সরিষার তেল মেখে ভূতে খায় মুড়ি

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ১৩/০২/২০১০ - ১২:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলাফল? ১৯৭২ এর দালাল আইনকে বাতিল করে জারি করা সামরিক ফরমান এখন অবৈধ। দালাল আইন এখন পুনরায় সক্রিয়। যেমন সক্রিয় ১৯৭৩ এর আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহ (ট্রাইবুন্যাল) আইন। শক্তিশালী এই দু'টি আইনের আওতায় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধসমূহের বিচার সরকারের পদক্ষেপগ্রহণের অপেক্ষায় ক্যালেন্ডারে চোখ রেখে বসে আছে।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তারা এবার করবে। ক্ষমতা গ্রহণের দিন থেকেই একদিক দিয়ে যেমন সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এই ব্যাপারটি নিয়ে ঢিলামি লক্ষ করা গেছে [শেখ হাসিনা বলেছিলেন, জনগণ ভোট দিয়েই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে ফেলেছে], অপরদিকে ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মতো নির্মম ঘটনা সশস্ত্রবাহিনীতে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। সশস্ত্রবাহিনীকে সংযত করার দুরূহ কাজটি করতে গিয়ে সরকারের জনবল ও সময় ব্যয় হয়েছে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েক হাজার বিডিআর জওয়ান ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে। সরকারের টপ প্রায়োরিটি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর করাতেই ছিলো [শেখ হাসিনার কথাবার্তা শুনে মনে হয় দেশে এই একটি মাত্র সমস্যাই রয়েছে এবং এই বিচারকার্য সমাধা করতে পারলেই দেশটা ফুলেফলে ভরে যাবে]। ফলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারটি সরকারের টু-ডু লিস্টের কোনো একটি দুর্গম অবস্থানে পড়ে পড়ে গায়ে ফাঙ্গাস চড়াচ্ছে।

তবে আমার মনোযোগ সরিষা আর ভূতের মধ্যে সম্পর্কের টেনশনটি নিয়ে। কিন্তু শিরোনামে যা বলেছি, সেটিই আমি বিশ্বাস করি, ভূত সরিষা পিষে তেল বার করে তা দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে খাচ্ছে।

পত্রিকা পড়ে আমরা জানতে পাই, খোদ রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এহতেশামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা মামলায় জড়িত জঙ্গিদের সাথে সংশ্লিষ্টতার। পত্রিকার সাথে যোগাযোগে তিনি সাড়া দেননি। ব্যাপারটি পত্রিকায় প্রকাশিত হবার পর রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দায়িত্ব দেয়া হয় রংপুর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং হিসেবে।

পিলখানা এলাকার সাংসদ ফজলে নূর তাপসের সাথে বিডিয়ার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনার আগে সাক্ষাত করেছিলো। আবার তাপস বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইনজীবী হিসেবেও সংশ্লিষ্ট। আরো কোনো কারণ আছে কি না আমরা জানি না, কিন্তু তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আধুনিক প্রযুক্তির দূরনিয়ন্ত্রিত বোমা বিস্ফোরিত হয়, যার সাথে সেনাবাহিনীর একজন মেজর ও চারজন ক্যাপ্টেন জড়িত হিসেবে গোয়েন্দা তদন্তে ধরা পড়েন। তারা সেনাবাহিনীর নিজস্ব তদন্তাধীন আছেন, একজন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

সেনাবাহিনীতে যা কিছু ঘটে, সবই খুব গোপন এবং স্পর্শকাতর ব্যাপার, কিন্তু যতদূর বুঝি, ওপরের দুটো ঘটনাই ভূতের ঢেঁকিতে সরিষা পেষার মতো।

সেনাবাহিনীতে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন একটি অংশ থাকা অস্বাভাবিক নয়, যেখানে ১৯৭৫ সালের পর থেকে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলো, এবং এই পনেরো বছরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ক্ষমতায় টিকে থাকার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশের সেনাসংস্কৃতি অগণতান্ত্রিক দেশের সেনাসংস্কৃতির মতো নয়, পার্থক্য বুঝতে হলে ভারত আর পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে তুলনা করে দেখা যেতে পারে। আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি বছর কুড়ি, কিন্তু সেনা নেতৃত্বের বিপুল অংশই ৭৫ থেকে ৯০, এই পনেরো বছরের সেনাশাসনের সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হয়েছে, এবং এ সময় যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরপন্থীদের দলের হাইকম্যান্ড থেকে প্রবলভাবে উৎসাহিত করা হতো [এখনও হয়] সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য। এই অফিসাররা এখনও অনেকেই বাহিনীতে থাকাই স্বাভাবিক, এবং মেধায় কোনো অংশে কম নয় বলে বিভিন্ন কম্যান্ড পদে তাদের আসীন হওয়াটিও বিচিত্র কিছু নয়। গোলাম আযমের পুত্র ব্রিগেডিয়ার [বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত] আযমী একজন চৌকস অফিসার হিসেবেই বাহিনীতে পরিচিত ছিলো। কঠোর সেনা প্রশিক্ষণ ও শৃঙ্খলা এই ভিন্ন আদর্শবাদ তাদের মন ও আচরণ থেকে মুছে দিতে পেরেছে কি না তা বলা মুশকিল।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীতে নবতর সংযোজন র‌্যাব এবং দেশের অন্যতম বৃহৎ বাহিনী, পুলিশে গত জোট সরকারের আমলে প্রচুর নিয়োগ ও পদোন্নতি [এবং পদচ্যুতি] হয়েছে, এবং তাদের ওপর জোট-সরকারের জুনিয়র পার্টনার জামায়াতের কতটা প্রভাব, এ নিয়ে খতিয়ে দেখা অতি জরুরি। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের হামলায় ছাত্র নিহত হয়েছে পুলিশের চোখের সামনে, আহতদের অভিযোগ, পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকেছে। এ অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও এসেছে।

চট্টগ্রামে শিবিরের মেসে অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় খণ্ডিত ও দুর্বল অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। কৌঁসুলি এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অস্ত্র উদ্ধারের পর জামাতি আমীর নিজামী প্রকাশ্য জনসভায় হুমকি দিয়েছিলো, যে ঐ পুলিশি অভিযানে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের জীবন সুখের হবে না।

আবারও ভূতকে দেখি সরিষা পিষতে।

সরকারের আমলাতন্ত্রেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধাচারী একটি অংশের কথা পত্রিকায় পড়েছি। তাদের ধারণা, সরকার অনেকগুলি ফ্রন্টে বিরোধিতার মুখোমুখি, তাদের আর শত্রুবৃদ্ধি করা উচিত নয় [ছাগল কোথাকার]।

এবার আসি ক্ষমতাসীন দলের কপিরাইট করা নির্বুদ্ধিতা নিয়ে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের সমমনা ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগে শিবির ঢুকে পড়েছে। যদিও লীগ আর শিবিরের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক সরিষা আর ভূতের মধ্যে সম্পর্কের মতো নয়, কারণ অতীতে লীগকে বহুবার শিবিরবান্ধব ভূমিকায় দেখা গেছে [আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল আর ছাত্রফ্রন্টের ছেলেদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে দেখেছি শিবিরের বিরুদ্ধে, লীগ কী কী যেন উৎপাটন করতো বসে বসে]। একটা ছাত্র সংগঠন কতটুকু ছ্যাঁচড়া হলে সেখানে "অন্য দল" এর লোকজন কেন্দ্রীয় ও হল শাখার শীর্ষে আসীন হতে পারে, তার দারুণ উদাহরণ ছাত্র লীগ। এ প্রসঙ্গে শিবির সভাপতির বক্তব্য হচ্ছে, "সৈয়দ আশরাফের কথা শুনে আমরা হেসেছি। তিনি কী দল পরিচালনা করেন যে তাঁর দলে অন্য দল থেকে লোক ঢুকে?"

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনো এক বিচিত্র কারণে জামায়াতের কোনো সমস্যাই হয় না, বিচার হওয়া তো দূরের কথা, তারা আরো শক্তিশালী হয়। এর ফল হয়তো ভুগতে হয় একজন আবু বকর, একজন ফারুক, একজন প্রফেসর ইউনুস, একজন প্রফেসর তাহের, একজন গোপালকৃষ্ণ মুহুরী, একজন হুমায়ূন আজাদকে। কারণ আওয়ামী লীগের আছে এক বান্ডিল সাহারা খাতুন, যারা সংসদে ঘুমিয়ে পড়ে আর দুই কুকুরের লড়াইয়ে নিরীহ ছাত্রের নিহত হবার ঘটনাকে "বিচ্ছিন্ন" বলে উড়িয়ে দেয়।

কোনো ঘটনাই বিচ্ছিন্ন না। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী, ডান কানটায় কি এখন একটু একটু শুনতে পান? কোনো ঘটনাই বিচ্ছিন্ন না।


মন্তব্য

শাফক্বাত এর ছবি

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনো এক বিচিত্র কারণে জামায়াতের কোনো সমস্যাই হয় না, বিচার হওয়া তো দূরের কথা, তারা আরো শক্তিশালী হয়।

কি করে হবে? জামাত ব্যবসা করে ধর্মকে পুঁজি করে আর আম্লীগ করে "বঙ্গবন্ধুর ব্যানার" টাঙিয়ে। তাদের বেসিক ব্যবসার ধান্দা তো সেইম-সেইম।
খারাপ লাগে, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তার কন্যার ভাঁড়ামি দেখলে নিজেই সুইসাইড করতেন।
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

ফরিদ এর ছবি

কানটা বিচ্ছিন্ন হলে তবে সত্যিকারের বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যেত। ইচ্ছা থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। নাহলে ১২ হাজার টাকার ল্যাপটপ বানানোর সাথে সাথে সর্কার এই যন্ত্রের মদুদী চেকার ভার্সন বের করার প্রকল্প নিলেও অবাক হব না।

ডিজিটাল নিয়ে আমি হাসি তামাশা বন্ধ করে দিয়েছি। মোটামুটি নিশ্চিত এখনকার ধারা বজায় থাকলে ২০১৪ সালে সরকারের খলনলচের অনেকটাই স্বয়ংক্রিয় ও যান্ত্রিক হয়ে যাবে। এই ভেবে ভয়ে হাত পা... তখন না আরেক মাদাম এসে সবকিছু 'আগের মত' করার প্রক্রিয়া শুরু করে।

বাকি সবকিছু নিয়েই যেই সেই যেই সেই

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

সবাই নিজের ছালায় আম ভরে। লাভ নেই। আরেকটা বিপ্লব বা বিদ্রোহ দরকার। সকল জনগণের সম্মিলিত প্রয়াসে। এরা আগামী দশ বছরে-ও বিচার শেষ করবে কীনা সেটাতে সন্দেহ আছে; বেশি না- দশ মাসেই জনগণ কাজটা শেষ করে ফেলতে পারবে।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার মনে হচ্ছে এখন সব ঠিকমতোই এগুচ্ছে। তবে লাশের রাজনীতি শিবির এবং লীগ দুইই করছে। টিভির খবরে নাকি দেখিয়েছে রাজশাহীর ছেলেটাকে জামাত এবং লীগ উভয়েই তাদের কর্মী দাবী করেছে। এই ফাঁকে কালপ্রিটগুলো বেঁচে যায় কীনা সেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে।

আমাদের তো নিজের গায়ে বাড়ি না পড়লে সচেতনতা আসেনা। আ লীগ এবার দেখছি বেশ জোরেশোরে নড়েচড়ে বসেছে। কাজের কাজ করতে পারবে কিনা তা সময়ই বলবে।

হিমু এর ছবি

রাজশাহী আর চট্টগ্রামে নিহত দুইজনেরই পরিবার জানিয়েছে, তাদের সন্তান কোন দল করতো বা সমর্থন করতো।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হুমম, তাইতো পড়ছি

আমার মনে হয় ছাত্রলীগকে দিয়েই এদের মোকাবেলা করতে হবে। ছাত্রলীগকে দিয়ে টেন্ডারবাজী নয় সত্যিকারের ছাত্ররাজনীতি করাতে হবে। আর শিবিরের সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য প্রচলিত আইনই যথেষ্ট। রাজশাহীতে যে ঘটনা পুলিশের সামনে ঘটলো তাতে সরিষাতে শুদ্ধি অভিযান চালানোও জরুরি। সরকারকে আসলে ম্যাসিভ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। এ্যাডহক কোন কিছু দিয়ে সাময়িক উপশম হতে পারে, দীর্ঘমেয়াদে সুফল আনবেনা।

হিমু এর ছবি

আমার কেন যেন মনে হয় সরকার আর রাজনৈতিক দলের উচ্চ পর্যায়েও শিবির আছে।

তাজউদ্দীন আহমদসহ চার নেতার হত্যাকাণ্ডের পরপরই হয়তো আওয়ামীলীগে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ার মতো নেতৃত্ব শেষ হয়ে গেছে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মাঝে মাঝে মনে হয় আওয়ামী লীগ যুদ্ধপরাধী হত্যার বিচার না করলে আমরা দল বেঁধে তাদেরকে আর ভোট না দেয়ার ঘোষনা দেব। আবার মনে হয় তাতে আ-লীগের কিছুটা সমস্যা হলেও আমাদের কোন উপকার হবে না...

নিতান্ত নিরুপায় লাগে মাঝে মাঝে। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

বাউলিয়ানা এর ছবি

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনো এক বিচিত্র কারণে জামায়াতের কোনো সমস্যাই হয় না, বিচার হওয়া তো দূরের কথা, তারা আরো শক্তিশালী হয়।

একদম ঠিক কথা হিমু ভাই। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, ঢাকার বাইরে একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাতপন্থি শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় নিয়োগটা হয়েছে গত লীগ সরকারের আমলে। অদ্ভুত !

তাসনীম এর ছবি

আওয়ামী লীগের সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার মত সাহস বা ইচ্ছা আছে কিনা নিয়ে সেটা সন্দেহ আছে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রাফি এর ছবি

এই ঘটনা নিয়ে অনেকবার লিখতে চেয়েছি; কিন্তু লিখতে ভাল লাগে না। মনের ভেতর বিশ্বাস বা আস্থা না থাকলে কোন ঘটনার আলোকপাত করা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একে একে killing ground এ পরিণত হচ্ছে আর আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন, আইন শৃংখলা পরিস্থিতি আগের যে কোন সময়ের চেয়ে স্বাভাবিক।

শিবিরের বিরুদ্ধে আমার মন্তব্য অনেক সহৃদয় মানুষের কাছে বর্বরোচিত মনে হয়; আমি তাতে পেছপা হই না। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আমি বলেছিলাম সর্বশক্তি নিয়োগ করে চবি, রাবি আর শাবি থেকে শিবির উৎখাত করতে। সেসমস্ত জায়গায় একটা ব্যালান্স আনতে; তা না করে ছাত্রলীগ নিজেরা নিজেরা মারামারি শুরু করল। একের পর এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হল; মেধাবী ছাত্র মারা গেল বেশ কয়েকজন। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী করলেন?? তিনি ছাত্রলীগে তার পদ ত্যাগ করলেন। ব্যাপারটা এমন দাঁড়াল যে, তোমরা ইচ্ছেমত মারামারি, দলাদলি আর গোলাগুলি কর, হল দখল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভাংচুর কর, সমস্যা নেই। আমি সরে যাই; নাইলে লোকে বলবে এই মারামারি'তে আমিও আছি।

নিজের গা বাঁচিয়ে এভাবে চলে যাওয়াটা ছাড়া শেখ হাসিনা কিছুই করেন নি। এমন একজনকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়েছেন যার অযোগ্যতা ক্ষমতা গ্রহনের মাস দু'য়েকের মধ্যে পিলখানা'র ঘটনার সময়ই বোঝা গেছে। দলে দুঃসময়ে দলে সক্রিয় ছিলেন বলে তো সাহারা খাতুন জনগণের মাথা কিনে নেন নি। নিরাপত্তা না দিয়ে হত্যাকাণ্ডকে অহেতুক কথার মারপ্যাচ দিয়ে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন, সেইজন্য কোন মন্ত্রীকে আমরা বেতন দিয়ে রাখিনি, রাখতে চাই না।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার তো বহুদূরের ব্যাপার; নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কতটুকু আপোস করতে হয় এইটাই দেখার বিষয় এখন। আওয়ামী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ আওয়ামী সরকারের আমলে নিজেদের এলাকায় মাস্তানী করে বেড়ায়; অন্য এলাকায় মার খায়। আর অন্য সরকারের আমলে লেজ গুটিয়ে হল থেকে পালায়। ছাত্রশিবিরের এক অংশ হলে হলে সালামের বেসাতি করে বেড়ায়; ব্রেনওয়াশিংয়ের কাজে নিজেদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে; আর ছাত্রদল সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার কোন কাজে কত পার্সেন্টেজ পাওয়া যায় তা নিয়ে(ছাত্রলীগ আর ছাত্রশিবির এ থেকে মুক্ত তা বলছি না)। ছাত্রফ্রণ্ট আর ছাত্রঐক্য সারাক্ষণ কমরেড কমরেড করে চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে ফেলে; এমন ছাত্ররাজনীতির কোন প্রয়োজন দেখি না।

আমার এই দেশকে নিয়ে কীভাবে স্বপ্ন দেখব সেই ভাবনাটাও মনের মধ্যে ধরা দেয় না আজকাল।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন শিবির উৎখাতের। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও ঘোষণা দিলেন। দেখা যাক, ওঝা ভূত আর সর্ষেকে আলাদা করতে পারে কিনা এ যাত্রা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের কর্মকাণ্ডকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধ যেনো ফট করে আবার উঠে না যায়!

নিজামীর বক্তব্যের কারণেই তো তাকে সেদ্ধ ডিম থেরাপী দেয়া যায়। অন্য বিচার পরে।

স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী যেভাবে কাঁকই অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন, আশা করছি সেটা কেবল আই-ওয়াশের জন্য করছেন না। কাঁকই অভিযান চালান আর ট্রাক্টর অভিযান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু না করলে এই সব ধুনপুন দিয়ে পুনরায় ভোটের বাণিজ্যে সুবিধা করতে পারার কথা না। তাওয়া গরমের কালে ধরপাকর করে, রুটি সেঁকে সেটা খেয়ে তাওয়ায় পানি ঢেলে গামছায় মুখ পুছে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বসে থাকলে ভোটের সময় পাবলিক কফিনে গিয়ে একটা করে পেরেক ঠুঁকে আসবে আওয়ামী লীগের।

বাহাত্তরের সংবিধানের পুনরুজ্জীবনের ফলে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে যাবার কথা খুব সম্ভবত। বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতাকারী দলের রাজনীতি তো এমনিতেই নিষিদ্ধ থাকার কথা। সেই দল যদি ইসলামী মোড়কের আড়ালে লুকিয়ে থাকে তাহলে তাকে সেই মোড়ক থেকে বের করতে হলে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতিও নিষিদ্ধ করতে হবে। কোনো বিকল্প নেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শামীম এর ছবি

বরাহশিকার জারি থাকুক।

আমার মনে হয়:
বিভিন্ন রকম ঘটনা/দূর্ঘটনার বাহানায় এই সরকারের মেয়াদের শেষপ্রান্তে যুদ্ধপরাধী বিচার শুরু হয়ে থাকবে। আর ভোট চাইবে এই বলে যে ... আরেকবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভোট দেন ... এদের বিচার শেষ করে দেবো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

শাফক্বাত এর ছবি

আরে, এভাবে তো চিন্তা করিনি কখনও!! হতেও পারে...
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

ওডিন এর ছবি

কালকে থেকে তো ভালোই ধরপাকড় শুরু হইছে। দেখা যাক কি হয়।

আশা করি কিছু একটা হবে। আশা করি।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

Faiyaz Zamal এর ছবি

হিমু ভাই, আপনার পোস্ট এর বিষয়বস্তর সাথে একমত। তবে একটা জিনিষ মনে হ্য় ঠিক বলেননি।
"আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল আর ছাত্রফ্রন্টএর ছেলেদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে দেখেছি শিবিরের বিরুদ্ধে, লীগ কী কী যেন উৎপাটন করতো বসে বসে"

ছাত্রফ্রন্টএর ভুমিকা নিঃ্সন্দেহে বলিষ্ঠ, কিন্ত ছাত্রদ্লএর কি ভুমিকা ছিল শিবির বিরোধী আন্দেোলনে ? আপনার মনে আছে কিনা জানিনা, সনি মারা যাবার পর দলের জি এস হাসিবের পেছ্ন পেছ্ন শিবিরের জি এস পদপ্রারথি ( নাম মনে নেই) এক যোগে হামলা করল ছাত্রদের উপর। বরনং লী্গএর অনেকেই বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছে শিবির বিরোধী আন্দেোলনে। একটু ভেবে দেখুন, মনে পরবে।

হিমু এর ছবি

হ্যাঁ, মুকিকে বাঁচানোর জন্যে ছাত্রদলের পোলাপান তখন সম্ভবত পারলে পাকিস্তানী মিলিটারির সাথেও একসঙ্গে হামলা করতে পারতো। আমার এক সহপাঠীকে দেখেছিলাম রড হাতে মেয়েদের সেইরকম ধাওয়া দিতে।

ফাইয়াজ, তুমি চাইলে এই পর্বের ওপর লিখতে পারো। কিন্তু সনি মারা যাবার আগ পর্যন্ত ছাত্রলীগের কোনো সশব্দ শিবিরবিরোধী কার্যক্রম চোখে বা কানে পড়ে নাই। তখন সরকার মাত্র পাল্টেছে, লীগ ক্ষমতাচ্যুত, দল ক্ষমতায়। যতদিন লীগ ক্ষমতায় ছিলো, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের শহীদুল্লা অ্যান্ড কোং কোরবানির গরুর ওপর তোল্লা আদায় আর কালেভদ্রে পান্না কায়সারের পাশে দাঁড়িয়ে আলোকচিত্র খিচন ছাড়া আর কী করতো আমি জানি না, তবে তার সাথে শিবিরবিরোধের খুব একটা কার্যকরী সম্পর্ক ছিলো না এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। থাকলে দুই হাজার এক সালে ক্যাম্পাসে তিনশো ঊনিশ জন [মোটামুটি ১০%] চিহ্নিত শিবিরকর্মী কীভাবে থাকে?

ফাইন্যাল ইয়ারে আমি ক্যাম্পাসে খুব একটা থাকতাম না, তখন লীগ শিবিরকে কেমন কোঁৎকা দিসে কি দেয় নাই, জানা নাই আমার। ঐ এক বছরে লীগ যদি শিবিরকে এক্সট্রাঅর্ডিনারি কোনো কোঁৎকা দিয়ে থাকে, তো জানাইও আমাকে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

জি এস হাসিবের পেছ্ন পেছ্ন

আপনি এই তথ্য কোথায় পেলেন? আপনি নিজে কি ওই ঘটনার সাক্ষী যে জিএস হাসিব ছাত্রদের উপর হামলা করতে গিয়েছিলেন?
আমার মনে হয়, না জেনেশুনে কারো সম্পর্কে এরকম বাজে মন্তব্য করা উচিত নয়!

কাকুল কায়েশ

হিমু এর ছবি

তা জি এস হাসিব তখন কোথায় কী করছিলেন? ছাত্রদলের পোলাপান যখন আটদিন ধরে অনশনরত কতগুলি ছেলের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করলো পুলিশের সাথে, জি এস হাসিব কোথায় কী করছিলেন? একটু বলেন তো সবাইকে, শুনি!



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে এই ব্যাপারে তর্ক শুরু করাটা আমার উচিৎ হয় নাই!
কারো নাম ধরে এভাবে বলাটাকে আমার পছন্দ হয়নি, শুধু এটা বলতে গিয়ে খামোখা একটা তর্ককে উস্কে দিচ্ছিলাম আরেকটু হলেই! নিজের উপর বেশ রাগ হচ্ছে!

সুতরাং আমার অনুরোধ, আপনি আমার মন্তব্যটাকে কেটে দিন, যদি সম্ভব হয়!

কাকুল কায়েশ

Faiyaz Zamal এর ছবি

৮ দিন ধরে অনশনরতদের উপর ছাত্রদ্লএর হামলার (৮/৯/২০০২) শুরুর সম্য় টাতে আমি cafeteriar সামনে ছিলাম না, যখ্ন এলাম, তখ্ন দ্লএর অনেক কে দেখ্লেও হাসিব ভাই কে দেখিনি। কিন্তউ এর কয়েক্দিন আগে ( খুব সমভ্ব আগস্ট এর শেষএর দিকে ) আন্দো্লন্রত ছাত্রদের সাথে ছাত্রদ্ল এর ধাওয়া পালটা ধাওয়ার এক পযায়ে আমি নিজে হাসিব ভাইকে এবং শিবিরের নেতাদের একত্র হ্য়এ ধাওয়া দিতে দেখেছি।

@ হিমু ভাই,

লীগ ‍‌power এ থাকার সম্য় শিবিরের সাথে তেমন কিছু করেনি, তবে শিবিরের আস্ফাল্ন তেমন ছিল বলে মনে হ্য়না। ইউকসু নিবাচনের পর পর একটা শিবির বিরোধঈ মিছিল বের হ্য়, যাতে হাসিব ভাই সহ ছাত্রদ্লএর নেতারা ছিলেন। আবার ছাত্রলিগ ও ফ্রন্টএর নেতারাও ছিলেন। কিন্ত সনির হ্ত্যা ছাত্রদ্লকে কেন জানি শিবিরের দিকে ঠেলে দেয়। আর বুয়েটে ২০০- ৩০০ এর মত শিবিরের সমথ্ক ছিল, কর্মী ন্য়।

স্বপ্নহারা এর ছবি

ফাইয়াজ ভাই আপনার কথা যেমন আংশিক সত্যি তেমনি হিমু ভাইয়ের কথাও সত্যি! হ্যাঁ ইউকসু'র নির্বাচনের পর মিছিলে হাসিব ছিল কারণ তখন সেদিকে থাকা তার জন্যে দরকার ছিল। তার শিবির প্রেমের কথা পরে জানা যায়; মুকির সাথে জড়িত আরেকজন ক্যাডার ছিল নেসার যে সেদিন গোলাগুলির সময় ছিল; এবং নেসার ছিল হাসিবের ডান হাত। এটাও সত্যিযে, লীগ আমলেই শিবিরের গোপন বাড় বেড়েছে এবং লীগ তখন নিজেরা এত ব্যস্ত ছিল যে সেদিকে দেখার সময় মেলেনি! বামপন্থীরা প্রাণপণ চেষ্টা করেছে শিবির ঠেকানোর...

@ কাকুল কায়েশ, আর অনশনরত ছাত্রদের দেখভাল করার জন্য তখন আমি একা সেখানে ছিলাম, সবাই ছিল ঘেরাওতে। হাসিব, কামরুল, ফয়সাল, নেসার প্রমুখ একযোগে আমার সামনে ক্যাফেটেরিয়ায় প্রবেশ করে এবং প্রথম আঘাত হানে কামরুল ও ফয়সাল। হাসিব তাদের সাথেই ছিল এবং পেছন থেকে বলছিল "মার"...তবে সে কাউকে আঘাত করেনি এটাও সত্য! প্রথম আঘাত যায় সব বাদ্যযন্ত্র ও মাইকের উপর, এবং এরপরই সব ক্যাডার একযোগে সব অনশনরতদের উপর হামলা করে, শিরায় দেয়া স্যালাইন শিরা ছিড়ে বের করে আনে..।। "না জেনেশুনে কারো সম্পর্কে এরকম বাজে মন্তব্য করা উচিত নয়!"............
সনি হত্যা আন্দোলনে যে তিনজন সাধারণ ছাত্রের (রাজনৈতিক পক্ষ বা মতাদর্শবিহীন) নেতৃত্বে হয়, শুধু তারাই জানে কে আসলে কি করেছে...না জেনেশুনে অথবা যে কোন স্বার্থে এই ব্যাপারটা নিয়ে এখানে ত্যানা না প্যাঁচালেই ভাল করবেন...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অতিথি লেখক এর ছবি

এই স্পর্শকাতর বিষয়টা তোলার জন্য আমার নিজের কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল! এবং আমি আমার মন্তব্য উইথড্র করেছি।

জি.এম.তানিম এর ছবি

টিভিতে এ বি এম মূসার মন্তব্য... আমাদের দেশে কবে সেই মন্ত্রী হবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে...
----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

.......................

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।