বঙ্গবন্ধু বড় মাপের ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর নামটি দীর্ঘ, শরীরও দীর্ঘ ছিলো, বজ্রকণ্ঠে কথা বলতেন, তেমনি তাঁর মৃত্যুটিও প্রচণ্ড। জীবিত বঙ্গবন্ধুকে ভয় করতেন অনেকে, নিহত বঙ্গবন্ধুকেও কম ভয় পায়নি লোকে, তাঁর মৃত্যুর ২১ বছর পর তাঁর খুনীদের নামে প্রথম মামলা সক্রিয় করতে পেরেছে কেউ। ২১ বছর ধরে একজন নিহত মানুষকে একটি কালো অধ্যাদেশ জারি করে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে, এবং ২১ বছর পর জাতীয় সংসদে একমত হয়ে সে অধ্যাদেশ বাতিল করা সম্ভব হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু বড় মাপের ব্যক্তি ছিলেন বলেই হয়তো তাঁর হত্যা মামলাটি ১৩ বছর ধরে চলেছে। আইনের যতোগুলি চুল আছে, সবই বোধহয় পক্ষবিপক্ষের আইনজীবিগণ চিরে দেখিয়েছেন, কেন অভিযুক্তদের ছেড়ে দেয়া উচিত বনাম ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত। আজ তাদের ৫ জনকে ঝুলিয়ে দিতে পেরেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে অপরাধীদের সাজা কার্যকর করতে পেরেছে।
এই যে নিজস্ব গতি আইনের, এ কি যথার্থ? কতগুলি মানুষকে খুন করার পর ৩৪ বছর যে সদম্ভ জীবন যাপন খুনীদের, আইনের গতি কি তা সমর্থন করে? যাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে, তারা তাদের জীবনের রূপরসগন্ধ তো ঠিকই নিয়েছে ২১ বছর, এবং পরবর্তী ১৩ বছরও কারাবন্দী জীবনে বেশ আয়েশের সাথেই কাটিয়েছে। মানি, জাস্টিস হারিড জাস্টিড বারিড, কিন্তু জাস্টিস ডিলেইড তো জাস্টিস ডিনাইড?
প্রথম আলোর এই আর্টিকেলটায় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের বিচার কার্যক্রমের গতিপ্রকৃতি নিয়ে একটা সামারি দেয়া আছে। তাতে কী ঘটেছিলো, তা ধাপে ধাপে লেখা আছে। দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিলের বিরুদ্ধেও কে বা কাহারা যেন আদালতে মামলা ঠুকে দিয়েছিলো, বিস্তারিত মনে নেই এখন, অভিজ্ঞ পাঠক হয়তো স্মরণ করিয়ে দিতে পারবেন আমাকে। সেই মামলাও চলছে বছর দুয়েক ধরে। আইন এমনই প্রবল গতিসম্পন্ন।
আমাদের অনেক বিচারক মহোদয় বিব্রত হয়ে পড়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর মতো বড় মাপের লোকের খুনের মামলা সামলাতে গিয়ে। তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শকতি ... বোধ করি সেই শক্তি সবাই পান না সবসময়। হরলিক্স বা রবিনসন বার্লি খেয়ে সে শক্তি অর্জন করা যায় না। তাই শক্তপোক্ত বিচারকের অভাবে নাকি এই মামলাটি বিচারকশূন্যতায় পর্যন্ত ভুগেছে। আমরাও বিব্রত হয়েছিলাম আমাদের জাতিগত অপুষ্টির কথা ভেবে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরো অনেকে হয়তো ঠিকমতো মামলায় আসেনি। অজানা সংখ্যক ষড়যন্ত্রী হয়তো ইতিহাসে নিজেদের নামের সাথে জড়িয়ে থাকা এই অভিযোগ আর সন্দেহের লতাগুল্ম একটি একটি করে সরিয়ে একদিন নিষ্কলুষ আদম হিসেবেই স্থান করে নেবেন। কারণ আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। ইতিহাস চলে অন্যের গতিতে।
বঙ্গবন্ধুর মৃতদেহটির প্রকাণ্ড ভার কাঁধে নিয়ে আমাদের আইন আর বিচার ব্যবস্থা বোধকরি আরো শ্লথ হয়ে পড়েছিলো। ৩৪ বছর ধরে এই শবদেহ [আরো অনেক শবদেহের সাথে] বয়ে বেড়ানোর পর ক্ষণিক মুক্ত অ্যাটলাসের মতো আইন আর বিচার ব্যবস্থা হয়তো একটু হালকা বোধ করবে। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে দেখি এই বিচারের কাজে সক্রিয়। মনে আশা জাগে, হয়তো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের হত্যার বিচারেই রাষ্ট্র সমান আগ্রহ, উদ্যম আর ধৈর্য নিয়ে নিয়োজিত হবে। সুবিচারের যে দৈত্যটিকে বোতলে পুরে তার মুখে বঙ্গবন্ধুকে ছিপি হিসেবে আটকে দেয়া হয়েছিলো, সেই ছিপিটি হয়তো মাত্র অপসারিত হলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের সব মানুষের সাধ্য নাই, নিজেদের পিতার, ভায়ের, মায়ের, বোনের হত্যার বিচার প্রধানমন্ত্রীত্ব বরণ করে আদায় করার। আপনার আছে, আপনি পেরেছেন। জাতির পিতার হত্যার বিচার তো সরকারের আগ্রহে এগিয়ে গেলো, এবার জাতির হত্যার বিচারে উদ্যোগ নিন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। ত্রিশ লক্ষ স্বজন হত্যার বিচার চাই। তারা সকলে আপনার পিতা, আপনার ভাই, আপনার মা, আপনার বোন। তাদের রক্তের তিলক লেগে আছে আইন আর বিচার ব্যবস্থার কপালে। এই তিলক দূর করতে উদ্যোগী হোন।
৩৮ বছর কেটে গেছে, কেউ কথা রাখেনি। আপনি রাখুন।
মন্তব্য
প্রার্থনা করি যেন সম্পন্ন হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই সরকারের মেয়াদকালেই।
যদিও ভাবগতিক বলে, আওয়ামী লীগ বিচার শুরু করে ভোট আদায়ের মূলামূলি করার আশায় ঝুলিয়ে রাখবে...
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
যদি সেটা করে, তাহলে সেটা হবে আওয়ামী লীগের আরেকটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
___________________
মুক্তি আজিকে নাই কোনধারে
আকাশ সেও যে বাঁধে কারাগারে
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
আফসোসের কথা হলো সেটা আওয়ামী লীগের জন্য আত্মঘাতী যতটা না হবে বাংলাদেশের জন্য হবে তার চেয়ে বেশি কলঙ্কময়; আওয়ামী লীগ হয়ত পরবর্তী নির্বাচনে ফেল করবে; কিন্তু আবার এর পরের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় যাবে।
কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আর কখনই হবে না।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
যদি এই লেখাটি হাসিনাকে পড়ানো যেত!
আর কতকাল আমরা ঘুমিয়ে কাটাবো??
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
যা বলার বলে দিছেন ভাইয়া। এখন অপেক্ষা ...
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আরো অনেক কঠিন কাজ, এই ১১ জন ঘাতকের বিচারের থেকে। আওয়ামী লীগ হয়ত শুরু করবে, কিন্তু শেষ করতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। বংগবন্ধুর হত্যার বিচারও কিন্তু এক টার্মে হয়নি, এরপর নানান ছুতায় আরো আট বছর লেগেছে।
পরে যেই সরকার আসবে তারা কি বিচার করবে?
ইতিহাসের যে ধারাবাহিকতা, তাতে চারদল আসার সম্ভবনা প্রচুর, অধিকাংশ যুদ্ধাপরাধীদের পালকতো তারাই।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার এই লেখাটি হৃদয় ছুঁয়ে গেল। আপনি আমার অভিবাদন গ্রহণ করুন। আপনার ও জাতির মঙ্গল হোক।
ভাল লাগল। যাক, শেষ পর্যন্ত দন্ড কার্যকর করা হল...।
সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক এই কামনা করি।
"জাতিগত অপুষ্টি" - এই অপুষ্টি দূর করতে হবে।
জাতির পিতার হত্যার বিচার তো সরকারের আগ্রহে এগিয়ে গেলো, এবার জাতির হত্যার বিচারে উদ্যোগ নিন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। ত্রিশ লক্ষ স্বজন হত্যার বিচার চাই।
সহমত।
দেরীতে হলেও প্রাথমিক বাঁধা কেটে গেছে আজ। এবার বাকিগুলোও কাটবে, কাটতেই হবে!
সরকার এই সরল বাস্তবতাটা উপলব্ধি করুক!
যদি সাধারণ আদালতে বিচার হয় তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মতই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হতে যুগ পেরিয়ে যাবে।আর যদি বিশেষ ট্রাইবুনালে (বিশেষ আদালত নয়) বিচার হয় তাহলে হয়ত আমরা এর শেষ দেখে যেতে পারব।
...........................
Every Picture Tells a Story
এইটা একটা কাজের কথা হৈসে...
_________________________________________
সেরিওজা
কেউ কথা রাখে না............
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
পুরো বক্তব্যের সাথে সহমত। তবে আমি এতো আশাবাদীনা। এই টার্মের মধ্যে বিচার সম্ভব না। হয়ত বঙ্গবন্ধুর বিচারের চেয়েও বেশী সময় লাগতে পারে। তারপরও যেন বিচার হয়।
===অনন্ত===
খুনীদের লাশ বহনকারী এম্বুলেন্সে জুতা এবং আবর্জনা নিক্ষেপের দৃশ্য দেখলাম টিভি চ্যানেলগুলোয়। কবরে যাওয়ার পথে রাস্তায় রাস্তায়ও এ সুঘটনা ঘটেছে।
এবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অপেক্ষায়...
বেশ ভালো বলেছেন। ন্যায় বিচারের বোতলের মুখে যেন আর নতুন কোনো ছিপি না লাগে। একবার যেহেতু খুলেই গেছে, আর লাগবে না আশা করা যায়।
ধন্যবাদ।
- খোলা জানালা
আমি কোন আশা করি না আওয়ামী লীগের কাছ থেকে। সত্যি কথা এইটাই- আওয়ামীলীগ যুদ্ধপরাধীদের বিচার নিয়ে ব্যবসা করে প্রতিবার ভোটের সময়। আমি মোটামুটি নিশ্চিত আওয়ামীলীগ বিভিন্ন রকম তাং ফাং করে পাঁচ বছর পার করে দিবে। আর তা ছাড়া আওয়ামীলীগের হাতে বিচার কাজ তো কম জমে নেই। চার নেতা, কিবরিয়া কিংবা আহসানউল্লাহ মাস্টার, আরো অনেক।
কাজেই জনগণ তীব্র আন্দোলন না করলে, আওয়ামী লীগ স্ব উদ্যোগে কিছু করবে, এইটা ভাবা নিতান্তই বোকামি। আর জনগণ কী করতে পারে, তার জন্য পাণ্ডবদার ফেসবুক নোট দ্রষ্টব্য।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হুমম। এইটাই, আওয়ামী লীগের উপর ভরসা না করে জনগনকে প্রেশার গ্রুপ হিসাবে কাজ করতে হবে।
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
সহমত
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তাদের জীবনের রূপরসগন্ধ তো ঠিকই নিয়েছে ২১ বছর, এবং পরবর্তী ১৩ বছরও কারাবন্দী জীবনে বেশ আয়েশের সাথেই কাটিয়েছে।
এক মত। তারা একটু বেশীই পেয়েছে। পাঁচজনের একজনের মেয়ে তো, first class ছাড়া flight journey করে না। তবু আমাদের ঘৃণা তাদের জালাবে জানি।
লেখাটা পুরা সিরাম হইসে
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
গতকাল রাতে খবরটা জানার পর থেকেই আপনার লেখার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, এমনই কপাল- সকাল থেকে অফিসে নেট এর লাইন ছিল না, বাসায় ফিরেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট, শেষ পর্যন্ত পড়তে পারলাম।
অসাধারণ হয়েছে, আমার মনের সব কথাই আছে। অন্য সবার মত আশঙ্কাটা কোনোভাবেই দূরে সরিয়ে রাখতে পারছি না। কোন প্রক্রিয়ায় জানি না- তবে সরকারকে প্রতিনিয়ত আমাদের প্রাণের দাবি- যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা মনে করিয়ে দিতে হবে...
সন্ধ্যা
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
পুরোপুরি সহমত।
ভয় হয় আবার যেন এই মেয়দের শেষে বলে বসে... একটা বিচার শেষ করা অনেক কষ্টকর ছিলো, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পরের টার্মে করা হবে
আশায় আশায় বসে আছি।
---- মনজুর এলাহী ----
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। ত্রিশ লক্ষ স্বজন হত্যার বিচার চাই।
সহমত। ধন্যবাদ।
শেখ আমিনুল ইসলাম
সাধারণ মানুষের সম্মিলিত দাবী যখন হয়ে উঠবে "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই"তখন যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক বিচার অবশ্যই করতে বাধ্য হবেন।
এখানে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফাঁসির দাবী ছিলো সাধারণ মানুষদেরও। আর সে হিসেবেই খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকেও স্বামী হত্যার বিচার করেননি। সাধারণ মানুষ জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনও চাননি তেমন জোরালো ভাবে। যেভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার দাবী করা হয়েছিলো। তার আগেই হতে হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।
সাধারণ মানুষ একাত্ম হয়ে এ বিচার অবশ্যই চাইবেন। সে দিন খুব বেশি দূর নয়। আর এভাবেই হয়তো হতে থাকবে অন্যান্য হত্যার ঘটনাগুলোর বিচারের কাজও।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আর কোন কথা নেই, আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে এখন এটাই দাবি । আর নয় কোন সময় নষ্ট, আর নয় তাল-বাহানা । অনেক হয়েছে, অনেক দেখেছি, এবার শুধে-আসলে বুঝে নেওয়ার পালা !
নন্দিনী
আরকজনের জীবন কেড়ে নেবার অধিকার কারো নেই। মৃত্যুদন্ড সভ্যতার বিরদ্ধচারন।
খুনিদের সম্পত্তি যদি কেড়ে নেয়া যেত, তাদের বিদেশগমন যদি রোধ করা যেত, তাদের জাবজ্জীবন কারাবদ্ধ করে রাখা যেত - তাহলি কি তাদের শাস্তি আরো উপযুক্ত হত না?
আমরা সহজ সমাধানের লোভ সামলাতে পারি না।
মৃতের গাড়ীতে জুতো ছুড়ে কি লাভ? জীবিত খুনির দিকে শুধু আঙ্গুল তুললে যে তার থেকে বেশী কাজ হবে, সেটা বোঝা কি এতই কঠিন?
---
বয়েই গেছে হাসিনার যুদ্ধপরাধীদের বিচার করতে। আগে গ্রেনেড হামলার মামলা চলবে, তারপর জয়ের নামে কালিমা লেপনের (অপ)চেষ্টা প্রতিরোধে মামলা হবে। তারপর তো ইলেকশান। তখন যুদ্ধপরাধীদের পচা মূলোটা আবার থলে থেকে বের হবে।
---
তারপর যদি গদি উল্টায়, দেখা যাবে তখন জীয়া হত্যার মামলায় জাতী জর্জরিত। তারপর যুবরাজের কোমর ভাঙ্গার অপরাধে তত্তা-সরকারের হোমরাচোমরাদের এক হাত দেখে নেয়া হবে। তারপর ইলেকশান ও থলি হইতে পচা মূলার প্রত্যাবর্তন। আর তখন যেহেতু যুদ্ধপরাধীরাই সরকারে, তখন এই মামলায় সেক্টর কমান্ডারদের ধরে জেলে পুরে দেয়া হবে।
ইতমধ্যে সকল ফার্স্ট হ্যান্ড মুক্তিযোদ্ধার স্বর্গারোহন ও ডিজুস জেনারেশানের স্পন্ডেলাইটিস অথবা ঘাড়ে বিশাল বিশাল ফোঁড়ার উতপত্তি। পিছন ফিরে তাঁকাবে কি? ঘাড় ঘোরাতেই যে ব্যাথা লাগে।
(চলুক)
কথা এটাই। দ্রুত চললে তো অবশ্যই আরো ভালো হ'তো, শুভষ্য দ্রুতম; তবু, থেমে যাওয়ার চে' বরং নিজস্ব গতিতে হ'লেও চ...লু...ক...
প্রধানমন্ত্রীকে এই শেষ কথাটা, এই হক কথাটা, এই আসোল কথাটা পৌঁছানো দরকার, আবার বলি-
(চলুক)
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আপনার জন্য শুভকামনা
নতুন মন্তব্য করুন