গত সপ্তাহে বোঁচকার মধ্যে ক্যামেরা আর হাতে ট্রাইপড নিয়ে ছাড়া আধঘন্টা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়েছিলাম। পাশে ধূমায়মান হের চৌধুরী। তারও হাতে বোঁচকা।
জার্মানিতে মিটফার বলে একটা ব্যবস্থা চালু আছে, এটা জার্মানবাসী সচলের লেখা পড়লে টের পাওয়া যায়। ব্যবস্থাটা উপকারী। ধরুন আপনি একজন গাড়িঅলা [বা গাড়িঅলি], জার্মানির এক শহর থেকে আরেক শহরে [সেটা জার্মানির বাইরেও হতে পারে] যাচ্ছেন। ম্যালা তেল খরচা হবে। এরচে সস্তায় যাওয়া যায় ট্রেনে, কিন্তু আপনাকে গাড়ি নিয়ে নড়তে হবে। আপনি তখন যেটা করবেন, একটা অনলাইন ডেটাবেজে নিখরচায় বিজ্ঞাপন দেবেন, যে আমি অমুক দিন অমুক সময়ে অমুক শহর থেকে তমুক শহরের দিকে যাচ্ছি, পথে চমুক আর সমুক শহর হয়ে যাবো, কে কে যাবি রে তোরা আয়। ভাড়া মাত্র মাথাপিছু অ্যাতো ইউরো। এই ভাড়া স্বাভাবিকভাবেই গাড়ির হালহকিকত ভেদে ওঠেনামে, তবে একাকী ট্রেনের টিকিটের চেয়ে সেটা খানিকটা সাশ্রয়ী হয়। গাড়িঅলারও পয়সা উসুল হয়ে যায়। আমার এককালের চিংকু প্রতিবেশিনীও এ যাত্রায় আমাদের সঙ্গী ছিলো। পেছনের সিটে জায়গা কম ছিলো, একদম ঠাসাঠাসি করে বসে ... ভারি মধুর অভিজ্ঞতা, বিস্তারিত কহতব্য নয়।
আমরা দরিদ্র ছাত্র, তাই এই ব্যবস্থা আমাদের জন্যে ভালো, গন্তব্যটা যেহেতু মিউনিখ। সেখানে সচল তীরন্দাজ আর সচল পুতুল থাকেন, তাঁদের সাথে এক চক্কর আড্ডা মারতেই যাওয়া। সচল হাসিব যোগ দেবেন আরেক শহর থেকে।
যাত্রাপথে যা ঘটলো সেগুলো নিয়ে আরেকটা গল্প লিখবো নাহয়। পৌঁছে কী হলো, সেটা নিয়েও আরেকটা গল্প লেখা যাবে। তার পরদিন যে দাওয়াত ছিলো, সেখানে নাচগান খানাপিনা হলো, সেটা নিয়েও আরেকটা গল্প লেখা যায়। এমনকি ফেরার পথে এলিভেটরে আটকা পড়ে যে ধুন্ধুমার কাণ্ড হলো, সেটা নিয়েও আমরা পাঁচজনে [সচল মনিরোশেন যোগ দিয়েছিলো রোববার। এই ব্যাটা পুরাই কুফা। সাথে থাকলে পুলিশে ধরে, কুকুরে তাড়া করে, লিফট বন্ধ হয়ে যায়, গাড়ি নষ্ট হয়, ট্রেন মিস হয়, কবে যে মনিরোশেনের সান্নিধ্যগুণে উল্কাপাতের শিকার হই সে আশঙ্কায় আছি] পাঁচ রকম গল্প লিখতে পারি। কিন্তু সেসব না বলে টিরোলযাত্রার গল্পই বলি। তবে তার আগে বলি, তীরন্দাজ মারদাঙ্গা বাঁধাকপি ভাজি করেন। সেদিন রাতে বাটি থেকে চেঁছেপুছে খেয়েছি সবাই মিলে। সচল হাসিব যে এতগুলো বাঁধাকপি এভাবে কচমচিয়ে খেতে পারেন, না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
টিরোল এখন দুই দেশে ভাগ হয়ে গেছে, অস্ট্রিয়া আর ইতালি। টিরোলে প্রচুর স্কি রিসোর্ট আছে, আর দুনিয়ার কিছু বাঘা বাঘা মাউন্টেনিয়ার এসেছে টিরোল থেকে। জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশ থেকে সীমান্ত টপকে দক্ষিণে ঢুকলেই উত্তর টিরোল প্রদেশ। এর প্রধান শহরের নামটা সম্ভবত আমাদের অনেকেরই চেনা, ইনসব্রুক। ইন নামের একটা নদী টিরোলের বেশ খানিকটা জুড়ে এঁকেবেঁকে গেছে, উপত্যকামালার নামও এই নদীর নামে, ইনটাল। তীরন্দাজ আমাদের সেই ইনটালের এক নিভৃত কোণা [জায়গাটার নাম ৎসিয়ার্ল] ঘুরিয়ে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো একটা খরস্রোতা ঝর্ণা দেখতে যাওয়া। জার্মান ভাষায় খাল বা ঝর্ণাকে বলে বাখ, এই ঝর্ণাটার নাম ফচশারবাখ।
যাবার পথে একটা দুর্ধর্ষ ঢাল ছিলো রাস্তায়, সেখানে গোটা রাস্তা ম ম করছে ব্রেক পোড়া গন্ধে। মাইল্ড স্টিল পুড়ে গেলে কেমন গন্ধ বের হয়, সেটা জানার আগ্রহ থাকলে ওখানে ভালো ব্রেকঅলা গাড়ি নিয়ে চক্কর দিয়ে আসতে পারেন, কিলোমিটার খানিক রাস্তা জুড়ে এই ঘ্রাণ। এবং ঢালের ওপাশে দুর্দান্ত সুন্দর একেকটা পাহাড়, আর তারচে সুন্দর উপত্যকা।
টিরোলের লোকজন মোটামুটি হাসিখুশি, শুধু তাই না, কফির সাথে এক গ্লাস পানি দেয়, যেটা বায়ার্নেও কেউ করে না। কফিঅলি চাচীকে একটা পাহাড়ের নাম জিজ্ঞেস করলাম, সে একেবারে এক পাহাড়ুকে ধরে আনলো নাম জানার জন্যে। জানলাম, সে ৎসিয়ার্লের সবচে নামকরা মাউন্টেনিয়ার এবং সে সর্বদাই সেই কফিশপে কফি খেতে আসে। মাউন্টেনিয়ার ভদ্রলোক বেশ রসিয়ে রসিয়ে সবক'টা চূড়ার নাম বললেন, ঐ যে দেখছেন গোলগালমতো ওটার নাম গোদা জলষ্টাইন [গ্রোসার জলষ্টাইন], আর ওরচে খানিক উঁচু ঐ যে ওটা দেখছেন ওটার নাম খোকা জলষ্টাইন [ক্লাইনার জলষ্টাইন] ... ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেকগুলো নাম। আমি বুঝলাম, ইনি পাহাড়গুলো চড়ে চড়ে বাকি রাখেননি কিছু। যেখানে দু'টো পাহাড় আছে বলে আমি ভাবছিলাম, তিনি আট দশটা পিক শনাক্ত করলেন।
স্যান্ডউইচ বানিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম আমরা, কল্লোলিনী ফচশারবাখের পাশে কাপড় পেতে বসে সেটা দিয়ে লাঞ্চ হলো। জায়গাটা বেশ। ঝর্ণার কনকনে জলে পা ডুবিয়ে নিজের মোজার দুর্গন্ধ মারার জন্যে এক অসাধারণ জায়গা। গোটা যাত্রাই তীরুদার সৌজন্যে, আমাদের ভগরভগর সহ্য করে সারাটা দিন গাড়ি চালিয়ে বেচারা হয়রান হয়ে মিউনিখে ফিরেছেন। অবশ্য চোস্ত গরুর গোস্তো আর মুরগির গিলাকলিজা ছিলো রাতের মেন্যুতে, ফ্রাউ পুতুলের সৌজন্যে। মনিরোশেন এর কিছুই পায়নি। হতভাগা।
ছবি দেখেন, আর কী।
.
.
.
মন্তব্য
আমরা ফাও ফাও অর্ধ ঘুরান দিয়ে এলাম
চমৎকার ঝরঝরে লেখা, আর তেমনি সুন্দর ছবি!
হাসলাম অন্য একটা কারণে। ছবি দেখতে পারলাম না। কাল দেখতে হবে।
যাক, লিখলেন। এখন সচল অঙ্গনে এমনই অবস্থা, হারাই হারাই সদা ভয় হয়। ভাবছিলাম, মেল করবো আপনাকে।
লেখাটা কিন্তু তৃষ্ণাবর্ধকই হলো, নিবারক নয়। ছবিগুলোও তাই। বাকি সব নিয়ে জমিয়ে জম্পেশ একটা ঢাউস লেখা ঝেড়েই দিন না ভ্রমন্থন ট্যাগিঙে!
ইনসব্রুকে কি শঙ্কুর কোন অভিযান ছিলো? নামটা যেন কোন দরজায় ধাক্কা খাচ্ছে বারবার।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ইয়াপ, শঙ্কুর শনির দশা...
_________________________________________
সেরিওজা
হুম, বয়েস যে বাড়ছে তাই দেখছি।
রোবট-ক্লোনের শয়তানির এমন জমাটি গল্পটা ভুলে গেলাম!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
রেটিং দেখে লগইন করলাম...রেটার এর কি লেখা পছন্দ হয়নি না ছবি নাকি লেখক?
এতোবড় একটা পোস্ট লিখলাম, এত্তোগুলি ছবি এইচডিআর করলাম, সেগুলির উপর কমেন্ট না করে তারা নিয়ে করলি?
গল্প নিয়ে কথা বলার আগে আসলে ধুগোর ভার্সানটা শুনতে চাইতেসিলাম, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া আরকি, আর ছবি সুন্দর হইসে তবে পুরো স্লাইড-শো জুড়ে অনেকটা একইরকম লেগেছে। শুরু থেকে ৫ আর শেষ থেকে ৩,৭ খুবই ভাল লেগেছে। একটা ছবিতে নিচের দিকে পিকনিকের চেয়ার টেবিল দেখা যাচ্ছিল সেটা ভাল লাগেনি।
মুগাম্বো খুশ হুয়া?
ট্রাইপড না নেন্নাই ? তাইলে HDR করলেন ক্যামনে ? আপনার হাত কি রক "ইস্টেডি" নাকি
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আশা রাখি একদিন যেতে পারবো। ছবি ও লেখা দারুণ লেগেছে।
তোমাকে কেউ একতারা দিয়েছে, এই এক তারাগুলো লাইফ টাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ডের মত, এর সাথে মনে হয় স্পেসিফিক লেখা বা ছবি কোন কিছুর সম্পর্ক নেই। আমি এর নামকরণ করলাম "তারা মারা" খাওয়া।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একেবারে মনের কথাটা বলেছেন। হিমু হয়তো বলবে এই তারাটারা পাঠকের ইচ্ছার উপর, এতে তার কোন খেদ নেই।
ভালুবেসে গ্লাম শুধু ভালুবাসা প্লাম্না ♪♫
লেখা, ছবি, সবই অনেক ভালো লাগলো
একদিন আমিও টিরোল যাবো। ছিবি দেখতে পারলামনা। ফ্লিকারে যেয়ে দেখতে হবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
পাহাড়ের ছবি দেখলেই মন কেমন করে। ছবিগুলো খুব সুন্দর।
আজকাল মাঝেমাঝেই পত্রিকায় এ ধরনের খবর দেখি। আপনার এই লাইনগুলো পড়ে এদিক দিয়ে জার্মানির কী অবস্থা জানতে ইচ্ছা করে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ছবি দেখে মনটা ভরে গেলো। স্বপ্নের মতো জায়গা। আর হিমু ভাই লেখা সবসময়ের মতোই দারুন আর ঝরঝরে।
এইসব ছবি আমরা দেখি না। গুরুর নিষেধ আছে।
তীব্র হিংসাইলাম।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
ওই মিয়া ঝরনার ছবি কই?
হিমু... আপনি মহান!
____________
মারজুক
হিমু ভাই! আপনি মহান!!
____________________
অভূতপূর্ব
আপনি ইন্টারেস্টিং!
হিমু ভাই,
একটি ঝরঝরে এবং সুস্বাদু লেখার জন্যে ধন্যবাদ। তবে বেশ কয়েকটি লেখার মুলো ঝুলিয়ে রাখা এবং অপার্থিব সব ছবি দিয়ে আমার অন্তরে আগুন ধরিয়ে দেবার জন্যে লেখককে ধিক্কার জানাই।
এত সুন্দর জায়গাগুলোর নাম এইরকম খটমট হয় ক্যান????
ছবি দেখে মন খুব খারাপ হল। একদিন ঠিকি টিরোল যাবো।
ধুরো!
মাথা খারাপ হয়ে গেল দেখে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
প্রথম বারোটা ছবি খুবই ভালো হয়েছে। আরো অনেকগুলো গল্প তো পাওনা রয়ে গেল।
সুন্দর জায়গা। দারুণ ছবিগুলো।
আসলেই সুন্দর জায়গাগুলোর নাম খটমটে হয় কেন?আপনার লেখা সব সময়ই ভালো লাগে, এবারও ব্যতিক্রম নয়।
আমিও অনেকটা মনিরোশেন এর মত।
মধ্যকার কাহিনী আর লিফটের কাহিনীর অপেক্ষায় থাকলাম।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
ছবি গুলো অসাধারণ... ''মারাত্মক অসাধারণ'' !! ... ...
''চৈত্রী''
- ডোনারসবুর্গারব্রুকের নিচে গাড়িতে যখন পয়লা দেখলাম তোর গায়ে পাঞ্জাবি, তখনই বুঝছিলাম কিছু একটা অঘটন আজকে হবেই। কারণ, ইতিহাস সাক্ষী, তোর মনহুঁশ খোমা কোনোমতে উৎরে গেলেও তোর এই পাঞ্জাবির মাহাত্য আমাদের কাউকেই উৎরাতে দেয় নাই। গোতা জার্মানি উড়াধুড়া চষে বেড়ালাম, কোনোদিন কোনো ঠোলায় ধরলো না, যেই তোর লগে অক্টোবর ফেস্টে গেলাম, চিরুনি দিয়া ধরলো।
ভুইর্তসবুর্গে গেলি তোরা, তোর পাঞ্জাবীর ঠেলায় ঠোলার কবলে পড়লেন নিরিহ বদ্দা এবং বলাই পরিবার। সাথে আরেক মনহুঁশ লুলছিব্বাই। আর একই দিনে আমিও গেলাম, পুরা ভুইর্তসবুর্গ ঘুরে টুরে সুজন ভাইয়ের বাসায় গেলাম একলা একলা, পথে কোনো ঠোলা-খালা কিছুই চোখে পড়লো না। কিন্তু ফেরার পথে, স্টেশন কোনোমতে পার হতে পারলেও ট্রেনের বগিতে ঠিকই ঠোলার দল উঠে পড়েছিলো তোর সেই ঐতিহাসিক পাঞ্জাবীর বদৌলতে। ইতিহাস কী করে বদলাবিরে মহাবুব!
আর এইবার দেখ, সারাদিনের ঘোরাঘুরি শেষে, অডিয়েন্সহীন স্টেজে নাঁকি গলায় তোর সফল সঙ্গীতচর্চার (এইটা সঙ্গীতচর্চা হৈলে বিলাপ পাইরা কান্দা কারে কয়?) যখন মনে করেছিলাম, যান তোর মনহুঁশ খোমা আর ততোধিক ঐতিহাসিক পাঞ্জাবীর কেরামতি থেকে এযাত্রা বুঝি বাঁচা গেলো, ঠিক তখনি একটা বিশাল ঝাঁকুনি দিয়ে তীরুদার বাসার সবেধন নীলমণি লিফটখানা গেলো সাড়ে তিন তলায় আটকে! এই তোর জন্যই পুরা চল্লিশটা মিনিট আমাকে লুলছিব্বাইয়ের কান্নাকাটি সহ্য করতে হৈছে।
আল্লায় বাঁচাইছে আমি তোর লগে আল্পসের কাছাকাছি যাই নাই। মা কসম ইতিহাস সাক্ষী, তাইলে হয়তো দেখতাম ধপাস করে আল্পসের কোণা ভেঙে গড়িয়ে আসছে আমাদের দিকে। কারণ, কী? খুব সোজা। তুই আর তোর পাঞ্জাবী। নেক্সট টাইম দোস্ত তুই ঘর থাইকা বাইর হওনের আগে আমার কাছ থাইকা পড়া পানি নিয়া নিস। তারপর উত্তর-দক্ষিণ দিকে মুখ কৈরা সেই পড়াপানি এক ঢোঁকে কোৎ করে গিলে খেয়ে বের হৈস। এনশাল্লা অন্তত তোর কারণে কোনো বালামুছিবত কাউরে ধরতে পারবো না। আর হোন, আমার লগেপিছে থাইকা উল্কাপাতে মরলেও মনে রাখবি, বিনা হিসাবে জান্নাত পাবি ব্যাটা। কিন্তু তুই পাঞ্জাবী পরিহিত অবস্থায় যদি তোর লগে আমি ইন্তেকাল করি, পরকালে গিয়াও দেখুম একটা গিয়াঞ্জাম লাইগা আছে। দেখা যাইবো ফিরতি ফ্লাইটে উঠায়া দিছে দুনিয়াতে পাঠায়া। ডোস্ত, তোর পাঞ্জাবীটা কারিতাসে ডোনেট কৈরা দে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মনে হচ্ছে 'তিথীর নীল তোয়ালের' মতো 'হিমুর লাল পাঞ্জাবি' নিয়ে একটা গল্প/উপন্যাস আসতে পারে।
হুম, হিমু বিয়ের কোন অনুষ্ঠানে পাঞ্জাবী পড়বা না...
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কাহিনী অনেক বাদ পড়ছে । আরো একটা পোস্ট নামামু কিনা ভাবতেছি ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
- উলটা সিধা কাহিনি দিয়া 'কাহিনি' সাজাইলে সোজা ইস্কিন শট রাখা হৈবো, বুইঝেন কৈলাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাহ্, লেখা নিয়ে আর নতুন করে বলার কিছু নেই কিন্তু ছবিগুলো দেখে আরেকবার মনে হলো কেন সামারে ইউরোপ ট্যুর করা একদম 'মাস্ট' হয়ে গেসে। নেক্সট ইয়ার, যদি সব প্ল্যানমাফিক হয়। ছবিগুলো দেখে 'সাউন্ড অফ মিউজিক'-এর কথাও মনে হলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
আমার ধারণা, অরিজিন্যালি, এগুলো এতো সুন্দর না। খালি চোখে দেখলে কেবল ধূ-ধূ। আপনে কিসু একটা করসেন।
ছবিগুলো সবই এইচডিআর করা। খালি চোখেও এমনই, কিন্তু সিঙ্গল এক্সপোজার ছবি তুললে এমনটা আসবে না। প্রত্যেকটা ছবি ৫টা ছবি ঘুঁটা দিয়ে রেন্ডার করা। ঐ ৫ টা ছবি ৫ এক্সপোজারে তোলা। ফলে একটা ছবিতেই অনেক শেড আর ব্রাইটনেস দেখা যাচ্ছে, যেটা সিঙ্গল এক্সপোজার ছবিতে কখনো আসবে না।
খাইসে! কঠিন!
- আচ্ছা তোরা যে দূর থেকেই পাহাড় টাহাড়ের ফটুক তুললি, সামিট মামিট করোস নাই? করলে ফটুক কই? সাট্টিফিকেট দেখা।
আমি ঠিক করছি, আমিও সামিট করুম। তয় পাহাড়ে না। গাছে। আমার আবাস-নিবাসের কাছেই একটা বজ্জাত গাছ আছে। তার এক ইয়া মোটা ডাল মাটির সাথে প্রায় সমান্তরাল হয়ে উপরে উঠে গেছে। ঐখানে প্রায়ই দেখি কিছু বদ পুলাপান বসে বসে কিচিরমিচির করে। আমি ড্যাম শিউর, এই ডালে কোনো বাংলাদেশী মায় বাঙালি এখনতরি সামিট করে নাই। আমি হমু সেই সুগৌরবের অধিকারী।
কিন্তু সমস্যা হৈলো ফটুক আর সাট্টিফিকেট। আমার মোবাইল দিয়া তোলা যায়, কিন্তু তাইলে তো আবার ট্রাইপড লাগবো। আবার কি জানি সেদিন কীসব লেন্সের নাম কৈলি, ঐগুলাও লাগবো! এইগুলা কেনার স্পন্সর পাই কই! (আছেন কোনো মুমিন ভাইয়া ও বেহেনা?)
অবশ্য তুই আর বদ্দা আসলেও করা যায়। তাইলে মনে কর বদ্দারে বেসক্যাম্পের হেড কের্দান বানায়া একটা সাট্টিফিকেট ম্যানেজ করে ফেলা যায়। আর তুই মনে কর হৈলি গিয়া শেরপা। ফটুক-মটুক তুইই তুললি। দিমু নি, আমার পাশে খাড়ায়া দাঁত কেলায়া আঙুলে ভি দেখাইয়া ফটুক খিচোনের সুযোগও দিমু নি নাহয়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মাস্ক যোগাড় কর একটা, আর সুন্দর দেখে একটা অক্সিজেন ট্যাঙ্ক। এমন ছবি তুলে দিবো যে গাছে উঠলি না এভারেস্টে উঠলি, নিরীহ জনতা ফারাক করতে পারবে না।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
ছবিগুলি বেশি দারুণ লাগলো। আপনারা পারেনও ওরকম ক্যামেরা ট্রাইপড নিয় দৌড়াতে।
আহা! নয়নাভিরাম দৃশ্য, পুস্টে *****
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ছবি রেন্ডারিং/ HD করার জন্য কোনো software ব্যাবহার করলে নামটা বলবেন। আমিও ট্রাই কইরা দেখবো পারি কিনা। লেখা নিয়ে বলার কিছু নাই, আপনার সব লেখা গোগ্রাসে গিলাটা কেন জানি আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।;-)
--শফকত মোর্শেদ
-----------------------------------------------------------------------------------------------
সহজ কথা যায় না বলা সহজে
লিফটে আঁটকে পড়ার বিষয়টা ধুগো, হিমু, বদ্দা ও হাসিব্বাইয়ের মুখ থেকে শোনার পর চারটা আলাদা গল্পের কমন অংশটুকু নিয়ে আসল ঘটনা বুঝতে হবে।
তবে ধুগো বলছে লিফটের ভেতর সে ছাড়া সবাই নাকি গড়াইয়া কান্নাকাটি করছে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
হায়! কবে যে এমন ছবি তুলতে পারব।
হিমু, ভাল হইছে!
ছবি দেইখা ভাল লাগছে...।।
না বলা গল্পগুলো শুনতে চাই...
কতকিছু লিখতে পারো বল্লা, কিন্তু লেখার বেলায় পুরো ফাঁকি বাজি। এইটা তোমার লেখা বলে মনে হলো না। আর ঝর্ণা দেখাতে নিয়ে গিয়ে একটা মাত্র ঝর্ণার ছবি? তবে অন্য ছবি গুলি সত্যি সুন্দর!
--------------------------------------------------------------------------------
চমৎকার.. শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ...
______________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ
৫টা ছবি নিয়া ঘুটা নিয়া এইচডিআর করলেই হবে? ৫টা গল্প নিয়াও ঘুঁটা দেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন