এ গল্পটা কামড় নামে একটা গল্পের সিকোয়েল (বাংলা কী হবে, অণুসরণিকা?)। কামড় গল্পটা খুব একটা জুইতের হয় নাই, আর অণুসরণিকা যে তার আগের গল্পের পোঁদাঙ্ক অনুসরণ করবে, এ আর বিচিত্র কী?
টুনির মুখটা আরো ফ্যাকাসে হয়ে ওঠে আয়নায়। সে এক হাত বাড়িয়ে টোনার বাহু চেপে ধরে, তার নখের ডগা থেকে রক্ত সরে যায় মুঠির চাপে। আয়নায় দেখা যায়, শূন্য হাত রেখে দাঁড়িয়ে টুনি।
টোনার শ্বাসের গতি তখনও দ্রুত, টুনি ঘুরে টোনার মুখোমুখি হয়। টোনার মুখটা সামান্য ফাঁক হয়ে আছে, ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক অনেক বড় চারটি শ্বদন্ত। যদিও টোনা বাতি আড়াল করে দাঁড়িয়ে, কিন্তু আয়নায় প্রতিফলিত আলো পড়ে ঝিকিয়ে উঠছে চারটা ভয়ঙ্কর তীক্ষ্ণ, সাদা দাঁত।
টুনির মুখে অতি ধীরে একটা বিচিত্র হাসি ছড়িয়ে পড়ে। সে একটা হাত রাখে টোনার গালে।
"অঅসাম!" ফিসফিস করে বলে টুনি। "সিম্পলি অঅসাম! তুমি ... তুমি সত্যি ভ্যাম্পায়ার!"
টোনার চোখ সামান্য বড় হয়। "হ্যাঁ।"
"এজন্যেই তুমি সকালে বের হও না?" টুনি আগ্রহ নিয়ে কাছে ঘেঁষে আসে।
টোনা মাথা ঝাঁকায়। "হুঁ।"
"সূর্যের আলো সহ্য করতে পারো না, তাই না?" টুনি ফিসফিস করে বলে।
টোনা ম্লানমুখে সম্মতি জানায় মাথা নেড়ে।
"ঔ! হাউ ডিড ইট হ্যাপেন? আমাকে সব খুলে বলো!" টুনি টোনার কাঁধে হাত রাখে।
টোনা সরু চোখে টুনির দিকে তাকিয়ে বলে, "লম্বা গল্প।"
টুনি চোখ নামায় টোনার চোখ থেকে। টোনার শরীর বেয়ে নিচে নামে তার দৃষ্টি। তারপর চোখ তুলে সে বলে, "লম্বা গল্প আমার ভাল্লাগে!"
টোনা থতমত খেয়ে চুপ করে যায়। টুনি কাছে ঘেঁষে এসে উষ্ণ শ্বাস ফেলে টোনার গালের কাছে। "বলো না, কীভাবে এমন হলো?"
টোনা মাথা নাড়ে। টুনিকে অনেক কিছু বলে ফেলেছে সে, উচিত হয়নি।
টুনি দুষ্টু হাসে। "আই নেভার স্লেপ্ট উইথ আ ভ্যাম্পায়ার বিফোর ... হোয়াট অ্যাবাউট ইউ?"
টোনা কথা বলে না, স্থির চোখে দেখে টুনিকে।
টুনি টোনার ঠোঁটে হাত রাখে, "তোমার দাঁতগুলি দেখাও না!"
টোনা টুনির হাত চেপে ধরে, "না টুনি! প্লিজ দেখতে চেয়ো না। এসব ছেলেখেলা নয় ... আমি যদি নিজেকে সামলাতে না পারি, তোমার অনেক বড় বিপদ হবে!"
টুনি হাসে, বিগ ব্ল্যাক হর্স আবার ঝনঝনিয়ে বেজে ওঠে শুরু থেকে। "কী বিপদ? তুমি আমার সব রক্ত চুষে খেয়ে ফেলবা?"
টোনা নিচু গলায় বলে, "হ্যাঁ। একবার শুরু করলে ... থামতে পারি না।"
টুনি দুই পা পিছিয়ে যায়। "তোমার কি মনে হয় না, চুষে খাবার জন্যে রক্ত ছাড়া আরো কিছু আছে আমার শরীরে?"
টোনা বড় করে শ্বাস নেয়। টুনি দুই হাতে বোলাতে থাকে নিজের শরীরে। টোনার চোখ তার হাতের গতিপথ অনুসরণ করে নিবিড়ভাবে। টুনি দুই হাতের বুড়ো আঙুল ঢুকিয়ে দেয় শর্টসের ভাঁজে, তারপর সামনে ঝুঁকে সেটাকে নামিয়ে আনে কোমর থেকে।
টোনা দম বন্ধ করে নগ্ন টুনিকে দেখে। মেঝেতে গোল হয়ে পড়ে থাকা শর্টস থেকে পা গলিয়ে বার করে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে তাকে দেখে টুনি, মুখে হাসি।
"আচ্ছা, তোমার কামড়ানোর দরকার নেই আমাকে।" টুনি হাত নাড়ে। "আমিই তোমাকে কামড়াবো নাহয়। ঠিকাছে?"
টোনার বুকের ভেতর ড্রাম পেটায় তার সবল হৃৎপিণ্ড, ক্ষিপ্র হাতে সে টুনিকে টেনে আনে বুকের ওপর। তারপর চুমু খায় আলতো করে। টুনির গরম শরীরটা টোনার হিমশীতল শরীরের সাথে মিশে যায় যেন।
টুনি দাঁতে কামড়ে ধরে টোনার ঠোঁট, প্রথমে আস্তে, তারপর ক্রমশ তীব্রতর হতে থাকে তার দংশন।
জিভে নিজের রক্তের স্বাদ পেয়ে চমকে ওঠে টোনা, তারপর ঝট করে হাত বাড়িয়ে ঠেলে দেয় টুনিকে। "টুনি! কী বললাম তোমাকে?" হিসহিস করে ওঠে সে। "শুধু শুধু বিপদে পোড়ো না!"
টুনি জিভ বোলায় ঠোঁটে। "উমমমম ... টেইস্টি!"
টোনা দাঁতে দাঁত চাপে শুধু।
টুনি মন্থর পায়ে এগিয়ে আসে আবার। "আচ্ছা বাবা, ঠিকাছে। কামড়াবো, কিন্তু রক্ত বের করবো না ... তাহলে হবে না?" টোনার বুকে হাত রাখে সে। "নাকি দাঁতই বসানো মানা?"
টোনা কিছু বলে না, বড় করে শ্বাস নেয় শুধু।
টুনি আলতো করে কামড় দেয় টোনার গলায়, তারপর একটু একটু করে নিচে নামে সে। টোনা একটু পিছিয়ে এসে ওয়ার্ডরোবে হেলান দেয়।
"তোমার বুকে কোনো লোম নাই কেন?" টুনি নিরীহ গলায় জানতে চায়, টোনার বুকের বৃন্তে জিভ বোলাচ্ছে সে।
টোনা শিউরে উঠে চোখ বোঁজে। "নাই তো আমি কী করবো?"
টুনি হাসে। "ছি ছি ছি! হোক না ভ্যাম্পায়ার, তাই বলে পুরুষমানুষের বুকে লোম থাকবে না? শেইভ কোরো এখন থেকে!"
টোনা চুপ করে থাকে।
টুনি টোনার পেটে মুখ ঘষে। "ভ্যাম্পায়ারদের কি বাচ্চা হয়?" মিহি গলায় জানতে চায় সে।
টোনা অস্বস্তিতে নড়েচড়ে দাঁড়ায়। "জানি না! কেন?"
টুনি হাসে। "তাহলে তোমার উচিত প্রোটেকশন ইয়ুজ করা।"
টোনা ঢোঁক গেলে। "আচ্ছা ... করবো ... তুমি থামলে কেন?"
টুনি হাসে ধারালো দাঁত বের করে, তারপর ধীর গতিতে নিচে নামে আরো।
টোনার চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে। টুনি জিভ, দাঁত, ঠোঁট, সবই ঠিকঠাক ব্যবহার করতে জানে। টুনির হাত চেপে ধরে সে নিজের বুকের ওপর। টুনির নখগুলো সুন্দর করে শেপ করা।
"আঁচড় দাও!" রুদ্ধ গলায় বলে সে।
টুনি চমকে তাকায়। "কী বললে?" মুখ সরিয়ে এনে বলে সে।
"আঁচড় দাও আমাকে।" টোনা আবার বলে।
টুনি একটু থমকে তাকিয়ে থাকে টোনার দিকে, চোখে দ্বিধা। "কেন?"
টোনা অবাক হয়ে তাকায় টুনির দিকে। "আমার ... আমার ভালো লাগে, সেজন্যে ... কেন?"
বিচিত্র একটা হাসি ফুটে ওঠে টুনির মুখে। "তুমি সত্যিই চাও আমি তোমাকে আঁচড়াই?"
টোনা মুচকি হাসে। "হুঁ।"
টুনি তির্যক একটা হাসি ঝুলিয়ে রাখে মুখে। "ঠিকাছে! কিন্তু আরেকটু পরে আঁচড়াই?"
টোনা কাঁধ ঝাঁকায়। টুনি মেয়েটা অদ্ভুত।
টুনি জিভ বার করে ভেংচি কাটে টোনাকে। তারপর জিভের কাজে ফিরে যায় সে।
টোনার শরীরটা টানটান হয়ে ওঠে। টুনির মাথায় হাত রেখে তার চুল মুঠো করে ধরে সে।
টুনি থেমে গিয়ে বলে, "অ্যাই ... চুলে হাত দিও না!"
টোনা কিছু বলতে যাবে, এমন সময় টুপ করে অন্ধকার হয়ে যায় ঘর।
লোডশেডিং।
উফারটা নীরব হয়ে যায় গানের মাঝখানে, ল্যাপটপের স্ক্রিন অন্ধকার হয়ে গিয়েছিলো আগেই, শুধু পাওয়ারের নীল আলোটা জ্বলে থাকে শ্বাপদের চোখের মতো।
টুনি নিকষ অন্ধকারেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে টোনার কোমরের নিচে। টোনা অস্ফূট একটা শব্দ করে বলে, "আলো দরকার!"
টুনি হাঁপাতে হাঁপাতে বলে, "একটু পরে জেনারেটর ছাড়বে। নোড়ো না এখন!"
টোনা বলে, "দাঁড়াও পর্দাটা সরিয়ে দিই। বাইরে আলো আছে।"
টুনি অন্ধকারে আঁতকে ওঠে, "না! না! না! পর্দা সরিয়ো না ...।"
দেরি হয়ে যায়, টোনা ক্ষিপ্র হাতে টান দিয়ে সরিয়ে দেয় জানালার গাঢ় রঙের ভারি পর্দাটা। মনে অস্বস্তি নিয়ে সে ভাবে, এত ভারি পর্দা কেন জানালায়?
বাইরে স্নিগ্ধ চাঁদের আলো ছড়ানো। টুনির জানালার বাইরে অনেকখানি খোলা জায়গা। টোনা মুগ্ধ হয়ে তাকায় চাঁদের দিকে। ভ্যাম্পায়ার জীবনে চাঁদই তার সূর্য।
তার ওপর আজ পূর্ণিমা।
পেছনে একটা কাতর জান্তব শব্দ শুনে ঘুরে দাঁড়ায় টোনা।
টুনির ঘর ভেসে গেছে চাঁদের আলোয়। সেই আলোয় টোনা দেখে, টুনি মেঝের ওপর শুয়ে জন্তুর মতো ছটফট করছে আর কাতরাচ্ছে।
"টুনি!" চমকে উঠে ডাকে টোনা।
টুনি কোনো কথা বলতে পারে না, তার নগ্ন শরীরে খিঁচুনি ক্রমশ প্রবল হতে থাকে, গোঙানির শব্দ ক্রমাণ্বয়ে চড়া পর্দায় উঠতে থাকে।
টোনা বিহ্বল হয়ে দু'পা এগিয়ে যায়। "টুনি ...!"
টুনি যেন বহু কষ্টে ঘাড় ফিরিয়ে তাকায়। চাঁদের আলোয় টোনা দেখে, টুনির চোখ জ্বলজ্বল করছে। একটা সবুজ আভা তাতে।
"টোনা!" ঠিক যেন ডাক নয়, ঘড়ঘড়ে একটা ধাতব শব্দ বেরিয়ে আসে টুনির কণ্ঠ থেকে। "পালাও! পালাও ...!"
টোনার বুকের ভেতরটা হিম হয়ে আসে। পিছিয়ে এসে দেয়ালের সাথে সেঁটে দাঁড়ায় সে। পলকে একটা সম্ভাবনার কথা উঁকি দেয় তার মাথায়।
চাঁদের আলো প্লাবিত করে টুনির ঘর, আর টোনার চোখের সামনে টুনির নরম মসৃণ শরীরটা মুহূর্তে মুহূর্তে পাক খায় আর পাল্টে যেতে থাকে। তার নিটোল শরীর একটু একটু করে ছেয়ে যাচ্ছে রোমে, সুডৌল দুই ঊরু ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে পেশী, স্তন অদৃশ্য হয়েছে কর্কশ রোমের আড়ালে, কাঁধের পেশী উঁচু হয়ে অদৃশ্য করে দিচ্ছে টুনির ক্ষীণ ঘাড়, টুনির মিষ্টি গোলগাল মুখটা ক্রমশ ছুঁচালো হয়ে পড়ছে।
আর টুনির হাত ... এখন আর হাত নেই। সেটাকে থাবা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। যত্ন করে ম্যানিকিওর করা নখগুলোর জায়গায় বেরিয়ে এসেছে তিন ইঞ্চি লম্বা কালচে নখর।
টোনা অস্ফূটে বলে, "মায়ানেকড়ে!"
টুনি শেষ একটা গড়ান দিয়ে উঠে দাঁড়ায়। লম্বায় সে এখন টোনাকেও ছাড়িয়ে গেছে। মাটি থেকে ছয় ফিট ওপরে জ্বলছে এক জোড়া সবুজ চোখ।
ছাদের দিকে মুখ তুলে প্রলম্বিত একটা গম্ভীর গর্জন করে রোমশ জন্তুটা, কিছুক্ষণ আগেও যাকে টুনি নামে ডাকা যেতো। "আউউউউউউউউউউ ...!" ক্রমশ উঁচুতে উঠে মিলিয়ে যায় রোমহর্ষক সেই নেকড়ের গর্জন।
কর্তব্য স্থির করতে টোনার দেরি হয় না। তার শরীরে বিদ্যুৎ বয়ে যায় যেন, প্রচণ্ড এক হ্যাঁচকা টানে দেয়াল থেকে গ্রিলশুদ্ধ জানালার ফ্রেমটা উপড়ে ছুঁড়ে মারে সে বদলে যাওয়া টুনির দিকে, তারপর সেই ফোকর গলে লাফিয়ে পড়ে শূন্যে।
পূর্ণিমায় স্নাত শহরে কেউ চোখ তুলে তাকালে দেখতে পেতো, বহুতল ভবনের অনেক ওপরের তলায় ভাঙা জানালা দিয়ে বেরিয়ে পত পত ডানা ঝাপটে উড়ে যাচ্ছে এক প্রকাণ্ড বাদুড়।
বাদুড়টা অক্ষত নয়। ভাঙা জানালা গলে বেরিয়ে যাবার সময় চকিতে থাবা চালিয়েছে শূন্যে লাফিয়ে ওঠা মায়ানেকড়েটা। বাদুড়টার পেছনের পায়ে এক গাঢ় আঁচড় পড়েছে, টপটপ করে নিচের শহরের বুকে ঝরে পড়ছে রক্ত।
মায়ানেকড়ে সংক্রামক।
খুব।
মন্তব্য
পড়তে পড়তে দম বন্ধ হয়ে গেছে। এইটা জোশ হইছে। খুব খুব ভালো।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ধন্যবাদ ভাই।
গল্পে আঁচড় দিতে বলার সাথে সাথেই মায়ানেকড়ের কথা মনে পড়ল। এইটা তাই আগেরটার মত জমে নাই।
অফ(নাকি অন)টপিক: ভ্যাম্পায়ার আর মায়ানেকড়ের ক্রস করলে কি হয়?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ঐটা লিখে ট্রিলজি শেষ করবো
হিমু ভাই, অওসাম!! আমি অবশ্য অর্ধেক পরার পরেই বুঝসি কাহিনি কোন দিকে যাচ্ছে, হিহিহি!!
- শূন্য
বাকি অর্ধেকটা তো তাহলে মাঠে মারা গেলো।
এবারে দেখি গল্প টুয়াইলাইট থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দিকে মোড় নিয়েছে। তবে সিকোয়েল জটিল হয়েছে। আচড় নাম দেখে বুঝতে পারিনি, তবে যখনই জানালার পর্দা সরানোর কথা এসেছে তখন বুঝতে পেরেছি এবারের ঘটনা কোন দিকে যাচ্ছে। বুঝে যাবার পরেও গল্পের উত্তেজনা কমে যায় নি, এজন্যে অসাধারন লাগল এবারের পর্ব। সাধারনত চমক চলে গেলে উত্তেজনা বজায় রাখা দুরুহ হয়ে দাড়ায়, তবে আপনার লেখনির জোরে আবারো চমৎকৃত হলাম। আহারে টোনা, কি দাবড়ানি না দিলেন ব্যাটাকে। জট্টিলজ্
নমস্য আপনার কামড় আর আচড় , তবে কামরু মামারে মিস করসি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আঁচড়ুন্নাহারকে ভালু পান নাই?
, বিয়াফক ভালু পাইসি। আপনার ট্রিলজির অপেক্ষায় হা কইরা বইয়া থাকলাম। মাছি না ঢুকে গেলেই হয়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমিও আলোয় বুঝতে পারসি। মহা সমস্যা এদের দেখি অমবাবস্যা ছাড়া গতি নেই
ভালু কইসেন বস!! তয় এইবার খেলা হেব্বি জমবো বইলা মনে হইতাছে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তোফা!!
=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
আঁচড়েই বুঝে গেসিলাম। ওয়্যারউলফের আগমন তাই আকাঙ্খিত ছিলো। ... তবে সংক্রমণের কথা বলে কাহিনী আবার নয়া মোড় দিলেন। তাইলে ট্রিলজির আশায় রইলাম।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ওয়্যারউওলফের গল্প ভালু পাইলে এই গল্পটা পইড়া দেইখো। একটু খাইষ্টা যদিও।
একটু আগে এই গল্পটার কথাই ভাবতেছিলাম। এইটা একটা ক্লাসিক, স্পেশালি চান্দে চান্দে ...... মারা -- এই উপমাটা আমি এখনো ভুলি নাই...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
মায়ানেকড়ে কী তা জানা ছিলনা, সেজন্যই এপর্বটা থ্রিলিং লেগেছে।
গল্পটা যে কত ডিগ্রি আংগেল নিল..........মাথা বনবন করছে।
তবে জোশ হইছে।
স্বপ্নদ্রোহ
- খালি যদি গল্পটা 'আঁচড়ে' নিয়া শেষ না করতি তাইলে আমার মতো কঁচিকাঁচারে 'পাঁচ মিনিটে হাতে কলমে খাইষ্টা সবক' দেয়ার অপরাধে তোর আইপি শুদ্ধা ব্যাঞ্চাইতাম! জাকাজার পক্ষ থেকে বিবৃতি তৈরী হৈতাছিলো। তু তো বাঁচগেয়া রে কালিয়া। তুঝকো বখ্শ দিয়া...!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জাকাজারে বল একটা বিবৃতি খাড়া করাইতে। শিরোনাম হবে, "মিউনিখে অক্টোবরফেস্টে ধূসর গোধূলি উরফ মনির হোশেনের বেলাল্লাপনার আলোকচিত্র সচলে প্রকাশের প্রতিবাদে মৌন মিছিল, দলে দলে জশনে জুলুছে যোগদান করে দোজাহানের অশেষ নেকি হাছিল ক্রুন।"
সত্যি হরর, লোমশ থাবা অনুভব করছিলাম গল্পের পরতে পরতে। দারুণ, দারুণ এবং দারুণ। কামড়ের তুলনায় আঁচড়ের বুনন অনেক ঋদ্ধ। ধন্যবাদ।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
'আঁচড়' দেখেই আমিও বুঝেছিলাম ওয়্যারউলফ আসছে৷ এককালে প্রচুর উইচ, উইচহান্ট, ভ্যাম্পায়ার, ওয়্যারউলফ -- এইসব গল্প পড়েছি৷ কিন্তু কোন একটা বইয়ে পড়েছিলাম, আঁচড় যে খায়, সে তো আস্তে আস্তে ওয়্যারউলফ হয়ে যায়৷ টোনা একইসাথে ভ্যাম্পায়ার আর ওয়্যারউলফ হবে কী করে?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
সেটাই তো শেষ পর্বে দ্রষ্টব্য রে গালফোলাদি!
যাক! মাঝে মধ্যে ভুদাই পাঠক হওয়ার সুবিধা আছে...
আমি কিন্তু কিছুই বুঝি নাই, তাই শেষে আইসা বেদম মজা পাইসি...
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হাহাহা কাঁপায়া ফালাইলেন তো
কিন্তু এইটারে সিরিজ না করলে তো চলতাসে না
তাড়াতাড়ি পরের পর্ব ছাড়েন
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সিরিজটা ভালো লাগলো, মেঘলা দিনে ভূতের গল্প বেশ ভালো জমে। আমাদের দেশী ভূত নিয়ে একটা গল্প লিখে ফেলেন এইবার। শাকচুন্নী কিংবা মামদো ভূতগুলো তো এই যুগে এসে কোথাও ঠাই না পেয়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। একেতো চারিদিকে বাড়ীঘর উঠে তাদের থাকার জায়গা নাই, আর অন্যদিকে নতুন বইগুলোতে ভ্যাম্পায়ার র হ্যারি পটারের ভূতেদের রাজত্ব।
শুভ কামনা সব সময়ে।
খুব ভালো লাগলো, উৎসাহ দিলেন বলে। এই গল্পগুলি ঠিক প্রকৃত ভয়ের গল্প লেখার উদ্দেশ্যে লেখা না, এমনি দুষ্টুমি করে কীবোর্ড দাবানো। সত্যিকারের ভয়ের গল্প লেখা ... খুব কষ্টসাধ্য কাজ। আমি এ পর্যন্ত একটাও লিখতে পারিনি।
দেশী ভূতগুলি সম্পর্কে জানি কম। একেবারে গুড়াগাড়া থাকতে প্রচুর ইলাসট্রেটেড ভূতের বই পড়তাম। কিন্তু আমি ঠিক ঐ রসটা আত্মস্থ করতে পারিনি। ঐ ধরনের গল্পগুলি নিজে নতুন করে লিখতে যাবার চেয়ে ভালো হয়, যদি আমরা বড়দের মুখে ছেলেবেলায় শোনা ভূতের গল্পগুলি সংকলিত করতে পারতাম। ঐ গল্পগুলি আসলেই লুপ্তির মুখে।
আপনি আগ্রহী হলে হাত লাগাতে পারেন। সচলায়তনে ব-e বলে একটা ব্যাপার আছে, সবাই যেখানে বিচ্ছিন্নভাবে এক একটা পাতা যোগ করতে পারেন। কিংবা চাইলে সকলের কাছ থেকে এক এক করে গল্প সংগ্রহ করে পিডিয়েফ আকারে একটা ই-বুকও প্রকাশ করা সম্ভব।
সূদুর অতীতে এরকম একটা ভাবনা ভেবেছিলাম। সে মোতাবেক দুয়েকটা গল্প তুলেছিলাম কোথাও। সেগুলো আবার খুঁজে বের করতে হবে।
উত্তম। মাগার যিদিকেই চাই...ভ্যাম্পের পর পরই নেকড়ের উৎপাত, আন্ডারগ্রাউন্ড এত্যাদি......তাই বুইঝ্যে ফেলছিলাম আগে আগে। মনে করেন যদি দিশি কিসু হইতো......কন্ধকাটা টাইপ......ক্ল্যাইমাক্সের টাইম হঠাৎ দেখা গেলো টুনির ধড় আর মুড়া টোনার দুই দিকে বিজি.........
হোয়াটেভার। ৩য় খন্ডে হাত দিবার আগে চা খায়ে নেবার অনুরোধ। একটানে পড়বাম চাই।
সংসপ্তক
ইশশশশশশশ। আজকে ভুইলাই গেস্লাম চায়ের কথা। ধন্যবাদ ভাই। সাঁকো লাড়াইতে মানা করলেন ...
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ভাই আপনে লেখেন এরম একটা
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কামড় আর আঁচড় দুইটাই জমছে, তৃতীয়টার অপেক্ষায়।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এহহেরে......আমি ও আমার সুবিশাল চোপা ......(Me and my big mouth এর একটা ট্রাই দিলাম...)
অসাধারণ হয়েছে হিমু!
বেচারা টোনা, যে একখান খামচি খাইলো- এখন পূর্ণিমার রাইতে পিপাসা পাইলে কি করবে সে??? ব্লাড ব্যাঙ্কগুলারও তো আজকাল বিশ্বাস নাই।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমিও আঁচড় নাম পড়ে আগে তেমন কিছুই বুঝি নাই, বা বোঝার চিন্তাও মাথায় আনি নাই। গল্পের মধ্যে ঢুকে গেছিলাম । এখনও ঘোর কাটেনি।
উফফ!! ২ টা গল্পই খুব মজা পাইলাম! এটার শেষটা অবশ্য অনুমেয় ছিল। কিন্তু মজার কমতি হয় নাই। সালাম বস্।
টোনালাইটের এই পর্বটা তো তাইলে নিউ টোনা না?খুব ভালো লেগেছে। এখন রবার্ট প্যাটিন্সনের চেহারাটা চোখে ভাসছে কি সমস্যা। টোনালিপ্সের অপেক্ষায় থাকলাম
কামড়টা আমার সুবিধার লাগে নি, ব্যক্তিগত কাহিনীর মতো, সার্বজনীনতা খুঁজে পাচ্ছিলাম না, তবে শুধু শুধু সে সব কথা আর লিখি নি। এইটা দুর্দান্ত লাগলো, বিশেষত শেষে যখন ভ্যাম্পায়ার পূর্ণিমা-স্নাত শহরের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো তখন সেই ব্যাপারটা হলো যেটা হলে গল্প পড়ে তৃপ্তি হয়, একটা ফাইনালিটির অনুভব। এর পরের পর্ব না এলেও ক্ষতি নেই, তবে পোস্ট হলে পড়বো অবশ্যই।
আপনার মন্তব্য না পেয়ে বুঝেছি।
আর কেন যেন মনে হয়েছে, আপনি আপনার স্বভাবসুলভ সমালোচনায় কুণ্ঠাবোধ করছিলেন। নিশ্চিন্ত মনে ত্রুটিগুলি আমাকে ধরিয়ে দিন, নাহলে সেগুলি পুনরাবৃত্ত হবে। আমার দ্বিমত-ত্রিমত থাকলে সেগুলিও পরিষ্কার করা যাবে।
কামড় আর আচঁড় দুইটাই চ্রম হইছে।:)
কামড়া-কামড়ি আর আচঁড়া-আচঁড়ির পাস্রাপাস্রিতে কি ঘটে তাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।:D
/
ভণ্ড_মানব
তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় নাজির।
গল্পে খাইষ্টা উপাদানের একটু অভাব অনুভব করলাম (আগেরটার তুলনায়)
তবে শহরের উপরে বাদুড় উড়ে যাওয়ার ব্যাপারটা ভাল্লাগসে। আমি হরর পড়িও না (এখন আর) দেখিও না। তয় এই দুইটা গল্পকে আমার কোনোভাবেই হরর মনে হয় নাই। বরং অনেকটাই স্কেয়ারি মুভির মতন - আমোদজনক ও উপাদেয়
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
নাম পইড়াই বুইঝা গেসিলাম্রে মামু! তয় কামড়াকামড়ি আর আচড়াআচড়ির পরে এহন ফালাফালি হইবো কিনা বুঝতাসিনা...তয় হাসছি পরান খুইলা ওয়ারড্রোবের উপ্রে রাইখা!
----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।
- ললিতবিস্তর
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
"পোঁদাঙ্ক " ...... কত্তবড় আবিষ্কার
***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
আপ্নে পারেনও!
আমিও ভুদাই পাঠক। আগে থেকে কিসু বুঝিনাই।
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
অসাধারণ গল্প দুটো পর্ব মিলে
০২
গল্পটাকে টুনাটুনি থেকে সরিয়ে আলাদা করে ফেলেন
একেবারে স্বতন্ত্র গল্প
টুনির বর্ণনা পড় মনে মনে হচ্ছিল......... টনা যদি vampire হয়...... টুনি ও নিশ্ছই কিছু একটা হবে.......
মজা লাগল পড়ে.........
দুই পর্ব মিলিয়ে দারুন হয়েছে, টানটান উত্তেজনা পাঠকদের ও অবস্থা হয়েছে টনার মতো কানের পাশে সব রক্ত জমে যাওয়ার দশা। কিন্তু দিলেন সেই উত্তেজনাকে জানালা দিয়ে উড়িয়ে দিলেন,
নামকরনের সাথে গপ্পের বিষয় দারুন সার্থক হয়েছে।
মাসুদ সজীব
নতুন মন্তব্য করুন