দিবসটিবসের ব্যাপারে আমার উৎসাহ নাই। কিন্তু সেই আমিও এই প্রস্তাব দিচ্ছি।
যুদ্ধাপরাধের বিরোধিতার জন্যে, এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যে, এর পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর জন্যে দুনিয়ায় কোনো দিন ঠিক করা হয়েছে কি না জানি না। গুগল মারলাম, কিছুই পেলাম না।
এমন একটা দিন আমাদের প্রয়োজন। আন্তর্জাতিকভাবেই পালন করা প্রয়োজন। খবরের কাগজে পড়লাম, পাকিস্তান প্রচণ্ড কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পণ্ড করার জন্যে। তাদের মূল উদ্দেশ্য, নিজেদের পাপ ঢাকা।
আমাদের কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে কিছু কথা বলে কান্ধের ফেরেস্তার হাতের টনটনানি আর না বাড়াই। কিন্তু পাকিদের মুখের ওপর শক্ত একটা জবাব আমাদের দিতে হবে।
আমরা যুদ্ধাপরাধ বিরোধিতা দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো করে প্রতিষ্ঠিত করতে কি পারি না? আমার মনে হয় চেষ্টা করলে পারি।
২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আমরা যুদ্ধাপরাধ বিরোধিতা দিবস হিসেবে পালন করতে পারি। ১৯৭১ সালের এই দিনে, পাকিস্তান থেকে পাঠানো সৈন্য ও অস্ত্র বহর বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়। প্রত্যেক বছর আমরা পাকিস্তানীদের স্মরণ করিয়ে দিতে পারবো, তারা কী, তারা কী করেছিলো, এবং মানুষের ইতিহাসে তাদের স্থান কোথায়।
মন্তব্য
- দুইবার টিবি মেরে একেবারে দুইবারই পোস্ট করে দিলি যে! ওরে, একটা মুছে ফেল।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গুরু, একমত, পাকিদের গলায় মালার মত আর মাথায় মুকুটের মত এই দিনটাকে ঝুলায় রাখতে চাই আজীবন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হ, কাটাঁর মালা আর মুকুট
...........................
Every Picture Tells a Story
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
উত্তম প্রস্তাব।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
প্রস্তাবের সাথে পুরোপুরি একমত।
সবার আগে তো যুদ্ধ-বিরোধিতা দিবস দরকার!
----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~
সহমত। তবে, ১৪ ই ডিসেমবর হয়তোবা বেশি যুতসই।
প্রস্তাবনা ভালো।
আমার মনে হয় দিবস হিসেবে ২৫শে মার্চ হলে আরও ভালো হয়।
আন্তর্জাতিকভাবে যুদ্ধাপরাধ দিবস প্রতিষ্ঠা কঠিন হবে বলেই মনে হয়। সেক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধ করেছে এমন দেশের তো অভাব নাই, পাকি ও পাকিমনা দেশগুলো জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালাবে এর বিপক্ষে।
তবে এটা অসম্ভব কিছু নয়। প্রথমে জাতিক পর্যায়ে চালু করতে হবে, যেমনটা আমরা অমর একুশে পালন করে আসছি যুগ যুগ ধরে। এক্ষেত্রে কোনদিনটাকে যুদ্ধাপরাধ দিবস হিসেবে আমরা পালন করব সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটা দিন বাছতে হবে যেটা পাকিদের যুদ্ধাপরাধকে সবচেয়ে বেশি প্রতিফলিত করে। যদিও মার্চ থেকে ডিসেম্বরের প্রতিটা দিনই বেছে নেয়া যায় (গড়ে যেখানে পাকহানাদাররা বাংলাদেশের ১১০০০ এরও বেশি মানুষ মেরেছে প্রতিদিন), আমি পাঠকের সাথে একমত, শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস (১৪ই ডিসেম্বর)র আলাদা গুরুত্ব আছে, যেটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশি গ্রহনযোগ্য হবে। আমি নিতান্ত অজ্ঞ একজন মানুষ, কিন্তু আমি নিশ্চিত শুধু একটিমাত্র দিনে কোনো জাতির এত সূর্যসন্তানদেরকে কেউ এভাবে হত্যা করেনি।
হিমু ভাইকে অনেক ধন্যবাদ, আরেকটি চমৎকার আইডিয়ার জন্য।
প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই চাই।
তবে তার সাথে.......,
মানুষের মতো বাঁচার যোগ্য দেশ চাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
চমৎকার প্রস্তাব।।
২৫শে মার্চের পক্ষে ভোট দিলাম। ১৪ই ডিসেম্বর বললে পাকিরা এইখানে রাজাকারদের ফাঁসিয়ে দিতে পারে; তখন বলবে 'আমরা না বাঙ্গালিদের অভ্যন্তরীন কোন্দলে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।'
সেই দিক থেকে ২৫শে মার্চ যুতসই।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
উত্তম প্রস্তাব ।
তবে জাতীয় ভাবে তো বাধা আসবেই (বরাহ গুলো আছে না!!! ) সাথে সাথে আন্তর্জাতিক বাধাও আসবে ।
সরকারি সাহায্যও পাওয়া যাবে না ।
এখন প্রয়োজন এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য গুলোকে লিপিবদ্ধ করে মানুষকে জানিয়ে দেয়া । জাতিগত ভাবে পালন করা শুরু করলে অন্য সব রাষ্ট্র ও হয়ত এই দিবস গ্রহণ করে পাকিমনা আচরণ এর বিরোধিতা করবে ।
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
প্রস্তাবের সাথে পুরোপুরি একমত। আমি ২৫শে মার্চের পক্ষে। পাকি আর তাদের লোকাল এজেন্ট তথা জামাতীদের কাছ থেকে তো বাধা বিপত্তি তো আসবেই। তারপরেও এগুতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর কর্ত্বপক্ষের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করে কর্মপন্থা ঠিক করা যেতে পারে। সরকারের মাধ্যমে জাতিসংঘে প্রস্তাবনা পেশ করা যেতে পারে। তবে সবার আগে যুদ্ধাপরাধের বিচার।
২৫শে মার্চ হতে পারে। ২৬শে মার্চের স্বাধীনতা দিবসের সাথে যেমন ২৫ শে মার্চের গণহত্যা রিলেটেড, সেহেতু কোনো সমস্যা নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমার জানামতে আন্তর্জাতিকভাবে ২৫শে মার্চ গণহত্যা প্রতিরোধ দিবস করার চেষ্টা করা হচ্ছিল, কেন আগায়নি তা যদিও জানা নেই।
যদি দিবসটি একমাত্র উদ্দ্যেশ্য হয় পাকিস্তানীদের তাদের পাপ মনে করিয়ে দেওয়া, তাহলে আমার মনে হয় এতোদূরে যাবার দরকার নেই।
শুয়োরের বাচ্চা = শুয়োরের বাচ্চা।
তাদের একথা মনে করাতে আলাদা দিন লাগবে নাকি?
সেক্ষেত্রে সরকারের জায়গামতো এই প্রস্তাবটা পাঠাতে হবে। কেউ কি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিষ্ঠা উদ্যোগ নিয়ে বিশদ জানেন? এটা কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ বরাবর প্রস্তাব করতে হয়?
যতদূর জানি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব বাংলাদেশ থেকে নয়, অন্য সদস্য দেশ থেকে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেই প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর থাকতে হয়। ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব ২৯টি দেশ মারফত ইউনেস্কোর সভায় আনীত হয়।
সুতরাং সবার আগে ন্যুনতম পাঁচটি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব আসতে হবে। তারপর ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
হুমমম ... প্রধানমন্ত্রীকে অতিথি সচল বানাতে হবে আসলে ... অনেক ভালো আইডিয়া কাজে লাগানো যাচ্ছে না ...
হ
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
এখানে বিস্তারিত আছে কিভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হয়ে গেল।
- আব্বে, এতো খাইটা খুইটা একটা কমেন্ট লেখলাম যেই পোস্টে, সেইটারেই ঘ্যাচাং করে দিলি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দারুণ প্রস্তাব।
আমার মনে হয় ১৪ ডিসেম্বর দিবস হিসেবে বেশি উপযুক্ত। দিন যেটাই হোক, আন্তর্জাতিকভাবে এমন একটা দিন ঘোষিত হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লড়াই অনেকখানিই এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি। আর সে কারণেই এই দিবসের বিরুদ্ধাচারী বরাহেরাও এ উদ্যোগকে বাধা দিতে জোর প্রচেষ্টা চালাবে নিশ্চয়ই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
১৪ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে সচেতনতা দিবস হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে তাহলে আসুন কাজ শুরু করি। কীভাবে করতে হবে তা রফিক সাহেব আর সালাম সাহেব দেখিয়ে গেছেন।
আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করার জন্যে প্রচুর সময় ও শ্রম ব্যয় করছি, কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পাকিস্তান ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে যাচ্ছে। অন্তত এই ব্যাপারটি প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তাদের কুকীর্তির একটা ফ্রোজেন উদাহরণ আমরা পৃথিবীর মানুষের সামনে পুনর্বার তুলে ধরতে পারি।
ঠিক, পাকিস্তান নামক বর্বর জাতির দেশটাকে একটা ধাক্কা দেয়া দরকার। পাপের কথা তাদের চৌদ্দ গুষ্টা যাতে মনে রাখতে পারে।
_____________________________________________________
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
সহমত !
মানি ১৪ডিসেম্বর অধিক উপযুক্ত আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে , কিন্তু রাফি সাহেবের আশংকাটাও অমূলক নয়.......২৫ মার্চ সরাসরি পাকিদের নির্দেশ করে তাই আমি ২৫ মার্চ এর পক্ষে.......
আচ্ছা আমরা অচলরা কি এ উদ্যোগে ভূমিকা রাখতে পারব ?? :-/
নতুন মন্তব্য করুন