ছোট্ট একটা সেল। তাতে গাদাগাদি করে তিনজন।
দু'জন আবার উপুড় হয়ে শুয়ে।
বোঁ করে একটা মাছি এসে চক্কর খায় শায়িত দু'জনের ওপর, একজন দুর্বল হাত ঝাপটা দিয়ে সেটা তাড়ানোর চেষ্টা করে।
এক নম্বর ময়লা দেয়ালে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। মেঝেতে চিটচিটে কম্বলের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা দুই নম্বর গোঙাতে গোঙাতে বলে, "এই সময় উকিলের বাচ্চা গেছে আম্রিকা! এইটা কি আম্রিকা যাওয়ার সময়? এদিকে কেয়ামত হয়ে যাচ্ছে!"
তিন নম্বর ডুকরে কেঁদে উঠে বলে, "কায়ামৎ হো চুকা মুজাভাই! কায়ামৎ তো বিলকুল হো চুকা!"
এক নম্বর মৃদু কিন্তু শক্ত গলায় বলে, "কী করছে তোমারে, দেলু?"
তিন নম্বর মেঝেতে হাত ঠেকিয়ে বহু কষ্টে হাঁটু আর হাতের ওপর ভর দিয়ে বসে। ফিসফিসে ধরা গলায় বলে, "ডিম।"
এক নম্বর একটু যেন কেঁপে ওঠে। গণ্ডগোলের পরের তিনটা বছর এরকম অস্থির সময় গিয়েছিলো। শেষদিকে অবশ্য অনেক কিছু গুছিয়ে এনেছিলো তাদের লোকজন। মওলানা সাহেবের পার্টি তখন বল যুগিয়েছে। আর জালেমের পতনের পর তো জেনারেল সাহেব সবকিছু আবার সুন্দর করে গড়ে তুলছিলেন। ওরকম মানুষ আর হয় না। পরের জেনারেলটা যদিও অনেক সুবিধা দিয়েছে তাদের, কিন্তু পয়লা জেনারেলটার মতো জেনারেল আর আসবে না দেশে।
হয়তো আসতো। তার আগের এক নম্বরের বড় বেটা অনেকদূর চলে গিয়েছিলো। হয়তো সে-ই হতো পরের সিপাহসালার। কিন্তু জালেমের দল দিলো না। অকালে খারিজ করে দিলো ওরকম একজন আলেম ফৌজদারকে।
তা দিক। ফৌজে বড় বেটার আসর কম নয়। নতুন ছানাপোনা থেকে শুরু করে পাকা জঙ্গ-ই-বাহাদুরেরা বড় বেটার গুণপনায় মশগুল। বাইরে থেকেও সে অনেক কলকাঠি নাড়তে পারবে, যখন উপরঅলার ইশারা আসবে। আর ভেতরের সাঙ্গাৎরা তো আছেই।
এক নম্বর মাথা ঝাঁকায়, দূর করে দিতে চায় এসব চিন্তা। ওয়াক্ত মাঝে মাঝে খারাপ যায়, জামানা মাঝে মাঝে রুখা হয়। কিন্তু আবার সব ঠিকও হয়ে যায়। আঁধার ফুঁড়ে আসে নওহিলালের রৌশনি। নারায়ে তাকবীর!
দুই নম্বর ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে।
এক নম্বর একটা চাপা ধমক দেয়। "খবরদার মুজা! রো মাৎ। রোনেকে লিয়ে ইতনে দূরতক নাহি পৌঁছা তুনে!"
দুই নম্বর ককিয়ে উঠে বলে, "তুমহারে লিয়ে তো অ্যায়সা বোলনা আহসান হায় নিজা ভাই। লেকিন হামারা গাঁড়কে লিয়ে তো নাহি! আরে কুছ করো ইয়ার! কুছ আইসক্রিম তো বুলা করো!"
তিন নম্বরও আইসক্রিমের বায়নায় সমর্থন দেয়।
এক নম্বর বলে, "আইসক্রিম খাওগে তো টনসিল বিগাড় যায়েগি।"
দুই নম্বর বলে, "আরে খানেকে লিয়ে আইসক্রিম চাহতা হায় কওন বেহেনচোদ! গাঁড়মে ডালনেকে লিয়ে বুলানে কো কেহতা হুঁ!"
এক নম্বর থতমত খেয়ে চুপ করে যায়। তিন নম্বর কুঁ কুঁ শব্দ করতে থাকে।
এক নম্বর গলা খাঁকরে বলে, "কীসের আণ্ডা, দেলু?"
তিন নম্বর দুর্বল গলায় বলে, "মনে হয় মুরগা।"
দুই নম্বর দাঁতে দাঁত চেপে বলে, "মুরগার আবার আণ্ডা হয় নাকি? বলো মুরগির আণ্ডা!"
তিন নম্বর ধরা গলায় বলে, "আগার পুলিশ চাহে তো মুরগা ভি আণ্ডা দেগা।"
বাইরে ডেস্কে বসা ইনচার্জ বাঘের গলায় ধমক দেয়, "হুজুরেরা উর্দুতে কথাবার্তা বন্ধ করেন। উর্দু চোদাইবেন ইসলামাবাদে যাইয়া।"
এক নম্বরের চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে। সব কয়টা ঠোলা সাদা পোশাকে আছে, ব্যাজ নাই কারো, কিন্তু চেহারা তো সে ভুলবে না। আর তার সাহাবারা ঠিকই বের করবে আজ ডিউটিতে কারা ছিলো। মিনিস্ট্রিতে অনেক মুরিদ আছে তার। এই দিন দিন না, আরো দিন আছে।
ইনচার্জ চেয়ার ঠেলে উঠে দাঁড়ায়, তারপর খট খট শব্দ তুলে হেঁটে আসে সেলের কাছে।
"কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো স্যারেরা?" হাসি-হাসি কণ্ঠে শুধায় সে।
এক নম্বর চুপ করে থাকে। তিন নম্বর ফুঁপিয়ে উঠে বলে, "তোমার চৌদ্দগুষ্টি এর খেসারত দিবে! তুমি জানো না তুমি কী করছো!"
ইনচার্জ খুশি গলায় বলে, "আমি আসলেই জানি না আমি কী করছি। আপনিই বলে দ্যান হুজুর। কী করছি আমি?"
তিন নম্বর চুপ করে যায়। দুই নম্বর চিৎকার করে অভিশাপ দ্যায়, "তোমার বালবাচ্চা সবাই এর খেসারত দিবে অফিসার! ঘুঘু দেখেছো ফাঁদ দেখো নাই ...!"
এক নম্বর নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে দুই নম্বরকে, কিন্তু দুই নম্বর চিৎকার করে শাপশাপান্ত করে যায়।
ইনচার্জ একটা সিগারেট ধরায়, তারপর উদাস গলায় বলে, "কীসের ডিম গেছিল হুজুর?"
তিন নম্বরও গালাগালি শুরু করে আবার।
ইনচার্জ কাকে যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে, "ওরে অ্যাসিস্ট্যান্ট, তোমার তো নাম ধইরা ডাকা বারণ, কীসের ডিম দিছিলাম?"
একটু দূর থেকে কে যেন খোনা গলায় বলে, "স্যার লালদাড়িরে দিছিলেন মুরগির ডিম, আর সাদাদাড়িরে হাঁসের ডিম।"
ইনচার্জ সেলের ভেতর উঁকি দিয়ে দাড়ির রং দেখে, আবার সোজা হয়ে দাঁড়ায়। সিগারেটে একটা টান দিয়ে বলে, "হ, হাঁসের ডিমের ম্যাজিকই আলাদা।"
এক নম্বর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে। এই গাড্ডা থেকে জামিনে বেরিয়ে চট্টগ্রাম আর শরীয়তপুর থেকে কয়েকজন ক্যাডার আনিয়ে ডিউটিতে থাকা সবকয়টা অফিসারের বাড়িতে বোমা ফাটানোর ব্যবস্থা করবে সে।
ইনচার্জ ডেস্কে ফিরে গিয়ে টেলিফোন তুলে নেয়, "হ্যালো, আজম সাহেব, হ্যালো!"
এক নম্বর কান পাতে। নামগুলো শুনতে হবে, শুনে মনে রাখতে হবে।
"বাহ, পাইছেন? ... লোক গেছে? বাহ বাহ ... হ্যাঁ হ্যাঁ ... হ্যাঁ, তদন্তের কাজে দরকার ... না না না, আপনাদের কোনো ব্যাপার না আজম সাহেব ... না না ... হ্যাঁ, সেটাই ... হায়াৎ ফুরাইলে তো মরবেই ... সবই উপরঅলার মর্জি ... বুঝি রে ভাই বুঝি ... ঠিকমতো খাইতে দিয়েন ... হ্যাঁ হ্যাঁ, ওষুধপত্র দিয়েন ঠিকমতো ... আচ্ছা ঠিকাছে, রাখি এখন ... ওয়ালাইকুম সালাম।" ঘটাশ করে ফোন নামিয়ে রাখে ইনচার্জ।
এক নম্বরের মাথায় দ্রুত চিন্তা খেলতে থাকে। কে এই আজম? তদন্তের কাজে তার কাছে কেন লোক যাবে? কে মারা গেছে? কাকে ঠিকমতো খেতে দিতে হবে, ঔষধ দিতে হবে?
ইনচার্জ ডেস্কে বসে একটা কানখুষ্কি দিয়ে কান চুলকাতে থাকে। তিনটা শকুনকে ধরে আনা হয়েছিলো, এখন সেলের ভেতর বসে আছে তিনটা ডিম। ছাড়া পেলে আবার ডিম ফুটে বেরিয়ে আসবে শকুন।
দরজা খুলে ভেতরে ঢোকে আরেকজন কর্মকর্তা, তার হাতে একটা বড় কাগজের বাক্স। ভেতর থেকে খড় বেরিয়ে আছে।
ইনচার্জ উৎফুল্ল গলায় হাঁক ছাড়ে, "অ্যাসিস্ট্যান্ট! মাল পাইলা?"
অ্যাসিস্ট্যান্ট হাসে। "হ স্যার। একদম টাটকা। চোখের সামনেই বাইর হইল।"
ইনচার্জ সেলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। উপুড় হয়ে শুয়ে আছে তিন নম্বর আর দুই নম্বর। এক নম্বর সোজা হয়ে বসে আছে অন্যদিকে তাকিয়ে।
ইনচার্জ অ্যাসিস্ট্যান্টকে জানায় তার উপলব্ধির কথা। "আনছিলাম তিনটা শকুন, এখন বইসা আছে তিনটা ডিম।"
অ্যাসিস্ট্যান্ট নিরুত্তাপ হাসে। তাদের কাজই শকুনদের ডিম বানানো।
ইনচার্জ ডেস্কের ওপর থেকে ব্যাটনটা তুলে নেয়, তারপর সেলের গরাদে বাড়ি মারে জোরে।
"বড় হুজুর, বাইরে আসেন। আপনার জন্য স্পেশ্যাল জিনিস।"
এক নম্বরের মুখ থেকে রক্ত সরে যায়। দুই আর তিন নম্বর ঘুরে বসে হাত আর হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে।
ইনচার্জ কাগজের বাক্সটা দেখায়। "খাঁটি উটপাখির ডিম হুজুর। চিড়িয়াখানা থেকে আনা। একদম গরমাগরম। তবে আমরা আরেকটু গরম করে নিবো। আসেন।"
এক নম্বরের মাথাটা চক্কর দিয়ে ওঠে। দুই আর তিন নম্বরের দিকে তাকায় সে। সামান্য একটা তুষ্টির হাসি কি তাদের মুখে খেলা করে? চোখে অন্ধকার দেখে এক নম্বর।
ইনচার্জ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে, সেলের মধ্যে গাদাগাদি করে বসে আছে কুঁকড়ে যাওয়া তিনটি ঘর্মাক্ত ডিম। তার মনে পড়ে যায় ছেলেবেলার বায়োলজি ক্লাস।
মন্তব্য
আশা রাখতেছি, ডিম সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাইর করা হবে না দারুণ, সিরাম মজা পাইছি ***** দাগায়া গেলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কি মাঝি, ডরাইলা?
এতোটা আপ্যায়ন কি করা হবে? আমার তো মনে হয় ওনারা আক্ষরিক অর্থেই জামাই আদরে থাকবেন।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
আমারও তাই ধারণা।
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
চ্রম হইছে।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে।
["অন্যায় যে করে"-- অতীত কাল, "অন্যায় যে সহে"(!)-- বর্তমান কাল...
কালের ব্যবধান চল্লিশ বছর, পাত্র একই]
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আরে!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আহ! যদি এমন হত।
আহা! কিন্তু হবে তো আসলে ঘোড়ার ডিম।
আর এই সিনারিও কার ভালো লাগলো না? হুজুরদের দুঃখে না ডিমের দুঃখে?
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
- আমার চোখে তীব্র সমস্যা হইছে দেখি। লিখলি অণ্ডকোষ, আমি পড়লাম আণ্ডাকোষ!
ভাবতে তো ভালোই লাগে, হুজুরদের কোষে আণ্ডালি প্রবিষ্ট করা হচ্ছে! কিন্তু হাল জামানার যে হাকিক্কত, ভরসা পাই নারে। কবে দেখবি হুজুরেরা বের হচ্ছেন একে একে দুই আঙুলে "ভি" চিহ্ন দেখিয়ে। জেলের গেটেই সরকারকে হুমকি দিয়ে জ্বালাময়ী বক্তৃতা করছেন। বৃহদান্ত্রে আণ্ডা থেরাপি তো দূরে থাক, তাদেরকে সুস্পষ্ট কারণেও আটক করে রাখা যাবে না, হয়তো!
হুজুরদের আব্বা হুজুরেরা বলেছে একাত্তরের গণহত্যার জন্য তারা ক্ষমা চাইবে না। বাংলাদেশে '৭০এ ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে আসা ২০০ মিলিয়ন ডলারের কানাকড়িও এদেশের মানুষ চোখে দেখে নি। এইসব নিয়ে কথা তোলাতে তেনারা বাংলাদেশ সরকারের ওপর নাখোশ হয়েছেন। তেনারা বড্ডই অস্বস্তিতে আছেন। বাংলাদেশ "পুরাতন", "ক্লোজড", "মীমাংসিত" সব ইস্যু ধরে টেনে সামনে নিয়ে আসছে বলে!
আমরা, বাংলাদেশের আম জনতা, বাংলাদেশের পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়কে আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা পাকি হারামীদের যুক্তির বিপরীতে আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে সোচ্চার থাকুন, প্রয়োজন হলে ছিন্ন করুন সব কূটনৈতিক সম্পর্ক। আমরা আপনাদের সাথে আছি। ঐতিহাসিক হারামীদের সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ রাখার দরকার নেই।
আর যে তিন শকুনকে জেলের ভেতর সাঁটানো হয়েছে, তাদেরকে এবার মানবতার বিরুদ্ধে করা অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হোক। এরা আবারও গলায় গেন্দাফুলের মালা নিয়ে বিজয়ীর বেশে জেল থেকে বের হোক, এইটা আর দেখতে চাই না। বাংলাদেশের মাটি আমাদের। এই শকুন এবং শকুনদের পক্ষে কথা বলা রাজনীতিবিদদের না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঠিক এইটাই আশঙ্কা।
কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার দিন আসলেই ফুরিয়েছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তুখোড়।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
হে হে...পত্রিকায় খবর পড়ার পর থেকেই অপেক্ষায় ছিলাম
এবার মুখফোড় গিবরিল আর অনাগত হাবিয়া নগরীর তিন অতিথি নিয়ে কিছু বলে কিনা দেখি।
আমি সিন্বাদের এই পাখি ডিমের কথা ভাবছিলাম!
দারুণ!
সবগুলার পেছনে চর লাগানো হোক! নামাজে যদি একটা সূরাও ভুল পড়ে সোজা অন্দরে...!
--- থাবা বাবা!
বাইদ্যওয়ে- আজকে সকালে মিন্টো রোড দিয়ে যাচ্ছিলাম। ঢাকা শহরের সবচে' সুন্দর রাস্তা এইটা। কেমন ছায়াছায়া, নির্জন, মায়াময়। শহরে এত রকমের পাখির ডাক মনে হয়না আর কোন রাস্তায় শুনতে পাওয়া যায়। আজকেও মনে হইলো একটা পাখির ডাকের মত কি জানি শুনলাম। অবশ্য পাখির ডাক না হইতেও পারে। বেশ করুণ, বিষন্ন আর টানাটানা। অনেক দূর থেকে আসা একটা হাহাকারের মতন। মন খারাপ করে দেয়।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
দুখী নিজামির
নয়নের নীর
সুখীজনে যেন সদা টিভিতে দেখায়
আহা আজি এ বসন্তে ♪♫
এহ হে!
এইসব ডিম ফিম এ হবে না.. সাইফুর রহমানের জাতীয় খাদ্য কাঁঠাল চাই।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আশা করি, সরকার এই নরপিশাচদের মুক্তি দেবার মতো ভুল করে পস্তাবে না। এদের বিরুদ্ধে নেওয়া যে কোন কঠিন শাস্তির সমর্থন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ করবে। আর কেউ যদি এর বিরোধিতা করে, দেশের মানুষই তাদের স্বরুপ বুঝে নেবে।
---- মনজুর এলাহী ----
সচলায়তনের আমার কমেন্ট নিয়ে ভিতী কাজ করে। অনেকদিন ধরেই মনে হচ্ছিল কথাটা। আজ প্রমান পেলাম।
প্রিয় সচলায়তন, আমি যা বলি, তা আমার হৃদয়ের কথা, কথাগুলো আবেগপ্রবন। হয়ত তোমার চোখে বেশী আবেগমাখা। তাই ভয় পেয়ে যাও। কিন্তু আমার কমেন্টের দায় তো কেবল আমারি, তাই না? সচলায়তনে এই কথা তো স্পষ্টই লেখা আছে, নাকি ভুলে গেছ?.
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
অবশ্যপাঠ্য সংবাদ। আসলেই, এরম চিকিচ্ছেই দর্কার।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ইশ! যদি এমন সত্যি হতো তবে ????????????
আমার আব্বাজান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে একটি সাব সেক্টরের সহ-অধিনায়ক ছিলেন। তাহার একটি বিচিত্র হবি ছিলো যাহা হইলো রাজাকার ধরিয়া স্বহস্তে শিরচ্ছেদ করা। তিনি বহুত রাজাকারের শিরচ্ছেদ করিয়াছিলেন। তিনি নান্না মিয়া নামক জনৈক কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডারেরও শিরচ্ছেদ করিয়াছিলেন। জনশ্রুতিঃ শিরচ্ছেদ পরবর্তিতে তিনি তাহার বিচ্ছিন্ন মস্তক লইয়া কয়েক কদম ড্রিবলিংও করিয়াছিলেন যদিও আব্বাজান মোটেও ভালো একজন ফুটবলার ছিলেন না। পরবর্তীতে লেজেহোমো এর্শাদ হুজুর ক্ষমতায় আসীন হইবার পর আব্বাজানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাহার বিরুদ্ধে নান্না মিয়া হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মহামান্য আদালত যদিও আব্বাজানকে ওই অভিযোগ হইতে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
দেশে থাকিলে আব্বাজানকে এই ব্লগটি পড়াইতাম। ইহাতে তিনি হয়তো উল্লসিত হইতেন।
হিমু ভাইয়া, চালাইয়া যান, থামিবেন না। আগামীতে সম্ভব হইলে এই বরাহনন্দনগনের যৌনাচার লইয়া কিছু লিখুন। আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে ইহারা বাইসেক্সুয়াল।
নতুন মন্তব্য করুন