ভারতের সাথে সম্প্রতি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সরকারী পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে, এবং বৈঠক শেষে তিনটি চুক্তি ও দু'টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ভারতের সাথে অতীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। চুক্তির শক্তি দেখা যায় বাস্তবায়নে, স্বাক্ষরে নয়।
সচলদের কাছ থেকে তাই এই চুক্তি নিয়ে জেগে ওঠা প্রশ্ন এবং তার সম্ভাব্য উত্তর চাই। পোস্টে আর নতুন করে কিছু যোগ করতে চাই না। এই পোস্টটি কেবল খেই ধরিয়ে দেয়ার জন্যে দিচ্ছি। এর সূত্র ধরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ও রাজনীতি নিয়ে একাধিক মূল্যবান পোস্টের ভ্রুণ এ আলোচনায় আমরা পাবো, এমন আশা রাখি।
মন্তব্য
পত্রিকায় দেখলাম চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের ৪০% ক্যাপাসিটি ব্যবহৃত হয় না। সে অর্থে ভারত, নেপাল বা ভুটানকে বাকিটুকু ব্যবহার করতে দিলে মন্দ হয় না। তবে আরেকটু বড় করে ব্যাপারটা কে ফোকাস করলে দেখা যাবে যে বন্দরের অব্যবহৃত ক্যাপসিটি ব্যবহার করার জন্য নতুন ভাবে অবকাঠামোগত খাতে যেসব বিনিয়োগ করতে হবে সেটাও ঐ তিনটি দেশের সাথে ভাগাভাগি করে নিলে বা বিশেষ করে ভারতের সাথে এব্যাপারে কোন সমঝোতা করে নিলে ভাল হত। যেমন ঢাকা বাইপাশ বা ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনে উন্নতিকরন অথবা ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের সংখ্যা এক থেকে দুটি করা, কিংবা সিলেটের জাফলং থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সড়ক ব্যবস্থা উন্নতিকরণ।
আর ভারত যে ১০০ কোটি ডলার লোন দিবে, সেটা কি কোন রকম সুদ ছাড়া নাকি- ব্যাপারটা পরিস্কার না আমার কাছে, কারো জানা থাকলে জানাবেন।
স্বপ্নদ্রোহ
১.৯% সুদে লোন দিচ্ছে ভারত।
* ভারত "টিপাইমুখে কোন ক্ষতিকর পদক্ষেপ নেবে না।" এই কথার মানে কী কে জানে? টিপাইমুখ বাঁধ করবে নাকি করবে না? স্পষ্ট নয়।
* ভারত ১০০ কোটি ডলার লোন দিচ্ছে ১.৯% সুদে। এটা ভালো খবর।
* চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দিলে তো বঙ্গবন্ধু সেতুতে প্রচুর চাপ পড়বে। আবার রেলপথ ব্যবহার করতে দিলে নড়বড়ে রেল ট্র্যাক তো ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়বে। অবকাঠামোর উন্নয়ন নিয়ে কী আলোচনা হলো তা শুনিনি।
ভারত, নেপাল, ভূটানের সাথে পণ্যপরিবহন বাণিজ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু [যমুনা বহুমুখী সেতু] ব্যবহৃত হবে কেন? চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহৃত হতে পারে মূলত কুমিল্লা, সিলেট আর ময়মনসিংহ হয়ে ত্রিপুরা, মেঘলায় আর আসামে পণ্য পরিবহনে। আর ভূটান আর নেপালের জন্যে ব্যবহৃত হতে পারে মংলা বন্দর, সেখান থেকে লালন শাহ সেতু হয়ে উত্তরবঙ্গ দিয়ে। আর এই দুই কাজেই যতদূর সম্ভব সড়ক যোগাযোগের পরিবর্তে নদীপথে পরিবহন ব্যবস্থা কাজে লাগাতে পারলে ভালো।
নদীপথ ব্যবহারের জন্যই মূলত: আশুগঞ্জ থেকে ত্রিপুরা পর্যন্ত নৌ-বন্দর সংস্কারের কাজ হাতে নেবার কথা বলা হয়েছে যেখানে আশুগঞ্জ এবং শিলঘাট ব্যবহৃত হবে নৌ-ট্রানজিটের পোর্ট অব কল হিসেবে।
তবে ট্রানজিটের সুবিধার্থে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ উন্নয়নে ভারত বিনিয়োগ করবে।
(সূত্র: সরকারী যৌথ ইশতেহার)
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
আমি মোটামুটিভাবে খুশি, তবে আমি তো জানি না পিছনে কি হয়েছে। জিনিসটার সমষ্টিক এফেক্টে আমি খুশি। ভারতের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখা আমার মতে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমাদের উদ্বৃত্ত ক্যাপাসিটি থাকেই, রিকার্ডোমতেই আমাদের সেটা যতটুকু বাঁধাহীনভাবে সম্ভব বিনিময় করা উচিৎ।
ভূরাজনৈতিক দিক দিয়েও আমি খুশি। আমি হিমু ভাইয়ের এই লাইনটা সম্পর্কে বলি:
এটি ন্যায্য কথা হলেও, চুক্তির এক্সটার্নালিটিগুলি গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কের ব্যাপারটা। কেন?
আমি ইদানিং চীন সফরে যাওয়ার তোড়জোড় করছি। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পড়লেই দেখবেন যে ভারতীয়দের চীনে যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে (এটা এমনিতেও যে খুব সহজ ছিল তাও না।)
ভারতের এখন কিছুটা ডিপ্লোম্যাটিক আরামও দরকার, সেটা হয়তো আমরা দিচ্ছি।
তবে ভারতের সংবাদপত্র পড়লে, অন্তত টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মন্তব্যগুলো পড়লে বাংলাদেশ আর পাকিস্তানকে একই কাতারে ফেলার একটা প্রবনতা দেখা যায়। উত্তর দিতে দিতে কাহিল হয়ে গেলাম, কিন্তু এসব মন্তব্যকারীর অভাব নেই। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় শেখ হাসিনার সফরের কাভারেজও দেখলাম হাল্কা, বরং বিদ্যা বালার আরশাদ খানের আঙ্গুল চোষা নিয়ে অনেক আলোচনা। (এটা জোক ছিল!)
আমার ধারনা, ভারত আমাদের বন্ধু। ভাল বন্ধু। সম্পূর্ণ ভারত না হোক, পশ্চিমবঙ্গ। মাঝে মাঝে আমরা, ওরা ভুলভাল করি। এই সফরে যদি ফরমাল চুক্তির পাশাপাশি এই জিনিসটা পরিষ্কার হয়, যে আমরা পারস্পরিকভাবে নিজেদের বন্ধু মনে করি, উন্নয়ন চাই, সেটা আমার মতে একটা বড় পাওয়া।
গতকাল পারিবারিক অনুষ্ঠানে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আমার এক খালু সমকালের হোমড়া-চোমড়া, উনি বললেন যে ভিসা দেয়ার ব্যাপারটাও এখন অনেক মসৃন করেছে ভারত। আমি শুনে বেশ খুশি হলাম (এটা একটা দুঃস্বপ্ন ছিল!)।
যদি আসলেই পজিটিভ হয়, তাহলে জিনিসটা দারুণ হবে। আমি ইভেঞ্চুয়ালি দক্ষিণ এশিয়ায় ইইউ ধরনের ইন্টিগ্রেশনের পক্ষপাতী। বিরোধী সবসময়ই থাকবে, কিন্তু লাভটা আমাদের পরিষ্কারভাবে বোঝাতে হবে।
এই আর কি। খুব যুক্তি/তথ্য দিতে পারলাম না, নিজের অনুভূতিগুলি বললাম।
খামোখা হুট হাট নবী রসুলের নাম নেয়াটা ঠিক না । নবী রসুলদের বলে যাওয়া অনেক কথাই বর্তমান জটিলতায় যথেষ্ট মনে হয় না ।
একটা উদাহরণ দেই - (এইটা উদাহরণই, পুরোটা বাস্তব না)
১. দুইটা দেশ । বাংলাদেশ আর জার্মানি । প্রযুক্তিতে একটা দেশ পৃথিবীর অন্যতম সেরা । আরেকটাও সেরা, তবে নিচের দিক থেকে ।
২. জার্মানি পৃথিবীর প্রথম ৫টা অর্থনীতির একটা । বাংলাদেশের অবস্থা তথৈবচ ।
৩. জার্মানির ১ ট্রিলিয়ন ব্যারেল তেল উদ্ধৃত আছে । বাংলাদেশেরও তাই । এই উদ্ধৃত্ত থাকলেও সেটা অসীম নয় । আজ হোক কাল হোক এই তেল ফুরোবেই ।
৪. পৃথিবীতে আরোও অনেক দেশ আছে যেগুলোতে এই তেলের চাহিদা রয়েছে । এবং সেসব দেশে লাভজনক চুক্তির ভিত্তিতে এই তেল রপ্তানী করা সম্ভব ।
এখন বলেন এই উপরের সিনারিও অনুযায়ী হযরত রিকার্ডোর তত্ত্ব কি নির্দেশনা দেয় । রিকার্ডোর উদ্ধৃত্ত তত্ত্ব কি দুই দেশকেই সমানভাবে উদ্ধৃত্ত তেল রপ্তানীর নির্দেশনা দেবে ?
হমম, সীমান্তে পাখি মারার মতো মানুষ মারা । ইচ্ছে হলেই পানি নিয়ে জবরদস্তি করা এগুলোও আপনার চোখ এড়িয়ে গেলো । সুশীল সমাজের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করাতে সেইটা আপনার বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ধরা পড়লো ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সামনে এগুতে হিমু ভাই
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
অবকাঠামো সুবিধা নেবার পেছনে ভারতের স্পষ্ট অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। সেখান থেকে দেখলে আমাদেরকে আমাদের নিজেদের স্বার্থগুলো বুঝে নিতে হবে। সম্রাজ্যবাদিতা কিন্তু কেবল আমেরিকার ধান্দা না। এই যায়গাতেই ঘাপলা। সেই দিক থেকে দেখলে মূল মনযোগের যায়গা হল নেগোসিয়েশন। এখানে আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ আইনজীবি, অর্থনীতিবিদ, প্রকৌশলিদেরকে নিয়ে একটা টিম গঠন করতে হবে যারা ভারতের দক্ষ নেগোশিয়েটরদের সামনে দাড়াতে পারবে। এই দলটি তৈরি হবে মূলত দক্ষতার ভিত্তিতে। এটাকে নিছক রাজনৈতিক মাত্রার বাইরে নিয়ে আসতে হবে। এই যায়গাতেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে আমার মনে হয়। দেশের আভ্যন্তরীন রাজনীতি যদি এই প্রক্রিয়াতে আসলেই কিছু দেবার থাকে সেটা হল এই নেগোসিয়েশনে দেশের স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা বিধান। কোথাও যদি লুপ হোল থাকে সেটার সুবিধা ভারতই বেশি নিবে। কারন কব্জির জোর ভারতেরই বেশি। তবে এটাকে যদি বাইলেটারাল না করে মাল্টিলেটারাল করা যায় সেফটি কুশন বাড়বে। সে বিষয়টাও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা দরকার।
আর নেগোসিয়েশনের ক্ষেত্রগুলোতে বিশেষজ্ঞ প্রয়োজনে দেশের বাইর থেকেও আনা যেতে পারে। তবে ভাল মত হোম ওয়ার্ক করেই আগাতে হবে এতে। অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন হবে তাতে ইঞ্জিনিয়ারিং স্ট্যান্ডার্ডও গুরুত্ব দিতে হবে। আর এখন যে সব অব্যবস্থা আছে বহুজাতিক ব্যবহারে সেটা কেটে যাবার একটা সুযোগ তৈরি হতে পারে। সেটা ঠিক ভাবে কাজে লাগাতে হবে।
তবে যেই চুক্তি আর সমঝোতাগুলো স্বাক্ষরিত হয়েছে/হবে সেগুলো যদি সাধারনের কাছ থেকে গোপন করা হয় সেটা সন্দেহের কারন হবে। এই স্বাক্ষর করার সময় যথেষ্ঠ আভ্যন্তরীন আলোচনা কি হয়েছে? জানি না বলেই জানতে চাচ্ছি।
প্রথম প্রশ্ন ভারতের নেগোশিয়েটরদের দক্ষতা এখানে মূল ইস্যু নাকি তাদের বাহুর জোর মূল ইস্যু । আমার মতে দ্বিতীয়টা ।
আর রাজনীতির মাত্রার বাইরে নিয়ে আসতে হবে বিষয়টা বুঝলাম না । রাজনৈতিক বিবেচনা বাইরে রেখে জনগণের জন্য কোন অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে আসা দরকার বলছেন ? রাজনৈতিক বিবেচনা পাশ কাটিয়ে "অর্থনৈতিক বিবেচনা"য় গৃহীত সিদ্ধান্তের ফল কিরকম হতে সেটা একটা চমতকার উদাহরন হলো কাপ্তাই জলবিদ্যুত কেন্দ্র । আমরা ওখান থেকে প্রচুর বিদ্যুত পেলেও ঐ প্রকল্পের রাজনৈতিক পরিণতি কি হয়েছে সেটা বলাবাহুল্য ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বাহুর জোর একটা ইস্যু অবশ্যই তবে কথা হল যদি নেগোসিয়েশনে আমাদেরকে বোকা বানিয়ে ভারত নিজের পক্ষে চুক্তি নিয়ে নেয় তখন আর বাহুর জোরের দরকার হবে না। আমরা কেবল চেয়ে চেয়ে দেখব। আর বাহুর জোর দিয়ে যাতে তারা চুক্তি লিখিয়ে নিতে না পারে সে জন্যই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দল গঠনের কথা বলেছি।
আর 'নিছক' রাজনৈতিক বাইরে আসার কথা যখন বলছি আর মানে হচ্ছে, বিএনপির দিক থেকে এইটা বলা যে ভারতের কাছে দেশ বেঁচে দিচ্ছে ইত্যাদি মাত্রার রাজনীতি। তারপরো এখানে রাজনীতি থাকবে কিন্তু সেখানে আওয়ামী বিরোধিতা ভারত তোষন বা বিরোধিতার চেয়ে মটিভেশন হবে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন। ভুল বললাম?
বাংলাদেশ তার সম্পদ ভারতকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার করতে দেবে। সেটাতে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবার সুযোগ থাকলে সেটা না করতে দেয়ার কোনো কারণ নেই। একইভাবে ভারতের কাজ থেকে আমরা কি কি সুবিধা পাবো সেটারও বোঝাপোড়া দরকার। আমাদের কিছু ন্যায্য দাবীর (যা অন্য কোনো কিছুর বিনিময়ে আদায় হবার কথা নয়) বিপরীতে ভারত এই সুবিধাগুলো দাবী করলে, বা আমাদের সমস্যাগুলোকে আলোচনার টেবিলে রেখে তাদের নিজেদের কোনো বিষয়ে সমঝোতা করতে চাইলে, সেটা আমাদের পক্ষে মেনে নেয়া কঠিন হয়ে যায়। সেটাতে ভারতের বন্ধুভাবাপন্ন অবস্থান কদাচ প্রকাশ পায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নাকি বলেছেন, বাংলাদেশের মারাত্বক ক্ষতি হবে এ রকম কিছু ভারত টিপাইমুখে করবে না। এই বক্তব্য কি খুব সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট? আপনাদের কি মনে হয়, আমরা এই বক্তবে আস্থা রাখতে পারি ?
আগেও একটা মন্তব্যে বলেছি, আবারও বলি।
চুক্তিতে কী আছে তা না জেনে কিছুই বলা সম্ভব না। চট্টগ্রাম বন্দর তার ক্ষমতার ৪০% ব্যবহৃত হচ্ছে, বাকী ৬০% ভারতকে দিতে সমস্যা নেই। কিন্তু বিনিময়ে কী পাব তা জানা জরুরী।
প্রসঙ্গত একটা উদাহরণ দিই: অস্ট্রেলিয়াতে গত সরকার (লিবারেল) চীনের সাথে ২৫বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে এটা সবচেয়ে বড় একক বাণিজ্য চুক্তি। চুক্তির ভিতরে কী আছে? প্রতি লিটার তরলে চায়নার কাছে বিক্রী হয় প্রায় ১০ সেন্টে (পরিবহন খরচ সহ)। আর সেই গ্যাস অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় প্রায় ৭০ সেন্টে। তবু কেন সেই আপাত অসম চুক্তি? অস্ট্রেলিয়ার খনিজ দ্রব্যের প্রধান ক্রেতা চীন। বিশ্ববাজারের সবার সেরা চীন, তাই তাদের খুশী রাখতে হবে।
যেসব চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে কোথাও কোন তথ্য দেখছি না। দৈনিক পত্রিকা ঘেঁটে কিছু পেলাম না। ভারতের পত্রিকা খুঁজেও না। কিছুই না জেনে ভালমন্দ কীভাবে বলা সম্ভব?
আমরা সেই দেশ যারা তথ্য পাচার হয়ে যাবে বলে সময়মতো সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ নিইনি।
এখন বন্দর উন্মুক্ত করে দিলে পশ্চাৎদেশে হাত ঢুকিয়ে কলিজা ছিঁড়ে নিয়ে যায় যদি!!!!
'৭৪ এর মুজিব ইন্দিরা চুক্তি থেকে শুরু করে গংগার পানিবন্টন চুক্তি হয়ে বর্তমান চুক্তি- সাদা চোখে কোন চুক্তিই বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হয়নি। কিন্তু সমস্যা হলো- মুজিব ইন্দিরা চুক্তি থেকে শুরু করে কোন চুক্তিরই সঠিক বাস্তবায়ন হয়নি। আরো স্পষ্টভাবে বললে-বাংলাদেশের তরফ থেকে হয়েছে যতোটুকু হওয়ার কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে হয়নি। ফলে নতুন চুক্তিতে যতো মিষ্টি কথাই থাকুক আস্থাহীনতার বিষয়টি থেকেই যায়।
বন্দর ব্যবহার, কানেকটিভিটি দেয়া এসবে আমি লাভ ছাড়া ক্ষতি দেখিনা। তবে লাভের গুড় দেশের জন্য না পিঁপড়ের জন্য হবে সেটা নির্ভর করছে আমাদের ব্যবস্থাপনার উপর। একটা উদাহরন দেই চট্রগ্রাম বন্দরে ভারতীয় কন্টেইনার আসলো ভারতের কোন বন্দর থেকে। এই কন্টেইনার চট্রগ্রাম বন্দর থেকে তামাবিল পর্যন্ত পৌঁছে দেবে বাংলাদেশের ট্রান্সপোর্ট। ডাউকি থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্য সমুহে নিয়ে যাবে ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট। এখন বাংলাদেশ কি বিনামূল্যে এই সার্ভিস দেবে? অবশ্যই না। সার্ভিস চার্জ কি রকম হলে বাংলাদেশের লাভ কতোটুকু হবে এই বিষয়গুলো বাংলাদেশ পক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।
নিরাপত্তা বিষয়ে অনেকেই বলছেন। ভারত এই কানেকটিভিটির সুযোগে আরো বেশী অস্ত্র পাঠাবে উত্তর-পূর্বের বিদ্রোহীদের দমনে। এসব হলো খালেদাজনিত বালখিল্য কথাবার্তা। চট্রগ্রাম বন্দর কি কন্টেইনার চেক না করে ছেড়ে দেবে? পৃথিবীর অন্য যে সব বন্দর এই সার্ভিস দেয় তারা কি করে? কোন কোন পণ্য পরিবহন করা যাবেনা তার কোন তালিকা থাকবেনা?
জামাত বিএনপি'র আমলে তো চট্রগ্রাম বন্দরকে ব্যবহার করা হয়েছে চীন পাকিস্তানের দেয়া উলফার অস্ত্র খালাসের জন্য। এইসব অপ-সম্পর্ক থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হোক। যা হোক প্রকাশ্যে হোক, বাংলাদেশের লাভের জন্য হোক।
কেউ কেউ এমন ও বলছেন, এই কানেকটিভি'র দেয়ার ফলে বাংলাদেশ উত্তর-পূর্বের বিদ্রোহীদের বিরাগভাজন হবে। বাংলাদেশ একটা স্বাধীন রাষ্ট্র, সে তার স্বার্থে ভারত রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি করবে। অন্য দেশের বিদ্রোহীরা কি ভাবলো, কি ভাবলোনা এসব হীনমন্যতায় ভুগার কি আছে?
চুক্তি হয়েছে তিনটি, বাকীগুলো সমঝোতা স্মারক- সবগুলোই ব্যাখ্যা বিশ্লেষন সহ সংসদে, মিডিয়ায় আলোচনা হওয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করছেন-সর্বস্তরের মানুষের কাছে বিষয়টি পৌঁছে দেয়ার জন্য এটি যথেষ্ট নয়। নেগেটিভ ব্যখ্যা বরং মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছায়।
আর বিএসফের বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা- এই অসহনীয় বিষয়টি বোধ হয় প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনার জন্য গুরুত্ববাহী নয়। নাগরিক এতোটাই গুরুত্বহীন গনতান্ত্রিক দেশে!
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
তবুও আশাবাদী হওয়াটাই কাম্য। ভারত সম্ভবত আগামী দিনের পরাশক্তি। এরকম পরাশক্তির সাথে সংঘর্ষ নয় বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যেমে এবং সত্যিকারের দেশপ্রেমের প্রতিফলন ঘটিয়ে নিজেদের হিস্যা আদায় করে নিতে হবে। আমি নিশ্চিত আজকে যারা এর প্রতিবাদ করছে আগামী দিনে সরকারে এসে তারা এ চুক্তি বাতিল করবেনা।
আমি এই কথাটাই বলছি।
জামাত বিএনপি সরকার যেমন উলফা'দের অস্ত্র সরবরাহের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছিল , আওয়ামী সরকার যদি সেটা করতে চায় উলফা দমনে ভারত সরকারের হয়ে সেটা চুক্তি করে প্রকাশ্যে করতে হয়না।
চুক্তি না থাকা স্বত্বে ও চট্রগ্রাম বন্দর ব্যবহৃত হয়েছে অস্ত্র পরিবহনের জন্য। দশট্রাক ধরা পড়েছে ঘটনাক্রমে, আরো কতো ট্রাক গেছে- কে
জানে?
চুক্তি করে প্রকাশ্যে যখন বন্দর ব্যবহার করতে দেয়া হবে( এবং এটি শুধু ভারত নয়- নেপাল ও ভূটানের জন্য ও) তখন নিশ্চয় তার একটা প্রকাশ্য নীতিমালা থাকবে যেমন আছে পৃথিবীর অন্য সব বন্দরের যারা ভিন্ন দেশকে এই সুবিধা দিচ্ছে। নীতিমালার আড়ালে অন্য কিছু, কোন পক্ষকে আইন-বহির্ভূত সুবিধা প্রদান- আমাদের কোন সরকার এরকম করবেনা এ নিশ্চয়তা দেয়ার মতো নাগরিক আত্নবিশ্বাস আমাদের কারোরই নেই
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একটা প্রশ্ন খুব জোরেসোরে উঠেছে, ভারতকে বাংলাদেশের কোনো বন্দর ব্যবহার করতে দিলে ভারতীয় সেনা বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়বে। পাশাপাশি বিরোধী দলকে উলফার প্রতি প্রচণ্ড সহানুভূতিশীল দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে উলফাকে দমন করার কাজে অস্ত্র পরিবহন করা হবে বলে একটি রব উঠেছে [গত সরকারের সময় যখন বিরোধী দল ক্ষমতায় ছিলো, তখন পাকিস্তানী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে উলফার জন্য অস্ত্র চালানের সাথে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষব্যক্তিরা জড়িত ছিলেন বলে সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে]।
বাংলাদেশে ভারতীয় সেনা ঢুকে পড়বে, এই ভয়টি প্রধানত ৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী, তাদের সহযোগী বিশ্বাসঘাতক রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনী এবং ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুহত্যার পর খুনী মেজরচক্রের মধ্যেই ছিলো। জানি না কেন বিএনপি-জামায়াত আজও এই ভয়ে কাতর। বাংলাদেশের চৌকস সামরিক বাহিনীর সাথে টক্কর দেয়ার মতো ভূরাজনৈতিক অবস্থা ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর নেই।
আর উলফা দমনের উদ্দেশ্যে অস্ত্র পরিবহনের জন্যে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করার প্রয়োজন কি ভারতের আদৌ আছে? গেরিলা বাহিনী দমন করার জন্যে প্রয়োজন হয় মূলত হালকা অস্ত্র [অটোমেটিক রাইফেল, মেশিনগান, মর্টার, প্রচুর অ্যামিউনিশন]। এই হালকা অস্ত্র ভারতীয় স্থলসেনা খুবই আয়েশের সাথে অতীতে তাদের নিজেদের স্থল, জল ও আকাশপথেই পরিবহন করেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতে তাদের সেনা স্থাপনার ম্যাপ নিচে দিলাম। ঘরের চিহ্নগুলি কোর হেডকোয়ার্টারের, আর ব্যাকপ্যাকারের চিহ্নটা ডিভিশন হেডকোয়ার্টারের।
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে সশস্ত্র বিদ্রোহ এবং ভারত সরকারের সশস্ত্র বিদ্রোহ দমন তো ভারত রাষ্ট্রের শুরু থেকেই। সম্ভবতঃ শুরু হয়েছিলো নাগাল্যান্ড। উত্তর-পূর্বের বিদ্রোহীদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল উলফা নয় নাগাল্যন্ড এর এনএসসিএন যাদের দমনের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর নাগা রেজিমেন্ট নামে একটা ডিভিশনই আছে নাগাদের নিয়ে। ৭০ দশকে ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল মিজোরামের বিদ্রোহীরা লালডেংগার নেতৃত্ব যারা পরে প্রকাশ্য রাজনীতিতে চলে আসে। মিজোরামে এখন আর সেই মাত্রায় সশস্ত্র তৎপরতা নেই। মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা, মনিপুরে বিদ্রোহীদের সশস্ত্র তৎপরতা ও অনেক নিয়ন্ত্রিত হয়ে এসেছে। সশস্ত্র বাহিনীর সাথে যতোটুকু সংঘর্ষ হয় তার চেয়ে অনেক বেশী তাদের তৎপরতা বাঙ্গালী এবং মেইনল্যান্ড ভারত থেকে আসা দরিদ্র শ্রমিকদের হত্যায়।
যা হোক বিদ্রোহীদের সমালোচনা আমার উদ্দেশ্য নয়। বলতে চাইছি- উত্তর পূর্বের বিদ্রোহীরা নতুন করে এতো শক্তিশালী হয়ে উঠার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি যার কারনে বিদ্রোহ দমনে বাংলাদেশের পার্টনারশিপ জরুরী হয়ে উঠেছে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভারতবিরোধী রাজনীতি যারা করে, তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, পারলে বাংলাদেশে হিন্দিভাষী টিভি চ্যানেল বন্ধের জন্যে আন্দোলন করে দ্যাখান। বাংলাদেশ দখলের যে জুজু আপনারা দ্যাখান, তার জন্যে ভারতকে সেনাবাহিনী পাঠাতে হবে না, তারা কয়েকটা টিভি চ্যানেল দিয়েই বাংলাদেশ দখলের কাজ এগিয়ে রাখছে।
এইটার পর আর কোন কথা নাই। ভারতের এক একটা সিরিয়াল একবেলা না দেখতে পারলে আমাদের ললনা সমাজ কান্দায়া ভাসায়া ফেলান,ভারতের রিয়ালটি শো দেখার জন্য তরুনেরা হা কইরা চায়া থাকেন !!
আর বিশেষ করে মহিলাদের ক্যামনে ঐসব জঘন্য সিরিয়াল গুলা দেখতে ইচ্ছা করে!![একবার শখ কইরা(!!) দেখতে বইসা মাথা যে এত গরম হইদিল!!!]
আর ভাইয়া, ভারতের সেনা বাংলাদেশের সেনার সাথে পারবে না ক্যান?(আমিও তাইই চাই, কিন্তু চাওয়াটা কতটুকু বাস্তব তা ই জানতে চাচ্ছিলাম।)
পারবে নাকি পারবে না তা তো বলি নাই, বলেছি টক্কর দেয়ার মতো ভূরাজনৈতিক অবস্থা ভারতের নাই। যুদ্ধ তো মল্লযুদ্ধ না যে র্যান্ডম একজন ভারতীয় সেনা গায়েগতরে একজন র্যান্ডম বাংলাদেশী সেনার চেয়ে বড় কি না সেইটা বিচার করে কে কার সাথে "পারবে" সেই হিসাব করা হবে।
সচলে মন্তব্যের শেষে আপনার নাম বা নিক উল্লেখ করবেন। নামহীন মন্তব্য সাধারণত প্রকাশিত হয় না বলেই জানতাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ব্যাপারটা আমি খোলাসাই করেছি। ত্যানা প্যাচাইতে চাইলে তুই ওয়েলকাম। তোর যদি মনে হয় টক্কর দেয়ার মতো ভূরাজনৈতিক অবস্থা ভারতের আছে, ফেয়ার এনাফ।
- ত্যানা প্যাচানির কথা ক্যান বললি বুঝলাম না। আমি জিনিষটা নিয়ে জানতে চাইলাম, আসলেই। যাইহোক, ফেয়ার এনাফ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনাদের বন্ধুগ্রুপটা বড়ই রাফ এ্যান্ড টাফ! ডর লাগে।
এইখানে ঠিক কি বলতে চাচ্ছেন একটু ক্লিয়ার করলে সুবিধা হইত। বাংলাদেশের রাজনীতি কি তাইলে দুইরকম? ভারত বিরোধী আর ভারত বান্ধব? রাজনীতি ভারতের বিরুদ্ধে গেলে কি আসলে আলাদা ভাবে দুঃখ পাবার কারন আছে? বুঝিয়ে বললে সুবিধা হত।
যখন বলছেন
আপনি কি এমন বুঝাতে চাচ্ছেন যে এইটা করতে না পারলে ভারতের পক্ষেই কথা বলতে হবে। আমি যদি বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলি হবে না? একটু পরিষ্কার করলে ভালৈত! হিন্দি চ্যানেল বন্ধের আন্দোলন করতে না পারলে আর কি কি করা যাবে না যদি একটু বুঝাইয়া বললে সুবিধা হইত।
এই ব্যপারে আমাদের মত আমজনতার কি করনীয় বলে মনে করেন?
হ্যাঁ, আপনি ঠিক দাগেই ভাগ করেছেন। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলি ভারত প্রসঙ্গে প্রয়োজনের তুলনায় নমনীয় এবং বিএনপি দৃশ্যত প্রয়োজনের তুলনায় কঠোর মনোভাব পোষণ করে। অন্যান্য দলগুলির কোনো নির্দিষ্ট চরিত্র নেই। বুঝিয়ে বললাম, একটু জানাবেন আপনার কী "সুবিধা" হলো। আর এতক্ষণ আপনাকে অ"সুবিধা"য় রাখার জন্যে লজ্জিত।
না, আমি বোঝাতে চাচ্ছি না যে ঐ কর্মটি সাধন করতে না পারলে ভারতের পক্ষেই কথা বলতে হবে। ভারতবিরোধী রাজনীতি যারা করে, তারা বিভিন্ন জুজুর ভয় দেখায়, কিন্তু প্রকৃত সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে কিছু বলে না। তাদের খাতায় যেসব ইস্যু আছে, সেগুলির প্রায়োরিটি ওয়েইট পাল্টানো দরকার, সেটাই বলেছি। হিন্দি চ্যানেল বন্ধ না করতে পারলে আর কিছু করা যাবে না, এটা তো আপনার ভাবনা। আপনি হিন্দি চ্যানেল বন্ধ না করে বসে বসে পায়ের নখ দিয়ে মাথার তালুও চুলকাতে পারেন, আমার কোনো আপত্তি নেই।
আর হিন্দি চ্যানেলের ব্যাপারে আমাদের মত আমজনতার যা করণীয়, তা হচ্ছে বর্জন, এবং অন্যকে বর্জনের ব্যাপারে উৎসাহিত করা।
বুচ্ছেন?
'সুবিধা' = বুঝলাম। প্রথম মন্তব্যে যদি দাগের দুইপাশের লোকদেরই এই হারে সমালোচনা করতেন আমার অন্তত আপনাকে ক্লেশ দেবার দরকার পড়ত না। 'ধোয়া সরান' 'এসকেপ রুট' 'ঠেস দেয়া' এই টার্মগুলা মনে পড়ল। খেয়াল কইরা। চুল্কানির কথাই যদি বলেন তবে আমার শখ বাঘের ল্যাজ দিয়ে কান চুলকান যদি সেরাম বাঘ হয়। কিন্তু এখনও সেরাম পাই নাই।
তামাসা বাদ দিয়া এইবার কাজের কথায় আসি। ভারতকে কেবল নেহাত বন্ধু বা শত্রু মনে করার কিছু নাই। তবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রুখে দেবার ব্যপারটা কঠিনই হবে। কারন ভারতীয় চ্যানেলকে বাদ দিলেও দেশি চ্যানেল গুলোও তাদের অনুকরন করছে আজকাল। যদিও টিভি দেখা হয় না, অবস্থাদৃষ্টে তেমনই মনে হয়।
ভাল থাকবেন।
ভারত, নেপাল বা ভুটানকে বন্দর ব্যবহার করতে দেয়ায় কোনো সমস্যা দেখছি না। বরং এর মাধ্যমে নতুন কোনো সহযোগীতা-সম্ভাবনার দোয়ার খুলেও যেতে পারে।
"ভারত টিপাইমুখে কোন ক্ষতিকর পদক্ষেপ নেবে না" এধরনের কুটনৈতিক বক্তব্যে বিশ্বাস করার কোনো কারন নেই। সাম্প্রতিক সফর বিনিময়ের কারনে চক্ষু লজ্জায় অদূর ভবিষ্যতে না করলেও সুদূর ভবিষ্যতে উদ্যোগ নেবেনা এই গ্যারান্টি নেই। আর যতদিন টিপাইমুখ বাতিল না করবে ততদিন এটা বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে থাকবে। এটাকে ভারত বারবার সুযোগ হিসেবে নেবে না, তা বলা মুশকিল।
দেশ দখল, ভারতীয় সেনা ঢুকে পড়া, অস্ত্র পরিবহন, গোয়েন্দাগিরি- এইসব ফালতু কথা। গোয়েন্দাগিরি কি ভারত এখন করছে না?
ইন্টারেস্টিং আলোচনা। শেখা হচ্ছে।
কেউ মনে হয় পুরো চুক্তিটার (মূল ৩ প্লাস সমঝোতা) লিংক দিলে ভাল হতো। আলমগীর ভাই পাচ্ছেন না, মোরশেদ ভাই মনে হয় জানেন, তাই বলছি।
টিভি চ্যানেলের ব্যাপারে, দুই বার ভারত ঘুরেও একটিও বাংলাদেশি বা পাকিস্তানি বা নেপালি বা ভুটানি চ্যানেল পাইনি। কোথাও না, কোন হোটেলে না। এ ব্যাপারটি কেউ একটু ব্যাখ্যা করবেন?
ভারত আঞ্চলিক হেজেমোনি (এবার সিরিয়াস )। হেজেমোনির সাথে বন্ধুত্ব হয়তো কষ্টকর, কিন্তু আমাদের শেয়ারড ইতিহাসের একটা ব্যাপার আছে। তাছাড়া সাংস্কৃতিক একটা এ্যাসপেক্টও আছে। এ কারণেই বন্ধুত্ব কামনা করি। মুক্তিযু্দ্ধেও কিন্তু ভারতের বিশাল অবদান আছে।
আমি ভারতের হয়ে এপোলজিস্ট না। এখানে বেশ ব্যালেন্সড আলোচনা হচ্ছে, ভাল লাগছে। তবে আলটিমেটলি আমাদের নেইবারহুডে তো আছে ভারত আর বার্মা। আর কি কোন চয়েজ আছে আমাদের?
আরেকটি ব্যাপার হল, পাকিস্তান আর ভারতের মধ্যে হু উড ইউ রাদার চুজ? এই জিনিসটাও আমার মাথায় ঘোরে। যদিও আমি এখানে কিছুটা অতিসরলীকরণ করছি হয়তো, জাতীয়তাবাদী মুসলিমরা কেবল পাকিস্তানপন্থী না হয়ে মালয়েশিয়া বা সাধারণ ইসলামপন্থী হয়তো হতেও পারেন।
বিএসএফের মানুষ মারার ব্যাপারে - এটার নিন্দা করতেই হবে। বিডিআর তো সেই হারে মারে না, তবে মাঝে মাঝে স্কারমিশ হয়। তবে আমাদের দুই দেশের সম্মিলিত জনসংখ্যা ১৩০ কোটির উপরে, সেদিক দিয়ে কি আমরা মোটামুটি শান্তিতেই আছি না?
পানির ব্যাপারটা সামনে ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে। তবে এখানে তো মাসল দেখানোর সুযোগ কম। চীন-ভারতেরও ইদানিং এটা নিয়ে ব্যাপক গোলমাল হচ্ছে, কফি হাউসে দিগন্তদার একটা লেখা পড়ছিলাম। এখানে সমঝোতা ছাড়া আমাদের আর কোন গতি কি আছে? জিনিসটা এমনই সেনসিটিভ যে অন্য কিছু দিকে হয়তো ছাড় দিতে হতে পারে।
এ আলোচনাটি দরকার ছিল।
আপনার আর্গুমেন্ট এইখানে কি ? ভারত আর বার্মা আমাদের প্রতিবেশী বলে তারা যা বলবে সেইটা আমরা তারা "প্রলিফিক" বলে মেনে নেব ? আর ভারত পাকিস্তানের কথা যেইভাবে আনলেন তাতে মনে হলো আমাদের এইখানে একটা মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ চয়েসে যেতে হবে । ভারতের সাথে সাম্প্রতিক চুক্তির আলোচনাতে এই চয়েসের ভূমিকা কোথায় ? নাকি বলছেন যেহেতু পাকিস্তানের সাথে যাওয়া যাবে না সেহেতু ভারতের সাথে একটা যেকোনরকম বন্দোবস্তে আসতেই হবে ?
আর এই পোস্টে আমরা কি কোন দেশ বাছাবাছিতে বসছি নাকি ? নাকি ভারতের সাথে সাম্প্রতিক চুক্তিগুলো পর্যালোচনার সুযোগ তৈরী করতে বসছি ?
আপনার মন্তব্যের এই অংশটা যথেস্ট পরিমানে অসম্মানজনক - অন্তত যেইসব গরীবগুর্বো বিএসএফের টার্গেট প্রাকটিসের স্বীকার হয় তাদের কথা চিন্তা করলে । ১৩০ কোটি লোকের মধ্যে কতগুলো লোক মরলে আপনার মনে হবে আমরা যথেষ্ট শান্তিতে নেই ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই কথাটা ভুল হইসে আমার। ফিরায় নিলাম এবং আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
চুক্তি হয়েছে তিনটি- অপরাধী প্রত্যার্পণ, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রন এবং অপরাধ দমনে আইনী সহায়তা।
সমঝোতা স্মারক হয়েছে দুটি- বিদ্যুৎ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের।
বাকী সবগুলো যৌথ ঘোষনা- উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ত্রিপুরার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারী যন্ত্র পরিবহনের জন্য আশুগঞ্জ নৌ বন্দর ব্যবহার করবে ভারত, নেপালে পণ্য পরিবহনের বাংলাদেশ ব্যবহার করবে আসামের সিলঘাট বন্দর, বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশ, তিস্তার পানি বন্টন, ভূটানে পণ্য পরিবহনের জন্য ভারত ট্রানজিট দেবে, বাংলাদেশ ভারত নেপাল ও ভূটানের জন্য তার দু্টো সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করতে দেবে এ ছাড়া বাংলাদেশের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ভারত ঋন দেবে- এই সব
বিএসএফ যা করে সেটা সুস্পষ্টভাবেই আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লংঘন।
ভারত তার দেশে প্রতিবেশী দেশের টিভি চ্যানেল দেখতে দেয়না এর জন্য ভারতের মুন্ডুপাত না করে দরকার ছিলো আমাদের দেশে ও ভারতীয় চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয়া।
বন্ধুত্ব কিংবা শত্রুতা- দুটোর জন্য সমানে সমান হতে হয় শক্তি এবং মানসিকতায়। আমাদের শক্তি অর্জন হোক এবং মানসিক দৈনতা ও দূর হোক।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মানসিক দৈন্যতাটাই আমাদের বড় বেশি,এ থেকে কবে আমরা মুক্তি পাবো???
ভারতের পাশে আমরা মর্যাদা নিয়ে থাকতে চাই।
---রঙপেন্সিল
আশাকরি করি আমার মন্তব্যটা প্রকাশিত হবে।
অনেক মন্তব্য পড়লাম।আমি শুধু চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে বলবো।নীতিগতভাবে আমি ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দরে একসেস দেওয়ার পক্ষে।তবে কিছু জিনিসের নিস্পত্তির আগে নয়।
১. ত্রিপুরা থেকে ভারতীয় পণ্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত কিভাবে যেতে পারে? হয় রেলপথে নয় সড়কপথে।আমাদের রেলপথের যে অবস্থা তা এই পণ্য পরিবহনের উপযোগী নয়।সুতরাং একে আপগ্রেড করতে হবে।এই আপগ্রেডের অর্থায়ন করবে কে? ভারত সরকার, না বাংলাদেশ সরকার!দেখা যাচ্ছে, ভারতে সরকার বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার লোন (অনুদান নয় কিন্তু খেয়াল কৈরা)দিয়েছে রেলওয়ে ইনফ্রাস্টাকচার আপগ্রেডশনের জন্য।অর্থাৎ ভারতীর পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ সরকার তার রেলপথকে উপযোগী করবে ভারতীয় লোনের টাকায়।একেই বলেই "মাছে তেলে মাছ ভাজা"।
২. যদি ভারত সড়কপথে পণ্য পরিবহন করে, সেক্ষেত্রে নতুন সড়ক নির্মান করতে হবে কিংবা বর্তমান সড়কপথে লেন বাড়াতে হবে। এই কাজের জন্য অর্থায়ন করবে কে?নিশ্চয় ভারত সরকারকে এতোদিনে আমরা এতটুকু চিনেছি যে বিনিয়োগ তারা করবে না।যেহেতু রাজস্ব পাবে বাংলাদেশ,সো আমাদের গাঁটের পয়সায় কিংবা ভারতীয় লোনে ভারতীয় পন্য পরিবহনের জন্য সড়কপথ রেডী করে দিতে হবে।
৩.ভারতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাংলাদেশের চেয়ে বেশি কারন বাংলাদেশ সরকার অধিকতর ভর্তুকি দেয়।ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশের ফিলিং স্টেশন থেকে যে পেট্রোল ডিজেল সংগ্রহ করবে না, সেইটা কে নিশ্চিত করবে।
৪.অবস্থানগত কারনেই উত্তরপুর্ব ভারতে হাজার নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার সত্বেও বাংলাদেশি পণ্য বেশ কম্পেটিটিভ এবং তা বাংলাদেশি পণ্যের সম্ভবনাময় বাজার।ভারতের উৎপাদন কেন্দ্র থেকে এয়ার কিংবা স্থলপথে সেভেন-সিস্টারে পণ্য নিতে পরিবহন খরচ অনেক বেশি বিধায় দামও বেশি।নৌপথে পণ্যপরিব হন খরচ কম।সুতরাং যে অবস্থানগত কারনে বাংলাদেশি প্রোডাক্ট ভারতীয় প্রোডাক্টের চেয়েও কম্পেটিটিভ ছিলো, তা হারাতে হবে।
এরপরেও যদি ভারত আমাদেরকে দুহাত ভরে রাজস্ব দেয়,রাজনৈতিক বিবেচনায় না নিয়ে, শুধু অর্থনৈতিক বিবেচনায় আমি তা গ্রহন করতে আগ্রহী।
আচ্ছা, এই বন্দরে ট্রানজিটের বিনিময়ে আমরা কি পাবো!অনেকেই নেপাল, ভুটান টেনে এনে সোকলড রেজিওনাল কানেক্টিভিটির কথা বলেছেন।
উনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি এখন পর্যন্ত ভারত নেপাল এবং ভুটানের পন্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরোলাইন থেকে সর্বোচ্চ ২০০ মিটার আসতে পারবে।বাংলাদেশ থেকে পন্যবাহী ট্রাক নেপাল-ভুটানে যেতে পারবে কিনা, এই বিষয়টা এখনো স্পষ্ট নয়, ভারত এই ব্যাপারে কোন আশ্বাস দিয়েছেন বলে আমার জানা নাই।
প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে নেপাল-ভুটান থেকে ট্রাক ঢোকার পর তা কতটুকু ঢুকবে সেটা বলে দেয়ার ভারত কে!ন্যুনতম আত্মমর্যাদা যদি কোন মানুষের থাকে সে এইটার প্রতিবাদ করবে।
সংবাদের সুত্র এখানে দিলাম-
http://prothom-alo.com/detail/date/2010-01-14/news/34686
আর ৪৭টি পন্যে যে শুলক বাধা সরানোর কথা বলা হয়েছে, তা একধরনের ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়।যা'হোক, আপনাদের আগ্রহ থাকলে সেটাও দেখিয়ে দেওয়া যাবে।
আমার আগ্রহ আছে এই ৪৭টি পণ্য সম্পর্কে জানার।
শিমুল,
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যটি ভালো লাগলো। তবে দু'একটি বিষয়ে আমি কিছু যোগ করছি-
১ ও ২: আপনি ঠিকই বলেছেন, স্বল্প সুদের এই এক বিলিয়ন ডলারের সিংহভাগই ব্যয় হবে এই ট্রানজিট অবকাঠামোর জন্য। বাকীটা যাত্রীবাহি পরিবহন ব্যবস্থার জন্য।
কিন্তু এখানে মাছের তেলে মাছটা কে ভাজছে, ভারত না বাংলাদেশ? উদাহরন স্বরূপ- যৌথ ঘোষনা অনুযায়ী, এই টাকা সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ উন্নয়নেও ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে। যদি ভারতের থেকে ঋনে আনা টাকায় বাংলাদেশের একটি রেল ওয়ার্কশপ উন্নত হয়, তাহলে বাংলাদেশ রেল ও কি লাভবান হবে না? ব্যক্তি খাতই বলুন আর রাষ্ট্র ব্যবস্থাই বলুন, উন্নয়নের জন্য এই ঋনপ্রথা তো চলেই আসছে।
তবে ভারত বিনিয়োগ করবে না, এটা ঠিক না। ট্রানজিটের সুবিধার্থে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ উন্নয়নে ভারতই বিনিয়োগ করবে।
ট্রানজিটের একটি বড় অংশই নৌপথে পরিচালিত হবে। এবং এজন্যও ভারতই বিনিয়োগ করবে, বাংলাদেশ নয়। যৌথ ইশতেহার অথবা এই লেখাটি দেখুন।
৩. তেলের বিষয়টি জরুরী। অন্যান্য দেশে এসব সড়কে ভিন্ন দামে তেল বিক্রি করা হয়। বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে।
৪. ভারতের উত্তর-পূর্বে আমাদের রপ্তানী খুব একটা বেশি না। অনেক অশুল্প বাধা আছে আপনি যেমনটা বলেছেন। অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও ওই বাজারকে কেন্দ্র করে সিলেটে শিল্প স্থাপন সম্ভব হয়নি। কিন্তু মেঘালয়ে সীমান্ত-বাজারের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তা বরং বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হতে পারে।
৫. নেপালকে রেল-ট্রানজিট দেবার বিষয়টি কিন্তু চুড়ান্ত। ভুটানের বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। বাকী বিষয়ে একমত। বিষয়টা পরিস্কার হওয়া জরুরী।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
ভিসা সহজতর হলে বিশাল থ্যাঙ্ক্যু।
জীবনের সাড়ে তিন বছর ভারতে কাটানোর পরে কদিন আগে একবার বেড়ানোর নিয়ত করেছিলাম বিতিকিচ্ছিরি সিস্টেম দেখে পালিয়ে আসতে হয়েছিল।
এই ছবিখান নিচের লিঙ্ক থেকে নেয়া। সেখানে একটু বিশদ দেখে নেবার অনুরোধ থাকল। আমরা ক্যাঞ্জানি অফিশিয়ালি ব্ল্যাকলিস্টেড।
http://en.wikipedia.org/wiki/Research_and_Analysis_Wing
লিংকের জন্য থেংকু । সিরাম কয়েকটা লাইন পাইলাম ঐখানে -
নোট -
ইংরেজি কম পারি বলে ডিকশনারি দেখে নিছি । sow মানে হলো -
1. To scatter (seed) over the ground for growing.
2. To spread (land, for example) with seed.
3. To strew something around or over (an area); distribute something over.
4. To propagate; disseminate: sow rumors.
আমি ওখানে আরোও জানলাম বঙ্গবন্ধুকে নাকি র' তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কে আগেই অবহিত করেছিলো । বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় র' ইন্টিলিজেন্সের পাওয়া সেইসময়কার তথ্য কাজে লাগতে পারতো । সেটা কি তাদের কাছে চাওয়া হয়েছিলো ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ভারতে কোন চ্যানেল চালাতে হলে ২ টা বিষয় আবশ্যক
১ সরকারী পলিসি গাইড লাইন
http://www.indiantelevision.com/headlines/y2k6/may/policy_guidelines.htm
কি পয়েন্ট
১। The applicant company must have a commercial presence in India with its principal place of business in India.
২। Every company permitted to downlink channels, uplinked from other countries, into India under these guidelines, shall pay Rs 5 Lakhs as the initial fee before the signing of the Grant of Permission Agreement. In addition, every company shall pay an amount of Rs. 1 lakh per channel per annum as the annual fee.
সরকারী অনুমতি পাওয়ার পর আসল হার্ডল কেবল অপারেটর/ DTH প্রোভাইডার ম্যানেজ করা কারন কেবল অপারেটর রা অলরেডি হিমশিম খাচ্ছে ভারতের নিজেস্ব ২০০ এর উপরে চ্যানেল নিয়ে। ওরা চ্যানেল আই /দেশ টিভি চালাবে শুধুমাত্র দর্শেকর চাপে অথবা ওদের পেছনে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা খরচ করলে।
মফস্বলে কিছু বাংলাদেশী চ্যানেল কেবল অপারেটররা এমনিতেই দেয় কারন কয়েক বছর আগে এতো ভারতীয় বাংলা চ্যনেল ছিলো না। কিন্তু এখন সময় পাল্টাচ্ছে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে বাংলা চ্যনেলে (যেমন স্টার আনন্দ /স্টার জলসা) আর বাংলাদেশের টভি চ্যানেলর চাহিদা শুন্যের কোঠায়। তরুনদের মাঝে বাংলাদেশের হাবিব/ফুয়াদ/বালাম/অর্ণব নিয়ে ক্রেজ থাকলেও বাংলাদেশী চ্যানেলের জন্য আলাদা আগ্রহ নেই সেরকমভাবে।
ইন্টারেস্টিং, ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ টিট-ফর-ট্যাট করতে পারে, সমস্যা একটাই, 'কনজিউমার'।
এ ব্যাপারে বাকিরা কি বলেন?
একটা বিষয় কি কেউ বলতে পারেন, সব কিছু ছাপিয়ে কেন সন্ত্রাস দমন, অপরাধী প্রর্তাবর্তন এগুলো নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে (তিনটা চুক্তির দু'টাই এ সংক্রান্ত)। বাংলাদেশ কি ভাবছে, ভারতের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের ভিতর ঢুকে ঝামেলা করতে পারে, কিংবা ভারত ভাবছে ঠিক উল্টো। এ অঞ্চলের মানুষের অপরাধ চালচিত্রের এমন কোনো বড় (radical) পরিবর্তন হয় নাই যে, এজন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ নেতৃত্বের আলোচনা জুরুরী হয়ে পড়েছে। হ্যা, কিছু অপরাধী হয়ত এ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে লুকিয়ে আছে। সেটা কি বিপদজ্জনক পর্যায়ে চলে গেছে?
যে কোনো বিচারে ভারতের সাথে বাংলাদেশের আলোচনার প্রথম বিষয় -- পানি, পানি, আর পানি। অথচ ঐ বিষয়টা ভালোভাবে উত্থাপিতই হয় নাই। আপাতদৃষ্টিতে, এবারের চুক্তির বিষয়গুলো কি বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় বলে মনে হয়? বাংলাদেশকে যদি স্বাধীনভাবে আলোচনার বিষয়বস্তু নির্বাচন করতে দেয়া হতো, তবে কি বাংলাদেশ এ তিনটি বিষয় নির্বাচন করতো (সন্ত্রাস, মাদক, অপরাধী হস্তান্তর)? মনে হয় না। সে হিসাবে, সমস্ত আলোচনা একপেশে মনে হয় না?
যতটুকু বুঝা যায়, সন্ত্রাসবাদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রমোট করা একটা এজেন্ডা। যেসব অঞ্চলে এই সমস্যা তেমন ব্যাপক নয়, সেসব অঞ্চলেও এ বিষয়ক আলোচনা প্রাধান্য পাচ্ছে। এটা এখন গুরুত্বপূর্ণ (!) দ্বিপাক্ষিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে, অথচ জনমানুষের প্রচুর সমস্যা অমিমাংসিত থেকে যাচ্ছে।
- ম উদ্দিন
অপ্রিয় কথা বলতে বেশী ভাল লাগে না।
১. চুক্তিগুলো হয়েছে ভারতের আগ্রহে। বাংলাদেশের আগ্রহে না।
২. অতীত কোন চুক্তি ভারত ঠিকমতো রক্ষা করেছে তার উদাহরণ দেখি না।
মুক্তিবাণিজ্যের আওতায় রহিমআফরোজ যখন ব্যাটারি রপ্তানি করা শুরু করে সেটাও এন্টিডাম্পিং এর শিকার হয়েছে। যে ৪৭টি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হয়েছে তার কোনটিই বাংলাদেশে উৎপন্ন হয় না। এটা অন্তত ৫বছরের পুরনো খবর।
৩. সাহারা খাতুন যতই মিথ্যা কথা বলুক রাজখোয়াকে যে সরকার গ্রেফতার করে হস্তান্তর করেছে সেটা নিয়ে এখন কোন সন্দেহ নেই। ভারত সন্ত্রাসকে গুরুত্ব দিচ্ছে কারণ উলফাকে তারা এ সুযোগে শেষ করতে চায়। (অনেকটা তামিল টাইগারদের মতো।)
সবচেয়ে হতাশার কথা হচ্ছে চুক্তি/সমঝোতায় কী আছে, কিছু জানা যাচ্ছে না।
চুক্তি/সমঝোতার যে গাজর ঝুলানো হইছে আমাদের সামনে, সেই গাজরগুলো হাতে ধরে না দেখে সেইটা কার স্বার্থে, কী জন্যে হয়েছে সেটা আসলেই বলা মুশকিল। চুক্তি/সমঝোতাগুলো সামনে আসলেই বুঝা যাবে গেরস্তের গরু খাতায় আছে নাকি গোয়ালেও আছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কোথাও পেলাম না। এই ৪৭টা মনে হচ্ছে এবারের সফরের পর দেয়া। আগে যে ৪৪টা একবার দিয়েছিল ভারত (প্রথম আলোতে তার তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল) তাতে সুঁই-কুপিবাতি-হাতপাখা এধরনের পণ্য ছিল
ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্যের উপর এটা পেলাম। বেশ কম্প্রিহেনসিভ।
আমরা সবচেয়ে বেশী রপ্তানি করি এমোনিয়া।
তৈরি পোশাক ভারতীয় শুল্ক প্রতিবন্ধকতার কারণে হয়ে উঠেনি।
ভারত WTO এর সর্বাধিক এন্টিডাম্পিং ক্লজ ব্যাবহারকারি দেশ।
কেউ বলছেন বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। ভারতের সাথে নিজের স্বার্থে যে কোনো চুক্তি করতে পারে। এতে যদি সে কারো বিরাগভাজন হয়ও। একটা কথা বলা হয়, ভারতের সাথে কিছু চুক্তি উলফাকে ক্ষেপিয়ে দিতে পারে। যদি ওরকম কিছু থেকে থাকে, বাংলাদেশের সেটা সতর্কভাবে বিবেচনা করা উচিত। বাংলাদেশ যদি মনে করে থাকে, ওরকম কিছু হলে ভারত সাহায্য করবে, সেটা গুড়ে বালি। পাকিস্থানের দিকে তাকিয়ে দেখুন। এটা শক্তি সামর্থ বা সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন নয়, এটা রাষ্ট্র তার শক্তি সামর্থ কোথায় নিয়োগ করবে তার প্রশ্ন।অযথা কারো সাথে বিবাদে জড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
মনে হচ্ছে দুইদিন পর কোন কাইতে শুইতে হবে, সেটাও উলফা এসে বাংলাদেশের জনগণকে বলে দিবে।
উলফা এমন কোন বাঘ নয় যে বাংলাদেশকে গিলে খেয়ে ফেলবে। নিজেদের রাজ্যেই উলফার সামরিক ও রাজনৈতিক অবস্থান পড়তির দিকে। উলফার প্রতি যারা সহানুভূতিশীল তাদেরকে অনুরোধ করি উলফা বিষয়ে একটু খোঁজ খবর নেয়ার জন্য। আসামের বংগাল খেদাও আন্দোলন কারা করেছিল, কারা এর শিকার হয়েছিল এসব একটু জেনে নেবেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভারত অতীতে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়নি- এই হিসাবে বর্তমান চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ এক জিনিস আর চুক্তিটা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর সেটা অন্য জিনিস।
আমি নিজে ও সংশয়বাদী কিন্তু কেউ কি এই চুক্তির বিরোধী? সম্পাদিত চুক্তি কেনো বাংলাদেশের ক্ষতিকর সেটা কেউ ব্যাখ্যা করলে ভালো হয়।
চুক্তির ফলে ভারতের লাভ হবে ৯০ ভাগ বাংলাদেশের ১০ ভাগ- এই কারনে চুক্তির বিরোধীতা কোন যুক্তি নয়। বিরোধীতা করতে হলে দেখাতে হবে বাংলাদেশের ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হচ্ছেনা। ভারতের লাভ বেশী হয়ে যাবে এই আফসোসে নিজেদের কম লাভটুকু ছেড়ে দিতে হবে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাসান ভাই
ওয়ান্স বিটেন টুয়াইস শাই।
৯৬ এ আলীগ আসার পর নিজের চোখের সামনে ডাউকি সীমান্তে বড় বড় বিল্ডিং তুলে ফেলল ভারত। আমাদের পাশে একটা ছাপড়া ছাড়া কিছু নাই। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন বলে সীমান্তের ১ না ৫ কিলোর মধ্যে কোন স্থাপনা করা যাবে না।
শেখ হাসিনা ও তার অনুসারীরা পারলে কাছা মেরে নিজেরাই টিপাইমুখ বাধ বানিয়ে দিয়ে আসবে। অন্তত তাদের কথাবার্তা তাই বলে। ফারাক্কা বাধ নির্মাণের সময়ও শেখ মুজিবকে একই কথা বলা হয়েছিল: একটা বান বানাইয়া একটু টেস্ট করুম। সেই টেস্ট আজও শেষ হয়নি। শেখের কন্যা এটা বলে কেমনে যে ভারত বলেছে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু করবে না?
ভারতের সাথে আমাদের প্রথম প্রধান সমস্যা ১১৫টা ছিটমহল+সীমান্ত। যদ্দূর জানি ভারতীয় অনাগ্রহের কারণেই ছিটমহল সমস্যার কোন সমাধান হয় না। এরপর আসবে পানি। তারপর বাণিজ্য। এসব কিছুর সুরাহা হলে পরে ভারতের দাবীর কথা ভাবা যায় সেটা বন্দর সুবিধা হোক, ট্রানজিট হোক।
আলমগীর ভাই,
উপরে এক মন্তব্যে বলেছি, মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সম্পাদিত কোন চুক্তিকেই আমার কাছে তাত্বিকভাবে বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত মনে হয়নি। সমস্যা ভারতই তৈরী করেছে বারবার।চুক্তি অনুযায়ি তারা বাংলাদেশের পাওনা মেটায়নি। ফলে দীর্ঘমেয়াদী আস্থার সংকট তৈরী হয়েছে, তৈরী হয়েছে একটা বিরাট ব্যাকলগ।
ছিটমহল, অভিন্ন নদীর পানি বন্টন ইত্যাদি জরুরী বিষয়গুলো এখনো ঝুলে আছে
কিন্তু এখানের আমরা কথা বলছিলাম সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে। যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে তার অন্তর্গত ইস্যুগুলোতে বাংলাদেশের লাভ না ক্ষতি? ক্ষতি হলে কি রকম ক্ষতি? লাভ হলে কতোটুকু লাভ ইত্যাদি।
টিপাইমুখ নিয়ে একটা স্পষ্ট ঘোষনা আদায় অন্ততঃ কৌশলগত কারনে হাসিনার জন্য লাভ হতো। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে অর্থের বিনিময়ে বন্দর ব্যবহার করতে দেয়ার মধ্যে শুধু তাদের লাভই আছে, আমাদের নাই এমনতো না। অমীমাংসিত বিষয়গুলোর দ্রুত সমাধান হোক তাই বলে পাশাপাশি এসব উদ্যোগে তো আপত্তির কিছু নেই।
কম হোক বেশী হোক লাভ তো আছে আমাদের, নাকি?
যদি আপনার বিবেচনায় মনে হয় যে সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলো বাংলাদেশের জন্য আদৌ লাভের কিছুর নেই, শুধু ক্ষতি আর ক্ষতি আর ভারতের লাভের ঝুড়ি একেবারে পূর্ন তাহলে ভিন্ন কথা।
আমি জানতে আগ্রহী সাম্প্রতিক উদ্যোগের ক্ষতিকর দিকগুলো।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
৭৫পরবর্তী সময়ে দুদেশে একই সাথে এরকম সমমনা সরকার আর আসেনি। হাসিনা বাজপেয়ীর সাথে যা মুলোমুলি করতে পারেনি তা মনমোহনের সাথে পারবে বলে বিশ্বাস করি। খালেদা জিয়া ভারত সফরে গিয়া ফারাক্কার কথা ভুলে গেলে কষ্ট লাগে না, কিন্তু শেখ হাসিনা তিস্তা/টিপাই ভুলে গেলে লাগে।
আমার অস্বস্তি আলীগের প্রকাশ্য অবস্থান সম্পর্কে, বিশেষত টিপাই নিয়ে যা হলো। বন্দর দিতে আমাদের আপত্তি নাই, আমাদের লাভ হবে। কিন্তু সেটাকে হিল্যা করে আমাদের বাকী ওসুল আদায় করতে সমস্যা কী?
উলফা নিধন বা নির্মুল করলেও আমাদের অসুবিধা নাই, কিন্তু হাসিনা সফররত অবস্থায় যখন আসামে ভারতীয় সামরিক নেতৃত্ব বলে, উলফার প্রায় অর্ধেক গেরিলা বাংলাদেশী তখন আমার সমস্যা আছে।
বিএসএফ সীমান্তে যে মানুষ মারে (শেখ হাসিনা যে সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর করেছেন তাতে মনে হয়, আমরাও মারি ওদের!) তার একটাই কারণ,বন্দর আর ট্রানজিট সুবিধার জন্য বাংলাদেশকে চাপে রাখা।
এটা একটা খেলা। লাভ করতে হলে কৌশুলি হওয়া জরুরী। শেখ হাসিনার সরকারে সেটা দেখতে পাচ্ছি না।
বাণিজ্যে আমাদের বিপুল ঘাটতি। শেখ হাসিনার কাছে সেটাও কোন সমস্যা না। (খালেদার কাছেও ছিল না।)
সামরিক মামারা অনেক কিছু বলে থাকেন। ভারতের হাঁটুপ্রধান দীপক কাপুর সম্প্রতি ওয়াজ ফরমাইয়াছেন যে ভারতের উচিত চীন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা। বাংলাদেশের এক প্রাক্তন বিডিয়ার প্রধান ফজলুর রহমান [উনি এখন বরাহদের সাথেই ওঠবোস করেন দেক্লাম] বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা আর আসাম উদ্ধার করার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে লড়াই করতে হবে। এগুলি উনারা সামনে মাইক পেলে বলে থাকেন।
যদি সামরিক নেতৃত্বের বক্তব্যকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতৃত্বও সমর্থন করে, তাহলে আপত্তির যথার্থ কারণ থাকে।
স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলি সরকার কোনো ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করলে ভালো হয়।
আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই, বন্দর ব্যবহার করে এই তিন দেশে পণ্য পরিবহন করে বাংলাদেশের পরিবহন খাত [বিশেষ করে রেল ও জলপথে পরিবহন] লাভবান হোক। এই বাণিজ্য বৃদ্ধি পেলে রেলপথের উন্নয়ন ও নদীশাসনেও সরকারী ও বেসরকারী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।
আমি চাই না, এই পণ্যপরিবহনের জন্যে সড়কপথ ব্যবহৃত হোক। সরকার পণ্য পরিবহনের জন্যে আলাদা কোনো অবকাঠামো উন্নয়নের কথা ভাবলে তা রেল ও জলপরিবহনে ব্যয় করা হোক।
ভারতীয় ট্রাক ও ট্রাকার বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাবার দু'টি সমস্যা আছে, সড়কপথের বিয়ারিং ক্যাপাসিটি এবং এইডস। বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে জল ও রেলপথে ভারতীয় স্থলবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার জন্যে সম্পূর্ণ বাংলাদেশী পরিবহনবাণিজ্য গড়ে উঠতে পারে, এবং একে স্বাগত জানাই।
আরো ভালো হয় যদি টিপাইমুখের অববাহিকার নদী দিয়ে পণ্যগুলি ভারতে পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়। সেক্ষেত্রে টিপাইমুখ নিয়ে কোনো অবিবেচক প্রকল্প গ্রহণ করা হলে পণ্যপরিবহন ব্যবস্থাও প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।
সন্ত্রাস দমন সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়েছে, সে সম্বন্ধে কি কারো কীছু জানা আছে? সারা বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাস দমনের নামে যে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে তার সহযোগী কি আমরা হতে যাচ্ছি?? আমরা সবাই জানি যে ভারত হচ্ছে এই অঞ্ছলে প্রধান মার্কিন মিত্র। তাহলে আমরাও কি এখন ইরাক, আফগানিস্তানের মত করে সন্ত্রাস দমন করব??
আমি এই বিষয়টা নিয়া ভীত!!
"চুক্তির ফলে ভারতের লাভ হবে ৯০ ভাগ বাংলাদেশের ১০ ভাগ- এই কারনে চুক্তির বিরোধীতা কোন যুক্তি নয়। বিরোধীতা করতে হলে দেখাতে হবে বাংলাদেশের ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হচ্ছেনা। ভারতের লাভ বেশী হয়ে যাবে এই আফসোসে নিজেদের কম লাভটুকু ছেড়ে দিতে হবে?"
না কম লাভতুকু ছেড়ে দিতে হবে না। কিন্তু বিষয়টা কি আসলে এই রকম? আমাদের যদি কোন ক্ষতি নাও হয়, তার মানে এই ১০০ ভাগ লাভ ভারত আমাদের কাছ থেকে পাচ্ছে। তাহলে আমরা কেন এই ১০০ ভাগ দিয়ে ১০ ভাগ এর পরিবর্তে ৭০/৮০ ভাগ লাভ করার জন্য দর কষাকষি করব না?? আমরা কি খুব কম মূল্যে আমাদের দর কষাকষির সু্যোগ টা হারাচ্ছি না??
আপনার হিসাবে একটু সমস্যা আছে। বাংলাদেশ যদি ১০ ভাগ ও পায়, ভারতের লাভ তাহলে ১০০ হয়না ৯০ হয়। অথবা ভারত যদি ১০০ পেয়েই যায় তাহলে বাংলাদেশের লাভ ০।
সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোতে আপনার কাছে হিসাবটা কি রকম? বাংলাদেশের লাভ ০ নাকি বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত?
কোন কোন উপাত্তের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্তে আসছি যে, আমরা খুব কম মূল্যে আমাদের দর কষাকষির সুযোগ হারাচ্ছি? ভারতকে প্রদেয় সুবিধা এবং ভারতের কাছ থেকে প্রাপ্য সুবিধার একটা সম্ভাব্য তুলনামুলক পরিসংখ্যান পেলে অনেক কিছু স্পষ্ট হতো আমাদের জন্য।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দুঃখিত গনিতে কাচা বলে মনে হয় চোখে পরে নাই। ১০০ ভাগের পরিবর্তে ৯০ ভাগ হবে। আর এই কথা তা আমি বলেছি আপনার কথার জবাবে। আপনি এই উদাহরন দিয়ে বলেছেন, চুক্তির বিরোধিতা করতে হলে কম লাভ দেখালে হবে না, ক্ষতি দেখাতে হবে। আমি আপনার এই যুক্তির বিরোধিতা করেছি আপনার দেওয়া স্বীকার্য টাকে ধরে নিয়ে।
একটা কুইক পয়েন্ট। শুধু একটা ব্যাপার নিয়ে এই মুহূর্তে আলোচনা করছি। বন্দর ব্যবহারের ব্যাপারটা এখনও সমঝোতার পর্যায়ে রয়েছে। নিশ্চই পরে বিস্তারিত এক বা একাধিক অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হবে। অসলে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হবে সেই বিস্তারিত অ্যাগ্রিমেন্টের শর্তাবলী। এর আগে যত পর্যালোচনা করা যায় ততই ভাল। (কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট চলে এসেছে)। হিমু ভাইয়ের এবং সাঈদ আহমেদের লেখার বিভিন্ন মন্তব্যগুলিতে নেগসিয়েশনের টেবিলে ভারতের আপারহ্যান্ডের কথা বলা হয়েছে বেশ কয়েকবার। আরেকটা পয়েন্ট এসেছে – বন্দর ব্যাবহারের ভারতের লাভ অনেক বেশি। নেগোসিয়েশনের পয়েন্ট থেকে একটু বিশ্লেষণ করি আমাদের অবস্থানটা।
তার আগে একটা পয়েন্ট বলে নেই। আমার জানা মতে, ২০০৭ (+/-) এর দিকে বাংলাদেশ, ভারত এবং মায়ানমারের মধ্য্ বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পাইপ লাইন দিয়ে মায়ানমার থেকে ভারতে গ্যাস রপ্তানীর একটা সমঝোতার স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল। পরে কিন্তু এটা কার্যকরী হয়নি। (গত সন্ধ্যায় ঢাকার অসহ্য জ্যামে বসে বিবিসি সংলাপে শুনলাম সেই পাইপলাইনের জন্য বাংলাদেশ বছরে ১২০০ কোটি টাকা হুইলিং চার্জ পাবার কথা ছিল)। ফিরে আসি বন্দরে।
আসল নেগোসিয়েশনের সময় নিশ্চয়ই ট্রেইন্ড এবং অভিজ্ঞ নেগোসিয়েটররা টেবিলে বসবেন। আমি আমাদের জাতীয় পর্যায়ের অভিজ্ঞ নেগোসিয়েটরদের কোন ভাবেই আন্ডারমাইন করিনা। অভিজ্ঞতা থেকে নেগোসিয়েশন স্ট্রেটেজি এবং ট্যাকটিক ঠিক করার সময় আমাদের পক্ষে বিপক্ষের কিছু কিছু পয়েন্ট দেখিঃ
বার্গেইনিং পাওয়ার তিনটা পয়েন্ট থেকে আসে আমার মনে হয়ঃ
১। চুক্তির কম প্রয়োজনীয়তা (খুব খিয়াল কইরা, যে পক্ষের চুক্তিটা দরকার বেশি সে কিন্তু ডিসেঅ্যাডভান্টেজড পজিশনে আছে)। ভারতের চুক্তিটা প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি (হয়ত রাজনৈতিক কমিটমেন্টও আছে)। সুতরাং বাংলাদেশ বার্গেইনিং এর জন্য অ্যাডভান্টেজড পজিশনে আছে (বার্গেইনিং পাওয়ার বেশি)।
২। অল্টারনেটিভঃ দেখুন ভারতের কিন্তু অল্টারনেটিভ অপশন খুবই কম। অথচ বাংলাদেশের অল্টারনেটিভ অপশন অনেক বেশি (মানে বন্দর অনেক কাজে ব্যাবহার করা যায়।) আমরা অ্যাডভান্টেজড পজিশনে আছি।
৩। ‘না’ বলার ক্ষমতা। থিওরিটিক্যালি বাংলাদেশের এই অপশন বেশি। (বন্দর তোমাদের ব্যাবহারের জন্য দিলাম না। যাও)। অবশ্যই কেউ কেউ বিতর্ক করবে। ভারতকে না বলা? কিন্তু দেখুন বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে গ্যাস পাইপ লাইন যাওয়ার ব্যাপারে ভারত মরিয়া ছিল, কিন্তু (সাদা চোখে) বাংলাদেশ তো না বলেছে (নিজের পায়ে কুড়াল মেরে হলেও)।
(এই পয়েন্টটা ষড়যন্ত্র থিওরীকে এক্সক্লুড করছে)
আমরা তিনটা পয়েন্ট থেকে দেখতে পাই আসল নেগোসিয়েশনের সময় বাংলাদেশ কিন্তু অনেক অ্যাডভান্টেজড পজিশনে থাকবে।
আরেকটা ব্যাপার আছে, তা হলে ডিপেন্ডেন্সি। বন্দর ব্যাবহারের ফলে বাংলাদেশের উপর ভারতের ডিপেন্ডেন্সি কিন্তু আরও বেড়ে যাবে, যা ভবিষ্যতের নেগোসিয়েশনের জন্য বাংলাদেশকে অ্যাডভান্টেজড পজিশনে নিয়ে যাবে।
তবে নেগোসিয়্যাসনের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল perceived এবং real পাওয়ার। এবং এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল ইনফোরমেশন। (উলফা কি আসলেই কোন ফ্যাক্টর, ইত্যাদি) আমি নিশ্চিত আমাদের নেগোসিয়্যাটররা অনেক ইনফোর্মড হবেন এবং অহেতুকে জুজুর ভয়ে ভীত হবেন না। পরবর্তীতে অরেক্টা পয়েন্ট নিয়ে আসছি...।
হিমু লিখেছেন,
আমার আগ্রহ আছে এই ৪৭টি পণ্য সম্পর্কে জানার।
এসম্পর্কে ভারত সফর নিয়ে উলম্বন দেয়া খোদ প্রথমআলো'র অর্থনৈতিক বিষয়ের সাংবাদিক মাসুম ভাইয়ের বক্তব্য দেখুন
"শওকত হোসেন মাসুম বলেছেন: য়ৌথ ঘোষণা হতাস করার মতোই। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কারণে ভারতের মতো দেশকে এলডিসির জন্য বাজার উন্মুক্ত করে দিতে হবে। সুতরাং ৪৭ পণ্য নিয়ে ঘোষণার কোনো বিশেষ অর্থ নেই। আবার এখন তো শুনছি যে ৪৭ পণ্যের কথা বলা হচ্ছে সেটিও নতুন কোনো ঘোষণা না। আগের ঘোষণার কথাই বলা হইছে।
বাংলাদেশ পাবে ১০০ কোটি ডলার ঋণ। ভাবখানা এই ঋণ পাওয়াই বাংলাদেশের বড় সমস্যা। এই ঋণ অন্য কোথাও থেকেও পাওয়া সম্ভব ছিল। এখনো সম্ভব। সুতরাং এটাকেও আমি বড় করে দেখতে রাজি না।
বাংলাদেশের পণ্য গেলে যে সব অশুল্ক বাধা ভারত দেয় সেগুলোর কার্যকর সমাধান কি হলো সেটাও আমি বুঝতে পারছি না"।
সচলে সামুর লিংক দিলে বিরক্ত হৈতে পারেন দেখে লিংক দিলাম না।তবে চাইলে দেয়া যাবে।
প্রসংগত বলে রাখি, ভারতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তাণীর প্রধানপ্রতিবন্ধক শুল্ক নয়, অশুল্ক বাধা।বাংলাদেশি পণ্য ভারতে যেতে হলে ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিউটের অনুমোদন লাগে এবং যথারীতি এই অনুমোদন প্রায়শই মেলেনা ।যদিওবা মেলে ততদিনে সেই পণ্যের অবস্থা ছেঁড়াবেড়া।পুজো উপলক্ষে প্রাপ্ত মন্ডার অর্ডারের অনুমোদন যদি পুজোর চলে যাওয়ার ১ মাস পরে মেলে সেই অনুমোদন দিয়ে কি কচুটা হবে!বাংলাদেশি ব্যবস্থায়ীদের দাবী ছিলো, আই,এস, টি,আই এর সাথে বি,এস,টি,আই(বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিউট) এর কোলাবোরেশন, যাতে আই,এস,টি,আই'র হয়ে অনুমোদন বি,এস,টি,আই দিতে পারে।আমার জানামতে এক্ষেত্রে অগ্রগতি শুণ্য।
জায়েদ বখত আরও বলেন, বাংলাদেশি পণ্যের মানের বিষয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) সনদ ভারতে গ্রহণ করার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বিষয়টির নিষ্পত্তি না হলে অশুল্ক বাধা অপসারণের বিষয়টিও কার্যত স্থবির হয়ে থাকবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে বিএসটিআই-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হবে—এমনটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কিছু হয়নি। ফলে অশুল্ক বাধা অপসারণের বিষয়েও কোনো অগ্রগতি হলো না।
তবে সেই ৪৭টি পণ্যের তালিকা এখনো প্রকাশিত হয়নি।
সুত্র:http://prothom-alo.com/detail/date/2010-01-14/news/34686
ভালো কথা। ইশতেহারে কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না এটা কার উদ্যোগে করা হচ্ছে। কারন এতে ভারত-বাংলাদেশ উভয়েরই সমান স্বার্থ দেখা যাচ্ছে।
ভারতের যেহেতু ব্যপক চাহিদা, তাই সে তার পরিবহন নিজেই করছে এবং এজন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নও সে নিজেই করবে। কিন্তু বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারে ভুটান যদি কেবল ফুলবাড়ি সীমান্ত পযর্ন্ত ট্রাক আনতে পারে, তাহলে বন্দর থেকে ফুলবাড়ি পর্যন্ত মালামাল পরিবহনের কাজ কী বাংলাদেশের ট্রাক শ্রমিকদের জন্য লাভবান হবে না?
সরাসরি প্রশ্ন নয়, আমি আসলে বোঝার চেষ্টা করছি।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
অশুল্ক বাধা নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণের সাথে আমি একমত। মাউড়াদের সাথে দর কষাকষির এলেম ডালভাতখোর বাঙালির এখনো হয়নি দেখা যাচ্ছে।
৪৭টি পণ্য সম্পর্কে আপনি যা বললেন, সেটা কি তবে এক ধরনের "শোনা কথা"? কারণ মাসুম ভাইও দেখলাম "এখন তো শুনছি" বললেন।
ভারত এই বাণিজ্য অসমতা দূর করার পথে কী কী আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তৈরি করে রেখেছে, তা নিয়ে সচলে গুছিয়ে একটা পোস্ট দিন না। এ সম্পর্কে জানি কম।
টিপাইমুখ নিয়ে বিডিনিউজ-এর খবরটি প্রাসঙ্গিক মনে হল যদিও এটি যথেষ্ঠ বিশ্বাসযোগ্য কিনা আমি সে বিষয়ে নিশ্চিত নই--
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=34&id=118475&hb=1
বলা হয়নি, আমার লেখাটা আসলে এই কথার পরিপ্রেক্ষিতেই লেখা।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
@সাঈদ আহমেদ,
উদ্ধৃতি,
কিন্তু এখানে মাছের তেলে মাছটা কে ভাজছে, ভারত না বাংলাদেশ? উদাহরন স্বরূপ- যৌথ ঘোষনা অনুযায়ী, এই টাকা সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ উন্নয়নেও ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে। যদি ভারতের থেকে ঋনে আনা টাকায় বাংলাদেশের একটি রেল ওয়ার্কশপ উন্নত হয়, তাহলে বাংলাদেশ রেল ও কি লাভবান হবে না?
সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ উন্নয়ন করা হবে।এইটা ভালো দিক।যদিও এখানে অর্থের চেয়ে সরকারের পলিসিসাপোর্টই বেশি গুরুত্বপুর্ণ ।
যদি একশ কোটি ডলার লোনের টাকায় ঘাটের রেলওয়ে যদি বিগতযৌবন ফিরে পায়, মন্দ কি।
আপনি কামেল মানুষ; নিশ্চয় জানেন, যে সংস্থা বা দেশ লোন দেয়, তাদের হাজার রকম বায়না মেনে চলতে হয়।যেমন: নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি এই লোকমোটিভ এবং প্যাসেন্জার বগী ভারত থেকে কিনতে হবে, ইনফ্রাস্ট্রাকচার নির্মান এবং আপগ্রেডের কাজ পাবে ভারতীয় কোম্পানী, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা'র জন্য নিয়োগ দিতে হবে ভারতীয় কনসালটেন্টস।এইটা অবশ্য শুধু ভারত না, সবদেশই করে।পত্রিকায় দেখেছেন নিশ্চয়, চায়না বিটিটিবে থ্রি নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য লোন দিয়েছে এই শর্তে যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি অবশ্যই চাইনিজ ভেন্ডর থেকে কিনতে হবে।লোনের টাকার অর্ধেক ঐ দেশেই ফেরত যায়।মুল অর্থ প্লাস সুদের টাকা তো বোনাস:)
যেখানে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত লিকুইডি নিয়ে দুধে পুর্ণে গাভির ওলানের মতো ফেটে পড়ছে, সেখানে শখ করে লোন করার প্রয়োজন কি!
তাইলে আপনি এবার বলেন মাছের তেলে মাছ কে ভাজছে!
উদ্ধৃতি
"তবে ভারত বিনিয়োগ করবে না, এটা ঠিক না। ট্রানজিটের সুবিধার্থে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ উন্নয়নে ভারতই বিনিয়োগ করবে।
আখাউড়া-আগরতলা দুরত্ব মাত্র ১৪ কিমি।এরমধ্যে ভারতে ২কিমি, বাংলাদেশে ১২ কিমি।আমার জানায় ১কিমি রেলপথ নির্মানের খরচ ১কোটি টাকা,তারমানে ১২কোটি রেলপথের জন্য ১২ কোটি টাকা।এইটা আপনি বিনিয়োগ বলতে চান? আমাগোর দেশের সবলোক ১টাকা করে ভিক্ষা দিলেও তো এরচেয়ে বেশি টাকা আসে।
উদ্ধৃতি,
ট্রানজিটের একটি বড় অংশই নৌপথে পরিচালিত হবে। এবং এজন্যও ভারতই বিনিয়োগ করবে, বাংলাদেশ নয়"।
চিটাগাং থেকে আগরতলা যেতে নৌপথ আসলো কই থেকে মাথায় ঢুকলো না।একমাসও হয়নি যখন গোমতি দেখি, তখন সেখানে বড়জোর ধানমন্ডি লেকের প্রেমিক-প্রেমিকাসহ যান্ত্রিক হাঁস চলতে পারে।তার বেশি কিছু নয়।উহু ব্রো, আপনি বোধকরি আশুগন্জের সাথে আগরতলা গুলিয়ে ফেলছেন।নৌট্রানজিটের রুট হবে আশুগন্জ আর শিলঘাট হয়ে।আর চিটাগাং থেকে চাদপুর হয়ে আশুগন্জ, সেখান থেকে সড়ক কিংবা রেলপথে আগরতল, যেপথে দুরত্ব, সময়, অর্থ সবই বেশি লাগবে সেটা ভারত চুজ করবে, এতোটা নির্বোধ তার নিশ্চয় নয়:)
উদ্ধৃতি,
ভারতের উত্তর-পূর্বে আমাদের রপ্তানী খুব একটা বেশি না। অনেক অশুল্প বাধা আছে আপনি যেমনটা বলেছেন।
আপনি শুধু ফর্মাল ট্রেডের কথা বিবেচনা করেছেন।আপনাকে ইনফর্মাল ট্রেডের(সোজাবাংলায় চোরচালান) কথাও বিবেচনা করতে হবে।আগরতলায় বেশ কয়েকবছর বাংলাদেশি পণ্যের একক প্রদর্শনী হচ্ছে।এইবাজারে বাংলাদেশি রপ্তানী উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাছ্ছে।সম্ভবনা ভারত শত চেষ্টা করেও নাকচ করে দিতে পারবে না যদি না ভারতীয় কোম্পানী কম্পটিটিভ মুল্যে পণ্য দিতে পারে।এক রেল/বন্দর কিংবা নৌ ট্রানজিট ছাড়া যা অসম্ভব।
উদ্ধৃতি,
"মেঘালয়ে সীমান্ত-বাজারের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তা বরং বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হতে পারে"।
ভাইজান কি রসিকতা করলেন! যেখানে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যঘাটতি ৪বিলিয়ন ডলারের উপরে।আচ্ছা, এইরকম সীমান্ত হাটে কতডলারের ট্রেড হতে পারে?এক লাখ ডলার, ধরে নিলাম ১মিলিয়ন ডলার।তাইলে হিসাব করেন ৪ বিলিয়ন ডলার তো দুরে থাক ১ বিলিয়ন ডলারের ট্রেড ডেফিসিট দুর করতে হলে কতগুলো সীমান্ত হাট বসাতে হবে? বেশি না, ১০০০।আমার ধারণা এই সংখ্যা বিডিআর চেকপোষ্টের চেয়েও বেশি।অবশ্য আপনি, হাসান মোরশেদের ৯০-১০ ভাগ
তত্বেও বিশ্বাসী হলে আমার তফাৎ গেলাম।সেক্ষেত্রে বাণিজ্যঘাটতি নিয়ে চিল্লাবাল্লারই কোন প্রয়োজন নাই।
উদ্ধৃতি,
নেপালকে রেল-ট্রানজিট দেবার বিষয়টি কিন্তু চুড়ান্ত। ভুটানের বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। বাকী বিষয়ে একমত। বিষয়টা পরিস্কার হওয়া জরুরী।
আসেন জয়েন্ট কম্যুনিকে আরেকবার পড়ি,
26. The Prime Ministers agreed that RohanpurSingabad broad gauge railway link would be available for transit to Nepal. Bangladesh informed of their intention to convert Radhikapur Birol railway line into broad gauge and requested for railway transit link to Bhutan as well।
38. It was agreed that trucks for movement from Bhutan and Nepal be allowed to enter about 200 meters into Zero Point at Banglabandh at Banglabandh-Phulbari land customs station. Necessary arrangements shall be mutually agreed and put in place by both countries
আমি স্বল্প ইংরেজি জ্ঞানে যেটুকু বুঝি,
৩৮ নং চুক্তির কোথাও কিন্তু বলা নাই, বাংলাদেশি ট্রাক নেপাল কিংবা ভুটানে যেতে পারবে।নেপাল এবং ভুটান থেকে আসবে তাও ২০০মিটার পর্যন্ত।সবচে আপত্তিকর এবং অপমানজনক ব্যাপার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নেপালি/ভুটানি ট্রাক কতটুকু যাবে এইটা নির্ধারণ করার ভারত কে?
তারপরেও প্রশ্ন থেকে যায়, জিরোপয়েন্ট থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত পরিবহন করবে কে?
নেপাল-ভুটানের বৈদেশিক বাণিজ্যের কতটুকু এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড? যানবাহন বদলানোর হ্যাপা সামলিয়ে বন্দর ব্যবহারে তারা কতটা আগ্রহী হবে? আর আমাদের মুল আগ্রহ নেপাল-ভুটানের প্রবেশের ব্যাপারে ভারতীয় ডিসিশানের জন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হবে?
মেন্নি গুড পয়েন্টস
তবে কোটি টাকায় এক কিলো রেলপথের তথ্যটি মনে হয় ক্রস ভেরিফাই করা দরকার। ধানমন্ডীতে যখন একখানা ফ্ল্যাট কিনতে গেলেই কোটি ছুঁইছুঁই করে সেখানে কিলোমিটার রেলপথ এক কোটিতে এম্বিশাস মনে হচ্ছে।
এইরকম চুক্তিমুক্তি দেখলেই হাসিনা,খালেদা,এর্শাদ্রে এক লাইনে বাইন্দা বুড়িগঙ্গার পানি খাওয়ায়ে দিবার মঞ্চায়।
শিমুল,
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
- আমিও তাই বলি।
- বৈদেশিক অর্থায়নের এই উভয়সঙ্কট নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। তার পরেও কেন দরিদ্র দেশ থেকে শুরু করে আমেরিকার মতন ধনী দেশও ঋণ করে, তা নিয়ে অর্ন্তজালে ব্যপক লেখালেখি আছে। সাইফুর রহমানও একবার বলেছিলেন, এভাবে টাকা চাইতে তারও ভালো লাগে না। তবে আশার কথা, বাংলাদেশ ক্রমেই বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরতা থেকে সরে বাণিজ্য নির্ভরতার দিকে এগুচ্ছে।
- প্রথমত: স্থানীয় ঋণে অনেক অনেক বেশি সুদ দিতে হয়, যা সরকারকে একটি দেনা-চক্রের মধ্যে ফেলে দেয়।
- দ্বিতীয়ত: অব্যবহৃত ঋণ যতই থাকুক, সরকার যখন স্থানীয় নেয়, তখন তা বেসরকারী খাতের ঋণের প্রাপ্যতার উপর চাপ সৃষ্টি ([url=http://en.wikipedia.org/wiki/Crowding_out_(economics)#Crowding_out_resources]crowding out[/url]) করে।
- তারপরেও যে সরকার ঋণ নিচ্ছে না, তা না। বর্তমান বাজেটের প্রায় ১৭ শতাংশই স্থানীয় ঋণ, যেখানে ৭.২ শতাংশ মাত্র বৈদেশিক ঋণ। তবে, স্থানীয় ঋণ তখনই বেশি থাকে যখন বৈদেশিক ঋণ আসলে পাওয়া যায় না।
- আপনি জানতে বলেছিলেন, ভারত তো এগুলো করবে না। আমি শুধু কী করবে তা বললাম। এটা এখন এক টাকার কাজ নাকি কোটি টাকার কাজ, সেই বিতর্ক অবান্তর।
- আপনি ঠিকই ধরেছেন, আমি আশুগঞ্জ-শিলঘাটের কথাই বলছিলাম। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আগরতলা নৌ-পথ হবে তা তো ভাই বলিনি কোথাও। আপনার অবশ্যই জানার কথা যে ভারত বাংলাদেশের আশুগঞ্জ দিয়ে নৌপথের ট্র্যানজিট আরো আগে থেকেই ব্যবহার করছে... বাড়তি যে অংশ ট্র্যানজিট সে চাচ্ছে তার জন্য খরচ সে নিজেই করবে বলছে। ইশতেহার অনুযায়ী-
২২. A joint team will assess the improvement of infrastructure and the cost for one-time or longer term transportation of ODCs (Over Dimensional Cargo) from Ashuganj. India will make the necessary investment.
আমি বলছি না যে এই অর্থে দেশ উদ্ধার হয়ে যাবে.... আমাদের অর্থনীতির যে আকার তার তুলনায় এটা খুব বেশি নয়। ট্র্যানজিট পথের জন্য "ভারত বিনিয়োগ করবে না", এই কথার প্রক্ষিতেই এগুলো বলা। কিন্তু ঠিক কত টাকা হলে তাকে বিনিয়োগ বলা যায়, এটা আমার জানা নেই। তাই সে প্রসঙ্গে গিয়ে অযথা তর্ক করতে চাই না।
- ইনফর্মাল ট্রেডের কম্পিটিটিভনেস তো শুল্ক-কর ফাকির কারনেই হয়, তাই না? কিন্তু ট্র্যানজিট দিয়ে তো ফর্মাল ট্রেডই হবে... ভারত নিশ্চই বাংলাদেশে গোপনে জাহাজ ভিড়িয়ে তা চোরাচালানের মাধ্যমে আসাম-মেঘালয়ে নিবে না।
সেক্ষেত্রে ভারত ফর্মাল ট্রেডের কর-শুল্ক দিয়ে কী (আপনার কথা অনুসারে) বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত ইনফর্মাল ট্রেডের পণ্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে পারবে?
- রসিকতা আমি করলাম না আপনি করলেন? সীমান্ত বাজার এই ৪ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি মেটাবে এই কথা কি কেউ বলেছে? নিজেই তুলে তা নিজেই খন্ডন করছেন!
- বাণিজ্যঘাটতি কমানোর জন্যে চিল্লাবাল্লা করতেই পারেন। তবে সেই সাথে আরো দুটো জিনিস দরকার- "ভারতের মতন" দেশের সাথে বাণিজ্যালোচনায় দক্ষতা, আর এশিয় চাহিদার সাথে সংগতিপূর্ণ শিল্পের প্রসার।
[বাণিজ্যালোচনায় গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রস্তুতি আর সফলতা হতাশ নয়, প্রায় রাগান্বিত করার মতন .... তবে দয়া করে এই এক দশককে আবার আওয়ামী লীগ-বিএনপি-র আমল হিসেবে ভাগ করবেন না। দোহা ২০০১, কানকুন ২০০৩ আর সাফটা ২০০৪ এর মাধ্যমেই মুলত: আমাদের বাণিজ্য চুক্তিগুলো হয়েছে.. সেজন্যই গত এক দশক জরুরী ছিল... আর এমনি একটি বাণিজ্যালোচনা ফেরত জনৈক মন্ত্রীর বাংলাদেশের বিমান রপ্তানী করার ঘোষনা নিশ্চই মনে আছে?]
- আমার এই উদ্ধৃত বক্তব্যের সাথে আপনার ব্যাখ্যার পার্থক্যটা একটু ধরিয়ে দেবেন কী? আপনারই উদ্ধৃত ২৬ নং ধারায় নেপালকে রেল-ট্রানজিট দেবার কথাই বলা হয়েছে! আর ট্রাকের বিষয় নিয়েই তো বললাম যে "বাকী বিষয়ে একমত। বিষয়টা পরিস্কার হওয়া জরুরী"! আপনি এটা আবার উদ্ধৃত করে কী বোঝাতে চাইলেন, বুঝতে পারলাম না।
- ভুটানের বাণিজ্য যেহেতু ভারতের চেয়ে অনেক অনেক কম, সেহেতু এই কাজটা বাংরাদেশের ট্রাক পরিবহনই করবে এমনটাই চুক্তি হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের লাভ ছাড়া ক্ষতি তো দেখছি না!
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
@ফরিদ,আমি স্মৃতিহাতড়ে লিখেছি।কোন প্রতিবেদনে এমনটা লিখা হয়েছিলো।আমার স্মৃতিশক্তি মোটামুটি ভালো।তবে অবশ্যই ক্রস ভেরিফাই করা উচিত।
তবে ফ্ল্যাটের দামের সাথে তুলনা করা যাবেনা মনে হয়।ঢাকা শহরে জায়গা অনেক ব্যায়বহুল।এই হিসেবে সেইঅর্থে জমির দাম সম্ভবত হিসাবে আনা হয়নি; জমি কম লাগে বলে হয়তোবা।শুধু স্লিপার আর লোহার পাতের খরচ।
আমার একবন্ধুর বাবা রেলওয়েতে চাকরি করত।উনার কাছ থেকে জেনে নেবো খন।
প্রতি কিমি রেল পথ নির্মানের খরচ আরো বেশি এতে সন্দেহ নেই। আপনি হয়ত রেল আর পাতের খরচই বলেছেন। জমির দাম, মাটি লেভেল করা এই সব মিলিয়ে রেল পথে খরচ অনেক। তবে আপনি যেই পয়েন্টে এই রেটের কথা বলচছেন সেটা ঠিক আছে।অর্থাৎ যেটুকু দুরত্বের কথা বললেন সেটা ঠিক থাকলে এই খরচ বাংলাদেশের জন্য অনেক বিশাল ব্যপার হবে না।
আমার আশঙ্কা, ভারতীয় পক্ষ এই চুক্তির আওতায় আনা ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকে টিপাইমুখ প্রকল্পে একীভূত করার চেষ্টা করবে।
এই ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঠিক কী শর্তে পাচ্ছি আমরা? উপহার? সহজ শর্তে বিক্রি? এর ট্যারিফ চার্ট প্রকাশ করা হোক।
আমি যতদূর জানি, নতুন পাওয়ার প্ল্যান্ট বসাতে বিপিডিবি বিভিন্ন রাজনৈতিক সুপারিশ এবং সমন্বয়হীনতা ও অদূরদর্শিতার কারণে আরো বিলম্ব করবে। এই সময়টুকুর জন্যে যদি ভারতের কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে আরো কিছু বিদ্যুৎ কিনে আনা যেতো, বাংলাদেশ লাভবান হতো।
আমার আরেকটা ভাবনা ছিলো, বার্মার সীমান্তবর্তী কোনো গ্যাসকূপের কাছে বাংলাদেশ বিল্ড ঔন ট্র্যান্সফার ভিত্তিতে একটি বড় পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করতে পারে কি না। তাহলে ট্র্যান্সমিশন লাইন টেনে বিদ্যুৎ বার্মা থেকে বাংলাদেশের গ্রিডে সংযোগ করা যেতো, এবং বিনিময়ে বার্মাকে সামান্য বর্ধিত হারে বিদ্যুতের দাম পরিশোধ করা যেতো। ফার্নেস অয়েল দিয়ে ভাড়াটিয়া প্ল্যান্ট চালানোর চেয়ে বোধহয় এমন দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি বেশি কাজে দিতো।
@সাঈদ আহমেদ, চাইলে উল্লেখ করা পয়েন্টগুলোর প্রতিটা নিয়ে ত্যানা-প্যাচানো যায়।ইচ্ছা করতেছে না।তবে হাসান মোরশেদের মতো ক্ষতি না হওয়া পর্যন্ত চুক্তির বিরোধিতা করা যাবেনা, এই হাস্যকর তত্ত্বে আপনি যদি বিশ্বাসী না হন, তবে দরকষাকষিতে বাংলাদেশকে প্রতিটাক্ষেত্রেই "যে রথ দেখিয়ে ফিস যেমন নিয়েছে,তেমনি কলাও বেচেছে" এইটা তো মানবেন অর্থাৎ বলতে চাইছি, আমাদের মেইন কনসার্ন পানি, বাণিজ্যঘাটতি, নেপাল-ভুটানের বাজারে প্রবেশ(নেপাল-ভুটানের বাংলাদেশ প্রবেশ নয় কিন্তু খিয়াল কৈরা!) এইসবক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দুরে থাক, আদৌ কোন অগ্রগতি হয়েছে আমি মানতে নারাজ।পক্ষান্তরে ভারতের কনসার্ন উত্তরপুর্ব ভারতে ট্রানজিট, বন্দরের উপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা(এই কথাটি পরে ব্যাখা করছি) পেয়েছে।
আচ্ছা, শুধু তর্কের খাতিরে তর্ক না করে শুধু অর্থনৈতিক বিবেচনায় চুক্তিগুলো কিভাবে হৈতে পারে কিংবা স্মারক কিভাবে হৈতে পারতো
১ আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরপর্যন্ত ভারত রেলওয়ে ট্রানজিট পাবে।এজন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে পরিমান নতুন রেলপথ নির্মান করতে হবে কিংবা ইনফ্রাস্ট্রাকচার আপগ্রেড করতে হবে তার টাকা ভারতকে অর্ধেক দিতে হবে(কোন ঋন নয় কিন্তু খিয়াল কৈরা; এইটাকে আমি অনুদানও বলতে নারাজ) বাকী অর্ধেক দিবে বাংলাদেশ যেহেতু সে বন্দর থেকে রাজস্ব খাইতে চায়।
২ আগরতলা থেকে কলকাতা পর্যন্ত রেলট্রানজিট দেওয়া।তবে এই শর্তে এই পথে শুধু যাত্রবাহী ট্রেনচলবে, নো কার্গো ওয়াগন।এই ট্রেন চলার জন্য যদি আগের মতো কিছু করতে হয়, তার টেকাও ভাগাভাগি হবে ৫০-৫০; নো ধুনফুন।ত্রিপুরা বাংগালীরাদেরকে কলকাতায় তাদের মাসীর বাসায় দাওয়াত খেতে আসাম হয়ে ঘুরে ১৪০০কিমি পথ যেতে হয়।এটার ফলে পথের দুরত্ব ৯০০কিমি কমবে।মোষ্ট ইমপোর্টেন্টলি, তাদের গালি-অভিশাপ থেকে আমরা রক্ষা পাবো।
৩ ভুটান-নেপাল থেকে সরাসরি বাংলাদেশের মংলা পোর্ট পর্যন্ত প্যাসেনজার এবং কার্গো সার্ভিসের একসেস চিকেন'স নেক দিয়ে দিতে হবে এইং উহা অতি অবশ্যই বাই-ডিরেকশনাল হবে।মধ্যিখানের ভারতের অংশের রেলপথের আপগ্রেডেশন বাংলাদেশ-ভারত আধাআধিতে শেয়ারে করবে।
রোড-ট্রানজিটের ব্যাপারে আমি আশাবাদী না।আমার জানামতে ইতপুর্বে নেপাল থেকে চিকেনস নেক হয়ে বাংলাদেশ পণ্যবাহী ট্রাক কিছুদিনের জন্য যাতায়াত শুরু করেছিলো।পরে ভারত নিরাপত্তার অজুহাতে তা বন্ধ করে দেয়।আফটার অল, উনাদের নিরাপত্তা দেখার ঠিকাদারী তো আমাদের।তবে, আমাদের দক্ষ কুটনীতিবিদরা যদি এসবও ম্যানেজ করতে পারে, তাইলে উনাদের জন্য অগ্রীম অভিনন্দন।
সীমান্তে হাট-ফাট বসিয়ে আমাদের লেবেনচুস দেখানোর দরকার নাই।ঝোপেঝাড়ে না পিটিয়ে আসল জায়গায় হাত দিতে হবে।সোকলড নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার উঠাইয়া নিতে হবে।নাইলে ৪৭টি কেন , ২৩৪টি পন্যে থেকে শুলক উঠায়াও কোন ফায়দা হবেনাকো।
চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য কাস্টোমার একা শুধু ভারত না, চীনও আছে।পন্ডিতরা যেমন বলে "ইকোনমি ইজ শিফটিং টুওয়ার্ডস ইস্ট" সেই তত্ত্ব অনুযায়ি, ভারত মহাসাগর হবে আগামীদিনের সবচে ব্যস্ত নৌপথ।এইটার নিয়ন্ত্রণ কে করবে সেইটা নিয়ে অলরেডি শো-ডাউন শুরু হয়েছে গেছে।সোমালিয়ার হাড্ডিসার জলদস্যুদের কোপাইতে ভারত
যেমন যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে,তেমনি চিংকুরাও পাঠিয়েছে।নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার কামড়া-কামড়ি ইতমধ্যে শুরু হয়ে গেছে; আমেরিকা, চীন আর ভারতের মধ্যে।দিয়োগো গার্সিয়া দ্বীপে বড়সড়ো ঘাঁটি নিয়ে মোড়লরা , আর জিওগ্রাফিক্যাল পজিশনের কারনে ভারত ইতমধ্যেই সুবিধাজনক অবস্থায়, চীন হালকা চিপায়।এইনিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার ইদুরদৌড়ে বেলুচিস্তানের গোয়াদর(Gwadar) , শ্রীলংকার ত্রিনকোমালি(Trincomalee) আর আমাদের চট্টগ্রাম স্ট্রাটেজিক্যালি খুবই গুরুত্বপুর্ণ।
গোয়াদর ইতিমধ্যে চীনের কব্জায়, ত্রিনকোমালির ব্যাপার-স্যাপার ঠিক জানিনা।এখন, আমাদের হাতে এইট্রামকার্ড নিয়ে আপনি কতস্কোর করবেন, সেইটা আপনার উপর।দরকার হলে মায়ানমার হয়ে চীনকে ব্যবহার সুযোগ দিয়ে আমরা আমাদের স্ট্রাটেজিক লিভারেজ মেইনটেইন করবো।ভারত চট্রগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চাইলে আমাদের টার্মস এন্ড কন্ডিশনে আসতে হবে, নইলে পুছার টাইম নাই।
ধানাই-পানাই বাদ দিয়ে শেখ হাসিনা উচিত অতিশ্রীঘ্রই মায়ানমার আর চীন সফর করা।
শক্তিতে না কুলোতে পারলে কৌশলী হতে হয়।আফসুস, বাংগালী শুধু চিৎকার আর চেঁচামেচি করে গেল; মাথাটা খাটাতে শিখলো না।অথচ এই বাংগালীদের সম্বন্ধে একসময় বলা হতো, "হোয়াট বেংগল থিংক টুডে, ইন্ডিয়া থিংক টুমরো"।
@ শিমুল,
আপনার প্রস্তাবগুলি ভেবে দেখার মত।
আসলে ভারত নিয়ে আমাদের আলোচনা সবসময় অযায়গায় ঘোরাঘুরি করে। দেশবিক্রি বনাম ভারতের চামচা জাতীয় আলোচনার বদলে অর্থনৈতিক বিবেচনায় আলোচনা করা যে আমাদের নেতারা কবে বুঝবে কে জানে!
আপনার সাথে দ্বিমত পোষন করার জন্য বলছি না, তবে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি বা অশুল্ক বাধা অপসারনের সাথে সাথে আপনি যখন নতুন নতুন ট্র্যানজিট আর ভারতের অবকাঠামোতে বাংলাদেশের বিনিয়োগের কথা বললেন, তখন তার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তাই ভাবছি
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
যাক, আলোচনাটা বেশ জমে উঠেছে অন্ত:ত অর্থনৈতিক দৃষ্টকোন থেকে।যদিও আমি ব্যাক্তিগতভাব রাজনীতি আর অর্থনীতিকে ইন্টারটোয়াইন্ড মনে করি।আপাতত বিশদ রাজনৈতিক আলোচনার জটিলতায় না গিয়ে কয়েকটা বিষয় আলোচনা করি।
উদ্ধৃতি,
মনে হচ্ছে দুইদিন পর কোন কাইতে শুইতে হবে, সেটাও উলফা এসে বাংলাদেশের জনগণকে বলে দিবে।
হিমু আপনি পড়েছেন কিনা জানি,প্রথমআলোতেই প্রকাশিত এক লেখায় ব্রিটিশ-পাকিস্তানি বু্দ্ধিজীবি তারিক আলি(উইকির লিংক কিভাবে দেয়া যায়!) আফগানিস্তানে "ওয়ার অন টেরা"র প্রাক্কালে বলেছিলো, "এইটা আমেরিকার যুদ্ধ, এতে পাকিস্তান জড়িত হয়ে নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছে"।কথাটা যে হারে হারে সত্য, এইটা এখন শিশুরাও বোঝে।যদিও উলফারা অতোটা শক্তিশালী নয়, তবে এই আশংকা তো থেকেই "ভারতের হয়ে প্রক্সি ওয়ার লড়ে আমরা কি নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি নাতো!
অবশ্য হাঁটু প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ তারিক আলীর বক্তব্যকে এইবলে কাউন্টার করেছিলো, বুশ গং'রা নাকি ওয়ার অন টেরা'তে পাকিস্তান যুক্ত না হলে পাকিস্তানে বোমা মেরে স্টোন এজে ফেরত নিয়ে যাবে।মনমহন সিং নিপাট ভদ্রলোক;উনি হাসিনা আপারে এমন হুমকি দেননি বলেই আমার বিশ্বাস।
চীন অরুনাচল প্রদেশ ২য় তিব্বত দাবী করে।সাম্প্রতিককালে দালাইলামার অরুনাচলে সফর নিয়ে চীন-ভারতের কূটনৈতিক তিক্ততা চরমে। চীন যদি উলফাদের
আশ্রয়-প্রশয় দেয়া শুরু করে, তাইলে "কোন কাইত হয়ে শুতে হবে, এইটা কিন্তু ফ্যাক্টস হয়ে দাঁড়াতে পারে।যাহোক, এই ব্যাপারটিকে আপাতত অতিকল্পনা হিসেবেই রাখলাম।
তবে সরকার উলফাদের আর দেশে থাকতে দিবেনা, এইটা যতটা সম্ভব নিজেদের মধ্যে রেখেই কাজ করতে পারতো।"দশট্রাক অস্ত্র" নিয়ে গেম খেলে তাঁরা হয়তো বি,এন,পিকে একহাত ঠিকই নিয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্রহিসেবে বাংলাদেশকে কাদায় ফেলে ভারতকে বিশাল এক ডিপ্লোম্যটিক আপারহ্যান্ড দিয়েছে।বন্ধুরাষ্ট্রের ধারনা সোনার পাথরবাটি।এই ভারত সরকারই যে এইটাকে ইস্যু করে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে একহাত নেবেনা, এইটার গ্যারান্টি কি!
শ্রীলংকায় তামিলদের, বাংলাদেশে শান্তবাহিনীকে, পাকিস্তানে বেলুচদের সামরিক এবং লজিস্টিক্যাল সাপোর্ট ভারতের সবসরকারই দিয়েছে।কই বিজেপি কংগ্রেসকে কিংবা কংগ্রেস বিজেপিকে একহাত নেওয়ার জন্য কখনো এইগুলো স্বীকার করেনি।
বন্ধুত্বের জন্য কিংবা কাউকে একহাত নেওয়ার জন্য রাস্তায় কাপড়খুলে দাড়াতে হয়না,ওতে নিজেদেরই উজ্জত(সম্মানার্থে!) খোয়া যায়।
আপনার কথাটা পড়ে আমি কিন্তু হাসছি। ভাই রে, উলফাকে সামরিক সহায়তা দেয় আইএসআই। তাদের হয়ে বাংলাদেশ খোদ ভারতের সাথেই প্রক্সি খোঁচাখুঁচির লাইনে যখন হাঁটছিলো, তখন আশা করি আপনি এই একই চিন্তার পথে হাঁটছিলেন।
গেরিলাবাহিনীকে প্রশ্রয় দেয়ার সমস্যা হচ্ছে, তারা আপনাকে চিনে নিয়ে শক্তি বৃদ্ধি করে। তালিবান তো সিআইএ আর তাদের স্থানীয় ল্যাংবোট পাকিস্তানের নিজের হাতে গড়া বাহিনী, আজ তারা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে হাত পা বেঁধে পোন্দাচ্ছে। যে উলফার সাথে প্রক্সি ওয়ারে জড়িয়ে পড়ার কথা আপনি বলছেন, সেই উলফাকে তাহলে কেন আমরা ট্রাকের পর ট্রাক আর্মস আর অ্যামো দিয়ে গায়ে গতরে বড় হতে দেবো? আপনি কোন বিশ্বাসে বলেন যে দুইদিন পর এই উলফাকেই ভারতের মাউড়া পলিটিশিয়ানরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের শক্তিপ্রয়োগে মোটিভেট করতে পারবে না?
ভারত দুনিয়ার অন্যান্য দেশে কাঠিবাজি করে বেড়াচ্ছে, তাই ভারতের দেখাদেখি আমাদেরও ভারতের পাছায় একটা কাঠি ঢোকাতে হবে, এটা যদি আপনার স্ট্র্যাটেজি হয়, তাহলে আমি বলবো, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ তৃতীয় কোনো রাষ্ট্রের হয়ে প্রক্সি গিয়ানজাম পাকিয়ে চলবে নিজের খরচে, এবং তার দায়ও বাংলাদেশের ঘাড়েই চাপবে।
দর কষাকষি নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণের সাথে আমি একমত। কাছা খুলে সব বিলিয়ে আসার মানসিকতা পাল্টাতে হবে। প্রতিবেশীকে প্রতিবেশী হিসেবেই দেখা ভালো, বন্ধু বা শত্রু হিসেবে নয়।
উদ্ধৃতি
কিন্তু দেখুন বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে গ্যাস পাইপ লাইন যাওয়ার ব্যাপারে ভারত মরিয়া ছিল, কিন্তু (সাদা চোখে) বাংলাদেশ তো না বলেছে (নিজের পায়ে কুড়াল মেরে হলেও)।
(এই পয়েন্টটা ষড়যন্ত্র থিওরীকে এক্সক্লুড করছে)
@ নৈষাদ,ওয়েল, এই চুক্তি সম্পর্কে আমার কিছুটা জানা আছে।আপনি যেভাবে ভাবছেন,থিংকস আর নট দ্যাট সিম্পল।
মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে পাইপে করে ভারতে গ্যাস যাবে; বাংলাদেশ টেহা পাবে রাজস্ব হিসেবে।ফেয়ার এনাফ।তবে বাংলাদেশের ছোট্ট দুইটা আব্দার ছিলো যেটা ভারত মানেনাই।১ চাইলে এই পাইপলাইন থেকে বাংলাদেশ প্রয়োজনানুযায়ি গ্যাস নিতে পারবে। ২ ভারতকে বাণিজ্যঘাটতি কমানোর উদ্যেগ নিতে হবে।২ নং কারনটা বাদ দিলাম , কিন্তু ১নং কারনটা কি যথেষ্ট যৌক্তিক মনে হয়না।
আমারদেশের উপরদিয়ে গ্যাসপাইপলাইন যাবে কিন্তু সেখান থেকে আমরা প্রয়োজনে গ্যাস নিতে পারবো না।এইটা কেমন কথা।আগেই বলেছি, ভারত চুক্তিতে ডিপেন্ডেনসি রাখতে চায়।
উদ্ধৃতি,
এই ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঠিক কী শর্তে পাচ্ছি আমরা? উপহার? সহজ শর্তে বিক্রি? এর ট্যারিফ চার্ট প্রকাশ করা হোক।
আপনাকে কনক্রিট তথ্য দিতে পারবো না কিন্তু শোনা কথা জানাতে পারবো।সেই শোনাকথা অনুযায়ী, ওর ইউনিট প্রতি দাম রাখবে আড়াই রুপী অর্থাৎ পোনে চার টাকা।এমনিতে ভারতে পারইউনিট ট্যারিফ বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।তবে ট্যারিফচার্ট
অতিশ্রীঘ্রই প্রকাশ করা দরকার।
তবেআমার আশাংকা এর মধ্যে দিয়ে ভারত সেভেনসিস্টারকে বাংলাদেশের গ্রীড দিয়ে কানেক্ট করে সেন্ট্রাল ভারতে কানেক্ট করতে পারে।এইটা যে হেগোরো জন্য কতবড় প্লাসপয়েন্ট এইটা পাওয়ার সিস্টেম কোর্সে ফেল করা ছাত্র বুঝবে।অবশ্য
আমাদের দক্ষ আমলারা একটা আবঝাপ ব্যাখাই কাবু করার জন্য যথেষ্ট।
আচ্ছা, নেপাল, ভুটানে পানিবিদ্যুত উৎপাদন করে সেখান থেকে ভারত-বাংলাদেশ-নেপাল -ভুটান সাপ্লাই দেয়া হবে এমন কথা শুনছিলাম।কেউ জানেন নাকি কিছু!
উফ,,,লিখতে লিখতে আংগুল ব্যাথা হয়ে গেছে।এই পোষ্ট থেকে আপাতত বিদায়।
@ শিমুল, মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে পাইপে করে ভারতে গ্যাস যাবে; বাংলাদেশ টেহা পাবে রাজস্ব হিসেবে ‘ফেয়ার এনাফ’ তবে বাংলাদেশের ছোট্ট দুইটা আব্দার ছিলো যেটা ভারত মানেনাই। - আমি আসলে এই পয়েন্টটাই এস্টাবলিশ করতে চাচ্ছি, নেগোসিয়েশনের টেবিলে টার্মস এন্ড কন্ডিশনের সাথে না মিললে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার পরও, এবং ভারতের প্রচুর আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ‘না’ করতে পারে/পারবে। এবং ‘অ্যাবিলিটি টু স্যে নো’ই হল বার্গেইনিং পাওয়ার। এটাই ভারত হোয়াটেভার-বাদী এই ধারনার বিপরীত একটা অবস্থানে বাংলাদেশকে নিয়ে যায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার কি মনে হয় না, এরকম কোনো উদ্যোগ নিলে সেখান থেকে কড়া কিছু সুবিধা আদায়ের জন্যে বাংলাদেশের হোমওয়ার্ক করা উচিত?
- আমার এক বন্ধু কলকাতা থেকে আসার পথে বেশ কিছু জিনিস আনছিল। আমাদের কাস্টমস যে যে পণ্যের রাজস্ব/শুল্ক আদায় করার কথা তা করার পর বললো, আমাদের কয়েকটা বই দিয়ে যান। বন্ধু তো কিছুতেই দিবে না। তখন কাস্টমস কর্মকর্তা বলেছিল-
"আমার সামনে দিয়ে এতগুলো বই যাবে, কিন্তু সেখান থেকে আমরা প্রয়োজনে বই রেখে দিতে পারবো না এইটা কেমন কথা?"
আচছা, ট্র্যানজিটেও এই আবদার করলে কেমন হয়? আমার দেশের উপর দিয়ে ভারতে ট্রাক যাবে কিন্তু সেখান থেকে আমরা প্রয়োজনে কিছু বাক্স নামিয়ে রাখতে পারবো না।এইটা কেমন কথা?
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
উদ্ধৃতি,
"আমার সামনে দিয়ে এতগুলো বই যাবে, কিন্তু সেখান থেকে আমরা প্রয়োজনে বই রেখে দিতে পারবো না এইটা কেমন কথা?"
আচছা, ট্র্যানজিটেও এই আবদার করলে কেমন হয়? আমার দেশের উপর দিয়ে ভারতে ট্রাক যাবে কিন্তু সেখান থেকে আমরা প্রয়োজনে কিছু বাক্স নামিয়ে রাখতে পারবো না।এইটা কেমন কথা?
সাঈদ ভাইজান, মোলবর্ণে থাকলেও রম্য-রসিকতা ভুলে যাননি দেখি।তবে এইখানে একটু লাইনচ্যুত হৈল যে......
কাষ্টমস যখন আপনার বন্ধুর কাছে বই রেখে দিতে চাই, সেইটা দুর্নীতি।যদি কাষ্টমস সেই অফিসার যদি উপযুক্তমুল্য দিয়েও নিতে চায়, বই দিবে কি দিবেনা, এইটা আপনার বন্ধুর ব্যাপার।আর এখানে ট্রানজিটের ব্যাপারটা কিভাবে ফিট আমার মাথায় ঢুকলো না।
পরের উদাহরণটাও অপ্রাসংগিক।গ্যাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হয়ে মায়ানমার থেকে ভারতে গ্যাস ঢুকছে আর ট্রানজিটে ভারত থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকছে।তবে আপনি যদি এমন প্রস্তাব দেন, ভারতীয় ট্রাক যে রাস্তা দিয়ে চলে বাংলাদেশি যানবাহন ঐ রাস্তা ব্যবহার করতে পারবেনা, তাইলে সেটা মানতে আমার প্রবলেম আছে।
পৃথিবীর যত ট্রানসন্যাশনাল পাইপলাইন আছে, সেগুলো আমি যেভাবে বলেছি সেইভাবেই চলে যদিনা মাঝখানের দেশে অফুরন্ত তেল-গ্যাস থাকে এবং সেই পাইপলাইন থেকে গ্যাস নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তার না থাকে ।মাঝখানে ইরান-পাকিস্তান-ভারত যে পাইপলাইনের প্রস্তবনা ছিলো, সেইটাতেও এমন প্রভিসন ছিলো।
সাইফুর রহমানের মতো আপনারও কি ধারণা, বাংলাদেশ গ্যাসের উপর ভাসছে।দেশে আইসা শুধু এবাড়ি-ওবাড়ী দাওয়াত না খাইয়া খোঁজ লইয়েন, বিদ্যুত আর গ্যাসের অভাবে ম্যালা বিনিয়োগকারী বইস্যা আছে।ভারত থেকে শুধু ভাড়া খাওয়ার জন্য বইস্যা না থেকে শুধু আমাদের প্রয়োজনেই মায়ানমার থেকে গ্যাস ইমপোর্ট করা উচিত।
আজকে ভারত মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের উপ্রে দিয়ে গ্যাস নিলো আর আমাগো কিছু টাকা ভাড়া দিলো।কাল যদি মায়ানমার থেকে আমাগো গ্যাস কেনার প্রয়োজন হয়, তাইলে কি আবার নতুনকরে পাইপলাইন বসামু!ভারত,চীনরে দেওয়ার পরই যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে তাইলে আমাগো দিয়েন, এইবলে মায়ানমারের কাছে কান্নাকাটি করুম!
আপনার চিন্তার দুরদর্শিতায় মুগ্ধ হতেই হয়।
আপনার কি মনে হয় না, এরকম কোনো উদ্যোগ নিলে সেখান থেকে কড়া কিছু সুবিধা আদায়ের জন্যে বাংলাদেশের হোমওয়ার্ক করা উচিত?
@হিমু ভাই, আমার ধারণা সবগুলো চুক্তির ইকোনমিক মেরিটস-ডিমেরিটস নিয়ে থরো এসেসমেন্ট করা দরকার, কোন "প্রিকনসিভড" ভাবনা(ভারত আমাদের ক্ষতি করবে না কিংবা দেশবিক্রি হয়ে গেলো ইত্যাদি) মাথায় না রেখে।
- ভাই, আপনি নিজে দাওয়াত করবেন না ভালো কথা, কিন্তু তাই বলে অন্যের বাড়ির খাওয়া বাদ দিতে বলবেন কেন?
মায়ানমারের সাথে যদি আমাদের গ্যাস ক্রয়ের চুক্তি থাকে অথবা আমরা যদি গ্যাস ক্রয়ের অঙ্গীকার করি, তাহলেই শুধু এধরনের তৃপক্ষীয় আলোচনায় যাওয়া চলে... কিন্তু "যদি প্রয়োজন হয় তখন চাইলে দিবেন", এই ধরনের দাবীতে সাধারনত আর্ন্তজাতিক চুক্তি হয় না।
যাই হোক, প্রধানমন্ত্রী যে এই চুক্তি করে আসেননি এটাই বড় কথা। কী হইলে কী হইতে পারতো তা ভেবে আর কী লাভ!
আচ্ছা, লাইনে নিয়ে আসছি। আজকের নতুন শব্দ:
Yard-Hunt [ইয়ার্ড-হান্ট] v. উঠোনশিকার; have a good ~; উঠোন ব্যবহারকারীদের শিকার। উদাহরন~ আজ উত্তরের প্রতিবেশি করিম যখন দক্ষিণের প্রতিবেশি রহিমের বাসায় মিষ্টি নিয়ে যাবার সময় আমার উঠোন দিয়ে যাচ্ছিল, তখন আমি প্রয়োজন মতন কিছু মিষ্টি নিজের জন্য রেখে দিয়ে উঠোনশিকার করলাম।
কিছু মনে নিয়েন না... আপনার সাথে কথা বলে ভালো লাগলো। ভালো থাকুন
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
আমি আসলে আপনার গ্রিডের প্রস্তাবটা নিয়েই ভাবছিলাম।
মনে করুন তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত বাংলাদেশের ওপর দিয়ে নিয়ে যেতে চায়। সাদা চোখে হিসাবটা তখন এমন হবে, [তিন হাজার মেগাওয়াট + লস] পরিমাণ বিদ্যুৎ বাংলাদেশের পূর্ব দিক দিয়ে ঢুকবে, পশ্চিম দিক দিয়ে বেরোবে তিন হাজার মেগাওয়াট।
বাংলাদেশ, আপনার কথামতো, কিছু ভাড়ার টাকা পাবে এখান থেকে, কিংবা হয়তো সেটা বিদ্যুৎ দিয়ে শোধ করা হবে, এ ছাড়া লাভ যা হবে, তা হচ্ছে, আমাদের দুবলা ইস্ট ওয়েস্ট ইন্টার কানেক্টরের সমান্তরালে তিন-চারটা শক্তিশালী ট্র্যান্সমিশন লাইন তৈরি করা হবে [আমি চাইবো সম্পূর্ণ আমাদের বিনিয়োগে, কারণ ভারতের ঋণ নিলে ভারতের তৈরি নিম্নমানের হেভি ইলেকট্রিক্যাল ইকুইপমেন্ট কিনতে হবে, সাথে সেগুলির মেইনটেন্যান্স আর ওভারহলিং চুক্তিও কিনতে হবে], আমাদের টোটাল গ্রিডের রিলায়েবিলিটি বাড়বে, গ্রিডে হঠাৎ কোনো প্ল্যান্ট ফেইলিওর হলে ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স আগের চেয়ে ভালো হবে।
আর এ ধরনের বড় এনার্জি ফ্লো যে দেশের ওপর দিয়ে যায়, সে দেশের হাতে তখন নানারকম রাজনৈতিক দর কষাকষির সুযোগ আসে।
আমি কিছু ভুল বলে থাকলে ধরিয়ে দিন। এতে করে ভারত উপকৃত হবে, তাতে আমার কোনো দুঃখ নেই, বাংলাদেশের ক্ষতিটা ঠিক কোথায় জানাটা আমার জন্যে জরুরি।
সন্দেহ নেই ভারতের কাছে আমাদের অনেক দাবীদাওয়া আটকে আছে ভারতের সদিচ্ছার অভাবে। কিন্ত আন্তর্জাতিক দাবীদাওয়া মায়ের বুকের দুধ না যে কান্নাকাটি করলেই তা পাওয়া যাবে। এই বানিজ্যিক যুগে সবকিছুই বানিজ্যিক। তাই বাংলাদেশের দাবী দাওয়া আদায়েরও হাতিয়ার হতে হবে বানিজ্যিক সম্পর্ক।
উদাহরন দেই, ধরেন চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারত তার সুফল ঘরে তুলছে। পাশাপাশি বাংলাদেশও বেশ কিছু কাঁচাপয়সা ও লাভজনক বন্দরের মুখ দেখছে। ধীরে ধীরে বন্দর বানিজ্য কেন্দ্র করেই বেশ কিছু বাংলাদেশী ও ভারতীয় বিনিয়োগ গড়ে উঠল [ এমন নয় যে বিনিয়োগটা ভারতীয় সরকারী বিনিয়োগই হতে হবে] স। সুতরাং তখন বাংলাদেশ ভারত সুসম্পর্কের দাম বন্দর বানিজ্যের সমমূল্য। তখন স্বভাবতই সীমান্তে একজন বাংলাদেশীকে গুলি করে মারতে হলেও ভারতকে দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে। এমনকি শুধুমাত্র বন্দর কেন্দ্রিক বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও ভারতে বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করতে। অন্যদিকে দরকষাকষির জন্য বাংলাদেশের হাতেও আরেকটি অস্ত্র আসবে। বলতে পারেন ফারাক্কা যেমন ভারতের তুরুপের তাস তেমনি আমাদের বন্দর হবে আমাদের তুরুপের তাস।
সেভেন সিস্টারসে বাংলাদেশের বানিজ্য সম্ভাবনা আছে কোন সন্দেহ নেই ।সেটা নিয়ে সরকার দরকষাকষিতে খুব একটা সুবিধা আদায় করতে পারেনি তাও সত্যি। কিন্তু যদি প্রাথমিক ভাবে কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও ( ধরি শুধু ট্রানজিটের বিনিময়ে ) একটা বানিজ্য সম্পর্ক দাঁড় করাতে পারে তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশও নেপাল ভুটানে তার সুবিধামত ট্রানজিটের জন্য দরকষাকষিতে আপারহ্যান্ড পাবে। অথচ এখনই যদি আমরা সমান সুযোগের দাবীতে নিজেদের দরজা বন্ধ করে রাখি তাহলে বন্ধ দরজা দিয়ে কোন সুযোগই ঢুকবে না।
ইংরেজরা এদেশে একসময় বিনামূল্যে চা বিতরন করে চা কে জনপ্রিয় করেছিল । তারা কিন্তু প্রথম থেকেই চায়ের চড়া মুল্য আদায়ের চেষ্টা করেনি । নি:সন্দেহে সেটা ইংরেজদের বানিজ্যিক দূরদর্শিতাই ছিল । বানিজ্যের ধারনা কিন্তু এখনও খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
বিঃদ্রঃ সামু এক লেখায় এই কমেন্ট করেছিলাম। এখানে ঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/aahsan_habib/29078221
@ শাওন ট্রানজিট দিয়ে তারপর আপনি দর কষাকষি করবেন না ট্রানজিট দেওয়ার সময় আপনি দর কষাকষি করে কিছু আদায় করবেন? ট্রানজিট দিয়ে দেওয়ার পর আপনি দর কষাকষিতে কি করে আপার হ্যান্ডে থাকবেন একটু বুঝাইয়া কইবেন!!! বলার সময় আগের ভারতের সাথে করা চুক্তি গুলোতে আমরা আমাদের কাজ়গুলো করার পরও ওরা ওদেরগুলো কতটুকু করছে সেইটা খেয়াল রাইখেন।
খবরটা জেনেছেন বোধহয় তবুও জানিয়ে রাখি, নেপাল, ভুটান, ভারত এবং বাংলাদেশকে নিয়ে যে রিজিওনাল গ্রীডের স্বপ্ন বাংলাদেশ দেখেছিলো, তাতে ভারতীয় কর্তাব্যাক্তিরা আপাতত জল ঢেলে দিয়েছেন।উনারা শুধুই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি চান, ব্যাস।সাথে আরেকটি খবর আছে, দুদেশের বিনিয়োগে কয়লাভিত্তিক যে যৌথ পাওয়ারপ্লান্ট তৈরি হবে, সেটা করবে ভারতীয় কোম্পানী।
আর বাংলাদেশ ট্রানসমিশন লাইন ব্যবহার করে ভারত তার উত্তর-পুর্ব অন্চলকে যে ভারতীয় মেইনগ্রীডে সংযুক্ত করতে দিয়ে যে রাজনৈতিক লিভারেজ অর্জনের সম্ভবনা এরপরেও আপনি যদি দেখে থাকেন, তাইলে আপনাকে অতিশয় আশাবাদী মানুষ মনে করবো কিন্তু সেটা আখেরে কোন কাজে দিবেনা, তা হলফ করে বলে দিতে পারি।
যে দেশ ভুটান-নেপালের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টাকেও স্বাভাবিক ভাবে নেয়া, আর যাই হোক, তার কাছ থেকে আমার প্রত্যাশা নাই।
বাংলাদেশের নিজেদের প্রয়োজনেই ন্যাশনাল গ্রীডের রিলায়েবিলিটি বাড়ানোর দরকার,
কোন বড়ভাইকে খুশি করার জন্য নয়।
বিনিয়োগ প্রস্তাবের রেজোলিউশন আপনার সংগ্রহে থাকলে একটু জানাবেন আমাকে। অর্থাৎ কোন দেশ কত টাকা বিনিয়োগ করছে, অবকাঠামো কোন দেশে কতটুকু। আর ট্যারিফ।
আপনার শেষ কথাটা শুনে মনে হলো, আপনি রাতে ভাত খাচ্ছেন পেট ভরে, এটা শুনে যদি মনমোহন সিং বলে, এই সংবাদে ভারত খুশি, আপনি সাথে সাথে রাতে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেবেন। ভারত খুশি হচ্ছে কি না হচ্ছে সেটা পরে ধর্তব্য, বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষা হচ্ছে কি না, সেটা আগে দ্রষ্টব্য।
সমাঞ্চলিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ভারত রাজি না হলে আমাদের উচিত সামনে কিছুদিন একমুখী বিদ্যুৎ আমদানি করা, আর বার্মার সাথে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ আমদানির কোনো চুক্তির জন্যে চাপ দেয়া।
নতুন মন্তব্য করুন