বাংলা একাডেমীর কাছে আমার চাওয়া

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বুধ, ২৭/০১/২০১০ - ৮:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পূজ্যপাদ একাডেমী,

সবচেয়ে শুরুতেই আমি আপনার কাছে যা চাই, তা হচ্ছে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটাকে সাইজ করবেন। ইউনিকোড বাংলায় সুন্দর, ছিমছাম একটা ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। যদি না পারেন, আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সাহায্য করতে পারি। ইউনিকোড বাংলায় একটা সাইট কেমন দেখায়, জানতে চাইলে ভিজিট করুন ডাব্লিউ ডাব্লিউ ডাব্লিউ ডট সচলায়তন ডট কম।

বাংলা বানান সম্পর্কিত যে প্রমিত রীতি আপনারা প্রচলন করেছেন, সেটি এই ওয়েবসাইটে অনুগ্রহ করে পরিষ্কার বাংলায় লিপিবদ্ধ করুন, এ-ই আমার চাওয়া। পাশাপাশি মহেঞ্জোদোড়োর লিপিতে যা যা কিছু বর্তমান ওয়েবসাইটে লিখে রেখেছেন, সেগুলোও লেখা থাকতে পারে, আমার আপত্তি নাই।

আরো যা চাই, তা হচ্ছে বইমেলা নিয়ে একটা পৃথক, নিবেদিত ওয়েবসাইট আপনারা বাংলায় নির্মাণ করবেন বা করাবেন। এই ওয়েবসাইটে থাকবে প্রচুর তথ্য। আলুর ব্যাপারীর মতো অমুক সালের বইমেলায় অত কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছিলো গোছের বিবৃতি না, আমরা জানতে চাই কোন বই কত কপি বিক্রি হয়েছিলো, মেলায় কী কী নতুন বই এলো, সেসব বইয়ের লেখক কারা, প্রকাশক কারা, প্রচ্ছদকার কারা, কোন বই কত পৃষ্ঠা কত দাম, বইয়ের সামারি, একেবারে হদ্দমুদ্দ তথ্য।

কেন এমন একটা ওয়েবসাইট প্রয়োজন, এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে জাতিকে আর লজ্জিত করবেন না। ২০১০ সালে এ প্রশ্ন মানায় কেবল অশিক্ষিতের মুখে। বাংলা একাডেমী শুধু বইমেলার আয়োজকই নয়, বইমেলা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যের ধারকবাহকরক্ষকঅভিভাবকপরিবেশকও বটে। এই দায়িত্ব নিতে অপারগ হলে আপনারা এই দায়িত্ব পালনে অযোগ্য, এমনটাই প্রতীয়মান হয়। বইমেলা বাঙালির বৃহত্তম জনসমাগম, একে নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও পরিবেশন চলছে না, এমনটাই বরং এক পরমাশ্চর্যের বিষয়। আমরা তো হটেনটট নই, তাই না?

আপাতত চাওয়া সামান্য। ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছু চাইবো। এই সামান্য চাওয়া পূরণ করতে পারলে লোকে আপনাদের একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী একটি প্রতিষ্ঠান বলে মনে করবে। প্রাগৈতিহাসিক থেকে যেতে চাইলেও পারা যায় না, যেমনটা নিয়ান্ডার্টালরা পারেনি।

আপনার চরণপদ্মে অর্বুদ প্রণামান্তে,

ভবদীয়
হিমু


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হো হো হো

হিমু এর ছবি

মান্যবর একাডেমী হয়তো অবগত নন, মাসিক মদিনা পর্যন্ত স্পষ্ট পাঠযোগ্য ইউনিকোডে ওয়েবসাইট হাঁকিয়ে বসেছে। আর বাংলা একাডেমী এতো খানদানি প্রতিষ্ঠান, সে নিজেকে বাংলায় ঠিকমতো বিশ্বের কাছে প্রকাশ করতে শেখেনি।

একাডেমীর কর্তারা কি প্রযুক্তিমূর্খ? নাকি প্রযুক্তিবিদ্বেষী? নাকি প্রযুক্তিবৈরাগী?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অনিকেত এর ছবি

একাডেমীর কর্তারা কি প্রযুক্তিমূর্খ? নাকি প্রযুক্তিবিদ্বেষী? নাকি প্রযুক্তিবৈরাগী?

--মনে হয় সব কয়টাই!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ।

ফাহিম এর ছবি

প্রযুক্তিফোবিয়াও হতে পারে!

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এদের সবচেয়ে প্রিয় শব্দমালা হচ্ছে This site is under construction. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল সাইটে এই শব্দগুলো লেখা ছিল প্রায় ৬/৭ বছর। বাংলা একাডেমীর কতদিন লাগে সেটা দেখার বিষয়।

নৈষাদ এর ছবি

আরো যা চাই, তা হচ্ছে বইমেলা নিয়ে একটা পৃথক, নিবেদিত ওয়েবসাইট আপনারা বাংলায় নির্মাণ করবেন বা করাবেন। এই ওয়েবসাইটে থাকবে প্রচুর তথ্য। আলুর ব্যাপারীর মতো অমুক সালের বইমেলায় অত কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছিলো গোছের বিবৃতি না, আমরা জানতে চাই কোন বই কত কপি বিক্রি হয়েছিলো, মেলায় কী কী নতুন বই এলো, সেসব বইয়ের লেখক কারা, প্রকাশক কারা, প্রচ্ছদকার কারা, কোন বই কত পৃষ্ঠা কত দাম, বইয়ের সামারি, একেবারে হদ্দমুদ্দ তথ্য।

... এটা যে কতটা দরকারী বলার না। বই মেলায় গিয়ে বই বেছে কেনা বেশ কষ্টকর, ব্যাস্ত লোকজন চায় মেলায় যাবার আগে একটা সম্ভাব্য বই এর তালিকা করতে (এবং কোন স্টলে পাওয়া যাবে)। ভরসা করতে হয় সেই প্রথম আলোর সাহিত্য পাতা, সাপ্তাহিক ২০০০ কিংবা সাপ্তাহিকে প্রকাশনা সংস্থার বিজ্ঞাপণের উপর। মধ্যে কয়েকটা ব্যাক্তিউদ্যোগের ওয়েব সাইটে কিছু কিছু তথ্য পাওয়া যেত। গত বছর তাও পেলাম না।

ফরিদ এর ছবি

গত বছর এইখানে নিয়মিত বইয়ের আপডেট পাওয়া যেত। এই বছর কি হবে জানিনা

http://www.boi-mela.com/BoiMela2009.asp

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ইউনিকোড বাংলায় একটা সাইট কেমন দেখায়, জানতে চাইলে ভিজিট করুন ডাব্লিউ ডাব্লিউ ডাব্লিউ ডট সচলায়তন ডট কম

চলুক গুরু গুরু

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একি ছাওয়ালের আতির মুয়া পাইয়্যেছো সুনা?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তোমার সুনা শুইনা 'ধৈর্য্য ধরে থাকার' আগেই আমার তিসরী মঞ্জিল সিনেমার গানটা মনে পড়ে গেলো তো মা.মু। "ও মেরে সুনারে সুনারে সুনারে সুনা...." দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌এত তাড়াতাড়ি অধৈর্য হয়ে গেলে চলবে কেন?
এই সেদিন ২০০৫ সালে ভিত্তিপ্রস্তর হলো, মাত্র পাঁচ বছর পেরিয়েছে। যে কোন মহান সৃষ্টির জন্য জাতিকে যুগ যুগ অপেক্ষা করতে হয়! ২০২০ সালের মধ্যে ইনশাল্লাহ সাইট কনস্ট্রাকশন হয়া যাবে!!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তাসনীম এর ছবি

মাসিক মদিনা পর্যন্ত স্পষ্ট পাঠযোগ্য ইউনিকোডে ওয়েবসাইট হাঁকিয়ে বসেছে।

মাসিক মদিনার সম্পাদককে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক করা হোক হাসি

--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

সহমত...
মন্তব্যে জাঝা!!

--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শেখ নজরুল এর ছবি

আমারও একই চাওয়া।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবই উপযুক্ত কথা। আমাদের এখনো অনেক দুর যেতে হবে।

-আতিউর
atiurrs from the gmail.com

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলা একাডেমীর কাছে অসম্ভব রকমের যৌক্তিক চাওয়া।
বইমেলা নিয়ে একটি ওয়েবসাইট যে কতটা দরকার...পত্রিকা খুঁজে তালিকা করা, তারপরও পছন্দের ২/১টা বই না নিয়েই বাড়ী ফেরা-কারণ বইটি তখনও মেলায় আসে নাই। ছাত্রী-জীবণে ক্লাশ না করে মেলায় যাওয়া যেত, কিন্তু অফিস না করে মেলায় যাওয়া যে কোনোভাবেই সম্ভবপর হয় না...

সন্ধ্যা

দুর্দান্ত এর ছবি

একাডেমির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতির পরের তিনজন আছেন বিগ্গান (আসল বানান লেখে কেমনে?) ও প্রযুক্তি বিশেষগ্গ হিসাবে, সরকারি মননোয়নে। এনারা হলেন প্রগতিশীল হিসাবে পরিচিত কেমিস্ট্রির রওশান ম্যাডাম সহ একজন বুয়েটি আর একজন কম্পু বিশেষগ্গ।

তাহলে কি 'অতি সাইন্টিস্টে ওয়েবসাইট নষ্ট।'

হিমু এর ছবি

প্রফেসর রওশন জাহান মান্নান
প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক আকন্দ
প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান

উনারা কি আদৌ নিজেদের ঘরবাড়ি থেকে বাংলা একাডেমীর ওয়েবসাইটটা খুলে দেখেছেন কখনো? জানতে কৌতূহল হচ্ছে। উনাদের বাসা থেকে ওয়েবসাইট খুলে সেটার একটা স্কৃনশট নেয়া গেলে খুব ভালো হইতো। হয়তো জ্ঞানবিজ্ঞানের এমন কোনো জটিল হরফেই সাইটের কথাবার্তাগুলি লেখা আছে যা দশজন ম্যাংগোপাবলিক পড়তে অপারগ।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

দ্রোহী এর ছবি

চলুক

দেখা যাক কদ্দূর কী হয়! খুব একটা আশাবাদী নই যদিও।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ইন্টারনেটের চিঠি ওনারা পড়েন কিনা কে জানে। ঝুঁকি না নিয়ে বরং আপনার এই চিঠিটা সাদা কাগজে লিখে খামে ভরে (বেসরকারি কোন কুরিয়ারে) পোস্ট করা দরকার ছিল হিম্ভাই।
এই পোস্টে আমার পক্ষে পাঁচতারা দিয়ে দেয়ার জন্য মডুকে অনুরোধ জানাই।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গ্রামীন সাইবারনেট কি গ্রামীনের কোনো অঙ্গ-সংগঠন নাকি?

যাকে দিয়েই করাক, বাংলা একাডেমির একটা ঝকঝকে সাইট দেখতে চাই। বুইড়া মানুষের ইয়ের মতো পোতানো জিনিষ দেখলে মেজাজটাই খারাপ হয়, তথ্য খুঁজুম কী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রায়হান আবীর এর ছবি

প্রচণ্ড সহমত জানায়ে গেলাম চলুক

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

খুবই স্বাভাবিক, যৌক্তিক চাওয়া, কিন্তু সরকারী এইসব প্রতিষ্ঠানের যেই লেভেলের স্থবিরতা, তার সাথে কেবল মেরু অঞ্চলের গ্লেসিয়ার-এর তুলনা করাই চলে। এদের কর্তাব্যক্তিদের পাঁচ পয়সার ইন্সেন্টিভ-ও নাই এই রকম একটা উদ্যোগ নেবার, তদুপরি সেটাকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করার।

তার থেকে বরং মেলার বিভিন্ন প্রকাশকরা মিলে যদি একটা ওয়েবসাইট স্পন্সর করেন, সেটাতে নিয়মিত খবর এবং আপডেট পাঠাতে রাজী থাকেন, সেই রকম সুন্দর ডিজাইন ও কন্টেন্ট তৈরীর জন্যে যদি ভাগাভাগি করে কিছু টাকা ঢালেন, তাহলে হয়তো দাঁড়ালেও দাড়াতে পারে। কত কিছুই না দেয়া যেতো - বইয়ের বিবরণ, মেলার এলবাম + ভিডিও, মেলার ব্লগ আড্ডা গসিপ... আর যুগটা যেহেতু মার্কেটিং-এর, এইরকম একটা ওয়েবসাইটকে জানুয়ারীর মাঝামাঝি এসে 'লঞ্চ' করলে, পেপার পত্রিকা টিভিতে একটু আজান দিলে, কোন মুখচেনা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব-কে দিয়ে ১৫ মিনিটের একটা ওয়েবসাইট উদবোধন অনুষ্ঠান করালে, সেটাকে ফেসবুক মার্কেটিং করলে, এমন একটা ওয়েবসাইট সহজেই ফেব্রুয়ারী মাসের বড় রেফারেন্স সূত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তবে উদ্যোগটা প্রাইভেট সেক্টর থেকে আসলেই কার্যকর হওয়ার চান্স বেশী। ২-৩ বছর বাদে ওয়েবসাইটটা প্রতিষ্ঠিত রিসোর্স হিসাবে দাঁড়িয়ে গেলে সেটাকে একাডেমীর কাছে পুশ করা যেতে পারে যে - নাও, এটা বানিয়েছি, এটাকে অফিশিয়াল ছাপ্পড় বা এনডর্সমেন্ট দাও।

বা এইরকম কিছু একটা...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

হিমু এর ছবি

আচ্ছা সব যদি বেসরকারি লুকজন করে, তাহলে বাংলা একাডেমী আছে কী করতে?

যে ওয়েবসাইটটা আছে, সেটা কীসের ভিত্তিতে গ্রামীণ সাইবারনেটকে বানাতে দেয়া হয়েছে, একাডেমীর পক্ষ থেকে কে কাজ বুঝে নিয়েছে, এগুলো জানা দরকার। বালছাল একটা কিছু বানাইয়া গছাইয়া দিয়া বিল তোলার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত সবার।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

এইটা বাংলাদেশী একটা সরকারী প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট। এর থেকাও আরো কারণ লাগবো? চাইতে পারি তো অনেক কিছুই, এর আগেও অনেকে অনেক কিছু চাইছে নানান সরকারী দপ্তর অধিদপ্তর ব্যাংক বা আপিস থেকা। সেই আশাভঙ্গের ইতিহাস লেখা শুরু করলে কেয়ামত চইলা আইবো, মাগার লেখা শেষ হইবো না।

আর ওয়েবসাইট শুরু করা এক জিনিস, কিন্তু সেইটারে বছর বছর ঝকঝকে তকতকে বানাইয়া আপডেট রাখা আরেক জিনিস। সেই কাম আর যেই করতে পারুক, বাংলা একাডেমী বা আর কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান যে করতে পারবো না, সেইটা গ্যারান্টি। পিয়নের লেগা একটা কলম বাইর করতে এইসব অফিসে পাঁচটা ফর্ম আর দশটা দস্তখত লাগে, জানো নিশ্চয়ই। আর এরা দিবো টাইমমাফিক আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট?! কোন সম্ভাবিলিটি-ই নাই। আমাদের জীবদ্দশায় বইমেলার চৌকষ ওয়েবসাইট দেখতে হইলে প্রকাশক বা পাঠকদের উদ্যোগেই হইতে হবে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

হিমু এর ছবি

মমমমম আমি যতদূর জানি, চুক্তিটা হয় ওয়েবসাইট তৈরি আর রক্ষণাবেক্ষণ দুইটার জন্যই। এবং মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে। আমার অভিযোগটাও সেই জায়গাতেই। এইটা পরিষ্কার যে একাডেমী আর যাদের নাম ওয়েবসাইটের তলায় লেখা আছে, তাদের সম্মিলিত গাফিলতি আর মূর্খামির ফলটাই আমরা ওয়েবসাইটে গেলে দেখতে পাই। এই ওয়েবসাইট ঝুলিয়ে রেখে একাডেমী সারা পৃথিবীর সামনে বাংলা ভাষাকে অপদস্থ করছে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ভাইরে, টানা পাঁচ বছর টি-আই-এর দুর্নীতি র‌্যাংকিং-এর শীর্ষে তো আর এমনে এমনে যায় নাই। সরকারকে সেই উপাধিটা অর্জন করতে হইসে। একাডেমী আর গ্রামীণ-এর মধ্যে টাকা নিয়া কি হইসিলো বা হয় নাই, সেইটারে সেই 'মুকুটে' আর একটা 'মুক্তা' হিসাবে ধইরা নিতে পারো।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ধুসর গোধূলি এর ছবি

চুক্তিটা হয় ওয়েবসাইট তৈরি আর রক্ষণাবেক্ষণ দুইটার জন্যই।
সবসময় না।

সেদিন খুব নাজুক কিছু জিনিষ জানলাম বর্তমান সময়ের। যারা আসলেই কিছু জানে, যারা আসলেই কিছু করতে পারে, যারা আসলেই কিছু করতে চায়, তাদের কেউ-ই সরকারী প্রতষ্ঠানে ঢুকার আগ্রহ ধরে রাখতে পারে না। বিশেষ করে বুমিং আইটি সেক্টরে তো না-ই। একজন ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট সরকারী প্রতিষ্ঠানে ঢুকলে যে পরিমান সম্মানী পায় ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো জায়গায় ঢকলে সেটার পরিমান হয়ে টায় প্রায় তিনগুণ। তার ওপর সরকারী জায়গায় আছে আইটি প্রতিবন্ধী "বড় সাব"-এর কথাই শেষ কথার প্রভাব।

সরকারী কাজকর্ম ক্যামনে আগাবে, সেইটাই ভাবি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রেনেট এর ছবি

বাংলা একাডেমীর ওয়েবসাইট দেখে হাসবো না কাঁদবো বুঝতার্লাম্না।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অনিন্দ্য এর ছবি

Website এ গিয়ে মনে হল রবার্ট ল্যাংডনকে লাগবে কি লেখা আছে তা বোঝার জন্য।এই রকম একটা সাইট রাখার মানে কি?

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

গৌতম এর ছবি

বর্তমান বাংলা একাডেমীর কাছে আমার কিছু চাওয়ার নাই। যে কোনো কথা কানে তুলে না বা কানে তুলে ফেলে দেয়, তার কাছে কিছু চাওয়ার মানে হয় না।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

এবারের বইমেলাতে এই বিষয়ে ব্যনার বা লিফলেট ছাড়ার উদ্দোগ নেয়া যায় না?

অতিথি লেখক এর ছবি

গেইটেতো র‌্যাব মামুরা খাড়াইয়া থাকে গো মনু। ক্রস্ফায়াররে যে খুব ডর লাগে!!

---- মনজুর এলাহী ----

অতিথি লেখক এর ছবি

কোন পত্রিকায় এই চিঠিটা প্রথমপাতায় ছাপানো গেলে ভালো হতো। মনে হয় তাইলে কর্তাবাবুদের দৃষ্টি আকর্ষন করা সম্ভব হইতো।

---- মনজুর এলাহী ----

নাশতারান এর ছবি

ওয়েবসাইট দেখে "ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি" দশা।
বাংলা অ্যাকাডেমীর লোকজনের কী সচলায়তনে ঢঁ দেওয়ার সুযোগ হয় কখনো? মনে হয় না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

হিমু এর ছবি

অবশেষে পূজ্যপাদ একাডেমী আমার চাওয়া পূরণ করেছেন। অতএব তোমরা তাহার কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করিবে?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।