"বিশ্ববেহায়া" ডেকে ডেকে লোকজন ৯১ সালটা পুরো দেশ গরম করে রেখেছিলো। পত্রিকাঅলারা দিনের পর দিন নানা মুখরোচক স্টোরি করেছে স্বৈরশাসক এরশাদকে নিয়ে। তারপর এই বদ্বীপের নিয়ম অনুযায়ী একটু একটু করে সবাই সবকিছু ভুলে গেছে। দুই নেত্রীর পলিটিকিঙের টুল হিসেবে এই এক্স-হাঁটুপ্রধান জেল থেকে বের হয়ে আবার বিয়ে করেছে, স্ক্যাণ্ডাল করেছে, ভোটে দাঁড়িয়েছে, সাংসদ হয়েছে, কী একটা সংসদীয় কমিটির প্রধানের পদও কলঙ্কৃত [কলঙ্কজনকভাবে অলংকৃত আর কি] করেছে, হাজার হাজার বিবৃতি দিয়েছে, বহুত কিছু করেছে। আরো কী করেছে সেটা শুদ্ধরূপে বলিতে পড়িতে লিখিতে হলে বিদিশার লেখা বই পাঠ করতে হবে।
এরশাদ বক্তৃতার মঞ্চে উঠে জনতার উদ্দেশ্যে ভালো বকবক করতে পারে। বাগ্মিতার গুণ তার আছে। দুই হাতের তালু জনতার দিকে তুলে কেঁদে বুক ভাসিয়ে "দেখুন আমার হাতে রক্ত নাই" বলে অনেক ভাঁড়ামো সে করেছে, কিন্তু আমরা জানি, এরশাদের হাতে রক্ত আছে। অনেক লোকের রক্ত। গণতন্ত্রের কাণ্ডারিদের রাজনৈতিক বেলাল্লাপনার কারণেই এরশাদ আজ কারাগারের বাইরে। রক্তের দাগ ওনারা লুচনি দিয়ে ডলতে ডলতে ডলতে ডলতে নিজেরাই তুলে মুছে ধুয়ে শেষ করে দিয়েছেন।
এরশাদ থামে নাই। বুইড়া গোল রুটি, চলছে গুটি গুটি।
আজ পত্রিকায় পড়লাম, ক্ষমতা থেকে প্রথমে কানে ধরে টেনে নামানো, আবার ভোটে ধরে ঠেলে ওঠানো এরশাদ দেশকে আটটি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব দিচ্ছে। প্রস্তাবটা খারাপ নয়, বেশ ভালো।
প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থার বহু ইতিবাচক দিক আছে। বাংলাদেশের জন্যে অবশ্যপ্রয়োজনীয় যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ, তার বাস্তবায়ন প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থায় সম্ভব। তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আবহাওয়া দেখে বলা যায়, এরশাদের প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় প্রাদেশিক পরিষদগুলো বর্তমান সংসদেরই কার্বনকপি হবে। সেখানেও হয়তো প্রয়াত নেতাদের মৃতদেহ এবং কে ঘোষণা দিয়েছিলেন আর কে দেন নাই তা নিয়ে বাল ছেঁড়া চলবে নিরন্তর। বাল ছিঁড়ে ছিঁড়ে প্রকাণ্ড সব প্রাদেশিক আঁটি বাঁধা হবে জনগণের করের পয়সায়।
কিন্তু থাক, আশাবাদী হই বরং। আশা করি যে প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা চালু হয়ে দেশটার খোলনলচে পাল্টে যাক।
এরশাদের প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে কিছু সমস্যাও আছে। যেমন, প্রস্তাবিত বরেন্দ্র প্রদেশটির রাজধানী করতে চাওয়া হচ্ছে রাজশাহীকে। যদিও যোগাযোগ আর অবকাঠামোর সম্ভাবনার দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে আছে বগুড়া। রাজশাহী দীর্ঘদিন যাবত বিভাগীয় শহর, তাই প্রাদেশিক রাজধানী বগুড়ায় স্থাপিত হলে উন্নয়নের প্রবাহ সংলগ্ন অনুন্নত জেলাগুলোতে পড়বে।
একইভাবে সিলেট প্রদেশ [পীরভক্ত এরশাদ প্রদেশটির নাম জালালাবাদ করতে চায়। এই পাকিস্তানগন্ধী নাম আমি অন্তত চাই না। এরশাদের কুরুচির ছাপ কেন আমরা বহন করবো?] এর রাজধানী হওয়া উচিত মৌলভিবাজার।
কেন্দ্রপ্রদেশ [এরশাদ নাম রাখতে চায় জাহাঙ্গীরনগর] এর রাজধানী প্রস্তাব করা হয়েছে ময়মনসিংহ, এটিও খারাপ প্রস্তাব নয়।
দক্ষিণবঙ্গ প্রদেশ, আটরশির পীরের মুরিদ এরশাদ যার নাম আবার পাকিস্তানী ছাঁচে জাহানাবাদ রাখতে চায়, এর রাজধানী হতে পারে নড়াইল, প্রস্তাবিত খুলনার বদলে।
এরশাদের প্রস্তাব অনুযায়ী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় নিয়ে হবে উত্তরবঙ্গ প্রদেশ। এর রাজধানী হবে রংপুর। এখানেই টের পাওয়া যায় দাদুর মনের গভীর গোপন আশ। প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান হতে চায় বৃদ্ধ ৮২ বছরের এরশাদ।
এরশাদ, আর কত? সবকিছু থেকেই রিটায়ার করার একটা সুস্থ সময় তো আছে। আপনি কি মরবেন না?
প্লিজ, মারা যান। রাজনীতি থেকে আপনি নিজের ইচ্ছায় মনে হয় না সরতে পারবেন, আপনার সুতা অন্য কোথাও বাঁধা। মরুন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা লুম্পেনের সংখ্যা একটি হলেও কমান। প্রদেশে ভাগ হোক বাংলাদেশ, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আপনি হইয়েন না। আর কোনো মুখ্য পদে আপনাকে যেন দেখার দুর্ভাগ্য দেশবাসীর না হয়।
মন্তব্য
হিমুসুলভ
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এরশাদের দরকার রাখী সাবান্ত....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
হে, হে, বদ্দা, আপনি তো অবশ্যই জানবেন, অনেক 'রাখী সাওয়ান্ত' (রাখী সাওয়ান্তের চেয়ে অনেক সুন্দর এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত) এরশাদের একসময় ছিল। এখনও যে একদম নাই, তা না কিন্তু। এরশাদ ক্ষমতা, আর আলোচিত ব্যক্তি হিসেবে সবসময় স্পটলাইটটা চায়। এজন্যই ক'দিন পর পর একেকটা লাফ দেয়, যদিও তার কথা এখন কেউ শোনে না।
তার খুঁটির জোর অনেক শক্ত, অনেক দূর। সম্ভবত এখনও।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
বিদিশা নাকি কিছুদিন আগে এরশাদের "খুঁটি" সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করছে। লণ্ডনে থাকতে নাকি সে নিয়মিত দুষ্টু ট্যাবলেট খাইতো। সেই জন্যই বলছিলাম রাখী সাওয়ান্তের কথা। তাইলে অন্তত হার্ট এটাকের একটা চান্স থাকে.....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ও!
ভাতে মারবো না, সোহাগে মারবো। বেশ, বেশ!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
এই ভদ্রলোকের আগে আমার নিজেরই মারা যাবার খুব জোর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আমার এখনি কিছু পাকা চুলটুল দেখা যায়- আর আজকে খবরে দেখলাম এর কাক্কেশ্বরকুচকুচের মতো কেশরাজি!!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ভাই ওদিন, আপনাকে বছর বছর এভিয়ান মিনারেল ওয়াটার, ব্যায়াম এবং উৎকৃষ্ট নারীসঙ্গে থাকতে হবে রোটেট করে প্রায়শ। এবং মন খুলে বিশুদ্ধ সংগীত চর্চা, কবিতা লেখা দেশ রসাতলে গেলেও প্রচন্ড স্পৃহা নিয়ে চালিয়ে যেতে হবে, ক্ষেত্রবিশেষে কবি-শিল্পী ভাড়া করে। আর লরিয়েল হেয়ার কালার হবে নিত্যসঙ্গী। পারবেন তো, না? হে, হে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য দুটোতেই তারা!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চিরতরুন হতে হলে তো এইটুকু কষ্ট সহ্য করতেই হবে-
আজকে থেকে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান মেলোডিক ডেথ মেটাল শোনা বাদ- গজল শুনতে হবে- আর পড়তে হবে আমির খসরুর কবিতা... হুম
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
...... আর সাথে বন্যার মধ্যে ''তোমাদেরই পাশে এসে, সব ব্যথা বুকে নিয়ে ......'' গান আবহ সংগীত হিসেবে রেখে, বন্যার মধ্যে সাফারি স্যুট লাগায়ে, রেইনবুটস পরে ত্রাণকাজ চালাতে হবে। সামনে বন্যা আসতেছে, রেডি হইয়া যান মিয়া! সিরিয়াস, 'এরশাদ ইস্টাইল'! নো জোক!
আর, রোজ বৃহস্পতিবার, গায়ে পাঞ্জাবি লাগিয়ে কবিতা-গানের আসর। বদ্দার 'রাখী সাওয়ান্ত' এখানে থাকা অবশ্যি দায়িত্ব ও কর্তব্য! আপনে নাচ জানেন? না জানলে, ইউটিউবে ''নাচ মেরি বুলবুল'' দেখে সপ্তাহে তিনদিন প্র্যাকটিস করে নেবেন দয়া করে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
প্রস্তাব চমৎকারা। ৮টি প্রদেশ মানে আটটি ছোট-ছোট দেশ, মানে আটটি সরকার, ৮x৩০ টি মন্ত্রণালয়, অগুনিত টেণ্ডারবাজির সুযোগ, দ্বিতীয় সারির নেতা, পাতি-নেচা, চামচা, চেলাদের ক্ষমতায়ন-- মারহাবা।
রাষ্ট্রের মাথাদের বেতন বাড়ে, আর আইলায় ডুবে যাওয়া মানুষেরা একটা বাঁধ নতুন করে গড়ার অভাবে মরলে কোথায় কবর হবে সেই চিন্তায় দিন কাটায়।
ব্রাভো।
স্থানীয় সরকারের ধারণাটাই কিন্তু এরকম। দ্বিকক্ষীয় ব্যবস্থা হলে কিন্তু চেক অ্যান্ড ব্যালান্স বাড়বে।
আপনি যে আপত্তি বললেন, তা ঠিক ব্যবস্থার ত্রুটি নয়, ব্যক্তি আর সংস্কৃতির ত্রুটি।
তবে এরশাদ চায় বেলা শেষে একটু প্রেস্টিজিয়াস কিছু। চেয়েছিলো আবার প্রেসিডেন্ট হতে। না পেরে এখন ঘ্যানঘ্যান করছে, বান্দরের রুটিভাগের মতো দেশটাকে ভাগ করে একটা টুকরা যদি জোটে তাহলে ঐটাকে সম্বল করে যদি কিছু করা যায় ... আরেকটা ভালো বিয়েশাদিও হয়ে যেতে পারে যদি সিভিতে মুখ্যমন্ত্রী হবার ব্যাপারটা ঢোকানো যায়।
হুমম, ঠিকাছে। প্রদেশ জিনিসটা পজিটিভলি নিলে ভালই হবে। তবে খারাপ জিনিসগুলোই মনে প্রথমে আসে। ব্যক্তিগতভাবে এসবের বিকেন্দ্রীকরণের পক্ষেই আমি। সবাইকে ঢাকামুখী যাতে না হতে হয় সে ব্যবস্থা অতি উত্তম।
কানাডায় যথন প্রথম আসি তখন অন্টারিও প্রদেশে একটা স্লোগান চালু ছিল, "Lets build Ontario's future together" খেয়াল করুন, এরা শুধুই অন্টারিওর কথাই বলছে, বলছে না যে ক্যানাডা'স ফিউচার টুগেদার। এত ভালো লেগেছিল কথাটা যে তখনই অনেকের সাথে আমি শেয়ার করেছি। তখন সচলায়তন ছিলনা। ছোট ছোট গ্রোথ সেন্টার থাকলে একসাথে যে পুরো দেশই উন্নতি করবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
এরশাদের খায়েশ নিয়ে যা বলেছেন ...
আপনার আশঙ্কার কারন বোধগম্য প্রকৃতিদা। কিন্তু যেই সমস্যাগুলোর কথা বললেন তার মূল কারন হচ্ছে মূলত ক্ষমতার কেন্দ্রমুখিতা। যেমন টেন্ডারবাজি এখন হচ্ছে কারন স্থানীয় লোকজনের কোন নিয়ন্ত্রন নেই এর উপর, একজন মন্ত্রী স্থানীয় জনগনের কাছ থেকে এত উপরে অবস্থান করে যে না আছে তার জবাবদিহিতা না মন্ত্রী স্থানীয় অবস্থা সম্পর্কে অবগত। তাকে পাতি নেতাদের কথার উপর নির্ভর করতে হয়। মাঝারি নেতারা স্থানীয় জনগনকে বাইপাস করে কেন্দ্রীয় নেতাকে খুশি রাখতে পারলেই তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত পরিষ্কার। কিন্তু স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সেটা সম্ভব নয়। বরং জনগনের চাপে প্রাদেশিক নেতারা কেন্দ্রকে চাপের উপর রাখতে চাইবে (এখন যার উল্টোটাই হচ্ছে অর্থাৎ টপডাউন হচ্ছে)। আর প্রাদিশিক ব্যবস্থায় ক্ষমতার প্রবাহ হবে নিচ থেকে উপরের দিকে (ইংরেজিতে যেটাকে বলে বটম আপ)। এটাই কাম্য।
যদি এখন সরকারকে বিকেন্দ্রিকরনে বাধ্য করা যায় এর চেয়ে ভাল কিছু দেশের অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য আমি ভাবতে পারছিনা। সমস্যা একটাই আওয়ামিলীগ (বা বিএনপি) যে বিকেন্দ্রিকরনের সুবিধা সম্পর্কে জানেনা তা নয়, কিন্তু পরিবারতন্ত্র আর বজায় রাখা আর নিজদের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার দীর্ঘ যে সংস্কৃতি যে চলে আসছে সেটা যে এই প্রক্রিয়াতে ধরে রাখা যাবে না সেটা তারা ভালই জানেন।
আরেকটা ব্যপার হয়ত মনে হতে পারে বাংলাদেশ ছোট একটা দেশ এর আবার এত প্রদেশের দরকার কি? কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে আমেরিকার অর্ধেক বাংলাদেশ। এটা স্পষ্ট যে প্রাদেশিক ব্যবস্থায় ঢাকার হেজিমনি অনেকটা কমে আসবে, সেটা আমাদের সামগ্রিক নগর ব্যবস্থার জন্যেও অনেক ইতিবাচক ফল নিয়ে আসবে।
ধরা যাক আলাদিনের দৈত্য এসে যদি বলে দেশের উন্নতির জন্য একটা চাওয়া পুরন করা হবে সবার একবাক্যে প্রশাসনিক এবং আর্থিক বিকেন্দ্রিকরনের আবেদন করা দরকার বলে মনে করি।
হুমম, ধন্যবাদ বিস্তারিত লেখার জন্য।
ভাল। লেখায় প্লাস।
ধারনাটি হাটুরে এরশাদের কাছ থেকে আসলেও তার প্রস্তাবটিকে মেরিট দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে দেখে ভাল লাগছে।
প্রথম আলোর খবরের নিচে লেখা পাঠক প্রতিক্রিয়াগুলোও সেদিক দিয়ে ইতিবাচক। গনতন্ত্র নিয়ে নানারকম তর্কবিতর্ক থাকলেও একটা বিষয় পরিষ্কার মানুষ কমবেশি নিজেদের ভালটা বুঝতে পারে।
মানুষের ভালো মানুষ তো বুঝবেই। মানুষের ভালো বোঝে না ছাগুরা।
এখানে টুইস্ট হলো, ধান্দাবাজেরা বেশিরভাগ কথাই ভালো বলে, যতোক্ষণ পর্যন্ত ভালো কথায় স্বার্থোদ্ধার হয়, ততোক্ষণ পর্যন্ত খারাপ কথার দরকারই বা কি! তবে যখন ভাল কথায় আর কাজ হয় না, তখনই আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ে। এ কারণেই ধর্ম ব্যবসায়ীরা মোলায়েম কথা বলেই পার পায় না, তাদের ভেতরের হিংস্রতাটাও প্রকাশিত হতে হয়। এই ধারণাটা এরশাদের কোনো মৌলিক আবিষ্কার না, তারপরেও এখন এরশাদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হলে সে নিশ্চিতভাবেই আর এই সিস্টেম নিয়ে উৎসাহী হবে না। তার স্বার্থসিদ্ধিই এখানে তার দিক থেকে সব ধারণার উৎস।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হিমুকে প্রথমেই ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। এটি নিয়ে বিস্তর আলোচনার অবকাশ আছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের জন্য প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থার বিপক্ষে। কারনঃ
১) সাধারনত প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা একটি বড় ( আয়তনের দিন দিয়ে ) দেশের ক্ষেত্রে উপযোগী কারন সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের পক্ষে গোটা দেশ পরিচালনা করা দুরুহ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের এক একটি প্রদেশই বাংলাদেশের মোট এলাকার সমান বা কাছাকাছি।
২) বাংলাদেশের মত দরিদ্র একটি দেশে আটটি প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালাতে যে বিপুল পরিমান রাজস্ব ব্যয় বাড়বে তা সংকুলান করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
তাহলে প্রশ্ন আসে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থার সুবিধে গুলো আমরা কিভাবে আমাদের এই বর্তমান সরকার ব্যবস্থায় পাব। উত্তর খুবই সহজ তা হলো বর্তমান স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে উন্নয়নের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসা।বাংলাদেশের বর্তমান বিভাগগুলিকেই যদি আমি প্রদেশ বলে মনে করি এবং বিভাগীয় প্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যদি তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেই আমার ধারনা বাংলাদেশের এক একটি বিভাগ উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হবে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
প্রাদেশিক ব্যবস্থা আসলে ক্ষুদ্রায়তন দেশেও রয়েছে। প্রাদেশিকতা যেখানে আছে, সেখানেই আসলে প্রদেশিক শাসন ব্যবস্থা রয়েছে, এভাবে দেখা যায়। সুইৎজারল্যাণ্ড যেমন বাংলাদেশের অর্ধেকেরও কম, কিন্তু ষোলোটা ক্যান্টনে বিভক্ত তার পার্বত্য ভূপ্রকৃতির কারণে।
পুরান পাপী এরশাদ দেখলাম প্রাদেশিক সরকারে ৬০০ আসন দাবি করেছে। বাটপারিটা এখানেই। এক একটা প্রদেশে এত প্রকাণ্ড পরিষদের কোনো দরকার নেই। প্রাদেশিক সরকারে সব মন্ত্রণালয়ও থাকার প্রয়োজন নেই।
স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়নে কোনো সরকারই আন্তরিক নয়। সাংসদরা ক্ষমতা এবং বরাদ্দ নিজেদের জন্যেই চান, যাতে তা কাজে লাগিয়ে আবার তারা পরবর্তীতে নির্বাচিত হতে পারেন। এটা এক ধরনের ঠগবাজি। আইনপ্রণেতাদের এই নানা নির্বাহী কাজে অংশগ্রহণ সংবিধানবিরুদ্ধ বলেও জানি, কিন্তু কেউ একে আদালতে চ্যালেঞ্জও করছে না।
প্রাদেশিক ব্যবস্থার কিছু ইতিবাচক দিক হচ্ছে, অঞ্চলগুলো নিজেদের কৃষি ও শিল্পায়নের জন্যে কেন্দ্র থেকে আকাঙ্খিত পদক্ষেপ পায় না অনেক সময়, প্রাদেশিক ব্যবস্থায় এর একটা হিল্লে হয়। সিলেট আর খুলনার কথা বলা যেতে পারে, সরকার এই দুটি অঞ্চলের প্রথমটিতে শিল্পায়ন গড়ে উঠতে দেয়নি, দ্বিতীয়টিতে শিল্পায়ন ধ্বংস করেছে। প্রাদেশিক ব্যবস্থা থাকলে এটা ঘটতে পারতো না।
নেতিবাচক দিকও আছে কিছু। তবে শক্তিশালী ফেডারেল ব্যবস্থা সেসব নেতিবাচকতা অতিক্রম করতে পারে।
কেবল সরকারই নয়, রাজনৈতিক দলের কাঠামোতেও যথাযথ ক্ষমতায়ন সম্ভব হয় প্রাদেশিক ব্যবস্থায়।
এই লেখা লিখে লাভ কি হলো? কিছু আলোচনা আর সমালোচনা বৈ তো নয়! কি অব্জেক্টিভ ফুলফিল হয় আর দেশের কি চেঞ্জ হয় এতে? হতাশা বাড়ে, হুম্ম সেটা একটা ব্যাপার বটে।
এই মন্তব্য করে আপনার কী অবজেকটিভ ফুলফিল হলো আর দেশের কী চেইঞ্জ হলো?
হিমুভাই, প্রবাসে থাকেন তো, দেশের বদল না বদলে কিছু যায় আসেনা আপনাদের। কিংবা হয়তো যায় আসে, যেটা ব্লগে লেখা পর্যন্তই সার। আমরা যারা বন্দী পাখির মতো ডিরেক্ট সাফার করি তাদের কাছে এইসব লেখা-সমালোচনা নৌকায় বসে হাত ছুঁয়ে পানি ঘাঁটার মত যেভাবে গায়ে জলকাদা লাগেনা।
জানি এই মন্তব্য লিখার পর আরো কঠিন কঠিন কথা আপনাদের কাছে শুনতে হবে। কিন্তু হতাশাটা শেয়ার না করে পারলাম না।
আপনি ডিফেন্সিভ হইয়েন না। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনার লেখা খুবই পছন্দ করি।
শেষ থেকে শুরু করি। আপনি ব্যক্তিগতভাবে আমার লেখা পছন্দ করেন নাকি পড়ে বমি করে দ্যান, সেটা একেবারেই আলোচ্য না। ফাও মন্তব্য করলে বিরক্তি আসে, সেটা এখন শেয়ার করি।
আপনি ব্লগ বা সংবাদপত্র কিংবা মুড়ির ঠোঙ্গায় কোনো লেখা পড়েন ঠিক কী আশা নিয়ে? যে কেউ একজন লিখে শেষ করার আধাঘন্টার মধ্যে দিন দুনিয়া পাল্টে যাবে? মানুষ লেখে একটা ভাবনা ছড়ানোর জন্য। সেটা কখনো কখনো খুব দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়ায়, অন্যান্য পরিসরে সেই ভাবনার ফেনোটাইপিক এফেক্ট দেখা যায়। বেশিরভাগ সময় ভাবনাটা খুব বেশিদূর ছড়ায় না। লিখে কি ইমিডিয়েট লাভ হবে, এই চিন্তা আর হিসাব করে যারা লেখে, আমি তাদের মধ্যে পড়ি না। আপনি যদি "কী লাভ হলো" বিবেচনায় খুব বেশি মশগুল থাকেন, আমার লেখা পড়ে ভবিষ্যতে হতাশ হবেন। দেখবেন পুরাই লসে ভরা ভেঞ্চার এইটা।
আমি প্রবাসে মাটি ফেটে বের হই নাই। সাতাশ বছর বাংলাদেশে আপনার মতো অনেকের চেয়ে অনেক বেশি সাফার করেই কাটিয়েছি। প্রবাসে সাময়িকভাবে অবস্থান করি অতএব দেশ নিয়ে কিছু আসে যায় না, এই অশ্লীল অভিযোগ শুনে মুখটা তিতা হয়ে গেলো।
"ব্লগে লেখাই সার" যদি এত নিরর্থক মনে হয় আপনার কাছে, আপনি ঘরে বসে ব্লগ পড়ছেন কেন? এই ফালতু কাজে সময় নষ্ট না করে একটা কিছু করে দেখিয়ে দিন তো কোন কাজটা খুব সারবত্তাসম্পন্ন? একটা উদাহরণ স্থাপন করে এসে আমাকে জানান, আমি অনুসরণ করার চেষ্টা করবো। তার আগ পর্যন্ত জলকাদা ঘাঁটা নিয়ে কথা বলবেন না।
আপনি হচ্ছেন সেই পদের লোক, যারা ভুগছে, কিন্তু নিজে কিছু বলছে না, এবং কেউ কিছু বললে "বলে কী লাভ" টাইপ পেসিমিস্ট দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছে। আপনার দীর্ঘশ্বাস আপনি একটা পলিথিন ব্যাগে করে জমান গিয়া।
প্রবাস সম্পর্কিত কথা মনঃপূত হইল না। কিন্তু এইটা সহমত - "বোদ্ধাদের চিন্তাই সার।"
চিন্তাশূন্য কর্মঠ লোক দিয়ে দেখছি সচলের গেস্ট অ্যাকাউন্ট উপচে পড়ছে। বেনামী ফোড়নের পরিবর্তে এই কর্মবীরদের কাছ থেকে তাদের কাজের বিবরণ পড়তে চাই। জাতির সামনে তারাই এখন ভরসা।
সহমত।
এরশাদের নিজের এজেন্ডা বাদ দিলে সার্বিকভাবে কিন্তু প্রস্তাবটা একেবারে ফেলে দেবার মতন মনে হয়নি আমার কাছে। অন্য পত্রিকাতে দেখতে চেষ্টা করব আকবার আলী প্রমুখ কী বলেছে এই ব্যাপারে, কিংবা আরও বিস্তারিত কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে কিনা।
এইটার ভালো বাংলা জানি না,
"ওনলি দ্যা গুড ডাই ইয়াং
অল দ্যা ইভল সিম টু লিভ ফরেভার"
মাঝে মাঝে মনে হয়, আয়রন মেইডেন বাংলাদেশরে নিয়াই গান গাইত এক আমলে!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
*************************************************************************
ভবিষ্যতে কি হবে তা ভেবে বর্তমানকে উপেক্ষা করবো কেনো?
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
যাক, অন্তত এক বিষয়ে এরশাদ, রিয়ায উদ্দীন আর হিমু একমত হলো।
আমি নিজে এই ধারণার বিপক্ষে। কারণ, ধারণাটার সাফল্য পুরোপুরিভাবে নির্ভর করে এর প্রয়োগের ওপর। বাংলাদেশে ৮ টা কেন, ৬৪ জেলায় ৬৪টা প্রদেশ হলেও হাসিনা-খালেদার পাওয়ার থেকে মুক্তির একচুলও এদিক-ওদিক হবে না। মাঝখান থেকে দলের আরো কিছু চ্যালাচামুন্ডাকে মন্ত্রীত্ব দেয়া ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হবে না। এমন না যে, শুধু সংসদে বসা লোকগুলাই দুই নাম্বার আর বাকি সব ধোয়া তুলসী পাতা। বাংলাদেশের অজ পাড়া গাঁ থেকে শুরু করে সংসদ পর্যন্ত প্রত্যেকটা ক্ষমতাশীল লোকই ইন জেনারেল দুই নাম্বার। সো, ভালো কিছুর সম্ভাবনা যে লাউ, সেই কদু। বাংলাদেশের জন্য প্রায়োরিটির দিক দিয়ে এরকম একটা শাঁখের করাত অনেক পিছনে থাকবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পাকমন পেয়ারু এরশাদের মরণ চাই
মোমেনসিং রাজধানী হইব মানে? তুই এইন্না কী কছ? পিথিবির রাজধানী টাঙ্গাইল থাকতে মোমেনসিং রাজধানী হয় ক্যাম্নে?
পাগলাবাজি পাইছত? মাইরা সব ভাইঙ্গা ফালামু না, টাঙ্গাইল বাদে অন্য কেউরে রাজধানী করলে?
পুনশ্চ: মোমেনসিং সামান্য বিভাগ হইবার চায়, তাই আমরা হইবার দিতাম চাই না। হেহেহেহে। আবর রাজধানী হেহেহেহেহেহেহে।
হাহাহাহাহহাহা জেলায় জেলায় কোন্দল হবে প্রাদেশিক রাজধানী বানানোর জন্য। এরশাদ সেই কোন্দলে আলু পোড়াইয়া খাবে।
- লসন্দী কোন প্রদেশে পড়ছে রে? জলদি ক। রাজধানী আন্দোলনে ঘি ঢালোন লাগবো তো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যে দেশে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি যে দেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের থাবা যেখানে সর্বগ্রাসী সেখানে প্রাদেশিক সরকারের নামে শ্বেতহস্তী তৈরীর কোন অর্থ হয়না। সবুজ বাঘ ঠিক বলেছে .....আমরা ভৈরবকে জেলা করার অবস্থা দেখেছি। আগে আমরা গণতন্ত্রী হই তারপর প্রদেশ করার চিন্তা করা যেতে পারে। ধন্যবাদ ।
২৯ বছর ধরে যে লম্পট ভন্ড বহুরূপী বাংলাদেশের রাজনীতিকে ধর্ষন করে যাচ্ছে তাকে পাশে নিয়ে যখন গনতন্ত্রের দাবীদার নেতাকুল মঞ্চে বসে থাকে, লজ্জায় আমি মুখ ফিরিয়ে নেই টিভির পর্দা থেকে। তার আবার প্রস্তাব! হায়!!!
তবু আলোচনা যখন উঠেছে বলি- আস্ত দেশটাকে যদি একটা কেকের সাথে তুলনা করি তার প্র্রধান ভোক্তাশ্রেনী দুটো। সামরিক-বেসামরিক আমলা এবং রাজনীতিবিদ। ৭৫ ভাগ ওদের ২৫ ভাগ আম জনতার। প্রদেশ বাড়লে আমলা ও রাজনীতিবিদ ভোক্তার সংখ্যা বাড়বে। জনগনের অংশের উপর চাপ বাড়বে। আমজনতার কেকের টুকরো ছোট হতে থাকবে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমি কিন্তু প্রস্তাবটার পক্ষেই এবং যতদুর জানি এই প্রস্তাব এরশাদের মস্তিস্কপ্রসূত নয় বরং সেই রহস্যমানব সেরাজুল আলম খানের ভাবনা।লক্ষ্য করলে দেখবেন, জাসদও এই প্রস্তাবের সমর্থক।বাংলাদেশকে প্রদেশে বিভক্তি করার জাসদীয় প্রস্তবনা বেশ পুরাতন।
বাংলাদেশ ছোট্ট দেশ হলে কিন্তু জনসংখ্যার বিচারে অনেক অনেক বড়।এত বিপুল সংখ্যাক জনগনকে কেন্দ্র থেকে শাসন করা আসলেই বিরাট ঝক্কি।কেন্দ্রশাসিত ব্যবস্থায় খরচ বাড়বে, আমলাদের হারাম খানা-পিনা বাড়বে কিন্তু জনগনের শাসনব্যবস্থায় অংশীদ্বারিত্বও বাড়বে-আমার এমনটাই মনে হয়।
বাংলাদেশের কাছাকাছি ইকোনমির দেশ ভিয়েতনাম।লোকসংখ্যা প্রায় ৯কোটি এবং আয়তনে বাংলাদেশের দ্বিগুন।সেই ভিয়েতনামেও কিন্তু ৫৮ টি প্রদেশে বিভক্ত।ফলে হ্যানয়,হোচিমিন ছাড়াও দানাং, হাইফং, নাচাং এমন প্রচুর স্বনির্ভর শহর গড়ে ওঠেছে ।ফলে রাজধানি হ্যানয় কিংবা প্রধান শহর হোচিমিন এখনো ঢাকার চেয়ে বেটার ফাংশনিং।
প্রদেশ হলে আন্ত:প্রদেশ ঝগড়া-ঝাটি বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে সত্য কিন্তু সেটা কখনোই ভারতের মত অতটা উগ্র হবেনা।কারন ভারতের প্রায় প্রত্যেকটা প্রদেশ ভাষা এবং এথনিসিটির দিক থেকে অনেকটাই আলাদা।
তবে কোনপ্রদেশের রাজধানী কোন শহর হবে এইটা নিয়ে ভালোরকম ক্যাচাল হৈতে পারে।তবে আশার কথা বাংলাদেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত আন্চলিক মানসিকতা কাটিয়ে অনেকটাই দেশভিত্তিক সামগ্রিক ভাবনায় অভ্যস্ত হতে শিখেছে।সো সরকার চাইলে, সেটাকে ট্যাকল দিতে পারবে।
তবে এইটাও ঠিক, যেকোন পরিকল্পনার সঠিকতা নির্ভর করে তার বাস্তবায়নের উপরে।মোটের উপর, প্রস্তাবটা ছুড়ে না ফেলে আমরা সুস্থ তর্ক-বিতর্ক করতে পারি।
অনেকেই বলেন এরশাদ নাকি হাসিনা খালেদাদের চেয়ে ভালো ছিল। উন্নয়নের যা কিছু হয়েছে তা তার আমলেই হয়েছে। এমনকি তারা এটাও বলেন যে এরশাদের দূর্নীতি নাকি এদের দুর্নীতির কাছে দুধভাত। কেউ কি তথ্য প্রমাণ দিয়ে সমর্থন বা খন্ডাতে পারেন? জানার ইচ্ছে হলো, তাই প্রশ্নটা রেখে গেলাম।
বিশ্বব্যাংক/আইএমএফ বা আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানগুলো গরীব দেশগুলোতে যেরকম মেরুদন্ডহীন ডিক্টেটর পছন্দ করে এরশাদ ছিল তার পার্ফেক্ট উদাহরণ। সে যে টাকা দিয়ে তথাকথিত উন্নয়ন করেছে তা বাংলাদেশের অর্জন করা টাকা নয়; বাংলাদেশকে জিম্মি রেখে চড়া সুদে লোন করা টাকা- যার মাশুল আমরা আজো দিচ্ছি এবং হয়তো আরো অনেকদিন দিতে থাকব। এই টাকার সিংহভাগ এরশাদ-মওদুদ-চিনি জাফররা লুট করেছে, উচ্ছিষ্ট দিয়ে এরশাদের নিজ এলাকা রংপুরে-উত্তরবঙ্গে কিছু রাস্তাঘাট হয়েছে- যেটাকে আমরা উন্নয়ন বলছি।
হাসিনা-খালেদার উন্নয়ন এরশাদের তুলনায় আমাদের বেশি চোখে লাগে না বা দুর্নীতি বেশি মনে হয় কারণ গণতান্ত্রিক শাসন-ব্যবস্থায় (যার ছিটেফোঁটা হলেও আমাদের আছে) ওভাবে দেশকে বিকিয়ে দিয়ে টাকা আনা যায় না এবং অতোটা রেখে-ঢেকেও চুরি করা যায় না।
এরশাদের মতো লম্পটকে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরই ফাঁসীতে লটকানো উচিত ছিল। তাকে বাঁচিয়ে রাখাটাই নূর হোসেন, ডাঃ মিলনদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। রাজনীতিতে এরশাদের এখনো চাহিদা আমাদের রাজনীতির অন্তঃসারশূন্যতাই প্রমাণ করে।
ধন্যবাদ তানভীর ভাই, আমার জানাশোনা একটু কম তো তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম। আমার মনে হয় এই উত্তরটা অনেকের কাজে দেবে। নীচে দেখলাম বোহেমিয়ানও জানতে চাইছিল।
পিপিদা যদি সময় পান তাইলে এই লেখাটা পড়তে পারেন। আরো ভাল হয় যদি পারকিন্স সাহেবের ভিডিওটা দেখেন (এমবেড করা)।
দৌড়ের উপ্রে থাকাতে এই লেখাটা মিস করেছিলাম। ...অ-নে-ক ধন্যবাদ।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
- প্রাদেশিক ভাগাভাগির কথা শুনে এরশাদের "আটষট্টি হাজার গ্রাম বাঁচানো"র প্রকল্পের কথা মনে পড়ে গেলো!
পিপিদা'র করা মন্তব্যের উত্তরে তুই যেমন বললি, সেটাই আসলে বাংলাদেশের সাপেক্ষে প্রাদেশিক বিভাজনটা অকার্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়ে যায়। বর্তমান ব্যবস্থা শতভাগ ত্রুটিমুক্ত না হলেও সেটা ব্যক্তি আর সংস্কৃতির ত্রুটির কারণেই প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই ব্যক্তি আর নানা সংস্কৃতির চর্চায় প্রাদেশিকও গলায় ফাঁস হয়ে ঝুলতে থাকবে। এটা আশাবাদীর কথা না, বাস্তববাদীর কথা।
যারা প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হবে তারা তো আর মদীনা থেকে আসবে না। এখন যারা এক কক্ষ বিশিষ্ট সংসদে নির্বাচিত হয়ে আসছেন, তারাই তখন প্রাদেশিক পরিষদে আসবেন। পরিণাম কী হবে? এখন যেমন কতগুলো শূয়োর একটা জায়গায় ঘোৎ ঘোৎ করে, তখন এটা হবে পুরো দেশজুড়ে। প্রাদেশিক পরিষদেও সদস্যরা তাদের নিজের নেতাকে ফেরেশতা বানাতে চাইবেন, সেটা নিয়ে হাদুমপাদুম করবেন, গালাগালি, কিলাকিলি করবেন। পাবলিক পয়সা খরচ করে এই সার্কাস দেখবে টিভিতে, শুনবে রেডিওতে, পড়বে পেপারে। লাভের লাভ কিছুই না, মাঝখান থেকে আরও কিছু লোকের আর্থ-সামাজিক তাফালিং বাড়বে!
আমি প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থাকে খারাপ বলছি না, বলছি এটা বাংলাদেশের সাপেক্ষে অকার্যকর, দরকার নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তোর যুক্তি অগ্রাহ্য করার মতো না। তবে প্রাদেশিক পরিষদ ব্যবস্থা প্রাদেশিক রাজনীতির ভিত শক্ত করবে।
একটা ছোটো উদাহরণ দেই। নড়াইলের লোহাগাড়ার লোকজন রাজনৈতিক আবুল হিসেবে পরিচিত। এরা কখনোই ঠিক এমপি বেছে নিতে পারেনি। ৯১-৯৫তে এরা লীগের বাক্সে ভোট দিয়েছিলো, ৯৬-০১ এ বিম্পি, আবার ০২-০৭ লীগ। টানা পনেরো বছর বিরোধী দলীয় এম্পি পাঠিয়ে এর পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ, কোনো উন্নয়ন বরাদ্দ পায় না ঐ এলাকা, ওখানে ১০০ মিটার টানা ভালো রাস্তা নাই, মধুমতী নদী পেরিয়ে নড়াইল শহরে যেতে দেড় দুই ঘন্টা লেগে যায়।
এই পরিস্থিতি হয়েছে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা দুর্বল, আর কেন্দ্রীয় সরকারের এক্সট্রিম পোলারাইজেশনের জন্যে। প্রাদেশিক পরিষদ ব্যবস্থায় পরিস্থিতির ভিন্ন চিত্র সম্ভব। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আঞ্চলিক নেতাদেরও নানা বিরোধের কারণে অনেক সময় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় না, প্রাদেশিক ব্যবস্থায় আঞ্চলিক নেতাদের ক্ষমতা বাড়ে, স্থানীয় উন্নয়নের সম্ভাবনাও বাড়ে।
আঞ্চলিক পর্যায়ের রাজনীতিতে সৎ ও যোগ্য মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগও বাড়ে। প্রদেশের কনস্টিটুয়েন্সির রেজোলিউশন আরো বেশি হবে, আরো ছোটো জনপদের রাজনৈতিক আকাঙ্খা সেখানে ফুটে উঠবে।
আমাদের বর্তমান ব্যবস্থা এতো বেশি কেন্দ্রাসক্ত, যে এর পরিণতি আমরা দেখতে পাই ঢাকা শহরের মৃত্যুর মধ্যেই। প্রাদেশিক ব্যবস্থা স্থানীয় অর্থনীতির নতুন কেন্দ্র তৈরি করবে, যেটা খুবই দরকার।
আরেকটু ভাইবা নেই। এখন পর্যন্ত আমার কাছে প্রস্তাবটা ভালৈ মনে হচ্ছে। লেখায় পাঁচতারা।
আমার কাছে তো প্রস্তাবটা ভালোই মনে হচ্ছে। প্রদেশের বিষয়টা না, ঐ মরে যাওয়ার প্রস্তাবটা।
এটাই জেনো হয়। :-) :-)
*************************************************************************
ভবিষ্যতে কি হবে তা ভেবে বর্তমানকে উপেক্ষা করবো কেনো?
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
হ! তোমার বাড়ি মৌলভিবাজার।--এই জন্যে এত খুশী!_
___________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
যে প্রেক্ষিতে প্রদেশের কথা উঠেছে এবং এই পোস্টে অনেকের সমর্থনও পাচ্ছে, তার মূল কারন হচ্ছে ঢাকা থেকে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু সরিয়ে দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ভাগ করা। স্থানীয় উন্নয়নের প্রশ্নও এর সঙ্গে জড়িত।
তবে আসল কথা হচ্ছে আমাদের দেশের গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকশিত হতে দেওয়া হচ্ছে না। নড়াইলের লোহাগড়ার মানুষের উন্নতি হবে না, সব উন্নতি হবে সাইফুর রহমানের সিলেটে; এই চিন্তাটাই আমাদের সরকারের অসুস্থ চিন্তা।
সম্প্রতি সংসদ সদস্যদেরকে ১৫ কোটী টাকা দেওয়া হয়েছে উন্নয়নের জন্য, সংবিধান এই জিনিসটা সমর্থন করে না। আইনপ্রনেতারা ঠিকাদারদের সাথে দহরম মহরম করার দায়িত্বে; এই জায়গা থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজতে হবে।
প্রদেশ করলে যে পরিমান অবকাঠামোগত বিনিয়োগ প্রয়োজন, নীতি নির্ধারন দরকার, সেটা বেশ ঝামেলাপূর্ণ। তার চাইতে সহজ হচ্ছে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে বলা, " আপমনি ও খালামনিরা,আল্লাহর ওয়াস্তে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটাকে নিয়ে টানা হেচড়া বন্ধ করেন, তাদের হাতে কিছু কাজের ক্ষমতা দেন।"
গাইবান্ধার অফিসে একটা কাঠের চেয়ার কিনতে হলে ঢাকায় মন্ত্রনালয়ে ফাইল পাঠাতে হয়, এই অবস্থায় প্রদেশ কেনো, আলাদা আলাদা দেশ করেও যদি ফেডারেশন টাইপ কিছু করা হয়, আমাদের তেমন কিছু ফায়দা হবে না।
১। প্রাদেশিক সরকার কথাটা শুনতে ভালো লাগে। কিন্তু বাস্তবে কতটুকু ইমপ্লিমেন্ট যোগ্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে? আর তাতে কতটুকু সুফলইবা আমরা পেতে পারি? এ বিষয়ে বিশদ ফিসিবিলিটি স্টাডির দরকার আছে।
২। প্রদেশের ধরনা এরশাদের প্রথম না। এইটা সিরাজুল আলম খান এর আইডিয়া ছিলো। কাকু শেষ কালে একটা স্টান্ট বাজি করলো আরকি।
৩। ঢাকা সিটি কে জাহাংগীরনগরে না রেখে আলাদা রাখা যায়। যেমন ওয়াশিংটন ডিসি কোন স্টেটের অংশ নয়।
৪। জালালাবাদ আর জাহানাবাদ নাম দুটো পছন্দ হলো না। এই নামের ভিত্তি কি? জালালাবাদ হওয়া উচিৎ শ্রীহট্ট। খুলনা রিজিয়নের নাম কি হবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না, তবে অবশ্যই জাহানাবাদ হতে পারে না। এই সব পীর ফকির এর কারনে কি আমাদের সব আইডেনটিটি মুছে যাবে নাকি?
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
আপনি সিলেট শহরে গিয়ে খালি এটা বলে দেখেন
জাহানারা ইমাম হলের নাম কিন্তু এখনো ছাত্রী হল-১...
সিলেটে গিয়ে বলার কোন ইচ্ছা নাই রে ভাই। সিলেটিরা সিলেটি, বাংগালি না। এই কথা অবশ্য আমার নয়। আমার স্ত্রী যখন সিলেটে বেড়াতে গিয়ে রিক্সায় তিন বান্ধবি মিলে উঠেছিল তখন জনৈক সিলেটি রসিক ছোকড়া টিজ করে বলেছিল - দেখ দেখ বাংগাল মাইয়ারা যায়!
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
টিট ফর ট্যাট— আপনারও উচিৎ সিলটী কোনো বালিকা বহর খুঁজ বের করে চিৎকার করে বলা, "ঐ দ্যাখ সিলটী ললনারা হাঁটি যায়!"
অবশ্য একটু সতর্কীকরণ আছে। এই উক্তির পর নিউটনের তিন নাম্বার সূত্রের প্রয়োগের সম্ভাবনা দেখা দিলে পরামর্শদাতাকে কোনোভাবেই দায়ী করা যাবে না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"এই সব পীর ফকির এর কারনে কি আমাদের সব আইডেনটিটি মুছে যাবে নাকি? "
এই পীর ফকির রা আমাদের ' আইডেনটিটি'র বাইরে কিছু না। শাহজালাল বা খান জাহান আলিরা আমাদের পূর্ব বংগের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিভাগের নাম কি হবে সেটা ভিন্ন প্রসংগ, কিন্তু শাহজালাল বা খান জাহান আলিদের উপেক্ষা করার প্রবণতা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীকেই সাহায্য করবে।
আমি এরশাদের এই প্রস্তাব অন্তত দুই বছর আগে পড়ছিলাম, যুগান্তরে । সে কলাম লিখছিল, যুগান্তরের কিছু একটা উপলক্ষ্যে । লেখার মান বেশ ভালো ছিল , প্রস্তাব তো পছন্দ হইছিলই। আমি অবাক হয়ে গেছিলাম এই বুইড়া এমুন আইডিয়া + লেখা কেম্নে লিখলো !!
পরে এক আত্মীয় বলছিল এইটা (লেখাটা ) অন্য কাউরে দিয়া লেখাইছে, কবিতাও নাকি তাই করত!
দুই প্রস্তাব এই
পিপিদা বলেছেন
অনেকেই বলেন এরশাদ নাকি হাসিনা খালেদাদের চেয়ে ভালো ছিল। উন্নয়নের যা কিছু হয়েছে তা তার আমলেই হয়েছে। এমনকি তারা এটাও বলেন যে এরশাদের দূর্নীতি নাকি এদের দুর্নীতির কাছে দুধভাত। কেউ কি তথ্য প্রমাণ দিয়ে সমর্থন বা খন্ডাতে পারেন? জানার ইচ্ছে হলো, তাই প্রশ্নটা রেখে গেলাম।
আমিও জানতে চাই , কারণ আমিও এই কথা শুনছি ।
এরশাদ এর কুকীর্তি বিস্তারিত জানার উপায় কি? বিদিশার কি সত্যি এরশাদের উপর বই আছে নাকি?
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
১.
এরশাদকে দুই বিবির চাইতে ভালা পাই। সম্ভবত: দুই বিবির তুলনায় তার প্রফেশনাল যোগ্যতা একটা কারণ আর আমার বয়সের দোষ আরেকটা কারণ। (তার আলুর দোষ দেখার চেয়ে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার রাস্তা/সেতু আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেন জানি ক্লিনটন আর সারকোজির কথা মনে পড়লো)
২.
সবাই কেন যে আয়তন নিয়ে চিন্তা করে বুঝি না - এইটার একক কী?-বর্গকিলোমিটার নাকি ঘনকিলোমিটার!! আমি আবার ক্ষেত্রফল (=দৈর্ঘ*প্রস্থ) অথবা আকার বললে ভালো বুঝি। আয়তন বললেই মাথায় প্যাঁচ লাগে - একক তো ঘন-কিলোমিটার হবে ... তাহলে কি উচ্চতা ১ কি.মি নিয়েই সকলে সন্তুষ্ট ... ইত্যাদি।
৩.
হিমুর লেখা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই ()। মন্তব্যগুলো থেকেও অনেক কিছু জানলাম।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
রাস্তা সেতু এরশাদ তার বাপের পকেট থেকে টাকা বের করে এনে বানায়নি। নয় বছরের জন্য আমাকে প্রেসিডেন্ট বানান, দেখেন কত রাস্তা করে দিবো।
এরশাদকে লোকে লাম্পট্যের জন্য ক্ষমতা থেকে নামায়নি, নামিয়েছে সীমাহীন দুর্নীতি করে দেশটাকে ফোঁপরা বানানোর জন্যেই। আমরা দুর্নীতিবাজদের নিজের অজান্তেই ক্ষমা করে দিতে থাকি। তারেক জিয়ার মতো একটা ডাউনরাইট চোরকে আবার নেতা বানানোর প্রক্রিয়া এজন্যেই সম্ভব হয়।
টানা নয় বছর থাকলে হয়তো দুই বিবির দলই এমন করতে পারতো ... সমস্যা হয়েছে সম্ভবত গ্যাপ দিয়ে দিয়ে ৫ বছর পাওয়াতে। কিন্তু আপনি তখনই রাস্তা বানাবেন যখন আপনি এটার স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব উপলব্ধি করবেন (টেবিলের তল দিয়ে শেয়ারের ব্যাপারটা যে কোনো খাতেই থাকবে) -- এইখানেই সাবেক সেনাপ্রধানের প্রফেশনাল ট্রেনিংজনিত যোগ্যতা দেখেছিলাম। এখন অবশ্য মরলেই ভালো ... ... সেই যোগ্যতা বৃদ্ধতাজনিত সমস্যায় জর্জরিত।
এছাড়া একনায়কতন্ত্র+সেনাবাহিনীর ব্যাকআপও একটা যোগ্যতা ছিল (চোখ টিপি) .... না হলে ঢাকা শহরের ভেতরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাই সেনাশাসনের সময়ে হয় কেমতে ... চিন্তা করেন... বাড়ি ঘর ভেঙ্গে রোকেয়া সরনি, বিজয় সরনি, বিশ্বরোড, পান্থপথ - এইগুলো কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে করা সম্ভব হত না। আবার ইদানিংকালের ড়্যাংগস ভবন ভেঙ্গে রাস্তা, হাতিরঝিল প্রজেক্ট (অনেক ভূমি অধিগ্রহণ করা লেগেছে), মিরপুর১২-এয়ারপোর্টরোড লিংক, আগারগাও-এয়ারপোর্টরোড লিংক ইত্যাদি যেগুলো তৈরী হচ্ছে সেগুলোও জলপাই ছায়ায় ফকরুদ্দিন সরকারের সময়ে শুরু করা।
নয় বছর যেই দূর্নীতি ধামাচাপা দিতে পেরেছিলো সেটা চাইলে হয়তো আরও কিছুদিন ধামাচাপা দিতে পারতো। আর হাসিনা তো ৮৬তে ম্যানেজ হয়ে নির্বাচন করেছিলো ... পরেরবারও ম্যানেজ করা সম্ভব ছিলো হয়তো। তাই এরশাদকে ক্ষমতা থেকে নামানোর ব্যাপারে ভিন্ন একটা ইস্যূর অপ্রকাশিত গল্প হালকাভাবে জানি। সামনে যেই আন্দোলন হয়েছিলো সেটার মোটিভ যাই থাকুক ... পেছনে হংকং-প্রীতির একটা বিরাট হাত আছে বলে শুনেছিলাম। সেই সময়ে হংকং-কে চায়নার কাছে ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া চলছিলো। হংকং-এর বড় অর্থনৈতীক প্রতিষ্ঠানগুলো (এইচ.এস.বি.সি ব্যাংক সহ) নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলো .... নিরাপদ জায়গা খুঁজছিলো। এরশাদ ওদেরকে এদেশে জায়গা দিতে চেয়েছিলো .... .... এইটাতে কারো বাড়া ভাতে ছাই পড়েছে জন্য এরশাদের বিরূদ্ধে আন্দোলনে ঘি ঢালা হল --- বাকী ইতিহাস সকলের জানা।
দূর্নীতি আর অত্যাচারের জন্যই তো প্রতিবার নির্বাচনে সরকার বদল হচ্ছে গত কয়েক নির্বাচনে - এ আর এমন কি। পিপিদার মত আমিও এরশাদের সাথে বাকী দুই বিবির দূর্নীতির তুলনাটা জানতে আগ্রহী।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
হংকং প্রীতির কথাটা কি সত্যি? এটা কখনো শুনি নাই। আমার জানাশোনা একটু কম। তার মানে এর উল্টাটা হলে এই হারামজাদাটা এখনো আমাদের শাসন করতে পারত!!??
===অনন্ত ===
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
"এরশাদকে লোকে লাম্পট্যের জন্য ক্ষমতা থেকে নামায়নি, নামিয়েছে সীমাহীন দুর্নীতি করে দেশটাকে ফোঁপরা বানানোর জন্যেই। আমরা দুর্নীতিবাজদের নিজের অজান্তেই ক্ষমা করে দিতে থাকি। তারেক জিয়ার মতো একটা ডাউনরাইট চোরকে আবার নেতা বানানোর প্রক্রিয়া এজন্যেই সম্ভব হয়। '
সহমত।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
মন্তব্যগুলো পড়ে একটা বিষয় দেখলাম যেটা ঘুরে ফিরে অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের সমালোচনায় আসে। মানুষের নৈতিকতার কাছে অনেক কিছু আশা করি। এমনটা কি আসলেই খুব দরকার? যা বলতে চাচ্ছি, মানুষের স্বার্থতাড়না তো একটা সর্বজনীন ব্যপার। যদি দেখা যায় যেই যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবন তাহলে বুঝতে হবে দোষ ঠিক রাবনের নয়। লঙ্কার ভেতরে কোথাও সমস্যা আছে। কাজেই এখানে দেখা যাচ্ছে যে মাঝারি আর ছোট সাইজের নেতাদের রাজনৈতিক সাফল্য আর প্রাপ্তি মূলত নির্ভর করে হাসিনা খালেদাদের গুডবুকে থাকার ওপর। তারা সাধারন মানুষের গুডবুকে থাকুক আর না থাকুক কিছু আসে যায়না। ১/১১ এর পর ফকরুদ্দিন সাহেবের সরকার স্থানীয় সরকারের নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের আগে করতে চেয়েছিল যাতে তাতে দলির রাজনীতির চেয়ে জনসম্পৃক্ততার প্রতিফলন বেশি থাকে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে আশাবাদি হয়ে উঠেছিলাম কিন্তু ততদিনে জলপাই রং্যের কল্যানে আর জলপাইদের বুদ্ধির দরুন এই সরকারের (যার মধ্যে টেকনোক্রেসি আর জলপাইয়ের মিশ্রন ছিল) জনপ্রিয়তা পড়তির দিকে; ফলে যা হল, হাসিনা খালেদাদের চাপে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত সংসদ নির্বাচনের পর হয়েছে স্থানীয় পরিষদের নির্বাচন। কিন্তু তারাও এখন ক্ষমতার জন্য আহাজারি করে মরছে। আর সাংসদদের সামনে তাদেরকে আরো দুর্বল করতে এখন সাংসদদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে অনেক টাকা। এর একটা বড় অংশ সামনে রাজনৈতিক প্রচারনার জন্য ব্যবহার হবে। যেহেতু আওয়ামি এমপিরাই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট এতে করে তারাই যে বেশি উপকৃত হচ্ছে। আর বিএনপির গাধাগুলো ভাবছে বাহ আমাদেরকেও দিল আমরাও খুশি (আওমিলিগও অনেকটা উদারতার সার্টিফিকেট পেয়ে গেল এই ফাকে; একঢিলে সব পাখি মেরে দিল তারা)। অন্যদিকে স্থানীয় উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আর্থিক ক্ষমতাহীন। এখানে রাজনৈতিক কেন্দ্রের আচরন ক্রমাগত পর্যালোচনা করলে বোঝা যাবে আসলেই কি কি পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা কেন্দ্রের শক্তিকে ধরে রাখছে। কেউ চাইলে একটা ধারাবাহিক লেখা শুরু করতে পারেন সংবাদ পর্যালোচনা করে। খুব দরকারি কাজ হবে।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে পর্যালোচনা করে বিরোধিদলগুলোর মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে। যাতে অন্তত আন্দোলনের এজেন্ডা হিসাবে হলেও এটাকে তারা সামনে নিয়ে আসে। আর কোন বিষয়গুলোকে তারা এজেন্ডাতে আনবে তা নির্ভর করছে জনচাহিদার উপর। সেটার আওয়াজ আগে ওঠা দরকার। ব্যপক আকারে। তবে এটা ঠিক এখন পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তার আলোচনা কেবল একাডেমিক পরিসরেই সীমাবদ্ধ। উদারহনস্বরূপ বলা যায় বর্তমান অর্থমন্ত্রী স্থানীয় সরকারের একজন কড়া প্রস্তাবক। কোথাও তিনি এবিষয়ে একটা নিবন্ধও জমা দিয়েছিলেন। তাছাড়া টেকনিকাল পর্যায়ে জিল্লুর রহমান, গোলাম রহমান এরা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নিয়ে অনেক গবেশনামূলক লেখা লিখেছেন।
স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে সবধরনের ব্যবস্থাতেই মানুষের স্বার্থতাড়নাকে কাজে লাগিয়েই পুরষ্কার তিরষ্কারের বিধিগুলো ঠিক করা দরকার পরে। যদি কাজ না করলে খেতে পারা যায় কয়জন লোক কর্মবীর হয়? দেশপ্রেম, মানবতাবোধ এগুলো খুব ভাল গুন সন্দেহ নেই, কিন্তু সমাজব্যবস্থার সাফল্যের জন্য একটা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকানর দরকার আছে। বিদ্যমান ইন্সেন্টিভ মেকানিজমের দিকে তাকানর দরকার পরে। যেসব দেশে দুর্নীতি বাংলাদেশের চেয়ে কম সেখানে কি কেবল মানুষের নৈতিকতা বোধের প্রাচুর্য নাকি অনুকুল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এই পার্থক্যের জন্য দায়ি? বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাফল্যের পুর্বশর্ত কি? মানুষের আস্থা অর্জন? কৈ? দেশের মানুষের আস্থা কি আওয়ামিলীগের উপর না বিএনপির উপর? তারপরও ঘুরে ফিরে এরাই দেশ শাসন করে আসছে; এটা কি আসলে সাধারনের মতামতের প্রতিফলন?
একজন সাংসদ তাই করেন যা করলে রাজনীতিতে টিকে থাকা যায় বা ভাল করা যায়। আর সেই গেমে যারা ভাল স্বভাবত তারাই রাজনীতি করে। আপনি ভাবছেন তাকে অনেক সৎ আর উদার হতে হবে। কিন্তু তা কেন? তাকে তার নির্বাচনি এলাকার মানুষের কাছেই যদি তার নেতা বা নেত্রীর চেয়ে বেশী জবাব দিহি করতে হত ত। মূলত খেলার এই নিয়মটা না পাল্টান গেলে অর্থবহ রাজনৈতিক অর্থনৈতিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমরা যতই নিরাশাবাদি হয় সত্য এইযে পরিবর্তন আসে, পরিবর্তন আসবে, মানুষের হাত দিয়েই, খরকুটোটি না নেড়ে, পারস্পরিক গালাগালি আর গুষ্টি উদ্ধার করে নয় কাধে কাধ মিলিয়ে। জতিগত ভাবে এই শিক্ষাটাকে আমি সবচেয়ে দরকারি মনে করি।
আহা বিটিভির আটটার সংবাদ খুললেই তেনারে নিয়া ১৫ মিনিটের ফিরস্তি শুনতে ও বাধ্যতামূলক ভাবে দেখতে হইতো (তখন ওই একটাই চ্যানেল ছিলো !)। হ্যাতে কত কিলোমিটার গাড়ি নিজ হাতে চালাইয়া কুন গ্রাম পরিদর্শন করছে তার বিকট বর্ণনা । সাথে বোনাস ছিলো ফাষ্ট্ লেডী হিলারী কিলটন মানে বেগম রওশন আর চিনি জাফরদের নিউজ কাভারেজ !!
এই বি.বি এরশাদের(বিশ্ব বেহায়া) একটা কৃতিত্ব (!) হইলো হ্যাতে সংবিধানের উপর আর একটা ছুরি মাইরা বাংলাদেশের খৎনা সম্পন্ন করছে। রাষ্ট্র ধর্ম বইলা দেশর মানুষরে একটা নতুন জিনিস উপহার দিছে ! লিষ্টি লম্বা কইরা লাভ নাই । আমাগো স্মৃতিশক্তি খুব একটা উৎসাহব্যঞ্জক না । স্বৈরাচার এরশাদ এইকারণেই আবার রাজনীতিতে আসার ছাড়পত্র পায় !
মনে লয় হ্যাতে আরও বেশকিছু বছর জীবিত থাইক্যা আরও কিছু নারী দূষিত করবো আর ফাও হিসাবে রাজনীতিতে আরও কিছু চমক দেখাইবো!!
হিমু ভাইয়ের লেখা যথারীতি সেইরম' সাথে কিছু প্রতিমন্তব্যগুলিও ।
আমার ধারণা দেশকে প্রদেশে ভাগ করলেও সেটা দেশের জনগনের কোনো উপকারে লাগবো না। কারণটা প্রফেসর সিরাজুল ইসলামের একটা প্রবন্ধ থেকে খানিকটা অনুমান করতে পারি,
-----------------------------------------------------------
তারাপ কোয়াস
রাজনৈতিক আলোচনা জমেছিল ভালই... একটু বিলম্ব হলেও চোখে পড়লো।
এতোকিছু জানা ছিল না, মন্তব্যগুলো পড়ে অনেক কিছু জানলাম।
অনেকেই এরশাদের প্রশংসা করে যাচ্ছেন। উন্নয়নের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন অন্যায়।
এরশাদ রাস্তাঘাট বাঁধ বিষয়ে কিছু কাজ করছে। এগুলো চোখের জন্য আরামদায়ক। ঢাকা শহর রক্ষা বাঁধ, পান্থপথ... এরকম বেশকিছু।
হাঁটু বাহিনীর একটা সিস্টেম আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া কিছু বোঝে না। ধরেন দূর্গম একটা এলাকায় সাহায্য দিতে হইবো, আমরা হইলে ধার কর্জ্য কইরা একটা দুইটা নৌকা নিয়া যাবোগা চাউল রুটি দিতে। কিন্তু হাঁটু বাহিনী তা করবে না। মানুষ না খেয়ে মরুক, তবু আগে রাস্তা ঠিক করবে, প্রয়োজনে বেইলি ব্রিজ বানাবে, তারপর দিবে ত্রাণ। আজাইরা বসে থাকা সেনাবাহিনী এই কাজগুলো করবেও দ্রুতগতিতে।
তো বিষয় সেখানেই। এরশাদের দূর্ণীতি করতে হইলেও রাস্তাঘাট লাগে। আর এগুলা তো আই ওয়াশের জন্য খুবই উপকারী... দূর্ণীতির কথা লোকে ভুলে যাবে, কিন্তু রাস্তা থাকবে।
যেই কারণে আইয়ুব খান-কীর ছেলেরেও এদেশের মানুষ ভালো মনে করে, কারণ সে এদেশে একটা দৃষ্টিনন্দন সংসদ ভবন, সেকেন্ড ক্যাপিটাল, কমলাপুর রেল স্টেশন... এইসব বানাইছিলো।
এইগুলা গুলায়া সেই পানিতে অজু করলেও তো আইয়ুবের পাপ যাবে না কোনোকালে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
+
এর বাইরেও অর্থনীতির সামান্য যেটুকু পড়েছি তাতে জানি সড়ক অবকাঠামো অর্থনৈতিক উন্নয়নের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পূর্ব শর্ত। আমি আসলে জানতে আগ্রহী আসলেই কি এরশাদের রাস্তাঘাটের পরে আর কোন রাস্তাঘাট হয়নি? এই সন্দেহ থেকেই প্রচলিত কথাবার্তা আমার কাছে একটু অবিশ্বাস্য ঠেকে।
লেখাটি আগেই পড়েছিলাম, কিন্তু তখন এত মন্তব্য ছিল না। আলোচনটি বেশ ভাল হয়েছে দেখছি। নিজের দু'পয়সা যোগ করি।
প্রদেশিক শাসন ব্যবস্থা না করেও আমরা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারি খুব সহজেই। সেটা হল উপজেলা বা স্থানীয় সরকারকে শক্ত করে। সংসদের কাজ শুধু আইনপ্রণয়ন করা। সরকার চলা উচিত তৃনমূল হতে আসা সিদ্ধান্ত হতে। অর্থাৎ স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা হবে সরকারের চালিকা শক্তি। সরকারের যেকোন সিদ্ধান্ত আসা উচিত স্থানীয় সরকার বা স্থানীয় প্রতিনিধি হতে। স্থানীয় সরকার নির্ধারণ করবে তার এলাকায় কয়টা রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল লাগবে। স্থানীয় সরকার ঠিক করবে তার এলাকার জন্য কত বাজেট লাগবে। সে মোতাবেক সরকার বাজেট করবে। এভাবে প্রতিটি সিদ্ধান্ত তৃনমূল হতে আসলে কেন্দ্রকে কিছু চাপিয়ে দিতে হয় না।
সংসদের কাজ হবে শুধু আইন প্রণয়নে। সাংসদদের টাকা দিয়ে এলাকায় পাঠানো উল্টো পথে হাটার মত। যদি একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার থাকে তবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায় এবং কাজও কমে যায়। তখন আর প্রদেশিক সরকারও লাগে না। আমরা যখন একটি সংসদকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না তখন আরো আটটি সরকারের প্রয়োজনবোধ করি না। বরং তারচেয়ে স্থানীয় সরকারদের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি নিম্ন সংসদ করা যেতে পারে। আর বর্তমান সংসদের আকার কমিয়ে কিংবা এদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা পরিবর্তন করে এক উচ্চ সংসদ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
আটটা প্রদেশ, অসুবিধা কি?
তবে সমস্যা হলো বাংলাদেশে সিস্টেমের খুটিতে ভায়াগ্রা লাগবে। ওইটা বরই দুর্বল, খাড়া হয়না।
এস.এস.সি পরীক্ষার বৃত্ত ভরাটের মতো সত্যিকারের ডিজিটাল পদ্ধতি লাগবে সজনপ্রীতি আর দূর্নীতি ঠেকাতে। সকল নিয়োগ এবং টেন্ডার এই পদ্ধতিতে হতে হবে। সকল ভাইবা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। সরকারী ডিসিশন মেকারদের থেকে ব্যাবসায়ীদের দূরে রাখতে হবে।
বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দূর্নীতি দমন কমিশনকে সাধিনতা দিতে হবে।
সাংসদদেরকে ফ্লোরক্রসিং এর অধিকার দিতে হবে।
এবার বলেন কার কি বলার আছে?
নতুন মন্তব্য করুন