লোডশেডিং নিয়ে আমি একটা বিস্তৃত সিরিজ লেখার পরিকল্পনা করেছি। কিছু তথ্য চেয়ে তেমন সাড়া পাচ্ছি না বলে শুরুও করা যাচ্ছে না, তাই দুয়েকটা উপসর্গ নিয়ে আলাপ করার জন্যে এ পোস্ট লিখছি।
মনে করুন, আপনার একটা চৌদ্দশো সিসির গাড়ি আছে। এটার এনজিনের ক্ষমতা একশো হর্স পাওয়ারের একটু বেশি। আপনার গাড়ির এনজিন [পেট্রল বা সিএনজি] একটা জীবাশ্ম-জ্বালানি খায়, খেয়ে খানিকটা কাজ করে, আর খানিকটা ঢেঁকুর তোলে। গাড়ির কাজ তো সেই একটাই, চলা, কতখানি সে চলতে পারে, সেটারই একটা পরিমাপ হচ্ছে ঐ একশো হর্স পাওয়ার। হর্সপাওয়ার বা কিলোওয়াট, এগুলো সবই হচ্ছে কোনো একটা যন্ত্রের কাজ করার বা তাপ উৎপাদন করার হার। একশো হর্স পাওয়ার মোটামুটি পঁচাত্তর কিলোওয়াটের সমান। আপনার গাড়ির এনজিনটা খুলে এর শ্যাফটটা আমি যদি একটা জেনারেটরের শ্যাফটের সাথে একটা কাপলার দিয়ে জোড়া লাগাই, তাহলে সেই জেনারেটরটা মোটামুটি সত্তর থেকে বাহাত্তর কিলোওয়াট বৈদ্যুতিক পাওয়ার উৎপাদন করতে পারবে। যদি জানতে চান, কয়েক কিলোওয়াট পাওয়ারের হিসেব মিলছে না কেন, তাহলে তার উত্তর হচ্ছে, কোনো যন্ত্রই শতকরা একশো ভাগ "দক্ষ" নয়। প্রতিটি রূপান্তরের সময় সে কিছুটা অপচয় করে। বৈদ্যুতিক জেনারেটরগুলো বেশ এফিশিয়েন্ট হয়, কিন্তু তারপরও সম্পূর্ণ তো নয়।
একই কথা খাটে এনজিনের বেলায়ও। গাড়ির এনজিন বৈদ্যুতিক জেনারেটরের তুলনায় নিতান্তই অদক্ষ একটা যন্ত্র। আপনার গাড়ির এনজিনটা মেরেকেটে ২৫% দক্ষ হবে। এর অর্থ হচ্ছে, আপনি ওকে যে জ্বালানি খাওয়াচ্ছেন, তার চারভাগের তিনভাগই সে হেগেপেদে নষ্ট করে. আর একভাগ দিয়ে সে কাজের কাজ [অর্থাৎ চলা, গাড়ির এসি চালানো, এফএমরেডিওর ব্যাটারি চার্জ করা ইত্যাদি] করে। ঐ যে চার ভাগের তিনভাগ, সেটা দিয়ে সে প্রথমে গা গরম করে, তারপর রেডিয়টর দিয়ে ছড়িয়ে দেয় আশপাশের বাতাসে।
এর অর্থ হচ্ছে, ঐ পঁচাত্তর কিলোওয়াট কাজের কাজ করতে গিয়ে সে চারপাশ গরম করতে থাকে দুইশো পঁচিশ কিলোওয়াট হারে। দুইশো পঁচিশ কিলোওয়াট বেশ বড়সড় একটা অঙ্ক, যেমন ধরুন আপনি এই হারে কোনোকিছু গরম করতে পারলে এক লিটার পানি থেকে এক লিটার বাষ্প পাবেন ১১ সেকেণ্ডের মাথায়। গাড়ির রেডিয়েটরে পানি গরম হয়ে বাষ্প বেরুতে দেখেছেন তো অনেকেই, তাই না?
এবার চলুন বিআরটিএর ওয়েবসাইটে ঢুকি। বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইট, কাজেই অতীব জঘন্য জিনিস, দরকারি প্রায় কোনো কিছুই পাবেন না, পাবেন কেবল দুটো রিপোর্ট, তার মধ্যে একটা হচ্ছে ঢাকা শহরে রেজিস্টার্ড যানবাহনের সংখ্যা নিয়ে পিডিয়েফ রিপোর্ট। চলুন ওটাই দেখি। যদিও ঢাকায় অন্য জেলায় নিবন্ধন করা গাড়িও চলে আরো আটাশ হাজারের মতো, কিন্তু এই লিস্ট ধরেই এগোই চলুন।
অনেক কিসিমের গাড়ি পাবেন, সেগুলোর একেকটার সিসি [ডিসপ্লেসমেন্ট ভলিউম বলি আমরা এটাকে, একটা এনজিনের সিলিন্ডারগুলোর ভেতরে পিস্টনগুলো মোট কতখানি ভলিউম জুড়ে নড়াচড়া করে, তার মাপ, এটি এনজিনের ব্রেক পাওয়ারের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত] একেকরকম, অর্থাৎ তার এনজিনের ক্ষমতাও একেকরকম, কাজেই তাদের গা গরম করার ক্ষমতাও একেকরকম। মোটামুটি আন্দাজ করতে পারবেন তার পরও। হিসাব করে আসুন দেখি, ঢাকায় রেজিস্টার্ড এই গাড়িগুলো সব ক'টা মিলে কী হারে তাপ উৎপাদন করতে পারে।
সব গাড়ি মিলে কী হারে তাপ উৎপাদন করে জানেন? এক লক্ষ মেগাওয়াট [Others নামে একটা ক্যাটেগোরি ছিলো, সেটাকে গোণায় ধরিনি]।
তবে সব গাড়ি তো আর একসাথে চলে না। যে কোনো মুহূর্তে মনে করুন মোট গাড়ির ১০ শতাংশের এনজিন চালু। তাহলেও প্রতি মুহূর্তে, সকাল সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ঢাকা শহরে দশ হাজার মেগাওয়াট হারে তাপ ছড়াচ্ছে গাড়িগুলো। যদি বুঝতে চান, এটা কেমন, কল্পনা করুন, দশ হাজার লিটার পানি থেকে দশ হাজার লিটার বাষ্প পাচ্ছেন আপনি আড়াই সেকেন্ডের মাথায়। মে মাসের কোনো এক তপ্ত দুপুরে কারওয়ান বাজারে জ্যামের মধ্যে এসে দাঁড়ান, টের পাবেন, ঐ গরমটা কেবল রোদ থেকে আসছে না, আরও আসছে হাজার হাজার চলমান এনজিন থেকেও।
ঢাকা অনেক বড় শহর, এই তাপ ছড়িয়ে পড়ছে তাই বাতাসে আর কংক্রিটে। দু'টোই তাপ ধরে রাখে, বাতাস অনেক কম, কংক্রিট অনেক বেশি। সেই ধরে রাখা তাপ আশপাশে ছড়িয়ে দেবার সুযোগও পায় না কংক্রিট, অন্তত রাত দশটা পর্যন্ত। রাত দশটার পর যখন গাড়িঘোড়ার ভিড় কমে যায়, এই জমিয়ে রাখা তাপ কংক্রিটের শহর ঢাকা আবার বাতাসে ছড়িয়ে দেয়।
যাদের গাড়ি আছে, তারা অনেকেই বাসায় এসি চালান। গাড়ি থেকে বেরিয়ে তারা ঘরে যখন পা দেন, তখন বিদ্যুৎ থাকলে, তারা আবার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে ঢুকে পড়েন। এসি চালানো মানে ঘরের গরমটুকুকে বাইরে বার করে দেয়া। ফলাফল, তার ঘর ঠাণ্ডা, বাতাস আরেকটু গরম, যে বাতাসটাকে তিনি নিজেই প্রয়োজনের চেয়ে একটু গরম করে এসেছেন গাড়ি চালানোর ফলে।
এখন মনে করুন, আপনার গাড়িও নাই, এসিও নাই। ভানুর কৌতুকের সেই মিঠুকে মিষ্টি করে বলার মতো, নারে মিঠু, আমাগো থার্মোমিটারও নাই,বার্নলও নাই। আপনিও আমার মতো পাবলিক বাসে চড়েন, ফ্যান আর হাতপাখা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন গ্রীষ্মকে। আপনার কাছে ব্যাপারটা নিশ্চয়ই কৌতুককর মনে হবে না। আপনার বাতাসকে অন্য লোকে গাড়ি চালিয়ে গরম করে দিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত [বাসে চড়েন বলে আপনিও বাতাস গরম করেন, কিন্তু সেটার মাথাপিছু দায় বেশ খানিকটা কম], সেটা ঠাণ্ডা করতে যে বিদ্যুৎটুকু আপনার দরকার, সেটাও বড় গ্রাসে খেয়ে নিচ্ছে এসির মালিক। আপনি দাবি করতে পারেন, এ থেকে উত্তরণের জন্যে যা কিছু প্রয়োজন, তার একটা বড় অংশ গাড়ি আর এসির মালিকদের বহন করতে হবে।
পারেন না?
উত্তরণ নিয়ে পরে আবার কিছু বকবক করবো, কিন্তু তার আগে আমার কিছু তথ্য প্রয়োজন ছিলো, বৈদ্যুতিক বিল সংক্রান্ত। আপনাদের সেই উদোর পিণ্ডিগুলোর অপেক্ষায় বুধোর ঘাড় পেতে রইলাম।
মন্তব্য
বৈদ্যুতিক বিল দিয়া সাহায্য করতে পারুম না। আপনে আগে পোস্ট দেন। আমি সম্পুরক কিছু বিষয় নিয়ে পোস্ট দিবো।
অনেক কিছু জানতাম না, তা জানা হলো। বিশেষ করে গাড়ির এনজিন মাত্র ২৫% দক্ষ এটা সত্যিই অবাক করলো। তার মানে গাড়ি চালিয়ে কী পরিমান শক্তির অপচয় করছি সেটা জেনে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।
বিল সংক্রান্ত: রেস্ট্রিক্টেড
ডিজেল এনজিন আরেকটু বেশি দক্ষ, ৩৫-৪০% এর মতো।
তাই বলে ডিজেল ইঞ্জিন ভাল তা কিন্তু না। এই দক্ষতা আসে হাই কম্প্রেশন রেশিও জন্য। সে কারনে ডিজেল ইঞ্জিন হয়ে যায় ওজনদার। তাছাড়া কম্প্রেশন ইগনিশন বলে ইঞ্জিন থেকে দাহ্য না হওয়া গ্যাসোলিন বেরিয়ে যায় কিছু। সেটা তাপ দুষণের চেয়ে ক্ষতিকর।
তবে অতি সম্প্রতি হোন্ডা এই দুষণ সমস্যার সমাধান করেছে। শিঘ্রী হয়ত বাজারে আসবে সেটা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
থিওরিটিক্যাল লিমিটও প্রায় এক তৃতীয়াংশের মত। অর্থাৎ যতই এফিশিয়েন্ট হোক করেন এর বেশী এফিশিয়েন্সী তোলা সম্ভব না। ফসিল ফুয়েল তাই খুব ইনএফিসিয়েন্ট এনার্জি সোর্স।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনার টেনিক্যাল বেসড বাস্তবিক লেখা বেশ সরল যা টেকি ছাড়াও বুঝতে পারবে। ধন্যবাদ। দুখিত: আপনাকে ধন্যবাদ দেয়া আমার সাজে না। যদি আপনি পত্রিকায় লিখতেন তবে মনে মনে এই ধন্যবাদ দিতাম বা বলতাম ভালোই লিখেছেন। এবং কিছু ক্ষণ চিন্তা করতাম। এখনও করছি সেই সাথে লিখতে পারছি জন্য ধন্যবাদ দিলাম।
ভেবে দেখবেন কি আমাদের ঘরে ইলেক্ট্রিক এ্যাপলায়েন্স নিয়ে আসার সময় কি ভাবি আমার অনুমোদিত লোড কত? ভাবি না কারণ কোন রকম তাগিদ বোধ করিনা। তাই আমার অনুমোদিত লোড কবে যে শেষ হয়ে গেছে তার হোদিস নেই।
আপনি যে গাড়ির হিট রেডিয়েশনের কথা বলেছেন অথবা এসি থেকে যে তাপ উৎপন্ন হচ্ছে। এসব কি আর তারা ভাবে যারা ভাবার। আর এসবের জন্য নীতি তো তারাই তৈরী করে যারা এসব বেশী বেশী ব্যবহার করে। তাই তাদের চিন্তায়ই কৃচ্ছতা সাধনে মহা মন্ত্রে এসব কিছুকে ভালো করে প্রোটেক্ট করা।
বিদ্যুৎ ঘাটতি বা অন্য সমস্যা কিছুই নেই ঐ নেতাদের বাড়ীতে বা নেতা বানানো শিল্পপতির বাড়ীতে। এই মাত্র বিদ্যুৎ চলে গেল। তাই তথৈবচ: চিন্তাহীনতাই জীবন!
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
পরিবেশ ট্যাক্স আরোপ করা একটা সমাধান হতে পারে । যা থেকে প্রাপ্ত অর্থ পরিবেশ দুষণের কারনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যয় করা হবে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
দুইবার- তাই ঘ্যাচাং!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হ্যাঁ।
দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, ঐ পোর্টেবল জেনারেটরে উৎপন্ন এনার্জির দাম ইউনিট পিছু ১৫-২০ টাকার মতো পড়ে। কখনো কখনো ৩০ টাকার মতোও। কিন্তু মানুষ ঠিকই ব্যবহার করে। সরকার যদি ১ টাকা দাম বাড়াতে চায়, পাবলিক লাঠি নিয়ে মাঠে নামে। মিডিয়া নাকে কেঁদে গড়াগড়ি খায়। বিজিএমইএ বলে তারা বাড়তি দাম দিবে না।
আজকাল আবার গাড়ি আর এসির সাথে যোগ হয়েছে ছোট ছোট পোর্টেবল জেনারেটর। আগে তো নিউমার্কেটের দোকানগুলোতে দেখা যেতো- আজকাল বাসায় বাসায় এগুলো দেখা যাচ্ছে। আমাদের পাশের ফ্ল্যাটেই একটা কিনেছে- কারন লোডশেডিং এর জ্বালায় আই পি এস ভালোমতো কাজ করে না, আর জেনারেটরে ব্যাকআপ বেশি পাওয়া যায়।
আমার কেন জানি মনে হয় ঢাকা শহর অনেকগুলো ছোট ছোট মাইক্রোএনভায়রনমেন্ট এ ভাগ হয়ে গেছে।
আমি থাকি সাইন্স ল্যাবের পাশে- বের হলেই একেবারে গরমটা মনে হয় গায়ে এসে ধাক্কা দেয়। কিন্তু একটু ভেতরের দিকে ধানমন্ডি লেকের আশেপাশে সরে গেলে গরম অনেক কমে যায়। আর উত্তরা আর আশেপাশের এলাকায় তো মনে হয় ঢাকার বাইরে- অন্ততপক্ষে গরমের কথা চিন্তা করলে। সন্ধ্যাবেলায় নটরডেম কলেজের দিকে গেছিলাম- সেইখানে দেখি গরম বেশ কম- আবার পাশের মতিঝিলে একেবারেযাচ্ছেতাই অবস্থা!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমি এখনো বিলগুলো সব খুজেঁ উদ্ধার করতে পারিনি, তাই পাঠাতে পারছি না। অচিরেই পাঠাচ্ছি বস
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিলের তথ্যের এক্সেল ফাইলটা কি omiokh(এট)জিমেইল.কম এ পেতে পারি?
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই! উপকৃত হলাম তথ্যগুলো পেয়ে।
বাড়ী-এপার্টমেন্টগুলোর বর্গফুট এর সাথে এদের বাসিন্দাদের তাপ-অপচয়ের একটা পারস্পরিক সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়। বড় বাড়ী=বেশী আয়=অপচয়-উদাসীন। পৌরসভাগুলো যে করএলাকা ওয়ারী পৌরকর আদায় করে সেটাতেও এই জ্বালানী-অপচয়ের মাশুল যোগ করা যেতে পারে। একই ভাবে এলাকাভিত্তিক বিদ্যুত-গ্যাসের মূল্য নির্ধারন করা যেতে পারে।
উত্তরণের উপায় নিয়ে আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
সিপিডি প্রাক-বাজেট আলোচনায় ‘গ্রীন-ট্যাক্সের’ কথা বলেছে, যদিও প্রাথমিক ভাবে পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। বিদ্যুৎ ব্যবহারের ব্যাপারেও চিন্তা করা হবে হয়ত। যদিও বর্তমানে বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর ইনক্রিমেন্টাল হারে পার ইউনিট চার্জ করা হয়।
আসলে বিদ্যুতের তো অভাব এখন। যদি প্রাইভেট সেক্টারে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ সহ ভাল সার্ভিসের কোন অল্টারনেটিভ ব্যবস্থা করা যায়, অনেক কোম্পানি বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে আগ্রহী হবে বলে আমার ধারণা। অনেক কোম্পানিতে এই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ছোট বা বড় আকারের যে অল্টারনেটিভ ক্যাপটিভ পাওয়ারের ব্যবস্থা রাখা হয়, তার মূল্য যোগ করলে পার ইউনিটের দাম অনেক বেড়ে যায়। (চেন্নাইতে পানির জন্য এরকম হাই-এন্ডের কাস্টমারের জন্য বেশি মূল্যের একটা বিকল্প ব্যবস্থা করেছে বলে একজন বলল, নেটে দেখতে হবে)।
নতুন মন্তব্য করুন