ভ্রান্তি তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে......সোজা কথায় এই লেখা থেকে সংগ্রামী প্রলেতারিয়ার জীবনযুদ্ধে কোন বড় ধরনের ছন্দপতন ঘটবে......এই আশা বাতুলতা......
ভাই, আপনাকে শতকোটি কামড় থুড়ি প্রনাম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আঁতেল আর সুশীল পাঠকের জন্য পরে কিছু লিখবোনি। কাইন্দেন না।
চাল্লুটাইপ মন্তব্য। বুক্টা ভরে গেলু।
সমালোচনা হজম করতে পারা গেলনা দেখে স্মিত হাসলাম।
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
সমালোচনার সমালোচনা হজম করতে পারলেন না দেখে সৌম্য হাসি হাসলাম দাঁত খিঁচাইয়া।
দাঁত আপনাকেও জোর করে খিঁচাতে হয়নাকি? খোমা দেখে তো খিঁচামুখোই লেগেছে :-|
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
এই মন্তব্যটি স্টিকি করা হৌক!
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
একটা আশ্চর্য জিনিস খেয়াল করলাম... ভ্যাম্পায়ার আর হড়ড় গল্পে বড়দের সিন বেশি থাকে...
কামড়াতে উন্মুখ কোন বাস্তব টোনার সাথে সাদৃশ্য কাকতাল বলে ধরে নিলাম...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
হু। আসলে এইসব গল্পে প্রচুর গোঁজামিল থাকে। তাই রক্তস্রোত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে মগজে গ্লুকোজ সাপ্লাই কিছুটা কমিয়ে দেয়া হয়। ফলে পাঠক-দর্শক ইজি কাজে বিজি হয়ে সেইসব হিজিবিজি গোঁজামিল স্কিপ করে যায়।
কাকতিল থেকে কাকতাল বানানো ছাড়ান দে রে জিয়েম।
তেমন পছন্দ হয়নি্......খুব ভাল কিছু হবে মনে করে পরা শুরু করার পর বুঝলাম এ গল্প তেমন আহামরি কিছু নয়। সাধারন
য়্যাঁ য়্যাঁ য়্যাঁ
শেষ পর্যন্ত হরর?
চার দিলাম (মনে ছিল সাড়ে চার!)। প্রথমদিকের অ্যাম্বিয়েন্স অতি দারুণ ছিল।
আমিও ভাবছিলাম টুনিই ভ্যাম্পায়ার আর আমরা সবাই আম্পায়ার। শেষে আইসা তো পুরাই বোকা হয়ে গেলাম।
গল্প ভালৈছে বস।
অশ্লীশ ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভাবতেসি আমিই আবার হাল ধরুম কি না। চোথা মেরে একটা কিছু লিখে নিয়ে কাজীদার সাথে যোগাযোগ করলে কেমন হয়?
ভালোই হয়। ...আর সেক্ষেত্রে এক্জন রেগুলার পাঠকও পেয়ে গেলেন। পাঠকের রেকমেন্ডশনের প্রয়োজন হলে বইলেন...
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সেদিন ইস্নিপ্সে গুতাগুতি করতে গিয়ে মাসুদ রানার একগাদা পিডিয়েফ পাইলাম। নতুন বইগুলির নাম দেখেই মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো। এক্টা খুলে পড়তে শুরু করলাম, মেজাজ আরো তিতা হয়ে গেলো। এইভাবে ল্যাংচায় চলার চেয়ে না চলা মনে হয় ভালো।
হাতে অফুরন্ত সময় থাকলে সত্যি সত্যি একটা চেষ্টা করে দেখতাম। শেখ আবদুল হাকিমের মতো করে হয়তো পারতাম না ... কিন্তু এখন যারা লেখে, তাদের চেয়ে অন্তত ভালো পারতাম।
কথা সত্য! আগে মাসুদ্রানার বান্ধবীদের এইসব বর্ণনা শুনে মন মেজাজ গ্রম হইলেও একটা ইয়ে ব্যাপার ছিলো! এখন সব ন্যাতন্যাতা বই, পইড়া মজা পাইনা! আরে মিয়া কম্পিটিশনের যুগে...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দেখি তুমি কেমন কামরুজ্জামান?
হা..হা........অদ্ভুদ (খারাপ না ভালো বলবো না)
ভেজা নক্ষত্র
তাই বোধহয় হিমু ভাইয়ের গলার টোনটা আজকাল ক্যামন টোনাটে শোনায়...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
উদাস হাসি
জটিল
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আমি তো ভাবছিলাম টুনি মরণব্যাধি এইডসে আক্রান্ত।এটা টোনামিয়া গোপন সূত্রে খবর পায়া গেছে।এ জন্য আর এখন আগ্রহ পাচ্ছে না।
টুনির দেহাবহাওয়া চরম। আমারে পুরা টোনা বানায় ছাড়সে।
মজা মজা মজা।পরের পর্ব চাই।
/
ভণ্ড_মানব
আপনে তো দেখি মিয়া আসলেই ভণ্ড
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এই জায়গায় এনে কেউ গল্প শেষ করে?????
এতো গোয়া মেরে টিস্যু দান হয়ে গেল!!!!!!!! নাকি টিস্যু মেরে গোয়া দান??
গীত গোবিন্দম, পুনঃ আগমন ড্রাকুলা আর থ্রিলার সব নসাৎ ধাক্কা ছাড়াই।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
শেষটা হতাশ করলো...
দেখি সিকোয়েলে আপনার আশা পূরণ করতে পারি কি না ...
গপ্পো ভাল্লাগ্ছে। তবে পোলাপাইনগুলার কি অইলো, সেইটা নিয়া বড়ই চিন্তায় পইড়া গেলাম!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
টুনিরে চিন্তা কইরা রাতটা ভালই কাটবে মনে হইতাছে...দোয়া রাইখেন
স্পার্টাকাস
ফারুকীর একটা নাটক আছে, ফার্স্ট ডেট। গল্পটা পড়তে পড়তে ঐ নাটকটার কথা মাথায় চলে আসতেছিলো।
তবে টুনির বর্ণনায় কাজীদা ফেইল।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
এই নাটকের কথা আর কইয়েন না! আমার ইউনির এক বড় আপু আছে শুনে নামাইসিলাম আম্মা দেখতে আসলো আমার সাথে! পোলার, 'আমার জ্বলে' এই ডায়ালগ শুনে দুইজনে দুই দরজা দিয়া বাইরাইসি! কি সব্বোনাশ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হা হা হা ! বোকা সোকা টুনিহীন পোলাপাইনগুলারে কেমুন লেবেঞ্চুস খাওয়াইয়া দিলো ! হা হা হা !
হাঁটুপানিতে জলদস্যুগিরি এইটারেই কয় !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দারুন হৈসে দাদা। এই লেখায় মন্তব্য করার এলেম এখনো অর্জিত হয় নাই মনে হয়।
মহসীন রেজা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বর্ণনা পইড়া পুরা দৃশ্যকল্প চক্ষের সামনে ভাইস্যা উঠসিল। কিন্তু কই থিকা যেন ন্যাতামারা ভ্যাম্পায়ার যে আইস্যা মজাটা দিল নষ্ট কইরা ...
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
ভিজিয়ে দেয় মানে? জল দিয়ে ভেজায়?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ঠিক্করে দিবোনি
- আচড়া খাচড়া কথা লেইখা মুমিন বান্দাদের ঈমানে ক্যাতকোতানি দেয়ার কারণে কইষ্যা এক দাগানো হৈলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিস্নায় থাবা মাইরা কান্তেছি তারার দুঃখে
- কান্দিচ্ছা দোস, কান্দিচ্ছা...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
টোনা দেখি বড়ই নুনুর্ষু।
লেখা অতিশয় খচ্চর হয়েছে। ৫০ দাগাতে চাই।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
নুনূর্ষু বানান ভুল করায় তেব্র দিক্কার!
টোনা দেখি বড়ই নুনুর্ষু।
বয়েস হয়ে গেছে, তাই ভাবছিলাম খ-মার্কা লেখা আর পড়ব না, পড়লেও চুপে-চুপে। কিন্তু লেখকের চিন্তার দীনতা দেখে আর চুপ থাকতে পারলাম না
'এই পারবো না'-টাকে লেখক দেখাচ্ছেন টোনার 'অক্ষমতা' হিসাবে। এটা যে কত বড় ভুল তা তিনটা বিকল্প ব্যাখ্যা দিয়ে দেখানো যাক।
১. টোনা টুনির বাসায় আসার আগে চায়ের দোকানে চা-পুরি মেরে এসেছে। তারপর কিমা-মিষ্টি আর পুরান সুপারি দিয়ে একটা পান। হুদা দুই মিনিট কামড়া-কামড়ি করার জন্য টোনা পানের স্বাদটা নষ্ট করতে চাচ্ছে না।
২. টোনা আসার পথে টুনির বান্ধবীকে মুনিকে রিক্সা করে লিফট দিয়ে এসেছে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেখানে কিছু বাড়তি শক্তি ক্ষয় হয়েছে। তাই টোনা যখন "পারব না" বলছে, তখন তার অক্ষমতা না, অনিচ্ছাটাই প্রকাশ করছে।
৩. টোনার গলা ভাঙা। এই ভাঙা গলা নিয়ে কামড়াতে গিয়ে সুবিধা করতে পারবে না, তখন বদনাম হবে। হতে পারে টুনি তখন অন্য কারো খোঁজ করবে। তাই টোনা কামড়াবে যখন, একটু সময় নিয়ে ভাল করে কামড়াতে যায়। ক্রাম্রাম্রুই য্রখ্রন্র, ত্রখ্রন্র ভ্রাল্র ক্রইরাই ক্রাম্রাম্রু।
আপনি তো গত কয়েকদিন যাবৎ পুরাই রক্কর্তেছেন! কমেন্টে পাঁচতারা দাগাইলাম।
ডেভু ভায়েরা, সচলে কমেন্টে লাইকানোর ব্যবস্থা করা যায় কি? এ এখন যুগের দাবী!
মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য-- দুটাই চ্রম।
শেষ লাইনে 'ভাল করে কামড়াতে চায়', লিখতে চাইছিলাম 'যত্ন করে কামড়াতে চায়'। ক্ষণিক বিলম্বের কারণে হইল না আর।
-
এই গল্পে আরও অনেক হাজারে বিজারে ভুল তথ্য আছে। সেগুলা প্রমাণ করার জুররত করলে গল্পের টুনির ফুন নাম্বার আমারে ব্যক্তিগত মেসেজে পাঠা দেহি। আমি নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের মতো একটু খোজটোজ নিয়ে দেখি কাহিনী কী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খয়েরি রং পছন্দ না হইলে চুপ কইরা থাক। ভাত পায় না চা খায়, হাতিৎ চইড়া হাগতে যায়।
- এই, কইলো একটা কতা! কুঁজায় বয়ান করে সিধা হইয়া শোয়ার মর্তোবা। কই যে যাইতাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এতো মন্তব্যের পর মূল গল্পের স্বাদই গেছে বদলে (যেমন আলমগীরের মন্তব্যটা দেখুন )। কাজেই এখন আসল গল্পকে ছেঁকে তুলে কাটাছেঁড়া করা বেশ কঠিন। তাও করতে বসলাম, লেখক মশাই আজকাল বেশ ঘনঘন লিখছেন, মন্তব্য শুনতে চাইলে সেটুকুও যদি না করি তবে ধিক হে পাঠক ('মূলত পাঠক' পড়ুন)!
কী ভালো লেগেছে:
===========
স্ট্রাকচার: এইরকম আগুপিছু করে লেখার ব্যাপারটা। এবং সেটা গল্পের প্রয়োজনের সাথে খাপ খেয়েছে বলে আরো ভালো লেগেছে।
শিঙালোবর্ণন: এর ব্যাখ্যা দেওয়ার দরকার নেই বোধ হয়, তাও বলি। বুদ্ধদেব গুহ একবার বলেছিলেন, শোভা দে'র চেয়ে ভালো রগরগে লেখা তিনি লিখতে পারেন। বাংলা পাঠকের দুর্ভাগ্য, গুহবাবু সেই ঘোষণা করেই ক্ষান্ত দিয়েছিলেন। কাজটা করার দায়িত্ব কাকে দেওয়া যায় ভাবছিলাম। হিমু ভেবে দেখতে পারেন।
কী ভালো লাগে নি:
=========
প্লট: এটা গল্পের প্রথমাংশ হলে ক্ষতি ছিলো না। কিন্তু একে পূর্ণাঙ্গ গল্প ভাবতে সমস্যা হচ্ছিলো। সার্থক ছোটোগল্পের আদর্শ মেনে শেষ হয়েও শেষ হলো না, তেমনটা নয়। চেষ্টা করছি বোঝানোর, তবে সে সহজ কাজ নয়। অনেক গল্পে শেষে এ জাতীয় স্টেটমেন্ট দিয়ে শেষ হয়, যেন অশান্ত জনতার মাঝখানে একজন শান্তভাবে উঠে দাঁড়িয়ে একটা শেষ কথা বললেন, সমুদ্র স্থির হয়ে গেলো। একটা ডায়ালেকটিক স্টান্ডপয়েন্টের মতোও হতে পারে, যেখানে আপাত অর্থ ও গূঢ় অর্থ ছাড়িয়ে তৃতীয় অর্থ জেগে ওঠে। এখানে অভিঘাতটা তেমন হয় নি বলে আমার মনে হলো।
অসার্বজনীন: লেখকের বাঁশখোর সিরিজের গল্পগুলো যেমন প্রাকইতিহাস না জানলে পড়তে মন্দ না লাগলেও কিছু একটা শূন্যতা থেকে যায়, এখানেও মনে হচ্ছিলো যেন কিছু একটা মিস করে গেলাম। সেটা মনে হওয়ার ভুল হতেই পারে, কিন্তু লেখকের তো সুযোগ থাকে না পাঠকের কনফিউশন দূর করার, কাজেই সতর্কতার ভার লেখকের ঘাড়েই বর্তায়। যেমন "টোনা ভুদাই হতে পারে, মিথ্যুক নয়" এই কথাটিতে ভুদাই শব্দটি কেমন লোডেড লাগছিলো, বাক্যের সমাপ্তির বোধটি আনতে গেলে লোডেড হওয়া দরকারি, কিন্তু তার ব্যাখ্যা পাঠকের কাছে (অন্তত অনেক পাঠকের কাছেই) নেই। আর লোডেড না হলে এই পয়েন্টটা ঘুরে চলে যায় আগের পয়েন্টে।
ভালো বোঝাতে পারলাম না বোধ হয়, সেই ভয়ে আগে লিখতে চাইছিলাম না। যদি লেখক সামান্য কিছু মর্মোদ্ধার করতে পারেন তো মেনে নেবো তিনি আমার চেয়ে বেটার পাঠক।
[হিমু, আপনার মেসেজটি পড়তে পারলাম না টেকনিক্যাল কারণে, খুললেই বলছে কোনো মেসেজ নেই। আশা করি সবুজ সংকেতই ছিলো।]
আর বলবেন না, গুগল যে কী ভালুবাসে সচলকে, লিচিং করে করে হয়রান করে ছাড়ছে। অতিথির সংখ্যা হাজার টপকালেই কিছু ফিচার গুটিয়ে ফেলে সচল। সমস্যাটা পারসিস্ট করলে আমরা গুগলের হাতি ঢোকার জন্যে দরজার চৌকাঠ উঁচু করবো।
যতটুকু আলুনি ছিলো গল্পে, আপনার মন্তব্যের পর কাটলো খানিকটা। আরো টুকটাক মশলা বাকি আছে, অপেক্ষায় আছি।
আর, হাতের কাছে এমন একটা শাঁসালো টুনিকে ফেলে রেখে যে টোনা আমতা আমতা করে, তাকে ভুদাই ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায় ? সংকোচের বিহ্বলতা ... টোনারই অপমান।
নতুন মন্তব্য করুন