ফুটোস্কোপিক গল্প হচ্ছে ফুটোস্কোপ দিয়ে দেখা গল্প। সামান্যই দেখা যায়।
"মিলুদা, কই, লেখা শেষ হোলো?"
জীবনানন্দ হাসিমুখে ঘাড় নাড়েন। পাড়ার ছোকরাগুলি কয়েকদিন ধরে খুব জ্বালাচ্ছে।
দিন কয়েক আগে তিনি বাজারের মোড়ে ব্যাটাদের কথাচ্ছলে জানিয়েছিলেন তাঁর কবিতার কথা।
"এই কবিতাটা, বুঝলে, অনেক লোকে মনে রাখবে।" মৃদুস্বরে বলেছিলেন জীবনানন্দ।
"কবিতার নাম কী রাখলে মিলুদা?"
"বলবো, আগে লিখে শেষ করি।" স্মিতহাস্যে জবাব দিয়েছিলেন জীবনানন্দ।
সেই ছোকরাগুলিই আজ বাড়ি পর্যন্ত উজিয়ে এসেছে কবিতার খোঁজে।
তা কবিতাটা শুরু হয়েছে বেশ। খাতাখানা খুলে জীবনানন্দ মৃদু গলায় কবিতা আবৃত্তি করে চলেন।
"তিরিশ বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
বঙ্গোপসাগর থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি ; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি ; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;"
এক ছোকরা খ্যা খ্যা করে হেসে উঠলো এটুকু শুনেই।
জীবনানন্দের মুখ লাল হয়ে যায়। "হাসছিস কেন রে ইষ্টুপিট? য়্যাঁ?"
ছোকরা বহুকষ্টে হাসি থামায়। "হবে না গো দাদা, হবে না।"
জীবনানন্দ রুষ্ট কণ্ঠে বলেন, "হবে না মানে? কী হবে না? আর হবে কি হবে না তা বলার তুই কে?"
ছোকরা হাসে। বলে, "আমি পাঠক। পাঠকের আত্মায় ঘা দেবেন না।"
জীবনানন্দ বলেন, "ঘা দিলাম কোথায় আবার রে রাস্কেল?"
ছোকরা হাসে। বলে, "মোটে তিরিশ বছর হাঁটলে চলবে? আরো বাড়ান। আজকালকার জমানা অন্যরকমের গো দাদা। এটা হচ্ছে থ্রিলিং থার্টিজ! লোকে এখন এভারেস্টে চড়তে চায়, দক্ষিণ মেরুতে কচুরির দোকান খুলতে চায়। চারদিকে মাচোম্যানগিরির জয়জয়কার। আর আপনি মোটে তিরিশ বছর ধরে হাঁটবেন?"
জীবনানন্দ একটু কাঁচুমাচু মুখে ভাবেন, ঠিকই তো। "তো কী করতে বলিস? তিরিশ কেটে শতেক বসিয়ে দেবো? শতেক বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি ... ?"
ছোকরা কঠোর মুখে মাথা নাড়ে। "উঁহু। আরো চড়ান।"
জীবনানন্দ অসহায় মুখে বলেন, "আরে ছন্দ মিলতে হবে তো!"
ছোকরা ফস করে একটা বিড়ি ধরায়, ডেঁপো বদমায়েশ আর কাকে বলে! "তিরিশ কেটে হাজার করুন।"
জীবনানন্দ বিড়বিড় করে বলেন, "হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে ...।"
ছোকরা মাথা নাড়ে। "এই তো! দেখুন না, কী ঝাঁঝ! হাজার বছর ধরে আপনি পথ হাঁটিতেছেন পৃথিবীর পথে! ট্রাম বাস রেলের পরোয়া করছেন না! এই যে গোঁয়ারগোবিন্দ পথিকাত্মা, এটাই পাঠকের মুখে কষে এক চড় বসিয়ে দেবে!"
জীবনানন্দ ঘাবড়ে যান। কিন্তু তিরিশ কেটে গুটি গুটি হরফে হাজার লেখেন।
আরেক ছোকরা মন দিয়ে শুনছিলো এ বিতণ্ডা, সে এবার গলা খাঁকরে বলে, "আর ঐ বঙ্গোপসাগরটাও পাল্টে দিন দাদা। দেশি জিনিস লোকে পছন্দ করে না। স্বদেশী আন্দোলনের মূল্যই দিতে শেখেনি কবিতার পাঠক! তারা বিলেতি সাবান মাখে, বিলেতি পমেটম ঘষে, বিলেতি কাপড়ের উড়ুনি পরে! ওটাকে ভূমধ্যসাগর করে দিন।"
বিপ্লবী গোছের একজন ক্ষেপে ওঠে, "ক্যানো রে? ভূমধ্যসাগর করতে হবে ক্যানো? বঙ্গোপসাগর খারাপটা কী?"
একটা জোর তর্ক বেঁধে যায়।
জীবনানন্দ দুর্বল গলায় বলেন, "আহ, ঘরের ভেতর এতো গোল কোরো না তো! আচ্ছা যাও, দু'পক্ষের কথাই রইলো। মাঝামাঝি কোথাও দিই। সিংহল সাগর। সিংহল সাগর কেমন শোনায়?"
প্রথমজন বলে, "পড়ুন দিখি!"
জীবনানন্দ কেশে গলা সাফ করে নিয়ে পড়েন,
"হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি ; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি ; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;"
সবাই মাথা নাড়ে। একজন বলে, "হ্যাঁ, এখন বেশ ভালো শোনাচ্ছে। একটা বেশ ইয়ে আছে, নাকি বলিস?"
সবাই স্বীকার করে, একটা বেশ ইয়ে আছে কবিতাটায়।
জীবনানন্দ বলেন, "তারপর শুনবি আরো, নাকি তক্কো করবি শুধু?"
সবাই শুনতে চায় আরো।
জীবনানন্দ পড়ে যান,
"আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলো খুলনার নেত্যকালী সেন।"
ঘরে যেন নৈঃশব্দ্যের বোমা এসে পড়ে! সকলে চুপ করে যায়।
অবশেষে একজন উঠে দাঁড়ায়। তার মুখ থমথমে, চোয়াল শক্ত। চিবিয়ে চিবিয়ে সে বলে, "আপনে নিজে বরিশালের পোলা, আর আপনে কোবিতা লেখসেন খুলনায় মাইয়া লইয়া? ছি ছি ছি!"
জীবনানন্দ থতমত খেয়ে বলেন, "কিন্তু ... আমি ... আমি ...।"
ছোকরা গর্জে ওঠে। "খবরদার! বেশি এতালবেতাল করবেন না! খুলনার মাইয়া লইয়া কোনো কোবিতা ল্যাখা চলবেনা! ওইসব খুলনা টুলনা বাদ দিয়া ঢকপদ কইরা কিছু লেহেন!"
জীবনানন্দ ঢোঁক গিলে বলেন, "কিন্তু তোমাদের তো বুঝতে হবে ... এটা একটা কবিতা মাত্র!"
তুমুল শোরগোল ওঠে। ছোকরার দল হট্টগোল করতে থাকে। কবিতায় খুলনা থাকা চলবে না।
জীবনানন্দ কপালের ঘাম মুছে বললেন, "তাহলে কি যশোর করে দেবো?"
একটি ছোকরা বলে, "পড়েন দেখি!"
জীবনানন্দ পড়েন,
"আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলো যশোরের নেত্যকালী সেন।"
সবাই তুমুল অসন্তোষে মাথা নাড়ে। একজন দাঁতে দাঁত পিষে বলে, "যশোইরগারাও জোম্মের খারাপ! ওগো লইয়াও কোনো ল্যাহাল্যাহি করবেননা কোলোম!"
জীবনানন্দ বলেন, "তাহলে? তাহলে কি সিলেট দেবো? সিলেটের নেত্যকালী সেন?"
ছোকরার দল এবার জীবনানন্দকে প্রায় ধরে পেটায় আর কি! সিলেট পর্যন্ত যেতে হবে কেন? বরিশালের মেয়ে কী দোষ করলো?
জীবনানন্দ ক্লান্ত হয়ে বলেন, "আরো দুত্তোরি! বরিশাল দিলে ছন্দ মেলে না তো!"
ছোকরারা মানতে রাজি নয়। তারা বলে, আপনি কবি, ছন্দ মিলানোই আপনার কাজ। দরকার হলে নেত্যকালীকে পাল্টান। কমলা সেন, রমলা সেন লিখুন।
জীবনানন্দ বিব্রত হয়ে বলেন, "আচ্ছা, নেত্যকালীকে বাঁকুড়া পাঠিয়ে দিই বরং? বাঁকুড়ার নেত্যকালী সেন?"
এক ছোকরা বলে, "নেত্যকালী নামটাই তো সুবিধার নয় মিলুদা! ওসব আদ্যিকালের নাম চলবে না! নতুন কিছু রাখুন! আধুনিকা, তন্বী তরুণীর ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠতে হবে তো! নেত্যকালী তো আমার দিদিমার নাম!"
বাকিরাও হই হই করে ওঠে। নেত্যকালী চলবে না। অন্য কিছু রাখতে হবে।
এবার জীবনানন্দ হাল ছেড়ে দেন। "বল তাহলে তোরাই বল। কী নাম রাখবো?"
বিপ্লবী চেহারার ছেলেটি বলে, "প্রীতিলতা সেন!"
একজন তাতে আপত্তি করে। "উঁহু। সিডিশন আইনে ফেলে কোঁৎকা লাগাতে পারে মিলুদাকে। প্রীতিলতা বাদ।"
বিপ্লবী ছোকরাটি তেড়ে আসে, "ক্যানো রে কাপুরুষ!"
আবার তুমুল হট্টগোল বাঁধে।
জীবনানন্দ মীমাংসা করার চেষ্টা করেন, "আহা এসব হচ্ছে কী? থাম তোরা! আচ্ছা ... সুখলতা করে দিই। বাঁকুড়ার সুখলতা সেন।"
সবাই জল্পনা করতে থাকে। সুখলতা? সুখলতা সেন? হুমমমমম।
এক ছোকরা বলে, "বাঁকুড়া আমার মেজ পিসের বাড়ি। এমন হতচ্ছাড়া লোক আর দুটো দেখিনি! ছোটলোকের হদ্দ! পিসির জীবনটা ছারখার করে খেয়েছে। বাঁকুড়া টাকুড়া চলবে না। অন্য কোনো লোকেশন বাছুন দাদা!"
নাম নিয়ে আরেক ছোকরা ঘ্যাঙায়। "সুখলতা আমার সেজ কাকীমার নাম। না না না, অন্য কিছু রাখুন দাদা। শেষে একটা কেলেঙ্কারি না বাঁধে!"
জীবনানন্দ ক্ষেপে ওঠেন ভয়ানক। "তোরা এক একটা মহামূর্খ!" চিৎকার করে বলেন তিনি। "খুলনায় সমস্যা, যশোরে সমস্যা, সিলেটে সমস্যা, বাঁকুড়ায় সমস্যা! নেত্যকালীকে কোথায় পাঠাতে বলিস, নাটোরে?!"
সবাই চুপ হয়ে যায়, একজন শুধু বলে, "নেত্যকালী তো নয়, সুখলতা!"
আরেকজন বলে, "নাটোরের সুখলতা সেন! হুমমম, খারাপ শোনাচ্ছে না দাদা!"
যার সেজ কাকীমার নাম সুখলতা, সে আবার ফুঁসে ওঠে, "না না না! সুখলতা রাখা চলবে না!"
জীবনানন্দের চোখে জল চলে আসে। "তোরা এক একজন মনুষ্যপদবাচ্য নোস!" ধরা গলায় বলেন তিনি। "কোনো সুখ নাই আমার জীবনে! একটা কবিতা লিখবো বলে খাটছি অহর্নিশি, আরো তোরা, পদে পদে গিয়ানজাম করিস! বরিশ্যাইল্যা কোথাকার! থাকবো না আর এখানে। সুখ নাই যখন, বনে চলে যাবো, বনবাসী হব!'
ছোকরাদের একজনের মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। "সুখ নাই, বনে যাবেন?"
জীবনানন্দ বলেন, "হ! বনেই যামু গিয়া!"
ছোকরা উজ্জ্বল মুখে বলে, "পাইসি রে দাদো! সুখ কাইডগা বন বসাইয়া দ্যান! বনলতা সেন! নাটোরের বনলতা সেন!"
জীবনানন্দ একটু থতমত খেয়ে যান। "বনলতা সেন?"
ছোকরারা সবাই সানন্দে সম্মতি জানায়। নাটোর নিয়ে কারো আপত্তি নাই, কারো বজ্জাত পিসের বাড়ি সেখানে নয়, আর বনলতা সেনও কারো কাকীমার নাম নয়।
জীবনানন্দ গোমড়ামুখে টুকে রাখেন নামটা। তারপর বলেন, "এইবেলা বেরো সবাই বাড়ি থেকে! আর কোনোদিন যদি তোদের কবিতা পড়ে শোনাই, তাহলে আমার নাম জীবনানন্দই নয়!"
...
মন্তব্য
ধন্য হিমু। আমার নতশির সালাম নাও।
টুনিরে টোনা...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
টু গুড!
সিরাম!!!
---------------------
আমার ফ্লিকার
আপনার কল্পনাশক্তি আসলেই
খোমাখাতায় যা বলসি আবার বলি...
...এই লেখা পড়লে জীবনানন্দ নির্ঘাত ট্রামের নিচে ঝাঁপ দিতেন...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এসবের মানে কি! :-@
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
সুন্দর!
খাসা! তোফা!
'খুলনার নেত্যকালী সেন!' হাহাহাহা!
__'_____________________________
আর সব যুদ্ধের মৃত্যুর মুখে হঠাৎ হাসির মতো ফুটে ওঠা পদ্মহাঁস
সে আমার গোপন আরাধ্য অভিলাষ!
--আবুল হাসান
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
পুরা ব্লাসফেমি! এইটা পড়লে জীবনানন্দ আত্মহত্যা করতো (আবারো)
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ওডিন ভাই, এই পোস্টটা পড়ে দেখেন। জীবনানন্দের আত্মহত্যা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে কিন্তু।
লিঙ্কটার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। আর ওনার ব্লগটাতো অসাধারণ!
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
সবুজ বাঘ একবার বলছিল,
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
...হুমমম...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হি হি হি।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
" আমারে দুদন্ড শান্তি দিয়েছিলো বরিশালের নেত্যকালী সেন" লিখতে ছোকরারা বাধ্য করলে---- ওরে বাবা, মারা যাচ্ছি হাসতে হাসতে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হিমু ভাই, আপনি কী ভাই বলেন তো? এত মজা অনেকদিন পাই নাই। বেশি মজা পাইছি কারণ পূর্বপুরুষ ছিল বরিশালে আর এখন আমার বাবা-মা থাকেন খুলনাতে।
আপনারে লাখো সালাম।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
পড়তে গিয়া হাসির চোটে হেচকি তুলতে তুলতে ভাবলাম খোমাখাতার বনলতা সেন রে লেখাটা দেখাই, পড়ে দেখি, তিনিও পড়ে মন্তব্য করে গেছেন। পুরাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
প্রোস্ট আউফ নেত্যকালী সেন!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
হা হা! বিয়াপক মজা পাইলাম। বরিশাইল্যায় অনুবাদ নিখুঁত হয়েছে। =D
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
হিমু ভায়া,
পড়ে বিমল আনন্দ হলো।
শুভাশীষ দাশ
- পানশালা'র মতো তোর এই সিরিজেরও আমি বিশাল ফ্যান। এইটাও যথারীতি দারুণ হৈছে। এইবার একটা পানশালায় মন্দিবি নাকি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সৌদিয়া ধুলো আজ,
বেলিবন ছাই হয়ে আছে
হাহাহা... সাংঘাতিক মজা পেলাম!
বকাচৌ ডরাইছে!!!
চ্রম হইসে। বেচারা জীবনানন্দ, মরেও শান্তি নাই
ব্যাপক মজা পাইলাম!
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
১০০০% খাঁটি.......... আমার বাড়ি নাটোর... সেখানে কোন বজ্জাত নাই। আর একখান দুঃখের কথা- আমার শ্বশুর বাড়ী জীবনানন্দের বাড়ীর পাশে। প্রতিশোধ লইছি...... সে হুদাই লিখছিলো আর আমার ডাইরেক্ট এ্যাকশান।
ফাটায়ে দিছেন এক্কেবারে! জীবনানন্দ অতিশয় বদাত্মা ছিলো।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভাই আপ্নের কল্পনা শক্তি তো বাঁধ মানতেছেনা
আমারো মজা বাঁধ মানতেছেনা
স্পার্টাকাস
'নেত্যকালী' নাম নিয়ে এত এত খিল্লি দেখে আজ রাতে যদি ভুশন্ডীর মাঠ থেকে নেত্যকালী ধেয়ে আসে, তখন? তখন কী হবে?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
অলরেডি এসেছে । কী আর হবে ... জান হাতে নিয়ে ভাগা মারবো। ভজুয়াকে বহেনিয়া ভগালুকে বিটিয়ার হাতে তো আর জান খোয়ানো যায় না।
ব্যস্ত থাকায় আজকাল আসা হচ্ছে না। আজ হঠাৎ কেন জানি উঁকি দিতে এটা চোখে পড়ল।
হা হা হা। হাসতে হাসতে শেষ। কী বলব হিমুদ, এক ব্যাগ হাততালি উপঢৌকন দিলাম।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ব্যস্ত থাকায় আজকাল আসা হচ্ছে না। আজ হঠাৎ কেন জানি উঁকি দিতে এটা চোখে পড়ল।
হা হা হা। হাসতে হাসতে শেষ। কী বলব হিমুদা, এক ব্যাগ হাততালি উপঢৌকন দিলাম।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
নেত্যকালী সেনরে নিয়ে হাসতে হাসতে চোখে পানি এসে গেল!
হাজার বছর হাঁটা লাগবে না, আপনি হাজার বছর বাঁচেন হিমু ভাই...
দু'দণ্ড শান্তি নাই রে ভাই এই দুনিয়ায় , হাঁটতে হাঁটতে ঠ্যাঙের গিরা ব্যথা হয়ে যাবে। আর বছর পঁচিশেক বাঁচতে পারলেই খুশি। অশেষ ধন্যবাদ।
- দোস্ত, তারপর তোর শেষ পক্ষের ষোড়শী পরিবারের কী হবে রে? তুই তো মইরাও শান্তি পাইবি না! তোর কবরের আশেপাশের সব বোবা জন্তুরা তোর কান্দোন শুনবো। আর শুনবো তোর কবরের মাটির ফ্লোর চাপড়াইয়া বিলাপ। লগে আবছা একটা নাম, 'মিম-হা', তোর 'দ্য প্রক্সি সার্ভার'। এতো জলদি ইন্তিকাল করিস না, আর কয়টা দিন বাঁইচা যা। তোর ঘরে গুলাবী বংশধরের আবাদি দেইখা যা, দোস্ত না ভালা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চব্বিশ বছর এগারো মাস ঊনত্রিশ দিনের মাথায় একটা টবে মিম-হার বিচি দুইটা পুঁতে রেখে যাবো। তারপর একটা গাছ গজাবে, সেখানে মিম-হা-ফুল ফুটবে। তুই ঝাঁঝরি হাতে সেই ফুলগাছে পানি দিবি আর গামছা দিয়া চোখ মুছবি। ঠিকাছে না ?
- দ্যাখ দোস্ত, খোয়াব দ্যাখ। মরার আগে অন্ততঃ খোয়াবই দেইখা যা। মৃত্যুপথযাত্রীরে আমি কিছু কই না। যা দিমু নি পানি, তোর পরিবাররে দিয়া পানির লোটা টানাইয়া আমিই দিমুনি তোর গুলাবিবীচির গাছে পানি। খুশি এইবার?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সুজন ভাই, সুহান, নিবিড়, সিরাত, পিপিদা, জিয়েম, খেকু, পরী, নক্ষত্র, মূলোদা, মণিকা, ওডিন, বদ্দা, দুষ্ট বালিকা, তুলিরেখা, রেশনুভা, সাইব্বাই, পুতুল, অবাঞ্ছিত, শুভাশীষ, মিম-হা, আলমগীর ভাই, ভ্রম, ভূতোদা, সাফি, কল্পনা, রেনেসাঁ, ভুতুম, স্পার্টাকাস, গালফোলাদি, আশরাফ ... আপনাদের সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ।
হালায় আমার কেরিয়ারটার ৩৬টা বাজায়া দিছে। এরে নিয়া কেউ কিছু কল্লে আমি খুশি হই।
দে শালারে...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
চালিয়ে যা ব্যাটা বান্দর!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ফেসবুকে মার্লাম!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বহুত মজাক পাইলাম।
রোমেল ভাইয়ার পোষ্টে লিংক দেখে ঢুকলাম...চ্রম পাজী তো আপনি! তবে পাজীমুটা দারুণ উপভোগ্য
ও আল্লা এইটা কি পড়লাম..... হা.... হা... হি.... হি .... দেখছো নি অবস্থা পেটে খিল ধরে গেছে....
Himu vaia third times porlam.. joto pori totoi valo lage...
সুখপাঠ্য
ক্ল্যাসিক লেখা, আজ আবারও পড়লাম কবির প্রস্থান দিনে, উনিও পড়লে মুচকি হাসতেন
facebook
আজ আপিলা-চাপিলা পড়তে গিয়ে এক জায়গায় পেলাম, অশোক মিত্র বনলতা সেন নামটা নিয়ে বাহুল্যবর্জিত স্মৃতিচারণ করেছেন:
নতুন মন্তব্য করুন