১.
হারাধনের দশটি ছেলে
ঘোরে পাড়াময়
একটি কোথা হারিয়ে গেলো
রইলো বাকি নয়।
হারাধনের নয়টি ছেলে
কাটতে গেলো কাঠ
একটি কেটে দুখান হলো
রইলো বাকি আট।
হারাধনের আটটি ছেলে
বসলো খেতে ভাত
একটির পেট ফেটে গেলো
রইলো বাকি সাত।
হারাধনের সাতটি ছেলে
গেলো জলাশয়
একটি জলে ডুবে মলো
রইলো বাকি ছয়।
হারাধনের ছয়টি ছেলে
চড়তে গেলো গাছ,
একটি মলো আছাড় খেয়ে
রইলো বাকি পাঁচ।
হারাধনের পাঁচটি ছেলে
গেলো বনের ...[justify]
১.
হারাধনের দশটি ছেলে
ঘোরে পাড়াময়
একটি কোথা হারিয়ে গেলো
রইলো বাকি নয়।
হারাধনের নয়টি ছেলে
কাটতে গেলো কাঠ
একটি কেটে দুখান হলো
রইলো বাকি আট।
হারাধনের আটটি ছেলে
বসলো খেতে ভাত
একটির পেট ফেটে গেলো
রইলো বাকি সাত।
হারাধনের সাতটি ছেলে
গেলো জলাশয়
একটি জলে ডুবে মলো
রইলো বাকি ছয়।
হারাধনের ছয়টি ছেলে
চড়তে গেলো গাছ,
একটি মলো আছাড় খেয়ে
রইলো বাকি পাঁচ।
হারাধনের পাঁচটি ছেলে
গেলো বনের ধার,
একটি গেলো বাঘের পেটে
রইলো বাকি চার।
হারাধনের চারটি ছেলে
নাচে তা ধিন ধিন
একটি গেলো পিছলে পড়ে
রইলো বাকি তিন।
হারাধনের তিনটি ছেলে
ধরতে গেলো রুই
একটি মলো আছড়ে পড়ে
রইলো বাকি দুই।
হারাধনের দুইটি ছেলে
ধরতে গেলো ভেক
একটি গেলো সাপের বিষে
রইলো বাকি এক।
হারাধনের একটি ছেলে
কাঁদে ভেউ ভেউ
মনের দুঃখে বনে গেলো
রইলো না আর কেউ।
২.
হারাধন গোধুলি আর তার বউ সুখেই ছিলো। দশ দশটা ছেলে তাদের। তারা পাড়াময় ঘুরে বেড়ায়। হই হট্টগোল করে। রাতের বেলা লাইন ধরে পাত পেতে খেতে বসে। হারাধন নিজের ছেলেদের দেখে আর মিটিমিটি হাসে।
সুখেই কাটছিলো তাদের জীবন।
হঠাৎ একদিন ঘটলো বিনামেঘে বজ্রপাত।
নয় ছেলে হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বাড়িতে রিপোর্ট করলো, "আব্বা গোওওওও! খুমন ভাই তো হারিয়ে গেছে! কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!"
হারাধনের মাথায় যেন বাজ পড়লো। ঐ যে ... বিনামেঘে যেটা পড়ার কথা আর কী।
তৎক্ষণাৎ পাড়াপড়শি লাঠিসোটা হারিকেন নিয়ে হারাধন বেরিয়ে পড়লো ছেলে খুমনকে খুঁজতে।
খুমনের মা উৎকণ্ঠিত চিত্তে বসে রইলো ঘরে।
বাহাত্তর ঘণ্টা খুমনকে গরুখোঁজা করে হতাশ হয়ে ফিরে এলো সকলে। কোথাও নেই খুমন। কোথায় যেন হারিয়ে গেছে সে।
হারাধন গোধুলি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলো, খুমন, ফিরিয়া আইস। তোমার চিন্তায় তোমার মাতা কেন্দে জারেজার। প্রতিজ্ঞা করিতেছি, প্যাঁদাইয়া তোমার ছাল ছালাইব না। ফিরিয়া আইস বাপধন।
পুলিশে ডায়রি হলো। পুলিশের এস আই রজ্জব আলি ডায়রি লিখলো, ডিয়ার ডায়রি, গত ২৬ জানুয়ারি দ্বিপ্রহরে খুমন গোধুলি, পিতা হারাধন গোধুলি, নিবাস গোধুলি কুটির ... হারাইয়া গিয়াছে।
কিন্তু খুমনকে আর পাওয়া গেলো না।
হারাধন গোধুলি আর তার বউ সজল নয়নে অবশিষ্ট নয়টি পুত্রকে নিয়ে দিন কাটাতে লাগলো। আর আশায় বসে রইলো, নেতাজী সুভাষ বসুর মতো হয়তো খুমন কোনো দূরদেশে গোপন রাষ্ট্রীয় মিশনে, সময় হলেই ফিরবে।
খুমনের শোক কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসতেই একদিন বিকেলে হারাধন গোধুলির আট ছেলে হাঁপাতে হাঁপাতে বাড়িতে এসে রিপোর্ট ঠুকলো। "আব্বা গোওওওও! গুমন ভাই হাসপাতালে! জলদি আসো!"
হারাধন গোধুলির বুক ধক করে উঠলো। পড়িমড়ি করে সস্ত্রীক সে ছুটলো শহরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
কিন্তু হায়, গুমনকে আস্ত পাওয়া গেলো না। ডাক্তার গম্ভীর গলায় বললেন, আই অ্যাম সরি, হি প্যাসড অ্যাওয়ে।
গুমনের মৃতদেহের ওপর আছড়ে পড়ে কান্নাকাটি করতে লাগলো তার মা, মিসেস হারাধন। হারাধন গোধুলি পাথরের মতো শক্ত মুখে দাঁড়িয়ে রইলো। কতগুলি আয়া এসে তাদের ধমকাতে লাগলো, বললো বডি মর্গে নেয়ার ব্যবস্থা করেন জলদি জলদি, এই বেডে নতুন পেশেন্ট উঠবে!
এস আই রজ্জব আলি এসে সুরতহাল রিপোর্টে লিখলো, গুমন গোধুলি তার ভাইদের সাথে কাঠ কাটতে যায় জঙ্গলে। সকলেই কুঠার হাতে ধপাধপ কাঠ কাটিতেছিলো। হঠাৎ আর্তচিৎকার শুনিয়া তাহার ভাইয়েরা ছুটিয়া আসিয়া দেখে, গুমন গোধুলি মারাত্মক আহত, তাহার আপন কুঠার তাহার আপন বক্ষে বিদ্ধ। অতঃপর তাহারা ভাইকে আনিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। মৃতের পঞ্জর বিদীর্ণ, আট ইঞ্চি পরিমাণ ক্ষত দেখা যাইতেছে।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর হারাধন গোধুলি পুত্রের একটি ছবি বাঁধাই করে দেয়ালে টাঙালো। তারপর সজল নয়নে একটি ফুলের মালা পরিয়ে দিলো। সেদিন রাতে গোধুলি পরিবারের ঘরে আট পুত্রের জন্যে আটটি পাত পড়লো।
দিন যায়। গুমনের মৃত্যুর শোকও একটু বুঝি স্তিমিত হয়ে আসে।
একদিন হারাধনের সাত পুত্র ছুটতে ছুটতে এসে রিপোর্ট ঠোকে বাসায়। "আব্বা গোওওওও! ঙুমন ভাই হাসপাতালে! ক্যামন জানি করে! জলদি চলো!"
এবার হারাধন উদ্বেগে পাগল হয়ে ওঠে। একটি সিয়েনজি ভাড়া করে সে ছুটে যায় হাসপাতালে।
ডাক্তার গম্ভীর মুখে জানায়, আই অ্যাম সরি, হি জাস্ট পাসড অ্যাওয়ে।
হারাধন বুক চেপে ধরে বসে পড়ে!
ময়না তদন্তে জানা যায়, ফুড পয়জনিং। অত্যন্ত শক্তিশালী। স্থানীয় বাবুলের হোটেলে হারাধনের ছেলেরা ভাত খেতে বসেছিলো, ঙুমন ভরপেট ভাত খেয়ে হঠাৎ বাবাগো বলে পেট চেপে গড়াগড়ি করতে থাকে।
ঙুমনের শোকে কয়েকদিন ঠিকমতো খেতে পারে না হারাধন পরিবার। গুমনের ছবির পাশে বাঁধাই করা হয় ঙুমনের ছবিও।
কিন্তু সব পাখি ঘরে ফেরে, সব নদী। একদিন ঙুমনের শোকও স্তিমিত হয়। সাত ছেলে কলকল করে পাত পেড়ে ভাত খায়। হারাধন স্তব্ধ হয়ে টিভিতে চ্যানেল থ্রিতে টারজানা খানের সংবাদ পাঠ দেখে।
একদিন বিকেলে আবার ছুটতে ছুটতে আসে হারাধনের ছেলেরা। সংখ্যায় তারা ছয়জন। ঠোকে রিপোর্ট। "আব্বা গোওওওও! চুমন ভাই ডুবে গেছে! জলদি আসো!"
হারাধন একটা টায়ার নিয়ে ছুটে যায় পুকুরে। তারপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চুমনকে উদ্ধার করার জন্য। ঘোলা পুকুরের তলা থেকে চুমনকে তোলার পর পারে নিয়ে তাকে সিপিআর দেয়। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। চুমনের শরীর শক্ত হয়ে যায়।
এস আই রজ্জব আলি সুরতহাল রিপোর্ট করে। তারপর কী যেন ভাবে আনমনে।
হারাধন বাড়ি ফিরে বউকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে। গুমন আর ঙুমনের পাশে ওঠে চুমনের ছবি। পরানো হয় মালা।
দিন যায়। মাস যায়।
একদিন ছুটতে ছুটতে বাড়ি ফেরে হারাধন গোধুলির ছেলেরা। পাঁচজন। হারাধন রিপোর্ট ঠোকার আগেই পাগলের মতো ছুটে বেরিয়ে আসে, "কে কে কে? কীভাবে কীভাবে কীভাবে?"
ছেলেরা হাউমাউ করে বলে, "আব্বা গোওওও! জুমন ভাই গাছ থেকে পড়ে গেছে! জলদি হাসপাতালে চলো!"
হাসপাতালে ডাক্তার গম্ভীর হয়ে বলেন, "আই অ্যাম সরি মিস্টার হারাধন! হি পাসড অ্যাওয়ে!"
জুমন গাছ থেকে পড়ে মারা গেছে।
হারাধন বাড়ি ফিরে যায় কাঁদতে কাঁদতে। জুমনের ছবি বাঁধাই করে দেয়ালে টাঙিয়ে রাখে।
হারাধনের বাড়ির কাছেই জঙ্গল। ছেলেদের সেদিকে যাওয়া নিষেধ। তারপরও একদিন ছেলেরা সেদিক থেকেই ছুটতে ছুটতে ফেরে।
"আব্বা গোওওওও! ঝুমন ভাইকে বাঘে ধরেছে! জলদি আসো!"
হারাধন তার দাদার আমলের পয়েন্ট থ্রি টু মাউজার রাইফেলে টোটা ভরে ছুটতে ছুটতে যায় জঙ্গলের কাছে।
জঙ্গলের কিনারেই পড়ে আছে ঝুমনের শরীর। বাঘ তার একাংশ চিবিয়ে খেয়েছে।
হারাধন যেন পাগল হয়ে যায়, রাইফেল হাতে সে ছুটে যেতে চায় জঙ্গলের কিনারায়। কিন্তু বাকি ছেলেরা বাধা দেয় তাকে।
ঝুমনের লাশের সুরতহাল করতে আসে এসআই রজ্জব আলি। আড়চোখে হারাধনকে দেখে সে। ভয়ে ভয়ে বলে, আপনার রাইফেলের লাইসেন্স আছে তো?
হারাধন কাঁদে, কিছু বলে না।
ঝুমনের ছবি ওঠে দেয়ালে, বাঁধাই করা।
হারাধন গোধুলির বাড়িতে নেমে আসে নীরবতা। চারটি মাত্র ছেলে চুপচাপ পাত পেড়ে ভাত খায়। হারাধন কাঁদে। কাঁদে হারাধনের বউ।
একদিন সন্ধ্যায় ছুটতে ছুটতে আসে হারাধনের তিন ছেলে। "আব্বা গোওওওও! জলদি আসো! টুমন ভাই পিস্লা খেয়ে পড়ে গেছে! হাসপাতালে! জলদি!"
হারাধনের বুকটা ধ্বক করে ওঠে। টুমনের কলেজে ব্রেক ড্যান্স পারফর্ম করার কথা, কী এক র্যাপারের সাথে তালে তাল মিলিয়ে। আর সে কি না পিছলা খেয়ে পড়ে যায়?
হাসপাতালে ডাক্তার গম্ভীর মুখে বললেন, "আই অ্যাম সরি! হি জাস্ট পাসড অ্যাওয়ে!"
হারাধন মাটিতে কিল মেরে কাঁদে।
এস আই রজ্জব আলি চুপচাপ সুরতহাল করে যায়। মৃত টুমন গোধুলির করোটিতে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন আছে। বাম হাতের আলনা ভাঙিয়াছে।
তিন ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে হারাধন বাড়ি ফিরে যায়। টুমনের একটা ছবি ওঠে দেয়ালে।
কিন্তু দুর্ভাগ্য হারাধন পরিবারের পিছু ছাড়ে না। একদিন ছিপ হাতে চেঁচাতে চেঁচাতে বাড়ি ফেরে হারাধনের দুই পুত্র। "আব্বাগোওওওও! ডুমন ভাইকে মাছে টেনে নিয়ে গেছে!"
হারাধনের বুক ধ্বক করে ওঠে। সে গামছা পরে ছুটে যায় পুকুরের দিকে। ঝাঁপিয়ে পড়ে।
লাভ হয় না। পুকুর থেকে উঠে আসে মৃত ডুমনের দেহ।
এস আই রজ্জব আলি গলা খাঁকরে দুই ছেলেকে বলে, "অ্যাই তোরা ঠিকমতো বল তো হচ্ছিলো কী? এই পুকুরে কি তিমি মাছ আছে নাকি যে ডুমনকে টেনে নিয়ে যাবে?"
দুই ভাই কাঁদতে কাঁদতে বলে, তারা তিনজন ছিপ ফেলেছিলো রুই মাছের আশায়। কারো ফাতনাই নড়ছিলো না, কেবল ডুমনেরটা ছাড়া। সে টান দিতে যেয়ে দেখে সুতলি টানটান হয়ে আছে। তারপর হঠাৎ মাছটা উল্টো টান মারতেই ডুমন পানিতে পড়ে গেলো। কিছুক্ষণ দাপাদাপি হলো। কিন্তু আর উঠে এলো না।
হারাধনের মর্সিয়ায় বাতাস ভারি হয়ে উঠলো।
ডুমনের একটি বাঁধাই করা ছবি উঠলো ঘরের দেয়ালে।
একদিন হারাধনের ছোটো ছেলে পুমন এসে কাঁদতে কাঁদতে বললো, "আব্বা গোওওওওও! নুমন ভাইকে সাপে কামড় দিয়েছে!"
হারাধন একটা গামছা হাতে ছুটে গেলো। বাড়ির পেছনে ঝোপের কাছে পড়ে আছে নুমন। তার পায়ে সাপের কামড়ের দাগ। হারাধন কষে বাঁধন দিলো গামছা দিয়ে, তারপর ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে ছুটলো। একটা সিয়েনজিকে ডাক দিলো, "অ্যাই সিয়েনজি!"
এক সিয়েনজিওয়ালা এসে থামলো। "কই যাবেন?"
হারাধন বললো, "হাসপাতাল!"
সাথে সাথে সিয়েনজিওয়ালা সিয়েনজি টান মেরে চলে গেলো। হারাধন হাঁ করে সেদিকে তাকিয়ে আরেকটা সিয়েনজিকে ডাক দিলো, "অ্যাই সিয়েনজি!"
এক সিয়েনজিওয়ালা এসে থামলো। "কই যাবেন?"
হারাধন বললো, "হাসপাতাল চলো! মিটারে যা আসবে তার ডাবল দিবো! আমার ছেলেটাকে বাঁচাও! জলদি ...!"
সিয়েনজিওয়ালা সিয়েনজি টান মেরে চলে গেলো। যাবার আগে বলে গেলো, হাসপাতালের ওদিকে ফিরতি খ্যাপ পাওয়া যায় না। তাই সে যাবে না।
এবার হারাধন ছেলেকে মাটিতে নামিয়ে রেখে ঘর থেকে তার সেই দাদার আমলের পয়েন্ট থ্রি টু মাউজার রাইফেল আর টোটার বাক্স নিয়ে আবার ছুটে এলো হাঁপাতে হাঁপাতে। একটা সিয়েনজিকে ডাক দিলো, "অ্যাই সিয়েনজি!"
এক সিয়েনজিওয়ালা এসে থামলো। "কই যাবেন?"
হারাধন এবার রাইফেল বাগিয়ে বললো, "(ছাপার অযোগ্য), (ছাপার অযোগ্য)! যেইখানে মন চায় সেইখানে যামু! যাবি?"
হাসপাতালে এক হাতে ছেলে আর অন্য হাতে রাইফেল নিয়ে ঢুকলো হারাধন। কিন্তু ডাক্তার নুমনকে মৃত ঘোষণা করলেন। গম্ভীর মুখে বললেন, "আই অ্যাম সরি! হি জাস্ট পাসড অ্যাওয়ে!"
একমাত্র জীবিত ছেলে পুমনকে কোলে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরলো হারাধন। দেয়ালে নুমনের বাঁধাই করা ছবিও উঠে গেলো।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হারাধন আর হারাধনের বউ বাড়িতে পুমনকে খুঁজে পেলো না। সে ঘরে নাই।
এক পড়শি জানালো, পুমন ভেউ ভেউ করে কাঁদতে কাঁদতে বনের দিকে চলে গেছে।
হারাধন থানায় গিয়ে আবার ডায়রি করলো। এস আই রজ্জব আলি বললো, ২৪ ঘন্টা না গেলে কি কাউকে নিখোঁজ বলা যায়?
হারাধন বললো, "অফিসার! আমার একটা ছেলে নিখোঁজ, আটটা ছেলে অপঘাতে মারা গেছে! একমাত্র জীবিত ছেলেটা বনে চলে গেছে কাঁদতে কাঁদতে! আপনি তারপরও ২৪ ঘন্টার অপেক্ষায় আছেন?"
রজ্জব আলি কী ভেবে ফোর্স নিয়ে বনে গেলো।
কিন্তু না। পুমনকে পাওয়া গেলো না। খুমনের মতো সেও নিখোঁজ হয়ে গেলো।
হারাধন গোধুলির বাড়িতে সেদিন আর কোনো ছেলে পাত পেড়ে ভাত খেলো না। কারণ রইলো না আর কেউ।
একদিন বিকেলে হারাধন শূন্য বাড়িতে ফিরে চমকে উঠলো!
তার বৈঠকখানায় বসে এক ভীষণদর্শন লোক। তার ইয়া বড় মোচ, হাতে একটি চুরুট, চোখে ক্রুর দৃষ্টি। পাশে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এক লোক।
হারাধন বললো, "আপনারা কারা? কী চান?"
পাঠক, এতক্ষণে বুঝে ফেলেছেন চুরুটঅলা লোকটা কে! পাঠিকা, আপনিও নিশ্চয়ই বুঝে ফেলেছেন পুলিশের ইউনিফর্ম পরা লোকটা কে? ঠিকই বুঝেছেন। এরা আর কেউ নয়, উপমহাদেশের সবচেয়ে হিট রহস্যভেদী গোয়েন্দা ঝাকানাকা আর তাঁর বুদ্ধু অ্যাসিস্ট্যান্ট দারোগা কিংকর্তব্যবিমূঢ় চৌধারি!
গোয়েন্দা ঝাকানাকা বললেন, "তা হারাধন গোধুলি, আপনি কেমন আছেন?"
হারাধন বললো, "আপনি কী চান এখানে?"
গোয়েন্দা ঝাকানাকা বললেন, "আমি চাই কিছু প্রশ্নের উত্তর!"
হারাধন বললো, "কী প্রশ্ন? দেখুন আমি এখন খুব আপসেট, আমার দশটা ছেলের মধ্যে দুজন হারিয়ে গেছে, আর আটজন অপঘাতে মারা গেছে! এখন এসব প্রশ্নোত্তরের সময় আমার নেই!"
গোয়েন্দা ঝাকানাকা ক্রুর হেসে বললেন, "বটে?" তারপর সামনে ঝুঁকে পড়ে বললেন, "আপনি কি জানেন, গুমনের বুকে যে কুঠারটা বিঁধে ছিলো, সেটার হাতলে কার হাতের ছাপ পাওয়া গেছে?"
হারাধনের শরীর শক্ত হয়ে এলো। সে ফিসফিস করে বললো, "কার?"
গোয়েন্দা ঝাকানাকা ক্রুর হাসি মুখে রেখেই বললেন, "দুই সেট হাতের ছাপ পাওয়া গেছে মিস্টার হারাধন গোধুলি। তার মধ্যে এক সেট গুমনের। অন্য সেট কার, সেটা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।"
হারাধনের গলা কেঁপে ওঠে, "কী বলছেন আপনি?"
ঝাকানাকা বললেন, "বলছি যে গুমনের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়। কেউ একজন তার বুকে কুঠারের কোপ মারে। তার মৃত্যু হয়। গুমন খুন হয়েছে!"
হারাধন একটা চেয়ারে বসে পড়ে।
গোয়েন্দা ঝাকানাকা বললেন, "বাবুলের হোটেলে গত পঁচিশ বছরে কেউ ভাত খেয়ে ফুড পয়জনিঙে আক্রান্ত হয়নি। ঙুমন হয়েছে। কারণ, "চুরুটের ধোঁয়া ছাড়েন তিনি, "কেউ একজন শক্তিশালী বিষ মিশিয়ে দিয়েছিলো ঙুমনের ভাতের থালায়!"
হারাধন বুক চেপে ধরে।
ঝাকানাকা বলে যান, "চুমন ভালো সাঁতারু ছিলো। আমি তার কলেজের প্রিনসিপালের সাথে কথা বলেছি। চুমন কলেজের রানার আপ সাঁতারু ছিলো। কিন্তু সে মারা গেলো ডুবে। কীভাবে? ... সুরতহাল রিপোর্টে তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কেউ তাকে মাথায় আঘাত করে পানিতে ফেলে দিয়েছে।"
হারাধন পানি খায় ঢকঢক করে।
ঝাকানাকা বলেন, "জুমন তো ছেলেবেলা থেকেই গাছে চড়ছে, হঠাৎ সে গাছ থেকে পড়বে কেন? গাছ থেকে পড়ে হাড়গোড় ভেঙে মারা গেলো জুমন, পুলিশ কিন্তু ঠিকই তার মাথার তালুতে আলুর সাইজের একটা আঁব খুঁজে পেলো! জুমনকে কে বা কাহারা মাথায় আঘাত করে গাছ থেকে ফেলে দিয়েছে!"
হারাধন চোখের পানি মোছে।
ঝাকানাকা বলেন, "ঝুমন কেন বাঘের পেটে গেলো? জঙ্গলে তো তারা যায় না? বনের ধারে কেন গেলো ঝুমন? এমন কি হতে পারে না, কেউ একজন জেনে শুনে তাকে বাঘের মুখে পাঠিয়েছে?"
হারাধন মাটিতে গড়াগড়ি খায় আর কাঁদে।
ঝাকানাকা বলেন, "টুমনের নাচের রিহার্সাল চলছিলো। পিছলা খেয়ে পড়ে সে মারাত্মক আহত হয়। কিন্তু সে কেন ওভাবে আছাড় খাবে? রিহার্সাল রুমের মেঝেতে তেল পাওয়া গেছে। কে বা কাহারা তেল ঢেলে রেখেছিলো তার রিহার্সালের ফ্লোরে।"
হারাধন আবার উঠে বসে চেয়ারে।
ঝাকানাকা বলেই চলেন, "ডুমন মরলো রুই মাছের টান খেয়ে? কিন্তু আপনার পুকুরে তো রুই মাছ নেই! কয়েকটা তেলাপিয়া আছে শুধু। আর রুই মাছের টানে ডুমন পানিতে পড়লেও তো উঠে আসতে সমস্যা হবার কথা নয়, কারণ তার কাছেই যে তার ভাই চুমন হেরে গিয়ে রানার আপ হয়েছিলো! চ্যাম্পিয়ান তো সে-ই ছিলো!"
হারাধন হাউ হাউ করে কেঁদে ওঠে ছেলের জন্য।
ঝাকানাকা ঝুঁকে পড়ে বললেন, "নুমন মরলো সাপের কামড় খেয়ে। এই এলাকায় সাপখোপের উপদ্রব নেই বলেই জানিয়েছে পাড়াপড়শিরা। তবে কি কেউ এনে সাপ ছেড়ে দিয়েছিলো?"
হারাধন কাঁদতে কাঁদতে বলে, "আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না! আমাকে সব খুলে বলুন!"
ঝাকানাকা চুরুটে টান দিয়ে বলেন, "আপনার বড় ছেলে খুমনের কোনো খোঁজ পেলেন?"
হারাধন চোখ মোছে, বলে, "না! কিন্তু ... হঠাৎ তার কথা কেন?"
ঝাকানাকা বললেন, "এমন কি হতে পারে, যে এসব মৃত্যুর পেছনে খুমনের হাত আছে?"
হারাধন হঠাৎ সটান উঠে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দেয়, "তবে রে খুমন, (ছাপার অযোগ্য)! তোকে যদি বটি দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো না করি ...!"
ঝাকানাকা এবার বলেন, "বসুন জনাব হারাধন গোধুলি। এত উত্তেজিত হলে কি চলে? তা, এমন কি হতে পারে না, যে খুমন এসে গুমনকে কুড়ালের কোপ মেরে, ঙুমনের ভাতে বিষ মিশিয়ে, চুমনকে মাথায় বাড়ি মেরে পুকুরে ফেলে, জুমনকে গাছ থেকে মাথায় ঘা মেরে ফেলে দিয়ে, ঝুমনকে বাঘের মুখে পাঠিয়ে, টুমনের নাচের ফ্লোরে তেল ঢেলে, ডুমনকে পুকুরের নিচ থেকে সুতলি ধরে টান দিয়ে টেনে নিয়ে চুবিয়ে আর নুমনকে সাপ ছেড়ে দিয়ে খুন করেছে? পুমনকে হিসেবে ধরলাম না, সে ছোটো মানুষ।"
হারাধন গোধুলির চোখ টকটকে লাল হয়ে ওঠে। সে ফিসফিস করে বলে, "কোথায় সেই পাপিষ্ঠ গোয়েন্দা সাহেব? আমি তাকে গুলি করে মারবো!"
ঝাকানাকা হঠাৎ যেন কষে চাবুক মারেন হারাধনের মুখে। "মেসার্স গুলবাহার এন্টারপ্রাইজে আপনার আনাগোনা কেমন জনাব হারাধন?"
হারাধন চমকে ওঠে। "ক্কেন?"
ঝাকানাকা বলেন, "আজ থেকে আট মাস আগে, আপনার বড় ছেলে খুমন নিখোঁজ হবার আগের দিন আপনি মেসার্স গুলবাহার এন্টারপ্রাইজ থেকে দশটি বাঁধানো ছবি সংগ্রহ করেছিলেন! করেননি?"
হারাধন থতমত খেয়ে বলে, "হ্যাঁ ... মানে ... করেছিলাম তো!"
ঝাকানাকা বলেন, "একসাথে দশ ছেলের ছবি বাঁধাই করে এনেছিলেন কেন জনাব হারাধন গোধুলি?"
হারাধন রুমাল বার করে কাঁপা হাতে মুখ মোছে। "না ... মানে ... ভাবলাম, একসাথে সবার ছবি টাঙাই ...!"
ঝাকানাকা হাসেন। ক্রুর হাসি। "না। এক সাথে নয়, এক এক করে টাঙানোর জন্য! কারণ আপনি প্ল্যান করেছিলেন, আপনার ছেলেদের এক এক করে খুন করবেন আর দেয়ালে ছবি টাঙাবেন!"
হারাধন ঢোঁক গেলে।
ঝাকানাকা বলেন, "গুমনকে কুড়ালের কোপ আপনিই মেরেছিলেন। আপনার বাসায় আপনার ব্যবহৃত রাইফেল থেকে হাতের ছাপ সংগ্রহ করেছেন দারোগা কিংকু চৌধারি, সেটা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে কুড়ালে পাওয়া হাতের ছাপের সাথে! খুব কাঁচা হাতের কাজ জনাব হারাধন। চুপি চুপি গিয়ে যে ছেলেটাকে একলা পেয়েছেন, হাত থেকে কুড়াল টেনে নিয়ে কোপ বসিয়ে দিয়েছিলেন! ভেবেছিলেন কে সন্দেহ করবে আপনাকে!"
হারাধনের হাত কাঁপে।
ঝাকানাকা বলেন, "ঙুমনের ভাতের পাতে বিষ মেশাতেও সমস্যা হয়নি আপনার। সেদিন হোটেলে আপনিও গিয়েছিলেন, তবে বাবুর্চিখানার দরজা দিয়ে। নয় প্লেট ভাতের অর্ডার যখন এলো, তখন তার একটি প্লেটে কায়দা করে মিশিয়ে দিলেন দারুণ এক বিষ! সব ক'টা প্লেটে দিলেন না সন্দেহ আর শোরগোলের ভয়ে!"
হারাধন পানি খায় জগ থেকে গ্লাসে ঢেলে।
ঝাকানাকা বলেন, "চুমনের মাথায় ডান্ডা দিয়ে বাড়ি মেরে তাকে পুকুরে ঠেলে দেন ঝোপের আড়াল থেকে!"
হারাধন নড়েচড়ে বসে।
ঝাকানাকা বলেন, "আপনার রাইফেলে রাবার বুলেট পুরে গুলি করেন জুমনের মাথায়। সে অজ্ঞান হয়ে গাছ থেকে পড়ে মরে! মেসার্স ছালছাবিল এন্টারপ্রাইজ থেকে কেনা আপনার এক বাক্স রাবার বুলেটের রসিদের কপি দেখতে চান?" একটা কাগজ বার করে দেখান তিনি। তাতে লেখা, মেসার্স ছালছাবিল এনটারপ্রাইয, এখানে সকল ক্যালিবারের রাবারের গুলি বিক্রয় করা হয়।
হারাধন কিছু বলে না।
ঝাকানাকা বলেন, "ভোরবেলা জঙ্গল থেকে জামরুল পেড়ে আনতে পাঠান ঝুমনকে! সে বাঘের মুখে পড়ে মরে!"
হারাধন চুপ।
ঝাকানাকা বলে চলেন, "টুমনের নাচের রিহার্সাল রুমে অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে তেল ঢেলে আসেন। তেলের শিশিটা ফেলে আসেন তার কলেজের পাশের ডাস্টবিনে। জ্বি, উদ্ধার করা হয়েছে সেটা, হাতের ছাপও মিলেছে!"
হারাধন মাথা নিচু করে সব কথা শোনে।
ঝাকানাকা বলেন, "ডুমনকে মোটেও টেনে পুকুরে নেয়নি কেউ। সেই পুরানো কৌশল, রাবার বুলেট। নুমন আর পুমন ভেবেছে মাছের টানে ডুমন গিয়ে পুকুরে পড়েছে, কিন্তু আসলে সে অজ্ঞান হয়ে হাবড়ে পড়েছে পুকুরের জলে। তার মাথার পেছনেও আঁব খুঁজে পেয়েছে পুলিশের ডাক্তার!"
হারাধন নিশ্চুপ হয়ে থাকে।
ঝাকানাকা বলেন, "নুমনকে সাপে কামড়েছে বটে, কিন্তু সাপটা ফট করে কোত্থেকে এলো, আর কোথায়ই বা চলে গেলো? সাপ নিয়ে আপনার কোনো টেনশন দেখা যায়নি কেন? কারণ আপনি নিজে সাপটা একবেলার জন্যে ভাড়া করে এনেছিলেন মেসার্স নাগিনা এনটারপ্রাইজ থেকে! এই যে তার রিসিট!" একটা কাগজ এগিয়ে দেন তিনি, তাতে লেখা, মেসার্স নাগিনা এন্টারপ্রাইজ, এখানে সুলভ মূল্যে বিষাক্ত সাপ ভাড়া দেয়া হয়, বিফলে মূল্য ফেরত।
হারাধন ধরা গলায় বলে, "কিন্তু পুমন? আমার আদরের ছেলে ...?"
ঝাকানাকা গর্জে ওঠেন, "খবরদার ন্যাকামো করবেন না! সেদিন পুমন ভোরে উঠে আপনাকে তার বাঁধাই করা ছবি ঝাড়পোঁছ করতে দেখেই বুঝে ফেলে, কী ঘটেছে আর কী ঘটতে যাচ্ছে। তাই সে বনবাসী হয়! পথে এস আই রজ্জব আলি তাকে দেখে বাসায় নিয়ে যায়, লুকিয়ে রাখে!"
হারাধন ভেঙে পড়ে। মুখ ঢেকে হু হু করে কাঁদে।
ঝাকানাকার মুখটা নরম হয়ে আসে। তিনি বলেন, "কেউ এভাবে নিজের সন্তানদের হত্যা করতে পারে?"
হারাধন মাথা নাড়ে। পারে না।
কিংকু চৌধারি এবার মুখ খোলেন। "কিন্তু স্যার, আপনিই তো বললেন, যে মিস্টার হারাধন গোধুলিই সব মার্ডার করেছে নিজ হাতে!"
ঝাকানাকা মাথা নাড়েন। "হ্যাঁ, সেটাও সত্যি!"
কিংকু চৌধারি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলে, "তাহলে?"
ঝাকানাকা বলেন, "দুটোই সত্যি। কেউ এভাবে নিজের সন্তানদের হত্যা করতে পারে না। আবার হারাধন গোধুলিই এই আটটি খুন করেছেন। তিনি একজন সিরিয়াল কিলার। তাঁকে আশকারা দিলে তিনি একজন প্যারালেল কিলারের পরিণত হতে পারেন। হ্যান্ডকাফ পরান!"
কিংকু চৌধারি বলেন, "কিন্তু ...!"
ঝাকানাকা বলেন, "কিন্তুর উত্তর হচ্ছে, এরা কেউ জনাব হারাধন গোধুলির সন্তান নয়!"
কিংকু চৌধারি চমকে ওঠেন।
হারাধন গোধুলির মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়।
ঝাকানাকা বলেন, "এরা জনাব হারাধনের এককালের প্রতিবেশী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু জনাব খাড়াধন জলদস্যুর সন্তান!"
কিংকু চৌধারি আবারও চমকে ওঠেন।
হারাধন অস্ফূটে বলেন, "কিন্তু ... আপনি কীভাবে জানলেন?"
ঝাকানাকা বললেন, "আপনার ঘরে প্রথম যখন গোপনে ঢুকি, তখন আপনার দেয়ালে টাঙানো এই মাসুম বাচ্চাগুলোর ছবি দেখেই যা বোঝার বুঝে ফেলি আমি। আপনাকে দূর থেকে বাইনোক্যুলার দিয়ে দেখেছি, দিব্যি ফর্সা একটা লোক আপনি। আপনার স্ত্রীও রীতিমতো দুধে আলতা গায়ের রং। আর এই ছোকরাগুলো সব কেলেকিষ্টি! ব্যস, দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়ে ফেললাম। খোঁজ নিলাম আপনি কবে কোথায় কাদের সাথে ছিলেন। এরপর একটু টোকা দিতেই ছবি বেরিয়ে পড়লো। পঞ্চাশ জন লোকের মধ্যে থেকে এই ছেলের বাবাকে খুঁজে পেতে কোনো সমস্যাই হয়নি আমার। ওরকম কেলেমানিক কি আর গণ্ডায় গণ্ডায় থাকে?"
একটা ছবি বাড়িয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হারাধন গোধুলি আর এক লোক, যমদূতের মতো কালো তার চেহারা। ছবির ওপর সীল মারা, মেসার্স ফ্লিকার ডট কম। ছবির উল্টোপিঠে লেখা, হারাধন গোধুলি ও খাড়াধন জলদস্যু।
হারাধন মুখ ঢাকে।
কিংকু চৌধারি বলেন, "কিন্তু কেন ... মানে কীভাবে ...?"
ঝাকানাকা বললেন, "আপনার স্ত্রীকে আঘাত দিতে চেয়েছিলেন তো? দেয়ালে দশটি মৃত ছেলের ছবি টাঙিয়ে তাকে সর্বক্ষণ যন্ত্রণা দিতে চেয়েছিলেন?"
হারাধন মাথা নাড়ে।
ঝাকানাকা বললেন, "পারলেন না শেষ পর্যন্ত। এখন কী সাজা হয় কে জানে? মনে হয় ফাঁসি হবে। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ডেঁপোগুলো এসে দিগদারি করলে হয়তো মৃত্যুদণ্ড মকুব হোলেও হোতে পারে। কিংবা অপমানস রায়চৌধুরী আর তার সাঙ্গপাঙ্গকে পয়সা খিলিয়ে দেখুন, একটা হেজিমোনি তৈরি করে আপনাকে জানে বাঁচিয়ে দিতে পারেন কি না তেনারা!"
কিংকু চৌধারি বললেন, "কিন্তু স্যার ... খুমনের কী হলো?"
ঝাকানাকা বললেন, "শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বদমাশ ছোকরাটা এক সুন্দরী মেয়ের হাত ধরে ভেগেছে। বাপের মতোই লম্পট। টাকাপয়সা শেষ হয়ে এলেই সুড়সুড় করে ঘরে ফিরবে।"
হারাধন ব্যাকুল গলায় বললেন, "কিন্তু এই গল্পে বদরু খাঁ নেই কেন? ঝাকানাকার গল্প বদরু খাঁকে ছাড়াই শেষ হবে?"
ঝাকানাকা বললেন, "আই অ্যাম সরি। দ্য স্টোরি জাস্ট পাসড অ্যাওয়ে!
.
.
.
গোয়েন্দা ঝাকানাকা! | Promote Your Page Too
মন্তব্য
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা!
(হাসতেই আছি...)
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ওরে আমারে কেউ একটু ধর...হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম...মরে গেলামরে বাপধন...
বেশ বেশ।
অপমানস রায়চৌধুরী আর তার সাঙ্গপাঙ্গকে দিয়ে হেজিমোনি তৈরি করার একটা সুন্দর কর্পোরেট নাম আছে... মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট...।
অপমানস আবার ঠিক মিডিয়ার লুকও নহেন। মিডিয়াবাজির মতো নিম্নবর্গীয়পনায় তিনি নাই। তবে কবি শাহাবাগ চচ্চড়িকে ইদানীং নাটক আর টক শোতে দেখা যায় বলে ইন্টারপোল জানিয়েছে ।
হাস্তে হাস্তে গড়াগড়ি খাইতেছি!!
হিমু ভাই গোয়েন্দা ঝাকানাকার একটা পুস্তক সংকলনের দাবী জানাই!!
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
হুঁ, এই বছরই হয়তো বের হতো, কিন্তু মনমতো প্রকাশক পাওয়া যায় নাই। ভবিষ্যতে কোনো প্রকাশক আমার শর্তগুলোতে রাজি হলে হয়তো হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যে রহস্যগল্পসংকলন ... ।
বাস্তবের কোন ব্যক্তি বা পক্ষের সাথে কোন মিল ছাগতাল বলে ধরে নিতে হবে - ডিসক্লেইমার ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অসাধারণ!!! এই গল্পটা বাংলা সাহিত্যে স্থান পাওয়ার মত লেখা হয়েছে! এইরকম রম্য গোয়েন্দা টাইপ লেখা খুব কমই পড়েছি বলে মনে হয়। অদ্ভুত অসাধারণ! আপনাকে স্যালুট!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
খুব খ্রাপ।
"মর্সিয়া" মানে কী? কোন ভাষা?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কান্নাকাটি। মনে হয় ফারসি। নিশ্চিত না।
হাহাহা... বরাবরের মত...
@হিমু ভাই বই চাই বই চাই
বোহেমিয়ান
হাসতে হাসতে...
এস আই রজ্জব জিন্দাবাদ।
গল্পটা অফিসে পড়ে অনেক হেসেছি, কিন্তু, কেমন জানি লাগলো শেষে, ঠিক জুত হইলো না। ১০-১০-১০ করে এগিয়েছে তো, ঠিক ফ্লুইড লাগে নাই।
এই আর কি। আসলে আপনাকে সমালোচনা করাটা একটা বাজে ব্যাপার। আপনাকে যখন চার দেই (এইবার দেই নাই), তখন খুবই বাজে লাগে। কিন্তু আপনাকে তো দেই আপনার ক্যাপাসিটি ধইরা - সুতরাং ওইভাবেই ফিডব্যাকটা নিয়েন।
(বাই দ্য ওয়ে, ফিডব্যাকের এই সিস্টেমটা আপনার লেখা থেকেই নেয়া, ওই যে মন্তব্য নিয়া একটা লেখা দিসিলেন।)
লগাইতে বাধ্য করলেন বস...
ঝাকানাকা রক্স, হারাধন - খাড়াধন আরো বেশি রক্স...
_________________________________________
সেরিওজা
এখানে বাবুলের হোটেল হবে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
শুধরে দেই ...
জলদস্যুর ক্যারেক্টারেতো প্রবলেম আসে! হারাধনের রাগ হইতেই পারে।
হারাধন গোধুলির মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করতেসি! মনে হয় জবাব কোন পোস্টের মাধ্যমেই আসবে।
---- মনজুর এলাহী ----
ওরে ......
খুমন রক্স।। হা.গো রক্স।।
আচ্ছা, খুমনের আব্বু কে?? খাড়াধন?? তাইলে ঠিকাছে,
***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
১৯৯৫ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বাংলামটর মোড়ে থাকতাম, আর প্রাত্যহিক সকালে এই নাটক দিয়ে দিনের শুরু হত, কলেজে রিক্সা করে যাওয়া যেত না, প্রথমে বেবি ট্যাক্সি, পরে সিএঞ্জি, মেজাজটাই খাট্টা হয়ে যেত প্রতিদিন সকালে এই কাজটা করতে গিয়ে। মিটার আসার পরে ভেবেছিলাম এই নাটক আর হবে না, কিন্তু দেখা গেল 'ভাড়া কম' বলে নতুন নাটকের শুরু হল।
হাহাহা, ঢাকা-গাজিপুর রুটের সকল বাসের কথা মনে করায় দিলেন, আবাবিল, সালসাবিল ... ... ...
এই জায়গায় এসে আর পারি নাই, চেয়ার থেকে পড়ে যেতে নিয়েছিলাম, এহেন পাঞ্চলাইন আসে কেমনে আপনার মাথায়???
এমন হাসির লেখা পড়িনাই বেশ অনেকদিন, সম্ভবত আরেফীন ভাইয়ের লেখাটার পরে এমন ফাটাফাটি লেখা আসে নাই। পেট ব্যাথা হয়ে গেছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হাসতে হাসতে শেষ।
বেশ ভাল লেগেছে.....
তবে.... আমার কাছে ঝাকানাকার আগের গল্পগুলো আরো বেশী ভাল লেগেছিলো।
আমি শুধু আমার কথাই বললাম....সবাই হয়তো আমার সাথে একমত হবেন না..
হাসলাম অনেক্ষণ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এখানে এসে হাসি আর থামতেছে না!!!!! হা হা হা হা.....................
জট্টিল!!
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দারুণ দারুণ
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধূসর গোধুলি লোকটা চূড়ান্ত ভদ্রলোক দেখেই উনার ক্যারেক্টার নিয়ে ছদর বদর কর্তে পারলেন। অন্য কেউ হইলো ঠাডা পড়তো।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আহ কীসের মধ্যে কী? ধূসর আবার আইলো কৈত্থিকা? কী সব ছাগতাল ...
অসাধারণ!
ধুগো কই?
আমার হাসি আসছেনা; ভালো লাগছে হিমুর লেখার উন্নতি দেখে। এই সিরিজের লেখাগুলো শুধু ব্লগেই নয়, বই হিসেবেও প্রকাশ করা দরকার, তবে আরো কিছুদিন পরে। আমার বিশ্বাস আপনি অবশ্যই অবশ্যই অনেক খ্যাতি অর্জন করবেন, বড় লেখক হবেন। এটা ভেবেই বেশী ভাল্লাগছে।
- শালা!
এই বছরেই তো বিয়া করবি, তাই না? এই গল্পের হাতেকলমে কী ঘটে ঐটা তদন্তে ঝাকানাকারে তৈয়ার রাখ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রাক্করিস্না রে হারু ... শুধু বিয়ের পর খুব খিয়াল কৈরা চলিস, তাহলে হয়তো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দশ থেকে কমিয়ে ধর পাঁচে নামাতে পারবি
- রাগ করি নাইরে খাড়ু! খুশিতে বগল বাজাইতেয়াছি।
আমার সন্দো হৈতাছে, তুই মহাচিন্তিত অবস্থায় সাড়ে তিন রজনী নির্ঘুম কাটাইয়া শেষে এই গল্পের মাধ্যমে একটা শান্তি খোঁজার (বৃথা) চেষ্টা করলি!
এবং এজ ইউজুয়াল, তোর সেই আশা পূরণ হবার নয়রে কালিয়া। কারণটা তুই জানোস, আবারও খুইলা কই।
I. বিবাহ করিতে হইলে একখানা বালিকার দরকার (এখনও পর্যন্ত কোনো বালক বিবাহ করার পর্যায়ে উন্নীত হই নাই যেহেতু)। আর এইটা তো দিবালোকের মতো সত্যি যে বিবাহযোগ্যা বালিকারা হারুকে ভালু পায় না, কেবল খাড়ুকেই পায়!
II. আগের দুই-দুইটা এনগেজমেন্ট ভাইঙা গেলেও (স্যরি দোস্ত, প্রকাশ্যে এইভাবে প্রকাশ করে দেয়াতে) এইবার যে তুই আমার পানিপড়া খাইয়া, আংটি সেই পানিতে ভিজাইয়া দেশে পাঠাইলি, সেই আর কেউ না জানুক- তুই তো জানোস। আর সেই পড়াপানির জোরেই এইবার জোরেশোরে তোর বিয়ারবাদ্যি বাজতাছে আকাশবাতাশ প্রকম্পিত কইরা।
III. তুই টেনশনে পইড়া গেছোস, যার পানিপড়ায় এতো কুদরত। তার কুদরতি না জানি তোর পরিবারের উপর আইসা পড়ে!
IV. ফলাফল— এই যে এই তেহক্কিকাত (ভবিষ্য) কাহানী (মাগার কাউন্টার)।
তয়, খুব বেশি চিন্তাইস না খাড়ু দোস্ত। আমি পুরা দশটা স্লটই নিজের নামে বুকিং দিমু না। তোর নামেও দুই-তিনটা ছাইড়া দিমু নি। এখন শান্তিতে ইট্টু ঘুমা। বিয়ার পরে তো আর ঘুমাইতে পারবি না। খোয়াবে খালি আমারে দেখবি দাঁত কেলাইতে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হারা ধন নামটাকেতো নিষ্পাপই ভেবেছিলাম, কিন্তু খাড়া ধন এর পরে সে আশাও বাদ।
-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
গল্পে দিক্কার। আমার ভালোমানুষ হারাধন ভায়রাকে সুযোগ পেলে সবাই ** মারে।
জট্টিল!
স্বপ্নে আর কতকাল পোলাও খাবেন?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
গল্পটার মধ্যে ব্যাপক প্যারাডক্স আছে।
২৯ নম্বর কমেন্টেও রিফিউটেশন দেখলাম না
নামরহস্য সমাধান করে হাহাপগে...
আমার পরিচিত কোন জলদস্যু অথবা তার বন্ধু নিশ্চয়ই এই গল্পের চরিত্র নয়! তাই সেরকম মনে হলেও তা আমি কাকতালীয় মিল বলেই ধরে নিলাম।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা! দুর্দান্ত!!!
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ভাই- আপনে মানুষ না- পুরা হিমু একটা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
খুবই চমৎকার!!
তীব্র প্রতিবাদ জানাইলাম।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
তুমি জিনিয়াস হিমু, একদম ফাটিয়ে দিলা!!!!
একটু দেরীতে পড়া হল, তবে আনন্দের ঘাটতি হল না তাতে....
বেচারা ইয়ের জন্য খারাপই লাগছে
- আপনেরে পাইয়া লই খালি...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দারুণ। দুজন পরিচিত ব্লগারের সাথে যে অনিচ্ছাকৃত আর ছাগতালীয় মিল আছে, সেটা না জানা থাকলে স্বতন্ত্র গল্প হিসেবে এটা কেমন লাগলো কারও কাছ থেকে জানতে পারলে ভালো হতো।
আমি প্রথমে ছাগতালীয় মিলের ব্যাপারটা না বুঝেই পড়া শেষ করেছি, পরে কমেন্টগুলো পড়ে আরেকচোট হেসেছি।
আমি হয়ত শিল্পগুণ বিচার করতে পারবনা, তবে গল্পটা অত্যন্ত এন্টারটেইনিং (আনন্দদায়ক?) হয়েছে। তথা-কথিত "পপ-রেফারেন্স" ব্যবহৃত হয়েছে বেশ কয়েক জায়গায়, মজা পেয়েছি। আর ছেলেদের নামে স্বরবর্ণের ক্রমিক ব্যবহারও মজার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
স্যরি, লেখার সাইজে ভয় পাইছি।
তবে, ব'লে যাই একটা দুঃখের কথা- আপনার বুকে book রেখে-তে কমেন্ট করার চেষ্টা করছিলাম। জর্মন আইকন টিপতে টিপতে আঙুল ব্যথা ক'রেও পোস্ট হয়নাই কমেন্ট।
ভারে-ধারে কেটে খুন হয়ে গ্যাছি ওই লেখায়। তাই মরণের সাধে বইও সংগ্রহ ক'রে পড়বো সেই ছুরিরও নিচে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
থ্যাঙ্কু!
'খাড়াধন জলদস্যু'???
=)) =))
ওহহো...হারাধন 'গোধুলী' আর খাড়াধন 'জলদস্যু'...এতক্ষণে মাথায় ঢুকলো...দুঃখিত, প্রথমে ধরতে পারিনি।
(৩১৮০)
এই বনদুক দি্যেই হারাকে শেষ করা হোক
নতুন মন্তব্য করুন