হাতে একটা দা পেলে লোকে কচু কাটে, তারপর কচু কাটতে কাটতে একসময় গলাও কাটা শিখে যায়। তারপর মানুষ কাটতে শেখে জঙ্গল। সুন্দরবনকে উত্তর আর পূর্ব দিক থেকে কচুকাটা করতে করতে এখন সুন্দরবনও বাড়ির পেছনের ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। লোকে সেখানে হাগতে যাবে দু'দিন পর।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ...[justify]
শহরে লোকের গণপিটুনিতে মারা পড়ে ছিনতাইকারী, পকেটমার, ছেলেধরা। আর জঙ্গলে গণপিটুনিতে মারা পড়ে বাঘ।
হাতে একটা দা পেলে লোকে কচু কাটে, তারপর কচু কাটতে কাটতে একসময় গলাও কাটা শিখে যায়। তারপর মানুষ কাটতে শেখে জঙ্গল। সুন্দরবনকে উত্তর আর পূর্ব দিক থেকে কচুকাটা করতে করতে এখন সুন্দরবনও বাড়ির পেছনের ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। লোকে সেখানে হাগতে যাবে দু'দিন পর।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদচণ্ডীপুরও তেমনি একটা গ্রাম, হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে সুন্দরবনের গায়ে। এই গ্রামে একটা বাঘ ঢুকে পড়লো গতকাল।
বাঘের পাপ হচ্ছে বাঘ মানুষ মারে। সে তো মানুষও মানুষকে মারে? কয়টা মানুষ-মারা-মানুষকে পিটিয়ে মারতে পেরেছে মানুষ? খুব বেশি নয়। তাই সেই ঝালই বাঘের ওপর ঝাড়া যায়।
এই যে বাঘটা, সে আরো বড় একটা পাপ করেছে। সে হিযরত আলী মোল্লার দু'দুটো ছাগল প্রথমে খেয়ে ফেলে। আর কে না জানে, ছাগলকে ভালোবাসে সবাই? বাঘ আমাদের মোনোগ্রাম মার্কাফার্কায় আছে বটে, কিন্তু জনচেতনায় ছাগলই বীর ও আরাধ্য, পূজিত ও প্রীত।
তারপরও যদি থামতো বাঘটা, জনতার মনে হয়তো ভিন্ন চিন্তা খেলা করতো। কিন্তু চুতমারানি বাঘ এরপর মোরশেদ মির্জার বাড়িতে হানা দিয়ে আরো দুটো ছাগল খেয়ে ফেললো।
চার চারটা হিরোর অকালমৃত্যু! স্থানীয় জনতা ফুঁসে উঠে তাড়া করলো এই ভিনগাঁয়ের বাঘকে। হ্যাঁ, বাঘটা আরো একটা পাপ করেছে বটে। ওর পাপ, ও পোষা নয়, ওর মালিক নেই।
চার চারখানা ছাগল ভোজনের তৃপ্তি নিয়ে কোথায় একটু ঘুম দেবে, তা না, জনতার তাড়া খেয়ে বাঘ মোরশেদ মির্জারই বাড়ির চালে গিয়ে চড়ে।
আশপাশ থেকে পিলপিল করে জড়ো হতে থাকে লোকজন। শ্যামনগরের মানুষ। এরা বাঘের দেশের লোক। সুন্দরবনে বাঘের হাতে প্রাণ দিয়েছে এদের অনেকের আত্মীয় স্বজন, অনেকের গায়ে বাঘের আঁচড় কামড়ের দাগও মিলবে মন দিয়ে খুঁজলে। বাঘের পেটে যাবার আগে বাঘের মাথায় দা দিয়ে শেষ কোপটা মারার ইতিহাস আছে এদের অনেকের বাপদাদার। আর খানকির ছেলে বাঘ কি না শ্যামনগরের আবাদচণ্ডীপুরের চারটা ছাগল মেরে খেয়ে তাদেরই একজনের চালে চড়ে বসেছে? রোসো। গত এগারো বছরে ছটা বাঘ মেরেছে শ্যামনগরের সন্তানেরা, পাঁচটাকে পেঁদিয়ে আর একটাকে গুলি করে, তুই হবি সাত লম্বর।
কয়েক হাজার লোক যখন চার চারজন বীরের খুনীকে মারতে সড়কি আর রামদা উঁচিয়েছে, সিনে ঢুকে পড়ে এলাকার সাংসদ।
এই পলিটিশিয়ানগুলিকে বুঝতে পারে না জনতা। শালার ব্যাটারা ভোটের সময় পারলে কোলে তুলে মাই খিলায়, কিন্তু একবার নির্বাচিত হয়ে গেলে আর হুঁশজ্ঞান থাকে না। একটা হিরোঘ্ন বাঘ মারবে জোয়ানেরা, এই ব্যাটা এসে শুরু করলো তার মাঝে মাইকিং। "ভাইসব, ছেড়ে দিন বাঘটাকে। ওকে মারবেন না। আমরা ওকে ধরে নিয়ে যাচ্ছি। ভাইসব, শান্ত হন। বাঘটাকে মারবেন না!"
বাঘটাকে মারবো না কি বাঘকে কোলে তুইলে চুমাবো র্যা? জনতা ক্ষেপে ওঠে। কোথায় ছিলো সাংসদ, যখন বাঘটা হিযরত আলী মোল্লার মাসুম দুটো ছাগলকে ঘাড় মটকে চিবিয়ে খেলো? কোথায় ছিলো সাংসদ, যখন বাঘটা মোরশেদ মির্জার দুটো কচি ছাগলকে কোতল করে কড়মড়িয়ে খেলো? বল্লেই হোলো?
কিন্তু হাজার হলেও সাংসদ। এমনি এমনি তো আর সাংসদ হয়নি। এদিক সেদিক কিছু কলকাঠি নাড়ার, দুচারটে বেয়াদবকে শায়েস্তা করার কালো হাত না থাকলে আজকালকার জমানায় কি আর কেউ সাংসদ হতে পারে?
আর হ্যাঁ, সাংসদরা তো একা চলেন না। পুলিশ আর বিডিয়ারের খাকি ঝলকায় তাঁর আশেপাশে। তাই জনতা একটু পেছায়। সড়কি নামায়, রামদার ফলা একবার মুছে নেয় গামছা দিয়ে। বেশ তবে। আসুক ফরেস্টের লোকজন। ধরে নিয়ে যাক তাদের বোনজামাইকে।
সুন্দরবনটাকে ফরেস্টের লোকজন উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পচ্চিম কতো বিচিত্র দাগে কেটেকুটে ভাগ করেছে। পশ্চিম বিভাগের এক কর্তা ঠাকুর আর টাইগার প্রজেক্টের এক কর্তা নেওয়াজ সম্ভবত সাংসদের হুড়ো খেয়েই দুখানা পেল্লায় ঘুমের বন্দুক আর টাইগার দলের পাঁচজন ব্যাটাছেলে টানতে টানতে নিয়ে মোরশেদ মির্জার ভিটার কাছে আসেন আরো ঘন্টা আড়াই বাদে। এসে বলে কী, ঘুমের ইনজেকশন তাদের কাছে যা আছে সেগুলোর ভীমরতি ধরেছে বহু আগেই। হাঁ, বাঘের পোঁদে তারা ইনজেকশন মারতে পারেন জরুর, কিন্তু তারপরে কী হবে তা জানে শ্যামলাল। বাঘ নাও ঘুমাতে পারে। তেড়ে এসে উল্টো জনতার পোঁদে ইনজেকশন বসিয়ে দিতে পারে দুই থাবার দশ নখ দিয়ে। তারচে বরং চার চারটা ছাগল খেয়েছে, মন্দডারে একলা থাকতি দ্যাও। ও এখন এমনিতেই নাক ডাকিয়ে ঘুমাচ্ছে।
আর যায় কোথায়? এই কথা শুনে মোল্লা আর মির্জার ছাগলের সাপোর্টে যারা ছিলো, তারা বেজায় চটে। মার মার চুতমারানিকে মার রবে হুলুলুলু আওয়াজ তুলে বীর জনতা ঢিল মারতে শুরু করে। বাঘের দিকে কিছু, ফরেস্টের লোকের দিকে কিছু।
কাছে যেসব পুলিশ আর বিডিআর এতক্ষণ হাতে লাঠি নিয়ে বিড়ি খাচ্ছিলো তফাতে, তারা এবার একটা কাজ খুঁজে পায়। জনতা ঢিল মারছে, অতএব চালাও লাঠি। অচিরেই গোলন্দাজ শ্যামনগরবাসী লাঠির চচ্চড়ি খেয়ে তফাত হঠে।
সাংসদের মোবাইলে ফোন আসে পত্রিকার স্থানীয় সংবাদদাতার কাছ থেকে। তাকে তিনি বলেন, তুরা সব পাপিষ্ঠ। এদিকে জনতার হুড়ো আর মাছির কামড় খেয়ে আমার জানটা কালি! এই বাঘের হোগা বাঁচাতে ফোন দিলুম বন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে, ব্যাটা হাঁ না কিছু বলে না! ওয়ার্ল্ড লাইফ পোজেক্টের ফরেস্ট কনজারভেটরকে ফোন দিলুম, বল্লুম ইনজেকশনসহ বাঘবন্দী দলকে জলদি করে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে সাতক্ষীরায় পাঠান, মামুর বেটা কানেই তোলে না কথা! বলে স্যার হেলিকপ্টারে চড়িয়ে পাঠানোর মতো বাজেট আমার নেইকো। ফেলুন কড়ি মাখুন তেল। এখন তুই কান চুলকে শুনে রাখ বাচ্চু, এই বাঘকে যদি চুতিয়া পাবলিক পিটিয়ে মারে, আমি সালার কোনো দোস নেই এতে। দায় নেবে ফরেস্ট। আবার এই খানকির ছেলে বাঘ যদি কোনো মানুস মারে, তার দায়ও নেবে ফরেস্ট। তাদের বাঘ তাদের মানুস, তাদের ইনজেকশন, তাদের রেসপনশিবিলিটি। এই আমি বলে রাক্লুম।
পত্রিকা অফিসের স্থানীয় সংবাদদাতা ভয় দেখায়, বলে বড় ভাই চার বছর বাদে ভোট চাইতে এলে পাবলিক কিন্তু ধুনে দেবে হেঁহেঁহেঁ।
সাংসদ চটে যান, বলেন পাবলিকের বোনকে নিয়ে শুই শালা! ফরেস্টের লোকের কাছে ইনজেকশন নাই ক্যানো রে? পত্রিকায় লেক এ কতা! ইনজেকশন কি তারা নিজের পোঁদে মেরে রাতে ঘুম করে নাকি র্যা? ইনভেশটিগেসন করতে হবে!
এরপর সময় কাটে। মোরশেদ মির্জার ঘরে বাঘ, তাই মোরশেদ মির্জা দুপুরের খানাটা হিযরত আলী মোল্লার বাড়িতেই খায়। দুজনেরই দুটো করে ছাগল মেরেছে বাঘটা, ভাতের থালা ভেসে যায় অশ্রুতে।
সেই কান্না হয়তো সংক্রামক, ছড়িয়ে পড়ে আস্তে আস্তে, সেই অশ্রুই ক্যারাসিন হয়ে জ্বলে ওঠে বেলা তিনটার দিকে। জানি না সাংসদ বেচারা কোথায় কী দিয়ে ভাত খেয়েছিলো এ সময়, হয়তো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতেই আতিথ্য নিয়েছিলেন তিনি, আর তার সাথের পুলিশ বিডিয়ারগুলো।
খেয়েদেয়ে মুখে একটা পান ঠুসে পায়েস আর চা খেতে যাবেন হয়তো, এমন সময় এক কনস্টেবল ছুটতে ছুটতে এসে জানায়, স্যার পাবলিক আবার বাঘ মাইরতে চায়!
সাংসদ একটা মাইক হাতে গিয়ে পাবলিককে বলেন, "হে বীর জনতা! আমি ফোনে পেসিডেন্টের সাতে কতা কয়েছি! তুমরা একটু সবুর কর। মহানবী কী বুইলেছেন? বুইলেছেন সবুরে ম্যাওয়া ফলবে। তুমাদের ছাগল চাইরটাকে রাশ্টিও মজ্জাদায় দাফন করা হবে। বিম্পি আমলের বেলাক বেঙ্গল পোজেক্টের পয়সা থিকে তুমাদের চাইরটার জায়গায় আটটা ছাগল কিনে দেওয়া হবে। তুমরা থামো দিকি। ছাগল মরলে ছাগল হাট থিকে কিনে আইনে দেয়া যাবি। বাঘ মরলে যাবি? বাঘ কিনাবিচা হয় ইখানটায়? বাঘ হইতেছে তুমাদের মামুর মতন। মামুরা মাঝে মধ্যে পোঁদে একটা দুইটা আঙুল দিয়েই থাকেন। তুমরা কি মামুবাড়িতে গিয়া মামুরে পিটাইয়া মারো?"
এবার হিযরত আলী মোল্লা আর মোরশেদ মির্জার সান্ধ্য তাসের আড্ডার কাচ্চু টীমের পার্টনাররা খেপে ওঠে। তখন থেকে সাংসদটা ম্যালা বকছে। এই কে আছিস ছোড় তো একটা রসিয়াল দেখে আধলা শালার ভুঁড়িতে!
পাবলিক বাঘ ফেলে বাঘের মোক্তার সাংসদকে ঢিল মারা শুরু করে। একটি ঢিল সাংসদের ঊরুতে এসে লাগে, তিনি উফ মাইরে ফেললো রে বলে ব্যাপক চিৎকার দিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে পিছিয়ে যান। তাঁর সেক্রেটারি উলু দিয়ে ওঠেন, ওরে তোরা চাইয়ে চাইয়ে ছিনামা দেকতিছিস নাকি, মার শালেকো!
পুলিশ এবার টিয়ার গ্যাস মারে। দুখানা শেল।
হিযরত আলী মোল্লা আর মোরশেদ মির্জা হাপুস নয়নে কাঁদে ছাগলের শোকে, বাকিরা কাঁদে টিয়ার গ্যাস খেয়ে। সাংসদ ফোঁপান ইঁটের ঘায়ে।
আরো ঘন্টা দুয়েক জটলা পাকাতে থাকে লোকজন। তারপর আরো দুই গাড়ি বিডিয়ার এসে পাবলিকে হুড়ো লাগায়। লোকে বিডিয়ারকে এখন একটু ভয়ই পায়। এই শালারা আর্মি মেরে ফেলে, আর পাবলিক তো পাবলিকই। ভয়ে ভয়ে জনতা একটু তফাত হঠে।
বাঘটা ঘুমায় মোরশেদ মির্জার ঘরে। বহুদিন বাদে পেটটা ভরে খেয়েছে সে। জঙ্গলে খাবার পানি নাই, সিডরের নোনা জলে সব পুকুর ভেসে গেছে, হরিণ নাই, শূকর গুলি হয় সব সরে গেছে উত্তরে নয় জামাত করে, খাবে কী বেচারা?
মোরশেদ মির্জা জটলা পাকায়, বলে, চুতমারানি বাঘ ভিটা দখল করে রেখেছে। মির্জা বাড়ির একটা মান সম্মান আছে না?
ঘন্টা দেড়েক বাদে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রহমান পত্রিকার লোককে মোবাইল মারেন। বলেন, বাচ্চু রে, পাবলিককে ঠেকানো গেলো না। ফরেস্টের লোকজন তো বাল ছিঁড়লো সারাদিন। আর কতো ঠেকিয়ে রাখা যায়? চার চারটা ছাগল মেরেছে বাঘটা। পাবলিক শেষমেশ ঘরে ঢুকে পিটিয়ে মেরেছে।
পত্রিকার পালোয়ান মোবাইল ঠোকেন ঠাকুরকে। তিনি বলেন, আরে বললেন দাদা একটা কথা। বাঘকে কি কোলে তুলে নিয়াসবো নাকি? জ্যান্ত সোঁদরবনের কেঁদো, পাদ দিলে চালা উড়ে যাবে আর আপনি এসে বড় বড় বারফট্টাই ঝাড়ছেন। ও বাঘ আটকানোর মতো এক্সপাট খুলনায় নেইকো। এক্সপাটেরা সব ঢাকায় নিজেদের বাসাবাড়িতে মাগছেলে নিয়ে সোংসার করছেন। টাইগার দলের যেসব ছেলেপুলেকে ইস্পটে নিয়ে এলুম তারা আগে দুয়েকটা শেয়াল ধরেছে বটে, কিন্তু বাঘ আগে টিপে দ্যাখেননি। তাদের সাহসে কুলোচ্ছে না। উপর অফিসে জানিয়েছি কী হচ্ছে না হচ্ছে, তারা পালোয়ান কিছু পোড় খাওয়া বাঘচোদাকে পাঠিয়েছেনে ঢাকা থেকে, তারা দুপুরে ঢাকা ছেড়েছে, সাতক্ষীরা আসবে। অবশ্য এসে তেমন একটা কিছু করতে পারবেন না। যাই দেখি, মাছ আর মুরগির বন্দোবস্ত করি তাদের জন্য। রাখি তাহলে। সাবধানে থাকবেন। কোথাও ছাগলটাগল মারলে চট করে কেটে পড়বেন, চালায় উঠে বসে থাকবেন না আবার হ্যা হ্যা হ্যা।
ফোন কেটে যায়।
পত্রিকার লোক এবার সাতক্ষীরা রেঞ্জের অ্যাসিস্ট্যান্ট কনজারভেটরকে মোবাইল মারেন। তিনি বলেন, আরে হ্যাঁ জানেনই তো সব, আবার মিছিমিছি মোবাইল পোন্দাচ্ছেন ক্যানো গো? দিনের আলো নিবতেই পাবলিক ধরে চুদে দিয়েছে বাঘটাকে। একদম ফিনিশ। লাশ আমরা বুঝে নিয়েছি। বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনে আনা হয়েছে ব্যাটাকে। কাল পোস্ট মরটেম সেরে ছাল ছালিয়ে কলাগাছীর টহল ফাঁড়ির দিকে গোর দিয়ে দোবো।
ছালটা কী হবে?
আরে বাঘের ছালের কী হয় আপনি জানেন না? সোনধা বেলা যত্তোসব বাজে আল্লাপ! যান তো ভাই ভাত খেয়ে ঘুম দিন, আমাদেরও ঘুমাতে দিন!
সংযোগ কেটে যায়।
চারটা ছাগল শর্ট পড়ে দুনিয়ায়। কিন্তু বন বিভাগের সচিব, হেলিকপ্টার ভাড়ায় গররাজি কনজারভেটর আর বুড়িয়ে যাওয়া ঘুমের ইনজেকশনবাহী দুই ফরেস্টার সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেয়, বহুগুণে।
.
.
যে জাতি চারটা ছাগল মারলে দশ ঘন্টার মধ্যে একটা বাঘকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে, সে জাতি ৩৮ বছরেও বাবা মা ভাই বোনের হন্তারকদের বিচারের মুখোমুখি করতে পারে না, পিটিয়ে মারা তো দূরের কথা।
আরো ২৯৯ টা বাঘ নাকি সুন্দরবনে আছে। মানুষের সংখ্যার সাথে তুলনা করলে, ১ টা বাঘকে হত্যা বাংলাদেশের ৫ লক্ষ মানুষ হত্যার সমতুল্য। তারপরও তো আমরা মারি। কারণ বাঘ ছাগল হত্যা করে। ছাগল, আমাদের প্রিয় ছাগল। যে ছাগলের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে আমাদের মন ও মনন।
আসুন, এই বাঘকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলি। বাকি ২৯৯টা মাদাফাকা বাঘকে কানে ধরে টেনে এনে * মেরে দেই চলুন। রাষ্ট্রীয় প্রতীক করি ছাগলকে। মনোগ্রামে ছাগলকে চড়াই, সুন্দরবনের খোলা হাওয়ায় ছাগল পালি।
সব ঘটনা আর চরিত্র কাল্পনিক। শুধু আমরা আর বাঘটা বাদে।
মন্তব্য
লেখকের ক্ষোভটা সংক্রমিত হোক সবার মধ্যে। এভাবে আর চলে না।
সেভ দ্যা টাইগারের টাকা তাইলে গেল কই?
---
শালারা আর্মি মেরে ফেলে, আর পাবলিক তো পাবলিকই।
এইটো জমজমাট হয়াসে।
একদম ফিনিশ?
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
চমৎকার লিখেছেন। তাতে কী হবে? আমরা বুঝেও না বোঝার ভান করি অথবা বিপরীতে ক্যাম্পেইন করি।
- অসুবিধা নাই, কয়দিন পর "বিলুপ্ত প্রাণীর তালিকা"য় সুন্দরবনের বাঘের নাম 'স্বর্ণাক্ষরে' লেখা থাকবে। হয়তো স্মৃতিস্তম্ভও হবে বুড়ি গোয়ালিনী ফরেস্ট আপিসের সামনে। সেইখানে "জাতীয় বাঘ দিবস"-এ গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে আসবেন কোনো এক ম্যাৎকার বিশারদ! এগুলাই স্বাভাবিক।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যে জাতি চারটা ছাগল মারলে দশ ঘন্টার মধ্যে একটা বাঘকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে, সে জাতি ৩৮ বছরেও বাবা মা ভাই বোনের হন্তারকদের বিচারের মুখোমুখি করতে পারে না, পিটিয়ে মারা তো দূরের কথা।
সম্ভবতঃ এটাই সমস্যা, বিচার প্রথম ৩৮ মাসেই করা উচিত ছিল, না করাতে ৩৮ বছরেও হয়নি। এই বাঘটাও যদি আরো কিছুক্ষন বাঁচতে পারত তাহলে হয়ত মার খেয়ে মরত হোত না। অধিকাংশ মানুষ ক্ষোভ ভুলে যায় দ্রুত, যদিও বেশিরভাগেরই ঘৃণা আছে এখনো যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি।
আশা করব আপনার ক্ষোভ সবার মধ্যে ছড়িয়ে যাক...
আপনার লেখাটা দুর্দান্ত হয়েছে, আপনার লেখাটা পড়ার পরে প্রথম আলোতে খবরটা পড়েছি।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ!
হাসতে হাসতে মারা গেলাম। আপনি সাতক্ষীরা এলাকার ভাষাটা যেভাবে তুলে এনেছেন, একেবারে অসাধারণ।
বাঘ ছাগল খেয়ে ফেলে, হাহ হাহ!
সিরাত, আম অ্যাফ্রেইড, সাতক্ষীরার ভাষাটা আমি জানি না। যা লিখেছি সেটা মনে হয় না সঠিক হয়েছে। পরিচিত কেউ থাকলে তাকে দিয়ে চেক করিয়ে নিতাম। তুমি কি সাতক্ষীরার ভাষা জানো?
না জানি না। আমি ভেবেছিলাম আপনি জানেন।
লেখাটা পড়ার পর নিচে নেমে যুগান্তর খুলে দেখি প্রথমেই একেবারে বড় করে এই কাহিনী। খাওয়ার টেবিলে হাসতে হাসতে ঠিকমত খেতে পারিনি।
যদিও ওখানে বলা বাঘটা মানুষখেকো।
এইটা কী হাসির গল্প ছিলো নাকি? আমার তো পড়ে প্রথমে মন খারাপ হলো, তারপর ভয়ানক ক্রোধ।
অনেকদিন পর হিমুর এরকম দমফাটানো লেখা পড়লাম।
দুর্দান্ত!
কপাল!
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
দুর্দান্ত একটা লেখা হিমু।
হিমু ভাইডি, আমনে কি বরিশালের ভাষা কইতে জানেন?
আদিত্য
এখানে সাধারণ মানুষের দোষের চেয়ে প্রসাশন-এর দোষ বেশি। তরা কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলো। কিন্তু প্রশাসনের হাতে এই বাঘটিকে নিরাপদে বনে পাঠিয়ে দেবার কোন পদ্ধতি ছিলো না। তারা পারেনি। তারা ঢাকার অপেক্ষায় ছিলো।
অতীত অভিজ্ঞতা থেকে তারা জানে নিরাপত্তাবাহিনী কী করতে পারে। সুতরাং তারা অস্থির হয়েছে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
প্রসাশন => প্রশাসন
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
একটু আগে টিভিতে দেখলাম দেদারসে সুন্দরবনের গাছ কেটে ছারখার করে ফেলছে, তাও আবার বন অধিদপ্তরের খুবই কাছে। প্রথম আলোতে বাঘের ছবিটা দেখলাম, মনে হচ্ছিলো বড়ই অবাক হয়ে অনুধাবন করতে চেষ্টা করছিল তাবৎ মানব জাতিকে। নিজের মধ্যেই সত্যি বড্ড হতাশা জেগেছে খবরটি পড়ে; মানুষযে আর কবে মানুষ হবে জানি না ।।।
-- শফকত মোর্শেদ
ছাগলকেই আমাদের দেশের জাতীয় প্রাণী করা হোক! এটা (আম)জনগণের প্রাণের দাবি! (কষ্ট আর ভয়ানক ক্রোধ থেকে কথাগুলো বললাম)............ কাল রাতের খবরে শিরোনাম দেখেছি।
জয় হোক আম জনতার, জয় হোক স্বার্থান্বেষী কর্তাব্যক্তিদের...
বাঘের দেশের মানুষ ছাগলের ভয়ে পালায়.......
অসাধারণ লেখা হয়েছে। প্রথম আলোর আর্টিকেলের সাথে এই লেখাটাও গেলে ভালো হতো।
"Life happens while we are busy planning it"
চমৎকার লেখা।
তবে এধরনের প্রভাবশালী লেখা আসলে শুধু ব্যক্তিগত ক্রোধ প্রকাশে সীমাবদ্ধ না থেকে সমষ্টিক জাগরনে ব্যবহৃত হওয়া উচিত...
... আর সকলের পড়ার উপযোগী করার জন্য "কর্ম-বিশেষণ" (কর্ম ব্যাখ্যা করে যে বিশেষণ) জাতীয় শব্দ যত কম রাখা যায়, ততই ভালো (আশা করি বুঝতে পারছেন )।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
ধন্যবাদ।
আমি গল্পটা শুরুতে যতদূর সম্ভব নিরীহ ভাষাতেই লিখেছিলাম। সঙ্গমবাচক শব্দ দিয়ে আমি ব্যক্তিগত ক্রোধ লেখায় প্রকাশ করি না। লেখাটার যখন প্রিভিউ পড়ছিলাম, তখন মনে হলো, এই গল্পটা আদ্যোপান্ত নোংরা এবং অশ্লীল, কিন্তু পাঠক কি তা বুঝবেন? আমি তারপর আবার কেটেকুটে লিখলাম কিছু, এইবার অমার্জিত শব্দ মিশিয়ে। আমার উদ্দেশ্য, পাঠক যাতে পড়ে বিরক্ত হন, আহত হন, এর প্রয়োজন পড়লো কেন ভাবতে গিয়ে আবিষ্কার করেন, ভাষার আবর্জনাটুকু পেরিয়ে আরো বড় একটা আবর্জনায় উপনীত হওয়ার গল্প এটা।
ধন্যবাদ।
সাধারনত একজন লেখক কী লিখলেন, কেন লিখলেন তা জানার উপায় থাকে না পাঠকের। অনেক লেখক তো এমনটাও বলেন যে "আমি নিজের আনন্দে লিখি... পাঠকের জন্য নয়"।
ঠিক এখানেই ব্লগ ভালো লাগে...
ভালো থাকুন।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রবেশ করলাম।
"আমি নিজের আনন্দে লিখি... পাঠকের জন্য নয়"।
বাংলা সাহিত্যে অনেকেই যদি নিজের আনন্দের জন্য লিখেছেন, আর নিজের আনন্দের জন্য লেখতে সমস্যাটা কোথায়?
আর পাঠকের কথা ভেবে লেখাটার মধ্যে যে ব্যাপারগুলা আছেঃ
-পাঠক যেটা পছন্দ করবে সেটা ভেবে লেখা
-পাঠকের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে লেখা।
দুই ক্ষেত্রেই স্বাধীনতাটা মনে হয় লেখকের প্রাপ্য।
ঠিকই আছে......আমাদের পিঠে কচ্ছপের মত খোলস গজিয়ে গেছে......বম-শেল না হলে কথা এখন এর গায়ে লাগে না
খুবই মজার একটি লেখা | পড়ার পর হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পরে যাচ্ছিলাম | অত্যধিক vulgar শব্দের ব্যবহার জনিত কারনে আমার স্ত্রী ছাড়া আর কাউকে দেখাতে আগ্রহ পাইনি অবশ্য | তবে মূলত: এই লেখাটির মাধ্যমেই সচলায়তনের সাথে পরিচয় | ভবিষ্যতে লেখকের কাছ থেকে আরো মজার লেখা আশা করছি |
-আতিউর
atiurrs of the gmail.com
ধন্যবাদ। আপনার স্ত্রীর প্রতি সমবেদনা রইলো। এই লেখাটির মাধ্যমেই সচলায়তনের সাথে আপনার পরিচয় ঘটলো জেনে দুঃখ প্রকাশ করছি।
ভবিষ্যৎ তো অনিশ্চিত, তবে আপনি অতীত অনুসন্ধান করে দেখতে পারেন, সেখানে কিছু নিষ্কলুষ "মজার লেখা" থাকতে পারে।
ভাল্লাগ্লো খুবই!
চমৎকার লিখা হিমু ভাই।
আমাদের সমস্যা কি জানেন? আমরা বুঝতে পারিনা কোনটা Humor আর কোনটা Irony! তাই এরকম লেখা পড়েও আমরা হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে যাই। আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতীক ছাগল ছাড়া আর কিছু হতে পারেনা।
মন্তব্যে
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লাঘের লায়রে লাপ...
_________________________________________
সেরিওজা
হয়ত কিছুদিনের মধ্যে দেখা যাবে বাংলাদেশ জাতিয় ক্রিকেট দলের লোগোতে রয়েল বেংগল টাইগারকে কে সরিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে ব্ল্যাক বেংগল ছাগলকে। আর বাংলাদেশের ম্যাচ জেতার পরে প্রথম আলোর হেডিং আসছে - "ছাগলের ডাক শুনছে সারা বিশ্ব"
হাজ্জাজ
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। আমি দেশ এর পত্রিকা দেখা হয় না, মন খারাপ হয়।
" চপলঃ
আমাদের সমস্যা কি জানেন? আমরা বুঝতে পারিনা কোনটা Humor আর কোনটা Irony! তাই এরকম লেখা পড়েও আমরা হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে যাই। আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতীক ছাগল ছাড়া আর কিছু হতে পারেনা।"
পুরাপুরি সহমত।।।।
চাইরটা ছাগু মারলে তো 'গোটফাদার'রা প্রতিশোধ নিবেই।।
***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
বাংলা এশিয়া কলিংয়ের জন্য ইন্দোনেশিয়ার বিলুপ্তপ্রায় সুমাত্রা বাঘ শিকার/হত্যা বিষয়ে প্রতিবেদনটি যখন তৈরি করছিলাম, তখনই এই খবরটি আসে।
খবরটি শুনে/পড়ে যেমন হতাশ হয়েছিলাম, এই লেখাটি পড়েও তেমনি দুঃখ পেলাম। লেখা অসাধারণ নিঃসন্দেহে, তবে দুঃখ পেলাম এটা ভেবে- বাঘ ও সুন্দরবন সংরক্ষণ বিষয়ক এক লক্ষ প্রজেক্ট আছে বাংলাদেশে। নিদেনপক্ষে ৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট আছে বাঘ রক্ষার জন্য। বাঘ সংরক্ষণ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের ভিডিও ডকুমেন্টশনের (ডকুমেন্টারি না) জন্য ৩ লক্ষ টাকা বিল করা হয়েছে, এমাসেই।
জনগণের বাঘ মারা ছাড়া আর উপায় ছিল কিনা জানিনা। এই হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় যায়, যখন চেতনানাশক দুই পয়সার ইনজেকশনও থাকে না?
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
ভাই রে, একটা ক্যালেণ্ডার পর্যন্ত নাই ফরেস্টারদের কাছে, যেই ক্যালেন্ডারে ওষুধের এক্সপায়ারি ডেট এর তিন মাস আগের তারিখটা দাগানো থাকবে পরবর্তী প্রকিউরমেন্ট রিকোয়েস্ট পাঠানোর জন্য। বন্দুক গর্দানে লৈয়া স্পটে গিয়া কয় আমাগো ওষুধ এক্সপায়ার্ড।
উনারা চাইলে আমরা কয়েকটা ক্যালেণ্ডার পাঠায় দিতে পারি। লগে দাগানোর জন্য একটা সাইন পেন।
গল্পটি পড়ে হাসতে গিয়েও হাসতে পারিনি। গল্পের মেসেজ ভয়াবহ!
তবে-"শূকর গুলি হয় সব সরে গেছে উত্তরে নয় জামাত করে"- লাইনটা কিন্তু ক্লাসিক!( তবে শুকর আসলে সরে যাইনি-বাড়ছে)।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ছাগলের সাথে বেয়াদবি! ছাগলকে জাতীয় প্রতীক করার জন্য প্রয়োজনে আবার যুদ্ধ হবে!
উদ্ধৃতি :
এক্সপাটেরা সব ঢাকায় নিজেদের বাসাবাড়িতে মাগছেলে নিয়ে সোংসার করছেন। টাইগার দলের যেসব ছেলেপুলেকে ইস্পটে নিয়ে এলুম তারা আগে দুয়েকটা শেয়াল ধরেছে বটে, কিন্তু বাঘ আগে টিপে দ্যাখেননি।
আরে বাঘের ছালের কী হয় আপনি জানেন না? সোনধা বেলা যত্তোসব বাজে আল্লাপ!
উত্তম জাঝা।
এই গল্প পড়ে যদি কেউ হেসে থাকেন তাহলে লেখক না পাঠক কার ব্যর্থতা সেটা বুঝতে পারছি না। গল্পটি মর্মান্তিক। এবং সেকারণে কার্যকর।
তবে, ছাগলের প্রতিও সংবেদনশীল হলে, সামগ্রিকভাবে কোনো ক্ষতি নেই। বাঘের বিপরীতে ছাগলের অতিপ্রাপ্যতা ছাগলের অস্তিত্বকে হাস্যস্পদ করে তোলে কি ? বিষয়টি অবচেতনে আমাদের আরও হিংসাত্মক করে তুলতে পারে।
ছাগলও আসলে মানুষ। এবং মানুষই আসল ছাগল।
লেখককে ধন্যবাদ।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মাথানষ্ট লিখছেন হিমু ভাই।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হুমায়ুন আজাদ কোথায় জানি লিখেছিলেন মানুষ সিংহের প্রশংসা করে কিন্তু আসলে গাধাকেই পছন্দ করে। লেখাটা পড়ে কেনো জানি হাসতে পারতেছি না রে ভাই।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হ, শুধু আমরা আর বাঘটাই কাল্পনিক না।
চরম লেখায় পাঁচতারা।
অসাধারন!
এটা আপনার আরেকটা ক্লাসিক।
===অনন্ত===
আমার পড়া হিমু ভাইয়ের এখন পর্যন্ত সেরা লিখা......একদিকে হাসতে হাসতে আরেক দিকে ক্ষোভে-দুঃখে চোখে পানি এসে গেল......এরকম অনুভূতি আগে কোনদিন হয়েছিল কিনা মনে করতে পারলাম না......অনেক পরে হলেও চোখে পড়ল...না হলে বিশাল মিস......
এক কথায় অসাধারণ!!
চমৎকার লিখেছেন হিমুভাই। আর তার চেয়েও চমৎকার হয়েছে লেখার সাথে সংযুক্ত চিত্রগুলোর বিষয়বস্তু। বিশেষকরে শেষের চিত্রটার!হেহে...
লেখাটা পড়তে পড়তে রাগে ক্ষোভে চোখ মুখ লাল হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু শেষ চিত্রটা দ্যাখার এবং বোঝার পরে আর দাত না বের করে থাকতে পারলাম না। হেহেহে...
পুরো পোস্ট অসাধারন!
শুধু এই একটা লাইন নিজেই পাঁচ তারা পাবার অধিকার রাখে।
ছাগলের বৈশিষ্ট্য আমাদের মধ্যে অভযোজিত হচ্ছে, বাঘের মিল মুছে গিয়ে।
ছাগল জনতা বাঘ হলেই কেবল সম্ভব রাজাকারদের বিচার ও বাঘকে রক্ষা করা।
বরাবরের মতই কোপা লেখা।
সেই লিখেছেন গো দাদা, একদম চু... দিয়েছেন !
নতুন মন্তব্য করুন