পিপলু ঘুমমাখা চোখে বিছানায় শুয়েই আস্তে করে ডাক দেয়, "মা!"
আস্তে করে ডাকলে মা সাড়া দিতে পারে, যদি মা নিজের ঘরে থাকে। সাড়া পায় না পিপলু। তার মানে মা রান্নাঘরে, নাস্তা বানাচ্ছে। পিপলু আরো জোরে ডাকে, "মা! মা! মা!"
পিপলুর মা দূর রান্নাঘর থেকে সাড়া দেন, "এই যে আমি এখানে!"
পিপলু আরো কিছুক্ষণ শুয়ে থাকে তারপরও। পর্দা ঠেলে সকালের রোদ এসে পড়েছে বিছানায়। কেমন একটা ধূলো ধূলো ঘ্রাণ চারদিকে।
পিপলু উঠে পড়ে, তারপর সাবধানে বিছানা থেকে নামে। এরপর সে একছুটে রান্নাঘরে মায়ের কাছে গিয়ে হাজির হয়। পিপলুর মা আটা গুলে রুটি বানাচ্ছেন। পিপলু পেছন থেকে মা-কে জড়িয়ে ধরে।
রুটি বানানোর ব্যাপারটা পিপলুর খুব ভালো লাগে। একগাদা সাদা আটা নিয়ে গরম পানি দিয়ে একটু গুলে, কাঁই বানিয়ে, সেখান থেকে একদলা করে নিয়ে, কাঠের ওপর একটু সাদা আটা ছিটিয়ে, তারপর ডলে ডলে কী সুন্দর গোল এক একটা রুটি হয়! সেটাকে তারপর তাওয়ার ওপর সেঁকা হয়। মা মাঝে মাঝে পিপলুর জন্যে ছোটো করে রুটি বানিয়ে দেন। সেগুলোর পেটের কাছটা একটু ফুলে ওঠে, সারা ঘরটা রুটি আর কাঁচা আটার গন্ধে কেমন ঝনঝন করে ওঠে।
পিপলুকে দেখে পিপলুর মা নাক কুঁচকে হাসেন। বলেন, পিপলু যাও দাঁত মেজে এসো! মুখচোখ ধুয়ে এসো! ঘুম থেকে উঠে মুখ না ধুয়ে রান্নাঘরে এসেছো কেন?
পিপলু তবুও মায়ের কাছ ঘেঁষে কিছুক্ষণ রুটির গন্ধ শোঁকে। মায়ের শরীরটাই একটা বড় ফুলকো রুটির মতো ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে। সে বলে, আমাকে কয়েকটা ছোটো রুটি বানিয়ে দাও!
পিপলুর মা বলেন, হ্যাঁ হ্যাঁ তোমার ছোটো রুটিই বানাচ্ছি। মুখ ধোও এখন।
পিপলু এবার বাথরুমে চলে আসে মুখ ধুতে। বাথরুমে ঢুকে তার নাক কুঁচকে আসে, বাবা বাথরুমে সিগারেট খেয়েছে, গোটা বাথরুমটা সিগারেটের ভারি গন্ধে গম্ভীর হয়ে আছে। পিপলু পানির ট্যাপ ছাড়ে, বেসিনে সে মুখ ধুতে পারে না এখনও, শুধু কোনোমতে দাঁত মেজে পেস্ট ফেলতে পারে।
টুথব্রাশে অনেকখানি টুথপেস্ট নিয়ে পিপলু শুঁকে দেখে সেটা। মিষ্টি ঝাঁঝালো একটা গন্ধ। পিপলু চুপচাপ দাঁত মাজতে থাকে। তার মুখটা ফেনায় ভরে উঠছে আস্তে আস্তে। সাবধানে সে বেসিনে ফেনাগুলি থু করে ফেলে।
হাতমুখ ধুয়ে বেরিয়ে পিপলু রান্নাঘরে যায় আবার। বাবা নিজের ঘর থেকে ডাক দেন একবার, পিপলু উঠেছো? নাস্তা খেতে বসো!
পিপলু রান্নাঘরে গিয়ে দেখে, মা চায়ের পানি বসিয়েছেন। গরম তেলে ডিমভাজার গন্ধে রান্নাঘর মাতোয়ারা। ডিমভাজা দিয়ে রুটি খেতে পিপলুর ভালো লাগে না, কিন্তু বাবা বকা দেবে না খেলে।
বাবার সাথে বসে নাস্তা খেতে খেতে পিপলু ভাবে, বড় হয়ে সে-ও চা খাবে নাস্তার সাথে। বাথরুমে একটা সিগারেটও খাবে। যদিও সিগারেটের গন্ধ পিপলুর সহ্য হয় না। কিন্তু বাবা যখন পারে, পিপলুও পারবে।
পিপলু মাঝে মাঝে বাবার চায়ের কাপের শেষ অর্ধেকটা চেয়ে নিয়ে খায়। বাবার মনমেজাজ ভালো থাকলে ঐটুকু তাকে দিয়ে দেয়, না থাকলে বকা দেয়, বলে বাচ্চাদের চা খেতে নেই। আজ বাবার মুখচোখের দিকে তাকিয়ে পিপলু ভরসা পেলো, বাবার মুখটা হাসি হাসি।
পিপলুর মা এক কাপ চা এনে রাখেন টেবিলে। চায়ের গন্ধটা পিপলুর বড় ভালো লাগে, গরম মিষ্টি চোখা একটা ঘ্রাণ, নাকে ঢুকলেই ভালো লাগে। বাবাও নিশ্চয়ই চা খেয়ে খুব মজা পায়, চোখ দুটো একেবারে বুঁজে হাসিমুখে এক একটা চুমুক দেয়। পিপলু বাবার কোল ঘেঁষে গিয়ে চা খাবার বায়না ধরে।
পিপলুর বাবা বলে, তুমি তোমার ছোটো কাপটা নিয়ে এসো, আমি ঢেলে দিই?
পিপলু বলে, না আমি তোমার কাপে খাবো!
পিপলুর বাবা হাসতে হাসতে পিপলুর মাথায় হাত বুলিয়ে কাপটা রেখে উঠে পড়েন। পিপলু বাবার চেয়ারে বসে বাবার মতো করে বসে চোখ বুঁজে চায়ের কাপে চুমুক দেয়। সেখানে চায়ের ঘ্রাণের পাশাপাশি হালকা তামাকের গন্ধ।
পিপলু এখনও স্কুলে যায় না। বাবা বলেছে আগামী বছরই তাকে স্কুলে ভর্তি করে দেবেন। স্কুলটা বাড়ির কাছেই, অফিসে যাবার পথে বাবা পিপলুকে নামিয়ে দেবেন, মা গিয়ে পরে নিয়ে আসবেন। আরেকটু বড় হলে নাকি পিপলু একাই যেতে পারবে।
বাবা চলে যাবার পর তাদের বাসাটা চুপচাপ। মা রান্নাঘরে টুকটাক কাজ করেন, নয়তো এক কাপ চা নিয়ে এসে বারান্দায় বসেন, নয়তো পিপলুকে একটু একা রেখে পাশের বাসার আন্টির সাথে গল্প করতে যান। পিপলু সারাটা দিন ঘরে খেলে, বিকেলে একটুক্ষণের জন্যে বাইরে খেলে, মা তখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে পাহারা দেন।
মা রান্নাঘর থেকে ডাকেন, পিপলু, তুমি দুষ্টুমি কোরো না কিন্তু, হ্যাঁ? আমি যাই একটু তোমার আন্টির কাছে?
পিপলু বলে, আমি খেলতে যাই নিচে?
মা রাজি হন না। বলেন, না এখন অনেক রোদ। তুমি বিকেলে খেলো। এখন ঘরে খেলো?
পিপলুর ঘরে খেলতে খুব একটা ভালো লাগে না। আর খেলার তেমন কিছু নেই। দাদা-দিদি ছুটিতে বাড়িতে এলে পিপলুর সাথে খেলে, কিংবা তাকে বেড়াতে নিয়ে যায়, একা একা ঘরে বসে পিপলুর খেলার সুযোগ কম। পিপলু বসার ঘরে গিয়ে বই হাঁটকাতে থাকে ছবির বইয়ের খোঁজে।
পিপলু কিন্তু পড়তে পারে। স্কুলে গিয়ে তার সমস্যা হবে না। সে বানান করে বাংলা অনেক কিছু পড়তে পারে, তবে সব বোঝে না। সে দুয়েকটা বই নামিয়ে দেখে, সেগুলোতে কোনো ছবি নেই, খুদিখুদি অক্ষরে অনেক কিছু লেখা, সব সে বোঝে না। নাকের কাছে নিয়ে সে বইগুলো শুঁকে দেখে। বইয়ের ভেতরে একটা কেমন যেন গন্ধ। পিপলু একটা বই রেখে আরেকটা বই খোলে। সেটা দেখতে একটু ময়লা, গন্ধটাও অন্যরকম। আবার সাদা কাগজের বইগুলোর গন্ধ আলাদা। এক একটা বইয়ের গন্ধ এক একরকম।
পিপলু কিছুক্ষণ বই ঘেঁটে একটা বল নিয়ে বারান্দায় আসে। দাদা তাকে একটা খেলা শিখিয়ে গেছে, একটা ঝুড়ি শুইয়ে রেখে কিক করে বলটাকে তার মধ্যে ঢোকানো। মজার খেলা।
কিছুক্ষণ খেলার পর পিপলু দেখে, মা আবার ফিরে এসেছেন। সে মায়ের পিছুপিছু রান্নাঘরে ঢোকে।
কী রান্না করো? পিপলু জানতে চায়।
পিপলুর মা বলেন, শাকভাজা আর ডাল। আর মুরগির মাংস আছে, মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খেও।
পিপলু রান্নাঘরে বসে বকবক করতে থাকে মায়ের সাথে। এটা কী, ওটা কী, এটা কী কাটো, ওটা কী বাটো? রোজই সে একই প্রশ্ন করে যায় মা-কে, মা-ও রোজই তাকে একই উত্তর দিয়ে যান।
ডালের জন্যে মশলা ভাজার সময় হতেই পিপলু বলে, আমি ঢালবো, আমি ঢালবো!
পিপলুর মা হাসতে হাসতে অল্প একটু ডালসেদ্ধ একটা বড় ডালের চামচে করে তুলে দেন পিপলুর হাতে, পিপলু সেটা নিয়ে ঢেলে দেয় কড়াইতে। ভুশভুশ করে শব্দ হয়, তারপর ছ্যাঁৎ করে জ্বলে ওঠে যেন সব। সারাটা ঘর ডালের কর্কশ গন্ধে ভরে যায়।
পিপলু মাকে জড়িয়ে ধরে বকবক করতে থাকে আবোলতাবোল। পিপলুর মা মুখ টিপে হাসেন আর পিপলুর কথায় তাল দিয়ে যান। পিপলু মায়ের শাড়ি শুঁকে দেখে, একদম ডালের গন্ধ, মনে হয় মা যেন একবাটি ডাল!
সেদিন বাবা অফিস থেকে ফেরার সময় সাথে একটা মাছ নিয়ে এসেছিলেন। মাছের গন্ধ পিপলুর ভালো লাগে না, মা মাছটা কাটার পর সে মাকে জাপটে ধরতে গিয়ে দেখে, মা-ও একটা মাছ হয়ে গেছে, মায়ের শাড়িতে হাতে মাছের গন্ধ। মা যা রাঁধে, তা-ই হয়ে যায়।
রান্নাবান্না শেষ হবার পর পিপলুর মা পিপলুকে বলে, এবার চলো তোমাকে গোসল করিয়ে দেই!
পিপলু সাথে সাথে ছুট লাগায়। মায়ের সাথে এটা তার একটা খেলা। সারাঘরে অনেক ছোটাছুটি দাপাদাপি শেষে মা তাকে পাকড়াও করেন, হুমহাম করে টেনে নিয়ে যান গোসল করিয়ে দিতে।
ঝর্ণা ছেড়ে ভিজতে ভিজতে পিপলু অনেক দুষ্টুমি করে, মাকে ভিজিয়ে দেয়, সাবান মাখাতে গেলে চিৎকার করে, চোখ জ্বলে গেলো, চোখ জ্বলে গেলো! পিপলুর মা তাকে আচ্ছা করে সাবান মাখিয়ে গোসল করিয়ে দেন। পিপলু বলে, শ্যাম্পু করে দাও?
শ্যাম্পুর গন্ধটা পিপলুর কাছে খুব ভালো লাগে, সাবানের গন্ধের চেয়েও। শ্যাম্পুর ফেনা চোখে গেলে আরো বেশি জ্বলে, কিন্তু তখন সে চুপ করে থাকে। মিষ্টি ভারি একটা গন্ধে তার মাথার চারপাশটা কেমন ডুবে যায়।
পিপলুকে গোসল করিয়ে দিয়ে মা বলেন, এবার তুমি মাথা মুছে বারান্দায় রোদে চুপ করে বসো। আমি গোসল করে আসি।
পিপলু উদোম গায়েই ছুটে গিয়ে বারান্দায় রোদের মধ্যে বসে। তার গা ভেজা, সে একটা টাওয়েল নিয়ে মাথায় ঘষতে থাকে। বাইরে ঝকঝকে রোদ, পরিষ্কার নীল আকাশ।
পিপলুর মা গোসল সেরে এসে বলেন, বললাম মাথাটা মুছতে, তুমি ভেজা মাথা নিয়েই রোদে বসে আছো? এই বলে পিপলুর মাথাটা গামছা দিয়ে কষে ডলতে ডলতে মুছে দেন তিনি। পিপলু মাকে জড়িয়ে ধরে শুধু শুধু চিৎকার করতে থাকে।
পিপলুকে নতুন একটা হাফপ্যান্ট পরতে দিয়ে এবার মা তাকে ভাত খাওয়াতে বসেন। মুরগির মাংস আগের দিন রান্না করা, সেটা আবার গরম করার পর রান্নাঘরটা ভরে ওঠে ঝোলের গন্ধে। পিপলু চুপচাপ চেয়ারে গিয়ে বসে। সে মায়ের সাথেই খায়, আলাদা প্লেটে তার খেতে ভালো লাগে না। মা নিজে খেতে খেতে তাকে খাইয়ে দেন।
পিপলুর মা প্রথমে শাক দিয়ে ভাত মাখেন, পিপলু মাথা নাড়ে, সে একেবারে মুরগি দিয়ে ভাত খাবে। পিপলুর মা গল্প করতে করতে একটা লোকমা মাখিয়ে আলগোছে পিপলুর মুখে তুলে দেন। পিপলু সেটা চিবিয়ে খেয়ে বলে, আর খাবো না। মুরগি খাবো।
পিপলুর মা বলেন, আচ্ছা আর একটা। তারপর কী হয়েছিলো কাল নাইট রাইডারে?
পিপলু উৎসাহ নিয়ে নাইট রাইডারের গল্প বলে যায়। পিপলুর মা মনোযোগ দিয়ে শোনেন আর একটু একটু করে শাক দিয়ে ভাত খাইয়ে দেন পিপলুকে। তারপর মুরগি দিয়ে ভাত মাখেন, তারপর ডাল দিয়ে। পিপলু গল্প বলতে বলতে সবই খায়।
ভাত খাবার পর পিপলুর চোখ একটু ভারি ভারি হয়ে আসে। সে নিজেই গিয়ে মায়ের বিছানায় শুয়ে পড়ে। পিপলুর মা বলেন, পিপলু সোনা বই পড়ে শোনাবে না মা-কে?
পিপলু উঠে গিয়ে আবার "নীল হাতি" নিয়ে আসে। পিপলুর মা পিপলুকে জড়িয়ে ধরে বলেন, তুমি একটা পৃষ্ঠা পড়ো, আমি একটা পৃষ্ঠা পড়ি।
পিপলু শুয়ে শুয়ে বইটা খুলে জোরে জোরে পড়তে থাকে।
এক পৃষ্ঠা পড়া হয়ে যাবার পর পিপলু বইটা মায়ের হাতে দিয়ে বলে, এবার তুমি পড়ো আমি শুনি। মা বইটা নিয়ে পৃষ্ঠা ওল্টান, পিপলু মাকে জাপটে ধরে শোয়।
পিপলুর মা বই পড়ে যান, পিপলু চুপচাপ মায়ের গন্ধ নেয় শুয়ে শুয়ে। এই গন্ধটা মায়ের গন্ধ। এই গন্ধটা রুটিতে নেই, চায়ে নেই, বইতে নেই, মাছে নেই, মাংসে নেই, ডালে নেই, সাবানে নেই, শ্যাম্পুতে নেই। এই গন্ধটা শুধু তার মায়ের গায়ে আছে।
পরের পৃষ্ঠায় কী হয়, পিপলু শুনতে পায় না। সে চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়ে।
মন্তব্য
গল্প পড়া হয়নি তবে একটু কৌতূহল জেগেছে-- পিচ্চিতোষ গল্পের ট্যাগ যুবা (১৮+) কেন?
একটা ইমপ্রেশন আসলে দূর করতে পারিনি। এই গল্পগুলি ন্যাদা বাচ্চাদের জন্যে আসলে নয়। আমি গল্পগুলোর পাঠক হিসেবে প্রাপ্তবয়স্কদের চাই, যাদের ভেতরে একটি বিস্মৃত শিশু আছে। যারা এই গল্প পড়ে সেই শিশুটিকে নিজের ভেতরে খুঁজবে, তার নাম ধরে ফিসফিস করে ডাকবে। এ কারণেই ট্যাগের আশ্রয় নেয়া।
" এই গন্ধটা মায়ের গন্ধ। এই গন্ধটা রুটিতে নেই, চায়ে নেই, বইতে নেই, মাছে নেই, মাংসে নেই, ডালে নেই, সাবানে নেই, শ্যাম্পুতে নেই। এই গন্ধটা শুধু তার মায়ের গায়ে আছে।"
-- মা'কে মনে পড়ে গেলো! পুরো গল্পটাই খুব সাধারণ কথাবার্তা, তবু কী ভীষণ মিষ্টি লাগলো পড়তে!
কি সুন্দর মায়া মায়া গল্প!
----------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মায়ের গন্ধ মানেই মায়ের শাড়ীর গন্ধ, মায়ের গন্ধ মানেই মায়ের হাতে রসুনের গন্ধ.. মায়ের গন্ধ.. আহা, গন্ধ রেকর্ড করার উপায় থাকলে ভালো হতো।
একটানে নিয়ে গেলেন আমাকে চার বছর বয়সের স্মৃতিতে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তোমাকেই খুঁজছে হিমু।
হে হে হে , উপরের কমেন্ট পইড়াতো তাই বুঝলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনার এই সিরিজটা আমার খুব ভালো (এটা আমার ইয়ে নতুন শিখছে কইথিকা যেনো, খালি কয় তোমাকে আমার খুব ভালো, লাগে আর বলে না)। তাই আমিও আপনার উপর এপ্লাই করলাম।
---নীল ভূত।
- সবার ভেতরেই একটা করে পিপলু আছে। অনেকের ভেতরের সেই পিপলুটা ঘুমন্ত না, বেশ জাগ্রতই। যে মাকে জাপটে ধরে ঘুমোতে চায় এখনো, যে মায়ের গা থেকে মাছের, ডালের গন্ধের পাশাপাশি মায়ের আপন গন্ধটাও নিতে চায় ফুসফুস ভরে। যে সেই স্কুলে না যেতে শুরু করার দিনগুলোর মতো এখনো মায়ের পেছন পেছন ঘুরঘুর করতে চায় সারা ঘরময়...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ হিমু ভাই।
পড়তে গিয়ে একেবারে চমকে উঠেছি হিমু।
ছেলেবেলার মায়ের স্মৃতি অনেকটা এই রকম গন্ধ মোড়ানো।
আমার মা মাঝে মাঝে সকালে সুজি বানাতেন।
সে সময় সারাটা মা, মায়ের হাত---সবকিছু কেমন যেন সুজির গন্ধ হয়ে যেত। সুজি খেতে ভাল লাগত না। কিন্তু ঐ গন্ধটা বড্ড ভাল লাগত। সে কি মায়ের গায়ে লেগে আছে বলে? হয়ত, হয়ত নয়।
কিন্তু তোমার এই লেখাটা আমাকে আমার মায়ের কথা মনে করিয়ে দিল
কতদিন মায়ের হাতের গন্ধ নেয়া হয় না
এখন তার হাতে কি সুজির গন্ধ লেগে আছে?
না কি কোন দুঃখের মলিন গন্ধ লেগে আছে তার আচলে?
জানিনা হিমু,
শুধু জানি তোমার এই লেখাটা আমার বড় প্রিয় কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দিল----
বড় অদ্ভূত এক ক্ষমতা নিয়ে এসেছ হিমু---
ভাল থাকো বস।
শুভেচ্ছা নিরন্তর---
ধন্যবাদ বস!
আপ্নে পুরাই ফাউল! কয়দিন ধরে মায়ের গন্ধটা ভাসছে...এইবার দেশে যেতে পারছিনা, তাই মন-মেজাজ খুব খারাপ! কান্দাই দিলেন ভাইয়া...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
"এই গন্ধটা মায়ের গন্ধ। এই গন্ধটা রুটিতে নেই, চায়ে নেই, বইতে নেই, মাছে নেই, মাংসে নেই, ডালে নেই, সাবানে নেই, শ্যাম্পুতে নেই। এই গন্ধটা শুধু তার মায়ের গায়ে আছে."
-- গল্পের শেষের এই লাইনটি দিয়ে চোখের কোনে পানি চলে আসার জন্য যথেষ্ট। মায়ের এই গন্ধটা কত দিন পাইনা।
-- শফকত মোর্শেদ < >
এখন ভাই মায়ের কাছাকাছি খুব কম যাওয়া হয়, বিড়ি খেয়ে মুখ গন্ধ করে রাখি, নিজেরি ইচ্ছা করেনা। নিজের দোষে নিজেই মিস করি মায়ের গায়ের গন্ধ।
স্পার্টাকাস
কী অদ্ভুত মায়াকাড়া!
সারল্যভরা গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। সহজ সরল গল্প লেখা অবশ্য সহজ কর্ম নয়। সংলাপগুলোও খুব জীবন্ত আর বাস্তবানুগ।
নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হলাম।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
হিমু ভাই, একেবারে একটানে দুই যুগ আগে নিয়ে গেলেন-
দাঁত মাজার ব্যপারটায় মনে পড়লো- সেই সময় একটা টুটিফ্রুটি টুথপেস্ট পাওয়া যেত- আমার কাজ ছিলো প্রথমেই এক্টুখানি খেয়ে ফেলা। তারপরে বাকি কাজ।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হিমু, একদম নিজের কথাই মনে হল! একদম নিজের। তুমি আর কি কি পারো?!!
আমি আপনার মতো পাঠকদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকতে পারি
- ক্যান, আমার মতো পাঠক কি তোরে ধুপুর ধাপুর কিলায় রে শালা জাজিম্যা (যে জাজিম কাইট্টা পায়ের মোজা বানায়)।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গল্প কেমন হয়েছে বলতে নেই। তবে পোস্টটা প্রিয়তে।
মাঝে মাঝে স্মৃতি ওগড়ে দিতে প্রভাবকের দরকার হয়; আর কিছু লেখা নিজে যতটা না আনন্দ দেয় কোন এক স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে দেয় তার চেয়ে শতেক গুণ আনন্দ।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
পিপিদা, মৃত্তিকা, তিথীডোর (বানানটা তিথিডোর হওয়ার কথা), সাইব্বাই, নীল ভূত, মনিরোশেন, নীল ভ্রমর, স্বপ্নহারা, শফকত মোর্শেদ, স্পার্টাকাস, ভূতোদা, মূলোদা, শেখ নজরুল, ওডিন, রাফি ... আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
ইয়ে ..হিমুদা ,' তিথী ' আজন্ম এভাবেই লিখি !জানি ,মূল বইতে বানানটা ভিন্ন.. --------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার নামে আমি অন্যায়ভাবে য'ফলা ব্যবহার করি । অনার্য্যে য'ফলা থাকলে ভাল্লাগে। না থাকলে নেংটা নেংটা লাগে
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হিমু ভাই এট হিজ বেস্ট...
_________________________________________
সেরিওজা
এবার বাড়ি গিয়ে কি হইছে বলবনা। বড় হয়ে গেছি। এখন লজ্জা লাগে...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই লেখাটা পড়ে মনে হলো- একটা টাইম মেশিনের আমার খুব দরকার। খুব বেশি দরকার।
হিমুদা, সোঁদা গন্ধে মনটা ভরে গেল। চোখের কোনে পানি...
আপনার জন্য ভালোবাসা।
---- মনজুর এলাহী ----
আমি ট্যাগ পড়িনি। কিন্তু গল্পটা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো আজকে হিমুকে একটা প্রশ্ন করবো, এই পিচ্চিতোষ গল্পের টার্গেট পাঠক কারা।
তার আগেই উত্তর পেয়ে গেলাম।
গল্পটা আসলেই অনেক সুন্দর। অদ্ভুত...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি সাধারণ পাঠক মাত্র
চমৎকার লাগল। হিরের মত ঝলমলে। তবে কেন জানি মনে হল, একটা বিশাল গল্পের একদিনের কাহিনী বলা হল। যেন একটা হিরের মালা থেকে একটা হিরে তুলে নেয়া হল, আর সেটাও বাকি সবগুলোর মতই সাদা আর ঝলমলে, অন্য রং এর নয়।
--কৌতুহলি
হিমু ভাই ছোট বেলার অনেক কথাই চোখে ভেসে উঠল। রান্না ঘর, রুটি, দাঁত ব্রাশ, গোসল, ভাত খাওয়া, গল্প সব যেন এখানে নিজের কথা। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। আর নিজের ছোটবেলাকে ফ্ল্যাশ ব্যাকে দেখে নিলাম, ধন্যবাদ।
ডি,এম,কামরুজ্জামান (দলছুট)।
সব মনে পইড়া গেল
দারুণ লেখসেন রে ভাই
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
গল্পটা চমত্কার, পড়তেও দিব্বি লাগল৷
কিন্তু গল্পটার সাথে ঠিক একাত্ম হতে পারলাম না৷ আমার বাচ্চাবেলাটা একটু ভিন্ন বলেই কিনা কি জানি ......... কিরকম যেন আগাগোড়া মনে হল এটা একটা একটু আদুরে ছেলের ছেলেবেলা, যে কোন শিশুর নয়৷ অবশ্য তাতে অসুবিধে কিছু নেই, গল্পের রসগ্রহণে কোন বাধা হয় নি৷ নিছকই আমার মনে হওয়া,এই আর কি৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
গুঁড়াকালের গন্ধে মাখামাখি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মাঝে মাঝে ছোট্টবেলায় ফিরে যেতে মন চায়। কি অদ্ভুত মায়াময় সেই সব দিন।
অসাধারণ হিমুদা।
-----------------------------------------
এই গল্প ভরা রাতে, কিছু স্বপ্ন মাখা নীল নীল হাতে
বেপরোয়া কিছু উচ্ছাস নিয়ে, তোমার অপেক্ষায় ...
্নস্টালজিক হয়ে গেলাম। কিন্তু শুধু মা-কে নিয়েই নয়, বাবা-কে নিয়েও অনেক মিষ্টি-মধুর টুকরো টুকরো স্মৃতি আছে। ধন্যবাদ, হিমু।
সুহান, সঙ্গীত, মনজুর, নজুভাই, কৌতুহলি (কৌতূহলী হবে মনে হয়), দলছুট, খেকু, গালফোলাদি, বুনোহাঁস, হাসিব জামান, শরতশিশির ... আপনাদের সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।
আমার ও গল্প খুব ভাল লাগসে, হিমু ভাই আমারেও ধন্যবাদ জানান।
আপনাকে মশাই কিছু বলতে ভয় করে, যদি অভয় দেন তো বলি
১। গল্পটা পড়ে খুব ভাল লাগলো। ভাল না লাগলে এত ঝামেলা করে টাইপ করতাম না।
২।অব্যয় সম্মন্ধে প্রশ্ন চলতে পারে কি? যদি আপনার অব্যয়গুলি বাঙলাদেশে প্রচলিত হয় তবে স্বচ্ছন্দে আমার টিপ্পনিগুলো ইগনোর করুন।
ক। সারা ঘরটা রুটি আর কাঁচা আটার গন্ধে কেমন ঝনঝন করে ওঠে- ঝনঝন তো ভাই ধ্বন্যাত্মক
খ। ডালের কর্কশ গন্ধে- কর্কশ কি কড়া আর্থে ব্যবহার করলেন? ডালের গন্ধ কি কর্কশ বলা চলে? সিগারেট বা চুরুটের গন্ধই তো কড়া হয় জানতাম।
অব্যয় কি পুরোপুরি সাবজেকটিভ হ'তে পারে? পাঠক হিসাবে এগুলো একটু চোখে লাগছে আমার।
জীবনানন্দের এই অনুসঙ্গগুলো কেমন লাগে?
- ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল
- শিশিরের শব্দের মতন সন্ধ্যা নামে
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভালোই লাগে। কিন্তু শিশুপাঠ্য সহজ গল্প আর আ্যবস্ট্রাক্ট কবিতার ভাষা কি একরকম হয়? হওয়া কি বাঞ্ছনীয়?
ঝনঝন করে ওঠার ব্যাপারটা বোঝানো মুশকিল। গন্ধের সাথে শব্দের সরাসরি যোগ হয়তো নেই, কিন্তু একটা ঝনঝন শব্দ শুনলে যে প্রতিক্রিয়া হয়, কিছু গন্ধও সেই একই প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তোলে মনের ওপর।
কর্কশ এখানে অমসৃণ অর্থে লেখা। রান্নাঘরের সব মৃদু মসৃণ গন্ধকে কেটেকুটে দলেমুচড়ে সেদ্ধ ডালের গন্ধটা ছড়িয়ে যায়, সেজন্যে বলা।
অব্যয় মনে হয় পুরোপুরি সাবজেকটিভ হতে পারে না। আপনার আপত্তি যুক্তিসঙ্গত, আমার আত্মপক্ষ সমর্থন যথাযথ কি না বিচার করে দেখুন।
আর গল্পগুলো ঠিক শিশুতোষ নয়। ক্যাটেগোরিতে এ কারণে যুবা লেখা। এ গল্পগুলো শৈশব নিয়ে, কিন্তু শিশুদের জন্যে নয়। আমরা যারা বড় হয়ে গেছি, তাদের জন্যেই।
আপনি পিচ্চিতোষ গল্প ট্যাগে ক্লিক করলে সব ক'টা পিচ্চিতোষ গল্প একসাথে পাবেন। পড়ে দেখতে পারেন।
" আপনার আপত্তি যুক্তিসঙ্গত, আমার আত্মপক্ষ সমর্থন যথাযথ কি না বিচার করে দেখুন।"-বাপরে এতো বিশাল ছুট হিমু ঃ-) ধন্যবাদ। আপনি লেখক তাই আপনি নিশ্চই ফাইনাল শব্দচয়নের অধিকার রাখেন, আমি পাঠক হিসাবে আমার অশ্বস্তিটুকু জানালাম। আমার মনে হচ্ছে আপনার সুলিখিত গল্পে এগুলো বেমানান। আরো একটু বলি? আপনি মনে হয় আটা/ময়দার ময়দার মন্ড (dough) বোঝাতে চেয়েছেন কাই/গো্লা (batter) না, তাই না?
"এ গল্পগুলো শৈশব নিয়ে, কিন্তু শিশুদের জন্যে নয়। আমরা যারা বড় হয়ে গেছি, তাদের জন্যেই।"- সহমত, খুব ভাল লাগছে গল্পগুলো।পড়ছিও।
আপনি অন্য এক জায়্গায় লিখেছেন পুলিশের নাম ঠোলা, নামরহস্য ভেদ করতে পারবো না, তবে এর অন্য রূপ পান্জাবী ভাষায় শুনেছি ঠুল্লা।
ধন্যবাদ
আরো ২ পয়্সাঃ যদি অব্যয় আর বিশেষণ ডিকন্সট্রাক্ট করতেই চান তবে আরো একটু গণহারে করুন, বাদবাকিগুলোকে নিয়েও। তাহলে পাঠকবর্গ আপনার শৈলিটা ধরতে পারবেন।
হিমু আপনার এই গল্পের পাঠকের টার্গেট গ্রুপে আমিও আছি, আমার শৈশবের ফেরার শখটা উত্তরোত্তর বাড়ছে, পাগলের সাঁকো আরেকটু নাড়ায়ে দিলেন। গল্প দারুন, আপনি লেখার অনেকগুলো স্টাইল জানেন, খুব ভালো লেগেছে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার কিছু অবসার্ভেশন শেয়ার করি?
বেশিরভাগ প্যারাগ্রাফের শুরুতে "পিপলু" "পিপলু" দিয়ে শুরু না করলে হয়তো নিজেকে আরো বেশি অ্যাসোশিয়েট করা যেত। একটু কানেও লেগেছে, মানে পিপলু, পিপলু, বারবার ওর নামটা মেনশন করাটা।
পিপলুর অনুভূতিগুলো খুব বেশি ঘ্রাণময়। এর বাইরে বাবার প্রতি ভীতি আর মা'র প্রতি ন্যাওটামি আছে ঠিকই তবে এই বয়সী বাচ্চার আরো অনেক অনেক অনুভূতি থাকে।
মানে পিপলু বলে একটা ছেলেকে আলাদা করে দেখতে পাচ্ছি কিন্তু নিজেকে তার জায়গায় বসাতে গেলে মনে হচ্ছে আরো কিছু লিখা দরকার ছিল।
আমি এখনও উপরের মন্তব্যগুলো পড়িনি। নিঃসন্দেহে আপনার লেখাটা খুব মন ছুঁয়ে যায়। মায়ের ঘ্রাণ তো রীতিমত অ্যাডিক্টিভ। তবে কৈ কৈ জানি খামতি আছে, মনে হয় ঠিকমত বোঝাতে পারলাম না।
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
আপনার পর্যবেক্ষণ ইন্টারেস্টিং। কিন্তু আপনি কেন পিপলুর জায়গায় নিজেকে বসাচ্ছেন? তার গল্পটার কাছাকাছি হয়তো আমাদের অনেকের গল্প, কিন্তু কারো গল্পই পুরোপুরি তার মতো নয়। পিপলু একটা ইগনাইটার কেবল। তার জুতো আমাদের কারো পায়েই ফিট করবে না পুরোপুরি।
বাচ্চাদের আরো অনেক অনেক অনুভূতি তো একটা ছোটো গল্পে আঁটানো মুশকিল। কিছুটা হয়তো অপ্রয়োজনীয়ও।
আবার পরে কোনো একসময় পড়তে গেলে খামতিগুলো স্পষ্টতর হবে। তখন মনে করে বলে যাবেন।
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন