এই পোস্টের অবতারণা দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু দিক থেকে পাওয়া ফিডব্যাকের স্তুপ থেকে। আজ বহুতমবারের মতো একটা ফিডব্যাক পেয়ে লিখছি।
সচলায়তনে "ভালো" লেখাকে উৎসাহিত করা হয় সবসময়। ভালো-র অর্থ করা যেতে পারে, যে লেখা ভাবায়, যে লেখা বিনোদন দেয়, যে লেখা একাধিকবার পঠিত হবার সম্ভাবনাকে উসকে দেয়, যে লেখা নতুন চিন্তাকে পাঠকের সামনে হাজির করে।
যে কাজটি আমাদের এখন করতেই হবে, সেটি হচ্ছে "ভালো" মন্তব্যকে উসকে দেয়া। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ভালো মন্তব্য কী?
আমরা যখন সচল শুরু করি, তখন অপবাদ রটানো হয়েছিলো, আমরা একটি পিঠ চুলকাচুলকির বৈঠকখানা খুলতে যাচ্ছি। সুফিচর্মাবৃত একটি নিতান্ত অসুফির গর্ভ থেকে এই অপবাদশিশুটির জন্ম। কিন্তু কাজটি করে সে আমাদের মনের মধ্যে একটি সতর্কতাও তৈরি করে দিয়েছিলো, যাতে এমন কিছুতে আমরা পরিণত না হই।
সচলে প্রতিদিন মনে ছাপ ফেলার মতো লেখা আসে। দারুণ বৈচিত্র্যময় সব লেখা, আমরা প্রবল উৎসাহে নানা প্রশংসাসূচক মন্তব্যও করি। কিন্তু একটি উদ্বেগজাগানিয়া প্রবণতা লক্ষ করছি, যত দিন যাচ্ছে, মন্তব্যের ধার কমে যাচ্ছে। পড়ে থাকছে ভোঁতা, অযথা প্রশংসাবাক্য। আমি মন্তব্যকারীদের নিরুৎসাহিত করতে চাই না, কিংবা নিন্দাও করছি না, কিন্তু ভেবে দেখুন, গালভরা বিশেষণের পরিবর্তে আপনি যদি আপনার সহসচলকে বলেন ভালো লাগার কারণ (কিংবা খারাপ লাগার কারণ), আপনি যদি আবেগের রাশ একটু টেনে তাতে এমন কিছু যোগ করেন, যার ফলে সে পুনরায় এমন আরেকটি লেখা লিখতে উৎসাহিত হয়, লাভটা কিন্তু লেখকেরই।
প্রশংসার উল্টোটা নিন্দা, নিন্দা করতে আমি বলছি না। আমি বলছি না আজ থেকেই চলুন একেবারে আছোলা বাঁশ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ি আরেকজনের ওপর, কিন্তু আসুন মন খুলে বলি ভালো-না-লাগা নিয়ে। হয়তো রুষ্ট হবেন লেখক, তারপরও বলি। লেখকের রোষের আয়ু ধরানো সিগারেটের মতোই। তিনি উল্টে চড়াও হবেন আপনার ওপর? হতে দিন না! শুনুন তাঁর কী বলার আছে আপনার খারাপ লাগার ব্যাপারে? তারপর নাহয় আপনিও বললেন? আলাপ গড়াতে থাকুক।
লাগামহীন প্রশংসাবাক্য অযথা সবাইকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আসুন আরো যত্নবান হই প্রশংসার ব্যাপারে, আরো সাহসী হই ত্রুটিনির্দেশের ব্যাপারে। কারণ আমরাই আমাদের কল্যাণকামী। আজ আপনার কথা শুনে আমার সাময়িক মন খারাপকে মূল্য দেবেন না। কাল আপনার কথা ঠিকই কাজে লাগিয়ে আমি হয়তো এমন কিছু লিখবো, লাখ টাকা দিলেও যার ত্রুটিনির্দেশ আপনি করতে পারবেন না।
মডারেটরদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, অতিথিদের বল্গাহীন স্তুতিমাখা মন্তব্যের রাশ টেনে ধরতে। অতিথিদের কাছ থেকে আমরা চাইবো সমালোচনার শক্তি। লক্ষ্য করুন, সমালোচনা --- নিন্দা বা খিস্তি বা নিরুৎসাহিত-করা-বাক্যবাণ নয়। আমরা দেখতে চাই আমাদের অতিথিদের বিবেচনাবোধ কতটা প্রখর। সচলায়তন হোক বিবেচক মানুষদের সম্মিলনস্থল।
সচলদের ওপর মডারেটরদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, তাই তাঁদের কাছে অনুরোধই সম্বল। আমাদের চারিত্র্য ধরে রাখতে এই পদক্ষেপ জরুরি। একদিন দু'দিন তিনদিনের জন্যে নয়, সবসময়ের জন্যেই।
খুব ভালো লাগলো আর চরম জঘন্য লাগলো, এই দুই সাদা কালোর মাঝে অযুত ধূসর এলাকা অব্যবহৃত পড়ে থাকছে। আর একজন আরেকজনকে বলছি, মন রে, কৃষিকাজ জানো না? এ দিন ফুরাক।
পিঠটা চুলকে দিন। চুলকে চুলকে দাগ ফেলে দেখিয়ে দিন, পিঠের কোথায় কী সমস্যা।
মন্তব্য
বেশ কিছুদিন আগে ইশতির সাথে এরকম কিছু কথা হয়েছিল। তখন ইশতির পরামর্শ ছিলো অনেকটা আপনি যা লিখেছেন সেরকম। এধরনের ধারালো মন্তব্য মাঝখানে পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়েছিলাম। সেযাত্রা খুব একটা সুবিধা করতে পারিনি। তবে আশা হারাইনি। এরকম পরিবর্তন আনতে একটু সময় দিতে হয়। দেখা যাক এবার কী হয়।
পোস্টটা সময়োপযোগী মনে হচ্ছে।
ভালো লাগলো হিমু ভাই।
তবে, গঠনমুলক সমালোচনা করতেও আগ্রহ জাগেনা মডারেশন পার হওয়ার ভয়ে।(আমার মনে হয় অতিথিদের মন্তব্যে লেখক নাখুশ হতে পারে, এই আশংখা থাকে মডুদের)
অতিথি হিসেবে আমার অন্তত এই ভয়টা থাকে।
-মজনু
গঠনমূলক, নাখোশ আর আশঙ্কা বানানটা ঠিকমতো লিখতে পারলে দেখবেন আপনার ভয় অনেক কেটে যাবে
মডারেটরদের ভাবনা নিয়ে কষ্টকল্পনা না করে লিখতে পারেন। তবে ভুল বানানে ক্রমাগত লিখে গেলে একবার দুইবার হয়তো মডারেশন পার হবে মন্তব্য, এরপর ফ্যাসিবাদী মডুরা আপনার গলা টিপে ধরবে। বানানের প্রতি আসুন মনোযোগী হই।
একটু চুলকাই দেখি:
'পঠিত হবার' কী ধরনের বাংলা? লিখুন 'পাঠ হওয়ার'। পঠিত একেবারে অতীত কাল নির্দেশক, ভবিতব্য অতীত নয়।
"সম্ভাবনা উস্কে দেয়" হওয়া উচিৎ "সম্ভাবনাকে" উস্কে দেয়।
নাহয় -> না হয়
আছোলা বাঁশ হয়ে গেলো না তো দাদা
পাঠ হবে কীভাবে হে সমালোচক? পাঠ করা হয় আর পঠিত হয়।
বাকি সব ঠিকাছে।
বেশি আস্তে চুলকালে শুড়শুড়ি লাগে, কিন্তু চুলকানি কমে না। আবার অযথা জোরে চুলকালে ব্যথা লাগে, কিন্তু কাজ হয় না। আরাম পেতে হলে চুলকানির মাত্রা ঠিক রাখা অনেক জরুরী।
ইদানিং ছবির আধার ফ্লিকারে কিছু "বাধ্যতামূলক চুলকানিদল" পাওয়া যায়। আগেই বলা থাকে, "একবার চুলকানি নিতে হলে তিনবার চুলকে দিতে হবে" (post one, comment three)।
আমি অনেককে দেখেছি একটু চুলকানি (নিজের ছবিতে কমেন্ট) পাবার জন্য দৈবচয়ন ভিত্তিতে তিন-চারটা ছবিতে ঠিকমতন না দেখেই "উত্তম-জাঝা" দিয়ে দিচ্ছে। ফলাফল, সে নিজেও ওইরকমই অন্ধ চুলকানি পাচ্ছে। হয়তো তার চুলকাচ্ছিল গালে, দশজনে না বুঝে পশ্চাতদেশ চুলকে দিয়ে চলে গেল!
দিন শেষে দেখা যাবে অজায়গা লাল হয়ে আছে অন্যের চুলকানিতে (শতশত কমেন্টে), কিন্তু চুলকানি কমেনি (ছবি তোলা শেখা হয়নি, বা লেখার মান বাড়েনি)।
গালি আর তালির মাঝামাঝি জিনিসটা তাই খুজে বের করা খুব জরুরী
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
কড়া নেড়ে গেছে ভুল দরোজায় । ভুল স্পটে চুলকানোর ব্যাপারটা খুব লাগসই হয়েছে।
আপনার কথার ধরনের সাথে সচল মৃদুল আহমেদের কথার ধরনের মিল আছে। আপনার কি পরস্পরকে চেনেন?
শুধু কথা? আমি তো চেহারাতেও মিল পাই
শুনেছি এক গোয়ালের গরুদের খাদ্যাভাস ও আচরনেও নাকি মিল চলে আসে। মৃদুলের সাথে দেড় দশকের বন্ধুত্বের (আমাদের গোয়াল ছিল বিসাকে) বিষয়টা যে এভাবে বাইরে থেকে বোঝা যাবে বুঝিনি।
[ভেবে ছিলাম লিখবো "আপনার কি পরস্পরকে চেনেন" এ "আপনারা" হবে, কিন্তু লিখলাম না। সুযোগ পেয়ে কোন কিছুই বেশি বেশি করা ঠিকনা ]
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
নিজের া-কার এ ভুল করলেও আপনাদের আকার কিন্তু ঠিকই চিনেছি! লেখক হিসেবে কাঁচা হলেও পাঠক আমি ঝুনা!
বিশ্বাস না করলে নাই, আমি বলি
মৃদুল আহমেদের বর্তমান ছবির আগের ছবি, আর আপনার এই ছবি হুবুহু
এটা কোনোভাবেই বিশ্বাস করা সম্ভব না।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
সাঈদ, ডরো মৎ। কোনো এক কমেন্টের সুবাদে হিমু ঠিকই জানে, তোমার আমার পরিচয় বহুদিনের। কিন্তু এটা সে সরাসরি না বলে কাহিনী করে বলবে। হিমুটা ভারী দুষ্ট।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আপনি আমার বাতেনি + গায়েবি ক্ষমতাকে পাত্তাই দিলেন না! ব্যাপক চোট পেলাম দিলে।
ফ্লিকারে অনেকের ছবি পোস্ট হওয়ার সাথে সাথে বেশ কিছু স্তুতিবাক্য জমা পড়ে। অসহ্য লাগে এসব দেখতে
ফ্লিকারে অনেক ওভাররেটেড ছবি আছে। ফ্রন্টপেজে গিয়ে বসে থাকে।
---------------------
আমার ফ্লিকার
@ সাঈদ্দা,হা হা হা
-সুড়সুড়ি
-খুঁজে
আইজ আছোলা বাঁশের হাট বইসে
বানান ঠিক করার চুলকানিটা জায়গামতন অনুভূত হয়েছে।
আমার নামটা "নিউকালিকরন" (নোয়াখালী গেলে দেখবেন আপনিও মজনুইয়্যা হয়ে গেছেন) করলে হা হা হা-র অন্ত:মিল পাওয়া যায়, আগে খেয়াল করিনি। এতোদিন শুধু "ছাই ঈদ" নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলাম।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
মজনু * নিউকেলিকরন = মইজ্জা?
আমার মনে হয় মজনুদা, সাঈদকে সাঈদদা বলেছেন। মানে সাঈদ্দা, সাঈদ্যা নয়।
আমাকে যেমন অনেকেই মৃদুলদা ডাকেন। কেউ কেউ ভাই। আমার অবশ্য দা, রামদা, কাটারি, চাপাতি কিছুতেই আপত্তি নেই। কেউ আমাকে সম্বোধন করছেন এবং সেটাতে নিয়মমাফিক সম্মানটুকু অন্তত আছে, এটাই যথেষ্ট।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এখন মনে হচ্ছে সাঈদ্দা নিয়ে সাইধ্যা পেচালাম ... দু:খিত মজনুভাইদা
আসলে "সচলুক্ত" (সচল+যুক্ত) শব্দে এখনো অভ্যস্থ হয়ে উঠিনি। যেমন "বরাহ শিকার মঞ্চায়" পড়ে আমি ভেবেছি "বরাহ শিকার মঞ্চস্থ করে" বোঝানে হয়েছে!
মন এখোনও মঞ্চাইতে জানে না!
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
এই ইমোটিকন একটা দিলে ঠিকাছে। কয়েকশো যাঁরা দ্যান ক্যানো দ্যান ?
হিমু সাহেব একটু লক্ষ করে দেখবেন কি কোন লক্ষ্য নিয়ে আপনি এই লক্ষ টাকার সাবকান্ট্রি (উপ+দেশ) দিয়েছেন?
প্রথমটা কি "লক্ষ্য" হবে?
http://dsal.uchicago.edu/cgi-bin/romadict.pl?query=%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF&table=biswas-bengali
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
দৃষ্টি/লাখ= লক্ষ
উদ্দেশ্য= লক্ষ্য
আবারো দেখলাম... আমি নিজে মনে করতে পারছিলাম না.. তাই সন্দেহ হওয়ায় আবার দেখে আসলাম-
http://dsal.uchicago.edu/cgi-bin/romadict.pl?page=387&table=biswas-bengali&display=utf8
তবে কি অভিধানে ভুল আছে? এ ঠিক করার উপায় কি?
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
লাখ ছাড়া সর্বত্রই য-ফলা লাগবে। এ নিয়ে সচলের পাতাতেই আগে আলোচনা হয়েছে, আমারও ধারণা ভুল ছিলো, শুধরে নিতে হয়েছে।
ভুল, পাঠকদা। নজর, দৃষ্টি, খেয়াল অর্থাৎ লক্ষ রাখা বা লক্ষ করা অর্থে (যেটা উদ্দেশ্যের সাথে সম্পর্কিত নয়) লক্ষে কখনোই য-ফলা বসে না। যে লক্ষটা দৃশ্যমান বা নির্দিষ্ট কোনো টার্গেট আছে, সেখানে কখনোই য-ফলা বসে না।
এছাড়া আরেকটা লক্ষ আছে- সেটা হচ্ছে গালা বা লাক্ষা। এটা অবশ্য মধ্যযুগীয় বাংলা। আধুনিক বাংলায় লাক্ষা বা গালা অর্থে এটা ব্যবহৃত না হলেও বাংলা ভাষার শব্দসম্ভারে এই লক্ষ এখনও আছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
লীলেন ভাই, আপনি সর্বশেষ প্রমিত বানানের নিয়মগুলি নিয়ে একটা পোস্ট দিন। এটা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। এটা একেবারে নীড়পাতায় লিঙ্ক করে দিতে হবে।
এই কাজটা করতে পারলে বেশ ভালো হয়। কিন্তু বাংলা বানানের নিয়ম তো প্রচুর! সবগুলোকে একত্র করা বেশ খাটাখাটনির ব্যাপারও। একা একজনের পক্ষে করাটাও সময়সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে আমার মত হচ্ছে- একটা পোস্ট খুলে ফেলা যেখানে সবাই কিছু না কিছু যোগ করবেন, পোস্টলেখক পরে সেগুলোকে মূল পোস্টে যুক্ত করে দেবেন। সেক্ষেত্রে লীলেন ভাই, পাঠকদা, আপনি, মেহদী, মুজিব মেহদীদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।
চাইলে আমিও শুরু করতে পারি। সর্বশেষ প্রমিত নিয়মের কিছু কিছু জিনিস আমার কাছে আছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
লাখ-লক্ষ-লক্ষ্য নিয়া একটু ত্যানা প্যাঁচাই। আমার হাতে আছে বাংলা একাডেমী বাংলা বানান-অভিধান জুন ২০০৯ সংস্করণ। সেখানে লেখা।
লক্ষ - শত সহস্র সংখ্যা , ১,০০,০০০ সংখ্যা বা সংখ্যক
লক্ষ্য - উদ্দেশ্য; মনোযোগের বিষয়; তাক, নিশানা।
অথচ লীলেনদা বা গৌতমদার মতো আমিও জানতাম।
দৃষ্টি/লাখ= লক্ষ
উদ্দেশ্য= লক্ষ্য
বাংলা বানান দেখার জন্য আমি সংসদ অভিধান দেখি না। দেখি বাংলা একাডেমীর অভিধান আর প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম।
একটা মজা আছে। এভাবে একাডেমী বানান লেখা হয় বাংলা একাডেমী লেখার সময়। আর ভিতরে ১৫১ পৃষ্ঠায় এই বানানটা লেখা এভাবে। একাডেমি।
তাহলে তো বানানটি নিয়ে আবার খোঁজখবর নিতে হয়! দুঃখিত পাঠকদা, আমি একটু খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি। আমার সামনে ২০০৮ সালের যে ব্যবহারিক বাংলা অভিধানটা আছে, সেখানে কিন্তু উপরে যা লিখেছি, সেভাবেই লেখা আছে।
×
এই মজার একটা কারণ আছে। বাংলা একাডেমী মনে করে এই বানানটা নিয়মানুযায়ী অ্যাকাডেমি লেখা উচিত। কিন্তু এই নাম পাল্টানোর কর্তৃপক্ষ তারা নয়। সরকারি সংস্থাগুলোর নাম পাল্টানোর বেশ কিছু নিয়মকানুন আছে, খুব দ্রুততার সাথে কাজ করলেও নাকি একটি সংস্থার নাম পাল্টাতে নানা আনুষ্ঠানিকতার কারণে বছর দুয়েক লেগে যায়। সে কারণেই নাকি বাংলা একাডেমীতে এখনও বহাল তবিয়তে আছে!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার ধারণা দুটোই ঠিক আছে, তবে আপনারটা বেশি গ্রহনযোগ্য।
নজর, দিষ্টি, খেয়াল এই শব্দগুলোর জন্য "লক্ষ" এবং "লক্ষ্য", দুটোই ব্যবহৃত হয়। আপনার অভিধানের ২২ পৃষ্ঠায় দেখুন যেখানে লেখা আছে যে "একই শব্দের জন্য একাধিক বানান থাকলে প্রথম বানানটির বানান প্রমিত করা হয়েছে।"
এবার দেখুন ১০৪৪ পৃষ্ঠার ডান কলামের নিচ থেকে তৃতীয় শব্দটি।
সেখানে ভুক্তি আছে,
অর্থাৎ দুটো শব্দকেই শুদ্ধ বলে বিবেচনা করা হয়েছে । কিন্তু যেহেতু "লক্ষ"টাকে প্রথমে দেয়া আছে এবং এভাবেই উদাহরণ দেয়া আছে, সুতরাং প্রমিত নিয়মে এটাই গ্রহনযোগ্য।
দেশে এখন অধিকাংশ সৌখিন ও প্রফেশনাল প্রুফ রিডাররা "লক্ষ " লিখেন। এটাই এখন অধিক প্রচলিত, তবে অন্যটিও ভুল নয় এবং কিছু ব্যবহারও হয়।
শুভাশীষ বলেছেন,
এখানে লক্ষ্য এর অর্থ কিন্তু ঠিকই আছে। ইংরেজি "এইম" এর বাংলা হবে লক্ষ্য। সেই হিসেবে ঠিক আছে।
"দেখা" বিষয়ে কিন্তু "লক্ষ্য" দেয়া হয় নি এই অভিধানেও।
ভালো প্রস্তাবনা (পিঠটা একটু চুলকে দিলুম)। কিন্তু,
একটু আপত্তি করি। কারো যদি কোন লেখা ভালো লাগে তাহলে সে তো প্রশংসা করতেই পারে। লেখকেরও প্রাপ্য সেই প্রশংসাটুকু, তাই না? ছোট্ট একটা উদাহরণ দেয়া যাক। আপনার এই লেখাটা আমার কাছে ঈদ উপহারের মতো ছিলো, জীবনে প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে একা ঈদ করার দিনে, হাসার একমাত্র সুযোগ। কিন্তু এই লেখার চেয়ে ঢের ভালো (সাহিত্য মানে) লেখা আপনার আছে। কিন্তু ওইদিন, ওই লেখার জন্য, সারাদিনের মন খারাপের মেঘ কিছুটা হলেও সরিয়ে দেয়ার জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। এখন আমি যদি ওই লেখাতে কমেন্ট করতাম, সেই কমেন্ট হয়তো অন্য কারো কাছে নিছক স্তুতিমাখা বলেই মনে হতো।
যুক্তিপূর্ণ কথা। তবে এ বিষয়ে নিজস্ব মতামত হল, এই স্তূতিমূলক মন্তব্যটির পেছনে নিজের মানসিক অবস্থার কথাটি মন্তব্যে জুড়ে দিলেই ভালো। নইলে যে চমৎকার মানসিক অবস্থান থেকে আপনি এটি লিখছেন, সেটা জানা থেকে সবাই বঞ্চিত হবে আর দ্বিতীয়ত আপনার অনেক ভালো লাগার একটা অনুভূতির কথা গড়পড়তা মন্তব্য হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।
অমাদের অনুভূতিগুলো তো অনেক মূল্যবান, তাই না? কেন সেটা বুঝতে দেব না মানুষকে?
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আমি মনে করি কেউ যখন কোনো কাজ সবার সমনে উপস্থাপন করেন তখন এর ভালো-মন্দ বিবেচনা করার জন্যই করেন। ফ্লিকারে আপ করা ছবি বা সচলে প্রকাশিত লেখাও তেমনই। তবে সবাই কিন্তু তা হজম করতে পারেননা।
আমার নেটে পড়ে থাকার প্রথম এবং মূল কারণই হলো ফটোগ্রাফি। বেশ অনেক আগে থেকেই ফ্লিকারে আপাই। আর কমেন্টের ক্ষেত্রে আমি একটু চাছা-ছোলা। তাই অনেক ফটোগ্রাফারকে দেখেছি এই নিয়ে কটু কথা বলতে। বাল-ছাল মার্কা ফটোগ্রাফিকে ভালো বলতে আমি একদমই নারাজ, কিন্তু অনেক লুল ফ্লিকারে আছেন যারা 'ছবির টেকনিক কোনো ব্যাপারনা, কি তুলছো এইটাও ব্যাপারনা, তুমি তুলছো এইটাই মুখ্য' - এমন ধারণা নিয়ে ফেনায়া কমেন্ট করে আসেন। তখন খুব বাজে লাগে। আবার অনেকে ফটোগ্রাফির গ্রামার নয় শুধু সাবজেক্টই মূল - এমন ধারনাও দেন, যার ফলে পাসপোর্ট ছবিও তাদের বেশ লাগে & ভইরা কমেন্ট করেন।
আমি লেখা-লেখিতে খুব একটা পটু নই। তবুও চেষ্টা থাকে আমার ভালো লাগা-খারাপ লাগাটা জানিয়ে দিতে। সচলে এতো ভালো লেখকদের ভীড়ে কিভাবে কী কমেন্ট করবো তাই নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকি। হিমু ভাইয়ের এই লেখাটি আসলে সাহস দিলো। যতটুকু পারা যায় আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান নিয়ে, তা করবো বলে আশা করি। তবে হ্যাঁ, এখনো মানুষ গঠণমূলক সমালোচনায় এতোটা অভ্যস্ত নয়।
ফ্লিকারে এখন বেশিরভাগই ছ্যাবড়া ফটগ্রাফারদের দখলে, তাই ওখানে তেমন একটা যাওয়া হয় না। কিন্তু সচলে আসতে চাই বারবার, এখানে সবাই যেনো গঠণমূলক ভাবেই সব দেখেন - এটাই চাওয়া থাকবে। হিমু ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
===============================================
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ভালো প্রস্তাব। উত্তম জাঝা! পোস্ট দেখে সিরাতের পুরাতন এক লেখার শেষে কিছু কমেন্টের কথা কেন যেন মনে পড়ে গেল। অপ্রাসঙ্গিক? কে জানে!
এ্যাক্কেরে ক্যাঁক কইরা ধরসেন। মজা পাইলাম!
মনে আছে আমার প্রথম সচলের লেখাতেই পিপিদা আমার পিঠ চুলকানোর বদলে তিনি তার প্রাকিতিক নখ নিয়ে আঁচড়ে ঘা বানিয়ে দিয়েছিলেন (হাবিজাবি পোস্ট করেছিলাম বলে) এরপর যতদিন লেখালেখি করতাম, উনি এবং অন্যান্যরা সেই ঘা শুকতেই দেননি (যথাযথ কারণেই) এখন আঁচড় খাবার ভয়ে ভালো লেখা লিখে পোস্ট করব চিন্তা করে আর কোনো লেখাই বের হয় না - কি তামশা! আঁচড়ের ট্রামাটা কাটিয়ে উঠলেই চিন্তা করছি পরে পিঠে লোহার বর্ম পড়ে লেখা দেয়া শুরু করব
পরিস্থিতি ১ : চুলকানির স্বভাবটা আসলে আমাদের অতি সাধারণ একটি অভ্যাস। আমরা তো সবাই মোটামুটি ভদ্র মানুষ, তেরিয়া কথা বলার অভ্যাস (ঝগড়া লাগার আগ পর্যন্ত) আমাদের এমনিতে নেই। মতিন সাহেব সার্টপ্যান্ট ইন করে গলায় টাই ঝুলিয়ে যখন নিচে স্যান্ডেল পরে বের হন, তখনও আমরা বলি, আরে মতিন সাহেব, আপনাকে তো আজকে খুব হ্যান্ডসাম দেখাচ্ছে!'
এই ভদ্রতার সুন্দর সুন্দর মিথ্যাগুলো আমরা আবহাওয়া ঠাণ্ডা রাখতে অভ্যস্ত। ব্লগে বসেও সে অভ্যাস ছাড়ে না আমাদের।
পরিস্থিতি ২ : আরো একটা ব্যাপার হয়, ভালো লাগলে, আমরা বলি চমত্কার, কিন্তু ভালো না লাগলে সেই পোস্টে কমেন্টই করি না। বা একটা ভদ্রতার দায়সারা কমেন্ট করে চলে যাই। এটাও একটা মানবিক স্বভাব। পছন্দের মানুষটাকে অপছন্দের কথা কী করে যে বলি, এই ধরনের মনস্তত্ব কাজ করে।
পরিস্থিতি ৩ : অনেকগুলো পোস্ট পড়তে হবে, অথচ হাতে সময় আছে মাত্র এক ঘণ্টা। বসের লেখাটা পড়লাম, অথচ একটা কমেন্ট দিলাম না, ব্যাপারটা অন্যায়। তখন 'বস, হেব্বি হইছে! ফাডায়ালাইছেন!' জাতীয় কমেন্ট করেই ক্ষান্ত দিতে হয়।
পরিস্থিতি ৪ : আর পোস্ট তো হয় নানা ধরনের। কেউ তথ্যনির্ভর কিছু লেখেন, কেউ রাজনৈতিক মতামত দেন বা কেউ সাহিত্য প্রকাশ করেন। শুধু সাহিত্য হলে, আপনার গল্পের এই জায়গাটি দুর্বল হয়েছে, চরিত্রটি ফুটে নি... বা এখানে বর্ণনা দুর্বল... এরকম কিছু বলা যায়। কিন্তু পোস্ট যখন হয় নানা চরিত্রের তখন সেটাকে ঘিরে আমার কমেন্ট করার চরিত্রটাও যায় পাল্টে, এটা মাথায় রেখে কমেন্ট করাও সময় নিয়ে ঘিলু ঘাঁটানো ব্যাপার, সেই সময় বা মানসিক পরিশ্রম করার মতো অবস্থাও সবসময় থাকে না।
আমি চুলকানিমূলক কমেন্টের পেছনে যে মানসিক পরিস্থিতি কাজ করে, সেটার কথাই বললাম। এবার এটাকে কী করে এড়ানো যায়, আসুন সেটা নিজে নিজে খুঁজে বের করি।
আমার কাছে একটা পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে মনে হয়।
উপযুক্ত কমেন্ট করার মতো সময় না থাকলে, ভাবার মতো মানসিক অবস্থা না থাকলে কমেন্টই করব না! তবে চেষ্টা করব অতি অল্প কথায় সার বক্তব্যটা সেরে ফেলার। তাতে সময়ও বাঁচবে।
এই যেমন এখন সময় ছিল বলে ভেবেচিন্তে মন্তব্য লিখলাম। সময় না থাকলে লিখতাম না। বা লিখতাম 'স্বাভাবিক মানবীয় কিছু কারণেই কমেন্ট আপনা থেকেই চুলকানিমূলক হয়ে ওঠে, এটা কাটাতে নিজের চেষ্টা দরকার। কারণ লেখাটি দিয়ে লেখক যেমন নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছেন, পাঠক হিসেবে আমাকেও প্রমাণ করতে হবে আমার মন্তব্য দিয়েই।'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আমার অন্তর্জালে বাংলা লেখার বয়স মাত্র ৪ সপ্তাহ, এর আগে মাঝে মাঝে বাংলা blog পড়েছি। বয়েসে আমি সচলের র্যাংকে "প্রৌঢ়"। আমার দুই আনা (2 cents) যোগ করলাম...
সচলকে ঠিক ব্লগ বলা উচিত হবে না, বরং এর চরিত্র কিছুটা little magazine এর মত। Angry Young Men একটা গন্ধ আছে, Anti Establishment এর স্বাদের জন্যই আজকাল এটা পড়ি। তবে একটা কথা না বলে পারছি না, এখানে একটু বৈচিত্রের অভাব আছে, ভিন্নমতের প্রকাশ বেশি নেই, লেখকরা কম বেশি সবাই একই মানসিক ঘরানার অধিবাসী। মডারেশন নিয়ে একটু কড়াকড়ি আছে।
Diversity is power, let it be spoken here...
পোস্টটার দরকার ছিলো। আমার মনে হয় হিমু ভাইয়ের নির্দেশিত "আছোলা বাঁশ" মানে শুধু ছোট খাটো বানান ভুল না, সামগ্রিকভাবে পুরো লেখার মান এবং সে সমন্ধে নিজস্ব "সত্যিকারের" মতামত- সে ক্ষেত্রে দু চারটা ছোট বানান ভুল দুঃখজনক অবশ্যই, তবে গুরুতর কিছু না।
আমার যৎসামান্য ইন্টারনেটবাসের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, যখন একটা কমিউনিটির কলেবরে বাড়তে থাকে, এ ধরনের সমস্যাগুলি তখনই আসতে থাকে। এ সমস্যাগুলিকে ঠিক সময়ে, ঠিকভাবে সমাধান না করতে পারলে সে কমিউনিটি ক্রমশ তার দ্যুতি হারায়- আমার অভিজ্ঞতায় অন্তত এমনই দেখেছি। সচলায়তনের শুরু থেকেই বলা হয়েছিলো পূর্ণ সচল হওয়ার ক্ষেত্রে লেখার মানই একমাত্র প্যারামিটার নয়- সচলায়তনের মূলভাবের সাথে নিজেকে "ফাইন টিউনিং" করা এবং সহসচলদের সাথে মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমেই নিজেকে পূর্ণ সচল করে তোলা সম্ভব। এর অর্থ অবশ্যই এই নয় যে শুধুমাত্র মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমেই সচল হওয়া সম্ভব।
সাম্প্রতিক সময়ে সচলদের মধ্যে অনেক বেশি যোগাযোগ- সারা পৃথিবী জুড়ে প্রচুর আড্ডাবাজি হচ্ছে, আনন্দ হচ্ছে। এতে অবশ্যই দোষের কিছু নেই। তবে অবশ্যই আমাদের সবারই মাথায় রাখা উচিত যে, এ ধরনের মিথষ্ক্রিয়া যেন আমাদের অন্যতম ফোকাস অর্থাৎ লেখালেখি থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে না নিয়ে যায়। আমি নিশ্চিত, আমার মতোই সচলায়তনের বাকি পাঠকরা সচলায়তনে আসেন চমৎকার সব লেখা পড়ার জন্য। তবে একই সাথে পাঠক হিসাবেও আমাদের দায়িত্ব ঢালাও কিংবা দায়সারা মন্তব্য না করা। অন্তত উপরের অতিথি মজনু ভাইয়ের মতো কেউ গঠণমূলক মন্তব্য করতে দ্বিধা না করি।
পুনশ্চ: নিবিড় আমার এই মন্তব্য দেখে কী ভাববে কে জানে
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
তবে একই সাথে পাঠক হিসাবেও আমাদের দায়িত্ব ঢালাও কিংবা দায়সারা মন্তব্য না করা। অন্তত উপরের অতিথি মজনু ভাইয়ের মতো কেউ গঠণমূলক মন্তব্য করতে দ্বিধা না করি।
একটু খেয়াল করেন, দেখবেন আমি বলেছি সমালোচনা। 'সমালোচনা' নেতিবাচক শব্দ। আমি বলেছি মডারেশনের কথা।
এখন বলি,
বানান ভুলের কথা স্বীকার করেই বলছি যে, এই সচলায়তনে চমৎকার দুএকজন লেখকের লেখায় কমেন্ট করার পর খুব একটা আরাম পাইনি। সেদিন অতিথি 'নীল ভূতে'র ব্যথা শিরোনামের লেখায় হিমু ভাইর কাছ থেকে আমার প্রশ্নের উত্তর পাইনি। মন্তব্য করা কারে কয়?
অতিথি লেখকেরা সচলদের লেখার সমালোচনা করলে অনেক সচল তেড়ে-ফুঁড়ে আসেন, এমন ঘটনাবহুবার প্রত্যক্ষ করেছি। অতিথিরা বাইরের লোক, তা নানাভাবে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। বলা হয় “পারলে আপনি লিখে দেখান”, “নামহীন বা বেনামে মন্তব্য করছেন কেন” জাতীয় কথা। এমনকি অতিথিকে স্পষ্টভাবে “আবাল”ও বলা হয়েছে।
মনে আছে, পিঠ-চুলকানি সচলায়তনে আসলেই বেশ প্রকট - এই কথা বলায় এক অতিথিকে কয়েক সচল ভয়ানক নাজেহাল করেছিলেন। পাশ থেকে দেখা সত্য কিন্তু সেই অতিথি লেখকের বক্তব্য সত্য বলে প্রমাণ করে।
বেশ কিছুক্ষণ আগে ১৪ ভোট পাওয়া মৃদুল আহমেদের ছড়াটি আমার পছন্দ হয়নি বলে একটি মন্তব্য করেছি, সেটি ছাড়া পায়নি। প্রশংসা করলে ছাড়া পেত বলে মনে হচ্ছে এখন।
আমি হতাশাবাদী না, তবু মনে হয়, এই পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হবার সম্ভাবনা কম।
আপনার ত্রুটিগুলো দেখিয়ে দিই।
১. প্রথমত, আপনি কী মন্তব্য করেছেন, কেন সেটি প্রকাশ পায়নি, কেউ জানে না। আপনি দাবী করছেন, আপনি "পছন্দ হয়নি" বলায় সেটি অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। আমরা কি জানি, কী ভাষায়, কী ভঙ্গিতে আপনি এই পছন্দ না হবার কথাটি জানিয়েছেন? আমি কীভাবে জানবো, সেটি অত্যন্ত আপত্তিকর ছিলো না?
২. দ্বিতীয়ত, গ্যালারির বীরদের নিরুৎসাহিত করা হয় সচলায়তনে। আমরা চাই, যিনি কথা বলবেন, তাঁর একটি সুনির্দিষ্ট নাম বা নিক থাকবে। আমরা কোনো শূন্যে ভাসমান অদৃশ্য অতিথি, কিংবা এক একদিন এক এক নিকধারী মন্তব্যবাজকে কামনা করি না। প্রচুর অতিথি আছেন, যারা ঐভাবে খিস্তি করে মজা লোটার চেষ্টা করেন। তাদের আমরা সচলায়তনে সক্রিয় দেখতে চাই না। আপনি নিবন্ধন করুন, একটি সুনির্দিষ্ট নিক নিয়ে কথা বলুন, দেখুন ফলাফল কী হয়।
৩. নামহীন অতিথিরা বাইরের লোকই। সচলের ভেতরের লোক হচ্ছেন তাঁরা, যাঁদের নিবন্ধিত নিক অন্তত অতিথি হিসেবে সচল করা হয়েছে। আপনি, স্যার, এখনও একজন বাইরের লোকই।
১. প্রস্তাবের সাথে সহমত পোষণ করছি।
২. ব্লগ ছাড়াও সংবাদপত্র, নিউজলেটার ইত্যাদিতে মাঝেমাঝে লিখি। আগে ওগুলোতে লেখা ছাপা হওয়ার পর সেটা সচলে শেয়ার করতাম। এখন লেখাটা আগে সচলে দিয়ে অনেকের মতামত পাওয়ার পর সে অনুযায়ী ঠিকঠাক করি বা বিষয়টাকে নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করি। এতে লেখাটা প্রথমটির চেয়ে অনেক পরিশীলিত হয় বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে যারা দ্বিমত পোষণ করেন, তাঁদের কারণে বিষয়টি নিয়ে আরও পড়তে হয়, চিন্তা করতে হয়। সুতরাং পিঠ চুলকে দিলে আমার মতো ছোটখাট লেখকরা যথার্থই উপকৃত হই। নাম উল্লেখ করেই বলি, শিক্ষাবিষয়ক লেখাগুলোতে অছ্যুৎ বলাইয়ের মন্তব্য আমাকে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য করে।
৩. তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি ইদানিং কোনো লেখার ত্রুটিনির্দেশের দিকে যাই না। জানি না কেন, তবে একধরনের ভয় বা ইতস্ততবোধ ঢুকে গেছে মনে। লেখা ভালো লাগলে বলে আসি (যদি টাইপ করার মুড থাকে), খারাপ লাগলে কিছু বলি না। তারা-টারা দেওয়ার চেষ্টা করতাম-- নানা কারণে সেটাও বাদ দিচ্ছি আস্তে আস্তে। সেদিন বুনোহাঁসের একটা কবিতা ভালো লাগে নি বলে সরাসরি বলে এসেছি। তিনি যেভাবে আমার না ভালোলাগাটাকে উইলিংলি বা সাবলীলভাবে গ্রহণ করেছেন, সবাই সেটা নাও করতে পারে।
৪. অনেক মন্তব্য নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যাই। যেমন- লেখায় কোনো সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করা হলে কেউ যদি 'নাহ, এই সিস্টেমের মধ্যে অনেক গলদ আছে' বলে গলদটা না দেখিয়ে আলোচনা শেষ করে দেন, তাহলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। এ ধরনের মন্তব্য লেখককে অবশ্যই দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে বাধ্য করে, কিন্তু টেনশনেও ফেলে দেয়। মন্তব্যকারী যদি গলদ ধরিয়ে না দেন, তাহলে লেখকের উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৫. উপর্যুক্ত কথাগুলো বললাম ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে। তবে অনেক মন্তব্য দেখেছি যেগুলো প্রকৃত অর্থেই গঠনমূলক সমালোচনা। কেবল মন্তব্যের শেষদিকে প্রশংসার আতিশয্যের কারণে পুরো সমালোচনাটাই বিফল হয়ে পড়ে বলে মনে হয়। মাঝেমধ্যে প্রশংসার রাশ টেনে ধরাটাও গঠনমূলক সমালোচনার অংশ হতে পারে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার ক্ষেত্রে যা হয় তা হলো, কিছু লেখা সাংঘাতিক ভালো লেগে যায়। কিন্তু আলোচনা-সমালোচনার মতো যথেষ্ট জ্ঞান গম্যি না থাকায় ঐ পথ মাড়াতে সাহস পাইনা। ভালো লেগেছে, দিই।
একই কারণে অপছন্দের কথাও চেপে যাই। পাছে "দুই দিনের বৈরাগী"র মতো দশা না হয়।
ফেইসবুকে একটা সুবিধা আছে, লাইক দেওয়া যায়। আবার অসুবিধা হলডিসলাইক দেওয়া যায়না। এমন একটা ব্যবস্থা সচলে চালু করতে পারলে হতো। ক'জন পছন্দ করলেন আর ক'জন অপছন্দ করলেন জানা যেতো, পৌনঃপুনিক চুলকানি ছাড়াই।
আর মন্তব্যের খাতায় ঠাঁই পেত এই সাদা কালোর মধ্যবর্তী ধূসর আলোচনা-সমালোচনা ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সেদিন এক বন্ধুর ফেসবুক স্ট্যাটাস ছিল- "আজ মনটা খুবই খারাপ"।
আর তার নিচেই লেখা "3 people like this".
একটা মানুষের মন খুব খারাপ, অথচ তার তিনজন বন্ধু বিষয়টা পছন্দ করে বসে আছে? আসলে বন্ধুরা হয়তো সহমর্মীতাই জানাতে চেয়েছিল, কিন্তু "সহমর্মী" বাটন খুজে না পেয়ে হয়তো "লাইক" বাটনে ক্লিক করেছে।
সচলে আংকিক মত বুঝতে রেটিং তো রয়েছেই। এরপর এইসব বাটন যোগ করলে জটিলতা বাড়বে। প্রকৃত মনোভাব বুঝতে লাইক বাটন ছাড়াও তখন "অপছন্দ বাটন", "সহমত বাটন", "আছোলা বাঁশ বাটন", "আজাইরা প্যাচাল বাটন" ইত্যাদি যোগ করতে হবে। তারপরেও হয়তো লেখকের জানা হবে না যিনি "আছোলা বাঁশ বাটন" চাপালেন, তিনি তা কেন চাপালেন?
ক'জন অপছন্দ করলো তা জানার থেকে তাই কেন অপছন্দ করলো সেটা জানা অনেক জরুরী। এই যেমন আমি বুঝিয়ে বললাম কেন বাটন চাই না। এখানে বাটন (বা ব্যাটন) চেপে ধরলে কেউ কি বুঝতেন আমি কেন এটার বিপক্ষে?
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
আপনার কথা ঠিক। আসলে আমি অতিথি কিনা ! ভোটাধিকার নাই। দাবি-দাওয়াও বেশি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অতিথি অতিথি ভাই ভাই,
দাবী-দাওয়া চালিয়ে যাই।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
ঠিক! শতভাগ। অমার অনেক লেখায় কোনো মন্তব্যও নেই। থাকে না ভালো লাগা বা খারাপ লাগা। কেন খারাপ লাগলো কিংবা ত্রুটিগুলো কী তা জানতেই ধুমধাম উপন্যাস পোস্ট করে গেছি। কিন্তু হাহ!
যদি ভুলক্রমেও কেউ বলতো অমুক প্যারাটা বা অমুক পরিচ্ছেদটা তমুক তমুক ইত্যাদি। মূলত পাঠক একদিন দুটো বানান ভুল নির্দেশ করেছিলেন।
তাই এখন আমি ধরেই নিয়েছি যে, বাংলাদেশে এখন কেউ সার্থক উপন্যাস লিখলে সেটা আমিই। জুলিয়ান সিদ্দিকী। যার লেখার "বড়সড়" কোনো ত্রুটি নির্দেশ করা কঠিন!
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
প্রথমে একটু পিঠ চুলকিয়ে দেই- খুব দরকারি পোস্ট।
অযথা স্তুতিবাক্য আওরান অনেক সচলই। ক্রমাগত দেখতে বিরক্ত লাগে খুব। আবার অধিকাংশ অ-সচল এগুলো করেন দুটো কারনে- প্রথমত 'বড়'দের দেখে দেখে, দ্বিতীয়ত দ্রুত সচল হতে ইন্টার ্যাকশন বাড়াতে গিয়ে। আবার অনেক অতিথির হয়তো ধারালো মন্তব্য করার ক্ষমতাই নেই, তবুও স্তুতিবাক্যপূর্ণ কমেন্ট করতে থাকেন 'মাঠে' থাকার জন্য।
সচলদের লেখা নিয়ে অতিথিদের সমালোচনা বিষয়ে উপরে করা অতিথির মন্তব্যে সহমত।
পোস্টের বিষয়টা সব-সময়ই সময়োপযোগী। কিন্তু এই সময়কে ধারণ করে আমরা মনে হয় এখনো সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি নি। যে যাই বলি, আমরা সমালোচনা পছন্দ করি না। কথাটা কি খুব সরাসরি হয়ে গেলো ? তবু বাস্তবতা তাই বলে।
আমার খুব একটা মনে আসছে না, এমন পোস্ট কি খুব বেশি দেখেছি, যেখানে কেউ লেখার মান নিয়ে প্রকৃতই গঠনমূলক কোন আলোচনায় এসেছেন ? আর লেখার মান বললে এর রচনা-শৈলী কিংবা সাহিত্য-মানকেই বুঝায়। আবার কিছু লেখা থাকে যেখানে সাহিত্যমান নয়, দরকার প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তের। সংবাদ রিপোর্টিং-এর মতো। এসব ক্ষেত্রেও অনেকে চমৎকার সাহিত্য মিশেল দেয়ার কৃতিত্ব দেখিয়ে দেন। অন্যদিকে ছবির ক্ষেত্রে দু-রকমের ব্যাপার থাকে। কতকগুলো ফটোগ্রাফি, কতকগুলো স্মৃতি-ধারণ। কেউ কেউ এই উভয়ক্ষেত্রেই মুন্সিয়ানা দেখানোর যোগ্যতাও রাখেন ।
এইসব বিষয় সম্ভবত আমরা পাঠক বা দর্শক হিসেবে পর্যবেক্ষণ করি ঠিকই। কিন্তু কী দেখলাম তা জানাতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যাই। এটা হয় কেন ? এই কেনটাকেই উপরে অনেক মন্তব্যকারী বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তার সবই হয়তো সত্য। কিন্তু সত্যের কোন স্থায়ী অস্তিত্ব নেই যতক্ষণ না তা দৃষ্টিগ্রাহ্যতায় বা বোধনে প্রকাশ না পায়।
আমরা এখন যা করতে পারি, যে পোস্টটাই পড়বো, পোস্টের একটা দুর্বলতা ও একটা প্রশংসনীয় বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করে অবশ্যই একটা মন্তব্য করার অভ্যাস চালু করা। এতে করে লেখার প্রতি আমাদের পর্যবেক্ষণে তীক্ষ্ণতা যেমন বাড়বে, তেমনি একজন নির্মোহ সমালোচক হিসেবেও আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হতে থাকবে। অন্যদিকে লেখকও জানবেন যে পাঠক এ লেখা থেকে অন্তত একটা করে দুর্বলতা ও সবলতা চিহ্নিত করার স্বাভাবিক চর্চা করবেন। এখানে পারস্পরিক বিদ্বেষ বা আসক্তির কোন বিষয় জড়িত নয়। ফলে প্রকৃত সমালোচনা হজম করার একটা প্রক্রিয়ায় অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন সবাই।
এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত প্রস্তাব। সবাই ভেবে দেখতে পারেন, তা চর্চা করা আদৌ সম্ভব কিনা। কিংবা আরো কোন প্রস্তাবও কেউ দিতে পারেন। কেননা আমাদেরকে আপাত নিরাপদ ও আরামদায়ক এই মোহচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নইলে ব্লগরব্লগরই হবে, কাজের কাজ কিছুই হবে না।
ধন্যবাদ সবাইকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
চমৎকার একটা প্রস্তাব।
#১ সচলায়তন এ একটা সিস্টেম করা যেতে পারে ভাল/মান সম্মত কমেণ্টে লাইক/ ভোট দেবার ব্যাপার। এতে কমেণ্ট কারীও উৎসাহিত হবেন। পাঠকরাও ভাল কমেন্ট গুলোর উপর সহজে চোখ বুলিয়ে নিতে পারবেন ।
#২ রণদীপম বসু'র
#৩ ভাল সমালোচনার একটা উদাহরণ দিতে পারি সুহান এর এই পোস্টে ।
সমালোচনার ধার/ পরিমাণ যদিও বেশি ছিল, আমার মনে হয় তখনকার নবীন সুহান পরবর্তীতে অনেক লাভবান হয়েছে ।
#৪ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও আসলে প্রভাব ফেলে মন্তব্যে ।
#৫ একজন অতিথির পক্ষে সমালোচনা করাটা আসলেই সহজ নয়। কারণ তাকে ( এবং তার লেখার ) সাথে অন্যদের সম্পর্ক তেমন থাকে না। তাই হয়ত তার মনে হতে পারে লেখক মনঃক্ষুণ্ণ হতে পারেন।
#৬ বানান ভুল ধরার ব্যাপারটি কেন যেন একটু বেশি-ই চোখে পড়ে! বানান ভুল ধরাটা গুরুত্বপূর্ণ তাই বলে ঝাপিয়ে পড়াটা কেমন যেন বেমানান লাগে!
( -- নতুন অতিথি )
বোহেমিয়ান
#১ - নতুন সিস্টেমটায় এটা একটা অত্যাবশ্যক কম্পোনেন্ট।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
একজন খ্যাতনামা ব্লগারকে অনেক আগে এই কথাগুলির সারমর্ম টাইপ কিছু একটা বলেছিলাম। মনে পড়ে গেল।
আমারও মনে পড়ে গেলো। আপনি বলেছিলেন, "ফালতু লেখা।" সারমর্মের ইতিহাসে এই কথা প্ল্যাটিনামের অক্ষরে লেখা থাকবে।
আপনি ছাড়াও "অন্য একজন" খ্যাতনামা ব্লগারকে বলেছিলাম। 'ফালতু লেখা' র চেয়ে আরেকটু বিশদাকারে সেটি মনে হয় স্বর্ণাক্ষরে খচিত হয়ে আছে।
প্রসঙ্গত, নিজেকে 'খ্যাতনামা' ব্লগার হিসেবে দাবী করে প্রকারান্তরে নিজেই নিজের পিঠ চুলকে দিলেন না কি?
আমি তো একবারও বলিনি, যে আপনি কথাটা আমাকেই বলেছেন ?
তাই? যেন বলবেন না আবার আমার সব কমেন্ট আপনি দাঁড়ি কমাসহ মুখস্ত করে রাখেন। পাছে 'ওরা' আপনাকে "হিলু-দা" বলে ডাকতে শুরু করে দ্যায়
গুগল ডট কমের নাম শুঞ্ছেন ?
আমি একটু সহজে মুগ্ধ হয়ে যাওয়া গোত্রের মানুষ। ইশতি ভাইয়ের ব্লগর ব্লগর, হিমু ভাইয়ের গোয়েন্দা ঝাকানাকা, মৃদুল ভাইয়ের ছড়া, সচলের ফটুরেদের তোলা ছবি সহ ভালো লাগা আরো অনেক কিছুই আমাকে একটু সহজে মুগ্ধ করে। এইটারে তাই কেউ পিঠ চুলকানি মনে করলে তো বিপদ ...
মুগ্ধতা, আলোচনা বা বিশ্লেষণ ছাড়া পোস্টে কমেন্ট না করাটাই আমার কাছে শ্রেয় মনে হয়। ...
_________________________________________
সেরিওজা
--খালি পিঠ চুলকালে হবেনানে দাদা, সমস্যা তো মাথায় বেশি, সেটাও একটু আধটু চুল্কে দিতে হবে। তবে মাথা বেশি মোটা হলে চুলকালেও কাজ হয়না, একটু আধটু গাট্টাও দিতে লাগে। তবে বাঘের লেজ দিয়ে কান চুলকানোর হিম্মৎ কয়জনেরই বা আছে!
হ্যাঁ বস, সমস্যা মাথায় বেশি থাকে। মোটা মাথায় বেশি থাকে। এটা মোটা মাথার মালিকরা সবসময় ধরতে পারে না। মাঝে মাঝে গাঁট্টা চালাতে বলছেন তাহলে?
এখানে কিছু বিষয় আছে। সমালোচনা কম হয় মনে হয় কারন,
১. প্রথম হচ্ছে সচলায়তনে যারা লিখে থাকেন তাঁরা একটু সচেতন হয়েই লিখেন এবং ভালো লেখাটাই এখানে দেন, সেক্ষেত্রে সমালোচনার জায়গা কমে আসে।
২. কিছু বেসিক বিষয়ে ঐক্য আছে। যেমন এখানে কেউ চানপুরের চান মিয়ার ইতিহাস চর্চা করবে না সুতরাং তাকে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য কেউ এগিয়েও আসবে না।
৩. সমালোচনাকে অনেকেই হয়তো ব্যক্তি সম্পর্কের সাথে জড়িয়ে ফেলতে পারেন এমন আশন্কা হওয়া। আমাকে " ক" বলছে আমার লেখা ভালো হয় নি, আসলে " ক " আমারে দেখতে পারে না, এই ধরনের কিছু মনে করে আমিও চ্যাটাং চ্যাটাং করে দুটো কথা শুনিয়ে দিলাম, এই ধরনের কিছু হতে পারে ভেবেও অনেকে সমালোচনা থেকে বিরত থাকেন বলে আমার মনে হয়।
সমালোচনাকে যেভাবে উৎসাহিত করতে হবে, সমালোচনা নেয়ার মানসিকতাও আমাদের সমান ভাবেই তৈরী করতে হবে, তাহলে সবাই উপকৃত হব।
গঠনমূলক সমালোচনা হোক সচলের প্রধান শক্তি।
কেউ চুলকে দিলে ভালই লাগে । তার চেয়ে অবশ্য লেখা ভালো লেগেছে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
আমিও একটু চুলকাই। এই ব্যাপারটা আসলে সচলের একার সমস্যা না। কোন একটা ফোরাম/ কমিউনিটি ব্লগিংয়ে জড়িয়ে গেলে সেখানে পরিচিতজনদের লেখায় একটা নেগেটিভ মন্তব্য করতে অনেকসময়ই ইচ্ছে হয়না। তাই, সহজ করে লেখা,
নতুন মন্তব্য করুন