নেভারেস্ট: পর্ব ০

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: রবি, ২৭/০৬/২০১০ - ৮:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত ২৩ মে মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট শীর্ষ জয় করেন বলে খবর আসে। মুসা ইব্রাহীমের বন্ধু জিয়াউল খালেদ ব্লগে এ খবরটি প্রথম জানান, পরদিন তা ৎসুনামির মতো ছড়িয়ে পড়ে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের প্রচারগুণে।

খবরটি নিয়ে দুয়েকজন পর্বতারোহী সন্দেহও প্রকাশ করেন। সচলায়তনেই মুস্তাফিজ ভাই পর্বতারোহী সজল খালেদের বরাত দিয়ে একটি পোস্টে সন্দেহের স্বরূপটি তুলে ধরেন।

বিশ্বাসের মতো অবিশ্বাসও গড়ে ওঠে আপাতদৃষ্টিতে তাৎপর্যপূর্ণ, কিন্তু অপ্রমাণিত তথ্যের ওপর। মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট শীর্ষ জয় নিয়ে আমার প্রাথমিক উচ্ছ্বাস কেটে যায় দুয়েকটি তথ্য জেনে। যেহেতু নিছক সন্দেহের বশে কোনো বড় প্রাপ্তিকে উড়িয়ে দেয়া যায় না, আমি তাই প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করি। গত ৫ সপ্তাহে আমি আমার অবিশ্বাসের সপক্ষে এবং বিপক্ষে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি, সাক্ষাৎকার নিয়েছি এই ঘটনার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত কয়েকজন ভিনদেশী পর্বতারোহীর। "নেভারেস্ট" সিরিজে আমি ৫টি পর্বে এ তথ্যগুলো তুলে ধরবো।

মুসা ইব্রাহীমের সাথে আমার পূর্বপরিচয় নেই, তাই তাঁর প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের প্রশ্ন আসে না। "মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টে ওঠেনি", এমন কোনো স্টেটমেন্ট দেয়াও আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি শুধু আমার অবিশ্বাসটুকু ব্যবচ্ছেদ করে দেখতে আর দেখাতে চাই।

এই সিরিজে আমি পাঠকদের [বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী] কাছ থেকে মন্তব্য হিসেবে কেবল যুক্তির কাঠামোর ভেতরে থেকে উৎসারিত বক্তব্য গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। মুসা ইব্রাহীম বা আমার প্রতি ব্যক্তি আক্রমণকে নিরুৎসাহিত করা হবে। আপনাদের অংশগ্রহণে বিতর্ক আরো প্রাণবন্ত হবে, এ আশা আছে।


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

হাজির থাকলাম

...........................
Every Picture Tells a Story

সচল জাহিদ এর ছবি

অপেক্ষায় থাকলাম।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

রনি পারভেজ [অতিথি] এর ছবি

ব্যবচ্ছেদ ফলাফলের অপেক্ষায় থাকলাম।

স্পর্শ এর ছবি

উপস্থিত।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সবজান্তা এর ছবি
নাশতারান এর ছবি

বেশ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সিরাত এর ছবি

মাত্র এই পোস্টটা পড়লাম: http://www.somewhereinblog.net/blog/swapnochari/29183451। আচরন অত্যন্ত সন্দেহজনক। মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

সামুতে তো ঢোকাই যাচ্ছে না... আপনি ঢুকলেন কিভাবে?

--- থাবা বাবা!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ফালায়া দিলেই ঢুকতে পারবেন।

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অতিথি লেখক এর ছবি

অপেক্ষায় রইলাম...।

_______________
নীল তারা

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরাও ব্যাবচ্ছেদ দেখতে ইচ্ছুক! পক্ষে বা বিপক্ষে একবার যখন প্রশ্ন উঠেছে, সেটার নিরসন করতেই হবে!

---থাবা বাবা!

সবজান্তা এর ছবি

সিরাত ভাইয়ের দেওয়া লিঙ্কটা আমিও পড়সি আজকেই। খারাপ লাগলো। উঠুক বা না উঠুক, এই ধরনের কথা বিরক্তিকর। নূন্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকাটা জরুরি।


অলমিতি বিস্তারেণ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ব্যবচ্ছেদের ঘোষণা না দিয়ে ব্যবচ্ছেদটা দিয়ে শুরু করলেই হত। হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হুম। হাজিরা দিলাম। তথ্য-প্রমাণে আগ্রহী আমি।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

শুরু করেন না ...
__________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

এখন তো পুরাই ফ্রি। সবসময় আছি।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

ফেইক সামিট সার্টিফিকেট পাওয়া যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে।

টাইমস অনলাইন থেকে জানলাম পশ্চিমা দেশেও এটা একটা ইস্যু

After a series of “fake summit” scandals last year — one involving doctored photographs — and millions of pounds of sponsorship money at stake, climbers are under pressure to provide video, GPS and other proof of their feats.

এবং


Nepal, China and Pakistan — the countries that share the world’s highest peaks — do issue “summit certificates” but set different criteria: Nepal asks for video, photographic and other evidence, while China requires none.

পাকিস্তানে আছে K2, the 2nd highest in the world। এ বিষয়ে পাকিস্তানও কম যায় না। ওখানের এক ঘটনায় ১১ জন কে সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয় যেখানে মাত্র ২ জন সত্যিকারের অভিযাত্রী ছিলো

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কে-টু তে ওঠা মনে হয় টেকনিক্যালি সবচেয়ে কঠিন। এর তুলনায় এভারেস্ট কিছুই না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এই নামে আমাদের দেশে একটা সিগারেট পাওয়া যেতো অনেক আগে। এখন পাওয়া যায় কি-না জানি না! চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সোহাগ এর ছবি

কে-২ সিগারেট.........প্রথম হাতেখড়ি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কে-টু সিগারেটের প্যাকেটের মূল্য ছিল ১০০। মনে পড়ে? বিক্রয় মূল্য নয়, চাকতি দিয়ে এক ধরনের খেলা ছিল, যেটাতে অর্থ বিনিময় করা হতো সিগারেটের প্যাকেটের রঙিন অংশগুলো দিয়ে। সেটার কথা বলছি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আয়হায় পিপিদা, করলেন কী! একেবারে দেখি শৈশবে ফিরায়ে নিয়ে গেলেন!
কে-টু'র ভ্যালু মনে নাই। ক্যাপস্টানেরটা অনেক বেশি ছিলো, এইটা মনে আছে। আরও মনে আছে এই খেলা খেলতে গিয়া বিরাট মারামারি করছিলাম। ওই পোলাগুলা এখন আমারে 'আপনে আপনে' কইরা কয়! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হিমু তো ডিটেনশনে আছে, মন্তব্য কি মুছতে পারবে? নাহয় আমরা এই অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা আরেকটু এগিয়ে নিতাম চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমাদের মন্তব্য অপ্রাসঙ্গিক হবে কেনো? এইটা তো পর্বতারোহন বিষয়ক পোস্ট। K-2 হইলো একটা পর্বত। আমরা কে-টু নিয়া আলাপ শুরু করছি না? এখন আলাপ কি আর কে-টু সামিট করে বসে থাকবে? কে-টু থেকে নেমে আমাদের আলাপ এখন ক্যাপস্টানের পথে। মাঝখানে অবশ্য মিঠালু, নিন্দালু, বিন্দালু, পটালু, গোলালু, এনিসালু প্রভৃতির কথাও থাকবে।

সুতরাং, আমাদের মন্তব্য অপ্রাসঙ্গিক বলে মুছে দেওয়ার কোনো এখতিয়ার মাননীয় সংসদের নাই। মন্তব্যে হাত দিলেই ধর্মতাল। ডাইরেক্ট আশুলিয়া যামুগা। তারপর ঐখানে গিয়া চিল্লামু!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রাব্বানী [অতিথি] এর ছবি

ব্যবচ্ছেদ পড়ার জন্য আগ্রহ সহকারে অপেক্ষা করছি, শুরু করে দেন।

_প্রজাপতি এর ছবি

আমিও জানতে আগ্রহী সত্যটা। এতদিন হয়ে গেল এখনও একটা ছবি দেখতে পেলো না কেউ। সামুর ব্লগে ঢুকতে পারলাম না।

-------------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

চা নিয়ে বসলাম। কবে দিবেন?

তুলিরেখা এর ছবি

আমি সাগ্রহে উপস্থিত। সত্যিটা জানতে চাইছি সিরিয়াসলি।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধুসর গোধূলি এর ছবি
নৈষাদ এর ছবি

জেন্ডার খুব খিয়াল কৈরা...।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

জাতি হিসেবে আমাদের সময় এসেছে যেকোনো কিছু বিশ্বাসকে পরিত্যাগ করে সবকিছুকে প্রশ্ন করতে শেখা। বিশেষ করে যে দাবী পর্যবেক্ষণ দিয়ে পরিমাপ/যাচাই করা যায়, সে দাবীকে প্রমাণ ছাড়া মেনে নেয়া ভুল, প্রমাণ চাওয়াটাই সঠিক কাজ। এই চর্চাকে সাধুবাদ জানাই।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

একটা বোকা প্রশ্ন করি, পাহাড়ে উঠলে কি হয়? না উঠলেই বা কি হয়?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আদৌ কোনো কিছু করলে কি হয়, সেটার লাভ-ক্ষতির পরম মানদণ্ড আছে কিনা সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। তবে সাবজেক্টিভ মানদণ্ড ভুরি ভুরি। মানদণ্ড ব্যক্তি তৈরী করে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটা হলে মনের আনন্দ বর্ধন, আর তা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সাধারণত ভিন্ন হয়।

তবে যখন অনেকের এই মানদণ্ডটি মিলে যায়, তখন মানুষ আপাত অনর্থক কাজকেও সবকিছুর চেয়ে বেশি মূল্য দিয়ে ফেলে। পাহাড়ে ওঠা এমন একটা জিনিস। বহু স্বজাতি এতে আত্ম-প্রসাদ লাভ করে। মনের আনন্দ অপটিমাইজের ব্যাপারে "কেনো" বলে কিছু নাই।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কোন এক বড় পর্বতারোহী বলেছিলেন তিনি পাহাড়ে ওঠেন কারণ অনেক উপর থেকে সবকিছু দেখা যায় হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমিও এরকমটা ভাবতেছিলাম। ধরেন খেলাধুলার একটা ব্যবসায়িক ভ্যালু আছে। দেড় ঘন্টার ফুটবল খেলা মানুষ পয়সা খরচ করে দেখে। সেখান থেকে রেভ্যিনিউ তৈরী হয়। কিন্তু পাহাড় জয় কিজন্যে গুরুত্বপূর্ণ?

এর উত্তর অবশ্য মুসা তার আলোচনার সময় (সচলায়তনে প্রকাশিত) দিয়েছেন। মানুষ প্রতিনিয়ত প্রকৃতির প্রতিকুলে বাজী ধরে যায়, এবং জিতেও যায়। মুসা এরকম একটা জয় ছিনিয়ে নিয়ে (প্রশ্ন সাপেক্ষ যদিও), তার ডিটারমিনেশনের প্রমান দিয়েছেন। এই অ্যাচিভমেন্টটা তাকে আরো কিছু কাজে সহায়তা করবে যেখান প্রবল ডিটারমিনেশন না থাকলে সফল হওয়া যায় না।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দুর্দান্ত এর ছবি

ঠিক আছে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এ সত্য প্রকাশিত হোক - বাঙালীরা অন্ততঃ পাহাড় নিয়ে সৎ।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

বোহেমিয়ান এর ছবি

ঘোষণা অতিরিক্ত নাটকীয় মনে হচ্ছে!!
এই পোস্টেই শুরু করা যেত বলে মনে হচ্ছে ।

নতুন থিম এর কালার এর কারণে লিঙ্ক এখন বোঝা যাচ্ছে না মন খারাপ
_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

আলমগীর এর ছবি

আমি এখন (প্রায়) সন্দেহবাদীদের দলে। আমার সন্দেহ:
নজরুল ভাই যে ইংরেজী লেখাটুকু সচলে যোগ করেন সেটা বড্ড দায়সারা গোছের টেস্কট। সে সাইটে সামিট বিজয় নিয়ে আরো কয়েকটা আপডেটের টেক্সট তুলনা করে দেখে অমন মনে হয়েছে। ওতে কেবল মুসার নামটাই আছে। দলে আর কারা ছিল, মার্কিন দু'জনের নাম কী ইত্যাদি কোন তথ্য নাই। সন্দেহ বাড়ে যখন দেখি মুসার আগে পড়ে যারা গেছে সবার বিস্তারিত নাম-ধাম দেয়া আছে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আলমগীর ভাই, আজ আপনারে পাইছি হাসি

মুসার আগে পড়ে যারা গেছে

নৈষাদ এর ছবি

'সেন্সেটাইজেশন ব্লগের' চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে পর্ব ১ না আসায় কিছুটা... হতাশ।

হিমু এর ছবি

আমি ডিটেনশনে আছি। ৭২ ঘন্টার আগে পরের পোস্ট দিতে পারবো না। এক্টু ধৈজ্জ ধরেন।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

হায় হায়,এইবার মুসা ইব্রাহিমের পিছে গোয়েন্দা ঝাকানাকারে লাগায়ে দিলেন হিমু ভাই!!!
কিংকর চৌধারি কি এভারেস্টে উঠবে এই তদন্ত করতে!
এই পোস্ট পড়ার মাইকেল শেরমাররে স্কেপিক হিসাবে দুই নম্বরে ফেললাম!
আমার সোজা কথা! বুদ্ধ মূর্তির সাথে মুসা ইব্রাহিমের ছবি কই?
কার্ল সেগ্যান তো কইয়াই গেছেন, পিলে-চমকানো দাবির জন্য চাই দম-আটকানো প্রমাণ!
প্রমাণের দায়িত্ব মুসা ইব্রাহিমের, আমাগোর তো না।
তবে যার সাথে আলু গ্রুপ আছে সে চান্দে গেছে লেখলেও বদলে যাও-বদলে দাও জপতে জপতে অনেকে বিশ্বাস করে ফেলতে পারে!
আর জাল সনদ তো নীলক্ষেতেও পাওয়া যায়। সেটা দেইখ্যা বিশ্বাস করি ক্যাম্নে?
হিমু ভাইকে একটা মেইল দিতে চাই। উপায় কি? আমার এ্যাড্রেসটা নিচে রেখে গেলাম।
আর রাগিব ভাই এর কাছে একটা প্রশ্ন, গুগল আর্থ দিয়া কি এই দাবির সত্যাসত্য নির্ণয়ের উপায় আছে?
পথিক রহমান

হিমু এর ছবি
অমিত এর ছবি

"গুগল আর্থ দিয়া কি এই দাবির সত্যাসত্য নির্ণয়ের উপায় আছে?"
অ্যাঁ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অপেক্ষার সময় লম্বা হয়, সময় দেখি আর আগায় না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

সময় তো হয়ে এলো . . .

মঈনুল ইসলাম [অতিথি] এর ছবি

হিমুদা, আপনার পর্ব ১-এ মন্তব্য বন্ধ রাখা হয়েছে বলে এখানে মন্তব্য করছি। এই মন্তব্যটি সম্পূর্ণ-ই পর্ব-১ সম্পর্কে।

আপনার লেখাটি যৌক্তিক এবং যুক্তি-প্রমাণমূলক। তাই ভালো লাগছে।
কিন্তু কয়েকটা ব্যাপারে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই:

১. আপনি এবং আপনার পাঠকেরা অধিকাংশই হয়তো বিজ্ঞান বিভাগের, তাই অনেক টেকনিক্যাল টার্ম আপনারা ইশারায় বুঝে নিতে পারেন। কিন্তু আমার মতো সাধারণ পাঠকেরা টেকনিক্যাল টার্মগুলো আসলে ধরতে পারি না। তাই আপনি যেহেতু নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ পছন্দ করেন, তাই বিজ্ঞান-নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে নিবন্ধের টেকনিক্যাল টার্মগুলোতে যদি টীকা যোগ করতেন, সেটা অনেক বেশি বোধগম্য করে তুলতো ব্যাপারটাকে। (উদাহরণ: অ্যাক্লিমাটাইজেশন)

২. বাংলাদেশে পর্বতারোহণ ব্যাপারটা নতুন। তাই আমরা এবিষয়ে জানি না। আপনি পর্বটা শুরু করার আগে যদি পর্বতারোহণ বিষয়ে একটা পরিচিতিমূলক নিবন্ধ রাখতেন; যদিও সেই সুযোগ বোধহয় এখন আর নেই। তাই আশা করবো আপনার বক্তব্যের মধ্যেই পর্বতারোহণকে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিবেন, যাতে আমার মতো আমজনতা বুঝতে পারে।

৩. আপনার নিবন্ধটি নিঃসন্দেহে অন্নপূর্ণা-৪ বিষয়ে। কিন্তু আমরা যখন "নেভারেস্ট: পর্ব ১" দেখে পড়া শুরু করেছি, তখন ভেবেছি আপনি এভারেস্টের কথাই বলতে চাচ্ছেন। মন্তব্যগুলো না পড়লে আমিও আসলে তা-ই ভাবতাম। মন্তব্যগুলো পড়ে আবার যখন নিবন্ধে চোখ বুলাতে গেলাম, তখন অন্নপূর্ণা-৪ আর এভারেস্টের পার্থক্যটা বুঝতে পারলাম। আসলে এটা হলো পর্বতারোহণ বিষয়ে প্রচারহীনতা বা জ্ঞানমূলক প্রচারহীনতার অভাব, ফলত আমরা পর্বতারোহণ বিষয়ে অজ্ঞ।
তাই আপনি আপনার নিবন্ধে এজাতীয় ভুল বুঝাবুঝির অবসান করতে উপশিরোনাম দিতে পারেন। অবশ্য সামনের নিবন্ধগুলোতে তার দরকার হবে কিনা, আপনিই ভালো নির্ধারণ করতে পারেন।

৪. আপনার লেখাটি সত্যিই ভালো হচ্ছে। এবিষয়ে আম-জনতার ফুলানো-ফাপানো মন্তব্য, খাজুরে আলাপগুলো মন্তব্যকারে না এলে বোধহয় ভালো হয়। এই ব্যাপারটাকে রেটিং-এ সীমাবদ্ধ রেখে গবেষণামূলক মন্তব্যগুলো স্থান দেয়া যৌক্তিক বলে মনে করছি। তাছাড়া এবিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট যাদের মন্তব্য ব্যাপারটাকে সবার কাছে পরিষ্কার করবে, তাদের বক্তব্য অগ্রগণ্য হওয়া উচিত। সবাই গণহারে "সুন্দর হচ্ছে"-জাতীয় মন্তব্য দিতে থাকলে, আর খাজুরে আলাপ জমাতে থাকলে মন্তব্য পড়তে পড়তে মূল বিষয় থেকে সরে আসার সম্ভাবনা থাকে। কারণ তখন আপনার আলোচিত বক্তব্য আর অডিয়েন্স-এর মাঝখানে নতুন বক্তব্য স্থান করে নেয়।

আপনার লেখাটি সত্যিই খুব সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। তাই এবিষয়ে আমি আর সামনের পোস্টগুলোতে কোনো সাধুবাদ জানাবো না। যদি অসংগতি পাই, কিংবা সহায়ক কোনো তথ্য পাই, কিংবা কোনো যুক্তি পাই, শেয়ার করার আশা রাখি। অযথা আপনার পোস্টকে মন্তব্য দিয়ে ভারি করতে আমি আগ্রহী নই। ধন্যবাদ।
সামনের পোস্টগুলোর আশায় থাকলাম।

bismark এর ছবি

মজা পাইলাম, কিন্তু বিষয় টা নিয়ে মূসা ইব্রাহিম কোন মন্তব্য করছে না। আসলে বিষয়টা নিয়ে ঘাপলা আছে মনে হচ্ছে।

মাহমুদ [অতিথি] এর ছবি

"If I target or wish something to do, mind it- I will do it by any means"

Mission 2010 :: Vision Everest

>> খবর আছে হিমু বাবুর, মুসা মিয়ার খোমা খাতার "about me" এইটা।
তয় তার চাইতেও ভালো ধরনের খবর আছে ওর নিজের, শেষমেষ হিমালয় টা ও বাংলাদেশি দুর্নিতি থেকে রক্ষা পেলোনা!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।