১.
হামিদ মির একজন পাঞ্জাবি সাংবাদিক, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদকেন্দ্রিক জিও টেলিভিশনের তিনি কর্তাপদস্থ ব্যক্তি। প্রায়ই দৈনিক প্রথম আলোতে তাঁর লেখা ছাপা হয়। সেগুলো পাকিস্তান প্রসঙ্গে। তাঁর সেই লেখাগুলো পড়ে তাঁকে একজন স্বাভাবিক মানুষ ও অস্বাভাবিক পাকিস্তানী বলে মনে হয়েছে। প্রথম আলোতে আগে ডন এর সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ বাকির নাকভির লেখা ছাপা হতো, ২০০৯ এর ৭ নভেম্বর নাকভির মৃত্যুর পর তাঁর স্থানটি মির দখল করেছেন বলে মনে হচ্ছে।
প্রথম আলোতে মির একটি লেখা দিয়েছেন সম্প্রতি। সেখানে তিনি পাকিস্তানীদের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশীদের কাছে "দুঃখ প্রকাশ" করতে এবং এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক নতুনভাবে শুরু করতে।
যেহেতু মিরের লেখা ইংরেজিতে আসে, এবং সেটার একটি বাংলা অনুবাদ করা হয় প্রথম আলোতে, তাই আমরা ধরে নিতে পারি, মির দুঃখ প্রকাশ বলতে হয়তো রিগ্রেট বা সমার্থক শব্দ ব্যবহার করেছেন।
মিরের লেখায় আমরা তাঁর ব্যক্তিগত দুঃখ প্রকাশের কথা জেনেছি। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের অনেকে তাঁর এই অবস্থানের কারণে ক্ষিপ্ত।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সরকারী পর্যায়ে "দুঃখ প্রকাশ" এর যেসব মৃদু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে গত ৩৯ বছরে, সেগুলো সম্পর্কে আমরা একটা ধারণা পেতে পারি দৈনিকে প্রকাশিত হাসান ফেরদৌসের একটি লেখায়।
২.
মির সাহেবের জন্যে এবার একটি ঘটনা তুলে ধরবো। ক্ষমতা জবরদখলকারী পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ বাংলাদেশ সফর করেছিলো ২০০২ এর জুলাই মাসে। পাকিস্তানী প্রেসিডেন্টের আগমন উপলক্ষে খুব স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পক্ষ থেকে একটি জোর দাবি ওঠার কথা ছিলো, ১৯৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা নিয়ে। ওঠেনি।
ওঠেনি তার কারণ এই পাক জেনারেল বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার আগে বিনা কারণে শামসুন্নাহার হলে ছাত্রীদের ওপর মাঝরাতে পুলিশ আক্রমণ করে, মেয়েদের লাঠিপেটা করে এবং রমনা থানার হাজতে নিয়ে আটক করে। সারা বিশ্ববিদ্যালয় অপদার্থ উপাচার্য আনোয়ারউল্লার প্রত্যক্ষ মদদে ছাত্রীদের ওপর এই বর্বর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে, আনোয়ার হোসেনের মতো বর্ষীয়ান অধ্যাপক পর্যন্ত প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পুলিশের লাঠিপেটায় পা ভেঙে হাসপাতালে যান, বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং খুব সফলভাবে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পাক জেনারেল পারভেজ মুশাররফের আগমন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭১ সম্পর্কে যে কোনো বক্তব্য আসার প্রক্রিয়াকে ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয়। ঢাকার কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন এই মনোযোগ দিকভ্রান্ত করার রাজনীতিটি ধরতে সমর্থ হয়নি, এবং জোট সরকারের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে সকলে তাদের নিয়মে খেলে গেছে। নিরিবিলি ঢাকায় নেমে পাক জেনারেল মুশাররফ স্মৃতিসৌধে যান, পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন, এবং একটি মৃদু আপসোসবাণী উচ্চারণ করেন,
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এতেই খুশিতে গদোগদো হয়ে পাক জেনারেলের ঢাকা সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন।
৩.
মির সাহেবকে এবার একটা ছোট্ট গল্প বলবো।
১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় যখন বাংলাদেশের দক্ষিণভাগকে পিষে গেছে, সাহায্যের জন্যে গোটা উপকূলীয় অঞ্চল হাহাকার করছে, পাক জেনারেল ইয়াহিয়া যখন ঝড় আঘাত হানার চৌদ্দদিন পর নিতান্ত বাটে পড়ে সরজমিন পরিদর্শনে এসেছে স্বল্প সময়ের জন্যে, কাছাকাছি সময়ে তখন পূর্ব ইয়োরোপে রাজনৈতিক পরিবর্তনের তোড়জোড় চলছে। পূর্ব ইয়োরোপের দেশে তখন পা রেখেছেন পশ্চিম ইয়োরোপের এক নেতা। সীমান্ত বিষয়ক উত্তেজনা প্রশমন চুক্তি করতে তিনি এসেছেন এমন এক দেশে, যেখানে তাঁর দেশ পৃথিবীর ইতিহাসের নৃশংসতম বর্বর কীর্তিগুলোর একটি ঘটিয়েছিলো কয়েক দশক আগে।
চুক্তি যেদিন স্বাক্ষরিত হয়ে, ৭ ডিসেম্বর, সেই নেতা একটি স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে যান। মালাটি নামিয়ে রাখার পর উপস্থিত জনতাকে স্তম্ভিত করে দিয়ে তিনি মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করেন।
ঐ নেতার নাম ভিলি ব্রান্ট, আর ঐ দেশটির নাম পোল্যান্ড, যে পোল্যান্ডকে নাৎসি জার্মানি ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিলো। সেই স্মৃতিসৌধের নাম এয়রেনমাল ডের হেল্ডেন ডেস ঘেটোস [ওয়ারশ ঘেটোর বীরদের সম্মানে স্মৃতিসৌধ]। ভিলি ব্রান্ট পরাক্রান্ত পশ্চিম জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন তখন। ঐ ঘটনাকে জার্মানরা বলে ক্নিফাল ফন ভারশাউ [ওয়ারশয়ে হাঁটু গেড়ে বসা], এবং এটি জার্মান রাজনীতির ইতিহাসে প্রবল আলোচিত একটি বিষয়।
ব্রান্ট প্রকাশ্যে ক্ষমা চাননি, ধোঁয়াটে দুঃখপ্রকাশ করে অতীতের পাপ ঢাকতে চাননি, কোনো কথাই বলেননি, শুধু নিঃশব্দে হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছিলেন স্মৃতিসৌধের সামনে।
পশ্চিম জার্মানি-পোল্যান্ড শান্তিচুক্তির জন্যে ব্রান্ট পরের বছর, ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর, যখন আমরা বাংলাদেশে পাকিস্তান বাহিনীকে আঘাতের পর আঘাতে কাবু করে আনছি, শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন। পোলিশরাও ব্রান্টের এই ভঙ্গিমার সম্মান দিয়েছিলো খানিকটা। সেই স্মৃতিসৌধ থেকে কয়েকশো মিটার দূরে তারা আরেকটি প্ল্যাকেট বসিয়েছিলো জার্মান নেতার এই হাঁটু গেড়ে বসাকে স্মরণীয় করে রাখতে।
পশ্চিম জার্মানির বিরোধী দল সিডিইউ-সিএসইউ তীব্র সমালোচনা করেছিলো ব্রান্টের এই ভঙ্গিমার; একটি জরিপে দেখা গিয়েছিলো ৪৮% জার্মান মনে করেন, এই আচরণ বাড়াবাড়ি। পোলিশরা একজন বুন্ডেসকানৎলারের এই ভঙ্গিমাকে গুরুত্ব দিয়েছিলো, কারণ ব্রান্ট কোনো ভুঁইফোঁড় ক্ষমতা জবরদখলকারী ছিলেন না, ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৬ পর্যন্ত বার্লিনের নগরপাল ছিলেন, ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত চ্যান্সেলর এবং ১৯৬৯ সাল থেকে চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। তাঁর এই ভঙ্গির মূল্য ছিলো।
ব্রান্টকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, আপনি যে ওভাবে হাঁটু মুড়ে বসে পড়েছিলেন, এ কি পূর্বপরিকল্পিত ছিলো? ব্রান্ট উত্তর দিয়েছিলেন, „Ich hatte plötzlich das Gefühl, stehen reicht nicht!“ [আমার হঠাৎ এই অনুভূতি হয়েছিলো যে দাঁড়িয়ে থাকা যথেষ্ঠ নয়]।
৪.
মির সাহেব, "দুঃখ প্রকাশ" যথেষ্ঠ নয়। গোটা পাকিস্তান মিলে "দুঃখ প্রকাশ" করলেও না। আপনাদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। কোনো ভুঁইফোঁড় ক্ষমতা জবরদখলকারীর মৃদু আপসোসবাণী গ্রহণযোগ্য নয়। পার্লামেন্টে এই ক্ষমাপ্রার্থনার প্রস্তাব পাশ করার পর আপনাদের উচ্চ পরিষদের প্রধান এবং তিন বাহিনীর প্রধানেরা ঢাকায় আসবেন, শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে বা হাঁটু গেড়ে বসে ক্ষমা চাইবেন। ইংরেজিতে অ্যাপলজি কথাটার মানে দেখাচ্ছে, অ্যাডমিশন অব গিল্ট অ্যাকমপ্যানিড বাই এক্সপ্রেশন অব রিগ্রেট। আপনারা ঐ চারজন স্বীকার করবেন, ১৯৭১ সালে আপনারা যা করেছেন, তা অন্যায় ও অপরাধ ছিলো এবং তারপর যে দুঃখ প্রকাশ করার কথা বলছেন, তা করবেন।
এরচেয়ে কম কোনো কিছু আমরা গ্রহণ করবো না।
সালাম।
মন্তব্য
এরচেয়ে কম কোনো কিছু আমরা গ্রহণ করবো না। কিছুতেই না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
একজন পাকিস্তানীর বিবেক জাগছে, জাগুক সবার। অনুতাপ আসুক, ধিক্কার দিক নিজেদের। ক্ষমা চাইতে আসুক আমাদের কাছে, হয়তো আমরা ক্ষমা করবো, কেবলি 'হয়তো'..।
ক্ষমা করার হক নিয়ে যাঁরা এখনো আছেন, তাঁদের যে আমরা হারিয়ে ফেলছি ধীরে ধীরে।
মর্ম
ক্ষমা দুঃখ বুঝি না, বিচার চাই। ১৯৭১ এর ক্লোশার (বাংলা কি হবে ?) হয় নি এখনো।
দুঃখপ্রকাশ যথেষ্ট নয়।
---আশাহত
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
সালাম, হিমু ভাই
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আমরা কি ক্ষমা গ্রহণ করবো? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বহু বছর পরেও নাৎসীদের ধরে ধরে বিচার করা হয়েছে আন্তর্জাতিক আদালতে। হত্যার হারের দিক দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চাইতেও ভয়াবহ ছিল আমাদের একাত্তর। আমরা কেন ওরা ক্ষমা প্রার্থনা করলেই গ্রহণ করবো?
ক্ষমা আর বিচার- দু্ইটা ভিন্ন জিনিস।
যে অপরাধ করেছে সে ক্ষমা চা্ইতে পারে। ্আর বিচারের ক্ষেত্রে যে ঘটনার স্বীকার সে বা অন্য তৃতী কোনো পক্ষ বিচার করতে পারে।
বিচার আর ক্ষমাকে এক লাইনে ্আনা ঠিক না।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
অসাধারণ!
এই রকমই একটি বক্তব্য আশা করছিলাম।
===অনন্ত ===
আমার রেটিং দেয়ার ক্ষমতা নেই। থাকলে এই পোস্টে যতবার আসতাম, ততবার রেটিং দিতাম।
লেখার শেষটা এতটাই মোহবিষ্ট করে রেখেছিল যেন মনে হচ্ছিল রক্তে কিছুর তাড়ণা অনুভব করছি।
টুইটার
হিমু ভাই,
খোমা খাতায় লিংকটা শেয়ার করতে পারি?
রনি।
বিচারের ব্যপারে কোন আপোষ নয়। পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ব্যপারেও আমার আপত্তি। আমার জানামতে পাকিস্তানিরা বাংলাদেশে ধ্বংসযজ্ঞের জন্য ক্ষতিপূরণতো দেয়নি, উলটো আমরা পূর্ব পাকিস্তানের ঋণগুলো নিজেদের ঘাড়ে নিয়েছিলাম।
হামিদ মীরের প্রবন্ধখানি কি শুধু বাংলাদেশের প্রথম আলোর জন্য লেখা? নাকি এটা কোন পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে ছাপা হয়েছিল, সেখান থেকে অনূদিত? যদি এটা প্রথম আলোর জন্য ফরমায়েসি লেখা হয় তাহলে তিনি কি ভেবেছিলেন তা দিয়ে আমি থোড়াই কেয়ার করি। বাংলাদেরশের পত্রিকায় উনি পাকিস্তানিদের কিভাবে ক্ষমার আহবা জানিয়ে মহৎ হতে চান সেটাও আমার প্রশ্ন। আর এটা যদি পাকি কোন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে সেই লেখায় পাকিদের মতামত জানতে আমি আগ্রহী। মূল ইংরেজী লেখা খোঁজার চেষ্টা করে পেলামনা, কেউ পেলে লিংকটা দিলে বাধিত হব।
নেট ঘেঁটে যা জানলাম, হামিদ মির আসলে ডেইলি স্টারের জন্যে লেখেন, আলুতে সেটার অনুবাদ ছাপা হয়।
এটা মূল লেখা।
লিংকের জন্য ধন্যবাদ হিমু ভাই। মূল লেখায় যদিও সে এপোলোজি শব্দটা ব্যবহার করেছে, কিন্তু এই লেখা কোন পাকি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা রেডিফ লেখাটাকে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে, সেখানে কিছু ইন্টারেস্টিং কমেন্ট পড়লাম!!!।
মূল লেখায় saying sorry আর apology কৌশলে মেশানো আছে। দুইটা দুই জিনিস।
কিছু ভারতীয় ত্রিভুজের মন্তব্য আছে বটে।
এখানে সে কি লিখল আর ব্যক্তিগতভাবে কি ভাবল তাতে আসলে কোন মহাভারত শুদ্ধ অশুদ্ধ হয়না। সার্চ করে দেখলাম জিওটিভির বেশ হোমরাচোমড়া এই হামিদ মির সাহেব। সুতরাং তিনি আন্তরিকভাবে চাইলে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য অনেক কিছুই করতে পারে। উদাহরণস্বরুপ বলা যেতে পারে, একাত্তরের ঐতিহাসিক তথ্যগুলো নিয়ে ডকুমেন্টরি ইত্যাদি প্রদর্শন।
এসব কিছু ছাড়া, এই লেখাটা আমার কাছে ফরমায়েসি আর ভাড়াটে লেখার বাইরে কিছুই মনে হচ্ছেনা।
মাঝখান দিয়ে আলু আর ডেইলি স্টার কিছু বাহবা কুড়াবে এই যা।
- সাফি'র পয়েন্টটা গুরুত্বপূর্ণ।
হামিদ মিরের এই লেখা ডেই স্টারে ছাপা হলেই কি আর সংগ্রামে ছাপা হলেই কি? এই লেখার টার্গেট পাঠক তো বাংলাদেশী হওয়ার কথা না। এইটা তো পাকিস্তানীদের উদ্দেশ্যে হওয়ার কথা। নাকি, হামিদ মির আর স্টার-আলু পেপারের সম্পাদকরা মনে করেন যে বাঙালিদেরই ক্ষমা চাইতে হবে পাকিস্তানিদের পক্ষে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এরচেয়ে কম কোনো কিছু আমরা গ্রহণ করবো না
হিমুর ফিকশন বাদের লেখালেখির মধ্যে এটা সবচেয়ে ভাল। সবচেয়ে।
সালাম।
এরচেয়ে কম কোনো কিছু আমরা গ্রহণ করবো না।
জ্বরে মাথা ঘুরছে, মূল লেখাটা পরে পড়বো...
তবে কথা একটাই;
"এরচেয়ে কম কোনকিছু আমরা গ্রহণ করবো না"
স্যালুট হিমুদা!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখায়
মূল লেখায় "দুঃখ প্রকাশ" শব্দদ্বয় চোখে পরেছিল, কিন্তু আমার মনে হয়েছে শুধু "দুঃখ প্রকাশ" কোনভাবেই যথেষ্ট হতে পারে না। তাদের "নিঃশর্ত ক্ষমা" চাইতে হবে। কিন্তু আমার মনে হয় না এই কুত্তার বাচ্চাদের কোন দিনই ক্ষমা করা সম্ভব।
হিমু ভাইয়ের এই লেখাটাই বরং আলুপেপারে পাঠিয়ে দেয়া উচিৎ। সিরিয়াসলি বলছি, হিমু ভাই একটু সাইজ করে পাঠিয়ে দেন।
------------
২০০৭ এর একটা ছবি মনে পড়ে- তখন ব্লগস্পটে লিখেছিলাম এটা নিয়ে-
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
লেখাটা বরং আমরা ফেসবুকে স্প্যামাই। আলুপেপারে কিছু লিখতে হবে ভেবে নিজেকে সুমন রহমানের মতো লাগছে।
ঠিক মাঝের জন হামিদ মির বলে মনে হচ্ছে -
উইকি থেকে হামিদ মির এর ছবি পেলাম
আচ্ছা লাদেনের সাক্ষাতকার নিয়েছিল যে, এ সেই হামিদ মীর না?
ইয়াপ, এই সেই মীর সাহেব।
===অনন্ত ===
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অনেক ধন্যবাদ। আরো ধন্যবাদ ১৯৭৩ সালে প্রথম পাকি রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে ভূট্টোর বাংলাদেশ সফরের কলংককে চেপে যাবার জন্য। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়া এই পাকি রাষ্ট্র প্রধানকে তখন লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। ছাত্র ইউনিয়নের মৃদু প্রতিবাদ পুলিশের সফল লাঠি পেটায় ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিলো। ভুট্টো দুঃখ-ক্ষমা কোন কিছুই লিখেন নি বা উচ্চারণ করেন নি। তবে সরকারীভাবে এই সফরকে সফল বলা হয়েছিল। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ সেই লজ্জাকে প্রকাশ না করার জন্য।
ওয়াহিদ সাহেব, আপনি যে তথ্যটি দিলেন, সেটিকে আরেকটু বাড়িয়ে একটা পোস্ট দিন প্লিজ। আমার জানার খামতি আছে যেখানে, সেখানে সম্পূরক তথ্য আসতেই পারে।
আপনার সারকাজমটুকু মাথা পেতে নিলাম। অজ্ঞানতার শাস্তি হিসেবেই। কিন্তু যে জানে না তাকে শেখাতে নিশ্চয়ই আপনার আপত্তি নেই?
১৯৭৩ সালে প্রথম পাকি রাষ্ট্র প্রধান .....
তা জনাব গিয়ান পাপী সা'ব, বাংলাদেশের জাতিসংঘে অন্তর্ভুক্তিতে ভেটো-মারানি আপনার চীনা আব্বা হুজুরের তালতো ভাই ভূট্টো তো এদেশে পদার্পন করিয়াছিলেন ১৯৭৪ সালের জুন/জুলাইয়ে স্বীকৃতি দানের পরপরই!
১৯৭৩ সালে স্বীকৃতি দানের পূর্বেই কি আপনে হ্যারে কান্ধে কইরা উড়ায়া লইয়া আইছিলেন নাকি জনাব বিশিষ্ট ঝান্ডুবাম, ঘোষক-চোষক, ল্যাপ-তোশক চর্চাকারী ওয়াহিদু সা'ব?
@হিমু: ইনি এক বিশিষ্ট গিয়ান পাপী বুদ্ধিবেশ্যা! আরিফ জেবতিকের কাছে লাইভ টিভিতে ভাঁড়ামি করতে গিয়া উত্তম গদাম খাইছিলেন! চেহারাখান তখন পাতিলের তলদেশের মতন হইছিলো একেবারে।।।।
- ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের।
একটা দিলাম এখানে
একই ব্যবহারকারীর সংগ্রহে আরও কয়েকটা ভিডিও দেখলাম যার মধ্যে ঢাকায় পাকি সেনাবাহিনীর আক্রমন উল্লেখযোগ্য মনে হয়েছে। রিপোর্টার মাইকেল ক্লেইটনের কথাগুলো মন দিয়ে শোনার দরকার আছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের কুকর্ম প্রমাণে এই ধরণের রিপোর্টগুলো খুব কাজে দিবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একমত।
প্রবাসী বন্ধুদের মুখে শুনি পাকিস্তানের বর্তমান প্রজন্ম একাত্তরের বাস্তবতা কিছুই জানে না... খুব খারাপ লাগে...
______________________________________
লিনলিপি
______________________________________
লীন
এরচেয়ে কম কোনো কিছু আমরা গ্রহণ করবো না। কিচুতেই না !!
এই লেখাটার ইংরেজী করা যায় না?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
চমৎকার লেখা। মির সাহেবকে এক কপি পাঠিয়ে দিন।
মূর্তালা রামাত
ছ্যাড় ছ্যাড় করে মুতে দিই "দুঃখ প্রকাশের" মুখে।
ঠিকাছে!
তবে আমার কাছে হামিদ মির কে একজন স্বাভাবিক পাকিস্তানী বলেই মনে হয়। ক্ষমা চাওয়া নিয়ে উনি বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোতেই দেখি কলমবাজি করেন। সেখানকার পত্রিকায় বা তার টিভিতে তো সেইরকম কোন সাড়াশব্দ কখনো দেখি না। এইসব ছাগলামী একটা মানবতাবাদি ভাব নেয়া ছাড়া আর কিছুই না।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
মির সম্পর্কে নেটে যা তথ্য পেলাম, তাতে জানা গেলো, তার পিতা ওয়ারেস মিরকে সম্ভবত জিয়াউল হকের সামরিক জান্তা বিষপ্রয়োগে হত্যা করেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, তাকে জিয়াউল হক পদচ্যুত করে। হামিদ মিরকে ভুট্টো, শরিফ, মুশাররফ ও জারদারি, চার সরকারই বরখাস্ত ও ডিটেনশনসহ নানা শাস্তি দিয়েছে।
আমি মিরকে গালমন্দ করবো না। পাকিস্তানে থেকে এই কথাটা বলার মতো লোকের সংখ্যা বাড়ুক। কিন্তু দায়সারা দুঃখ প্রকাশের মুখে ঐ অঝোর ধারায় মূত্রবর্ষণ ছাড়া আর কিছু করার নাই আমাদের।
ভিলি ব্রান্ট যদি পারে, জারদারি বা গিলানি এমন কোনো বালস্য বাল হরিদাস পাল নয় যে পারবে না। না পারলে পাকিস্তানের সাথে সুসম্পর্কের ধার ধারি না।
১
ফোকাসটা মিরের পাশাপাশি পত্রিকাদ্বয়েরও ওপরও পড়ুক।
২
পাকি সিমপ্যাথাইজারদের জন্য এতে একটা সুযোগ তৈরি হয়। মন গলানো আর মন ভোলানো ছেলেধরাদের থেকে সাবধান।
: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: :
'Cinema is over' - Master Godard
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হিমু, যতদূর মনে পড়ে, হামিদ মিরের আগে কিন্তু খ্যাতনামা এক্টিভিস্ট আসমা জাহাংগীর কয়েকবছর আগে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার দাবী জানিয়েছিলেন একদল মহিলা আইনজীবি-মানবতা কর্মীদের নিয়ে (সম্ভবত ইসলামাবাদেই)। বাংলাদেশে এসেও বলেছিলেন একই কথা, নিজে ক্ষমাপ্রার্থীও ছিলেন মনে হয়।
সেই। পূর্ণ সহমত। আমি দাদার কবরের কাছে যেয়ে বলতে চাই যে, আমরা বিচার পেয়েছি আর পাকিস্তান অবশেষে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে। আমি চাই, আব্বু বেঁচে থাকতে যেন দেখে যেতে পারে এইসব একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে।
একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে এ দাবি আমার জন্মগত অধিকার।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
পাকিস্তানের দুঃখ প্রকাশের আশা আমি রাখি না, জন্তু দিয়ে ভর্তি দেশ। এখনো যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা বজায় রাখসে। বাংলাদেশকে হুমকি দেয় এই বলে যে বিচার করলে দুই দেশের সম্পর্ক অবনতি হবে। টেনশানে মরে গেলাম, পাকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্কে অবনতি ঘটলে তো বাংলাদেশের ভবিষ্যত অন্ধকার! দেশের শুয়ার গুলার বিচার দেখতে পাইলেই শান্তি।
হামিদ মীরকে ধন্যবাদ, কিন্তু তিনি তাঁর দেশে নিতান্তই কোণঠাসা একজন সংখ্যালঘু।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
সহমত
যথার্থ, অতিব অসাধারণ। লেখাটা অবশ্যই গোটা দেশের মানুষকে পড়াানোর ব্যবস্থা করা দরকার।
অশেষ অশেষ ধন্যবাদ হিমু। ভাল থাকো।
১. হামিদ মিরের ব্যপারে কিছু বলতে চাই না | তার (চন্দ্রবিন্দু ইচ্ছা করেই দেয়া হয়নি) জীবন দর্শন, ত্যাগ (বিরূপ পরিবেশে কথা বলার ফলাফল থাকার কথা), এবং সমাজে ব্যক্তিগত অবস্থানের প্রেক্ষিতে তার কাজ বলে দেবে যে তার এই ক্ষমা চাওয়া যথেষ্ট কি না |
২. কিন্তু, আমি হিমু ভাই এর সাথে সামান্য দ্বিমত পোষণ করি | এর (নি:শর্ত ক্ষমা ভিক্ষা) চেয়ে কম কিছু অবশ্যই গ্রহণ করবো না, বরং যুদ্ধপরাধী হিসেবে মৃত ও জীবিত অপরাধীদের চিহ্নিত করা ও তাদের বিচার করা এবং যুদ্ধে আমাদের সমস্ত ক্ষয়-ক্ষতির ক্ষতিপূরণ প্রদানের চেয়ে কম কিছু গ্রহণ করতে আমি নারাজ |
-আতিউর
ক্ষতিপূরণের ব্যাপারটা নিয়ে কিন্তু আমাদের ক্রমাগত বলে যাওয়া উচিত।
আমি পোস্টে যা বোঝাতে পারিনি, মন্তব্যে বলে যাই। মিরের বক্তব্য হচ্ছে, সরি বলে বুকে জড়িয়ে ধরতে হবে। আমার বক্তব্য হচ্ছে, বুকে জড়িয়ে ধরতে চাইলে আগে হাঁটু গেড়ে বসে মাপ চাইতে হবে।
ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে আমাদের ১৯৭২ সাল থেকেই অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগ করা উচিত ছিলো, সারা পৃথিবীর রাজনৈতিক ম্যাট্রিক্সে আমাদের অবস্থানের কারণে আমরা পারিনি। এখন আমরা চেষ্টা করলে পারবো।
সেইই। আগে পা ধরে মাফ চা, তারপর ক্ষমা করতে পারব কি না বিবেচনা করে দেখব!
সহমত...
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আগেরবার বলতে ভুলে গেছিলাম, ওটা "জিও টেলিভিশনের" না হয়ে কি "জি ই ও টেলিভিশনের" হবে?
-আতিউর
-সহমত। কিন্তু এর সাথে অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরনের কথাও মনে রাখতে হবে।
লেখায়
এ. কে. এম. ওয়াহিদুজ্জামান যদি পোস্ট লেখেন ভালো হবে , সব তথ্য একসাথে আসা উচিত , অথবা হিমু ভাই পোস্টটাকে আরেকটু এডিট করতে পারেন ।
ছড়িয়ে দেয়া দরকার লেখাটা ।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
সহমত।
-স্নিগ্ধা করবী
ওদের ক্ষমা প্রার্থনা/দুঃখ প্রকাশে আমাদের আসলে কিছু আসে যায়? এটা পুরাপুরিই পাকিদের দায়িত্ব, ওদের নিজেদের কলঙ্কমোচনের জন্য। এই দুঃখ প্রকাশে কিছু মানুষের উৎসাহ দেখে মনে হয়, আমরা পাকিদের সাথে কোলাকুলি করার জন্য মুখিয়ে আছি, খালি ওইখানেই সামান্য বাধা ছিল। কোন পাকি দয়াপরবশ হয়ে ওটা সরিয়ে দিলেই আমরা আবার ভাই-ভাই হয়ে যাব। (হ্যাহ)
জার্মান আর পাকি এক জিনিস না। জার্মানি এখন নিজেই নাৎসীপনার বিরুদ্ধে সোচ্চার। আর পাকি? ওদের ঘরের ভিতর ঢুকে মাইর দিয়ে আসা গেলে এরা সোজা হয়ে যেত। আমাদের দুর্ভাগ্য, সেই শক্তি আমাদের ছিল না।
একেবারে আমার মনের কথাটা বললেন। আমি যখনই পত্রিকাতে দেখি অমুক সংগঠন তমুকের কাছে 'ক্ষমাভিক্ষা' দাবী করেছে, আমার মনে হয় এতে কার কি লাভ হবে। কেউ একজন এসে বলবে 'উই আর সরি' আর আমরা সব ভুলে গিয়ে পাকি/রাজাকার সবাইকে ক্ষমা করে দিয়ে তাদের বন্ধু করে নিব? কোন মানুষ যদি কেউ একজনকে হত্যা করে কিংবা কোন মেয়েকে ধর্ষণ করে তার মায়ের কাছে গিয়ে বলে 'আমি দুঃখিত', সেই মা কি পারবে তাকে ক্ষমা করে দিতে?
সুন্দর বিশ্লেষণ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লেখাটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ হিমু।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পাকিস্তান নিয়ে আমরা ম্যাংগোপিপল যে মনোভাব পোষণ করি, আমাদের নেতারা মনে হয় তা করেন না। আমাদের জাতির পিতাই সবকিছু ভুলে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক তৈরীতে আগ্রহী ছিলেন। ইউটিউবে ১৯৭৪-এ ভুট্টোর বাংলাদেশ সফরের একটা ভিডিও পেলাম। ভুট্টো মুজিবের কাছে অন্তর থেকে অনুতাপ (repent) ও তওবা করে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। শেখ মুজিবও দেখা যায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ডেইলি স্টার ফোরামে ভুট্টো ও মুজিব নিয়ে কুলদীপ নায়ারের একটা লেখা পেলাম। মুজিব ভুট্টোর কাছে তাঁর প্রাণ বাঁচানোর জন্য কৃতজ্ঞ ছিলেন- এটা এই প্রথম জানলাম। বাংলাদেশে লাল-গালিচা সংবর্ধনা তাই তিনি ভুট্টোকে দিতেই পারেন।
১৯৭৪-এ হোয়াইট হাউজে ফোর্ডের সাথে মুজিবের সাক্ষাৎকারের দলিলে দেখা যায় বঙ্গবন্ধু ফোর্ডকে বলেছেন-
"We won a majority in Pakistan. We are doing our best to be friends with them. Though millions were killed, or jailed, or exiled, we want to forget. We released the Pakistani prisoners, including 195 war criminals. ...........I wanted to present these problems to you. I want good relations with everyone.
নতুন প্রজন্মের নেতারা কী করে, সেটাই দ্রষ্টব্য।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ভূট্টো খন্দকার মুশতাকের জন্য বাসমতী চাল পাঠিয়েছিলো বিমানে করে। এ ইতিহাস দেখে নতুন নেতারা শিখলেই হয়।
শক্তি ছাড়া কারো কাছে কি কেউ হাঁটু গাড়বে? ওদের ক্ষমা প্রার্থনা আমি পুছি না। দেশটা ভাঙ্গার পর কিছু খয়রাত দেয়া যেতে পারে।
অসাধারন, হামিদ ভাই। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে যে আমরা এখনো মরি নাই। আর একবার যুদ্ধ করতে পারব। মহান মুক্তিযোদ্ধারা যেমন একবার চেষ্টা করেছিলেন আর আমাদের একটি স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। আমরাও তেমনি পারব এ দেশ গড়ে তোলার জন্য তেমনি আরও একবার চেষ্টা করতে। আর সেদিন আমরা এইসকল বেজণ্মা রাজনীতিবিদদের বলব, "এরচেয়ে কম কোনকিছু আমরা গ্রহণ করবো না"। ওহ আমি সেই দিন এর অপেক্ষায়। তবে পূর্বের হিসাব বাকি রাখা যাবে না। তাই আসেন সবাই বলি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক। আর তারপর আমরা কাঠগড়ায় দাড়করাব সেই সকল রাজনীতিবিদ আর তার দোসর দের। আসেন সবাই মিলে আমাদের বুকে হাত রেখে স্মরন করি সেই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের যারা তাদের জীবন দান করেছিলেন, অনুভব করি প্রিয় বাংলাদেশ এর প্রতি ভালবাসা আর শপথ নেই আর একটি যুদ্ধের।
রাকিব
স্থপতি
হ।
এরচেয়ে কম কোনো কিছু আমরা গ্রহণ করবো না...........
অসাধারন, হামিদ ভাই। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে যে আমরা এখনো মরি নাই। আর একবার যুদ্ধ করতে পারব......................
এই অসাধারন মনতব্যের জন্য ধন্যবাদ। বাংলার ছেলেরা আজও আছে জেগে। শত্রুপক্ষ তাই হুশিয়ার.........।
মূল আর্টিকেলটাও পড়লাম, যা বুঝলাম, হামিদ মীর যেমন করে ভাবেন তেমন করে পাকিস্তানের অধিকাংশ মানুষেরই ভাবার ক্ষমতাই নাই! আর তাছাড়া ওনার কথায় -"ভাই ভাইয়ের ওপর অন্যায় করেছে, এবার ক্ষমা চেবে বুকে টেনে নাও'ধরনের একটা বিষয় রয়েছে। যেটা আমার মনে হয় বিপদজনক দৃষ্টিভঙ্গী। আমার সামান্য অভিজ্ঞতায় আমাদের বা তার পরের প্রজন্মের একজন পাকিস্তানিরেও আমি পাইনি যে ১৯৭১ সম্পর্কে বিকৃত তথ্য জেনে বড় হয়নি! তারা ক্ষমা চাইবে এ কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। আর তাছাড়া ক্ষমা চাইলেই ক্ষমা করে দেব, পাকিস্তান প্রসঙ্গে এমন মহত্ব দেখানো ব্যক্তিগতভাবে আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব.....আমি বিচার চাই! ১৯৭১ এ পাকিস্তানিরা আমাদের সাথে যা করেছে, তার কখনো ক্ষমা হয় না!
এরকম একটা লেখার জন্যে হিমুকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
লুঙ্গি উড়ে গিয়ে হামিদ মিরের লোমশ পাকি পাছা বেরিয়ে এলো।
হিমু ভাই, সচলের কেউ কি উর্দু জানেন? জং এর ওয়েবসাইটে মূল লেখাটা উর্দুতে...উর্দু তো বুঝিনা... গুগল ট্রান্সলেটরে বাংলাটাকে উর্দুতে পরিবর্তনের জন্য ক্লিক করলাম... আধা ঘন্টা লোডিং এর পরে কম্পিউটর হ্যাং করল
আর, নতুনবার্তা ওয়েবসাইটের নিচের খবরগুলো কেমন কেমন জানি লাগলো
http://www.natunbarta.com/editorial/2013/07/16/35628/30342c45460feb9b8a541f7cb8973bf3
http://www.natunbarta.com/opinion/2013/07/28/37390/39845d9cbf447d3cb9c030d31ad0a678
http://www.natunbarta.com/opinion/2013/07/08/34532/67cace4ef8d611f0f69ced9168afccbe
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মির সাহেব বলাটা এই সব চশমখোরদের জন্য অনাবশ্যক ভদ্রতা দেখানো হয়ে যায় - তারপরও সৌজন্যের খাতিরে এটা ঢরে নিলাম। কিন্তু যেসব এদেশী জারজ পুঙ্গবরা এদেরকে মাথায় তুলে রাখে, এরা একটা মৃদু বায়ুত্যাগ করলেও সেটা নিয়ে হাউকাউ করে, তাদের কী করা উচিৎ?
বুকে জড়িয়ে ধরা তো দূরের কথা, হাত মিলানোরও যোগ্য নয় এরা।
নতুন মন্তব্য করুন